আওয়ামী-লীগ
জিয়াউর রহমানই গণতন্ত্র হত্যাকারী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘জিয়াউর রহমানই মূলত: গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে আর জিয়াউর রহমানকে হত্যা করেছে তার লোকেরাই।’
২৭ থেকে ২৯ মে এন্টিগায় ক্ষুদ্র দ্বীপ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের চতুর্থ সম্মেলনে যোগদান এবং ৩০ ও ৩১ মে যুক্তরাষ্ট্রের নিইউয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ধারাবাহিক সভা শেষে রবিবার সন্ধ্যায় দেশে ফিরে সোমবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
বিএনপির সাম্প্রতিক প্রচারণা- ‘জিয়াকে হত্যায় গণতন্ত্র হত্যা হয়েছে’ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘জিয়াউর রহমানই এদেশে গণতন্ত্রের হত্যা করেছিল। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পেছনে জিয়াউর রহমান ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত ছিল। সে কারণেই খন্দকার মোশতাক ক্ষমতা নেওয়ার পর জিয়াউর রহমানকে সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে নিয়োগ করেছিলেন। সেনাবাহিনীর প্রধান থাকা অবস্থায় জিয়াউর রহমান রাজনৈতিক দল গঠন করেছিলেন। এটি কোনো গণতান্ত্রিক বিধি-বিধান নয়।’
এ সময় তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর সাত্তার সাহেব রাষ্ট্রপতি ছিলেন, বেগম খালেদা জিয়া সোয়া ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তারা কেন জিয়া হত্যার বিচার করল না?’
তিনি বলেন, ‘তারা নিশ্চয়ই কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরোবে বলেই জিয়া হত্যার বিচার করেনি। প্রকৃতপক্ষে জিয়াউর রহমানই গণতন্ত্রের হত্যাকারী।’
৫৭৩ দিন আগে
পলাতক তারেক বিদেশে বিলাসী জীবনযাপন করছে: বেনজীর প্রসঙ্গে মন্তব্য নিয়ে ফখরুলকে কাদের
সরকারের সহায়তায় বেনজীর আহমেদ বিদেশে পালিয়েছে- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘সরকারের কারা গিয়ে তাকে বিমানে তুলে দিয়েছে? কোন কর্তৃপক্ষ গিয়ে তাকে তুলে দিয়েছে? অন্ধকারে ঢিল ছুড়বেন না।’
এদেশ থেকে টাকা পাচারের সংস্কৃতি ও অর্থনীতি বিএনপির আমল থেকে শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ক্ষমতায় এলে বিএনপি নেতারা অবৈধভাবে টাকা উপার্জনের মহোৎসবে মেতে ওঠে। এটা দেশে ও বিদেশে প্রতিষ্ঠিত সত্য।’
‘২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়। পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে বিএনপির দণ্ডিত পলাতক নেতা তারেক রহমান বিদেশে বিলাসী জীবনযাপন করছে।’
রবিবার (২ জুন) দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ওবায়দুল কাদের।
আরও পড়ুন: বিএনপি দুর্নীতি ও লুটপাটের ওস্তাদ: ওবায়দুল কাদের
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এ সময় তিনি বলেন, ‘দুর্নীতিতে অভিযুক্ত বেনজীর আহমেদ বিদেশে থাকলেও বিচার চলবে। দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে দেশে ফিরতেই হবে। সরকার কোনো ছাড় দেবে না।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বেনজীর আহমেদের ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত করছে। তদন্ত, মামলা, গ্রেপ্তার- সবকিছু একটা আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। সরকার এখানে দুদককে এড়িয়ে আগ বাড়িয়ে কেন ব্যবস্থা নেবে? সরকারের দুর্নীতিবিরোধী যেসব সংস্থা আছে তাদের কোনো ব্যর্থতা থাকলে তার বিচার হবে।’
