বৈদেশিক-সম্পর্ক
মোদি-ইউনূস বৈঠক: হাসিনাকে প্রত্যর্পণসহ সীমান্ত হত্যা নিয়ে আলোচনা
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণসহ দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কথা হয়েছে।
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের সাংরিলা হোটেলে ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন শেষে স্থানীয় সময় শুক্রবার (৪ এপ্রিল) মধ্যাহ্নের পর তাদের দ্বিপক্ষীয় এই বৈঠক হয়েছে।
পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের এমন তথ্য দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করবো: প্রধান উপদেষ্টা
দুই নেতার বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘বৈঠকে দুদেশের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট যতগুলো ইস্যু ছিল, সবগুলো নিয়ে কথা হয়েছে। আমাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট যতগুলো বিষয় ছিল, সবগুলো বিষয়ই প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন। যেমন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের বিষয়ে কথা হয়েছে। শেখ হাসিনা যে ওখানে (ভারতে) বসে ইনসিন্ডিয়ারে (হিংসাত্মক) কথা বলছেন, সেগুলো নিয়ে কথা হয়েছে। সীমান্ত হত্যাকাণ্ড নিয়ে কথা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘গঙ্গা পানি চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে, নতুন করে সেটা করা নিয়ে কথা হচ্ছে। তিস্তা পানি চুক্তি নিয়েও কথা হয়েছে।’
বৈঠকটি অনেক গঠনমূলক ও ফলপ্রসূ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন শফিকুল আলম।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার উচ্চপ্রতিনিধি খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি–বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম ও পররাষ্ট্রসচিব মো. জসিম উদ্দিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর এই প্রথমবারের মতো অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির বৈঠক হয়েছে।
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ডে প্রথমবারের মতো মোদি-ইউনূস বৈঠক
২৬৯ দিন আগে
থাইল্যান্ডে প্রথমবারের মতো মোদি-ইউনূস বৈঠক
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে দুই নেতার মধ্যে এই বৈঠক হয়। যা জুলাই অভ্যুত্থানের পর ঢাকা-দিল্লির সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বার্তা সংস্থা ইউএনবি এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার উচ্চপ্রতিনিধি খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি–বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম ও পররাষ্ট্রসচিব মো. জসিম উদ্দিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর এই প্রথমবারের মতো অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির বৈঠক হয়েছে।
এরআগে বৃহস্পতিবার বিমসটেক সম্মেলনের নৈশভোজে দুই নেতার সাক্ষাৎ হয় এবং তারা কুশলাদি বিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করবো: প্রধান উপদেষ্টা
২৬৯ দিন আগে
অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করব: প্রধান উপদেষ্টা
যত দ্রুত সম্ভব একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনই অন্তর্বর্তী সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার (৪ এপ্রিল) থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এমন অঙ্গীকারের কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আমাদের জনগণকে আশ্বস্ত করেছি যে, প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন হলে আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব অনুযায়ী আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করব। আমাদের জনগণ একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়সঙ্গত ও স্বাধীন সমাজের স্বপ্ন দেখেছিল যেখানে প্রতিটি সাধারণ মানুষ তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারে।’
বাংলাদেশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ তুলে ধরে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ১৯৭১ সালে লাখ লাখ সাধারণ নারী-পুরুষ, শিশু ও যুবক একটি নৃশংস সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ৯ মাসব্যাপী গণহত্যায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছিল।
আরও পড়ুন: স্টারলিংক বাংলাদেশের ডিজিটাল জগতে বিপ্লব আনবে: প্রধান উপদেষ্টা
