বৈদেশিক-সম্পর্ক
দেশে উৎপাদিত শস্য ও খাদ্য গ্রহণে উৎসাহিত করতে কর্মসূচির আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
দেশে উৎপাদিত শস্য ও খাদ্য গ্রহণে মানুষকে উৎসাহিত করা ও জনসচেতনতা বাড়াতে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির প্রতিনিধিকে সেমিনার ও উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির দেশ প্রতিনিধি ডোমেনিকো স্কালপেলির সঙ্গে সাক্ষাতে এ আহ্বান জানান তিনি।
পৃথক বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জাতিসংঘ নারী সংস্থার দেশ প্রতিনিধি গীতাঞ্জলি সিং।
দুই কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভের সঙ্গে খাদ্য ব্যবস্থাপনা ও নারী উন্নয়ন বিষয়ে মত বিনিময় করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বৈঠকে হাছান মাহমুদ বলেন, বিশ্বের সর্বোচ্চ জনঘনত্ব আর সর্বনিম্ন মাথাপিছু জমির বাংলাদেশে খাদ্যশস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা এবং খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখতে আবাদযোগ্য জমির সর্বোচ্চ ব্যবহারের বিকল্প নেই। মালিকানা চিহ্নিত করতে জমির মধ্যে 'আইল' দেওয়ায় বহু জমি চাষের আওতা থেকে বাদ পড়ে যায়। এই ক্ষতির হাত থেকে রক্ষার বিষয়েও ডব্লিউএফপিকে উদ্ভাবনী পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ দেন মন্ত্রী।
বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দেবেন বলে জানান ডব্লিউএফপির কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ডোমেনিকো স্কালপেলি।
বৈঠকে তিনি বিদ্যালয় পর্যায়ে ও রোহিঙ্গাদের জন্য তার সংস্থার খাদ্য কর্মসূচির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: দ. কোরিয়ার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে চুক্তির কথা ভাবছে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
২০১১ সাল থেকে পরিচালিত স্কুল ফিডিং প্রোগ্রাম ও পরবর্তীতে রোহিঙ্গাদের জন্য ডব্লিউএফপির খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির প্রশংসা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করলেন ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে এবং তাদের কল্যাণে পরিচালিত বিভিন্ন সহায়তা পরিষেবা সম্পর্কে ধারণা নিতে ভাসানচর ও কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) শুভেচ্ছা দূত ও সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া।
বুধবার (২০ মার্চ) এ সফরে ইউএনএইচসিআর, ডব্লিউএফপি, আইওএম, ইউনিসেফ, ইউএনউইম্যান এবং ইউএনএফপিএসহ একাধিক জাতিসংঘ সংস্থার কার্যক্রম পরিদর্শন করেন তিনি।
এছাড়াও, ভূমিধস এড়াতে নরওয়ের অর্থায়নে ইউএনডিপির উদ্যোগে পরিচালিত দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান নির্ভর উদ্যোগসমূহ পরিদর্শন করেন ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত। তার এই সফর ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জীবনের জটিল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতার গুরুত্বকে আরও জোরদার করবে।
আরও পড়ুন: উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে সুইডেনের রাজকুমারী
এছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য টেকসই আবাসন নিশ্চিত করতে কক্সবাজারে সরকারের খুরুশকুল আশ্রয়ণ হাউজিং প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি।
এর আগে মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরের জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ দ্বীপ হাতিয়া পরিদর্শনে যান ক্রাউন প্রিন্সেস। আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করে কীভাবে এটি হাতিয়ার মতো প্রত্যন্ত অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ভূমিকা রাখছে সে সম্পর্কে ধারণা নেন তিনি।
এ সময় সুইডিশ ক্রাউন প্রিন্সেসের সঙ্গে ছিলেন জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব এবং ইউএনডিপির এক্সটারনাল রিলেশনস ও অ্যাডভোকেসি পরিচালক উলরিকা মদির, সুইডেনের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা ও বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রী ইয়োহান ফরশেল।
আরও পড়ুন: খুলনা-চট্টগ্রামে জলবায়ু সহনশীল উদ্যোগ পর্যবেক্ষণে ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত
গত সোমবার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) নিয়ে প্রচারণার উদ্দেশ্যে ঢাকায় আসেন সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ও ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত ভিক্টোরিয়া। ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত হওয়ার পর এই প্রথম বাংলাদেশ সফরে এসেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ডিজিটাল অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করলেন সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস
দ. কোরিয়ার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে চুক্তির কথা ভাবছে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশ দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে অর্থনৈতিক অংশীদারি চুক্তির (ইপিএ) মতো দ্বিপক্ষীয় উপকরণকে সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার(২০ মার্চ) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক।
এ বৈঠকে দুটি দেশের অর্থনৈতিক কূটনীতির বিষয়াদি প্রাধান্য পায়। বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি বৃদ্ধি, কোরিয়া পরিচালিত প্রকল্প, চুক্তি, প্রযুক্তি বিনিময়সহ দ্বিপক্ষীয় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
ড. হাছান বলেন, বাংলাদেশের 'এলডিসি' থেকে উত্তরণের পর সহযোগিতার ধারাবাহিক বৃদ্ধির জন্য নতুন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি ও এর গুরুত্ব নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দক্ষিণ কোরিয়াকে বাংলাদেশে অন্যতম প্রধান বিদেশি বিনিয়োগকারী হিসেবে বর্ণনা করে দেশের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির ওপর আলোকপাত করেন এবং হালকা প্রকৌশল, ইলেকট্রনিক্স, হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস, অবকাঠামো উন্নয়ন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিসহ নানা ক্ষেত্রে আরও বিনিয়োগকে স্বাগত জানান।
চট্টগ্রামে মেট্রোরেল প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শুরু করার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী দক্ষিণ কোরিয়ার আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা কোইকাকে ধন্যবাদ জানান ও প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল দ্রুত সরবরাহের ব্যবস্থার অনুরোধ করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি জনগণের নয়, বিদেশিদের সহযোগিতা চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশি পণ্যকে অগ্রাধিকারমূলক বাজার প্রবেশে অনুমতি ও দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশকে ৭টি বিলাসবহুল গাড়ি দেওয়ায় দক্ষিণ কোরিয়া সরকারকে ধন্যবাদ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এছাড়াও কোরিয়ায় জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে আলোচনায় কোরিয়ার এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম (ইপিএস) স্কিমের অধীনে বাংলাদেশি দক্ষ কর্মীদের জন্য কোটা বাড়ানোর জন্য কোরিয়াকে ধন্যবাদ জানান ড. হাছান।
এ সময় কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, ভাষা শেখার সমস্যার কারণে বাংলাদেশ গত বছর ১০ হাজার ২০০ জনের কোটা পূরণ করতে পারেনি।
তবে বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বিষয়টির সমাধান করতে ইতোমধ্যে বাংলাদেশে দুটি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) মনোনীত করেছে। যেখানে কোরিয়ার প্রশিক্ষকরা ভাষা ও প্রযুক্তির প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিতে পারবেন।
পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রদূত বৈঠকে ম্যান-মেইড ফাইবার (এমএমএফ) এবং দক্ষতা এবং প্রযুক্তি বিনিময়, দ্বৈত কর পরিহার, বিমান পরিষেবা চুক্তির সংশোধন, উচ্চ-পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় সফর এবং সরাসরি ও যৌথ বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের শিল্পখাত বিশেষ করে তৈরি পোশাকশিল্পের আরও আধুনিকায়নের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে ঐকমত্য প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি জনগণের নয়, বিদেশিদের সহযোগিতা চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এভিয়েশন শিল্পে কারিগরি সহযোগিতা দিতে আগ্রহী জার্মানি
বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশে কারিগরি সহযোগিতা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে জার্মানি।
বুধবার(২০ মার্চ) সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ কথা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোস্টার।
জার্মান রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘অর্থনৈতিক, কারিগরি এবং প্রশিক্ষণের বিষয়ে আমরা বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরে একত্রে কাজ করছি। বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে আমরা কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করতে চাই। এই খাতে দক্ষ টেকনিক্যাল জনবল তৈরির জন্য প্রশিক্ষণ প্রদানের বিষয়টিও আমাদের পরিকল্পনায় রয়েছে। সরকার 'স্মার্ট বাংলাদেশ' বিনির্মাণের যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা ত্বরান্বিত করতে আমরা বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পের 'মর্ডান লজিস্টিক পার্টনার' হিসেবে কাজ করতে আগ্রহী।’
