বৈদেশিক-সম্পর্ক
দাভোসে দ্বিতীয় দিনে ১৪ বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বুধবার ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে (ডব্লিউইএফ) দ্বিতীয় দিনে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে বিভিন্ন বৈঠকে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এদিন অন্তত ১৪টি বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উপসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ইউএনবিকে জানান, ড. ইউনূসের সঙ্গে জার্মানির ফেডারেল চ্যান্সেলারির প্রধান ও ফেডারেল মিনিস্টার ফর স্পেশাল টাস্কস বিষয়ক মন্ত্রী ভল্ফগ্যাং স্মিডের সঙ্গে প্রথম বৈঠক করেন।
ডব্লিউইএফের বার্ষিক সভার ফাঁকে অনুষ্ঠিত এ সভায় এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, সচিব (পশ্চিম) এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দাভোসে পৌঁছেছেন ড. ইউনূস, পরিকল্পনায় ৪০টির বেশি কর্মসূচি
উপপ্রেস সচিব আজাদ বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ফাঁকে বেলজিয়ামের রাজা ফিলিপ এবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পাইতংতার্ন সিনাওয়াত্রার সঙ্গেও পৃথক বৈঠক করেন।
বুধবার ড. ইউনূসের প্রধান কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই কালচার অ্যান্ড আর্টস অথরিটির চেয়ারপারসন শেখ লতিফা বিনতে মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের সঙ্গে বৈঠক।
ড. ইউনূস মঙ্গলবার বিকালে ডাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে সোমবার দিবাগত রাতে ঢাকা ত্যাগ করেন এবং সেখানে পৌঁছানোর পর থেকে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ছয়টি বৈঠক করেছেন।
এর আগে জেনেভায় জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত তারেক মো. আরিফুল ইসলাম জুরিখ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান।
ড. ইউনূসের সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক (সিনিয়র সচিব) লামিয়া মোরশেদ, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, সচিব (পশ্চিম) এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ প্রমুখ।
২০২৫ সালের বার্ষিক সম্মেলন বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্ব নেতাদের জড়ো করেছে।
এর মধ্যে রয়েছে ভূ-রাজনৈতিক ধাক্কা মোকাবিলায় সাড়া দেওয়া, জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে প্রবৃদ্ধিকে চাঙা করা এবং ন্যায্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক জ্বালানি রূপান্তর পরিচালনা করা।
আরও পড়ুন: সুইজারল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন ড. ইউনূস
'কলাবোরেশন ফর দ্য ইন্টেলিজেন্ট এজ' প্রতিপাদ্যের এই বছরের সম্মেলনটি আহ্বান করা হয়েছে এবং প্রোগ্রামটি পাঁচটি বিষয়ে স্বতন্ত্র তবে অত্যন্ত আন্তঃসংযুক্ত ধারণাগত অগ্রাধিকারের উপর ভিত্তি করে পরিচালিত।
বৈঠকে ১৩০টিরও বেশি দেশের প্রায় তিন হাজার নেতা এবং ৬০টি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের ৬০টি রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানসহ ৩৫০ জন সরকার প্রধান একত্রিত হবেন।
৩৪০ দিন আগে
দাভোসে পৌঁছেছেন ড. ইউনূস, পরিকল্পনায় ৪০টির বেশি কর্মসূচি
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে মঙ্গলবার বিকেলে সুইজারল্যান্ডের জুরিখ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে জুরিখের স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ২৭ মিনিটে জুরিখ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন প্রধান উপদেষ্টা ও তার প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
এ সময় জেনেভায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মো. আরিফুল ইসলাম প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান। এরপর সড়ক পথে বিমানবন্দর থেকে দাভোসের উদ্দেশে রওনা হন ড. ইউনূস।
বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে দাভোসে পৌঁছানোর পর সম্মেলনের প্রথম দিন কুরপার্ক ভিলেজে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের নৈশভোজে যোগদানসহ বেশ কয়েকটি বৈঠক করার কথা রয়েছে প্রধান উপদেষ্টার।
দাভোসে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সঙ্গে প্রথম বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে ড. ইউনূসের। মঙ্গলবার দাভোস সময় বিকাল ৩টা ৫০ মিনিট থেকে ৪টা ২০ মিনিট পর্যন্ত এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে। এরপর তিনি শীর্ষস্থানীয় টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান টেলিনরের চেয়ারম্যান জেনস পেটার অলসেনের সঙ্গে (বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত) বৈঠক করবেন।
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারির শুরুতেই 'জুলাই ঘোষণা' নিয়ে ঐকমত্যের প্রত্যাশা ড. ইউনূসের
