বৈদেশিক-সম্পর্ক
বিশ্বে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে: আসিফ নজরুল
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ এবং প্রশিক্ষণ শেষে বিনা অভিবাসন ব্যয়ে জাপানসহ উন্নত বিশ্বে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল ) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো’র স্পেসিফাইড স্কিল ওয়ার্কার্স ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশি কর্মীদের প্রশিক্ষণ ও সনদ প্রদান বিষয়ে জাপানের ওনোডেরা ইউজার রান ইনকর্পোরেটের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএমইটি’র মহাপরিচালক সালেহ আহমেদ মোজাফফর, বাংলাদেশে জাপান দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স তাকাহাসি নাওকি, জাপানের ওনোডেরা ইউজার রান ইনকর্পোরেট এর ওভারসিজ বিজনেস ডিপার্টমেন্টের ম্যানেজার তাকাতো কাওয়াকামি বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: আল্লাহ কি হাসিনাকে নূন্যতম অপরাধবোধ দেননি: প্রশ্ন আসিফ নজরুলের
উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, জাপান বাংলাদেশিদের জন্য অত্যন্ত প্রিয় একটি গন্তব্য। ইতোমধ্যে কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামের আওতায় ৬৯৫ জন টেকনিক্যাল ইনটার্ন জাপান গিয়েছেন। সম্পাদিত সমঝোতা চুক্তির ফলে জাপানে আগামী দিনগুলোতে আরও অধিক সংখ্যক জনবল পাঠানো সম্ভব হবে। বিভিন্ন ট্রেডে বিশেষ করে কেয়ার গিভার, ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্যাকেজিং, প্লাস্টিক মোল্ডিং, রড বাইন্ডিং, স্ক্যাফোল্ডিং, ওয়েল্ডিং, কারপেইন্টিং, অটোমোবাইল ম্যাকানিক ইত্যাদি ট্রেডে প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া জাপানে বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থানে এই সমঝোতা স্মারক একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক আখ্যায়িত করে বলেন, উন্নত দেশগুলোর চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ জনবল তৈরি এবং নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করছে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া, বিএমইটি’র মহাপরিচালক সালেহ আহমেদ মোজাফফর এবং জাপানের ওনোডেরা ইউজার রান ইনকর্পোরেট এর পক্ষে ওভারসিজ বিজনেস ডিপার্টমেন্টের ম্যানেজার তাকাতো কাওয়াকামি নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
২৬২ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যনীতির সমর্থনে কাজ করে যাব: ট্রাম্পকে ড. ইউনূস
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ইস্যুতে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চিঠি দিয়েছিলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। চিঠিতে তিনি এই শুল্কারোপ তিন মাসের জন্য স্থগিত রাখতে অনুরোধ জানান। সেই অনুরোধে সাড়া দেওয়ায় ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ড. ইউনূস।
বাংলাদেশ সময় বুধবার (৯ এপ্রিল) দিবাগত রাতে চীন ছাড়া অন্য সব দেশের ওপর আরোপিত পাল্টা শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত করার ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তার কিছুক্ষণ পরই নিজের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এক পোস্ট দেন প্রধান উপদেষ্টা।
ওই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আরোপিত শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিতের অনুরোধে ইতিবাচক সাড়া দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ মি. প্রেসিডেন্ট। আপনার প্রশাসনের বাণিজ্যনীতির সমর্থনে আমরা কাজ চালিয়ে যাব।’
আরও পড়ুন: চীন বাদে সব দেশের ওপর মার্কিন পাল্টা শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত
গতরাতে নিজের ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, ‘পাল্টা শুল্কারোপের সিদ্ধান্ত ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এই সময়ে পাল্টা শুল্ক উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে এবং এটি তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘চীন বিশ্ববাজারের প্রতি শ্রদ্ধার যে ঘাটতি দেখিয়েছে, তার ভিত্তিতে আমি যুক্তরাষ্ট্রে চীনের পণ্যে শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ ধার্য করছি। এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও লেখেন, ‘আশা করি নিকট ভবিষ্যতে চীন ও অন্যান্য দেশ উপলব্ধি করতে পারবে যে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতারণার দিন আর থাকবে না বা গ্রহণযোগ্য হবে না।’
ট্রাম্প লেখেন, ‘প্রকৃত অবস্থার ভিত্তিতে ৭৫টির বেশি দেশ যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগ, অর্থ বিভাগ ও ইউএসটিআরসহ আমাদের বিভিন্ন প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। দেশগুলো বাণিজ্য, বাণিজ্য বাধা, শুল্ক, মুদ্রা কারসাজি ও অশুল্ক বাধা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সমাধানে পৌঁছাতে সমঝোতা আলোচনার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে।’
২৬২ দিন আগে
সৌদিতে আরও বেশি বাংলাদেশি জনশক্তি নেওয়ার আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি জনশক্তি নিতে সৌদি সরকারে প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বুধবার (৯ এপ্রিল) সকালে বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার অফিসে সৌদি আরবের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত এসা বিন ইউসূফ বিন এসা আলদুহাইলান সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
বৈঠকে সৌদি আরবে বসবাসরত বৈধ পাসপোর্ট নেই এমন ৬৯ হাজার বাংলাদেশি নাগরিকদের অনুকূলে পাসপোর্ট ইস্যু বা পুনরায় ইস্যু সংক্রান্ত বিষয়াদিসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের শুরুতে রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, সৌদি আরব বাংলাদেশের উন্নয়নে অন্যতম বৃহৎ অংশীদার। একক দেশ হিসেবে সৌদি আরবে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি কাজ করছে। বর্তমানে সৌদি আরবে ৩২ লাখ বাংলাদেশি বিভিন্ন খাতে কর্মরত। এটিকে ৪০ লাখে উন্নীত করতে তিনি রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা কামনা করেন।
বাংলাদেশের উন্নয়নে সৌদি আরবের সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, জনশক্তি রপ্তানির পাশাপাশি দু'দেশের মধ্যে ব্যবসা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, পর্যটন ও সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন খাতে প্রভূত সহায়তা বিদ্যমান। সৌদি আরব সবসময় বাংলাদেশের পাশে ছিল, অদূর ভবিষ্যতে থাকবে বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, করোনার সময়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তানসহ বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে সৌদি আরবের ফ্লাইট বন্ধ থাকলেও বাংলাদেশের সঙ্গে তা সচল ছিল।
আরও পড়ুন: বিমসটেক অঞ্চলের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে পারস্পরিক সহযোগিতা: কৃষি উপদেষ্টা
রাষ্ট্রদূত বলেন, রাজকীয় সৌদি সরকারের গৃহীত নীতি অনুযায়ী দেশে বসবাস ও চাকরি করাসহ আইনগত সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার জন্য বৈধ পাসপোর্ট থাকা আবশ্যক। সৌদি সরকারের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে বিভিন্ন সময় বাংলাদেশি পাসপোর্ট বা ট্রাভেল ডকুমেন্ট নিয়ে সেদেশে প্রবেশ করেছেন। কিন্তু বর্তমানে কোনো বৈধ পাসপোর্ট নেই—এমন লোকের সংখ্যা আনুমানিক ৬৯ হাজার।
তিনি বলেন, সরকারি বিভিন্ন পর্যায়ের আলোচনায় ৬৯ হাজার ব্যক্তির পাসপোর্ট ইস্যু বা নবায়নের জন্য সৌদি কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ জানিয়ে আসছিল।
উপদেষ্টা বলেন, এ বিষয়ে দু'দেশের মধ্যে একটি প্রটোকল সই হয়েছিল এবং এতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনিসহ স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২৬৩ দিন আগে