ড. ইউনূস আরও বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে, গত পনেরো বছরে আমাদের জনগণ বিশেষ করে যুবসমাজ, ক্রমাগত তাদের অধিকার ও স্বাধীনতা সংকুচিত হতে দেখেছে। তারা রাষ্ট্রের প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের অবক্ষয় ও নাগরিক অধিকারের অবমাননা প্রত্যক্ষ করেছে।’
তিনি বলেন, সাধারণ জনগণ একটি নৃশংস স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটিয়েছে। কিন্তু স্বৈরাচারী শাসকের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে প্রায় ২ হাজার নিরীহ মানুষ, যাদের বেশিরভাগই তরুণ এবং ১১৮ জন শিশু প্রাণ হারিয়েছে।
‘বাংলাদেশের জনগণ তার ইতিহাসে এক নবজাগরণ প্রত্যক্ষ করেছে। যেসব ছাত্রনেতা এই গণজাগরণে নেতৃত্ব দিয়ে শেখ হাসিনার দুর্নীতিগ্রস্ত ও স্বৈরাচারী শাসন থেকে দেশকে মুক্ত করেছে, তারা তাকে অনুরোধ করেছিল এই সংকটময় মুহূর্তে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিতে। আমি আমাদের জনগণের স্বার্থে এই দায়িত্ব গ্রহণে সম্মত হয়েছি।’
সরকারপ্রধান বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে তারা অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও টেকসই প্রবৃদ্ধি পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য বলিষ্ঠ ও সুদূরপ্রসারী সংস্কার গ্রহণ করবে। আমরা সুশাসন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই এবং অর্থনীতির প্রতিটি ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা আনার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই বিষয়গুলোই আমাদের পরিকল্পিত সংস্কারের মূল লক্ষ্য।
তিনি বলেন, সরকার ইতিমধ্যে বিচার ব্যবস্থা, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, পুলিশ, দুর্নীতি দমন কমিশন ও সংবিধান সংস্কারের জন্য ছয়টি কমিশন গঠন করেছে, যাতে জনগণের মালিকানা, জবাবদিহিতা ও কল্যাণ নিশ্চিত করা যায়। এই কমিশনগুলো ইতিমধ্যে তাদের সুপারিশ জমা দিয়েছে, যা বর্তমানে সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা ৭ সদস্যবিশিষ্ট একটি ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’ গঠন করেছি। আমি নিজেই যার নেতৃত্ব দিচ্ছি এবং এতে ছয়টি কমিশনের প্রধানরা রয়েছেন। এই কমিশনগুলো যে সুপারিশগুলো জমা দিয়েছে, তা পর্যালোচনা এবং গ্রহণ করার জন্য এ কমিশন গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা
সরকার প্রধান আরও জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সম্প্রতি আরো চারটি কমিশন গঠন করেছে, গণমাধ্যম, স্বাস্থ্য, শ্রম এবং নারী অধিকার সংক্রান্ত নীতিগত সুপারিশ দেওয়ার লক্ষ্যে।
তিনি বলেন, ‘আমরা যখন বাংলাদেশকে পুনর্গঠন করছি, তখন আমরা দেশের প্রতিটি নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে অবিচলভাবে কাজ চালিয়ে যাব, তারা নারী হোক কিংবা জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু হোক।’
অনুষ্ঠানে থাই প্রধানমন্ত্রী এবং সম্মেলনের চেয়ারপার্সন পেতংতার্ন শিনাওয়াত্রা, বিমসটেক মহাসচিব রাষ্ট্রদূত ইন্দ্র মনি পান্ডে এবং বিমসটেক সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
২৬৯ দিন আগে
সম্পদ ও ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হলে সমাজ ভেঙে পড়ে: ড. ইউনূস
সম্পদ ও ক্ষমতার কেন্দ্রীভূত হওয়ার ঝুঁকি তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, একটি সমাজে সম্পদ ও ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হলে আজ হোক বা কাল, সেই সমাজ ভেঙে পড়েই। তিনি বলেছেন, ‘সম্পদের বণ্টন না হলে সমাজ টিকিয়ে রাখা মুশকিল হয়ে পড়ে।’
বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বিমসটেক ইয়াং জেনারেশন ফোরামে দেওয়া বক্তব্যে অধ্যাপক ইউনূস এসব কথা বলেন।
ক্ষুদ্রঋণ সৃষ্টি, সামাজিক ব্যবসা উদ্ভাবন ও দারিদ্র্য বিমোচনে ভূমিকায় রাখায় নোবেল শান্তি পুরস্কার অর্জনকারী অধ্যাপক ইউনূস বিমসটেক সম্মেলনে যোগ দিতে দুই দিনের সফরে এখন ব্যাংকক রয়েছেন।
ব্যাংককে বঙ্গোপসাগরীয় দেশগুলোর আঞ্চলিক সহযোগিতা জোটের (বিমসটেক) ষষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলন চলছে। আগামীকাল (শুক্রবার) সম্মেলনের শেষের দিন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। আগামী দুই বছর বাংলাদেশ এই জোটের নেতৃত্ব দেবে। ২০২২ সালের ৩০ মার্চ পঞ্চম শীর্ষ সম্মেলনে শ্রীলঙ্কার কাছ থেকে বিমসটেকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিল থাইল্যান্ড।
ফোরামে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে নতুন সভ্যতা সম্পর্কে ড. ইউনূস বলেন, ‘লোভ-লালসায় প্রভাবিত হয়ে কোনোভাবেই ব্যবসা পরিচালনা করা যাবে না। নতুন সভ্যতার এটাই প্রথম শর্ত।’
