বিএনপি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের উদ্বোধনের দিন বিএনপির কালো পতাকা মিছিল
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ অধিবেশনের প্রথম দিন মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) রাজধানীসহ সারাদেশে কালো পতাকা নিয়ে মিছিল করবে বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলো। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করবে দলটি।
‘অবৈধ ডামি’ সংসদ বাতিলের দাবিতে সব মহানগর, জেলা, উপজেলা, থানা ও পৌরসভাতেও কর্মসূচি পালন করা হবে।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ২৬-২৭ জানুয়ারি কালো পতাকা মিছিল করবে বিএনপি
তিনি বলেন, বিএনপির সব ইউনিট একযোগে কর্মসূচি পালনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে।
তিনি সর্বস্তরের মানুষকে তাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে এ কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানান।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি রাজধানীর পীরজঙ্গী মাজার, যাত্রাবাড়ীর কদমতলী বাস স্টেশন, নিউমার্কেট ও দয়াগঞ্জ মোড়ের সামনে কালো পতাকা মিছিল বের করবে।
এছাড়া ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার শাহজাদপুরের সুবাস্তু নজর ভ্যালি শপিং মলের সামনে, উত্তরা ১২ নম্বর সেকশনের কবরস্থানের সামনে এবং মিরপুর-৬ নম্বর মসজিদের সামনে থেকে কালো পতাকা মিছিল শুরু করবে দলটি।
আরও পড়ুন: ‘বিজিবি সদস্য হত্যার’ ঘটনায় জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তদন্তের দাবি বিএনপির
এসব শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেবেন দলের স্থায়ী কমিটি, ভাইস চেয়ারম্যান ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা।
বিএনপি ছাড়াও গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমন্বয় জোট, গণঅধিকার পরিষদ, এলডিপি, লেবার পার্টি, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, গণঅধিকার পরিষদ, গণফোরাম, পিপলস পার্টি ও এবি পার্টি পৃথকভাবে কালো পতাকা মিছিল করবে।
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এটি হবে বিএনপির দ্বিতীয় রাজপথ কর্মসূচি।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে। বিকেল ৩টায় শুরু হওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
আরও পড়ুন: শুক্রবার, শনিবার কালো পতাকা মিছিল করবে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো
সংসদ অধিবেশনের দিন কালো পতাকা মিছিল করবে বিএনপি
নির্দলীয় সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের অধিবেশনের প্রথম দিন সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সারা দেশে কালো পতাকা মিছিল করবে বিএনপি।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কালো পতাকা মিছিল বের করার আগে নতুন এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেন, 'অবৈধ ডামি সংসদ বাতিল করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে আগামী ৩০ জানুয়ারি সব মহানগর, জেলা, উপজেলায় কালো পতাকা মিছিল বের করবে আমাদের দলের সব শাখা।’
আরও পড়ুন: বর্তমান সরকারের অধীনে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি: রিজভী
বর্তমান সরকার ও সংসদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কর্মসূচি সফল করতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বাতিলের দাবিতে এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে কালো পতাকা নিয়ে মিছিল বের করতে ঢাকার দুই মহানগরীর বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী নয়াপল্টনে জড়ো হন।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে বিকাল ৩টার দিকে কালো পতাকা মিছিল বের করে নাইটিঙ্গেল ও ফকিরাপুল মোড় হয়ে আরামবাগ মোড়ের কাছে গিয়ে শেষ হয়।
এর আগে শুক্রবার নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের আকাশছোঁয়া দামের প্রতিবাদে ও একই দাবিতে বিএনপির সব জেলা শাখায় কর্মসূচি পালন করা হয়।
গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এটাই ছিল বিএনপির প্রথম রাজপথের কর্মসূচি।
আরও পড়ুন: ‘বিজিবি সদস্য হত্যার’ ঘটনায় জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তদন্তের দাবি বিএনপির
শুক্রবার, শনিবার কালো পতাকা মিছিল করবে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো
‘বিজিবি সদস্য হত্যার’ ঘটনায় জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তদন্তের দাবি বিএনপির
