������������������
গহনায় ব্যবহৃত মূল্যবান কিছু রত্নপাথর
প্রকৃতির বুকে পরম মায়ায় লালিত ঝকঝকে ঐশ্বর্য্যগুলো দীর্ঘকাল ধরে বিমোহিত করেছে মানব মনকে। সেই সঙ্গে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে জীবনে রেখে গেছে বিলাসিতার পরশ। হীরার উজ্জ্বল মোহন থেকে শুরু করে নীলকান্তমণির রঙ গহনার মাধুর্যে এনেছে আভিজাত্যের ছোঁয়া। গহনায় ব্যবহৃত সেই মূল্যবান রত্নপাথরগুলো নিয়ে সাজানো হয়েছে আজকের নিবন্ধটি। চলুন, গহনা তৈরির শিল্পে যুগান্তকারী অবদান রাখা চিত্তাকর্ষক পাথরগুলোর ব্যাপারে জেনে নেয়া যাক।
যে বিষয়গুলো একটি পাথরকে মূল্যবান করতে পারে
রঙ
একটি রত্নপাথরের মান নির্ধারণের প্রাথমিক কারণগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে এর রঙ। রঙের আভা, কতটুকু গাড় অথবা হালকা, এবং রঙের স্পন্দন সামগ্রিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই রঙের উপর ভিত্তি করেই বিশেষ করে বিরল পাথরগুলোর চাহিদা এবং মূল্য আকাশচুম্বি হয়ে যায়।
স্বচ্ছতা
স্বচ্ছতা বলতে পাথরের মধ্যে অন্যান্য খনিজ উপাদান বা দাগের অনুপস্থিতিকে বোঝায়। অধিক স্বচ্ছ রত্নপাথরগুলো বিরল হয়ে থাকে। সেই সাথে এদের দামও হয়ে থাকে অবিঃশ্বাস্য। বিভিন্ন উপাদানের আধিক্য পাথরের সৌন্দর্য্য ও উজ্জ্বলতাকে প্রভাবিত করে। এর সঙ্গে সঙ্গে ওঠানামা করে এদের মূল্যমানও।
কাট
একটি রত্নপাথর কিভাবে কাটা হয়েছে তার উপর ভিত্তি করে পাথরটির উজ্জ্বলতাসহ সামগ্রিক চেহারা প্রভাবিত হয়। একটি ভালভাবে কাটা পাথর আলোকে এমনভাবে প্রতিফলিত করে, যে এর চকচকে ভাবটি বেড়ে যায়। আর এই প্রতিফলিত সৌন্দর্য্যের সঙ্গে মূল্যও উপরে উঠতে থাকে। বিভিন্ন ধরণের কাট, যেমন ফেসেড বা ক্যাবোচন, পাথরকে রীতিমত চিত্তাকর্ষক ও সংবেদনশীল করে তোলে।
আরও পড়ুন: যশোরে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৩ কোটি টাকার সোনার বার উদ্ধার
ক্যারেট ওজন
ক্যারেট ওজন রত্নপাথরের আকার-আকৃতি নির্ধারণের সাধারণ পরিমাপক। সাধারণত বড় আকারের রত্নপাথরগুলো বেশি মূল্যবান হয়ে থাকে। অবশ্য এর সঙ্গে সেগুলোর রঙ, স্বচ্ছতা এবং কাটাও সম্পৃক্ত। বিরল হলেও এরকম বড় ও উচ্চ গুণাগুন সম্পন্ন রত্নপাথরগুলো বিশ্বব্যাপি শৌখিন সংগ্রাহক ও উৎসুক ব্যক্তিরা হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়ান।
দুষ্প্রাপ্যতা
যে রত্নপাথরটি যত বেশি দুর্লভ, সেটি তত বেশি মূল্যবান। সীমিত পরিমাণে বা শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কিছু স্থানে পাওয়া যায় এমন রত্নপাথরগুলো তাদের অভাবের কারণে মূল্যমানের সর্বোচ্চ সীমা ছাড়াতে থাকে।
স্থায়িত্ব
যে রত্নপাথরগুলো দীর্ঘদিন যাবত অটুট অবস্থায় থাকে সেগুলো তুলনামুলক ভাবে নমনীয়গুলোর চেয়ে অধিক দামি। যে কোন প্রতিকুল পরিবেশে টিকতে পারা নীলকান্তমণি বা রুবির মতো পাথরগুলোর মূল্য ও চাহিদা উভয়ই বেশি। কেননা এগুলোর অতিরিক্ত যত্নের প্রয়োজন হয় না।
আরও পড়ুন: এই গরমে ট্যানিং এড়াতে কিছু টিপস
চাহিদা এবং গ্রহণযোগ্যতা
উপরোক্ত বিষয়গুলো রত্ন বাজারে একটি রত্নপাথরের জনপ্রিয়তা নিশ্চিত করে। এর সঙ্গে যুক্ত হয় ফ্যাশন প্রবণতা, সাংস্কৃতিক তাৎপর্য, এবং ঐতিহাসিক সমীক্ষা। সব মিলিয়ে ক্রেতাদের আবেগের বিষয়টি পাথরগুলোর ঊর্ধ্বগামী দামের পেছনে এক বিরাট প্রভাবক হিসেবে কাজ করে।
উৎপত্তি এবং পরিবর্ধন
উৎপত্তিস্থলটি একটি রত্ন পাথরে অতিরিক্ত মূল্য যোগ করতে পারে, বিশেষ করে জায়গাটি যদি বেশি সংখ্যক উচ্চ মানের পাথর উৎপাদন করে থাকে। উপরন্তু, কোন নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে (যেমন, গরম করা, ফিলিং) রত্ন উন্নত করা হলে পাথরের মান কমে যায়। অর্থাৎ পাথরটি যত বেশি অকৃত্রিম, তা তত বেশি মূল্যবান।
বিশ্বের অতি মূল্যবান রত্ন পাথরগুলো
হীরা
হীরা যুক্তিযুক্তভাবে পরিচিত সবচেয়ে বিখ্যাত এবং উচ্চ মূল্যের রত্নপাথর। এগুলো একটি স্ফটিক জালি কাঠামোতে সাজানো কার্বন পরমাণু দ্বারা গঠিত, যা এদের মন্ত্রমুগ্ধ উজ্জ্বলতা তৈরির জন্য দায়ী। প্রাথমিকভাবে হীরা বর্ণহীন হলেও এদের অভিনব রঙের সংস্করণের খ্যাতি আছে। যেমন লাল রঙের হীরা সবচেয়ে দামি।
আরও পড়ুন: স্বর্ণ বনাম হীরা: কোন বিনিয়োগটি বেশি লাভজনক?
