অন্যান্য
অভিনেতা ও প্রযোজক সাজু মুনতাসিরের বিশেষ দিন
দেশের জনপ্রিয় অভিনেতা সাজু মুনতাসির। এছাড়াও তার অন্যতম পরিচয় একজন প্রযোজক এবং টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টেলিপ্যাব) সাধারণ সম্পাদক।
সাজু মুনতাসির বর্তমানে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ১৯৫২ ইন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেডের সিইও। এ ছাড়াও তার মালিকাধীন আরেকটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ডিজিটালিয়ার কাজ নিয়ে ব্যস্ততা চলছে নিয়মিত।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) জনপ্রিয় এই অভিনেতা জন্মদিন। ১৯৭৭ সালে আজকের দিনে পিরোজপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার বাবা ওবায়দুল কবির এবং মা কানিজ নাজনীন আক্তার।
টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টেলিপ্যাব) সাধারণ সম্পাদক সাজু মুনতাসির জীবনের বিশেষ দিনটিতে ভাসছেন শুভেচ্ছা ও ভালোবাসায়।
সাজু ইউএনবিকে বলেন, ‘এটা সত্যি দারুণ একটি বিষয় যে প্রতিবছর জন্মদিন এলে কাছের মানুষেরা, সহকর্মীরা শুভেচ্ছা দিয়ে সেটি রঙিন করে রাখেন। এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সবার কাছে আমি দোয়া চাই যেন সততা নিয়ে একজন প্রযোজক নেতা হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালন করতে পারি। ভালো ভালো নির্মাণ দিয়ে যেন ইন্ডাস্ট্রি ও দর্শকের চাহিদা মেটাতে পারি।’
তিনি ১৯৯৭ সালে র্যাম্প মডেল হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। ২০০০ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত তিনি বিভিন্ন টিভিসিতে মডেল হিসেবে অভিনয় করেন। তিনি ২০০২ সালে জনপ্রিয় পরিচালক আহমেদ ইউসুফ সাবের পরিচালিত বাংলা নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেন। ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি প্রায় ১৫০টিরও বেশি নাটকে অভিনয় করেছেন।
সাজু মুনতাসির মিডিয়ার সব অঙ্গনেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। মডেলিং, অভিনয় থেকে শুরু করে প্রযোজক হিসেবেও তিনি সর্বমহলে অত্যন্ত সমাদৃত।
তিনি কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ পেয়েছেন নানা পুরস্কার। তার মধ্যে ট্রাব অ্যাওয়ার্ড, চ্যানেল আই ডিজিটাল মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড, সিজেএফবি অ্যাওয়ার্ড অন্যতম। দেশের অন্যতম জনপ্রিয় দুইটি টিভি রিয়েলিটি শো বিনোদন বিচিত্রা ফটোসুন্দরি এবং ফেয়ার অ্যান্ড হ্যান্ডসাম- দ্যা আলটিমেট ম্যান পাওয়ারড বাই বাংলাদেশ নেভীর বিচারক হিসেবেও নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজ লাগিয়েছেন তিনি।
ভোট দিয়ে উচ্ছ্বসিত তারকারা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে রবিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে। দেশের বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে ভোট দিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন শোবিজ তারকারা।
রাজধানীর ভাসানটেক সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল ৯টা ৪৬ মিনিটে ভোট দেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস। ভোট দেওয়ার ছবি তার ফেসবুকে পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘আমি ভোট দিয়েছি। আপনি দিয়েছেন কি?’
রাজধানী ধানমন্ডির গভর্মেন্ট হাইস্কুল ভোটকেন্দ্রে সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে ভোট দিয়েছেন অভিনেত্রী ও শিল্পী মেহের আফরোজ শাওন। ভোট দিয়ে কালি দেওয়া আঙুলের ছবি তার ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। ক্যাপশনে লিখেছেন ‘ভোট দিয়ে আসলাম’।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালের সিনেমায় সম্ভাবনাময় উপস্থিতি
মানিকগঞ্জে নিজের নির্বাচনি এলাকায় সকাল ১০টার দিকে ভোট দিয়েছেন সংগীতশিল্পী ও সংসদ সদস্য মমতাজ। কেন্দ্রে গিয়ে তিনি বিজয় চিহ্ন দেখিয়ে ভোট প্রদানের ছবি তিনি তার ফেসবুকে শেয়ার করেছেন।
গুলশান মডেল হাই স্কুলে ভোট দিয়েছেন গান বাংলা টেলিভিশনের কর্ণধার তাপস ও তার স্ত্রী মুন্নী। তাপস ভোট দেওয়ার ছবি তার ফেসবুকে পোস্ট করে লিখেছেন, ‘জয় বাংলা’।
অভিনেত্রী তারিন জাহান ভোট দিয়ে হাতের অমোচনীয় কালি প্রদর্শন করা ছবি তার ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘আমি আমার ভোট দিয়েছি, আপনি?’
