সিলেট
সুনামগঞ্জে ১২টি ভারতীয় গরু জব্দ করেছে বিজিবি
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বাঁশতলা সীমান্ত এলাকা থেকে ১২টি ভারতীয় গরু জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। গরুগুলোর আনুমানিক মূল্য ১১ লাখ ২০ হাজার টাকা।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) ভোরে সুনামগঞ্জ ২৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদস্যরা বাঁশতলা বিওপি এলাকায় দক্ষিণ কলোনি থেকে গরুগুলো জব্দ করে।
বিজিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বাঁশতলা সীমান্তে বিজিবির সুনামগঞ্জ ২৮-ব্যাটালিয়নের অভিযানে চোরাচালানের ভারতীয় অবৈধ ১২টি গরু জব্দ করা হয়েছে। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারীরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। জব্দের ১২টি ভারতীয় গরুর আনুমানিক মূল্য ১১ লাখ ২০ হাজার টাকা।
২৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ কে এম জাকারিয়া কাদির বলেন, ‘বাঁশতলা সীমান্ত এলাকা থেকে ১২টি ভারতীয় গরু জব্দ করা হয়েছে। গরুগুলো সুনামগঞ্জ শুল্ক কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে।
১২৫ দিন আগে
মরদেহ নিয়ে মায়ের মহাসড়ক অবরোধ: সেই ছেলে জীবিত উদ্ধার
সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলায় নিখোঁজের পর লাশ শনাক্ত করে দাফন করা হলেও ১৭ দিন পর রবিউল ইসলাম নাইম (১৪) নামের ওই কিশোরকে জীবিত উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।
নাইম ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজার এলাকার গদিয়াচর গ্রামের কনাই মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, নাইম ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজার-সংলগ্ন ব্রাহ্মণগ্রাম সুপ্রিম ফিলিং স্টেশন মার্কেটের বগুড়া রেস্টুরেন্টের কর্মচারী ছিল। গত ২৬ জুলাই ওই রেস্তোরাঁ থেকে নিখোঁজ হয় সে। এরপর গত ৩ আগস্ট মৌলভীবাজারের কুলাউড়া রেলস্টেশনের পাশের একটি ডোবা থেকে এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। খবর পেয়ে রবিউলের পরিবার লাশটি তাদের ছেলের বলে শনাক্ত করে এবং পরবর্তীতে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার লাশ দাফন করা হয়।
সে সময় রবিউলের পরিবারের অভিযোগ ছিল, বগুড়া রেস্টুরেন্টের মালিক বুলবুল মিয়া তাদের ছেলে রবিউলকে হত্যা করে কুলাউড়ায় লাশ ফেলে রেখেছেন।
লাশ উদ্ধারের পর ওসমানীনগর ও কুলাউড়া থানায় মামলা করতে চাইলে প্রথমে দুটি থানাই গড়িমসি করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ৬ আগস্ট লাশ নিয়ে রবিউলের মা ও স্বজনরা সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেন। কিন্তু লাশ দাফন করা হলেও গেল শুক্রবার (২২ আগস্ট) সৈয়দপুর এলাকায় রবিউলকে জীবিত অবস্থায় পাওয়া যায়। অর্থাৎ, নিখোঁজের ১৭ দিন পর রবিউলকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, সৈয়দপুর এলাকায় রবিউলের নানার বাড়ি। রবিউল তার নানার বাড়িতে আত্মগোপনে ছিল। শুক্রবার হঠাৎ তার পরিবারের লোকজনই তাকে খুঁজে পেয়ে কুলাউড়া থানাপুলিশকে খবর দিলে পুলিশ রবিউলকে হেফাজতে নিয়ে শনিবার মৌলভীবাজার আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য পাঠায়। ঠিক কি কারণে সে আত্মগোপনে ছিল, তা সে আদালতের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে জানিয়েছে।
পুলিশের ধারণা, রেস্তোরাঁর মালিকের সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণে সে আত্মগোপনে ছিল।
আরও পড়ুন: সিলেটে ছেলের মরদেহ নিয়ে মহাসড়কে মায়ের বিচার দাবি
এদিকে, কুলাউড়া রেলস্টেশনের পাশের ডোবা থেকে যে কিশোরের লাশ উদ্ধার করে সেটি রবিউলের বলে করে দাফন করা হয়েছে, এখন পর্যন্ত ওই কিশোরের পরিবার বা অন্য কোনো পক্ষ থেকে খোঁজ নেওয়া হয়নি। তবে যদি কেউ ওই কিশোরের খোঁজ নিতে আসেন, কিংবা দাবি করেন, তাহলে আগের ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট ও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ এবং তার লাশ পরিবারের হেফাজতে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর ফারুক কওমি বলেছেন, রবিউলের পরিবার থেকে যে মামলাটি করা হয়েছে তা হয়তো নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। যেহেতু এটি হত্যা মামলা ছিল এবং এখন রবিউলকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে তাই মামলাটি শেষ হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আগের লাশ উদ্ধার ও দায়েরকৃত মামলার বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
১২৭ দিন আগে
হবিগঞ্জে সিএনজি ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ড, ১০টি গাড়ি পুড়ে ছাই
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় একটি সিএনজি ফিলিং স্টেশনে আগুন লেগে অন্তত নয়টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও একটি যাত্রীবাহী বাস পুড়ে গেছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঢাকা-হবিগঞ্জ মহাসড়কের পাশে অবস্থিত আউশকান্দি সিএনজি ফিলিং স্টেশনে বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সকাল ৬টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
হবিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান, সকালে একটি পুরনো যাত্রীবাহী বাস স্টেশন থেকে গ্যাস নিচ্ছিল। এ সময় হঠাৎ আগুন ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তেই তা আশপাশে থাকা গাড়িতে ছড়িয়ে যায়। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ, বাহুবল ও ওসমানীনগর ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: মহাখালীর সাততলা বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার মো. হাবিবুর রহমান জানান, আগুনে স্টেশনে অফিস ও শয়নকক্ষ, দাঁড়িয়ে থাকা বাস ও বিভিন্ন স্থাপনা পুড়ে যায়। তবে ফিলিং মেশিন অক্ষত রয়েছে।
এ সময় স্টেশনের স্টাফ রাসেল আহমদ(৩০) নামে এক যুবক গুরুতর আহত হন। তাকে সিলেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান হাবিবুর রহমান।
১৩০ দিন আগে
পাথর কাণ্ডে ওএসডি হওয়া ডিসি মাহবুব মুরাদ সিলেট ছেড়েছেন
সিলেটের পাথর লুট নিয়ে সমালোচনার মুখে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হওয়া সিলেটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) শের মাহবুব মুরাদ সিলেট ছেড়েছেন।
বুধবার(২০ আগস্ট) সকালে শের মাহুবব মুরাদকে তার কার্যালয়ে বিদায়ী সংবর্ধনা দেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সংবর্ধনা শেষে বেলা ১২টার কিছু পরে সরকারি গাড়িতে করে জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যান মাহবুব মুরাদ। এসময় তার গানম্যানও সঙ্গে ছিলেন।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নতুন নিয়োগ পাওয়া জেলা প্রশাসক মো. সারোয়ার আলম বৃহস্পতিবার যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। এর পূর্ব পর্যন্ত স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক সূবর্ণা সরকার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করবেন।
এর আগে গত সোমবার (১৮ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রজ্ঞাপনে মাহবুব মুরাদকে ওএসডি করা হয়।
শের মাহবুব মুরাদ গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর সিলেটের জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদান করেন। তার সময়েই সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ ও সাদাপাথরসহ বিভিন্ন কোয়ারি থেকে ব্যাপক বালু ও পাথর লুটের অভিযোগ রয়েছে।
সাদাপাথরে নজিরবিহীন পাথর লুট নিয়ে সম্প্রতি দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এরপর থেকেই পাথর লুটপাটে প্রশাসনের উদাসীনতা ও ব্যর্থতার বিষয়টি ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়।
গত রবিবার পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানও বলেন, পাথর লুটে স্থানীয় প্রশাসনের দায় রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পরিবেশ উপদেষ্টার এমন বক্তব্যের পরদিনই সিলেটের জেলা প্রশাসককে ওএসডি করা হয়।
এর আগে সাদা পাথর পরিদর্শনে গিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তারাও পাথর লুটে স্থানীয় প্রশাসনের ব্যর্থতা রয়েছে বলে জানান।
আরও পড়ুন: সাদা পাথর লুট: সিলেটের ডিসি ও কোম্পানীগঞ্জের ইউএনওকে বদলি
একই দিনে (১৮ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সিলেটরে জেলা প্রশাসক হিসেবে মো. সারোয়ার আলমকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখা থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রসঙ্গত, সারা দেশে ৫১টি কোয়ারি (পাথর ও বালু উত্তোলনের নির্দিষ্ট স্থান) আছে। এর মধ্যে সিলেটের কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুরে আছে আটটি পাথর কোয়ারি। এর বাইরে সিলেটে সাদাপাথর, জাফলং, বিছনাকান্দি, উৎমাছড়াসহ আরও ১০টি জায়গায় পাথর আছে। এসব জায়গা পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। সীমান্তের ওপারে ভারতের পাহাড়ি নদী থেকে এসব পাথর আসে। ২০২০ সালের আগে সংরক্ষিত এলাকা বাদে সিলেটের আটটি কোয়ারি ইজারা দিয়ে পাথর উত্তোলনের সুযোগ দেওয়া হতো। তবে পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতির কারণে ২০২০ সালের পর আর পাথর কোয়ারি ইজারা দেওয়া হয়নি।
সিলেটের ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক দলের নেতারা সব সময় পাথর উত্তোলনের পক্ষে জোরালো অবস্থান নেন। বিগত পাঁচ বছরে তারা নানাভাবে কোয়ারি ইজারা আবার চালুর চেষ্টা করেছেন, কিন্তু সরকার অনুমতি দেয়নি। এ অবস্থায় রাতের বেলা আড়ালে–আবডালে মানুষ অবৈধভাবে পাথর তুলতেন। গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর টানা এক বছর দেদার পাথর লুটপাট চলে।
১৩১ দিন আগে
সিলেটে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
সিলেটে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী আইএলটিএস পরীক্ষার্থী তাহমিদুর সোহাগ (২০) নিহত হয়েছেন।