যশোরের বেনাপোল সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য মোহাম্মদ রইসউদ্দিন নিহত হওয়ার ঘটনায় জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তদন্ত দাবি করেছে বিএনপি।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে দলটির স্থায়ী কমিটি এই দাবি করে।
গত সাত বছরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে ২০১ জন বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ রক্তক্ষয়ী খেলা খেলছে বলে অভিযোগ করেছে দলটির স্থায়ী কমিটি।
শুক্রবার(২৬ জানুয়ারি) বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম বিএনপির স্থায়ী কমিটি বিএসএফের গুলিতে বিজিবি সদস্য নিহত হওয়ার তীব্র নিন্দা জানায়।
গত সোমবার বেনাপোল সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন বিজিবির সিপাহী মোহাম্মদ রইসউদ্দিন।
আরও পড়ুন: বর্তমান সরকারের অধীনে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি: রিজভী
ঘটনার পর বিএসএফ এক বিবৃতিতে দাবি করে, নিহত বিজিবি সদস্য সাদা পোশাকে চোরাকারবারিদের সঙ্গে ছিল।
তবে বিএনপির স্থায়ী কমিটি বিএসএফের ব্যাখ্যাকে অগ্রহণযোগ্য উল্লেখ করে বলেছে, কোনো বিজিবি সদস্য লুঙ্গি ও টি-শার্ট পরে চোরাকারবারি দলের সঙ্গে যেতে পারে না। ‘ভারতীয় মানবাধিকার সংগঠন মাসুমও বিএসএফের বক্তব্যের সঙ্গে একমত নয়।’
দলটি আরও বলেছে, বিএসএফের বিবৃতিটি বানোয়াট এবং ভারতীয় নীতি নির্ধারকদের 'আধিপত্যবাদী' মনোভাবে উৎসাহিত হয়ে বাহিনী কেবল তাদের হত্যাকাণ্ডকে ন্যায্যতা দেওয়ার চেষ্টা করছে। ‘বিএসএফের অপরাধ এবং তাদের নম্রতার মধ্যে সব সময়ই বিশাল ব্যবধান থাকে। তাদের (বিএসএফ) মনোভাব থেকে এমন ধারণা পাওয়া যায় যে, তারা এখনও আদিম ও মধ্যযুগ থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি।’
এতে আরও বলা হয়, রইসউদ্দিন হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিএসএফের মনগড়া বক্তব্য বাংলাদেশের জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। ‘ভারতের উচ্চাভিলাষী নীতির কারণে সীমান্তে রক্তপাত বন্ধ হচ্ছে না।’
বিএনপি বলেছে, একজন বিজিবি সদস্যকে হত্যার মাধ্যমে ভারত বাংলাদেশের জনগণকে তাদের আজ্ঞাবহ রাখতে আধিপত্যবাদী বার্তা দিয়েছে।
দলটি বলেছে, ‘ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত বিশ্বের সবচেয়ে সহিংস ও রক্তাক্ত। ভারত বারবার প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের হাতে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যার ঘটনা বেড়েই চলেছে।’
আরও পড়ুন: দেশে গণতন্ত্র না থাকায় ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য ক্রমশ বাড়ছে: নজরুল ইসলাম
এতে বলা হয়, এতদিন বিএসএফের হাতে সাধারণ বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হলেও এখন সীমান্তে বিজিবি সদস্যরাও নিরাপদ নয়। ‘একটি স্বাধীন দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী অন্য দেশের সীমান্তরক্ষীদের হাতে নিহত হওয়া কোনো সাধারণ ঘটনা নয়, বরং এর সঙ্গে রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন জড়িত।’
বিএনপি আরও বলেছে, এটি গভীর উদ্বেগের বিষয় যে, শেখ হাসিনার ক্ষমতার লোভে নতজানু পররাষ্ট্রনীতি বাংলাদেশকে একটি অনুগত রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। দখলদার আওয়ামী সরকার এখন দেশবিরোধী ঘৃণ্য চক্রান্তের ঘুঁটি। এমনকি এখন বিজিবি সদস্য বিনা কারণে প্রাণ হারাচ্ছেন।
বিজিবি সদস্য হত্যা ও সীমান্ত হত্যার বিষয়েও সরকারের 'নীরবতা'র সমালোচনা করেছে দলটি।
তিনি বলেন, বিএসএফের 'পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড' এখন সবার জানা। দিল্লির নৃশংসতা এবং ঢাকার নীরবতার কারণে সীমান্তে অনিয়ন্ত্রিত সীমান্ত হত্যাকাণ্ড হচ্ছে। সীমান্তের কাছে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি হত্যার ঘটনার বিষয়ে নীরবতা দিল্লির সঙ্গে শেখ হাসিনার চিরস্থায়ী 'রাজনৈতিক সমঝোতার' ফসল।
আরও পড়ুন: জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সংসদ বা সরকার গঠিত হয়নি: ড. মঈন
জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সংসদ বা সরকার গঠিত হয়নি: ড. মঈন
দেশের জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সংসদ বা বর্তমান সরকার গঠিত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতা ড. আবদুল মঈন খান।
তিনি বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, জনগণের ভোটে সংসদ ও সরকার গঠিত হয়নি। সুতরাং এটা জনগণের সংসদ নয়, জনগণের সরকার নয়।’