আরও পড়ুন: সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করব: ফেরদৌস
তরুণ প্রজন্মের দুই অভিনয়শিল্পী সৌম্য ও দিব্য প্রথমবার ভোট দিলেন।
তাদের মা অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি তার ফেসবুকে এ তথ্য প্রকাশ করেছেন। দুই ছেলের ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘প্রথমবার ভোট। যারা ভোট বর্জন করেছে, তারা তরুণদের আবেগ বর্জন করেছে। আমার ভোট, আমার দেশ, ভালোবাসি বাংলাদেশ।’
আরও পড়ুন: আলোড়ন সৃষ্টিকারী সিনেমা ‘টুয়েল্ভ্থ ফেইল’ হাজারও সংগ্রামী তরুণের জীবনের গল্প
সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করব: ফেরদৌস
রাজধানীর ভাসানটেক সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন চিত্রনায়ক ও ঢাকা-১০ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফেরদৌস।
ঢাকা-১৭ আসনের ভাসানটেক এলাকার ভোটার হওয়ার তিনি রবিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টা ৪৬ মিনিটে এ কেন্দ্রে ভোট দেন। যদিও তার নির্বাচনি এলাকা ঢাকা-১০।
ভোট দিয়ে গণমাধ্যমে ফেরদৌস বলেন, ‘নৌকার বিজয় হবে ইনশাআল্লাহ। জয়ের ব্যাপারে আমি আশাবাদী। অভিনয়ে যেভাবে শতভাগ দিয়েছি দর্শকদের, সেভাবে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করব।’
ফেরদৌসের আসনের ভোটার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাকে ভোট দিয়েছেন। একজন প্রার্থী হিসেবে এই ভালো লাগা মুখে বলে প্রকাশ করার মতো নয়। আমি ঢাকা-১৭ আসনের ভোটার। নির্বাচনে আসার শুরু থেকে যেভাবে মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি আশা করছি ভোটের রায়ে সেটা বজায় থাকবে।’
‘তোদের অসভ্যতার শেষ হোক’: ফারুকী
কিছুদিন আগে মুক্তি পেয়েছিল মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ও অভিনীত সিনেমা ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’। যেখানে দেখা যায় তার স্ত্রীর গর্ভে সন্তান থাকা অবস্থায় ফারুকী বাইরের প্রকট শব্দ নিয়ে কতটা আতঙ্কিত ছিলেন। সিনেমাটা যারা দেখেছেন তারা হয়তো বিষয়টি ভালোভাবেই লক্ষ্য করেছেন।
পর্দার সেই ফারুকীকে এবার বাস্তবেও একই ঘটনা নিয়ে আতঙ্কিত দেখা গেল। আর সেটি প্রকাশ পেল ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসের মধ্য দিয়ে।
সোমবার (১ জানুয়ারি) ফারুকী লিখেছেন, ‘নতুন বছর শুরু করতে হচ্ছে অভিশাপ দিয়ে। ঘুমন্ত সন্তান যখন কেঁপে কেঁপে ওঠে, তখন পিতা কেবল অভিশাপই দিতে পারে। কারো আনন্দের বিনাশ আমি কখনোই চাই না। কিন্তু আজকে বলতে বাধ্য হচ্ছি—তোদের অসভ্যতার শেষ হোক, শেষ হোক, শেষ হোক! সংযুক্তি: এখন বাজে রাত দুইটা।’
আরও পড়ুন: ভারতীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম সনি লিভে মুক্তি পাচ্ছে ফারুকীর 'শনিবার বিকেল'
