বৈদেশিক-সম্পর্ক
এয়ারবাস, মেনজিস এভিয়েশন নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক
ইউরোপীয় বিমান সংস্থা এয়ারবাসের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াউটার ভ্যান ওয়র্শ ও স্কটল্যান্ডভিত্তিক মেনজিস এভিয়েশনের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট চার্লস ওয়াইলির সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (১০ জুন) লন্ডনে হোটেলে আলাদাভাবে তাদের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময়ে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ইউএনবিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এরআগে চার দিনের সরকারি সফরে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে পৌঁছেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (১০ জুন) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৫ মিনিটে লন্ডন হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ করে প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী এমিরেটস এয়ার লাইন্সের ফ্লাইট।
সফরকালে বাকিংহাম প্যালেসে ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে দেখা করবেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় তিনি রাজা চার্লসের হাত থেকে গ্রহণ করবেন ‘কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড’।
এছাড়া ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। তিনি যুক্তরাজ্যের নীতিগবেষণা প্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউস আয়োজিত এক সংলাপে অংশ নেবেন।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সূত্র জানায়, তার এই সফরে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে যুক্তরাজ্যের সমর্থনের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাবে। এর পাশাপাশি পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়টিতে প্রাধান্য দেবে বাংলাদেশ।
আগামী ১৪ জুন প্রধান উপদেষ্টার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
এছাড়া লন্ডনে আগামী ১৩ জুন (শুক্রবার) ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে একটি আনুষ্ঠানিক বৈঠক করতে যাচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। মঙ্গলবার (১ জুন) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে লন্ডনে স্থানীয় সময় ১৩ জুন সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত একটি বৈঠকের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।’
মির্জা আরও বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা লন্ডন যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন তখন থেকেই বিএনপির পক্ষ থেকে এ বৈঠকের চেষ্টা করা হয়েছে। সবশেষ সোমবার স্থানীয় কমিটির মিটিংয়ে এ বৈঠকের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টাকে আনুষ্ঠানিকভাবে দাওয়াত দেয়া হয়েছে।’আরও পড়ুন: লন্ডনে তারেক-ইউনূসের বৈঠক ১৩ জুন
ফখরুল জানান, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা যে হোটেলে উঠেছেন সেখানেই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এ বৈঠকের মাধ্যমে চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনের পথ উন্মুক্ত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
তারেক-ইউনূস বৈঠককে টার্নিং পয়েন্ট আখ্যা দিয়ে ফখরুল বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তারেক রহমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। বর্তমান সরকারও এই অভ্যুত্থানের ফসল। এ দুপক্ষের বৈঠক সফল হলে অনেক সমস্যার সহজ সমাধান আসবে।’
নির্দিষ্ট কোনো এজেন্ডা নিয়ে বৈঠক হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে দলটির মহাসচিব বলেন, ‘পূর্ব নির্ধারিত কোনো এজেন্ডা নেই। সামগ্রিক বিষয় নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে আলাপ হবে।’
২০১ দিন আগে
চারদিনের সফরে লন্ডনে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা
চার দিনের সরকারি সফরে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে পৌঁছেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (১০ জুন) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৫ মিনিটে লন্ডন হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ করে প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী এমিরেটস এয়ার লাইন্সের ফ্লাইট।
প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে এমন তথ্য নিশ্চিত করেন। সফরকালে বাকিংহাম প্যালেসে ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে দেখা করবেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় তিনি রাজা চার্লসের হাত থেকে গ্রহণ করবেন ‘কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড’।