এ সময় বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এদেশে ৭৫ পরবর্তীকালে কোনো শাসক ও সরকার দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সৎ সাহস দেখাতে পারেনি। শেখ হাসিনার সরকার সেটি দেখিয়েছে। ব্যক্তি দুর্নীতি করতে পারে। তবে দুর্নীতি করার পর সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি কী- সেটা দেখতে হবে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দুর্নীতি কোনো দেশে হয় না- এই দাবি কেউ করতে পারে না। আমাদের দেশের যিনি প্রধানমন্ত্রী, সরকারপ্রধান তিনি কোনো ধরনের দুর্নীতি করেন বা দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেন- এমন অভিযোগ তার বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে কেউ দিতে পারেনি। শেখ হাসিনা আপাদমস্তক সৎ রাজনীতিক- এটা বিশ্বে স্বীকৃত। তার জনপ্রিয়তার মূলে তিনি অত্যন্ত পরিশ্রমী ও সৎ জীবনযাপন করেন।’
আরও পড়ুন: আজিজ-বেনজীরকে নিয়ে বিব্রত নয় সরকার: ওবায়দুল কাদের
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির নেতা তারেক রহমানই দণ্ডিত পলাতক, চিহ্নিত অপরাধী। এমন লোক যে দলের নেতৃত্ব দেয়, সেই দল জনগণের কল্যাণে কাজ করতে পারে না। জনগণের বিশ্বাসও রাখতে পারে না।’
‘তারা দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। দুর্নীতিবাজদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিতেই বিএনপি নিজেদের গঠনতন্ত্র থেকে ৭ ধারা বাদ দিয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন- আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, উপ-দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সায়েম খানসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।
৫৭৪ দিন আগে
বিএনপি দুর্নীতি ও লুটপাটের ওস্তাদ: ওবায়দুল কাদের
বিএনপিকে দুর্নীতি ও লুটপাটের ওস্তাদ আখ্যায়িত করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নেতাদের নাম দুর্নীতিবাজদের তালিকায় শীর্ষে থাকবে।
শুক্রবার (৩১ মে) বিকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কোনো দেশেই নিখুঁত গণতন্ত্র নেই। আমরাও দাবি করি না যে আমাদের গণতন্ত্র নিখুঁত। তবে আমরা চেষ্টা করছি নিখুঁত করতে, আমাদের প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে আন্তরিক।’
তিনি বলেন, যে বিএনপি এখন বহুদলীয় গণতন্ত্রের কথা বলে, তারা নিজেরাই ‘কারফিউ গণতন্ত্রের’ চর্চা করেছে এবং ১১৪ শতাংশ 'হ্যাঁ' ভোট এবং ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার নিয়ে একটি জালিয়াতি গণভোটের আয়োজন করেছিল।
আরও পড়ুন: এমপির মৃত্যু নিয়ে ফখরুলের বক্তব্য সমর্থনযোগ্য নয়: কাদের
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছে এবং নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে।
দুর্নীতি করা সত্ত্বেও বিএনপি নেতারা তারেক রহমান ও খালেদা জিয়াকে জনপ্রিয় নেতা বলে দাবি করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'বিএনপি আমলে হাওয়া ভবন ছিল দুর্নীতি ও লুটপাটের আঁতুড়ঘর। এখন তারা দুর্নীতি নিয়ে কথা বলার সাহস পায়। তারা কি কখনো দলের কোনো কর্মী বা সরকারি কর্মকর্তাকে দুর্নীতির জন্য শাস্তি দিয়েছে?’