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আল গোর এবং মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের চেয়ারম্যান ক্রিস্টফ হিউজেনের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করার কথা রয়েছে তার।
ড. ইউনূস জাতিসংঘের ১১তম শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি এবং ফিনল্যান্ডের ত্রয়োদশ প্রেসিডেন্ট কাই-গোরান আলেকজান্ডার স্টাবের সঙ্গেও বৈঠক করবেন।
প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক-বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, এসডিজি-বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক (জ্যেষ্ঠ সচিব) লামিয়া মোরশেদ, প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও পররাষ্ট্র সচিব (পশ্চিম) এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ।
আগামী ২৪ জানুয়ারি দাভোসে অবস্থানের আগ পর্যন্ত থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পাইতংতার্ন সিনাওয়াত্রা, বেলজিয়ামের বাদশাহ ফিলিপ ও দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকসহ ৪০টিরও বেশি বৈঠক করবেন তিনি।
২৫ জানুয়ারি তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংক, মেটা ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের শীর্ষ কর্মকর্তারাও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বার্ষিক সভায় বিশ্বের ব্যবসায়ী নেতা ও বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে উন্নত ব্যবসা ও বিনিয়োগ পরিবেশ অর্জনে তাদের প্রচেষ্টা তুলে ধরবে বাংলাদেশ।
দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেওয়া এই অর্থনীতিবিদ ধারাবাহিক ব্যস্ততার মাঝে ব্যবসা ও বিনিয়োগের সুযোগের ওপর গুরুত্বারোপ করবেন।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিষয়ে আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী নেতা ও বিনিয়োগকারীদের ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।’
প্রধান উপদেষ্টা দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পাশাপাশি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যুতে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে থাকবেন।
উপ-প্রেস সচিব আজাদ বলেন, গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়ী নেতা ও প্রধান নির্বাহীদের অংশগ্রহণে আগামী ২২ জানুয়ারি ‘কান্ট্রি স্ট্রাটেজি ডায়ালগ অন বাংলাদেশ’ নামে একটি পৃথক বিজনেস রাউন্ডটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, যা বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা বাংলাদেশের জন্য এক বিরল সুযোগ।
আরও পড়ুন: সুইজারল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন ড. ইউনূস
বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দাভোস ২০২৫ সালের বার্ষিক সম্মেলনে মিলিত হয়েছেন বিশ্ব নেতারা।
এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে— ভূ-রাজনৈতিক ধাক্কা মোকাবিলায় সাড়া দেওয়া, জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে প্রবৃদ্ধির উন্নয়ন এবং ন্যায়সঙ্গত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শক্তি রূপান্তর পরিচালনার মতো কর্মপরিকল্পনা।
‘কলাবরেশন ফর দ্য ইন্টেলিজেন্ট এজ’ থিমের অধীনে এ বছরের সম্মেলনের আহ্বান করা হয়েছে।
সম্মেলনে ১৩০টির বেশি দেশের প্রায় তিন হাজার নেতা এবং বিশ্বের ৬০টি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানসহ মোট ৩৫০ জন নেতা একত্রিত হয়েছেন।
৩৪১ দিন আগে
ভারত শেখ হাসিনাকে ফেরত না দিলে প্রত্যর্পণ চুক্তির লঙ্ঘন হবে: আইন উপদেষ্টা
দুদেশের মধ্যে প্রত্যর্পণ চুক্তি থাকার পরও ভারত শেখ হাসিনাকে ফেরত না দিলে ওই চুক্তির লঙ্ঘন হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার জন্য ইতোমধ্যে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এরইমধ্যে এ বিষয়ে (ইন্টারপোলের) রেড এলার্ট জারি হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, আমরা প্রত্যর্পণের জন্য চিঠি লিখেছি। এরপরও ভারত যদি শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণ না করে, তবে এটা বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যে প্রত্যার্পণ চুক্তি সেটার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হবে। সেই ব্যাপারে আমরা বিশ্ব সমাজে পদক্ষেপ নেব; সেটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ঠিক করা হবে।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এরই মধ্যে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, আমাদের যা যা করণীয় আছে, আমরা করে যাচ্ছি। আরও কিছু করণীয় থাকলে ক্ষেত্রবিশেষে চিন্তা করে আমরা করব।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে সরকার সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত রাখবে। প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক সহায়তা নেব।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচার শুরু হয়েছে। প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে চিঠি দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