এছাড়া ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। তিনি যুক্তরাজ্যের নীতিগবেষণা প্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউস আয়োজিত এক সংলাপে অংশ নেবেন।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সূত্র জানায়, তার এই সফরে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে যুক্তরাজ্যের সমর্থনের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাবে। এর পাশাপাশি পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়টিতে প্রাধান্য দেবে বাংলাদেশ।
আগামী ১৪ জুন প্রধান উপদেষ্টার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: চার দিনের সরকারি সফরে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস
এছাড়া লন্ডনে আগামী ১৩ জুন (শুক্রবার) ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে একটি আনুষ্ঠানিক বৈঠক করতে যাচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। মঙ্গলবার (১ জুন) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে লন্ডনে স্থানীয় সময় ১৩ জুন সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত একটি বৈঠকের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।’
মির্জা আরও বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা লন্ডন যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন তখন থেকেই বিএনপির পক্ষ থেকে এ বৈঠকের চেষ্টা করা হয়েছে। সবশেষ সোমবার স্থানীয় কমিটির মিটিংয়ে এ বৈঠকের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টাকে আনুষ্ঠানিকভাবে দাওয়াত দেয়া হয়েছে।’
ফখরুল জানান, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা যে হোটেলে উঠেছেন সেখানেই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এ বৈঠকের মাধ্যমে চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনের পথ উন্মুক্ত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
তারেক-ইউনূস বৈঠককে টার্নিং পয়েন্ট আখ্যা দিয়ে ফখরুল বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তারেক রহমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। বর্তমান সরকারও এই অভ্যুত্থানের ফসল। এ দুপক্ষের বৈঠক সফল হলে অনেক সমস্যার সহজ সমাধান আসবে।’
নির্দিষ্ট কোনো এজেন্ডা নিয়ে বৈঠক হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে দলটির মহাসচিব বলেন, ‘পূর্ব নির্ধারিত কোনো এজেন্ডা নেই। সামগ্রিক বিষয় নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে আলাপ হবে।’
আরও পড়ুন: ইউনূস-মোদির ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়
এপ্রিলে জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য এটি মোটেই ভালো সময় না। এ সময়ে নির্বাচন হলে প্রচারণা চালাতে হবে রোজার মধ্যে। তারমধ্যে তখন থাকবে গরম। দেখা যাবে ইফতার পার্টি করতে করতে টাকা শেষ হয়ে যাচ্ছে, আর জনসমাগম করতে হচ্ছে রাতের বেলা।’
২০২ দিন আগে
চার দিনের সরকারি সফরে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস
যুক্তরাজ্যে চার দিনের সরকারি সফরে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার (৯ জুন) সন্ধ্যায় তিনি রওনা হয়েছেন। তিনি ১০ থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত যুক্তরাজ্য সফর করবেন।
দুই দেশ অর্থনৈতিক সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের উপর জোর দিয়ে তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নবায়নের জন্য কাজ করছে।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ইউএনবিকে বলেন, প্রধান উপদেষ্টা এবং তার ছোট সফরসঙ্গী দলকে বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় লন্ডনের উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেছে।
ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রুহুল আলম সিদ্দিক বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ৯ জুন লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন এবং ১৪ জুন দেশে ফিরবেন।
তিনি বলেন, ‘এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সফর্। অধ্যাপক ইউনূস রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে দেখা করবেন এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পাশাপাশি অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করবেন।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যে ১০-১৩ জুন সফর করবেন অধ্যাপক ইউনূস