তবে একটি পোস্ট করেই শেষ করেননি ফারুকী। পরবর্তী পোস্টে তিনি এই সমস্যার সমাধান নিয়ে লেখেন, ‘উৎসব যেহেতু থাকবে, আবার এই শহরে ছোট শিশু-বয়স্ক মানুষ-রোগী-পশু-পাখিদেরও থাকতে হবে, তাহলে একটা উপায় বের করা যায়? পুরো শহরটাকে যুদ্ধক্ষেত্র না বানায়ে শহরের তিনটা জায়গা নির্দিষ্ট করে দেওয়া যায়? যেখানে উৎসব করার জন্য মানুষ জড়ো হবে। আমাদের এখানে তো আর সিডনি হারবার ব্রিজের মতো কোনো জায়গা নাই। আমাদের সব জায়গাইতো আবাসিক। সেই জন্য জায়গার পাশাপাশি সময়টাও বেঁধে দেওয়া দরকার! উচ্চশব্দ হয় এমন কোনো কিছু করলে এই বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে করতে হবে। তাতে করে নির্দিষ্ট করে দেওয়া জায়গাগুলার আশপাশের ভবনের মানুষেরা জানবে কোন সময়টাতে এ রকম শব্দ হতে পারে এবং সেই অনুযায়ী একটা প্রস্তুতি রাখতে পারে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘আমরা যখন কোনো ছাদে দাঁড়াই, আমরা কিন্তু সেখান থেকে একটা আস্ত ইট নিয়ে বাইরের দিকে ছুঁড়ে মারি না! কারণ আমরা চিন্তা করি নিচে দিয়ে হেঁটে যাওয়া কারো না কারো মাথায় এটা পড়তে পারে, একটা অ্যাকসিডেন্ট হতে পারে। এই যে আমরা এটা ভাবি, এটাই মানুষের বৈশিষ্ট্য হওয়া উচিত। আমার কোনো কাজে অন্যের ক্ষতি হতে পারে কি না, এটা ভাবা মানুষের বেসিক জিনিস হওয়া উচিত। সবার নতুন বছর আনন্দের হোক, এমনকি যারা কালকে আমার মেয়েকে আতঙ্কের ওপর রাখছিলেন, তাদেরও!’
আরও পড়ুন: সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি: তিশা-ফারুকীর জীবনের প্রতিচ্ছবি?
মঞ্চ নাটকের আড়ম্বরপূর্ণ বছর ২০২৩
সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সিনেমা, টিভি নাটক বা সংগীত নিয়ে গণমাধ্যমে যতটা মাতামাতি হয়, মঞ্চ নাটক ঘিরে ততটা নজর থাকে না। এটি অনেক বছরের চিত্র। আর মঞ্চ নাটক দেখার দর্শকের সংখ্যাটাও এখন গুটিকয়েক বলা চলে। নাট্যপাড়ায় এই অবস্থা নিয়ে বহুদিন ধরেই আলাপ চলছে।
এক সময় যারা মঞ্চ নাটক নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন তারা এখন টিভি বা সিনেমায় ব্যস্ত। খুবই বাস্তব অভিজ্ঞতা টেনে এমন অনেকেই বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকারেও কথা বলেন। আর এসবের মূলে যে বিষয়টি উঠে আসে তা হলো-পৃষ্ঠপোষকতার অভাব। কারণ দিন শেষে একজন নাট্যকর্মীরও তো নিজের আর্থিক সঙ্গতিটা দেখতে হয়। তাই মঞ্চকে একমাত্র অবলম্বন হিসেবে নেওয়া যায়নি কখনও।
আজ অবদি ঢাকায় মঞ্চ নাটকের কেন্দ্রে রয়েছে শিল্পকলা একাডেমি অথবা মহিলা সমিতি মিলনায়তন। এর বাইরে স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও নতুন কোনো ভাবনার বাস্তব রূপ দেখা যায়নি এই অঙ্গন ঘিরে।
আরও পড়ুন: বিদেশের মাটিতে মেয়ের সঙ্গে গাইলেন সামিনা চৌধুরী
এসব বিভিন্ন হতাশার মাঝে ২০২৩ সালে যে মঞ্চ পাড়ার খুব একটা খারাপ গিয়েছে তা কিন্তু নয়। শিল্পকলার আঙ্গিনা বেশ রমরমা অবস্থাতেই ছিল বিদায়ী বছরটি। ঠিক যেন তারুণ্য ফিরে এসেছে। আর এরমধ্যেই এ বছর প্রায় ১২০০টি নাটক মঞ্চে উঠেছে। যার মধ্যে নতুনের সংখ্যা ছিল ৩৪টি। আর নতুন দল এসেছে ৫টি।