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দরিদ্রদের মাঝে কম্বল বিতরণকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি ভোটারদের অংশগ্রহণ ছাড়া একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকারকে দেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি জনগণের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে এবং তারা সব সময় দেশের মানুষের কল্যাণ ও অধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করে। ‘বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে না পারা পর্যন্ত আমরা জনগণের পাশে থাকব।’
তিনি বলেন, সরকার বন্দুক, রাইফেল ও গুলি দিয়ে শক্তি প্রয়োগ করে জনগণকে দমন করার চেষ্টা করতে পারে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত জনগণের কাছে পরাজিত হবে।
ড. মঈন খান বলেন, ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হয়নি, কারণ নির্বাচনের নামে রাজধানী থেকে মনোনীত করা হয়। ‘শুধু বিএনপি বা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী লোকজনই নয়, আওয়ামী লীগের সমর্থক ভোটাররাও নির্বাচনে অংশ নেয়নি।’
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও দরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিলেন।
মঈন বলেন, ‘সরকার ৪০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছে এবং ৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে মেট্রোরেল নির্মাণ করেছে। আমার একটা ছোট্ট প্রশ্ন আছে, আপনারা যখন ৪০ হাজার থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা (মেগা প্রকল্পে) খরচ করতে পারেন, তখন শীতার্ত মানুষকে কেন ১০০ টাকার কম্বল দিতে পারেন না? কেন আমাদের (বিএনপি) এখানে দাঁড়িয়ে কম্বল বিতরণ করতে হবে?’
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা জনগণের কল্যাণে রাজনীতি না করে দেশের সম্পদ লুটপাট করে সেকেন্ড হোম তৈরির জন্য বিপুল অর্থ বিদেশে পাচার করছে।
শুক্রবার, শনিবার কালো পতাকা মিছিল করবে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বাতিলের দাবিতে শুক্রবার সব জেলায় কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করবে বিএনপিসহ সমমনা বিরোধী দলগুলো।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের আকাশছোঁয়া দামের প্রতিবাদে একই দাবিতে শনিবার ঢাকাসহ সব মেট্রোপলিটন শহরে একই কর্মসূচি পালন করা হবে।
গণতন্ত্র মঞ্চ ছাড়াও ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমন্বয় জোট, গণঅধিকার পরিষদ, এলডিপি, লেবার পার্টি, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, গণফোরাম ও পিপলস পার্টি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পৃথকভাবে কালো পতাকা মিছিল করবে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, শনিবার দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করবে দলটির নেতা-কর্মীরা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সামাজিক নিরাপত্তা নয়, সবার জন্য সামাজিক বিমা চালু করতে হবে: সিপিডি
তিনি বলেন, ‘আমরা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে (ডিএমপি) এই কর্মসূচি সম্পর্কে জানিয়েছি। আমাদের দলের ভাইস চেয়ারম্যান আইনজীবী নিতাই রায় চৌধুরী কর্মসূচি নিয়ে ডিএমপি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন।’
তিনি বলেন, ডিএমপি কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিক অনুমতি না দিলেও এ কর্মসূচির প্রতি ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করেছে।
রিজভী বলেন, কালো পতাকা কর্মসূচি সফল করতে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির নেতা-কর্মীরা সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে।
গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এটাই হবে বিএনপির প্রথম পথচলা কর্মসূচি।
আরও পড়ুন: এমপিদের সম্পদের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি তদন্ত করতে হবে: সিপিডির মুস্তাফিজুর রহমান
সিপিডি কোনো গবেষণা করেনি, তাদের রিপোর্ট নির্জলা মিথ্যাচার: তথ্যমন্ত্রী
দেশে গণতন্ত্র না থাকায় ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য ক্রমশ বাড়ছে: নজরুল ইসলাম