তিনি আরও জোর দিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর এবং বৈচিত্র্যময়। এই সফর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’
এই সফরকালে, রাজা তৃতীয় চার্লস আনুষ্ঠানিকভাবে অধ্যাপক ইউনূসকে মর্যাদাপূর্ণ ‘হারমনি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ প্রদান করবেন। মানুষ ও পরিবেশের মধ্যে শান্তি, স্থায়িত্ব এবং সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় আজীবন প্রচেষ্টার স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।
১২ জুন লন্ডনের সেন্ট জেমস প্যালেসে এই পুরস্কার দেওয়া হবে। ২০২৪ সালে জাতিসংঘের প্রাক্তন মহাসচিব বান কি-মুনও এই পুরস্কার গ্রহণ করবেন।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র সচিব ডেভিড ল্যামি, অন্যান্য সিনিয়র মন্ত্রী, রাজনৈতিক নেতা এবং যুক্তরাজ্যের নীতি ও ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের সঙ্গেও অধ্যাপক ইউনূস দেখা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এই সফরটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। কারণ যুক্তরাজ্য একটি শীর্ষস্থানীয় গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে গণতান্ত্রিক নীতি এবং সুশাসনের প্রচারকে মূল্য দেয়।
তিনি বলেন, এই সফর বাংলাদেশের চলমান সংস্কার উদ্যোগ, গণতান্ত্রিক পথচলা এবং সুশাসনের প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের অঙ্গীকার তুলে ধরার সুযোগ করে দেবে।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের সঙ্গে দেখা করতে টিউলিপের চিঠি
তিনি উল্লেখ করেন, ‘সর্বোপরি’ একজন নোবেল বিজয়ী ও বিশ্বব্যাপী সম্মানিত ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার বিশ্বজুড়ে একটি অনন্য এবং ইতিবাচক ভাবমূর্তি রয়েছে। তার মতো একজন ব্যক্তিত্বের যুক্তরাজ্য সফর বিশ্ব পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরও উন্নত এবং সুসংহত করবে।
সফরের সময় আলোচনায় বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক বিষয়গুলোও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই উন্নয়ন, রোহিঙ্গা সংকট ও অভিবাসন সংক্রান্ত বিষয়।
বাংলাদেশের জাতীয় উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্রিটিশ দক্ষতা এবং সম্পদের ব্যবহার করা হবে এই কর্মসূচির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
অধ্যাপক ইউনূসের কমনওয়েলথ এবং আন্তর্জাতিক সমুদ্র সংস্থার (আইএমও) মহাসচিবদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের কথা রয়েছে। যা বাংলাদেশের বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততাকে আরও জোরদার করবে।
তার পাবলিক কূটনীতি উদ্যোগের অংশ হিসেবে, প্রধান উপদেষ্টা ১১ জুন চ্যাথাম হাউস - রয়্যাল ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সে একটি মূল বক্তব্য উপস্থাপন করবেন।
তিনি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি, গণতান্ত্রিক রূপান্তর এবং ভবিষ্যত দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে অভিজ্ঞতা তুলে ধরবেন।
পাচার করা অর্থ এবং বিদেশি সম্পদ পুনরুদ্ধারও আলোচনায় অগ্রাধিকার পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর সম্প্রতি ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের বলেন, চুরি যাওয়া অর্থ ও সম্পদ পুনরুদ্ধারের চলমান প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে লন্ডন সফরের সময় প্রধান উপদেষ্টা এই বিষয়টি উত্থাপন করবেন।
আরও পড়ুন: টিউলিপের কোনো চিঠি সরকার এখনো পায়নি: শফিকুল আলম
সরকারের মতে, পূর্ববর্তী প্রশাসনের অধীনে প্রতি বছর আনুমানিক ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশে পাচার হয়েছিল।
প্রধান উপদেষ্টা এরই মধ্যে ঢাকায় অবস্থিত তার হাইকমিশনারের মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে সহযোগিতা চেয়েছেন, যাতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্বারা যুক্তরাজ্যে পাচার করা তহবিল শনাক্ত ও পুনরুদ্ধার করা যায়।
২০২ দিন আগে
ইউনূস-মোদির ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়
ঈদুল আজহা উপলক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই উৎসব ত্যাগ, উদারতা ও ঐক্যের চেতনায় মানুষকে একত্রিত করে—এমন অভিন্ন বার্তা উঠে এসেছে দুই নেতার শুভেচ্ছাবার্তায়।
রবিবার (৮ জুন) অন্তর্বর্তী সরকারের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে উভয় নেতার শুভেচ্ছাবার্তা প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত শুক্রবার ( ৬ জুন) মোদিকে পাঠানো চিঠিতে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বোঝাপড়ার এই চেতনা আমাদের দুই জাতিকে জনগণের কল্যাণে একসঙ্গে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করবে বলে আমি আত্মবিশ্বাসী।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঈদুল আজহা হচ্ছে এমন একটি সময়, যা মানুষকে আত্মবিশ্লেষণের সুযোগ দেয় এবং বৃহত্তর মানবিকতার জন্য একসঙ্গে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করে।’