এই গরমে ট্যানিং এড়াতে কিছু টিপস
গ্রীষ্ম; দীর্ঘ ছুটি, উদ্বেল সৈকত আর সোনালি রোদ গায়ে মাখার সময়। দারুণ এই সময়টার জন্য আমরা সকলেই অপেক্ষায় থাকি, তবে গ্রীষ্মের সবচেয়ে বড় ভীতি হলো সানট্যান।
চমৎকার এই ঋতুর পর দীর্ঘদিন পর্যন্ত আমাদের রোদেপোড়া ত্বক নিয়ে ভুগতে হয়। সেজন্য সূর্যের রশ্মি থেকে সুরক্ষা অপরিহার্য।
আর চিন্তা করবেন না, আমাদের কাছে সেরা কিছু টিপস আছে, যা দিয়ে আপনি এই গ্রীষ্মে ট্যানিং এড়াতে পারবেন:
পিক আওয়ারে সূর্য এড়িয়ে চলুন:
গ্রীষ্মে বাইরে যাওয়ার সেরা সময় হল সন্ধ্যা। সাধারণত সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৪টার মধ্যে সূর্য যখন সর্বোচ্চে তাপ ছড়ায়, তখন বাইরে না যাওয়ার চেষ্টা করুন। যদি যেতেই হয় যথাসম্ভব রোদ এড়িয়ে চলুন। এই সময়ে শরীরে ট্যানড হওয়ার এবং রোদে পোড়া হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। জ্বলন্ত সূর্যের তাপ থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য ছায়ায় থাকুন।
সানস্ক্রিন আবশ্যক:
বাইরে যাওয়ার সময় সবচেয়ে ভালো ও গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ হলো সানস্ক্রিন লাগানো। মেঘলা আবহাওয়া থাকলেও এসপিএফ ৫০+ সানস্ক্রিন লাগানোর চেষ্টা করুন এবং প্রতি দুই ঘন্টা পর পর পুনরায় লাগান।
যদি ৫০+ নাও হয়, তাহলে অন্তত এসপিএফ ৩০+ সানস্ক্রিন বেছে নিন। দিনের বেলা নিজেকে রক্ষা করার জন্য এসপিএফযুক্ত লোশন, লিপবাম ও আইক্রিম লাগাতে পারেন।
আরও পড়ুন: শীতে বাড়তি যত্ন: ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর উপায়
হাইড্রেটেড থাকুন:
হাইড্রেটেড থাকা ট্যানিংয়ের প্রভাব কমাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক পদ্ধতি। বাইরে চলাফেরা করার সময় আপনার শরীরকে হাইড্রেটেড রাখুন।
প্রতিদিন ১৫-২০ গ্লাস পানি পান করা ট্যানিং প্রতিরোধে সহায়তা করে। পানি আপনার ত্বককে শুষ্ক হতে বাধা দেয় এবং এটিকে স্বাস্থ্যকর ও উজ্জ্বল করে তোলে।
পারফিউম এড়িয়ে চলুন:
বাইরে থাকার সময় রোদে কড়া গন্ধের পারফিউম ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন। পারফিউম ত্বকে লাগালে এটি সূর্যের তাপে আরও কড়া হয় এবং ত্বক আরও ট্যান হয়ে যায়। এর বদলে প্রাকৃতিক বিকল্প যেমন- গোলাপ জল বা একটি ভাল রিফ্রেশিং ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন।
ছাতা, সানগ্লাস ও আচ্ছাদিত পোশাক:
সূর্যের আলোতে বের হওয়ার সময় ছাতা ও সানগ্লাস আবশ্যক।
হাতে ছাতা নিয়ে ইউভি -সুরক্ষিত সানগ্লাস দিয়ে চোখ ঢেকে রোদে বের হোন।
এছাড়াও, গা ঢেকে রাখে এমন পোশাক পড়ুন। হালকা রঙের পোশাক বেছে নিন।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার:
স্বাস্থ্যকর ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার উজ্জ্বল ও সতেজ ত্বকের জন্য সহায়ক।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার ত্বকের ভিতরে কোলাজেনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে, যা আপনার ট্যানিং কমাতে সাহায্য করে। এটি ত্বককে সুস্থ ও পুষ্ট রাখার সমৃদ্ধ উৎস, যা আপনাকে সুস্থ ত্বক অর্জনে সহায়তা করে।
টমেটো, বেরি, ব্রকলি ও অলিভ অয়েল ইত্যাদি সূর্যের ক্ষতি থেকে ত্বককে দারুণ সুরক্ষা দেয়।
আরও পড়ুন: ঘরোয়া উপায়ে ব্ল্যাকহেডস দূর করার উপায়
চুলের যত্নে তেলের বিকল্প নেই
পরিবেশবান্ধব লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ‘বর্ণন’ এর যাত্রা শুরু
বর্ণন একটি পরিবেশবান্ধব লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড। বর্ণনের পথচলা শুরু হয়েছে দেশীয় উপকরণ দিয়ে আরামদায়ক পরিবেশ উপযোগী ভিন্ন ধরনের পোশাক ও পণ্য নিয়ে।
সমসাময়িক আধুনিকতা ও ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিবেশবান্ধব পণ্যের কাঁচামাল ব্যবহারে বর্ণনের মনোযোগ থাকবে সবসময়।
আরও পড়ুন: চিপসের পরিবর্তে কিছু স্বাস্থ্যকর বিকল্প খাবার