আরও পড়ুন: সৈয়দপুর বিমানবন্দর হচ্ছে আঞ্চলিক এভিয়েশন হাব: পর্যটনমন্ত্রী
এছাড়াও বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে অভ্যন্তরীণ পর্যটকের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটক আকর্ষণে বাংলাদেশের গৃহীত কর্মসূচি সম্পর্কেও জানতে চান তিনি।
বৈঠকে পর্যটন মন্ত্রী বলেন, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পের প্রবৃদ্ধি হয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। এই শিল্পের যথাযথ বিকাশ এবং উন্নয়নে বর্তমান সরকার গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতে জার্মানির কারিগরি সহযোগিতা পাওয়ার প্রস্তাব আনন্দের। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো আলোচনা সাপেক্ষে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
ফারুক খান আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত নানা ব্যবস্থার ফলে ইতোমধ্যে দেশের অভ্যন্তরীণ পর্যটকের সংখ্যা ২ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। বিদেশি পর্যটক আকর্ষণের জন্য বিশেষ পর্যটন অঞ্চল নির্মাণ, ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণ এবং পার্শ্ববর্তী দেশগুলোকে নিয়ে পর্যটন সার্কিট তৈরিসহ বিভিন্ন ধরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, পর্যটন মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন সম্পন্ন হয়েছে। এবছরই এই মহা-পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু হবে। এই উদ্যোগগুলো বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কলকাতা থেকে আসা সাইক্লিস্টদের সঙ্গে পর্যটনমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
মানব পাচার ও রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে সহযোগিতার আহ্বান পররাষ্ট্র সচিবের
মানব পাচার সমস্যার টেকসই সমাধানে পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর জোর দিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। একই সঙ্গে রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে সক্রিয়ভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ‘বালি প্রসেস’-এর কো-চেয়ার রাষ্ট্রদূত লিন বেল (অস্ট্রেলিয়া) ও রাষ্ট্রদূত ত্রি থারিয়াতের (ইন্দোনেশিয়া) নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র সচিব ও প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব মানব পাচারের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি এবং ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি তুলে ধরেন। পাশাপাশি মানব পাচারের কারণগুলো তুলে ধরে সেগুলো রোধ করার ক্ষেত্রে অসুবিধা ও বাধার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ নিচ্ছে বিবদমান পক্ষগুলো: মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে পররাষ্ট্র সচিব
পাচারের শিকার ব্যক্তিদের সমাজে পুনঃএকত্রীকরণের জন্য উন্নয়ন সহযোগী ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে গৃহীত কর্মসূচি ও কার্যক্রম সম্পর্কে প্রতিনিধিদলকে অবহিত করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিন।
মানব পাচার রোধকে জটিল ও চ্যালেঞ্জিং কাজ হিসেবে উল্লেখ করে এই সমস্যার সমাধানে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও দৃঢ় করার ওপর গুরুত্ব দেন বালি প্রসেস কো-চেয়াররা।
আরও পড়ুন: মানব পাচার প্রতিরোধে লক্ষ্যভিত্তিক সচেতনতা ও বিস্তৃত প্রচেষ্টা 'অত্যাবশ্যক': ব্লিঙ্কেন
এছাড়াও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহের দক্ষতা ও সক্ষমতার উন্নয়ন এবং ‘বালি প্রসেস’ এর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতা আরও সম্প্রসারণের মাধ্যমে মানব পাচার নিয়ে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি জোরদার করার বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
এছাড়াও বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের মধ্যে অসহায়ত্ব ও হতাশার কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাদের অনিয়মিত স্থানান্তর বেড়ে যাওয়ায় কো-চেয়াররা উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংক-এডিবির ঋণ নয়, অনুদান চাই: টিআইবি
এ সময় রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে ‘বালি প্রসেস’-এর সদস্য দেশগুলোকে আহ্বান জানান পররাষ্ট্র সচিব।
তিনি আরও বলেন, এই দীর্ঘায়িত সংকট বাংলাদেশের জন্য একটি সম্ভাব্য অর্থনৈতিক, সামাজিক, পরিবেশগত এবং নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করছে এবং এটি সামগ্রিকভাবে এই অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকটের দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের জন্য চাপ অব্যাহত রাখছে যুক্তরাজ্য
উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে সুইডেনের রাজকুমারী
কক্সবাজার উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছেছেন সুইডেনের রাজকুমারী ভিক্টোরিয়া।
বুধবার (২০ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে নোয়াখালী ভাসানচর থেকে সরাসরি সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে উখিয়ায় পৌঁছান তিনি।
এ সময় রাজকুমারীকে অভ্যর্থনা জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহিন ইমরান, কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমানসহ ঢাকাস্থ সুইডেনের দূতাবাসের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করলেন জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব
জানা গেছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তিনি বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করবেন। ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে বিকালে কক্সবাজারের খুরুস্কুলের জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য নির্মিত বিশ্বের বৃহত্তম আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শন করবেন। এরপর আকাশ পথে ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে সুইডেনের রাজকুমারী ভিক্টোরিয়ার।
গত ১৮ মার্চ ৫ দিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন তিনি। ঢাকায় সুইডেন দূতাবাস ও ইউএনডিপির তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে ইউএনডিপির শুভেচ্ছাদূত হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়ার এটি প্রথম বাংলাদেশ সফর।
এর আগে ২০০৫ সালে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: উখিয়া ক্যাম্পে ছুরিকাঘাতে রোহিঙ্গা যুবক নিহত
বাংলাদেশের সঙ্গে বিশেষ ও বহুমুখী সম্পর্ক সমৃদ্ধির অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারের
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার গভীর বন্ধনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি ১৯৭১ সালের যৌথ আত্মত্যাগের মূলে থাকা বিশেষ ও বহুমুখী সম্পর্ককে আরও সমৃদ্ধ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
এক ইফতার অনুষ্ঠানে তিনি ভ্রাতৃত্ব ও মানবতার চেতনা বিকাশে ইফতারের তাৎপর্য তুলে ধরেন। ১৯ মার্চ ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন এই ইফতারের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে সরকার, আইনসভা, বিচার বিভাগ, রাজনৈতিক দল, সশস্ত্র বাহিনী, সুশীল সমাজ, শিক্ষাবিদ, ব্যবসা, গণমাধ্যম ও সংস্কৃতিসহ সর্বস্তরের ৪ শতাধিক বিশিষ্ট অতিথি উপস্থিত ছিলেন।
হাইকমিশনার উল্লেখ করেন, ইফতার জমায়েতটি মানুষে-মানুষে গভীর সম্পর্কের প্রতীক, যা ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ভিত্তি তৈরি করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। সম্মানিত অতিথি ছিলেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যৎ স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের পাশে আছে ভারত: রাষ্ট্রদূত প্রণয় ভার্মা
খুলনা-চট্টগ্রামে জলবায়ু সহনশীল উদ্যোগ পর্যবেক্ষণে ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও অভিযোজনে ইউএনডিপির গৃহীত কর্মসূচিগুলো পর্যবেক্ষণ করতে খুলনা এবং চট্টগ্রাম সফর করেছেন জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) শুভেচ্ছা দূত সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া।
মঙ্গলবার সুইডেন সরকার ও অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তায় জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থা এবং বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে অংশীদারিত্বে গৃহীত ইউএনডিপির প্রকল্পগুলো পর্যবেক্ষণ করেন ক্রাউন প্রিন্সেস।
এছাড়াও স্থানীয়ভিত্তিক জীবিকার সমাধানগুলোকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করার মাধ্যমে জলবায়ু সহনশীলতার মডেলগুলো পর্যবেক্ষণ করেন ক্রাউন প্রিন্সেস।
খুলনার কয়রা উপজেলার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নে সুইডিশ সরকারের সহায়তায় ইউএনডিপি ও ইউএনসিডিএফের জলবায়ু অভিযোজন কর্মসূচিগুলো পর্যবেক্ষণ করেন। এছাড়াও, ইউএনডিপির সহায়তায় পরিচালিত এটুআই ডিজিটাল পরিষেবা সরবরাহ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
এ সময় জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজন এবং টেকসই উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে স্থানীয় কমিউনিটির জনসাধারণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষ, বিশেষত নারীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: খুলনায় পোস্ট অফিসের স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট উদ্বোধন করেন ইউএনডিপির শুভেচ্ছাদূত
