ময়মনসিংহ
নেত্রকোণায় এক রাতে বৃদ্ধ-যুবক ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
নেত্রকোণায় এক রাতে ৭৩ বছর বয়সি এক বৃদ্ধ ও ১৮ বছর বয়সি এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পূর্বধলা থানা পুলিশ। বুধবার (২০ আগস্ট) এসব তথ্য নিশ্চিত করেন পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোহাম্মদ নূরুল আলম।
মৃতরা হলেন, পূর্বধলার আগিয়া ইউনিয়নের মৃত রাম চরণ বিশ্বাসের ছেলে জয়চরণ বিশ্বাস এবং নারান্দিয়া ইউনিয়নের জাওয়ানি গ্রামের আবুল হোসেন তালুকদারের ছেলে বোরহান উদ্দিন ওরফে বিল্লাল।
পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে প্রথম ঘটনা ঘটে আগিয়া ইউনিয়নের হাটধলা গ্রামে। বাড়ির ট্রাংক ও খাটের ড্রয়ার থেকে ৬৫ হাজার টাকা হারানোর কষ্ট সহ্য করতে না পেরে জয়চরণ বিশ্বাস তার স্ত্রীকে গালিগালাজ করে ঘর থেকে বের করে দেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া পর জয়চরণ বিশ্বাসও বাড়ি থেকে বের হয়ে যান।
আজ (বুধবার) ভোরে প্রতিবেশী আরতী রানী দাস বারান্দার সামনে জয়চরণ বিশ্বাসকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: সিলেটে শারীরিক প্রতিবন্ধী কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ওসি আরও জানান, একই রাতে নারান্দিয়া ইউনিয়নের জাওয়ানি গ্রামে আরেকটি ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। ভোরের দিকে জনৈক আনিসুজ্জামান সোহেলের পুকুরপাড়ের পশ্চিম পাশে স্থানীয় পাহারাদার আব্দুল মজিদ, বোরহান উদ্দিনের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান।
বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল কালামের মাধ্যমে শ্যামগঞ্জ তদন্ত কেন্দ্রকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে।
বৃদ্ধ ও যুবক এই দুজনের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এবং তদন্তের পর দুজনের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
১৩০ দিন আগে
ময়মনসিংহে ড্রামট্রাকের চাপায় অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে ড্রামট্রাকের চাপায় অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনা আহত হয়েছেন আরও তিনযাত্রী।
বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুর ৩টার দিকে গফরগাঁও-হোসেনপুর সড়কে নূর মসজিদ এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন- উপজেলার সালটিয়া ইউনিয়নের হাটুরিয়া গ্রামের রাজ্জাকের ছেলে মুঞ্জু মিয়া (৪০) ও যশরা ইউনিয়নের যশরা গ্রামের ওয়াহেদুল্লার ছেলে আলাউদ্দিন (৬০) ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নিহত মুঞ্জু মিয়ার মেয়ে মিম আক্তারের বিয়ে হয় গত মঙ্গলবার পাগলা থানার দত্তেরবাজার গ্রামে। বুধবার মিম আক্তারের শশুরবাড়িতে বৌভাত অনুষ্ঠানে যাওয়ার উদ্দেশে আত্মীয় স্বজনসহ মুঞ্জু মিয়া বাড়ি থেকে বের হয়। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা দিয়ে যাওয়ার পথে গফরগাঁও-হোসেনপুর সড়কের বাইপাসের শিলাসী নূর মসজিদ এলাকা পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা বালুবাহী একটি ড্রামট্রাক চাপা দেয়।
এতে অটোরিকশার পাঁচ যাত্রী গুরুতর আহত হয় এবং অটোরিকশাটি দুমড়ে -মুছড়ে যায়।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে মাইক্রোবাস খালে পড়ে এক পরিবারের ৭ জন নিহত
পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মুঞ্জু মিয়া ও আলাউদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন। আর আহত দুইজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাচ্চু মিয়া বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
১৪৪ দিন আগে
নেত্রকোনায় দুর্বৃত্তের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে প্রাণ গেল যুবকের
নেত্রকোনার পূর্বধলায় দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে কাকন আহমেদ (২৮) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
গতকাল (মঙ্গলবার) দিবাগত রাত ১টার দিকে দাপুনিয়া বাজারসংলগ্ন এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। বুধবার (৬ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নূরুল আলম।
নিহত যুবক ওই উপজেলার নারন্দিয়া ইউনিয়নের দাপুনিয়া পশ্চিম পাড়া গ্রামের মো. আব্দুর রহমানের ছেলে।
আরও পড়ুন: ধারালো রাম দার সামনে স্বামীর ঢাল হয়ে দাঁড়ালেন স্ত্রী