বিটিভি-পিটিভির মধ্যে সমঝোতায় আগ্রহ পাকিস্তানি হাইকমিশনারের
বিটিভি-পিটিভি ও বাসস-এপিপির মধ্যে সমঝোতা স্মারক সইয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানি হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ। বুধবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের সঙ্গে সাক্ষাতকালে তিনি এই আগ্রহের কথা জানিয়েছেন।
এ সময়ে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ও পাকিস্তান টেলিভিশন (পিটিভি) এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) ও অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস অব পাকিস্তানের (এপিপি) মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের আগ্রহ প্রকাশ করেন আহমেদ মারুফ।
আরও পড়ুন: কেউ দেশ অস্থিতিশীল করতে চাইলে সরকার হার্ডলাইনে যাবে: তথ্য উপদেষ্টা
সাক্ষাতে উপদেষ্টা পাকিস্তানে বাংলাদেশি চ্যানেল সম্প্রচারের ক্ষেত্রে পাকিস্তান সরকারের সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন।
এ সময়ে পাকিস্তান হাইকমিশনের প্রেস কাউন্সিলর ফসিহ উল্লাহ ও তথ্য উপদেষ্টার একান্ত সচিব সৈয়দ এনামুল কবির উপস্থিত ছিলেন।
২৬৩ দিন আগে
বাংলাদেশের পোশাক আমদানিতে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শুল্কারোপ ভুল সিদ্ধান্ত: পল ক্রুগম্যান
বাংলাদেশের পোশাক আমদানিতে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শুল্কারোপ ভুল সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেছেন নোবেলজয়ী মার্কিন অর্থনীতিবিদ পল ক্রুগম্যান।
মার্কিন সংবাদপত্র নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্রুগম্যান বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানিতে শুল্ক বসানো ঠিক হয়নি। এই পদক্ষেপে মার্কিন নাগরিকদের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাবে।’
পল বলেন, ‘অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদনশীলতা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। সরবরাহব্যবস্থা বিবেচনায় বাংলাদেশ, ভিয়েতনামের ওপর শুল্ক বসানো ঠিক হয়নি। আর কানাডা ও মেক্সিকোর মতো প্রতিবেশী দেশের পণ্যে উচ্চ শুল্ক আরোপ করা একেবারেই অযৌক্তিক।’
উচ্চ শুল্কারোপ করে বাণিজ্য–ঘাটতি কমিয়ে আনা বেশ কঠিন। দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে পারস্পরিক অনেক ধরনের বোঝাপড়া থাকে, এ কারণে শুল্কের প্রভাব অনেক সময় কমে যায়। এ অবস্থায় উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ করে বাণিজ্য ঘাটতি কমানো সম্ভব নয় বলে মনে করেন তিনি।
অনেকটা তাচ্ছিল্য করেই পল বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন আন্তর্জাতিক বাণিজ্যই বন্ধ করে দিতে পারে। বাণিজ্য না হলে তো বাণিজ্য ঘাটতিও থাকবে না।’
পলের মতে, পৃথিবীতে এমন কোনো দেশ নেই যারা সবকিছু উৎপাদন করতে পারে। কিছু না কিছু পণ্য তাদের আমদানি করতে হয়। আবার যাদের হাতে কিছু উদ্বৃত্ত থাকে, তারা সেগুলো রপ্তানি করে। এভাবেই বিশ্বে একটি সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে।
ফলে কোনো দেশ তাদের পণ্য রপ্তানি করছে মানেই ঢালাওভাবে তারা অন্যায্য বাণিজ্যনীতি অনুসরণ করছে— এমনটা ভাবার কোনো সুযোগ নেই। ট্রাম্প প্রশাসন যেভাবে শত্রু-মিত্র, কাছের-দূরের সব দেশের ওপরই শুল্কারোপ করেছে তাতে এই বাস্তবতা সম্পর্কে তারা অবগত নন বলে মনে করেন নোবেলজয়ী এ অর্থনীতিবিদ।
আরও পড়ুন: ইইউ'র পোশাক আমদানি কমেছে ৩.৬৩ শতাংশ, বাংলাদেশের রপ্তানি কমেছে ৩.৫৩ শতাংশ