দেশে গণতন্ত্র না থাকায় ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য ক্রমান্বয়ে বাড়ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র নেতা নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, ‘সবার উন্নয়নের কথা চিন্তা করলে গণতন্ত্র ছাড়া উপায় নেই। গণতন্ত্র না থাকায় দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ এখন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে পিষ্ট। আর মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ কোটি কোটি টাকার বাড়ি কিনছে।’
দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে বিএনপি নেতা আরও অভিযোগ করে বলেন, মাত্র ৫ শতাংশ মানুষ দুর্নীতি ও লুটপাটে লিপ্ত হয়ে দেশের বিপুল পরিমাণ সম্পদ ও অর্থ আত্মসাৎ করছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সমর্থনের প্রয়োজন নেই বলেই ৫ শতাংশ মানুষকে অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ সংগ্রহের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ‘ফলে তারা ভোটে বিশ্বাস করে না।’
আরও পড়ুন: জনসমর্থন নেই বলেই সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করা হবে: মঈন খান
তিনি আরও বলেন, 'যদি ভোটের প্রয়োজন হতো (সরকার গঠনের জন্য), তাহলে তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারত, ৭ জানুয়ারির মতো একতরফা নির্বাচন করত না।’
দেশের এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে বিরোধী দলগুলোর চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলন সফল করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশকে স্বাধীন করে দেশের মানুষ জীবন ও রক্ত দিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। ‘সেই গণতন্ত্র এখন বাংলাদেশে নেই। তা ধ্বংস হয়ে গেছে।’
আরও পড়ুন: আ. লীগ সরকার ‘তাসের ঘরের মতো’ ভেঙে পড়বে: মঈন খান
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর নবম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই কর্মসূচির আয়োজন করে বিএনপি।
অনুষ্ঠান শেষে কোকোর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
এর আগে সকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা কোকোর কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করেন।
২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৪৫ বছর বয়সে মারা যান কোকো।
২৭ জানুয়ারি তার লাশ দেশে আনা হয় এবং বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
আরও পড়ুন: বর্তমান সরকারের অধীনে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি: রিজভী
বর্তমান সরকারের অধীনে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি: রিজভী
জাতীয় নির্বাচন বর্জনের পর বর্তমান সরকারের অধীনে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ সিদ্ধান্ত জানান।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘আমরা সব সময় বলে আসছি, শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন কখনোই শান্তিপূর্ণ, বিশ্বাসযোগ্য ও সুষ্ঠু হবে না। তাই তার অধীনে কোনো নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিএনপি। বিএনপি এখনো সেই সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী বিশ্বব্যাংক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এর আগে গত সোমবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের জরুরি সভায় সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী না দেওয়ার এবং দলীয় প্রতীক ‘নৌকা’ বরাদ্দ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
দলীয় প্রতীক ছাড়া নির্বাচন হলে বিএনপি কী করবে জানতে চাইলে রিজভী বলেন, ‘আমরা বলছি, এই সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। আমরা এখনও শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছি, কারণ তার অধীনে কখনো কোনো অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।’
ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি পরীক্ষা শুরু এবং মার্চে রোজার মাস বিবেচনায় নিয়ে প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন ৩০ এপ্রিলের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান।
আসন্ন উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করে রিজভী বলেন, দেশের মানুষ জানে কীভাবে শেখ হাসিনার অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে এবং সেই নির্বাচনের ফলাফল ও প্রকৃতি কী ছিল।
তিনি বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমেও প্রমাণিত হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা কোনোভাবেই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন না, তিনি যে বক্তব্যই দিন না কেন। তিনি জনগণের ক্ষমতায়, জনগণের ইচ্ছায় বিশ্বাস করেন না।’