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে কাকন আহমেদ দাপুনিয়া বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে বাজারসংলগ্ন এলাকায় একদল দুর্বৃত্ত তার পথরোধ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় এবং এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তাকে গুরুতর জখম করে। কাকনের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই তার মৃত্যু হয়।
ওসি জানান, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। মরদেহ মমেক হাসপাতাল রয়েছে। সেখানে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হবে।
১৪৪ দিন আগে
নেত্রকোণায় ফুটবল মাঠে শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ হামলা, কুপিয়ে জখম
নেত্রকোণায় ফুটবল খেলা দেখতে গিয়ে সংঘবদ্ধ হামলার শিকার হয়েছেন এক স্কুলশিক্ষার্থী। কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে তাকে। ঘটনাটি ঘটেছে কেন্দুয়া উপজেলার মাসকা ইউনিয়নের পাচপীর কান্দাপাড়া গ্রামে।
আহত আরমান (১৫) কেন্দুয়ার সায়মা শাহজাহান একাডেমির সপ্তম শ্রেণির ছাত্র এবং স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল হকের ছেলে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) কেন্দুয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এরআগে গত শুক্রবার(১ আগস্ট) বিকাল আনুমানিক ৫টার দিকে পাচপীর কান্দার ফুটবল মাঠে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থী আরমান বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কিছুদিন আগে একটি খুনের মামলায় জামিনে মুক্ত হয়ে বাড়ি ফেরেন আরমানের বাবা আব্দুল হক। সেই মামলাকে কেন্দ্র করে অভিযুক্তদের সঙ্গে বাদীর পারিবারিক বিরোধ চলছিল। ঘটনার দিন বিকালে আব্দুল হক, তার দুই ছেলে আরমান ও কবীর ফুটবল খেলা দেখতে যান। খেলায় কবীর অংশ নিলেও আরমান দর্শক সারিতে বসে খেলা দেখছিল।
অভিযোগে বলা হয়, গত শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে সানোয়ার হোসেন, আবুল মিয়া, রুমান, খোকা মিয়া, রইছ উদ্দিন ও রবিন মিয়াসহ আরও কয়েকজন সংঘবদ্ধভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মাঠে হাজির হন। তারা প্রথমে আব্দুল হককে ঘেরাও করে হামলার চেষ্টা করে। তিনি দৌড়ে পালিয়ে বাড়িতে আশ্রয় নেন। পরে তার দুই ছেলেকে লক্ষ্য করে মাঠে ঢুকে পড়ে হামলাকারীরা।
আরও পড়ুন: খুলনায় ভ্যানচালককে কুপিয়ে হত্যা
সাক্ষীদের ভাষ্যমতে, হামলাকারীরা প্রথমে কবীরকে ঘিরে ধরলেও সে পালিয়ে যায়। পরে তারা আরমানকে ঘিরে ধরে। এসময় রইছ উদ্দিন ‘হক্যার পোলারে খুন কর’ বলে হুকুম দিলে সানোয়ার রামদা দিয়ে আরমানের মাথায় কোপ মারতে যায়। আরমান সামান্য কাত হয়ে পড়ায় কোপ তার ডান পায়ের হাঁটুর নিচে পড়ে এবং হাড়ভাঙা জখম হয়। এরপর রুমান বাম পায়ে কোপ দেন এবং খোকা মিয়া ও রবিন লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে দুই পায়ের হাঁটুর নিচে হাড়চূর্ণ করে দেয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। আত্মরক্ষায় হাত তুললে আরমানের আঙুলেও মারাত্মক জখম হয়।
স্থানীয়রা ও স্বজনরা রক্তাক্ত অবস্থায় আরমানকে উদ্ধার করে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন এবং ইতোমধ্যে তার শরীরে দুই ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছে।
১৪৫ দিন আগে
এবার ২১ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ঠেলে দিল বিএসএফ
ভারত থেকে বাংলাদেশে পুশইন থামছেই না। এবার শেরপুরে নালিতাবাড়ীর নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে রাতের আাঁধারে ২১ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দিবাগত রাত ১টার দিকে নাকুগাঁও সীমান্ত এলাকার ১৪১৬ নম্বর সীমানা পিলারের মাঝখানের ৩ নম্বর সীমান্ত গেইট দিয়ে তাদের বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হয়।
পুশইন করা সবাই মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক। তাদের মধ্যে ৫ জন বয়স্ক পুরুষ, ৫ জন নারী ও ১১টি শিশু রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ ব্যাটালিয়ন ৩৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদি হাসান।