‘লোভ আমাদের ধ্বংস করে দেবে। কারণ যদিও আমরা সরকারকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে আমরা এটা-সেটা করছি। আমাদের দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, জিডিপি বাড়ছে এবং প্রবৃদ্ধির হার এত বেশি। কিন্তু বাস্তবে তার কতটুকু হচ্ছে? দেশের সম্পদ গুটিকয়েক মানুষের হাতে কেন্দ্রীভূত হয়ে যাচ্ছে। তারা ধনী থেকে আরও ধনী হচ্ছে, আর আমরা এটাকে বলছি উন্নয়ন। এটাকে আমরা বলি প্রবৃদ্ধি, চমৎকার অর্থনীতি। আর এভাবেই আত্মবিনাশের বীজ রোপিত হয়।’
এই একটিমাত্র কারণে সভ্যতা টিকতে পারে না; আমাদের গ্রহকে তারা ধ্বংস করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
২৬৯ দিন আগে
বিমসটেক: ড. ইউনূস ও মোদির সাক্ষাৎ, একসঙ্গে নৈশভোজ
বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে বহুখাতীয়, কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা উদ্যোগ—বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক নৈশভোজে একে অপরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সম্মেলনে অংশ নেওয়া বিভিন্ন দেশের নেতাদের জন্য বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) এই নৈশভোজের আয়োজন করেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ ইউএনবিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিন শাংগ্রি-লা হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে বিমসটেক নেতাদের স্বাগত জানান থাই প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন সিনাওয়াত্রা। এরপর নৈশভোজে একটি সংক্ষিপ্ত বক্তব্যও দেন তিনি।
আনুষ্ঠানিক নৈশভোজে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছবিও তোলেন থাই প্রধানমন্ত্রী সিনাওয়াত্রা।
২৬৯ দিন আগে
জাম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশি হাইকমিশনারের পরিচয়পত্র পেশ
জাপ্রেসিডেন্ট হাকাইন্দে হিচিলেমার কাছে অনাবাসিক হাইকমিশনার হিসেবে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার রাজধানী প্রিটোরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশি হাইকমিশনার শাহ্ আহমেদ শফী।ম্বিয়ার
বুধবার (২ মার্চ) জাম্বিয়ার রাজধানী লুসাকায় এক অনুষ্ঠানে কানাডা ও বেলারুশসহ আরও চারটি দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা তাদের পরিচয়পত্র দিয়েছেন।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানিয়েছেন প্রিটোরিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রথম সচিব তৌফিকুল ইসলাম।
এ সময়ে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও তা উন্নয়নের প্রতি জোর দেন শাহ্ আহমেদ শফী। তিনি তার বক্তব্যে বাংলাদেশ ও জাম্বিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং জাম্বিয়ার সাথে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার যে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে, সে ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেছেন।
বিশেষকরে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক ও ঔষধ রপ্তানি এবং বিভিন্ন ধরনের পেশাজীবীদের কর্মের সুযোগ তৈরির জন্য জাম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের কাছে তিনি আহ্বান জানান। এ সময়ে জাম্বিয়াতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানা স্থাপনে উভয় দেশই লাভবান হবে বলে জানান।
তিনি বলেন, এতে করে জাম্বিয়ার জনগণের ব্যাপকহারে কর্মসংস্থান তৈরি হবে এবং তারা এ শিল্পে দক্ষতা অর্জন করবে।
২৬৯ দিন আগে
বাংলাদেশি পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ৩৭ শতাংশ শুল্কারোপ
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন ‘পারস্পরিক শুল্ক’ নীতির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানিতে ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) হোয়াইট হাউস থেকে প্রকাশিত তালিকা অনুসারে, মার্কিন সরকার দাবি করেছে, বাংলাদেশ কার্যকরভাবে আমেরিকান পণ্যে ৭৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। জবাবে, মার্কিন বাজারে বাংলাদেশি পণ্য প্রবেশে ৩৭ শতাংশ ‘ছাড়প্রাপ্ত পারস্পরিক শুল্ক’ আরোপ করা হবে।