বিগত কয়েক বছরের সমীকরণের হিসেবে এবার মঞ্চে নতুন আলো এসেছে বলা যায়। ২০২৩ সালে নাট্যাঙ্গনের কয়েকটি বিষয় আলাদা করে আজকের লেখায় তুলে ধরার প্রয়াস মাত্র।
এখন মঞ্চ নিয়ে সংশ্লিষ্টদের ‘গলা শুকানো’ অবস্থা হলেও এমন চিত্র কিন্তু সবসময় ছিল না। আজ নাট্য ব্যক্তিত্ব হিসেবে যারা পরিচিত এবং কিংবদন্তীতুল্য তাদের আলোয় এক সময় আলোকিত ছিল দেশের মঞ্চপাড়া। তাদের কয়েকজনের মধ্যে অন্যতম রামেন্দু মজুমদার, ফেরদৌসী মজুমদার ও আসাদুজ্জামান নূর।
স্বাধীনতা এবং একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য দুজন অভিনয়শিল্পী রামেন্দু মজুমদার ও ফেরদৌসী মজুমদারকে বহু বছর পর মঞ্চে একসঙ্গে দেখা গেল। মহিলা সমিতির মঞ্চে বিশ্ববিখ্যাত নাট্যকার এ আর গার্নির 'লাভ লেটারস' নাটকে পাঠাভিনয় করেছেন তারা। আবদুস সেলিমের বাংলা রূপান্তর করা নাটকটি প্রযোজনা করেছে নাট্যদল থিয়েটার।
আরও পড়ুন: বড়পর্দায় রবীন্দ্রনাথের ‘হৈমন্তী'
অন্যদিকে মঞ্চ নাটকের আরেকজন মহীরুহ আসাদুজ্জামান নূর। নাগরিক নাট্য সম্প্রদায় আয়োজিত ‘আলী যাকের নতুনের উৎসব’ এ বছর রেপার্টরি নাট্যদল হৃৎমঞ্চ মঞ্চে আনে ‘রিমান্ড’। শুভাশিস সিনহার লেখা ও নির্দেশিত এ নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর্।
‘ঢাকা থিয়েটার’ এদেশের মঞ্চপাড়ার স্বর্ণাক্ষরে লিখে থাকার মতো নাম। যার শুরু হয় ১৯৭৩ সালে। নাট্যদলটির প্রথম আহ্বায়ক ছিলেন সেলিম আল দীন, নাসির উদ্দীন ইউসুফ ও ম হামিদ। ২০২৩ সালে তাদের প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর উদযাপন করেছে। আর সেটি ছিল বেশ আড়ম্বরপূর্ণ। সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বছরব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে ঢাকা থিয়েটার।
এ বছর উৎসবমুখর ছিল নাট্যাঙ্গন। সারাবছর ১২টি উৎসব উদযাপিত হয়েছে। বছরের শুরুতে ‘আলী যাকের নতুনের উৎসব’। এরপর গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব, আরণ্যক ও ঢাকা থিয়েটার আয়োজন করে ৫০ বছর পূর্তি উৎসব উল্লেখযোগ্য।
বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের মধ্যে বিভিন্ন জটিলতার ঘটনা প্রায় শোনা যায়। যা এবছরে উল্লেখযোগ্য। আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও সাংগঠনিক স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে কামাল বায়েজীদকে অব্যাহতি দেয় গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন। এ ঘটনায় ফেডারেশন থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রতিবাদে নাট্যদল ‘ঢাকা থিয়েটার’ ফেডারেশন থেকে সদস্যপদ প্রত্যাহারের আবেদন জানায়।
আরও পড়ুন: ধুম ৪-এ শাহরুখ খান: ঘটনা না কি রটনা?