প্রধানমন্ত্রী মোদির চিন্তাশীল বার্তা, আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং ঈদের অভিনন্দন তাকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করেছে বলে মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টা।
চিঠিতে তিনি আরও লেখেন, ‘আমি আপনাকে ও আপনার মাধ্যমে ভারতের জনগণকে এই পবিত্র উপলক্ষে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাতে চাই।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যে ১০-১৩ জুন সফর করবেন অধ্যাপক ইউনূস
এ ছাড়াও, মোদির সুস্বাস্থ্য ও সুখ এবং ভারতের জনগণের জন্য শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন অধ্যাপক ইউনূস। এর আগে, ৪ জুন বাংলাদেশের জনগণ ও অধ্যাপক ইউনুসকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানান নরেন্দ্র মোদি।
তিনি বলেন, ‘এই পবিত্র উৎসব ভারতের সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। দেশব্যাপী ইসলাম ধর্মাবলম্বী কোটি কোটি মানুষের মধ্যে বিপুল আনন্দ ও উৎসাহের সঙ্গে এই উৎসব উদযাপিত হয়।’
শুভেচ্ছাবার্তায় তিনি আরও বলেন, ‘এটি আমাদের ত্যাগ, সহানুভূতি ও ভ্রাতৃত্বের চিরন্তন মূল্যবোধের কথা মনে করিয়ে দেয়, যেটি একটি শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্ব গঠনের জন্য অত্যন্ত জরুরি।’
এ ছাড়া, বার্তায় তিনি অধ্যাপক ইউনূসের সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনাও করেন।
২০৩ দিন আগে
কাঁচা চামড়া পাচার ঠেকাতে সীমান্তে কড়া অবস্থানে বিজিবি
ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়া পাচার রোধে সীমান্ত এলাকাগুলোতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা (পিআরও) শরীফুল ইসলাম ইউএনবিকে জানান, সীমান্ত নিরাপত্তা ও অভ্যন্তরীণ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি কাঁচা চামড়া পাচার ও ভারতে পুশ-ইনের যেকোনো অপচেষ্টা প্রতিহত করতে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, ঈদ মৌসুমে কাঁচা চামড়া পাচার অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এমন বাস্তবতায় সীমান্তজুড়ে নজরদারি ও টহল জোরদার করা হয়েছে।
পাশাপাশি, ভারতের দিক থেকে যেকোনো পুশ-ইন ঠেকাতে সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে সীমান্তরক্ষী এই বাহিনী।
বিজিবির পিআরও আরও জানান, ঈদের দিনেও ‘সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বিজিবির সদস্যরা। টহল ও নজরদারি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, কোরবানির পশুর চামড়া যাতে বৈধ বাণিজ্য চ্যানেলের মধ্য দিয়ে জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারে, সেজন্য স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ে কাজ করছে বিজিবি।
জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় যেকোনো অপচেষ্টা প্রতিহত করতে বিজিবি দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ঈদ মৌসুমজুড়েই তারা সর্বোচ্চ সতর্কতায় থাকবে বলে জানানো হয়।
২০৪ দিন আগে
সম্মানসূচক ‘কিং চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড’ পাওয়ায় ড. ইউনূসকে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের শুভেচ্ছা
সম্মানসূচক ‘কিং চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড’ পাওয়ায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে আগাম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক।
বুধবার (৪ জুন) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন হাইকমিশনার কুক। এ সময় ড. ইউনূসের আসন্ন যুক্তরাজ্য সফর নিয়েও আলোচনা হয়।
অধ্যাপক ইউনূস পুরষ্কার প্রসঙ্গে বলেন, ‘এটি বড় সম্মানের।’
চার দিনের সরকারি সফরে আগামী ৯ জুন ঢাকা ত্যাগ করবেন তিনি।
সফরকালে প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাজ্যের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টার উপ প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ও হাইকমিশনারের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, বিমান চলাচলে সহযোগিতা, অভিবাসন এবং সম্পদ পুনরুদ্ধারে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: গুম-নির্যাতনের প্রমাণ সংরক্ষণে জাদুঘর প্রতিষ্ঠার আহ্বান ড. ইউনূসের
তারা দেশের চলমান সংস্কার উদ্যোগ এবং সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও মতবিনিময় করেন।