৩৪১ দিন আগে
সুইজারল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন ড. ইউনূস
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে সুইজারল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১টার দিকে হযরত শাহজালাল বিমান বন্দর ত্যাগ করেন তিনি।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস, ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা, বেলজিয়ামের রাজা ফিলিপ ও দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের সঙ্গে বৈঠকসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এছাড়া ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংক, মেটা ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের শীর্ষ কর্মকর্তারাও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বার্ষিক সভায় বিশ্ব ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে দেশের উন্নত ব্যবসা ও বিনিয়োগের পরিবেশের প্রচেষ্টাগুলোও তুলে ধরবে বাংলাদেশ।
ডাভোসে অনুষ্ঠেয় ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস।
ড. ইউনূস ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সভায় যোগদান শেষে ২৫ জানুয়ারি দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উপসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, 'অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিষয়ে আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী নেতা ও বিনিয়োগকারীদের একটি ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।’
আরও পড়ুন: শিগগিরই ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন করবেন প্রধান উপদেষ্টা
তিনি বলেন,বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য আকৃষ্ট করার চেষ্টা করবে। যাতে তারা বাংলাদেশের সুযোগ-সুবিধাগুলো তারা তাদের কাজে লাগাতে পারে।
প্রধান উপদেষ্টা দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পাশাপাশি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যুতে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকবেন।
প্রেস উপসচিব আজাদ বলেন, গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়ী নেতা, সিইওদের অংশগ্রহণে আলাদা সংলাপ হবে, যা বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ‘এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বিরল সুযোগ।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম গত বৃহস্পতিবার জানান, ড. ইউনূসের সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন জাতিসংঘের প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী ও এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ।
বার্ষিক সভা ২০২৫-এ বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্ব নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে ভূ-রাজনৈতিক ধাক্কা মোকাবিলায় সাড়া দেওয়া, জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে প্রবৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করা এবং ন্যায়সঙ্গত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শক্তি রূপান্তর পরিচালনা করা।
এই বছরের সম্মেলনটি 'কলাবোরেশন ফর দ্য ইন্টেলিজেন্ট এজ' প্রতিপাদ্যে অনুষ্ঠিত হবে। কর্মসূচিটিতে স্বতন্ত্রভাবে পাঁচটি ভাগ থাকলেও অত্যন্ত আন্তঃসংযুক্ত ধারণাগত অগ্রাধিকারের উপর ভিত্তি করে পরিচালিত হবে।
বৈঠকে ১৩০টিরও বেশি দেশের প্রায় তিন হাজার নেতা এবং ৬০টি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের ৬০টি রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানসহ ৩৫০ জন সরকারি নেতা একত্রিত হন।
আরও পড়ুন: সুইজারল্যান্ডে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
৩৪২ দিন আগে
ফেব্রুয়ারির শুরুতেই 'জুলাই ঘোষণা' নিয়ে ঐকমত্যের প্রত্যাশা ড. ইউনূসের
ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিকেই রাজনৈতিক দলগুলো 'জুলাই ঘোষণা' নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসের নতুন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি তার আশাবাদ প্রকাশ করেন।
অধ্যাপক ইউনূস এই ইস্যুতে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে 'কঠিন' অভিহিত করে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমি কোনো ভিন্নমতের কথা শুনিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে চলমান সংস্কার উদ্যোগ, জুলাই ঘোষণার বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য গড়ে তুলতে সরকারের প্রচেষ্টা এবং আগামী সাধারণ নির্বাচনের পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকার কেবল সহায়তাকারীর ভূমিকা পালন করবে। ‘আমার কাজ হচ্ছে ঐকমত্য গড়ে তোলা। আমি কোনও ধারণা চাপিয়ে দিচ্ছি না।’