বিদেশের মাটিতে মেয়ের সঙ্গে গাইলেন সামিনা চৌধুরী
কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী মাহমুদুন্নবী তার উত্তরসূরী হিসেবে রেখে গেছেন দুই মেয়ে ফাহমিদা নবী ও সামিনা চৌধুরী আর ছেলে পঞ্চমকে। তারা গানের ভূবনে নিজেদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখেছেন।
এবার সময় এসেছে এই তিন ভাই-বোনের যোগ্য উত্তরসূরী রেখে যাওয়ার। এরইমধ্যে গানের ভূবনে নাম লিখিয়েছেন সামিনা চৌধুরীর একমাত্র মেয়ে ফাবাশশির তেজি খান।
অডিও ও টেলিভিশনের পর এখন স্টেজ শোতেও অল্প বিস্তর গাইছেন তেজি। এমনকি দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতেও গেয়েছেন এই তরুণ শিল্পী।
এ বছরই অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে মায়ের সঙ্গে স্টেজ পারফর্ম করেন তেজি। আর এবার গাইলেন যুক্তরাষ্ট্রের অস্টিন অঙ্গরাজ্যে।
সামিনা চৌধুরী এখন তার পুরো পরিবার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। সেখানে বিভিন্ন রাজ্যে একাধিক স্টেজ শো এবং চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠের গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন তিনি।
তারই ধারাবাহিকতায় অস্টিন অঙ্গরাজ্যে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে গাইলেন তিনি। সেই মঞ্চেই তার সঙ্গে মেয়ে তেজি গাইলেন তিনটি গান।
আরও পড়ুন: শেখ মণিকে নিয়ে টেলিছবি ‘বিন্দু থেকে বৃত্তে’
সামিনা চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্র থেকে বলেন, ‘এ জীবনে তো কত দেশে কত স্টেজ শো করলাম, কিন্তু কিছু কিছু শো মনের মধ্যে আলাদা জায়গা করে রাখে। এবারের অস্টিনের শোটি তেমন। আমার মেয়ে আমার সঙ্গে গাইল- কবিতা পড়ার প্রহর, আমায় ডেকো না আর বাঁশি শুনে আর কাজ নেই গান তিনটি। তার গান শুনে অনেক দর্শকই বলেছেন, তেজিকে এরপর থেকে তারা নিয়মিত শিল্পী হিসেবে চায়। এটা মা হিসেবে আমার জন্য অনেক গর্বের ও আনন্দের।’
অস্টিনের শো নিয়ে সামিনা বলেন, ‘আমি সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞ, বরাবরই খুব ভালো দর্শক পাই। আমি যে ধরনের গান গাই বা পছন্দ করি, তেমন দর্শকই আমার গান শুনতে আসে। একক কনসার্টে তো দুই আড়াই ঘণ্টার আগে নামতেই পারি না। একের পর এক আমার মৌলিক গানের অনুরোধ আসে। এবারও তাই হয়েছে। তবে এবার গেয়েছি দুই ঘণ্টার একটু কম। আমার পরে মুজা গান করেছে। শোটি খুব ভালো ছিল। দর্শকের উচ্ছ্বাস ছিল দেখার মতো। নিজের শো নিয়ে এর বেশি আর কী বলব? আপনারা বরং দর্শকদের অনুভূতি জানতে পারলে উৎকৃষ্ট হতো।’
২০২০ সালে অনেকটা হুট করেই সংগীতাঙ্গনে পা রাখেন ফাবাশশির তেজি খান। সে বছর তার জন্মদিনেই ওয়ার্ল্ড মিউজিক বাংলা ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পায় তার গাওয়া প্রথম গান ‘সংশয়’-এর ভিডিও। প্রথম গানেই দর্শকের প্রশংসা কুড়ান তিনি।
মেয়েকে নিয়ে সামিনা চৌধুরী বলেন, ‘আমি চাই তেজি নিজের যোগ্যতায় পরিচিতি পাক। তাই তার গান নিয়ে আমি আলাদা কোনো প্রচার করি না। তবে তার গান শুনে মনে হচ্ছে ভালো করবে।’
এদিকে, সামিনা চৌধুরী এবার বেশ লম্বা সময়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছেন। অস্টিনে শো’র পর এবার তিনি গাইবেন ফ্লোরিডায়। ১৩ জানুয়ারি সেখানকার ওয়েস্ট পাম বিচে রয়েছে সামিনার শো। এরপর চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠের গ্র্যান্ড ফিনালের বিচার কাজ করবেন।
কাজের ফাঁকে দেশটি ঘুরে দেখবেন বলেও জানান তিনি।