বর্ণন লাইফস্টাইল লিমিটেডের ডিরেক্টর ও ডিজাইনার ফারজানা মঈন মিহান ইউএনবিকে বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য নতুনত্ব, পণ্যের স্থায়ীত্ব, শিল্পী ও শ্রমের যথাযথ মূল্যায়ন, উন্নত ও সৃজনশীল দিকনির্দেশনা ও ক্রেতাদের অনুপ্রেরনা।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্ণনের উদ্বোধনী মাসজুড়ে বিভিন্ন পণ্যে আকর্ষনীয় মূল্যছাড় রয়েছে সরাসরি আউটলেটের পাশাপাশি ই-কমার্স ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে।’
পরিবেশবান্ধব লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড বর্ণন-এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেছে ১৪ এপ্রিল (শুক্রবার) বনানীতে নিজস্ব অফিসে।
আরও পড়ুন: 'এসো হে বৈশাখ': বাংলা নববর্ষ-১৪৩০ স্বাগত জানাচ্ছে বাংলাদেশ
পার্বত্য চট্টগ্রামে বৈসাবি উৎসবের ২য় দিন, বাড়িতে বাড়িতে পাঁজনের সুঘ্রাণ
শীতে বাড়তি যত্ন: ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর উপায়
শীত এসে গেছে! যদিও শীতল বাতাস উৎসবের আমেজ নিয়ে আসে, তবে ঠাণ্ডায় ত্বক নিস্প্রাণ হয়ে যায়। কেউ কেউ অভিযোগ করেন শীতে তাদের ত্বকে কিছুটা কালো ছোঁপ পড়ে যায়।
তবে প্রত্যেকেই চায় সকল ঋতুতেই স্বাস্থ্যকর ও সুন্দর ত্বক পেতে। আর তাই শীতকালে ত্বকের বাড়তি যত্ন নেয়া প্রয়োজন।
শীতে অল্প কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেই ত্বক উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে এবং তারুণ্য বজায় রাখা সম্ভব হবে।
১.সঠিকভাবে আপনার ত্বক পরিষ্কার করুন ও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন
নারী-পুরুষ প্রত্যেকের জন্যই স্কিনকে পরিষ্কার করা নিঃসন্দেহে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। তবে, শীতের আসার সঙ্গে সঙ্গে ত্বক অত্যধিক শুষ্ক হয়ে যায়, তাই সবার আগে দরকার একটি ভালো মানের ক্লিনজার ব্যবহার করা। এরপর শীতকালে উজ্জ্বল ত্বক পেতে ময়েশ্চারাইজিং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
ময়েশ্চারাইজার আপনার ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি ত্বকের প্রাকৃতিক তেল ধরে রাখে। শীতকালে আমাদের ত্বক শুকিয়ে যায়, কারণ বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকে।
এই পরিস্থিতিতে আপনার ত্বককে ময়শ্চারাইজ করতে এবং বাড়তি ক্ষতি এড়াতে হাইড্রেটিং ক্লিনজার ব্যবহার করুন।
২. একটি ভারী ময়েশ্চারাইজার নির্বাচন করুন
ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে ত্বকের যত্নের পরিবর্তন বাধ্যতামূলক, কারণ আবহাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের আর্দ্রতার মাত্রা পরিবর্তিত হয়। কারণ আমরা যে বাতাসে শ্বাস নিচ্ছি এবং ত্বক শ্বাস নিচ্ছে; তার আর্দ্রতা পরিবর্তিত হয়। তাই গ্রীষ্মের ঋতুটিতে আমরা হালকা জেলভিত্তিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে থাকি, কিন্তু শীতকালে এমন একটি ময়েশ্চারাইজার বাছাই করা উচিৎ; যাতে ভিটামিন ই ও হায়ালুরোনিক অ্যাসিডের মতো উপাদানগুলো থাকে।
এছাড়া নারকেল তেল, ক্যাস্টর অয়েল, অলিভ অয়েল, বাটারমিল্ক ও শসার মতো প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার বেছে নিতে পারেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে এডেলউইসের পণ্যের সমাহার নিয়ে এলো দ্য বডি শপ
লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ক্যাটস আইয়ের সঙ্গে টুর্যাগ অ্যাক্টিভের অংশীদারিত্ব
ফিটনেস, ফ্যাশন ও ফ্যাব্রিকেশনের জগতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের সমন্বয় ঘটিয়েছে ওয়েভ রাইডার্স লিমিটেডের ব্র্যান্ড টুর্যাগ অ্যাক্টিভ।
সম্প্রতি, ব্র্যান্ডটি ক্যাটস আইয়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।
ওয়েভ রাইডার্সের প্রধান কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
চুক্তি অনুযায়ী, এখন থেকে ক্যাটস আইয়ের সবগুলো আউটলেটে সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যাবে টুর্যাগ অ্যাক্টিভওয়্যারের বিস্তৃত পণ্যের সমাহার।