তিনি জানিয়েছেন, পুশইন হওয়া আটককৃতদের নাকুগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে। প্রথমকিভাবে তারা রোহিঙ্গা নাগরিক বলে জানা গেছে। তাদের বিষয়ে আরও যাচাই-বাছাই এবং পরবর্তী কার্যক্রমের প্রক্রিয়া চলছে।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, ভারতের মেঘালয়ের কিল্লাপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা গতকাল গভীর রাতে ২১ জন রোহিঙ্গাকে পুশইন করেন। এরপর স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের হাতিপাগার বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের আটক করে নাকুগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখেন।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণা সীমান্তে ৩২ জনকে পুশ ইন বিএসএফের
বিজিবি জানিয়েছে, আটককৃতরা ৬টি পরিবারের সদস্য। তারা ২০১৭ সালে কক্সবাজারের উখিয়া বালুখালী রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প থেকে পালিয়ে ভারতের জম্মু-কাশ্মীরে যায় এবং সেখানে শ্রমিক হিসেবে হোটেলে ও বাসাবাড়িতে কাজ করতে শুরু করে। এক মাস আগে ভারতীয় পুলিশের অভিযানে অবৈধভাবে ভারতে বসবাসের অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তারা কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্পে ছিল বলে পরিচয় দেয়। ভারতীয় পুলিশ পরে তাদের বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর তাদের মেঘালয়ের ডালু সীমান্তে কিল্লাপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পে আনা হয় এবং মধ্যরাতে রাতে নাকুগাঁও স্থলবন্দর এলাকার ৩ নম্বর সীমান্ত গেইট দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, গত ১১ জুলাই একইভাবে নালিতাবাড়ী উপজেলার পানিহাতা সীমান্ত দিয়ে শিশুসহ ১০ নারী-পুরুষকে পুশইন করে বিএসএফ।
১৫৭ দিন আগে
নেত্রকোণায় স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলায় স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (২০ জুলাই) ভোরে উপজেলার কুল্লাগাড়া ইউনিয়নের কুড়ালিয়া গ্রামে স্ত্রীর বাবার বাড়ি থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
নিহতরা হলেন—কুড়ালিয়া গ্রামের রহিম উদ্দিনের মেয়ে ঝুমা আক্তার (২১) ও চকলেংগুরা গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে সোহাগ মিয়া (২৪)। সোহাগ পেশায় দিনমজুর ছিলেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তিন বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। দেড় বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে দম্পতির। এক সপ্তাহ আগেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল, পরে মিলও হয়। রবিবার ভোরে ঘর থেকে শিশুর কান্নার শব্দ শুনে ঝুমার বাবা রহিম উদ্দিন গিয়ে দেখেন—ঘরের ধরনার সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছেন ঝুমা ও সোহাগ। চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে এসে পুলিশে খবর দেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লিফটের নিচ থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
পরে দুর্গাপুর থানা পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করে থানায় নেয়।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, প্রাথমিকভাবে এটি পারিবারিক কলহ থেকে আত্মহত্যা বলেই ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোণা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।
১৬২ দিন আগে
ময়মনসিংহে মা ও দুই সন্তানকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ
ময়মনসিংহের ভালুকায় দুই শিশু সন্তান ও মাকে গলা কেটে হত্যার খবর পাওয়া গেছে।
সোমবার (১৪ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে ভালুকা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পনাশাইল রোড এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতরা হলেন— ময়না আক্তার (২৫), শিশু কন্যা রাইসা (৭) ও নিরব (২)।
স্থানীয়রা জানান, নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার জেনের বাজার এলাকার রফিকুল ইসলাম স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ ছোট ভাই নজরুল ইসলামকে নিয়ে ভালুকা পৌরসভার পনাশাইল এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। রফিকুল ইসলাম স্থানীয় রাসেল স্পিনিং মিলে কাজ করতেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা
সোমবার সকাল ৯টার দিকে কর্মস্থল থেকে বাসায় ফিরে রফিকুল দেখেন মূল ফটকে তালা ঝুলছে। এ সময় ডাকাডাকি করা হলেও ঘরের ভেতর থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে তিনি স্ত্রী ও দুই সন্তানের গলাকাটা লাশ দেখতে পান। পরে তিনি পুলিশে খবর দেন।