তিনি বলেন, সরকার তার প্রভুদের সমর্থন নিয়ে মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী একটি অদ্ভুত ও প্রহসনের নির্বাচন পরিচালনা করেছে, কারণ তারা গণতন্ত্র ও জনমতের তোয়াক্কা করে না।
আরও পড়ুন: মার্কিন কংগ্রেসম্যানরা যদি এরকম চিঠি দেন, তাহলে এটা সরকারকে আদালতের উপর হস্তক্ষেপ করতে বলা: হাছান মাহমুদ
বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে নয়, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করেছে ভারত: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক গতিপথ নির্ধারণে ভারত ‘অযাচিত হস্তক্ষেপ’ করছে।
তিনি বলেন, ‘ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর উগান্ডায় বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এক বৈঠকে বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হচ্ছে।’
সোমবার (২২ জানুয়ারি) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, জয়শঙ্করের বক্তব্য আংশিক সত্য।
আরও পড়ুন: আ. লীগের নতুন 'কৃষ্ণতম মেকি সরকার': রিজভী
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক গভীর হয়েছে, কিন্তু বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে নয়। আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ও রাজনৈতিক গতিপথ নির্ধারণে ভারতের অযাচিত হস্তক্ষেপের কারণে বাংলাদেশের জনগণ তাদের গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা ও ভোটের অধিকার হারিয়েছে।’
জনগণের ভোট ছাড়াই ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ ক্ষমতা দখল করায় দেশের সর্বত্র নৈরাজ্য বিরাজ করছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি এই নেতা।
তিনি দেশে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকট গভীরতর হওয়ার জন্য সরকারের সমালোচনা করেন। ক্ষমতাসীন দল যেহেতু ব্যাপক উন্নয়ন করার কথা বলছে তাই এর পেছনের কারণ জানতে চান।
বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশকে আমদানিনির্ভর রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
জনগণের ভোটাধিকার জনগণের ক্ষমতায়নের পূর্বশর্ত উল্লেখ করে রিজভী বলেন, জনগণের ক্ষমতায়ন ও ১২ কোটি ভোটারের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে বিএনপিসহ অন্যান্য গণতান্ত্রিক দল রাজপথে সক্রিয়।
তিনি বলেন, ‘দুর্নীতিবাজ আওয়ামী লীগের কবল থেকে দেশ মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত এবং জনগণের বঞ্চিত ভোটাধিকার ফিরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার প্রতারণামূলক নির্বাচন করতে গিয়ে তিন-চার মাস ধরে বিএনপির শত শত নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।
তিনি বলেন, ‘নেতা-কর্মীদের কেউ শারীরিক নির্যাতনে মারা গেছেন, আবার কেউ কেউ পঙ্গু হয়েছেন। হেফাজতে ও রিমান্ডে নির্যাতনের সময় জালিম নেতা-কর্মীদের নির্যাতন সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে।’
তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন এবং তাকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কারাবন্দি নেতাদের তালিকা তুলে ধরেন এবং তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ‘মিথ্যা ও বানোয়াট’ মামলা প্রত্যাহার করে মুক্তি দাবি করেন।
আরও পড়ুন: ভোটার উপস্থিতি দেখেই জনগণের ইচ্ছা বোঝা যায়: রিজভী
বিএনপির নতুন কর্মসূচি আসছে: রিজভী
আ. লীগ সরকার ‘তাসের ঘরের মতো’ ভেঙে পড়বে: মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘বন্দুকের জোরে’ সরকারের ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা সফল হবে না।
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের ভিত্তি হচ্ছে জনগণ। জনগণ তাদের সঙ্গে না থাকায় এই সরকারের কোনো ভিত্তি নেই। সরকার নিজেও জানে না কখন তারা তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে।’
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারি ভুয়া নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদ দখল করেছে আ. লীগ: মঈন খান
বন্দুকের জোর জনগণের ঐক্য ও ন্যায়বিচারের শক্তির সামনে দাঁড়াতে পারে না উল্লেখ করে তিনি সরকারকে গণতন্ত্রের পথে এসে নতুন ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান।