আরও পড়ুন: দেশের বাজারে ঊর্মি গ্রুপের নতুন পণ্য ‘টুর্যাগ অ্যাক্টিভ’
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে দু’পক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন: টুর্যাগ অ্যাক্টিভ প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ফাইয়াজ রহমান এবং ক্যাটস আইয়ের পরিচালক সাদিক কুদ্দুস।
চুক্তি অনুযায়ী, এলিফ্যান্ট রোড, বসুন্ধরা সিটি, গোল্ডেন এইজ (গুলশান), আরএকে টাওয়ার (উত্তরা), আফমি প্লাজা (চট্টগ্রাম), যমুনা ফিউচার পার্ক, মিরপুর ১০ এবং বাণিজ্য ভবন শপিং কমপ্লেক্সে অবস্থিত ক্যাটস আইয়ের আউটগুলোতে টুর্যাগ অ্যাক্টিভ মেন’স কালেকশন-গো ইজি, পারফর্মার ও ইনটেন্স এবং উইমেন’স কালেকশন ভাইটালিটি, অপ্টিমাম, ফ্রিমুভ ও ফ্লেক্স৩৬০ পাওয়া যাচ্ছে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ক্যাটস আইয়ের পরিচালক সাদিক কুদ্দুস বলেন, ‘টুর্যাগ অ্যাক্টিভ সঙ্গে আমাদের অংশীদারিত্বের ব্যাপারে জানাতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। টুর্যাগের সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নতমানের অ্যাথলেটিক পোশাকের বিস্তৃত পরিসরের পণ্য রয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা যে ক্যাটস আই ও টুর্যাগের এই যাত্রা সফলতা অর্জন করবে।’
এ বিষয়ে টুর্যাগ অ্যাক্টিভ প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ফাইয়াজ রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ফ্যাশন ক্লথিং ব্র্যান্ড ক্যাটস আইয়ের সঙ্গে চুক্তি করা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের। সাম্প্রতিক সময়ে মানুষ পোশাকের মাধ্যমে এমন স্টাইল করতে চাচ্ছে, যা একইসঙ্গে তাদের অ্যাক্টিভ হওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে, স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক হবে, পাশাপাশি ফ্যাশনেবলও হবে। অ্যাক্টিভওয়্যার এখন শুধুমাত্র লাইফস্টাইল চয়েজই নয়, এটি বৈশ্বিক ফ্যাশনে প্রভাব বিস্তারকারী ভূমিকা রাখছে। আমাদের প্রত্যাশা, টুর্যাগ অ্যাক্টিভ ও ক্যাটস আইয়ের এ অংশীদারিত্ব আরও শক্তিশালী হবে এবং দেশের ফ্যাশন সচেতন মানুষদের কাছে পৌঁছে যাবে আমাদের পোশাক।’
পারফরমেন্স বৃদ্ধি করবে, স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক ও ফ্যাশনেবল পোশাক তৈরির মাধ্যমে অ্যাথলেইজার ও লাইফস্টাইল খাতকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে প্রত্যাশী টুর্যাগ অ্যাক্টিভ।
এর ধারাবাহিকতায়, দেশের ফ্যাশন সচেতন মানুষের কাছে বিস্তৃত পণ্যের সমাহার পৌঁছে দেয়ার নিরলস চেষ্টার অংশ হিসেবে ক্যাটস আইয়ের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করলো ব্র্যান্ডটি।
আরও পড়ুন: প্যাকেটজাত আলুর চিপস কেন শরীরের জন্য ক্ষতিকর?
আন্তর্জাতিক নারী উদ্যোক্তা সম্মেলন ২০২২: ‘হেলথ ও ওয়েলনেস’ সেশনে গুরুত্ব পেয়েছে মানসিক স্বাস্থ্য
বাংলাদেশে এডেলউইসের পণ্যের সমাহার নিয়ে এলো দ্য বডি শপ
বিশ্বজুড়ে সমাদৃত ব্রিটিশ কসমেটিক ব্র্যান্ড দ্য বডি শপ বাংলাদেশি ক্রেতাদের জন্য নিয়ে এসেছে এডেলউইসের পণ্যের বিস্তৃত সমাহার। প্রত্যেকদিনের দূষণ ও ধুলা থেকে ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে সুরক্ষিত রাখতে নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ডটির বিশাল পণ্য সমাহারে যুক্ত হয়েছে নতুন কিছু পণ্য। অথেনটিক এডেলউইস স্কিনকেয়ারের বিভিন্ন পণ্য এখন থেকে পাওয়া যাবে দ্য বডি শপের তিনটি স্টোরে।
ত্বকের মলিনতা ও শুষ্ক ভাবের মতো সমস্যাগুলোর ৮০ ভাগই দূষণ ও ধুলার মতো পরিবেশগত বিষয়গুলো কারণে সৃষ্টি হয়। এসব প্রাকৃতিক কারণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে দ্য বডি শপ নিয়ে এসেছে এডেলউইস ফুল থেকে প্রাপ্ত শক্তিশালী ও প্রাকৃতিক অ্যান্টি-এইজিং উপাদান সমৃদ্ধ পণ্য। এডেলউইস পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে-এডেলউইস ডেইলি সেরাম কনসেনট্রেট, এডেলউইস আই সেরাম কনসেনট্রেট, এডেলউইস লিকুইড পিল, এডেলউইস বাউন্সি স্লিপিং মাস্ক, এডেলউইস বাউন্সি আই মাস্ক, এডেলউইস বাউন্সি জেলি মিস্ট, ইনটেন্স স্মুথিং ক্রিম ও এডেলউইস সেরাম কনসেনট্রেট শিট মাস্ক। এছাড়া, নতুন করে যুক্ত হয়েছে – এডেলউইস কনসেনট্রেট ও দ্য এডেলউইস ইনটেন্স স্মুথিং ক্রিম।