তাছাড়া দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কোন নীতিতে শুল্ক নির্ধারণ করেছেন তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন পল। যে-সব দেশের সঙ্গে বাণিজ্য-ঘাটতি রয়েছে সেসব দেশের আমদানি দিয়ে ভাগ করে শুল্ক হার নির্ধারণ করা এবং তার অর্ধেক হারে সেই দেশের ওপর শুল্ক আরোপ করা—এমন কোনো পদ্ধতি সম্পর্কে তিনি কোনো পাঠ্যপুস্তকেও পড়েননি বলে জানান। পল নীতিকে সম্পূর্ণ অবাস্তব বলে আখ্যা দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ৩ এপ্রিল আকস্মিকভাবে ১০০ টির মতো দেশের ওপর বহুল আলোচিত পাল্টা শুল্কারোপ করেন ট্রাম্প। এর মধ্যে বাংলাদেশি পণ্যে ৩৭ শতাংশ শুল্ক ধার্য করেন তিনি। এতে বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ বাংলাদেশের অর্থনীতি ব্যাপকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পণ্য রপ্তানির ওপর নির্ভরশীল, বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাত। এককভাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি গন্তব্য হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
২৬৪ দিন আগে
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় ত্রাণ নিয়ে মিয়ানমার গেল বাংলাদেশি জাহাজ
সম্প্রতি শক্তিশালী ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারের উদ্দেশে ত্রাণ, জরুরি চিকিৎসাসামগ্রী ও অন্যান্য মানবিক সহায়তা নিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ 'বানৌজা সমুদ্র অভিযান' চট্টগ্রাম বন্দর ত্যাগ করেছে।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আরিফ হোসেনের নেতৃত্বে জাহাজটি প্রায় ১২০ মেট্রিক টন ত্রাণসহ মিয়ানমারের উদ্দেশে যাত্রা করে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
এতে বলা হয়, আশা করা হচ্ছে, জাহাজটি আগামী ১১ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন বন্দরে পৌঁছাবে। সেখানে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মিয়ানমার সরকারের প্রতিনিধি দলের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ত্রাণসামগ্রী হস্তান্তর করা হবে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনায়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের পৃষ্ঠপোষকতা ও সার্বিক তত্ত্বাধানে এই সহায়তা কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী, সেনা কল্যাণ সংস্থা এবং রেড ক্রিসেন্টের সহযোগিতায় প্রাপ্ত ১২০ টন ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ৭৭ মেট্রিক টন শুকনো খাবার, ৯ টনেরও অধিক তাবু এবং ব্যবহারযোগ্য বস্ত্রাদি, ২৯ টন বিশুদ্ধ খাবার পানি, ৪ টন হাইজিন কিট এবং প্রায় ১ টন প্রয়োজনীয় ঔষধ সামগ্রী।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে সংঘটিত ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে দুই ধাপে সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর পরিবহন বিমানের মাধ্যমে ৩১ দশমিক ৫ টন ত্রাণ সামগ্রী, উদ্ধার ও চিকিৎসা সহায়তাকারী দল পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের ভূমিকম্পের পর ৮৯ আফটারশক অনুভূত
২৬৫ দিন আগে
আইএমও কাউন্সিলের সদস্য পদে বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক প্রার্থিতা ঘোষণা
নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম. সাখাওয়াত হোসেন ২০২৬-২০২৭ মেয়াদের জন্য আইএমও কাউন্সিলের ক্যাটাগরি সি-এর সদস্য হিসেবে বাংলাদেশের প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন।
সোমবার(৭ এপ্রিল) লন্ডনে আইএমও ডেলিগেটস লাউঞ্জে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি এ ঘোষণা দেন।
অনুষ্ঠানে আইএমও মহাসচিব আর্সেনিও ডমিঙ্গুয়েজ, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, স্থায়ী প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন সদস্য রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বাংলাদেশ থেকে হাই কমিশনার এবং আইএমও-তে স্থায়ী প্রতিনিধি আবিদা ইসলাম, ডেপুটি হাই কমিশনার হযরত আলী খান, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম, কাউন্সেলর (মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স) এবং বিকল্প স্থায়ী প্রতিনিধি ক্যাপ্টেন কাজী এ বি এম শামীম এবং কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) মৌমিতা জিনাত উপস্থিত ছিলেন।