সব ঠিক থাকলে ফেব্রুয়ারিতে দেশে ফিরবেন এই নন্দিত সংগীতশিল্পী।
আরও পড়ুন: ফের আরটিভিতে সিসিমপুর
ওটিটির পর্দায় ফ্রিতে ‘অন্তর্জাল’
চায়ের রাজধানী মৌলভীবাজারে এবারের ‘ইত্যাদি’
আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও শিকড়ের সন্ধানে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইত্যাদি আয়োজনের ধারাবাহিকতায় এবারের পর্ব ধারণ করা হয়েছে চায়ের রাজধানী হিসেবে পরিচিত অপূর্ব সুন্দর জেলা মৌলভীবাজারে।
মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে ১৮৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জে অবস্থিত কুরমা চা বাগান আবৃত মাঠে।
ইত্যাদির ধারণ উপলক্ষে পুরো মৌলভীবাজার জেলায় ছিল উৎসবের আমেজ। অনুষ্ঠানস্থলকে ঘিরে বসে জমজমাট মেলা। বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসে দোকানিরা। দূর থেকে দেখলে মনে হয় চা বাগানের মাঝখানে একখণ্ড জনসমুদ্র।
কমলগঞ্জে ধারণ হলেও দর্শকরা আসেন ৫০ থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বিভিন্ন উপজেলা থেকেও। স্থানীয় প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতায় বিকাল ৩টা থেকেই আমন্ত্রিত অতিথিরা অনুষ্ঠানস্থলে আসতে শুরু করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় অনুষ্ঠানস্থল।
আমন্ত্রিত দর্শক ছাড়াও অনেক দর্শক আশেপাশের টিলা, রাস্তা ও লেকের পাড়ে দাঁড়িয়ে অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে ইত্যাদির শুটিং উপভোগ করেন; যা চলে রাত ১১টা পর্যন্ত। তীব্র শীত উপেক্ষা করে এই দীর্ঘ সময়ে অবাক বিস্ময়ে উপভোগ করেছেন তাদের প্রিয় অনুষ্ঠানের ভিডিওচিত্র ধারণ।
এবারের অনুষ্ঠানে মৌলভীবাজারের সন্তান কণ্ঠশিল্পী সেলিম চৌধুরী ও সিলেটের সন্তান তসিবা আঞ্চলিক ভাষায় একটি ভিন্নরকম প্রেমের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। গানটির কথা লিখেছেন রামাচরণ, সুর করেছেন আকাশ মাহমুদ।
উল্লেখ্য তসিবার প্রথম টেলিভিশন যাত্রা শুরু হয়েছিল এই ইত্যাদির মাধ্যমেই। এছাড়াও মৌলভীবাজারকে নিয়ে মনিরুজ্জামান পলাশের কথায়, হানিফ সংকেতের সুরে এবং মেহেদির সংগীতায়োজনে একটি গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেছেন মৌলভীবাজারেরই স্থানীয় শতাধিক নৃত্যশিল্পী।
নাচটির কোরিওগ্রাফি করেছেন খাজা সালাউদ্দিন ঝন্টু, কণ্ঠ দিয়েছেন পুলক, তানজিনা রুমা, মোমিন বিশ্বাস ও নোশিন তাবাসসুম স্মরণ।
আরও পড়ুন: ফের আরটিভিতে সিসিমপুর
অপু বিশ্বাসের ভুল স্বীকার
সম্প্রতি একটি ইস্যুকে কেন্দ্র করে গানবাংলা টেলিভিশনের চেয়ারপার্সন ফারজানা মুন্নির সঙ্গে চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসের কথপোকথনের একটি সম্পাদিত ভার্সন প্রকাশের পর গণমাধ্যমে ও অনলাইনে নানা ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে পড়ে।
চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের আইডিতে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে ভিডিও প্রকাশ করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৭ ডিসেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে একটি অভিযোগ দাখিল করেন গানবাংলা টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কৌশিক হোসেন তাপস। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯ ডিসেম্বর ডিবি কার্যালয়ে তলব করা হয় চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসকে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ ও কৌশিক হোসেন তাপস।