খবর পেয়ে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ূন কবির বলেন, ‘মা ও দুই সন্তানের গলাকাটা লাশ তিনটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। খুনের রহস্য উদঘাটনে তদন্ত চলছে।’
১৬৮ দিন আগে
ময়মনসিংহে বজ্রপাতে প্রাণ গেল বাবা-ছেলের
ময়মনসিংহের নান্দাইলে বজ্রপাতে এক প্রবাসী ও তার ছেলে নিহত হয়েছেন।
রবিবার (৭ জুলাই) বিকালে উপজেলার খারুয়া ইউনিয়নের আবদুল্লাহপুর গ্রামে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন- প্রবাসী গোলাম মোস্তফা (৪৫) ও তার ছেলে আবদুল্লাহ (৯)।
নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, প্রবাসী গোলাম মোস্তফা তার ছেলে আবদুল্লাহকে নিয়ে বাড়ির পাশে নিজ জমিতে ধানের বীজতলা প্রস্তুত করছিলেন। হঠাৎ আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে বজ্রপাতের শব্দ শোনা যায়। এরপর নিরাপত্তার জন্য জন্য ছেলেকে নিয়ে বীজতলা থেকে পাশের একটি জামগাছের নিচে আশ্রয় নেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যে এক বিকট শব্দে জামগাছের উপর বজ্রপাত আঘাত হানে। এতে গাছের নিচে দাঁড়িয়ে থাকা বাবা-ছেলে গুরুতর আহত হন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে বজ্রপাতে মাদরাসাছাত্র নিহত, আহত ৩
পরে স্থানীয়রা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের উদ্ধার করে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু পথেই তাদের মৃত্যু হয়।
১৭৫ দিন আগে
ময়মনসিংহে তিন যানের সংঘর্ষে ২ জন নিহত
ময়মনসিংহের তারাকান্দায় বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও পিকআপ ভ্যানের ত্রিমুখী সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১০ জন।
রবিবার (২২ জুন) দুপুর ১২টার দিকে ময়মনসিংহ-শেরপুর অঞ্চলিক সড়কের বাগুন্দা নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শেরপুর হতে ঢাকাগামী জি কে পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা অটোরিকশা ও পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষ হলে এই ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে দুজন নিহত হন।
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতাল ও স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
নিহতরা সিএনজির যাত্রী বলে জানা গেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
এ ঘটনায় শেরপর-ময়মনসিংহ অঞ্চলিক সড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে।
তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) টিপু সুলতান জানান, পুলিশ লাশদুটি উদ্ধার করেছে। এ ছাড়া দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িগুলোও জব্দ করা হয়েছে। তবে সব চালক পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
১৯০ দিন আগে
নিখোঁজের ২০ ঘণ্টা পর শেরপুরে দুই শিশুর লাশ উদ্ধার
শেরপুরের শ্রীবরদীতে নিখোঁজের ২০ ঘণ্টা পর মাছের খামার থেকে দুই শিশুকন্যার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (১৮ জুন) সকাল ৮টার দিকে শ্রীবরদী উপজেলার বটতলা এলাকার মৃধাবাড়ি এলাকার ওই মাছের খামার থেকে শিশু দুটির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহতরা হলো—উপজেলার তিনানি ছনকান্দা গ্রামের বেতালবাড়ী এলাকার ট্রাকচালক স্বপন মিয়ার মেয়ে স্বপ্না বেগম (৬) এবং সেলিম মিয়ার মেয়ে সকাল বেগম (৭)।
নিহতদের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুর ১২টার দিকে জামাকাপড় পরে ঘুরতে বের হয় তারা। কিন্ত দুপুর থেকে বিকাল, এরপর বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা হলেও বাড়ি ফেরে না স্বপ্না ও সকাল। এরপর তাদের খুঁজতে এলাকায় মাইকিং করা হয়।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটে পা পিছলে নদীতে পরার ২৯ ঘণ্টা পর লাশ উদ্ধার
তবে গতকাল অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাদের পাওয়া যায়নি। পরে আজ (বুধবার) সকালে ওই মাছের পুকুর থেকে বিবস্ত্র অবস্থার তাদের লাশ উদ্ধার করা হয় বলে জানান পরিবারের সদস্যরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার জাহিদ। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনা অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
১৯৪ দিন আগে