বুধবার (২০ আগস্ট) ভোরে সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত সোহাগ জৈন্তাপুর উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নের পশ্চিম ঠাকুরের মাটি এলাকার আফতাব উদ্দিনের ছেলে। তিন ভাই–বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। বড় ভাই যুক্তরাজ্যে থাকেন এবং ছোট বোন সিলেটে পড়াশোনা করছেন।
আরও পড়ুন: ১০ মোটরসাইকেল নিয়ে প্রতিযোগিতা, প্রাণ গেল দুই বন্ধুর
২০২৪ সালে এইচএসসি পাস করা সোহাগ আগামী ৩০ আগস্ট আইএলটিএস পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
প্রতিবেশী ও চাচা মো. নুরুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সোহাগ এক বন্ধুর সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে উমনপুর টার্নিং এলাকায় যাচ্ছিলেন। এ সময় সিলেটগামী একটি ট্রাক তাদের ধাক্কা দিলে তারা গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সোহাগকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে বুধবার ভোরে তিনি মারা যান।
তার সঙ্গে থাকা বন্ধু সাফির হাত ভেঙে গেছে। বর্তমানে তিনি নগরীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তামাবিল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান সোহাগের মৃত্যুর এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
১৩১ দিন আগে
দুদকের মামলায় সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ কর্মকর্তা কারাগারে
জনবল নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন তারা। তবে বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক রোকনুজ্জামান এই নির্দেশ দেন।
আত্মসমর্পণ করা ৬ কর্মকর্তা হলেন— বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বিলাল আহমদ চৌধুরী, সেকশন অফিসার বেলাল উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ, মো. রেদোয়ান, আব্দুল মজিদ ও তানভীর আহমদ। তারা সবাই দুদকের চার্জশিটভুক্ত আসামি।
দুদকের আইনজীবী লুৎফুল কিবরিয়া শামীম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুদকের চার্জশিটভুক্ত ৬ আসামি মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে রায়হান হত্যা: জামিনে মুক্ত প্রধান আসামি এসআই আকবর
ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়মের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পদে নিয়োগ ও পদোন্নতি দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় ৫৮ জনের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ২০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। পরে ২৪ এপ্রিল ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এ অভিযোগ আমলে নিয়ে ইউজিসি ২০২৩ সালে তদন্ত শুরু করে। তদন্তে তৎকালীন উপাচার্য মোর্শেদ আহমেদ চৌধুরী ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. নঈমুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির সত্যতা পাওয়া যায়। এরপর নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তৎকালীন উপাচার্য, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারসহ ৫৮ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ১ এপ্রিল মামলা করে দুদকের সিলেটের সমন্বিত জেলা কার্যালয়।
মামলায় তৎকালীন উপাচার্য মোর্শেদ আহমেদ চৌধুরী ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. নঈমুল হক চৌধুরী ছাড়া আরও ৫৬ জন কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়।
১৩১ দিন আগে
কোম্পানীগঞ্জে আরও ৫০ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে অভিযান চালিয়ে আরও ৫০ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত উপজেলার পাড়ুয়া-ভাংতি এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সিলেটের ভোলাগঞ্জে সাদাপাথরে লুটের ঘটনায় প্রশাসনের নজরদারি জোরদার করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিদিন চলছে উদ্ধার অভিযান। গতকাল (সোমবার) থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ ঘনফুট সাদা পাথর উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
আরও পড়ুন: সাদা পাথর লুট: সিলেটের ডিসি ও কোম্পানীগঞ্জের ইউএনওকে বদলি
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান বলেন, ‘গতকাল (সোমবার) সন্ধা থেকে রাত প্রায় ১১টা পর্যন্ত কোম্পানীগঞ্জে পাড়ুয়া-ভাংতি এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ৫০ হাজার ঘনফুট সাদা পাথর উদ্ধার করা হয়। এ সময় কাউকে আটক করা যায়নি। এখন পর্যন্ত খনিজ সম্পদ ব্যুরোর মামলায় ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া সাদাপাথরে লুটপাটে জড়িতদেরও আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য পুলিশি অভিযান চলছে।’
এর আগে, সোমবার বিকেলে সিলেট সদর উপজেলার টিলাপাড়া, রঙ্গিটিলা, কান্দিপাড়া ও সালিয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে ধানখেত এবং কারো কারো বাড়ির উঠান, পথের ধারে ঘাস লতাপাতায় লুকানো অবস্থায় রাখা প্রায় ৫ হাজার ১০০ ঘনফুট পাথর উদ্ধার করে প্রশাসন।