আওয়ামী লীগ সরকার দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। তদন্ত চলছে বলেও জানান তিনি।
সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রক্রিয়া চলছে, তদন্ত চলছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, বেনজীরের বিদেশ যাত্রার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু তিনি জানেন না।
এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: অপরাধীদের বিষয়ে সরকারের নীতি জিরো টলারেন্স: ওবায়দুল কাদের
৫৭৬ দিন আগে
সিলেটে বন্যাকবলিতদের মাঝে খাবার বিতরণ করেছে ওসমানী মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগ
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার গোয়াইনঘাট উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগ।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম জানান, উপজেলার রুস্তমপুর ইউনিয়নে বন্যার্তদের জন্য আমরা চিড়া ও মুড়ি, রান্না করা খাবার ও মিঠা পানিসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য বিতরণ করেছি।
বিবৃতিতে তিনি দেশের সেবা, এই দুর্যোগ মোকাবিলা, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা এবং তার (প্রধানমন্ত্রী) নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দোয়া কামনা করেছেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যায় ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দি, ডুবে গেছে সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক
৫৭৭ দিন আগে
অপরাধীদের বিষয়ে সরকারের নীতি জিরো টলারেন্স: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অপরাধীদের বিষয়ে সরকারের নীতি জিরো টলারেন্স। অপরাধীরা যত প্রভাবশালীই হোক, শাস্তি তাকে পেতেই হবে।
শুক্রবার (২৪ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনয়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের আরও বলেন, ব্যক্তি যত প্রভাবশালী হোক অপরাধ অপকর্ম করতে পারে। এখানে প্রশ্ন থেকে যায়, সরকার এ ব্যাপারে তাদের অপরাধ-অপকর্মের জন্য শাস্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে সৎ সাহস দেখিয়েছে কিনা।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকারের সে সৎ সাহস আছে। অপরাধ করে কেউ পার পাবে না। বিচার বিভাগ স্বাধীন, দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদক স্বাধীন। সেখানে যদি কেউ অপরাধী হিসেবে সাব্যস্ত হয় আমরা কোন প্রটেকশন দিব? হোক সে সাবেক আইজিপি কিংবা সাবেক সেনাপ্রধান। অপরাধ করলে দেশের প্রচলিত আইনে শাস্তির মুখে পড়তে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বুয়েটে আবরার হত্যাকাণ্ডে যাদের দণ্ড দেওয়া হয়েছে তারা সবাই ছাত্রলীগ কর্মী। সরকার তাদের প্রটেকশন দিতে যায়নি। বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্রেও সরকার কাউকে প্রটেকশন দেয়নি। ব্যক্তি অপরাধ করতে পারে। কিন্তু সরকার তাকে প্রটেকশন কেন দেবে?
আরও পড়ুন: সাংবাদিকদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে প্রবেশের প্রয়োজন নেই, সব তথ্য ওয়েবসাইটে আছে: ওবায়দুল কাদের
তিনি বলেন, আমরা অপরাধীকে অপরাধী হিসেবেই দেখি। সে যতই প্রভাবশালী হোক অপরাধ করলে শাস্তি তাকে পেতেই হবে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দুঃশাসন ও জুলুম চালাচ্ছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুলের মানসিক ট্রমা মনে হয় ভয়ংকর পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। তিনি ও তার দলের নেতারা বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে। তারা আন্দোলন সংগ্রামে ব্যর্থ। তাদের এদিকও নেই, ওদিকও নেই। বন্ধুরাও আগের মতো এসে তাদের উৎসাহিত করে না।
তিনি বলেন, আগে ঘুম থেকে উঠেই মির্জা ফখরুল মার্কিন দূতাবাসে হাজির হয়ে নাস্তা করতে যেতেন, রাতেও খুঁজে পাওয়া যেত না। বিদেশিরা ক্ষমতায় বসাবে সে কর্পূরও উড়ে গেছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কোন সাধারণ নাগরিক জেল-জুলুম-হয়রানির মুখোমুখি হয়নি জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা পুলিশ মেরেছে, পুলিশ হাসপাতালে অগ্নি সংযোগ করেছে তারা তো অপরাধী। তাদের বিএনপি হিসেবে আটক করা হয়নি। আটক করা হয়েছে সন্ত্রাস, আগুন সন্ত্রাসে জড়িত থাকার অপরাধে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা অস্ত্রসহ আটকের পর তার পক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। খুনিদের