নৌপরিবহন উপদেষ্টা বাংলাদেশের সামুদ্রিক ঐতিহ্য, ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে কৌশলগত অবস্থান এবং বিশ্ব বাণিজ্যে ক্রমবর্ধমান ভূমিকা তুলে ধরেন। প্রতি বছর ৫ হাজারের বেশি জাহাজসহ ৯৫টি সমুদ্রগামী এবং ২০ হাজারের বেশি উপকূলীয় জাহাজ বাংলাদেশের বন্দরে আসে। টেকসই সামুদ্রিক উন্নয়নের প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে তিনি আইএমও-এর কার্বনমুক্তকরণের যে লক্ষ্যে রয়েছে—তার প্রতি দৃঢ় সমর্থন ব্যক্ত করেন। একই সঙ্গে জাহাজ রিসাইক্লিনিং দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশ বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশ ১২০ জনেরও অধিক নারীসহ ২১ হাজারের বেশি প্রশিক্ষিত নাবিক নিয়ে সামুদ্রিক নিরাপত্তা, নাবিক কল্যাণ এবং জেন্ডার অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।
আরও পড়ুন: আইএমও'র প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের অব্যাহত সম্পৃক্ততা ও নেতৃত্বের প্রত্যাশা করছি: সংস্থাটির প্রধান
২৬৫ দিন আগে
প্রথম ধাপে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা ফেরত নেবে মিয়ানমার
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ৮ লাখ রোহিঙ্গা থেকে প্রথম ধাপে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তনের জন্য চিহ্নিত করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। তাদের ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশকে নিশ্চিত করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে এক বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমানের কাছে মিয়ানমারের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী উ থান শিউ এ কথা জানান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, ২০১৮ থেকে ২০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ছয় দফায় এই তালিকাটি মিয়ানমারকে দিয়েছিল। এছাড়া, আরও ৭০ হাজার রোহিঙ্গার চূড়ান্ত যাচাইকরণের কাজ চলছে বলেও জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: আগামী ঈদ নিজ দেশে করবে রোহিঙ্গারা, প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার
এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, চলমান রোহিঙ্গা সংকটের দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের দিকে এই প্রথমবারের মতো কোনো তালিকার বিষয়টি নিশ্চিত করল মিয়ানমার।
মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, আরও ৫ লাখ ৫০ হাজার রোহিঙ্গার পরিচয় যাচাইয়ের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা হবে।
সাক্ষাৎকালে ড. খলিলুর রহমান মিয়ানমারে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশ আরও মানবিক সহায়তা পাঠাতে প্রস্তুত রয়েছে।
২৬৮ দিন আগে
তরুণদের সম্পৃক্ততা বাড়াতে বিমসটেক ইয়ুথ ফেস্টিভ্যালের পরামর্শ ড. ইউনূসের
দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট বিমসটেকের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর তরুণ-তরুণীদের মধ্যে সম্পৃক্ততা বাড়াতে একটি ইয়ুথ ফেস্টিভ্যাল (যুব উৎসব) আয়োজনের জন্য জোটের সচিবালয়কে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের শেষে ব্যাংককে জোটের মহাসচিব ইন্দ্র মণি পাণ্ডে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
এদিন সম্মেলনের শেষে বিমসটেকের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে বাংলাদেশের পক্ষে দায়িত্ব গ্রহণ করেন অধ্যাপক ইউনূস। এ সময় দুই বছর পর ঢাকায় অনুষ্ঠেয় পরবর্তী বিমসটেক সম্মেলনের সময় তরুণদের জন্য আলাদা একটি সম্মেলনের আয়োজনের কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: মোদি-ইউনূস বৈঠক: হাসিনাকে প্রত্যর্পণসহ সীমান্ত হত্যা নিয়ে আলোচনা
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ইউএনবিকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর জোটের ভবিষ্যৎ উদ্যোগ নিয়ে আলোচনার জন্য প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিমসটেক মহাসচিব।