আমেরিকার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে ট্রাম্প এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন। মার্কিন পণ্য রফতানির বিরুদ্ধে বিভিন্ন দেশ যে ব্যাপক বাধা তৈরি করে রেখেছে, সেই ‘অন্যায় বাণিজ্য চর্চা’ প্রতিরোধেই ট্রাম্প প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই নীতিতে সব আমদানির ওপর ১০ শতাংশ শুল্কের একটি ভিত্তিরেখা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, যেসব দেশ—মার্কিন প্রশাসনের ভাষায়—মুদ্রার অপব্যবহার, সুরক্ষাবাদ কিংবা অন্যান্য অ-শুল্ক বাধা তৈরি করে রেখেছে, তাদের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্যহারে উচ্চমাত্রায় শুল্ক আরোপ করা হবে।
আকস্মিক এই শুল্কারোপে বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে। কারণ বাংলাদেশের অর্থনীতি ব্যাপকভাবে যুক্তরাষ্ট্রে রফতানির ওপর নির্ভরশীল, বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাত। এককভাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রফতানি গন্তব্য হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন: অতিরিক্ত শুল্কারোপ, বেনাপোল বন্দর দিয়ে ফল অমদানি বন্ধ
এতে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা কিছুটা কমে আসবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শিল্পখাত সংশ্লিষ্টরা। একইসাথে ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য বাণিজ্য অংশীদার দেশগুলোর ওপরও এই শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
ভারতীয় পণ্যে ২৬ শতাংশ পারস্পরিক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, দেশটিতে মার্কিন পণ্য রফতানিতে ৫২ শতাংশ বাধা রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আর পাকিস্তানের ওপর ২৯ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে মার্কিন প্রশাসন। তাদের দাবি, পাকিস্তানি বাজারে মার্কিন পণ্যের জন্য ৫৮ শতাংশ বাণিজ্য বাধা রয়েছে।
গেল কয়েক দশক ধরে একপাক্ষিক এই বাণিজ্য সম্পর্ক চলে আসছে, যা অনেক আগেই সংশোধন করা উচিত ছিল বলে দাবি করেছে হোয়াইট হাউস। কিন্তু সমালোচকরা বলছেন, এতে দেশগুলো থেকে পাল্টা পদক্ষেপ আসতে পারে এবং মার্কিন ব্যবসা ও পরিবারগুলোতে খরচ বেড়ে যেতে পারে।
২৭০ দিন আগে
সেভেন সিস্টার্স নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা সৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কথাই বলেছেন: হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভারতের পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্য (সেভেন সিস্টার্স) নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, তা ভিন্নভাবে উপস্থাপিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তার রোহিঙ্গা সমস্যা ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলি-সংক্রান্ত হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘অত্যন্ত সৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কথাই প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন। এর ব্যাখ্যা যদি অন্যরকম দেওয়া হয়, তাহলে আমরা তা ঠেকাতে পারছি না।’
বুধবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি চীন সফরে গিয়ে দেশটির ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান ড. ইউনূস। সে সময় বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থানের গুরুত্ব উল্লেখ করে বাণিজ্য ও ব্যবসা সম্প্রসারণে সমুদ্রের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘নেপাল ও ভুটান স্থলবেষ্টিত দেশ, যাদের কোনো সমুদ্র নেই। ভারতের সাতটি উত্তর-পূর্বঞ্চলীয় রাজ্যও স্থলবেষ্টিত। সমূদ্রের সঙ্গে তাদের কোনো সংযোগ নেই।’
‘এই অঞ্চলের জন্য সমুদ্রে আমরাই একমাত্র অভিভাবক। সুতরাং, এটি একটি বিশাল সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে। সুতরাং, চীনা অর্থনীতির সম্প্রসারণে এটি দারুণ সম্ভাবনাময় হতে পারে।’
আরও পড়ুন: চীন সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
চীনা বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশে পণ্য উৎপাদন করুন, বাজারজাত করুন, চীনেও নিয়ে আসুন এবং তা সারা বিশ্বের কাছে নিয়ে যান।’
অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান বলেন, ‘নেপাল ও ভুটানের সীমাহীন জলবিদ্যুৎ রয়েছে, যা এ অঞ্চলের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। কারখানা স্থাপনসহ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে আমরা এটিকে আমাদের পরিকল্পনার মধ্যে নিয়ে আসতে পারি।’
‘বাংলাদেশ থেকে আপনি যেখানে খুশি যেতে পারেন। সমুদ্র আমাদের আঙিনায়। সুতরাং, এই সুযোগটি আপনি নিতে পারেন।’
প্রধান উপদেষ্টার এ মন্তব্য ভালোভাবে নেয়নি ভারত। এর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ভারতের বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা।