আরও পড়ুন: প্যারিস ফ্যাশন উইক: বেলা হাদিদের শরীরে জাদুকরী 'স্প্রে প্রিন্টেড' পোশাক
সুইস আল্পসের রুক্ষ আবহাওয়ায় বেড়ে ওঠা এডেলউইস আকারে ছোট ফুল হলেও নানান গুণে সমৃদ্ধ। লিওনটোপোডিক অ্যাসিড সহ প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদানের কারণে ফুলটি নিজেই নিজের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে। রুক্ষ আবহাওয়ায় জন্মানোর কারণে এই ফুলে তৈরি হয় লিওনটোপোডিক অ্যাসিড। এডেলউইস ফুলের প্রাকৃতিক এই উপাদান ত্বকের সৌন্দর্য বজায় রাখার পাশাপাশি ত্বকের স্বাস্থ্যসুরক্ষায়ও কাজ করে, যা বয়স নির্বিশেষে সবার জন্য নিখুঁত ও প্রাণবন্ত ত্বক নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। দ্য বডি শপের প্রতিশ্রুতি হচ্ছে প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গাছপালা থেকে প্রাপ্ত নির্যাস মানুষের মাঝে পৌঁছে দেয়া। এই প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শুধুমাত্র বিশ্বস্ত সরবরাহকারীদের কাছ থেকে এডেলউইস ফুল সংগ্রহ করে থাকে দ্য বডি শপ।
এছাড়া, আলপাইন অঞ্চলের জীববৈচিত্র যেন হুমকির মুখে না পড়ে এজন্য কিছু নির্দিষ্ট এলাকায় সাবধানতার সঙ্গে এ ফুল চাষ এবং সংগ্রহ করা হয়।
যমুনা ফিউচার পার্ক, বসুন্ধরা সিটি কমপ্লেক্স ও গুলশান ইউনিমার্টে দ্য বডি শপের তিনটি ফ্ল্যাগশিপ রিটেইল স্টোর রয়েছে, যেখানে ইতোমধ্যে এই পণ্যগুলো পাওয়া যাচ্ছে। এডেলউইস পণ্যের পাশাপাশি স্টোরগুলোতে রয়েছে স্কিনকেয়ার, বাথ অ্যান্ড বডি, কসমেটিকস, হেয়ার, ফ্রেগরেন্স, গিফট ও এক্সেসরিজ সহ বিস্তৃত পরিসরের পণ্যসামগ্রী।
আরও পড়ুন: হাই হিল কিভাবে পুরুষের পা থেকে নারীর পায়ে এলো?
নিউইয়র্ক সিটি ফ্যাশন উইকে ট্রান্স মডেল হিসেবে বাংলাদেশের তাসনুভা আনান শিশির
প্যারিস ফ্যাশন উইক: বেলা হাদিদের শরীরে জাদুকরী 'স্প্রে প্রিন্টেড' পোশাক
‘গোল্ডেন রেশিও অব বিউটিফাই স্ট্যান্ডার্ডস’ অনুযায়ী নিখুঁত মুখমণ্ডলের অধিকারী আমেরিকান মডেল বেলা হাদিদ বর্তমানে নেট দুনিয়াকে মাতিয়ে রেখেছেন। স্প্রে’র মাধ্যমে যে পরিধেয় বস্ত্র তৈরি করা যায় তা প্যারিসের এক ফ্যাশন অনুষ্ঠানে এই সুপারমডেলের শরীরে প্রয়োগ করে দেখানো হয়েছে। আর এর ভিডিও সামাজিকমাধ্যমসহ ইন্টারনেটে শেয়ার হচ্ছে খুব।
প্যারিসে অনুষ্ঠিত কোপার্নি ফ্যাশন শো’র প্যারিস ফ্যাশন সপ্তাহে শুক্রবার বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়।
এনবিসি নিউইয়র্ক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বেলা যখন অনুষ্ঠানের মঞ্চে আসেন তখন তিনজন প্রযুক্তিগত সহকারী তার শরীরে সাদা রঙের রাবারের আঠালো পদার্থ (ল্যাটেক্স) স্প্রে করতে শুরু করেন। তিনি শরীর নাচিয়ে উপস্থাপনায় অংশ নেন এবং তিনজন সহকারী স্প্রে করতে থাকেন।
বেলা তার দুই বাহু প্রসারিত করলে শরীরে যখন এক প্রলেপ ল্যাটেক্স স্প্রে করা হয়ে যায় তখন মাঝারি আকারের পোশাক দেখতে পারে দর্শকরা।
আরও পড়ুন: হাই হিল কিভাবে পুরুষের পা থেকে নারীর পায়ে এলো?
ফ্যাব্রিকান হচ্ছে 'স্প্রে প্রিন্টেড' ফ্যাব্রিক, যা ২০০৩ সালে তৈরি করা হয়। যা নানা পোশাক তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয়। এর উদ্ভাবক ম্যানেল টরেস মনে করেছিলেন এর মাধ্যমে জাদুর মতো শরীরে পোশাক তৈরি হয়ে যাবে এবং শরীরের ‘দ্বিতীয়’ চামড়া হিসেবে লেগে থাকবে।
এনবিসি নিউইয়র্কের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টিকটকে ভিডিওটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে পুরুষদের পোশাকের সেরা ব্র্যান্ডসমূহ
নিউইয়র্ক সিটি ফ্যাশন উইকে ট্রান্স মডেল হিসেবে বাংলাদেশের তাসনুভা আনান শিশির
হাই হিল কিভাবে পুরুষের পা থেকে নারীর পায়ে এলো?