ড. ইউনূস বলেন, ‘একবার রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার প্রস্তাবে সম্মত হলে, সরকার 'জুলাই ঘোষণা' তৈরির জন্য এতে সই করতে তাদের অনুরোধ করবে।’
মার্কিন কূটনীতিককে তিনি বলেন, ‘আমরা জানি না ওই বিষয়বস্তুতে অনেক বিষয় থাকবে, নাকি অল্প কিছু বিষয় থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, 'আমাদের যে ভিন্ন মতামত রয়েছে, তাতে এটি একটি কঠিন কাজ। তবে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। চুক্তি সই হলে আমাদের রাজনীতি হবে জুলাই সনদের ভিত্তিতে।’
রাষ্ট্রদূত জ্যাকবসন উন্নয়ন ও সন্ত্রাসবাদ দমনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি তার দেশের সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে জ্যাকবসন বলেন, 'আমরা জাতি হিসেবে আপনার সরকারকে বিভিন্ন বিষয়ে সমর্থন দিতে প্রস্তুত।’
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স কয়েকজন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে কিছু সহিংসতার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তার সরকার দেশের সবার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান উপদেষ্টা ও যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সরা প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ঢাকার সম্পর্ক, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের অগ্রগতি এবং মিয়ানমারের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ সব প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্ককে মূল্যায়ন করে।
সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করে দেশটিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো একটি প্লাটফর্মে রূপান্তরে তার সাম্প্রতিক পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, 'সার্কের ধারণা এভাবেই এসেছে এবং আমরাই এর উদ্যোগ গ্রহণকারী।’
তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ধন্যবাদ জানান এবং বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন এবং মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য একটি নিরাপদ অঞ্চল তৈরির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন কামনা করেন।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে সব চেয়ে বেশি তুলা আমদানিকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ থেকে আরও পোশাক ও বস্ত্র আমদানির আহ্বান জানান। এতে মার্কিন তুলা আমদানি আরও বাড়বে।
এ সময় এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে স্বাগত জানাল বাংলাদেশ
৩৪২ দিন আগে
বাংলাদেশের সামরিক প্রতিনিধি দল পাকিস্তান সফর করেছে: আইএসপিআর
বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর একটি প্রতিনিধি দল পাকিস্তান সফর করেছেন বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসানের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি সামরিক প্রতিনিধিদল ১৩ থেকে ১৮ জানুয়ারি পাকিস্তান সফর করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সফরকালে প্রতিনিধি দলটি পাকিস্তানের তিন বাহিনীর প্রধানদের পাশাপাশি অন্যান্য উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেছেন।
বৈঠকে প্রতিনিধিরা উভয় দেশের সশস্ত্র বাহিনীর পেশাগত ও প্রশিক্ষণের দিক সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন এবং পারস্পরিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অব্যাহত রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: আনন্দবাজারে প্রকাশিত খবরের প্রতিবাদ জানিয়েছে আইএসপিআর
৩৪২ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানাল বাংলাদেশ
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়ে সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র উন্মোচনে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের অভিনন্দন বার্তার উদ্বৃতি দিয়ে সোমবার (২০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র এ কথা বলেন।
মুখপাত্র জানান, ‘প্রধান উপদেষ্টা তার দৃঢ় আস্থা ব্যক্ত করেছেন যে, দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র উন্মোচনে দুই দেশ কাজ করবে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ‘আমরা সেই বিশ্বাসের পুনরাবৃত্তি করছি এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তার নতুন মেয়াদ শুরু করার জন্য শুভ কামনা করছি।’
অভিশংসন, ফৌজদারি অভিযোগ এবং হোয়াইট হাউসে দ্বিতীয় মেয়াদে জয়ী হওয়ার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন। একই সঙ্গে রিপাবলিকানরা ওয়াশিংটনের ঐক্যবদ্ধ নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করবে এবং দেশের প্রতিষ্ঠানগুলিকে নতুন রূপ দেওয়ার যাত্রা করবে।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পকে নিয়ে এবার কানাডা-মেক্সিকোর রসিকতা