দেশটির প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের মিডিয়া ও জনসংযোগ বিভাগের প্রধান পবন খেরা এক এক্স পোস্টে লিখেছেন, ‘ভারতকে ঘিরে ফেলার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ চীনকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের এই আচরণ (ভারতের) উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য খুবই বিপজ্জনক।’
আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেন, “বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের এই মন্তব্য খুবই আপত্তিকর এবং নিন্দনীয়। এটি ভারতের কৌশলগত ‘চিকেনস নেক’ করিডোরের দুর্বলতা নিয়ে প্রচলিত বর্ণনাকে পুনরায় উসকে দিচ্ছে।”
ভারতের এমন প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে জানতে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে ড. খলিলুর রহমান বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা সেভেন সিস্টার্স নিয়ে এই প্রথমবার কথা বলেননি। তিনি ২০১২ সালেও একই ধরনের কথা বলেছিলেন।’
‘এর চাইতে একটু এগিয়ে গিয়ে ২০২৩ সালে জাপানের প্রধানমন্ত্রী দিল্লিতে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, নর্থ ইস্ট ইন্ডিয়া ও বাংলাদেশ একটি ভ্যালু চেইনে আবদ্ধ করা এবং তিনি এ প্রসঙ্গে একটি একক অর্থনৈতিক অঞ্চলের কথাও বলেছিলেন তিনি, যেটাকে বিগ বে ইনেশিয়েটিভ বলে গণ্য করা হয়।’
আরও পড়ুন: মোদি-ইউনূসের বৈঠক হতে পারে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে
তিনি বলেন, ‘কানেক্টিভিটি এই অঞ্চলের সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে। বিশেষ করে যাদের জন্য সমুদ্রের এক্সেস পাওয়া খুব কঠিন। কিন্তু আমরা কানেক্টিভিটি জোর করে চাপিয়ে দেব না, সেটি করার মতো অবস্থাও আমাদের নেই।’
‘কেউ যদি নেয় খুব ভালো, না নিলে কী করব আমরা? কিছু করার নেই। অত্যন্ত সৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কথাই প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন। এর ব্যাখ্যা যদি অন্যরকম দেওয়া হয়, আমরা সেই ব্যাখ্যা ঠেকাতে পারছি না। আমরা শুধু সবার সমান লাভের জন্য কানেক্টিভিটি দিতে আগ্রহী আছি। কেউ নিলে ভালো, না নিলে নেবেন না।’
আগামী বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে প্রধান উপদেষ্টার।
এ বিষয়ে হাই রিপ্রেজেন্টেটিভের বক্তব্য, ‘আশা করা যাচ্ছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। আমাদের আশাবাদী হওয়ার কারণ আছে। তবে যতক্ষণ পর্যন্ত বৈঠক না হচ্ছে, এ প্রসঙ্গে আমরা আগ বাড়িয়ে কিছু বলব না।’
২৭০ দিন আগে
মোদি-ইউনূসের বৈঠক হতে পারে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে
বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক হতে পারে। বুধবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এমন তথ্য জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উচ্চপ্রতিনিধি খলিলুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘আমরা বৈঠকের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ করেছি। এ ক্ষেত্রে আশাবাদী থাকতে আমাদের কাছে সঙ্গত কারণ আছে। বৈঠকটি হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।’
প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম ও উপ-প্রেসসচিব আবুল কালাম মজুমদার এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন।
যদি তা-ই হয়, তাহলে এটি হবে মোদি-ইউনূসের প্রথম সরাসরি কোনো বৈঠক। বৈঠকে অংশ নিতে বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের উদ্দেশে রওনা দেবেন ড. ইউনূস।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর গেল বছরের ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়। এরআগে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে মোদি-ইউনূসের বৈঠকের আয়োজনে কূটনৈতিকভাবে ভারতের কাছে প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ।
আগামী ৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ঢাকায় বিমসটেকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ২৬তম সম্মেলনের আয়োজন করবে।আরও পড়ুন: বিমসটেক ইয়াং জেন ফোরামে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন ড. ইউনূস
সম্প্রতি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জসিম উদ্দিন বলন, ‘মোদির সঙ্গে ইউনূসের বৈঠক হলে দুই দেশের সম্পর্ক ঘিরে যে টানাপোড়েন চলছে, তা কেটে যাবে।’