বেশ চমকে যাওয়ার মতো হলেও ব্যাপারটি আসলেই সত্যি! বর্তমানে নারীদের ফ্যাশনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হলেও প্রথম দিকে হাই হিল জুতা তৈরি করা হতো পুরুষদের পরার জন্য। নানান সুবিধা-অসুবিধার ঊর্ধ্বে প্রয়োজনীয়তাই উদ্ভব ঘটিয়েছিলো হাই হিল ফ্যাশনের। সময়ের বিবর্তনে পা বদলের পাশাপাশি বদলেছে হাই হিল ব্যবহারের জায়গা ও উপাদান। কিন্তু সর্বক্ষেত্রেই একটি দরকারি টুল্স হিসেবে নারী-পুরুষ উভয়েরই পায়ের পরিধেয়ের স্বতন্ত্র সংযোজন ছিলো হাই হিল। চলুন, পুরুষের পা থেকে নারীর পায়ে হাই হিলের এই স্থানান্তরের ঘটনাটি জেনে নেয়া যাক।
হাই হিল ফ্যাশনের গোড়াপত্তন
ইতিহাসের সর্বপ্রথম দশ শতকের প্রাচীন ইরান বা পারস্যের অশ্বারোহী সৈন্যরা হাই হিল জুতা পরতো। ঘোড়াতে চড়ার সময় ভূমি থেকে পা কে উঁচু রাখার জন্য তারা এ ধরনের বিশেষ জুতাটি ব্যবহার করতো। এছাড়া এটি তাদেরকে ছুটন্ত ঘোড়ায় চড়া অবস্থায় তীর-ধনুক ও গুলি চালানোর সময় জুতার ভেতর তাদের পা কে ধরে রাখতো। ফলশ্রুতিতে সে সময়কার পারস্যের সাধারণ অশ্বারোহীরাও এক ইঞ্চি হাই হিল জুতা পরা শুরু করে।
আরও পড়ুন: নিউইয়র্ক সিটি ফ্যাশন উইকে ট্রান্স মডেল হিসেবে বাংলাদেশের তাসনুভা আনান শিশির
ইতিহাস জুড়ে পুরুষের হাই হিল চর্চা
শিল্প যুগের আগের সময়ে একটি ঘোড়ার মালিক হওয়া ঐশ্বর্য্যের পরিচয় ধারণ করতো, কারণ ঘোড়ার দেখাশোনা বেশ ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ। এর ফলে হাই হিল পরিধানকারীর ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখতো।
১১ শতকের গোড়ার দিকে হাই হিল পরার জন্য স্বনামধন্য ছিলেন গ্রেট স্কিজমের পোপগণ, যারা লাল রঙের হাই হিল জুতা পরতেন।
পারস্য সৈন্য ও অভিবাসীরা হাই হিল জুতার চর্চাকে ইউরোপে নিয়ে আসে, যা পরবর্তীতে হাই হিল ফ্যাশনের জন্ম দিয়েছিলো। ইউরোপীয় অভিজাত ব্যক্তিরা নিজেদের লম্বা দেখানোর জন্য একটি শক্তিশালী সামরিক কৌশল হিসেবে এই নতুন ধারাটিকে ব্যবহার করতে শুরু করে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে পুরুষদের পোশাকের সেরা ব্র্যান্ডসমূহ
ফরাসি রাজা চতুর্দশ লুই হাই হিলের রাজা হিসেবে বিখ্যাত ছিলেন। তাঁর শাসনামলে মনে করা হতো- যে হিল যত উঁচু ও লাল হবে, পরিধানকারী তত বেশি শক্তিশালী হবে। তিনি ১৬৭০ সালে একটি আইন পাস করেন যে, শুধুমাত্র উচ্চবিত্তরা হাই হিল জুতা পরতে পারবে। রাজা নিজে লাল রঙের হিল বা সোলের জুতা পরার পাশাপাশি তাঁর দরবারের লোকদেরও লাল হিল পরার অনুমতি দিতেন। তাঁর এই দৃষ্টিভঙ্গিতে অনুপ্রাণিত হয়েই ৯০ দশকে জুতার ডিজাইনার ক্রিশ্চিয়ান লুবউটিন বিশ্ব জোড়া খ্যাতি পেয়েছেন।
১৭ শতকে ম্যাসাচুসেটসে একটি অদ্ভূত আইন প্রবর্তন হয়। যে মহিলারা হাই হিল জুতা ব্যবহারের মাধ্যমে পুরুষদের প্রলুব্ধ করবে, তাদেরকে ডাইনি হিসেবে আখ্যায়িত করা হবে।
১৮ শতকে ইউরোপ জুড়ে রেনেসাঁ এবং ইনলাইটেনমেন্ট বিপ্লব শুরু হওয়ার সাথে সাথে পুরুষদের হিল পরার প্রবণতা কমে যেতে শুরু করে। শুধুমাত্র সামাজিক অবস্থা প্রদর্শনের জন্য হাই হিল পরা এ সময় অযৌক্তিক হিসেবে গণ্য হয়েছিলো। ১৭৪০ সালের মধ্যে পুরুষরা হাই হিল জুতা পরা বন্ধ করে দেয়।
আরও পড়ুন: মাইকেল শিরোনামে নির্মিত হবে ‘কিং অফ পপ’ মাইকেল জ্যাকসনের বায়োপিক
নারীর পায়ে হাই হিল
নারীর পায়ে হাই হিলের সবচেয়ে পুরাতন দৃষ্টান্ত পাওয়া যায় ১২ শতকে ভারতের রামাপ্পা মন্দিরে একজন ভারতীয় নারীর ভাস্কর্যতে।
১৪০০-এর দশকে ইউরোপের মহিলারা বিশেষ করে স্পেন ও ভেনিসে উচু প্ল্যাটফর্ম যুক্ত এক বিশেষ ধরনের জুতা পরতেন যাকে চপইন বলা হতো। এগুলো মূলত এক ধরনের খড়ম, যা পা কে রাস্তায় জমে থাকা নোংরা ও আবর্জনা থেকে বের করে আনার জন্য সাধারণ জুতার উপরে পরা হত।
ফরাসী রানী ক্যাথরিন ডি মেডিসি প্রথম নারী যিনি হাই হিল পরতেন। সময়টি ছিলো ১৫০০ দশকের মাঝামাঝি পর্যায়। এর আগ পর্যন্ত মহিলারা শুধুমাত্র চপইন পরতেন।
১৮ শতকে প্রথমবারের মত সাধারণ মহিলারা হাই হিল ফ্যাশন চর্চা করতে শুরু করে।