পরে গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হয়ে অপু বিশ্বাস জানান তিনি তার ভুল বুঝতে পেরেছেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি তার প্রকাশিত ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া থেকে মুছে ফেলবেন।
কৌশিক হোসেন তাপস জানান, কে বা কারা সম্পাদিত অডিও ক্লিপটি প্রকাশ করল তা তিনি উদঘাটন করতে অনুরোধ করেছেন গোয়েন্দা বিভাগকে।
অপু বিশ্বাস বলেন, তাপস ভাই ও ভাবির মধ্যকার সুন্দর সম্পর্ক আছে ও ছিল। তা আমি দূর থেকে দেখেছি। আজ কাছ থেকে ভাইয়ার সঙ্গে কথা বলার পর আমি আরও জানলাম। কেউই ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। আমিও নই। আমি আমার প্রকাশিত ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া থেকে মুছে ফেলব।
কৌশিক হোসেন তাপস বলেন, আমার ও আমার স্ত্রীকে জড়িয়ে গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত নানা ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য ও সংবাদের অবসান চাই। আমরা ভালো আছি। অপু এ ঘটনায় নিজেকে জড়িয়ে কিছু ভুল করেছে। যা সে স্বীকারও করেছে। আমি তাকে ক্ষমা করে দিয়েছি। বাংলা চলচ্চিত্র ও গণমাধ্যমের প্রতিটি মানুষ আমার পরিবার। আমি সেই পরিবারেরই অংশ।
সবশেষে অপু বিশ্বাস গণমাধ্যমকর্মী ও নিজের ফ্যান ফলোয়ারদের অনুরোধ করেন তার প্রকাশিত ভিডিওটি সবাই যেন মুছে ফেলেন। যা তিনি নিজেও করবেন বলে জানান।
তৃতীয় পক্ষ আমার সংসারটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে: বুবলির উদ্দেশে অপু
চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলি বিভিন্ন সময় একে অপরের বিরুদ্ধে কথা বলে সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন। কিছুদিন আগেও অপুর একটি ফোনালাপ ফাঁসের পর বিষয়টি আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। এ নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি।
আবারও সেই পথেই হাঁটলেন অপু। তার ফেসবুক লাইভে বুবলিকে নিয়ে নানা সমালোচনা করেন এই নায়িকা।
১৭ ডিসেম্বর ভোরে নিজের ফেসবুক পেজে ২৮ মিনিট ৫৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রকাশ করেন অপু।
আরও পড়ুন: ভিউ বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি আমরা: অপু বিশ্বাস
ওই ভিডিওবার্তার এক অংশে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘এই যে তার (ফারজানা মুন্নী) সংসারে টানাপোড়েন, সেই একই তৃতীয় পক্ষ। যে তৃতীয় পক্ষ আমার সংসারটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। সরি টু সে ভাবি, আপনি যেমন একটি ইনফরমেশন দিয়েছেন যে, একটি ফোন এসেছে রাত ৩টায়। সেখানে অপু বিশ্বাস লেখা। ফর ইওর কাইন্ড ইনফরমেশন, ট্রু-কলারে যে নামটা দিয়ে রেজিস্ট্রার করা হয়, সে নামটা ভেসে আসে। আমার নম্বরটি থেকে যদি আপনার নম্বরে কল যায়, তাহলে ওখানে নাম উঠবে আব্রাহাম খান। কারণ, আমার ওইভাবে রেজিস্ট্রি করা। মুন্নী ভাবি আমাকে প্রথমে ফোন করেছিল মোবাইল ফোনে। তখন তাকে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করতে বলি। কারণ, বিষয়টি সেনসিটিভ। আমার সঙ্গে কিন্তু উনার হোয়াটসঅ্যাপে কথা হয়েছে।’
কী কথা হয়েছিল তাদের মাঝে সেটা উল্লেখ করে এই নায়িকা বলেন, উনি (ফারজানা মুন্নী) এতটা ডিস্টার্ব ছিল যে, আমার কোনো কথাই বলতে হয়নি। নিজেই বলছিল।
তিনি আমাকে বলেছেন ‘আমি আর এই সংসারে থাকব না’।