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলে পাড়ায় নারীদের নেতৃত্বে নির্মিত জলবায়ু সহনশীল বাসস্থানগুলো ঘুরে দেখেন ক্রাউন প্রিন্সেস। ইউএনডিপির সহায়তায় যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে সহযোগিতা চুক্তির আওতায় নির্মিত একটি বাঁধ প্রাচীরসহ জলবায়ু মোকাবিলায় নির্মিত বেশকিছু স্থাপনা পরিদর্শন করেন।
এরপর স্বল্প সময়ের জন্য চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনে যান সুইডিশ রাজকন্যা। সেখানে তিনি নারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন এবং নারী ক্ষমতায়ন ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে উদ্ভাবনী প্রশিক্ষণ কোর্সসহ ইউএনডিপির সহায়তায় পরিচালিত প্রকল্পগুলো পর্যবেক্ষণ করেন।
এ সময় সুইডিশ ক্রাউন প্রিন্সেসের সঙ্গে ছিলেন জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব এবং ইউএনডিপির এক্সটারনাল রিলেশনস ও অ্যাডভোকেসি পরিচালক উলরিকা মোদের, সুইডেনের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা ও বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রী জোহান ফরসেল, বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, ডাক ও টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার, বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ফন লিন্ডে।
আরও পড়ুন: খুলনার কয়রায় সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া
সুইডিশ ক্রাউন প্রিন্সেসের এই সফরে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং লিঙ্গ সমতাকে এগিয়ে নিতে পারষ্পরিক সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টাগুলোর বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। যা বাংলাদেশসহ সারা পৃথিবীতে জলবায়ু সহনশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক কমিউনিটি গড়ে তোলায় ইউএনডিপির সংকল্পকেই পুনর্ব্যক্ত করে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ডিজিটাল অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করলেন সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস
দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে আরব আমিরাতকে বিনিয়োগের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
দেশে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগ বাড়াতে অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ এবং মাতারবাড়িতে ৩০০ একর জমি দেওয়ার বিষয়ে দেশটির রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লা আলী আব্দুল্লা খাসিফ আল হামুদি।
সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে মন্ত্রী এ কথা জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সম্প্রতি আরব আমিরাতে আমার দ্বিপাক্ষিক সফরে সে দেশের পররাষ্ট্র ও কর্মসংস্থান মন্ত্রীর সঙ্গে সামগ্রিক সব বিষয়ে আলোচনার 'ফলো আপ' সাক্ষাৎ ছিল এটি। ইউএইর সঙ্গে আমাদের বহুমাত্রিক সম্পর্ক। সেখানে এক মালিক থেকে অন্য মালিকের অধীনে 'আকামা' বা কর্মানুমতি হস্তান্তর সহজ করার বিষয়ে এবং দুবাই ছাড়া অন্য আমিরাতগুলোতে বাংলাদেশিদের 'ওয়ার্ক পারমিট' দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’
গাজায় চলমান সহিংসতা বন্ধে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার বিষয়ে একযোগে কাজ করা নিয়েও কথা হয়েছে বলে জানান ড. হাছান।
খুলনায় পোস্ট অফিসের স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট উদ্বোধন করেন ইউএনডিপির শুভেচ্ছাদূত
খুলনার কয়রায় পোস্ট অফিসের স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট উদ্বোধন করেছেন জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) শুভেচ্ছাদূত হিসেবে বাংলাদেশ সফররত সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) খুলনার কয়রা এলাকা পরিদর্শনের সময় তিনি গ্রামীণ সম্প্রদায়ের ডিজিটাল পরিষেবার উপকারভোগীসহ সরকার ও ইউএনডিপির একাধিক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব উলরিকা মোদের এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা ও বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক সুইডিশ মন্ত্রী জোহান ফরসেল, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক।
বাংলাদেশকে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ডিজিটাল সেন্টার উদ্যোগের গুরুত্ব তুলে ধরে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘ডিজিটাল সেন্টার সরকারি পরিষেবাগুলোকে তৃণমূল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে, প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলোকে সহজলভ্য করে তুলছে।’
আরও পড়ুন: খুলনার কয়রায় সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট এমন একটি উদ্ভাবনী উদ্যোগ, যার লক্ষ্য হচ্ছে ডাক পরিষেবাগুলোতে প্রতিটি নাগরিকের অভিগম্যতা এবং দক্ষতা উন্নত করতে প্রযুক্তি ব্যবহার করা।’