৬ নভেম্বর ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তিনি ঢাকা-ওয়াশিংটন অংশীদারিত্ব আরও জোরদার এবং টেকসই উন্নয়ন জোরদারে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনের সঙ্গে একত্রে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছেন।
নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ট্রাম্পকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে বার্তায় বলেন, 'আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ অংশীদারিত্বের নতুন পথ সন্ধানের কাজ করার সম্ভাবনা অফুরন্ত ‘
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ট্রাম্পকে দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করা এটাই প্রতিফলিত করে যে, তার নেতৃত্ব ও দূরদর্শিতা যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের মধ্যে অনুরণিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী যে, আপনার নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র সমৃদ্ধ হবে এবং বিশ্বজুড়ে অন্যদের অনুপ্রাণিত করতে থাকবে। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট অসংখ্য ক্ষেত্রে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।’
তিনি বলেন, ট্রাম্পের আগের মেয়াদে এই সম্পর্ক গভীর ও বৃদ্ধি পেয়েছে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, 'একটি শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠায় আমাদের অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের সরকার ও শান্তিকামী জনগণ সবার জন্য শান্তি, সম্প্রীতি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি অর্জনে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আপনার প্রচেষ্টার অংশীদার ও সহযোগিতার অপেক্ষায় রয়েছে।’
মার্কিন জাতিকে নেতৃত্ব দেওয়ার এই স্মরণীয় যাত্রা শুরু করার সময় ট্রাম্পের সফলতা কামনা করেছেন ড. ইউনূস।
আরও পড়ুন: বার্নিকাটসহ ৩ কূটনীতিককে পদত্যাগ করতে বলছেন ট্রাম্পের সহযোগীরা
৩৪২ দিন আগে
অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে চীন সফরে যাচ্ছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বেইজিংয়ের সঙ্গে ঢাকার অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব জোরদারের উপায় ও বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার জন্য চীনের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিকালে তিনি ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, চীন ইতোমধ্যে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে চলতি বছরের মার্চে বেইজিং সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছে এবং ঢাকা এটিকে ইতিবাচকভাবে দেখছে।
বাংলাদেশ ও চীন ২০২৫ সালে তাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: চীনের ঋণের শর্ত শিথিল-পরিশোধের সময় বাড়ানোর প্রস্তাব দেবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
গত বছরের আগস্টে নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর 'অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর' হিসেবে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই'র আমন্ত্রণে এই উপদেষ্টা এ সফর করছেন।
আগামী ২১-২৩ জানুয়ারি চীন সফরকালে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। আগামী ২৪ জানুয়ারি তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করতে ঋণের সুদের হার কমানো, ঋণ পরিশোধের মেয়াদ বাড়িয়ে ৩০ বছর করা এবং প্রতিশ্রুতি ফি মওকুফ করতে চীনকে অনুরোধ করতে পারে।
হোসেনের সফরে বাজেট সহায়তাসহ বিষয়গুলো ব্যাপকাভাবে উঠে আসবে। ‘... অর্থনৈতিক সমস্ত বিষয় আলোচনায় আসবে। কিছু বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
উপদেষ্টা গত সপ্তাহে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ, নিজের স্বার্থ দেখবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
তিনি বলেন, তারা বাজেট সহায়তা নিয়ে আলোচনা করবেন, চীনের সহায়তা অন্বেষণ করবেন। বাংলাদেশি প্রকল্পগুলোর জন্য ঋণ বিতরণ ত্বরান্বিত করবেন এবং প্রতিশ্রুতি ফি পুরোপুরি প্রত্যাহারের দাবি জানাবেন।
চীনে একটি প্রতিশ্রুতি ফি হলো একটি ঋণদাতার কর্তৃক ঋণগ্রহীতার কাছে একটি লাইন অফ ক্রেডিট সুযোগ রাখার জন্য একটি মাশুল।
চীনে হোসেনের প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরকে ভবিষ্যৎ সহযোগিতার রূপরেখা হিসেবে বেইজিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার ও গভীর করার একটি 'বড় সুযোগ' হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ।
গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (জিডিআই) সম্পর্কে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, কিছু বিষয় রয়েছে যা ইতিবাচকভাবে আলোচনা করা অব্যাহত থাকবে এবং উল্লেখ করা হয় যে, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কেবল সরকারনির্ভর নয়।
জিডিআই ২০২১ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের প্রস্তাবিত একটি বহুপাক্ষিক উন্নয়ন উদ্যোগ।
আরও পড়ুন: দেশে ৩৩ হাজারের বেশি অবৈধ বিদেশি রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
৩৪২ দিন আগে
দেশে ৩৩ হাজারের বেশি অবৈধ বিদেশি রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দেশে এখনো ৩৩ হাজারের বেশি বিদেশি অবৈধভাবে অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সোমবার(২০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত এক সভা শেষে ব্রিয়িংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
অবৈধ বিদেশিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তারা তাদের বৈধ করার জন্য একটি সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এই সময়সীমা শেষ হওয়ার পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘যারা অবৈধ বিদেশিদের নিয়োগ দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, গত বছরের ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ৪৯ হাজার ২৬৬ জন অবৈধ বিদেশি থাকলেও চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৬৪৮ জনে।
জরিমানা হিসেবে অবৈধ বিদেশিদের কাছ থেকে ১০ কোটি ৫৩ লাখ টাকা রাজস্ব আয় করা হয়েছে বলেও জানান উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম।
আরও পড়ুন: বিজিবির জন্য সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস কেনা হচ্ছে: উপদেষ্টা
৩৪২ দিন আগে
আর্জেন্টিনার সঙ্গে ফুটবল সম্পর্ককে অন্যান্য ক্ষেত্রেও এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
আর্জেন্টিনার সঙ্গে বাংলাদেশের আবেগময় ফুটবল সম্পর্ক কাজে লাগিয়ে বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়াতে দেশটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বাংলাদেশে নিযুক্ত আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূত মার্সেলো সেজা রবিবার (১৯ জানুয়ারি) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এই আহ্বান জানান।
আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের প্রতি বাংলাদেশের জনগণের বিপুল সমর্থনের কথা উল্লেখ ড. ইউনূস বলেন, ‘আমাদের মধ্যে আবেগপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। আমরা এর ওপর ভিত্তি করে সামনে এগোতে পারি। ক্ষেত্র প্রস্তুত রয়েছে। আমরা আবেগপূর্ণ সম্পর্ককে অন্যান্য ক্ষেত্রেও এগিয়ে নিতে পারি।’
এক্ষেত্রে আর্জেন্টিনার ব্যবসায়ীদের একক বা যৌথ মালিকানায় তুলাভিত্তিক শিল্পে বিনিয়োগের সুযোগ খোঁজার পাশাপাশি জ্বালানি সহযোগিতার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: আর্জেন্টিনার সঙ্গে বহুমাত্রিক সম্পর্কের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ প্রণয়নের আহ্বান বাংলাদেশের
রাষ্ট্রদূত সেজা প্রধান উপদেষ্টাকে বলেন, আর্জেন্টিনা ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতার অনেক ক্ষেত্র অনাবিষ্কৃত রয়েছে, যা দুই দেশের জন্য বিশাল সম্ভাবনাময় হতে পারে। তিনি আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরেসে বাংলাদেশের দূতাবাস খোলার বিষয়টি বিবেচনা করার অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যকার সুসম্পর্ককে আমরা দুই দেশের উপকারের জন্য ব্যবহার করতে পারি।’
রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, বর্তমানে আর্জেন্টিনার প্রায় ৭০০ মিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য তাদের অনুকূলে রয়েছে এবং বাংলাদেশ থেকে আমদানি বাড়িয়ে তারা এই সম্পর্ককে ভারসাম্যপূর্ণ করতে চান।
আর্জেন্টিনা থেকে সয়াবিন, গম, ভুট্টা ও কাঁচা তুলাসহ অন্যান্য পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশ। এর বিপরীতে বাংলাদেশ থেকে বছরে প্রায় ২২ লাখ ডলারের পোশাক আমদানি করে।
তুলা, যৌথ বিনিয়োগ, ওষুধ, বস্ত্র, ফুটবল সহযোগিতা (নারী ফুটবলসহ), ক্ষুদ্রঋণ, এলএনজি, ধানের রোগ সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে দুই দেশের ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার ওপর জোর দেন মার্সেলো সেজা।
আর্জেন্টিনায় ক্ষুদ্রঋণ চালুর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সহযোগিতাও কামনা করেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট গুম প্রতিরোধে আর্জেন্টিনার সক্রিয়ভাবে গৃহীত গুম থেকে সব মানুষের সুরক্ষা বিষয়ক আন্তর্জাতিক কনভেনশনে (আইসিপিপিইডি) সইয়ের মাধ্যমে জোরপূর্বক গুম প্রতিরোধে বাংলাদেশের অঙ্গীকারের প্রশংসা করেন।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
৩৪৩ দিন আগে