আরও পড়ুন: গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’ ইতিহাসের এক অসাধারণ দলিল: জাফর ইকবাল
নিউইয়র্ক সিটি ফ্যাশন উইকে ট্রান্স মডেল হিসেবে বাংলাদেশের তাসনুভা আনান শিশির
বাংলাদেশের প্রথম ট্রান্সজেন্ডার সংবাদ পাঠিকা তাসনুভা আনান শিশির এবার ট্রান্স মডেল হিসেবে হেঁটে গেলেন নিউইয়র্ক সিটি ফ্যাশন উইকের র্যাম্প ধরে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত এই শো’টিতে অংশগ্রহণের সৌভাগ্য অর্জন করেন তাসনুভা। তার ক্যারিয়ারের অগ্রগতিটা আর দশটা সফল মানুষের মত নয়। শত শত উপহাসের সয়লাবের পর প্রথম নিউজ রুমের চেয়ারে বসাটা ছিলো স্বপ্নের মত। আর আমেরিকার মত একটি দেশ থেকে এত বড় একটি প্রাপ্তি মহিমান্বিত করেছে তাসনুভা আনানের অস্তিত্বকে। চলুন, তার এই অসামান্য প্রাপ্তির পাশাপাশি জেনে নেই তার জীবনের গল্প।
একজন তাসনুভা আনান শিশির-এর গল্প
১৯৯১ সালের ১৬ জুন; খুলনার বাগেরহাটে জন্ম নেয়া শিশুটির নাম রাখা হয় কামাল হোসেন। উচ্চ-মাধ্যমিকের গন্ডি পেরোনোর আগেই কামাল নিজের চলাফেরা ও বেশভূষার পুরোটা জুড়ে নারীত্বের উপস্থিতি টের পেতে শুরু করেন। এ নিয়ে আশেপাশে অনেক কথাবার্তাও রটতে থাকে। এক সময় বাবা-মার সম্মানের কথা ভেবে ঘর ছাড়তে হয় কামাল হোসেনকে।
বাগেরহাট থেকে নারায়ণগঞ্জে এসে সেখানকার সরকারি তোলারাম কলেজে সমাজকর্ম নিয়ে পড়াশোনা করেন। সেখান থেকে অনার্স ও মাস্টার্স-এর পর ব্র্যাক জেমস পি গ্রান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথ থেকে জনস্বাস্থ্য বিষয়ের উপর এক বছরের আরও একটি মাস্টার্স ডিগ্রী লাভ করেন। এই পুরো সময়টাতে নারী বেশে নিজেকে সমাজের সামনে মেলে ধরেছেন কামাল হোসেন। অতঃপর ২০১৬ সালের শেষের দিকে চূড়ান্তভাবে মনস্থির করে ফেলেন। কলকাতায় চিকিৎসকের পরামর্শে শারীরিকভাবে কামাল হোসেন থেকে পরিণত হন তাসনুভা আনান শিশিরে।
আরও পড়ুন: টাইম ম্যাগাজিনের বর্ষসেরা ছবিতে তাসনুভা আনান শিশির
এরপর ক্যারিয়ার নিয়ে সংগ্রাম মুখর জীবনের এক পর্যায়ে পরিচয় হয় প্রখ্যাত নাট্য পরিচালিকা চয়নিকা চৌধুরীর সাথে। আর এই পরিচয়ের রেশ ধরেই তার সুযোগ মেলে বৈশাখী টিভি'র নিউজ রুমে প্রবেশের।
নিউইয়র্ক সিটি ফ্যাশন উইকে তাসনুভা আনান শিশির
সেরা বাংলাদেশি সংবাদ উপস্থাপিকার পুরস্কার নিতে তাসনুভা উত্তর আমেরিকায় পাড়ি জমিয়েছিলেন শো টাইম মিউজিকের আমন্ত্রণে। তখনি খবর পান নিউইয়র্ক সিটি ফ্যাশন উইকের। প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি ও সেপ্টেম্বর মাসে নিউ ইয়র্ক সিটির ম্যানহাটন শহরে বসে এই আন্তর্জাতিক আসর।
বিশ্বনন্দিত ইভেন্টটির স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার ওমর চৌধুরী এবং ফোর এএম টিভি ইউএসএ-এর নির্বাহী প্রযোজক আরিফুল ইসলাম তাসনুভা আনানকে আমন্ত্রণ জানান অতিথি হিসেবে র্যাম্পে অংশ নেয়ার জন্য। আমেরিকায় শিশিরের ওয়ার্ক-পারমিট না থাকায় তাকে অতিথি হিসেবে পারফর্ম করার আমন্ত্রণ জানানো হয়।
আরও পড়ুন: সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর: ভারতীয় সংগীতের জগতে অবিস্মরণীয় উজ্জ্বল নক্ষত্র
তজ, ফোর এএম টিভি ইউএসএ ফ্যাশন এবং মিউজিকপেস আয়োজিত ‘প্লিৎজ নিউইয়র্ক সিটি ফ্যাশন উইক’ শিরোনামের আয়োজনটির প্রযোজনায় ছিলো প্লিৎজ্স্ ফ্যাশন মার্কেটিং। বিভিন্ন দেশের মডেলদের সঙ্গে সেখানে প্রথম বাংলাদেশি ট্রান্স মডেল হিসেবে অংশ নেন তাসনুভা আনান শিশির।
তার পরনে ছিলো বিখ্যাত পোশাক ডিজাইনার অস্কার গঞ্জালেজ মন্টানিজ-এর ডিজাইনকৃত পোশাক।
ভালোবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে পোশাকের থিম নির্ধারণ করা হয়েছিলো। রঙের ক্ষেত্রে বাছাই করা হয়েছে সাদা, কালো আর লাল রঙকে। ইভেন্টের দিনে তাসনুভা পড়েছিলেন দুটি পোশাক; একটা গাউন আরেকটা শীতকালের হুডি।
আরও পড়ুন: রাজু ভাস্কর্যের সামনে নৃত্যরত ইরা: সপ্রতিভ উত্থানে এক বাংলাদেশি ব্যালেরিনা
স্টেরিওটাইপ সমাজের শিকল ভাঙার আদর্শ তাসনুভা শিশির