এদিকে ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ড. ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানান নরেন্দ্র মোদি। এতে দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চাওয়া হয়েছে। মোদি বলেন, ‘দুদেশের মধ্যকার বন্ধুত্বের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে প্রত্যাশা করছি।’
সোমবার (৩১ মার্চ) রাতে প্রধান উপদেষ্টার গণমাধ্যম শাখার প্রকাশিত বার্তায় এমন তথ্য জানা গেছে। পবিত্র রমজান মাস যখন শেষ হয়ে আসছিল, তখন সেই সময়টিকে ড. ইউনূসকে উষ্ণ অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাতে কাজে লাগান মোদি।
বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিকাল এন্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন (বিমসটেক) একটি আঞ্চলিক জোট। ১৯৯৭ সালের ৬ জুন ব্যাংককে বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের একটি বৈঠকে এই জোট গঠন করা হয়।
বিমসটেকের মূল উদ্দেশ্য, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং বঙ্গোপসাগর উপকূলের দেশগুলোর মধ্যে প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পারস্পারিক সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি করা। ব্যবসা, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি, পর্যটন, মানব সম্পদ উন্নয়ন, কৃষি উন্নয়ন, মৎস্য সম্পদ, যোগাযোগ ব্যবস্থা, পোশাক ও চামড়া শিল্পসহ আরও অনেকগুলো ক্ষেত্র বিমসটেকের মূল উদ্দেশ্যের সঙ্গে জড়িত।
খলিলুর রহমান বলেন, ‘এবারের সম্মেলনের শেষের দিন বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যানের পদ থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে গ্রহণ করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরপর থেকে বিমসটেকের পরিচালনার একটা প্রধান ভূমিকা পালন করবে।’
২৭০ দিন আগে
‘অত্যন্ত সফল’ চীন সফর শেষে রাতে দেশে ফিরছেন প্রধান উপদেষ্টা
চীনে চার দিনের সরকারি সফরকে ‘মাইলফলক’ ও ‘অত্যন্ত সফল’ আখ্যায়িত করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের আজ (শনিবার) রাতে দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
শনিবার (২৯ মার্চ) রাত ৮টা ৪০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে তার।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ইউএনবিকে জানান, বেইজিং ক্যাপিটাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ড. ইউনূসকে বিদায় জানান চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের চিফ প্রটোকল অফিসার ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী মন্ত্রী হং লেই।
আরও পড়ুন: বিমসটেক ইয়াং জেন ফোরামে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন ড. ইউনূস
এর আগে, চার দিনের সফরে ২৬ মার্চ চীন পৌঁছান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরপর বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়ার (বিএফএ) মহাসচিবের আমন্ত্রণে ২৬ ও ২৭ মার্চ দেশটির হাইনান প্রদেশে অনুষ্ঠিত বিএফএ বার্ষিক সম্মেলন ২০২৫-এ যোগ দেন তিনি। সম্মেলনের সাইডলাইনে ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন চীনের স্টেট কাউন্সিলের ভাইস প্রিমিয়ার ডিং জুয়েশিয়াং।
তারপর চীন সরকারের আমন্ত্রণে ২৭ থেকে ২৯ মার্চ বেইজিং সফর করেন প্রধান উপদেষ্টা। এর মধ্যে গতকাল (শুক্রবার) চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন অধ্যাপক ইউনূস। সেখানে দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট হান ঝেংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধানের।
বৈঠককালে উষ্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ইস্যুতে মতবিনিময় করে উভয় পক্ষ। আলোচনাগুলোতে দুপক্ষ ব্যাপকভাবে ঐকমত্যেও পৌঁছায়।
আজ (শনিবার) সকালে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ড. ইউনূসকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এ সময় সেখানে উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের উদ্দেশে বক্তৃতা দেন প্রধান উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকুন: ড. ইউনূস
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট, বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের চেয়ারম্যান হে গুয়াংচাইসহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট, পরিষদ চেয়ারম্যান ও পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের একটি ছোট্ট দল তাকে স্বাগত জানান। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতাদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত বৈঠকও করেন মুহাম্মদ ইউনূস।
২৭৪ দিন আগে