বৈদেশিক-সম্পর্ক
বাংলাদেশের সঙ্গে বিশেষ ও বহুমুখী সম্পর্ক সমৃদ্ধির অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারের
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার গভীর বন্ধনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি ১৯৭১ সালের যৌথ আত্মত্যাগের মূলে থাকা বিশেষ ও বহুমুখী সম্পর্ককে আরও সমৃদ্ধ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
এক ইফতার অনুষ্ঠানে তিনি ভ্রাতৃত্ব ও মানবতার চেতনা বিকাশে ইফতারের তাৎপর্য তুলে ধরেন। ১৯ মার্চ ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন এই ইফতারের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে সরকার, আইনসভা, বিচার বিভাগ, রাজনৈতিক দল, সশস্ত্র বাহিনী, সুশীল সমাজ, শিক্ষাবিদ, ব্যবসা, গণমাধ্যম ও সংস্কৃতিসহ সর্বস্তরের ৪ শতাধিক বিশিষ্ট অতিথি উপস্থিত ছিলেন।
হাইকমিশনার উল্লেখ করেন, ইফতার জমায়েতটি মানুষে-মানুষে গভীর সম্পর্কের প্রতীক, যা ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ভিত্তি তৈরি করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। সম্মানিত অতিথি ছিলেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যৎ স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের পাশে আছে ভারত: রাষ্ট্রদূত প্রণয় ভার্মা
খুলনা-চট্টগ্রামে জলবায়ু সহনশীল উদ্যোগ পর্যবেক্ষণে ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও অভিযোজনে ইউএনডিপির গৃহীত কর্মসূচিগুলো পর্যবেক্ষণ করতে খুলনা এবং চট্টগ্রাম সফর করেছেন জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) শুভেচ্ছা দূত সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া।
মঙ্গলবার সুইডেন সরকার ও অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তায় জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থা এবং বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে অংশীদারিত্বে গৃহীত ইউএনডিপির প্রকল্পগুলো পর্যবেক্ষণ করেন ক্রাউন প্রিন্সেস।
এছাড়াও স্থানীয়ভিত্তিক জীবিকার সমাধানগুলোকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করার মাধ্যমে জলবায়ু সহনশীলতার মডেলগুলো পর্যবেক্ষণ করেন ক্রাউন প্রিন্সেস।
খুলনার কয়রা উপজেলার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নে সুইডিশ সরকারের সহায়তায় ইউএনডিপি ও ইউএনসিডিএফের জলবায়ু অভিযোজন কর্মসূচিগুলো পর্যবেক্ষণ করেন। এছাড়াও, ইউএনডিপির সহায়তায় পরিচালিত এটুআই ডিজিটাল পরিষেবা সরবরাহ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
এ সময় জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজন এবং টেকসই উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে স্থানীয় কমিউনিটির জনসাধারণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষ, বিশেষত নারীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: খুলনায় পোস্ট অফিসের স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট উদ্বোধন করেন ইউএনডিপির শুভেচ্ছাদূত
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলে পাড়ায় নারীদের নেতৃত্বে নির্মিত জলবায়ু সহনশীল বাসস্থানগুলো ঘুরে দেখেন ক্রাউন প্রিন্সেস। ইউএনডিপির সহায়তায় যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে সহযোগিতা চুক্তির আওতায় নির্মিত একটি বাঁধ প্রাচীরসহ জলবায়ু মোকাবিলায় নির্মিত বেশকিছু স্থাপনা পরিদর্শন করেন।
এরপর স্বল্প সময়ের জন্য চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনে যান সুইডিশ রাজকন্যা। সেখানে তিনি নারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন এবং নারী ক্ষমতায়ন ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে উদ্ভাবনী প্রশিক্ষণ কোর্সসহ ইউএনডিপির সহায়তায় পরিচালিত প্রকল্পগুলো পর্যবেক্ষণ করেন।
এ সময় সুইডিশ ক্রাউন প্রিন্সেসের সঙ্গে ছিলেন জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব এবং ইউএনডিপির এক্সটারনাল রিলেশনস ও অ্যাডভোকেসি পরিচালক উলরিকা মোদের, সুইডেনের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা ও বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রী জোহান ফরসেল, বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, ডাক ও টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার, বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ফন লিন্ডে।
আরও পড়ুন: খুলনার কয়রায় সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া
সুইডিশ ক্রাউন প্রিন্সেসের এই সফরে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং লিঙ্গ সমতাকে এগিয়ে নিতে পারষ্পরিক সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টাগুলোর বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। যা বাংলাদেশসহ সারা পৃথিবীতে জলবায়ু সহনশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক কমিউনিটি গড়ে তোলায় ইউএনডিপির সংকল্পকেই পুনর্ব্যক্ত করে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ডিজিটাল অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করলেন সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস
দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে আরব আমিরাতকে বিনিয়োগের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
দেশে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগ বাড়াতে অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ এবং মাতারবাড়িতে ৩০০ একর জমি দেওয়ার বিষয়ে দেশটির রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লা আলী আব্দুল্লা খাসিফ আল হামুদি।
সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে মন্ত্রী এ কথা জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সম্প্রতি আরব আমিরাতে আমার দ্বিপাক্ষিক সফরে সে দেশের পররাষ্ট্র ও কর্মসংস্থান মন্ত্রীর সঙ্গে সামগ্রিক সব বিষয়ে আলোচনার 'ফলো আপ' সাক্ষাৎ ছিল এটি। ইউএইর সঙ্গে আমাদের বহুমাত্রিক সম্পর্ক। সেখানে এক মালিক থেকে অন্য মালিকের অধীনে 'আকামা' বা কর্মানুমতি হস্তান্তর সহজ করার বিষয়ে এবং দুবাই ছাড়া অন্য আমিরাতগুলোতে বাংলাদেশিদের 'ওয়ার্ক পারমিট' দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’
গাজায় চলমান সহিংসতা বন্ধে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার বিষয়ে একযোগে কাজ করা নিয়েও কথা হয়েছে বলে জানান ড. হাছান।
খুলনায় পোস্ট অফিসের স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট উদ্বোধন করেন ইউএনডিপির শুভেচ্ছাদূত
খুলনার কয়রায় পোস্ট অফিসের স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট উদ্বোধন করেছেন জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) শুভেচ্ছাদূত হিসেবে বাংলাদেশ সফররত সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) খুলনার কয়রা এলাকা পরিদর্শনের সময় তিনি গ্রামীণ সম্প্রদায়ের ডিজিটাল পরিষেবার উপকারভোগীসহ সরকার ও ইউএনডিপির একাধিক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব উলরিকা মোদের এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা ও বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক সুইডিশ মন্ত্রী জোহান ফরসেল, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক।
বাংলাদেশকে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ডিজিটাল সেন্টার উদ্যোগের গুরুত্ব তুলে ধরে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘ডিজিটাল সেন্টার সরকারি পরিষেবাগুলোকে তৃণমূল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে, প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলোকে সহজলভ্য করে তুলছে।’
আরও পড়ুন: খুলনার কয়রায় সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট এমন একটি উদ্ভাবনী উদ্যোগ, যার লক্ষ্য হচ্ছে ডাক পরিষেবাগুলোতে প্রতিটি নাগরিকের অভিগম্যতা এবং দক্ষতা উন্নত করতে প্রযুক্তি ব্যবহার করা।’
পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় সংযুক্ত আরব আমিরাত
পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলী আল হামুদি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। এই সম্ভাবনা বাস্তবায়ন করতে এভিয়েশন খাতের বিদ্যমান অংশীদারিত্ব আরও বৃদ্ধির পাশাপাশি আমরা বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা ও সহায়তা করতে চাই। এভিয়েশন ও পর্যটন শিল্প আমাদের দুই দেশের জনগণের বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় করবে।’
মঙ্গলবার সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে জাপানকে বিনিয়োগের আহ্বান মন্ত্রীর
এ সময় পর্যটনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের পর্যটন উন্নয়নে বর্তমান সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। এরই মধ্যে দেশের অভ্যন্তরীণ পর্যটকের সংখ্যা ২ কোটি ছাড়িয়েছে। বিদেশি পর্যটক আকর্ষণেও নানাবিধ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের পর্যটন অবকাঠামো উন্নয়ন, হোটেল ও রিসোর্ট নির্মাণে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগ করার সুযোগ রয়েছে। যদি আমিরাত এই খাতে বিনিয়োগ করে তবে আমরা তাদের সব ধরনের সহযোগিতা দেব। এভিয়েশন খাতের বিদ্যমান সম্পর্কের পাশাপাশি পর্যটন শিল্পে নতুন সহযোগিতার ক্ষেত্র দুই দেশের সম্পর্ককে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: ১৫ বছরে পর্যটন ও এভিয়েশন শিল্পে দক্ষতা বেড়েছে: ফারুক খান
আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রীকে ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার অনুরোধ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বাংলাদেশে বিশেষ করে কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, ওষুধ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আইরিশদের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি কয়েক হাজার বাংলাদেশিকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য আয়ারল্যান্ডকে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি তিনি আরও বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের পেশাদারদের আয়ারল্যান্ডে উচ্চতর পড়াশোনা এবং কাজ করার জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করতে দেশটির এন্টারপ্রাইজ, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী সাইমন কোভেনিকে অনুরোধ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করতে বাংলাদেশ সফরে আসার জন্য আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি নতুন উদ্যোগের মাধ্যমে পণ্য ও সেবায় দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আরও বাড়ানোর পরামর্শ দেন এবং ২০৩২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) এভরিথিং বাট আর্মস (ইবিএ) বাণিজ্য অগ্রাধিকার ও ২০৩২ সালের পর জিএসপি+ সুবিধার জন্য আয়ারল্যান্ডের সমর্থন কামনা করেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল সংগ্রহ বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে ইউএনডিপির প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
সোমবার (১৮ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মন্ত্রী সাইমন কোভেনি।
আয়ারল্যান্ডের এই মন্ত্রী পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে তার নতুন নিয়োগের জন্য অভিনন্দন জানান।
বাংলাদেশের টেকসই উচ্চ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি প্রযুক্তি, ওষুধ ও জ্বালানি খাতে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও সহযোগিতার ওপর বিশেষ মনোযোগ দিয়ে প্রতিনিধি দলের সফর বিনিময়ের পরামর্শ দেন।
তিনি ২০৩২ সাল পর্যন্ত ইবিএ সুবিধা এবং ২০৩২ সালের পর জিএসপি+ সুবিধা সম্প্রসারণের জন্য বাংলাদেশের আবেদনের পক্ষে আইরিশ সমর্থনের আশ্বাস দেন।
আয়ারল্যান্ড সরকারের অভিবাসনবান্ধব নীতির কথা উল্লেখ করে সাইমন আরও বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের আয়ারল্যান্ডে স্বাগত জানান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পরও ইবিএ-জিএসপি প্লাস সুবিধা চান পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রী রোহিঙ্গা সংকটের দ্রুত সমাধানের আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য অতিরিক্ত ১৫ লাখ ইউরো মানবিক সহায়তা দেওয়া হবে।
দুই মন্ত্রী গাজায় যুদ্ধ নিয়ে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন এবং সাধারণ মানুষ বিশেষ করে নারী ও শিশু হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান ওই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি বয়ে আনতে পারে বলে তারা একমত হন।
এর আগে আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকায় আয়ারল্যান্ডের প্রথম অনারারি কনস্যুলেট উদ্বোধন করেন। এই পদক্ষেপকে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি 'গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক' হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ঢাকার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে আয়ারল্যান্ড সম্প্রতি কসমস গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ জামিল খানকে বাংলাদেশে তাদের অনারারি কনসাল হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভারতে নিযুক্ত আয়ারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত কেভিন কেলি ও মাসুদ জামিল খান।
দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে দুই দিনের সরকারি সফরে রবিবার ঢাকায় আসেন আইরিশ মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ঢাকায় প্রথম অনারারি কনস্যুলেট উদ্বোধন করলেন আইরিশ মন্ত্রী সাইমন কোভেনি
লস অ্যাঞ্জেলেসে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন
লস অ্যাঞ্জেলেসে অবস্থিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল যথাযোগ্য মর্যাদা, উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৪ উদযাপন করেছে।
এ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ কনস্যুলেট শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাসরত শিশু-কিশোররা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তাদের আবেগ ও অনুভূতি আঁকা ছবি, কবিতা, রচনা ও বক্তব্যের মাধ্যমে তুলে ধরে।
এছাড়া বঙ্গবন্ধুর ছেলেবেলা, ৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ৭ মার্চের ভাষণ এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বঙ্গবন্ধুর অবদানের ওপর নির্মিত শিশুতোষ প্রামাণ্যচিত্র অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত হয়।
কনসাল জেনারেল সামিয়া আঞ্জুম তার স্বাগত বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ গঠনে তার অবিস্মরণীয় অবদানের কথা স্মরণ করেন।
আরও পড়ুন: বিমানে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন
তিনি জাতির পিতার ছেলেবেলার বিভিন্ন ঘটনা উল্লেখ করে পরবর্তী প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মূল্যবোধে অনুপ্রাণিত করার জন্য অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান।
উপস্থিত শিশুদের নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে এই বিশেষ অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রেরিত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবারের শহীদ সদস্য ও সকল শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের রূহের মাগফেরাত এবং দেশের শান্তি, মঙ্গল ও উন্নয়ন কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। সবশেষে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
এ দিন সকালে কনস্যুলেট জেনারেলের সকল সদস্য ও বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে কনসাল জেনারেল জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
আরও পড়ুন: রিয়াদে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপিত
খুলনার কয়রায় সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া
সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া এখন খুলনার উপকূলীয় উপজেলা কয়রায় অবস্থান করছেন। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকাল ৮টায় তিনি মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের গিলাবাড়ি এলাকার নয়নী মাঠে নির্মিত হেলিপ্যাডে অবতরণ করেন।
খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন বলেন, তিনি পর্যায়ক্রমে মহেশ্বরীপুর ইউনিয়ন পরিষদ, মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদ ও মদিনাবাদ ডিজিটাল পোস্ট অফিসসহ ৬টি স্থান পরিদর্শন শেষে দুপুর ১২টায় কপোতাক্ষ কলেজ মাঠে যাবেন। এখানে নির্মিত হেলিপ্যাড থেকে তিনি কয়রা ত্যাগ করবেন।
সংক্ষিপ্ত সময়ে তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঝুঁকিতে থাকা ২টি এলাকা পরিদর্শন করবেন ও ঝুঁকিপূর্ণ মানুষের অনুভূতি শুনবেন ও জীবন-জীবিকা কার্যক্রম অবলোকন করবেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আসছেন ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া
কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় অতিথি কয়রায় আগমন উপলক্ষ্যে ৫শ স্থানে ১ হাজার ৬০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, কোস্ট গার্ড, গোয়েন্দা নজরদারিসহ সকল নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
উল্লেখ্য, উপকূলীয় অঞ্চলে জলবায়ু পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্থানীয় লোকজনের জীবনমান নিজ চোখে দেখা, লিঙ্গ সমতা, মহারাজপুর ও মহেশ্বরীপুর ইউনিয়ন পরিষদ ডিজিটালাইজেশনে রূপান্তর কার্যক্রম নিজ চোখে দেখা, মদিনাবাদ স্মার্ট পোস্ট সেন্টারের উদ্বোধন এবং ব্যবসায়িক খাতের ভূমিকার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে এসডিজি বাস্তবায়নে অগ্রগতি এবং চলমান কয়রার দুর্যোগকবলিত চ্যালেঞ্জগুলো পরিদর্শন করবেন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল সংগ্রহ বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে ইউএনডিপির প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
ব্রিটিশ বাংলাদেশি শিশু-কিশোরদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়ে তোলার আহ্বান
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি শিশু-কিশোরদের বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক ও মানবিকতার মূল্যবোধের আদর্শে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস ২০২৪ যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে উদযাপন করেছে।
এ উপলক্ষে রবিবার ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের প্রাণকেন্দ্র পূর্ব লন্ডনে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ধরে, আনব হাসি সবার ঘরে’ শীর্ষক এক বিশেষ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হাবিবুর রহমান হাবিব জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের ঐতিহাসিক ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ‘বাংলাদেশকে জানতে হলে বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে। তার মহান নীতি ও আদর্শে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে গড়ে তুলতে হবে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পরও ইবিএ-জিএসপি প্লাস সুবিধা চান পররাষ্ট্রমন্ত্রী
হাইকমিশনার এজন্য ব্রিটিশ-বাংলাদেশি শিশু-কিশোরদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মূল্যবোধে এবং বাঙালির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যে উজ্জীবিত করে গড়ে তুলতে প্রবাসি বাংলাদেশি মা-বাবাদের প্রতি আহ্বান জানান।
শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর অপরিসীম মমতার কথা উল্লেখ করে হাইকমিশনার বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ অনুসরণে শিশুদের সুনাগরিক হিসেবে এবং আজকের শিশুদের ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন এবং বিশেষ বিশেষ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছেন।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সুলতান মাহমুদ শরীফ, নির্বাচন কমিশনের সচিব মোঃ জাহাংগীর আলম ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) বাংলাদেশ -এর সাধারণ সম্পাদক ডা. কামরুল হাসান। আরো বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা আবু মুসা হাসান ও বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ডিজিটাল অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করলেন সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এ দিনের বিশেষ আকর্ষণ ছিল বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ বিষয়ে শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, যাতে অনেক ব্রিটিশ-বাংলাদেশি-শিশু-কিশোর বিপুল উৎসাহে অংশগ্রহণ করে।
হাইকমিশনার অতিথিদের নিয়ে শিশু-কিশোরদের সনদ প্রদান করেন। বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করে সম্মিলিত কবিতা আবৃতি করেন বিশিষ্ট বাচিকশিল্পী ঊর্মি মাজহার, শতরূপা চৌধুরী ও দেওয়ান মাহমুদ।
ব্রিটিশ-বাংলাদেশি শিশু-কিশোররা বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করে একটি গান এবং পবিত্র রমজানে ইফতারের পূর্বে হামদ ও নাথ পরিবেশন করে। ইফতারের পর হাইকমিশনার অতিথি ও শিশু-কিশোরদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মদিন উপলক্ষে একটি কেক কাটেন।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক ও ব্রিটিশ-বাংলাদেশী সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে হাইকমিশনার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে মিশনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু করেন। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেওয়া বাণী পাঠ করা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী সকল শহীদদের জন্য এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের শান্তি ও অব্যাহত অগ্রগতির জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকায় প্রথম অনারারি কনস্যুলেট উদ্বোধন করলেন আইরিশ মন্ত্রী সাইমন কোভেনি
রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল সংগ্রহ বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে ইউএনডিপির প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সহায়তায় বৃহত্তর আন্তর্জাতিক তহবিল সংগ্রহের উদ্যোগ নিতে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত ও সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়ার সঙ্গে বৈঠকে এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মানবিক কারণে মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে এবং তাদের জন্য অনেক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে ভাসানচরে তাদের জন্য উন্নত আবাসনের ব্যবস্থা করেছে। এখন ভাসানচরে এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করতে পারে।
তিনি ভাসানচরে আরও রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরে ইউএনডিপির সহায়তা কামনা করেন।
চার দিনের সফরে সোমবার ঢাকায় পৌঁছান প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া। এ সফরের অংশ হিসেবে কক্সবাজার ও ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তনসহ দ্বিপক্ষীয় ও বহুপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
প্রিন্সেস বলেন, সুইডেন ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও গভীর করার বিশাল সুযোগ রয়েছে।
দু'দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
সুইডেনের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহ শিকার। কার্বন নিঃসরণে বাংলাদেশের অবদান নগণ্য হলেও দেশটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ বন্যা, ঘূর্ণিঝড়ের মতো বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হচ্ছে।
স্থানীয় জলবায়ু অভিযোজন ও প্রশমন কর্মসূচি সম্পর্কে তিনি বলেন, স্থানীয় জনগোষ্ঠী এবং তাদের জীবন-জীবিকার সুরক্ষার জন্য বাংলাদেশ জলবায়ু ট্রাস্ট তহবিল গঠন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকারের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে দারিদ্র্য বিমোচন। ইতোমধ্যে দারিদ্র্যের হার ৪১ শতাংশ থেকে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে এবং চরম দারিদ্র্যের হার ২৫ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে সরকার।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ডিজিটাল অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করলেন সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস
তিনি বলেন, বাংলাদেশে কোনো গৃহহীন মানুষ যাতে না থাকে সেজন্য সরকার সারাদেশে গৃহহীনদের বিনামূল্যে ঘূর্ণিঝড় প্রতিরোধী ঘর করে দিচ্ছে।
এ ছাড়া তার সরকার উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেছে বলেও জানান তিনি।
শেখ হাসিনা ১৯৬৯ সালে তার প্রথম সুইডেন সফরের কথা স্মরণ করেন, যখন তার স্বামী পড়াশোনার জন্য সেখানে ছিলেন।
আরও পড়ুন: উপকূলীয়দের জীবনমান দেখতে মঙ্গলবার খুলনায় আসছেন সুইডেনের রাজকন্যা