পক্ষে বিএনপির যে প্র্যাকটিস এখনো সেটা করে যাচ্ছে। বিএনপির সব নেতাই বাইরে। তাহলে তাদের কে নির্যাতন করছে? প্রশ্ন রাখেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগ সরকারের জনভিত্তি নেই বিএনপির এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতীয় নির্বাচনে ৪২ শতাংশের বেশি মানুষ ভোটকেন্দ্রে এসেছে। বাংলাদেশের এই হার অন্যান্য দেশের তুলনায় সন্তোষজনক। বিএনপির আমলে ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে বিবিসি জানিয়েছে ভোটার উপস্থিতি ছিল ৫ শতাংশ, আর তখনকার নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল উপস্থিতি ২১ শতাংশ। এখনকার নির্বাচনে উপস্থিতি তার দ্বিগুণ। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে নির্বাচন কমিশন বলেছে উপস্থিতি ৩৬ শতাংশের বেশি। আর দ্বিতীয় ধাপে ৩৭ শতাংশের বেশি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা জনগণের প্রতিনিধি। আমরা জনগণের ইচ্ছায় দেশ শাসন করছি। বিএনপি পথ হারিয়ে পথহারা পথিকের মতো বেসামাল বক্তব্য দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: এমপির মৃত্যু নিয়ে ফখরুলের বক্তব্য সমর্থনযোগ্য নয়: কাদের
৫৮৩ দিন আগে
এমপির মৃত্যু নিয়ে ফখরুলের বক্তব্য সমর্থনযোগ্য নয়: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভারতের কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিমের হত্যাকাণ্ড নিয়ে এখনো বিভ্রান্তি রয়েছে।
এ অবস্থায় বন্ধুপ্রতিম দেশকে দায়ী করে বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য সমর্থনযোগ্য নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বুধবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
'সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রগতি' শীর্ষক এ সভার আয়োজন করে আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক উপকমিটি।
কাদের বলেন, ‘ভারত আমাদের বন্ধু, এটা ঠিক আছে। একজন সংসদ সদস্য চিকিৎসার জন্য যান, তিনি ভারত সরকারকে কিছু জানান না। আর যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানালে তবেই নিরাপত্তার বিষয়টি দেখা হয়।’
আরও পড়ুন: আজিজের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার জন্য দায়ী সরকার, সেনাবাহিনীর সুনাম কলঙ্কিত: ফখরুল
তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু তারা যদি শত্রু রাষ্ট্র হয়, তাহলে আপনার এমপি সালাহউদ্দিন কীভাবে এত দিন নিরাপদ আছেন? কেউ তাকে হত্যা করেনি, কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। বন্ধুপ্রতিম দেশকে কেন বদনাম করছেন? এ ধরনের বক্তব্য দেওয়া সমীচীন নয়।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গাজায় যারা ইসরাইলের গণহত্যা অস্বীকারকারীদের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার মাথা ঘামায় না। যারা বোমা মেরে ও নির্বিচারে গুলি করে ৩৫ হাজার ৫০০ মানুষকে হত্যা করছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এখন যা করছেন তা হিটলারের চেয়েও খারাপ। শিশুদের টার্গেট করে হত্যা করা কি গণহত্যা নয়? এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলছেন, ইসরাইল গণহত্যা করেনি।’
তিনি বলেন, 'যারা গণহত্যার কথা অস্বীকার করে এবং আমাদের নিষেধাজ্ঞা বা ভিসা নীতি অরোপ করে, আমরা তাদের পরোয়া করি না। সেনাবাহিনী তার নিয়ম মেনে চলে। অপরাধ যে ই করুক না কেন, কাউকে ছাড় দেওয়ার লোক নন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।’
সভায় আরও ছিলেন- আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজহার খান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, চলচ্চিত্র অভিনেতা ফেরদৌসসহ উপকমিটির অন্যান্য সদস্যরা।
আরও পড়ুন: এমপি আনোয়ারুলের হত্যাকারীরা বাংলাদেশি: ডিবি প্রধান
৫৮৫ দিন আগে
সাংবাদিকদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে প্রবেশের প্রয়োজন নেই, সব তথ্য ওয়েবসাইটে আছে: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশের কোনো প্রয়োজন নেই, কারণ তাদের প্রয়োজনীয় সব তথ্য ব্যাংকের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘কোন দেশে অবাধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ঢোকা যায়? যে কেউ কি ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে প্রবেশ করতে পারে? সবকিছুই ওয়েবসাইটে আছে। কেন আপনার প্রবেশ করা দরকার?’