অধ্যাপক ড. ইউনূস ব্রিটিশ হাইকমিশনারকে জানান, জাতীয় ঐকমত্য গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দফার সংলাপ এ সপ্তাহে শুরু হয়েছে এবং তা দ্রুত শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি বাংলাদেশের সমুদ্র গবেষণা সক্ষমতা বাড়াতে যুক্তরাজ্যের গবেষকদের কাছে প্রশিক্ষণসহ কারিগরি সহায়তা গ্রহণের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুতফে সিদ্দিকী, এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং ব্রিটেনের ডেপুটি হাইকমিশনার জেমস গোল্ডম্যান উপস্থিত ছিলেন।
২০৭ দিন আগে
পুশ-ইন বন্ধে ভারতকে আবারও চিঠি দেবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
যথাযথ প্রক্রিয়া অনুরসরণ না করে বাংলাদেশে এখনো নাগরিকদের ঠেলে দেওয়ার (পুশ-ইন) ঘটনার বিষয়টি ভারতকে স্মরণ করিয়ে দিতে একটি সংক্ষিপ্ত চিঠি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
মঙ্গলবার (৩ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা আজ বা আগামীকাল তাদের আরেকটি ‘সংক্ষিপ্ত’ (কূটনৈতিক নোট) চিঠি দেব।’
চিঠিটির ভাষা নরম হবে, না কি এটি প্রতিবাদপত্র হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটি নির্ভর করে কে কীভাবে নেবেন তার ওপর।’
তিনি বলেন, পুশ-ইন ইস্যুতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে।
উপদেষ্টা বলেন, ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে এবং বাংলাদেশ চেষ্টা করছে যাতে নির্ধারিত প্রক্রিয়ার বাইরে কিছু না ঘটে।
তিনি জানান, বাংলাদেশকে একটি তালিকা দিয়েছে ভারত। যাচাই-বাছাই শেষে বাংলাদেশ কিছু মানুষকে গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশের অবস্থান হলো, প্রতিটি ঘটনা আলাদাভাবে যাচাই করা হবে। শুধুমাত্র প্রমাণ সাপেক্ষে বাংলাদেশি নাগরিকদেরই গ্রহণ করা হবে।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা দেখছি এখনো পুশ-ইন হচ্ছে। সশরীরে এটি ঠেকানো সম্ভব নয়।’
তিনি জানান, কনস্যুলার ইস্যুগুলোর জন্য একটি নির্ধারিত প্রক্রিয়া রয়েছে এবং সেই প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই বাংলাদেশ বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে।
ক্ষমতচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হস্তান্তর নিয়ে কোনো অগ্রগতি হয়েছে কিনা—এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি।
ভারত সম্প্রতি জানিয়েছে, প্রায় ২ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি নাগরিক দেশটিতে রয়েছে—যাদের পরিচয় যাচাইয়ের পর বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো দরকার।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সম্প্রতি বলেছেন, ‘আমরা বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকে তাদের জাতীয়তা যাচাই করতে বলেছি। বর্তমানে ২ হাজার ৩৬০ জনের একটি তালিকা রয়েছে যাদের প্রত্যাবাসন প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্ত দিয়ে ১৭ জনকে পুশ-ইন
নয়া দিল্লিতে নিয়মিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি আরও জানান, এদের অনেকেই ইতোমধ্যে কারাদণ্ড ভোগ করেছেন। তাদের অনেক ক্ষেত্রে জাতীয়তা যাচাই করা বাকি রয়েছে। এটি ২০২০ সাল থেকে ঝুলে আছে। অর্থাৎ প্রায় পাঁচ বছর হয়ে গেছে।’
তিনি বলেন, এই যাচাই প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করতে বাংলাদেশের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে ভারত। যাতে যাদের ফেরত পাঠানো দরকার, তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো যায়।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘তারা(বাংলাদেশ) যেন দ্রুত এই প্রক্রিয়া শেষ করে।’
তিনি আরও বলেন, ভারতে যারা অবৈধভাবে অবস্থান করছেন—তারা বাংলাদেশি হোক বা অন্য কোনো দেশের নাগরিক হোক—তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: সিলেট সীমান্তে একরাতে ১৫৩ জনকে পুশ-ইন করল বিএসএফ
২০৮ দিন আগে
ভারতীয় গণমাধ্যমে মিথ্যা সংবাদ, সেনাবাহিনীর কড়া জবাব
ভারতীয় গণমাধ্যম নর্থইস্ট নিউজে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ টু ডিক্লেয়ার কক্সবাজার টু বান্দরবান এরিয়া এজ এ মিলিটারি ওপারেসনস জোন’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