এদিকে, সাদাপাথর লুটপাট নিয়ে দেশজুড়ে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনার মধ্যেই সোমবার ওএসএডি করা হয়েছে সিলেটের জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরাদকে। এ ছাড়া অন্য একটি আদেশে বদলি করা হয়েছে কোম্পানীগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুন্নাহারকেও।
১৩২ দিন আগে
সিলেটে মাইক্রোবাস চাপায় অটোরিকশাচালক নিহত
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় মাইক্রোবাসের চাপায় এহিয়া (৩০) নামে এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
সোমবার (১৮ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার বাওনপুর নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত এহিয়া সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌরসভার হবিবপুর পশ্চিম পাড়া গ্রামের মৃত জাহিদ মিয়ার ছেলে।
পুশিল জানায়, সিলেট থেকে ছেড়ে আসা অটোরিকশা ও বিশ্বনাথ থেকে ছেড়ে আসা মাইক্রোবাসটি সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের বাওনপুর এলাকায় পৌঁছালে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় অটোরিকশা-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে অটোচালকের মাথায় একটি বড় রড ঢুকে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিনি; আহত হন আরও তিন জন।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪
স্থানীয়রা আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের পরিচয় জানা যায়নি। তবে তাদের মধ্যে দুইজন নারী ও একজন পুরুষ।
এই দুর্ঘটনায় সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। সেই সঙ্গে দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।
বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী বলেন, সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের বাওনপুর নামক স্থানে সিএনজি অটোরিকশা ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে এক অটোরিকশাচালক নিহত হয়েছেন। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি দুটি জব্দ করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
১৩২ দিন আগে
ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সুনামগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ২
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের আব্দুল মতিন (৫০) ও আকবর আলী নামে দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা হেলাল-খসরু উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে আবদুল মতিন মুক্তিযুদ্ধের বীরাঙ্গনা কাকন বিবির মেয়ে সখিনা বেগমের স্বামী। অপরজন আকবর আলী লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের রূপনগর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল (শুক্রবার) বিকেলে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ সময় আব্দুল মতিন ও আকবর আলী আহত হন। স্থানীরা তাদের দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া পথে তারা মৃত্যুবরণ করেন।
আরও পড়ুন: মসজিদের পাশে যাত্রী ছাউনি নিয়ে সিলেটে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ
লক্ষ্মীপুর ইউপি চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল হক বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে বলেও জানান ওসি।
১৩৫ দিন আগে
মসজিদের পাশে যাত্রী ছাউনি নিয়ে সিলেটে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ
সিলেটের দক্ষিণ সুরমার লালাবাজার এলাকায় মসজিদের পাশে যাত্রী ছাউনি থাকবে কি না, তা নিয়ে সৃষ্ট তর্কবিতর্ককে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ চলাকালে একটি রেস্তোরাঁ ও একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, লালাবাজার ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান চৌধুরী সিফাত এবং স্থানীয় ‘পাপড়ি রেস্টুরেন্ট’ নামের একটি রেস্তোরাঁর মালিক ও বিএনপি নেতা জুবায়ের আহমদ লিটনের মধ্যে আগে থেকেই বিরোধ ছিল। গতকাল (শুক্রবার) রাত ৯টার দিকে লালাবাজারের মসজিদের যাত্রী ছাউনি নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপক্ষ যাত্রী ছাউনিটি সেখান থেকে সরিয়ে ফেলতে এবং আরেক পক্ষ সেখানেই রাখার বিষয়ে মত দেয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়, একপর্যায়ে যা রূপ নেয় সংঘর্ষে।
আরও পড়ুন: বরিশালে স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০
তারা আরও জানান, ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন। সংঘর্ষ চলাকালে বন্ধ হয়ে যায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের যান চলাচল। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
দক্ষিণ সুরমা থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. আব্দুল বাতেন খান বলেন, ‘সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ২০ থেকে ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে শুনেছি। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে এবং যান চলাচলও স্বাভাবিক হয়েছে।’
১৩৫ দিন আগে