আরও পড়ুন: সন্তোষজনক ভোটার উপস্থিতিতে স্থানীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে: হাছান মাহমুদ
শনিবার(১৮ মে) রাজধানীর ঢাকার ধানমন্ডিতে এক সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে তাদের প্রবেশাধিকার নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
র্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, 'নৈশভোজের পর সাংবাদিকদের সামনে তার বক্তব্য যথাযথভাবে প্রকাশিত হয়েছে কি না, তা প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টার সঙ্গে একবার কথা বললেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে। তিনি (প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা) হয়তো মার্কিন আসিসট্যান্ট সেক্রেটারিকে এটি (নিষেধাজ্ঞা) প্রত্যাহার করতে বলেছেন।’
বিএনপির ভারতবিরোধী অবস্থান প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, তিনি গণমাধ্যমে দেখেছেন বিএনপি তাদের ভারতবিরোধী অবস্থান পুনর্বিবেচনা করবে। ‘বিরোধিতা না করে তারা কি মধ্যপন্থা অবলম্বন করতে পারে? তাদের হাতে কোনো বিষয় নেই, তারা তাদের অস্তিত্বের জানান দিতেই কিছু নিয়ে আসে। শেষ পর্যন্ত গণঅভ্যুত্থান থেকে সরে এসে তাদের লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে আশ্রয় নিতে হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশ মানেই অগ্নিসংযোগ-ধ্বংসযজ্ঞ-রক্তপাত: ওবায়দুল কাদের
৫৮৯ দিন আগে
ইসরায়েলি এজেন্টদের সঙ্গে মিলে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
গত নির্বাচনে বিএনপির চক্রান্ত ভেস্তে যাওয়ায় তারা এখন আন্তর্জাতিক ইসরায়েলি লবির সঙ্গে যুক্ত হয়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার দুপুরে প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত 'ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধের দাবিতে ও বিএনপির দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সমাবেশ ও মানববন্ধনে' এ অভিযোগ করেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'ফিলিস্তিনিদের হত্যা বন্ধে কোনো প্রতিবাদ না করে বিএনপি-জামায়াত ধর্মীয় "সেন্টিমেন্ট" নিয়ে অপরাজনীতি করছে। ফিলিস্তিনের পক্ষে না দাঁড়িয়ে তারা ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে, নেতানিয়াহুর দোসরে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলের এজেন্টদের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আমাদের কাছে তথ্য প্রমাণ আছে। এদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে।'
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িকতা ও কূপমণ্ডুকতা রুখতে দরকার দেশব্যাপী সাংস্কৃতিক গণজাগরণ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, 'পুরো পৃথিবী গাজায় ইসরায়েলের বর্বরতার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে। কিন্তু বিএনপি ও জামায়াত, যারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করার অপচেষ্টা করে, এই মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে তারা একটা শব্দও উচ্চারণ করেনি। কারণ কেউ অসন্তুষ্ট হতে পারে।'
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি গণহত্যার বিরুদ্ধে নিশ্চুপ থাকা ইসলামি দলগুলোরও সমালোচনা করেন হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, কিছু ইসলামি দল আছে যারা কারণে-অকারণে বায়তুল মোকাররমে দাঁড়িয়ে যায়। এখন তাদের পাওয়া যাচ্ছে না।
ড. হাছান প্রশ্ন তোলেন, ‘আপনাদের কেন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না? আপনারা কোথায় এখন? নির্বাচনের আগে সরকার নামানোর জন্য বায়তুল মুকাররমের সামনে এসে আন্দোলন করেন। ফিলিস্তিনি ভাইদের পক্ষে, ইসরায়েলের বিপক্ষে তো একটা বড় মিছিল করতে দেখলাম না আপনাদের।'
তিনি আরও বলেন, এরা ইসলামপ্রেমী নয়, এরা হলো মুখোশধারী ধর্ম ব্যবসায়ী। এদের মুখোশও উন্মোচন করতে হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, 'সরকারের সমালোচনাকারী নামসর্বস্ব রাজনৈতিক দলের নেতাদের অনেকেরই দলের চেয়ে ব্যক্তি বড়, শরীরের চেয়ে গাল বড়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও অনেককেই দেখি সরকারের বিরুদ্ধে বড় বড় ভাষণ দেয়, বিষোদগার করে। কিন্তু নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তো তাদের কথা বলতে শুনলাম না।’
ফিলিস্তিনিদের প্রতি অটল সমর্থন ব্যক্ত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, বাংলাদেশের সরকার ও মানুষের অবস্থান সবসময় ফিলিস্তিনিদের পক্ষে। আমাদের নীতি ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে।
বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন টয়েলের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন- ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য বলরাম পোদ্দার, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা মানিক লাল ঘোষ, স্বাধীনতা পরিষদের নেতা ফরিদুজ্জামান, মুহাম্মদ রোকন উদ্দিন পাঠান।
আরও পড়ুন: বিএনপি যে কখন তাবিজ-দোয়ার ওপর ভর করে সেটিই প্রশ্ন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৫৯৩ দিন আগে
বিএনপির সমাবেশ মানেই অগ্নিসংযোগ-ধ্বংসযজ্ঞ-রক্তপাত: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির সমাবেশ মানেই অগ্নিসংযোগ, ধ্বংসযজ্ঞ ও রক্তপাত।
তিনি আরও বলেন, ‘এজন্য জনগণের জানমাল রক্ষায় আমাদের সক্রিয় থাকতে হবে এবং মাঠে থাকতে হবে।’
শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক যৌথসভায় এ কথা বলেন তিনি।
নির্বাচন বানচালে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি আবারও আন্দোলনের নামে দেশে বিশৃঙ্খলা ও ত্রাস সৃষ্টির চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে নির্বাচন ভীতি পেয়ে বসেছে: হাছান মাহমুদ
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ কোনো পাল্টা কর্মসূচি দেয় না বরং জনগণের নিরাপত্তার জন্য দলের নেতা-কর্মীদের মাঠে থাকতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে যারা রাজনীতি করতে পারে তারা দেশের বিরুদ্ধে অনেক কিছুই করতে পারে।
তাই এ বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিৎ: কাদের
উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'এবারে যে ভোট পড়ছে খুব ভালো ভোট পড়েছে বলব না, মোটামুটি পড়েছে। বিএনপির অনেক নেতা দলের ভোট বর্জনকে প্রত্যাখ্যান করে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। পার্টিতে কেউ কারো কথা শোনে না। বিএনপি প্রকৃতপক্ষে ভুল আর ব্যর্থতার চোরাবালিতে আটকে গেছে। ইতিবাচক রাজনীতিতে না ফেরা পর্যন্ত তারা কিছুই অর্জন করতে পারবে না।’
বিএনপির শাসনামলে কোনো নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে কি-না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং সেখানে কোনো সংঘাতের খবর পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও বলেন, এই শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের কৃতিত্ব নির্বাচন কমিশন ও সরকারকে দিতে হবে।
'দেশের জনগণকে নয়, প্রতিবেশী দেশকে খুশি করেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকে' বিএনপি নেতা গয়েশ্বরের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'ভারত আমাদের প্রতিবেশী দেশ ও পরীক্ষিত বন্ধু। তারা আমাদের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেনি। আওয়ামী লীগ জনগণের শক্তি নিয়েই ক্ষমতায় টিকে আছে, ভারতকে তুষ্ট করে নয়, ভারতের দয়ায় নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘৭৫-এর পর অনেক বছর আমরা ক্ষমতায় ছিলাম না, তখন ভারত কোথায় ছিল? ভারত কি আমাদের ক্ষমতায় বসিয়েছে?’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা জনগণের ম্যান্ডেটে ক্ষমতায় আছি, ভারতকে খুশি করে নয়।’
সভায় আরও ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ ও ডা. দীপু মনি।
আরও পড়ুন: উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে হবে: কাদের
৫৯৭ দিন আগে
সন্তোষজনক ভোটার উপস্থিতিতে স্থানীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে: হাছান মাহমুদ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জনে বিএনপির আহ্বানে ভোটাররা কর্ণপাত করেনি এবং সন্তোষজনক ভোটারের উপস্থিতিতে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'আমি বলব ভোটার উপস্থিতি খুবই সন্তোষজনক ছিল।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই অঞ্চলের মধ্যে ভারত, নেপাল ও পাকিস্তানেও স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিৎ: কাদের
তিনি বলেন, দেশের অন্যান্য নির্বাচন এবং এ অঞ্চলের অন্য দেশের নির্বাচনের তুলনায় বাংলাদেশে সহিংসতার মাত্রা খুবই কম। 'শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।'
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি নির্বাচন বর্জন করে ভোটারদের ভোট বর্জনের আহ্বান জানালেও ভোটাররা সেই আহ্বানে কর্ণপাত করেনি।
তিনি বলেন, 'তাদের প্রার্থীরাও কথা শোনেনি এবং তারা নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। তাই নির্বাচন অত্যন্ত সন্তোষজনক হয়েছে।'
আরও পড়ুন: বিএনপিকে নির্বাচন ভীতি পেয়ে বসেছে: হাছান মাহমুদ
৫৯৮ দিন আগে