রবিবার (১ জুন) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিক্রিয়া জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এই ধরনের সংবাদ ভারতীয় কিছু গণমাধ্যমের পরিকল্পিত অপচেষ্টার অংশ, যার উদ্দেশ্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করা এবং সশস্ত্র বাহিনীর ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ণ করা।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘প্রতিবেদনটিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সন্ত্রাসী বা বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীকে সমর্থন দিচ্ছে’ বলে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে, যা একেবারে ভিত্তিহীন, অসত্য ও এক ধরনের বিদ্বেষপূর্ণ অপপ্রচার। প্রমাণ ছাড়া এই ধরনের কাল্পনিক সংবাদ একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ।’এটি জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানো ও বিভেদ উসকে দেওয়ার অসৎ উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।এতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সবসময় সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব বজায় রেখে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা ও সংবিধান রক্ষার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জাতীয় স্বার্থে সেনাবাহিনী কখনোই আপস করেনি, আর ভবিষ্যতেও করবে না।আএসপিআর জানায়, ‘এ ধরনের বানোয়াট প্রতিবেদনকে সাংবাদিকতা বলা যায় না। এটি একটি সুপরিকল্পিত ও ধারাবাহিক কুৎসা রচনার অংশ। বাংলাদেশ সবসময় ঐক্যবদ্ধ থেকেছে। দেশের জনগণ ও ভূখণ্ড রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা প্রস্তুত ও দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ।’
২১০ দিন আগে
জনশক্তি রপ্তানির গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য হতে পারে জাপান: প্রেস সেক্রেটারি
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সদ্যসমাপ্ত জাপান সফরকে অত্যন্ত সফল আখ্যা দিয়েছেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম। এ সফরের কারণে জাপান থেকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ প্রবাহ বাড়বে বলে আশাবাদী তিনি।
রবিবার (১ মে) বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা জাপান সফরটি অত্যন্ত সফল । এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর ও দৃঢ় হয়েছে।’
ব্রিফিংয়ে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘বড় বড় জাপানি বিনিয়োগকারী বাংলাদেশে বড় পরিসরে বিনিয়োগে আসবেন।’
জাপানে দেশীয় জনশক্তি রপ্তানি সম্পর্কে প্রেস সচিব বলেন, ‘এ সফরে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার উন্মোচিত হয়েছে। এ লক্ষ্যে একটি টাস্কফোর্স এরমধ্যেই গঠন করা হয়েছে। সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া হলে বাংলাদেশ জাপানে আরও জনশক্তি পাঠাতে পারবে।’
শফিকুল আলম বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আগামী পাঁচ বছরে ১ লাখ জনশক্তি পাঠানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। জাপান বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ জনশক্তি রপ্তানি গন্তব্য হবে।’
আরও পড়ুন: আগামীকাল ফের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাজনৈতিক দলের বৈঠক
গেল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ও জাপান দুটি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করে। বাংলাদেশের কর্মশক্তির দক্ষতা বৃদ্ধি এবং জাপানে তাদের কর্মসংস্থান সহজ করার উদ্দেশ্যে এ দুটি সমঝোতা হয়।
ওই অনুষ্ঠানে জাপানি কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়ীরা আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। একই দিন প্রধান উপদেষ্টা ‘৩০তম নিক্কেই ফোরাম: ফিউচার অব এশিয়া’তে মূল বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন।
অধ্যাপক ইউনূস নিক্কেই ফোরামের পাশাপাশি মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মাদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং বাংলাদেশকে আসিয়ানের সদস্যপদ পেতে সমর্থনের আহ্বান জানান।
শুক্রবার সোকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক ইউনূসকে সামাজিক উদ্ভাবন ও বৈশ্বিক উন্নয়নে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দেওয়া হয়।
২১০ দিন আগে
চীনের সঙ্গে দুই সমঝোতা স্মারক সই বাংলাদেশের
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাও সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এসময় দুটি সমঝোতা স্মারক সই করা হয়েছে।
দ্বিপাক্ষিক এ বৈঠকে চীনের বাণিজ্যমন্ত্রীর কাছে কৃষিখাতে ড্রোন প্রযুক্তির সহায়তা কামনা করেছেন উপদেষ্টা বশিরউদ্দিন। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা জোরদার করতে এই সহায়তা কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