আমি তখন তাকে বলেছি, ভাবি আপনি আমাকে অপু ডেকেছেন না! আমাকে আদর করেছেন না! ওই ‘মহিলা’র (বুবলী) ইনটেনশন হচ্ছে, প্রতিটা সংসার ভাঙা। শাকিব অত্যন্ত সরল-সোজা একজন মানুষ। সেই সরল-সোজা মানুষকে যা-তা করে ইউজ করতে পেরেছে সাইনবোর্ডের মতো।
আমি আপনার ক্ষেত্রে এমনটা হতে দেব না। দরকার হলে বলেন, আমি ভাইয়ার সঙ্গে কথা বলব। আপনি ভাইয়াকে ছেড়ে যাবেন, এটা স্বপ্নেও চিন্তা করবেন না। আপনি যদি এই কাজ করেন, তাহলে এখনই ফোনটা কেটে দেব।
আমি যখন তাকে বললাম, আমি ভাইয়ার সঙ্গে কথা বলি। তখন ভাবি বলল, অপু তোমাকে সে তার কাছে এতটা খারাপ বানিয়েছে যে, তুমি কীভাবে কথা বলবা। সেই স্পেসটাই তো রাখেনি। আমার বাচ্চাকে নিয়ে সে (বুবলী) বাজে মন্তব্য করেছে।
এরপর বুবলীকে ‘পচা আলু’ নাম দিয়ে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘একটা ভালো রুমের মধ্য পচা আলু থাকলে সেটা গন্ধ ছড়াবেই। যেই গন্ধটা আমার পরিবারকে উই পোকার মতো খেয়ে অন্য একটা পরিবারে ঢুকেছে। আজকে আপনারা (ফারজানা মুন্নী-তাপস) বা আমি-শাকিব অপরপ্রান্ত হয়ে কথা বলছি, সেটা তো ওই পচা আলুর জন্যই। যেহেতু ওই পচা আলু হাতে ধরে ফেলেছেন, গন্ধ তো ছড়াবেই।’
অপু শেষে বলেন, ‘আলুর গন্ধের জন্য আমার পরিবারটা নষ্ট হয়েছে। মন থেকে দোয়া করি আপনি ও ভাইয়া ভালো থাকেন। আপনারা ভালোভাবে চলেন। আপনারা ভালো-মন্দ যেটাই বলেন, পরিবার সবার আগে তারপর সবকিছু। আমার কাছেও আমার পরিবার আগে। তারপর সবকিছু। উপস্থাপকও হয়ত একটু বোকার মতো কাজ করেছেন। সে হয়ত চেয়েছেন আমাকে আপনাদের কাছে বাজেভাবে উপস্থাপন করতে। তাতে আমার সমস্যা নেই। আমার পরিবারের লোকজন জানেন আমি কেমন। সবশেষে বলব, হ্যাপি থাকুন। আর এই পচা আলুর গন্ধ যেন আর কোনো পরিবারকে নষ্ট করতে না পারে সেটা মাথায় রাখুন।’
আরও পড়ুন: অপু বিশ্বাসের মায়ের মত্যু
ভোলায় নির্বাচনী প্রচারণায় ফেরদৌস ও অপু বিশ্বাস
মোবারক হয়ে পর্দায় আসছেন মোশাররফ করিম
মোশাররফ করিম কে নিয়ে ‘মোবারকনামা’ নামে আরও একটি অনবদ্য ওয়েব সিরিজ আনতে যাচ্ছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচই।
গোলাম সোহরাব দোদুল পরিচালিত হইচই অরিজিনাল সিরিজ ‘মোবারকনামা’ ২১ ডিসেম্বর থেকে দেখা যাবে। সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে এর ট্রেলার।
‘মোবারকনামা’ নিয়ে মোশাররফ করিম বলেন, ‘পর্দায় এখন পর্যন্ত আমার অভিনীত প্রিয় চরিত্রগুলোর মধ্যে মোবারক চরিত্রটি অন্যতম। দর্শকদের ভালোবাসা, ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া ও প্রশংসা আমার এবং পুরো মোবারকনামা টিমের জন্য অনেক ভালোলাগার একটা বিষয়। দর্শকরা সাধারণত আমাকে যেভাবে দেখে অভ্যস্ত তার চেয়ে খুব আলাদা একটি চরিত্র এটি আর ট্রেইলারটি তার এক ঝলকমাত্র। যদিও মোবারকনামা স্ট্রিমিংয়ের আগে আমি খুব বেশি কিছু প্রকাশ করতে পারি না, তবে আমি এইটুকু বলতে পারি যে দর্শকরা মোবারোকের গল্পটি, যেভাবে উন্মোচিত হবে তা পছন্দ করবে এবং এমন চরিত্র ভবিষ্যতে আরও দেখতে চাইবে। আমরা সবসময় দর্শকের জন্য কাজ করে যাই, কাজটা তাদের ভালো লাগলেই কাজ করাটা সার্থক হয়।’
গোলাম সোহরাব দোদুল ‘মোবারক’র চরিত্রটি নিয়ে বলেন, ‘মোবারক একসময়ের অত্যন্ত সফল আইনজীবী যিনি অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে স্বেচ্ছায় অবসর নিয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা তাকে কাঁপিয়ে দেয়। ঘটনাটি তাকে এমনভাবে প্রভাবিত করে যে এই ধরনের মামলায় তার পরাজয় নিশ্চিত তা জেনেও তিনি আইনজীবী হয়ে আবারও আদালতে ফিরে আসেন।’