ড. মঈন বলেন, ‘তা না হলে পরিণতি ভালো হবে না। গুলি, বন্দুক ও কাঁদানে গ্যাস দিয়ে জনগণকে পরাজিত করা যায়। কিন্তু মানুষের ভালোবাসা খুঁজে পাওয়া যায় না। ৭ জানুয়ারির নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। যা বিশ্বের সব গণমাধ্যমে বলা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া বর্তমান সরকার ক্ষমতা দখল করায় গণতান্ত্রিক বিশ্ব স্বীকার করেছে বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্র নেই। তারা বন্দুকের নলের জোরে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করছে। তাদের এ প্রচেষ্টা কখনোই সফল হবে না।’
সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘নতুন বাকশাল নির্মূলে শহীদ জিয়ার রাষ্ট্রীয় দর্শন’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করে না, তারা একদলীয় শাসন ও লগি-বইঠার রাজনীতি করে। তারা দেশের সব প্রতিষ্ঠান ঘেরাও করে রেখেছে। তারা সংবিধানের কথা বলে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে।’
তিনি গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় শিক্ষকসহ সব পেশাজীবীদের সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র না থাকলে কেউ বসে থাকতে পারে না। আমরা নতুন বাকশাল-২ প্রথার অবসান চাই।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, বর্তমান সরকার চায় এ দেশে কেউ তাদের সমালোচনা না করুক, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কথা বলুক, কারণ আওয়ামী লীগ ক্ষমতার লিপ্সায় অন্ধ হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে লিফলেট বিতরণসহ একটি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সরকার বাধা দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখন সরকারের বিরুদ্ধে কালো পতাকা নিয়ে মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছি। কিন্তু হুমকি দেওয়া হচ্ছে, আমরা যদি কালো পতাকা মিছিল করি, তাহলে ২৮ অক্টোবরের মতো আবারও আমাদের উপর দমন-পীড়ন চালানো হবে।’
আরও পড়ুন: জনসমর্থন নেই বলেই সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করা হবে: মঈন খান
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাবে বিএনপি: মঈন খান
জনসমর্থন নেই বলেই সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করা হবে: মঈন খান
বিএনপি নেতা ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো ‘ভিত্তি’ ও জনসমর্থন নেই বলেই যেকোনো মুহূর্তে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হবে।
রবিবার (২১ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আলোচনা সভায় তিনি বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, ৭ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে এই সরকার চরমভাবে পরাজিত হয়েছে। তাদের পায়ের নিচের মাটি সরে গেছে।’
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: সরকার ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে কৃত্রিম উপস্থিতি দেখাতে চায়: মঈন খান
আলোচনা সভায় বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, অনেকে তাকে প্রশ্ন করেন এমন একটি নির্বাচন করার পর এই সরকার আরও পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকতে পারবে কি না।
তিনি বলেন, ‘আমি তাদের বলতে চাই- ১৯৯০ সালে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার একদিন আগেও এরশাদ সরকার জানত না তাদের এভাবে ক্ষমতা ছাড়তে হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেন, জনগণই একটি দেশের সরকারের ভিত্তি। এই ভিত আস্তে আস্তে সরে যাওয়ায় আওয়ামী লীগ এখন শূন্যতার উপর দাঁড়িয়ে আছে। তাদের পায়ের তলায় মাটি নেই। যেকোনো মুহূর্তে এই সরকার চলে যেতে বাধ্য হবে।
ড. মঈন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন সফল করতে দেশবাসী ও বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের আরও ত্যাগ স্বীকারের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের একটা কথা বলতে চাই- হ্যাঁ, আমরা রক্ত দিয়েছি, রক্ত আরও দিতে হবে। আমরা রাজপথে আন্দোলন করছি এবং আমাদের রাস্তায় থাকতে হবে। তবে এই আন্দোলন হবে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে তারা শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা নিয়ম ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বিশ্বাস করি। বিএনপি লগি-বৈঠার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। এখানেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে পার্থক্য।’
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাবে বিএনপি: মঈন খান
৭ জানুয়ারি ভুয়া নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদ দখল করেছে আ. লীগ: মঈন খান