শনিবার(৩১ মে) বিকালে ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাও এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে শেখ বশিরউদ্দীন বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়নে ড্রোন প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর গুরুত্ব তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘ড্রোন প্রযুক্তির মাধ্যমে সার, বীজ বপন, কীটনাশক ছিটানো ও ফসল নিরীক্ষণে বিপ্লব আনা সম্ভব। চীনের অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তি বাংলাদেশের কৃষিখাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।’
আরও পড়ুন: কোরবানির চামড়ার উপযুক্ত দাম নিশ্চিতে সংরক্ষণে সহায়তা দেবে সরকার : বাণিজ্য উপদেষ্টা
চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের সঙ্গে প্রযুক্তি ও বিনিয়োগ সহযোগিতা বাড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘চীন কৃষি ও ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে প্রস্তুত। বিশেষ করে স্মার্ট কৃষি ও ড্রোন প্রযুক্তির মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে আমরা সহযোগিতা করতে পারি।’
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের বিশাল সমুদ্রসীমা থাকলেও আধুনিক ফিশিং জাহাজ ও প্রযুক্তির অভাবে এই খাতের পূর্ণ সম্ভাবনা কাজে লাগানো যাচ্ছে না। চীনের সহায়তায় গভীর সমুদ্রে মাছ ধরা ও প্রক্রিয়াকরণের সুযোগ বাড়লে রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পাবে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
ফিশিং জাহাজ ও প্রযুক্তি সহায়তা কামনা করে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘সামুদ্রিক মৎস্য খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশের জন্য অত্যাধুনিক ফিশিং জাহাজ ও মৎস্য প্রক্রিয়াকরণ প্রযুক্তি প্রয়োজন। চীনের অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তিগত সহায়তা আমাদের এই খাতকে আরও শক্তিশালী করতে পারে।’
বাংলাদেশ এখন ডেমোগ্রাফিক সুবিধায় আছে। এখানে তুলনামূলক সাশ্রয়ী মূল্যে শ্রমিক পাওয়া যায়। এখানকার শ্রমিকরা দক্ষ ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হওয়ায় তারা দ্রুত ও ভালো কাজ করতে পারে উল্লেখ করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আসুন এদেশে বিনিয়োগ করুন এবং উভয় দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সাহায্য করুন।’
এসময় তিনি চামড়াজাত শিল্প, হালকা প্রকৌশল, এগ্রি মেশিনারিজ ও এগ্রো টেকনোলজি, ফুড প্রসেসিং ও ঔষধ শিল্পে চীনের বিনিয়োগের প্রত্যাশা করেন।
চীনা বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের সঙ্গে মৎস্য ও সমুদ্রসম্পদ খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ করেন। বলেন, ‘চীন বাংলাদেশের মৎস্য খাত ও সমুদ্রসীমার সম্পদ আহরণে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে প্রস্তুত।’
চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের কুটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছরপূর্তি ইতোমধ্যে পার হয়েছে। দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন বিশেষ করে এদেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে চীন সরকার বেশ কয়েকটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে, যার সুফল এদেশের জনগণ ভোগ করছে।
বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি খাতে আরও সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়। আগামী দিনে চীন-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য-শিল্প প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক
বৈঠকে চীনের প্রতিনিধিদলে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডাইরেক্টর জেনারেল অব আউটওয়ার্ড ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন, চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডাইরেক্টর জেনারেল অব দ্য ডিপার্টমেন্ট অব এশিয়ান অ্যাফেয়ার্স এবং বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে বাণিজ্য সচিব, শিল্প সচিব, কৃষি সচিব ও বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে অবাধ বাণিজ্য প্রসারে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন ও ই-কমার্স বিষয়ে সহযোগিতা সংক্রান্ত দুটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। সমঝোতা স্মারকে বাংলাদেশের পক্ষে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন ও চীনের পক্ষে সে দেশের বাণিজ্য মন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাও সই করেন।
এর আগে আজ দুপুরে চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাও ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীর একটি দল নিয়ে ঢাকায় পৌঁছান।
২১১ দিন আগে