এ সময় ড. ইউনূস তাকে বলেন, ‘বিমসটেক নেতারা যখন মিলিত হবেন, তখন আলাদাভাবে তরুণদের জন্য একটি সভা হওয়া উচিত। এতে সদস্য দেশগুলোর তরুণদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে উঠবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি যৌথ ইয়ুথ ফেস্টিভ্যাল হওয়া উচিত। যেখানে প্রতিটি দেশ নিজেদের মতো অংশ নেবে এবং একটি দেশ নেতৃত্ব দেবে। এ উৎসব তরুণ-তরুণীদের একত্রিত করবে।’
এই প্রস্তাবগুলোকে স্বাগত জানিয়ে মহাসচিব পান্ডে বলেন, ‘এ ধারণাগুলো অসাধারণ। আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এগুলো বাস্তবায়নে কাজ করব।’
এ সময় বিমসটেক মহাসচিবের কাছ থেকে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি আলোচনার অবস্থা সম্পর্কেও খোঁজখবর নেন প্রধান উপদেষ্টা। জবাবে বিমসটেক মহাসচিব জানান, সদস্য দেশগুলোর বাণিজ্য ও বাণিজ্যমন্ত্রীদের একটি বৈঠক আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে, যা গত ২১ বছরে অনুষ্ঠিত হয়নি।
আরও পড়ুন: অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করব: প্রধান উপদেষ্টা
বিমসটেক সচিবালয়কে সংস্থার কার্যক্রমের ফলপ্রসূ বাস্তবায়নের জন্য একটি বার্ষিক বৈঠকের ক্যালেন্ডার তৈরিরও আহ্বান জানান ড. ইউনূস।
শুক্রবার ব্যাংককে বিমসটেকের ষষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলন শেষে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতোংতার্ন শিনাওয়াত্রা নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।
২৬৮ দিন আগে
মোদিকে আলোকচিত্র উপহার দিলেন ড. ইউনূস
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে একটি আলোকচিত্র উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের সাংরিলা হোটেলে ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন শেষে স্থানীয় সময় শুক্রবার (৪ এপ্রিল) মধ্যাহ্নের পর দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এই উপহার দেন তিনি।
২০১৫ সালের ৩ জানুয়ারি মুম্বাইয়ে ১০২তম ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসে ড. ইউনূসকে একটি স্বর্ণপদক দেন নরেন্দ্র মোদি। সেই ছবিটিই মোদিকে উপহার দেন প্রধান উপদেষ্টা।
বৈঠকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণসহ দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করেন দুই নেতা। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের এমন তথ্য দিয়েছেন।
দুই নেতার বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘বৈঠকে দুদেশের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট যতগুলো ইস্যু ছিল, সবগুলো নিয়ে কথা হয়েছে। আমাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট যতগুলো বিষয় ছিল, সবগুলো বিষয়ই প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন। যেমন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের বিষয়ে কথা হয়েছে। শেখ হাসিনা যে ওখানে (ভারতে) বসে ইনসিন্ডিয়ারে (হিংসাত্মক) কথা বলছেন, সেগুলো নিয়ে কথা হয়েছে। সীমান্ত হত্যাকাণ্ড নিয়ে কথা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘গঙ্গা পানি চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে, নতুন করে সেটা করা নিয়ে কথা হচ্ছে। তিস্তা পানি চুক্তি নিয়েও কথা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: মোদি-ইউনূস বৈঠক: হাসিনাকে প্রত্যর্পণসহ সীমান্ত হত্যা নিয়ে আলোচনা
বৈঠকটি অনেক গঠনমূলক ও ফলপ্রসূ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন শফিকুল আলম।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার উচ্চপ্রতিনিধি খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি–বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম ও পররাষ্ট্রসচিব মো. জসিম উদ্দিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর এই প্রথমবারের মতো অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির বৈঠক হয়েছে।
২৬৯ দিন আগে