ট্রান্স নারীতে রূপান্তরের পর জীবনটা আরও বেশি সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছিলো তাসনুভার জন্য। কৈশোরে ছেলেদের মতো চলাফেরা করে টিউশনি ও নৃত্য সহ অন্যান্য কাজ চালিয়ে নেয়া যেতো। কিন্তু এখন আর সে সুবিধা নেই। কিছুদিন ভয়েস আর্টিস্ট হিসেবেও কাজ করেছিলেন। এবার সেটিও বন্ধ হয়ে যায়। এক সময় এমন হয় যে, কোন প্রোগ্রাম থেকেই আর ডাক পাওয়া যাচ্ছে না।
এরপরেও তীব্র পরিশ্রম আর অধ্যবসায়-এ নতুন সূর্যোদয় ঘটে তাসনুভার জীবনে। দেখা না হলেও অসুস্থ বাবা-মার ভরণপোষন করছেন তাসনুভাই। অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা বাড়িতে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা তুলে দিলেও আশেপাশের মানুষের কটুকথার ভয়ে এখনও তিনি বাড়িমুখী হন না।
তার অন্য চার বোন আর এক ভাইয়ের সাথে ঠিকমত কথা হয় না। বোনেরা সবাই সংসার-বাচ্চা নিয়ে ব্যস্ত। তাদের সঙ্গে বছরে দুয়েক মিনিট কথা হলেও এড়িয়ে যেতে হয় পরস্পরের ঠিকানা ভাগ করে নেয়ার ব্যাপারটা।
আরও পড়ুন: বাঁধাধরা নিয়ম ভেঙে নতুন উচ্চতায় তাসনুভা আনান শিশির
ছেলেবেলায় বন্ধ হয়ে যাওয়া নৃত্য চর্চা এখন আবার শুরু করেছেন। অভিনয় করেছেন ‘কসাই’ নামক একটি সিনেমায়। বিভিন্ন স্বনামধন্য ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করছেন। নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে ক্রমাগত এগিয়ে যাচ্ছেন সকল প্রতিবন্ধকতাকে ডিঙিয়ে সময়কে জয় করার লক্ষ্যে।
এখন তাসনুভা আনান শিশির-এর দেখানো পথ ধরে ভাগ্য ফিরছে আরও ট্রান্সজেন্ডারদের। নতুন করে জীবন নিয়ে ভাবতে শুরু করেছেন যুগ যুগ ধরে হাজারো অবজ্ঞায় অবদমিত হয়ে থাকা মানুষগুলো। তাসনুভার এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি শুধু এই নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের জন্যই আশার আলো দেখাচ্ছে না, গোটা দেশের জন্য এক বিপুল অর্জন হিসেবে প্রতীয়মান হচ্ছে। সেই নিরিখে যে যুগান্তকারি বিষয়টি উঠে আসে, তা হলো- শ্রেণী, ধর্ম, বর্ণ, ও গোষ্ঠী কোন মানুষের পরিচয় ও সম্মানের নির্ণায়ক হতে পারে না।
আরও পড়ুন: ‘মাসুদ রানা’র লেখক-প্রকাশক কাজী আনোয়ার হোসেন আর নেই
পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে শেষ হলো প্রথম বাংলাদেশ কউচার উইক
দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ কউচার উইক ২০২১। শনিবার বাংলাদেশের ফ্যাশন ডিজাইন কাউন্সিলের (এফডিসিবি) আয়োজনে গুলশানের এজ গ্যালারিতে জাকজমকপূর্ণ বিশেষ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে কউচার উইক। অনুষ্ঠানে সম্মান জানানো হয়েছে বিখ্যাত বাংলাদেশি স্টাইল ও ফ্যাশন আইকনদের।
অনুষ্ঠানে স্টাইল হল অব ফেম পুরস্কার পেয়েছেন প্রখ্যাত অভিনেত্রী শম্পা রেজা। জনপ্রিয় গায়ক-অভিনেতা-সংগীতশিল্পী তাহসান খান ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান পেয়েছেন স্টাইল গেম চেঞ্জার পুরস্কার।
অনুষ্ঠানে মোস্ট স্টাইলিশ পার্সোনালিটির পুরস্কার পেয়েছেন বিউটি আইকন ফারজানা শাকিল; প্রখ্যাত গায়িকা, চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ও লেজার ট্রিটমেন্টের পথপ্রদর্শক ডা. ঝুমু খান এবং গুলশান সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার শুক্লা সারওয়াত সিরাজ।
আরও পড়ুন: সেরাস্পেস: বাংলাদেশের প্রথম অনলাইন ইনটেরিয়র ডিজাইন প্লাটফর্ম
তরুণ হার্টথ্রব অভিনেতা সিয়াম আহমেদ, 'রেহানা মরিয়ম নূর' খ্যাত অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন এবং মডেল, টেলিভিশন উপস্থাপক ও ফ্যাশন কোরিওগ্রাফার আজরা মাহমুদ স্টাইল ট্রেলব্লেজার পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়া স্টাইল ইনোভেটর অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন গায়িকা মেহরীন মাহমুদ এবং জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী জেফার রহমান মোস্ট স্টাইলিশ মিউজিক স্টার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন।