বিএনপি
ক্ষমতায় গেলে শিক্ষাখাতে সর্বোচ্চ বাজেট বরাদ্দ দেবে বিএনপি: তারেক রহমান
বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দল ক্ষমতায় আসলে শিক্ষার মানোন্নয়ন ও দক্ষ, নৈতিক মানবসম্পদ গড়ে তুলতে শিক্ষাখাতকে সর্বোচ্চ বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হবে।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে খন্দকার শামসুল আলম ফাউন্ডেশন আয়োজিত মেধা বৃত্তি পরীক্ষা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, “আমাদের পরিকল্পনা আছে, যেমনটা আগেও ছিল। বেগম খালেদা জিয়ার শাসনকালে শিক্ষাখাত জাতীয় বাজেটে সর্বোচ্চ বরাদ্দ পেত। ইনশাআল্লাহ, বিএনপি আবার দেশের দায়িত্ব পেলে শিক্ষাখাতেই সর্বাধিক বরাদ্দ নিশ্চিত করবে।”
তিনি জানান, বিএনপি সরকার গঠন করলে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নের পাশাপাশি জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করবে, যাতে শিক্ষার্থীরা আরামদায়ক পরিবেশে পড়াশোনা করতে পারে।
“আমরা শিক্ষকদেরও যথাযথ সামাজিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা দিতে চাই, যাতে তারা অন্য কোনো পেশার চিন্তা না করে পুরো মনোযোগ শিক্ষাদানে দিতে পারেন,” বলেন তারেক।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শিক্ষা জাতির উন্নতির ভিত্তি, তাই বিএনপি পরবর্তী সরকার গঠন করলে প্রাথমিক শিক্ষা ও নৈতিক শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেবে।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের শুধু অক্ষরজ্ঞান দিলেই হবে না, তাদের সামাজিক মূল্যবোধ, সৎ-অসৎ পার্থক্য ও নৈতিক ভিত্তি শৈশব থেকেই গড়ে তুলতে হবে।
দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রাথমিক শিক্ষায় মূল্যবোধ অন্তর্ভুক্তির আহ্বান জানিয়ে তারেক বলেন, দুর্নীতি মোকাবিলার প্রকৃত সমাধান শিক্ষা। শিশুরা যদি ছোটবেলা থেকেই বুঝতে শেখে যে দুর্নীতি একটি অশুভ কাজ, তবে তারা বড় হয়ে সমাজে এ অনিষ্টের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
তিনি বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ই হচ্ছে সামাজিক ও নৈতিক শিক্ষা প্রদানের সর্বোত্তম স্থান। শিশুদের শেখাতে হবে কীভাবে বয়োজ্যেষ্ঠদের সম্মান করতে হয়, পরিবেশ রক্ষা করতে হয়, নিয়মিত পড়াশোনা ও আত্মনিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে হয়।
তারেক বলেন, আজকের মেধাবী শিশুরাই আগামীর বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, জীবনে সাফল্যের কোনো শর্টকাট নেই, তাই সময় নষ্ট না করে শিক্ষায় মনোযোগ দিতে হবে।
তিনি আরও জানান, বিএনপি মেধাবী শিক্ষার্থীদের শনাক্ত করে তাদের প্রতিভা বিকাশে পরিকল্পনা নিয়েছে।
নেলসন ম্যান্ডেলার উদ্ধৃতি দিয়ে তারেক বলেন, শিক্ষাই হচ্ছে সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র, যা দিয়ে পৃথিবীকে পরিবর্তন করা যায়।
তিনি বলেন, প্রতিযোগিতাপূর্ণ বিশ্বে মর্যাদার সঙ্গে টিকে থাকতে হলে ব্যবহারিক ও প্রযুক্তিগত শিক্ষায় দক্ষ হতে হবে। বিএনপি আধুনিক জ্ঞান, বিজ্ঞান ও উদ্ভাবনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শিক্ষা ব্যবস্থা আধুনিকায়নের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
তারেক জানান, বিএনপির ৩১ দফা সংস্কার পরিকল্পনায় নিরাপদ রাষ্ট্র, সুরক্ষিত ক্যাম্পাস ও সময়োপযোগী জাতীয় পাঠ্যক্রম প্রণয়ন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
লন্ডন থেকে দেশে ফিরে তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে মুখোমুখি বসে বাংলাদেশের পুনর্গঠন নিয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
৬৪ দিন আগে
সাংবিধানিক আদেশ জারি করার এখতিয়ার সরকারের নাই: সালাহউদ্দিন
জুলাই জাতীয় সনদকে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়ার দেওয়ার ব্যাপারে জামায়াতে ইসলামীর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ইউট্যাব আয়োজিত '২৪ জুলাই গণ-অভ্যুত্থান : তারুণ্যের ভাবনায় শিক্ষা ও কর্মসংস্থান’ শীর্ষক এক আলোচনায় এ কথা বলেন তিনি।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘যদিও কেউ বলছে যে, জুলাই গণঅভ্যত্থানের জনগণের অভিপ্রায় অনুযায়ী এখন মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা সেই আইনটা, আদেশটা জারি করতে পারেন। সেটা বৈপ্লবিক কথা, ইমোশনাল কথা, রাষ্ট্র কোনো ইমোশনের ওপরে চলে না। রাষ্ট্র আইনকানুন, বিধিবিধান, নিয়মকানুনের মধ্য দিয়ে চলে।’
গত ১৭ আগস্ট জুলাই সনদ সই হলেও কীভাবে তা বাস্তবায়ন হবে, সে বিষয়ে এখনও সুপারিশ দেয়নি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বুধবার এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করেছে কমিশন। বৃহস্পতিবার আবার তাদের পরাশর্ম নেবে কমিশন, তার আগে কমিশন সদস্যরা নিজেরা বৈঠক করবেন।
সুপারিশের প্রাথমিক খসড়ার খবর সংবাদমাধ্যমে এসেছে, যেখানে বলা হয়েছে— জুলাই সনদ বাস্তাবায়নে একটি আদেশ জারি করা হবে। সনদের অধীনে গণভোট নিয়ে একটি অধ্যাদেশ করা হবে।
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন বলেন, “আমি কালকে বলতে শুনলাম যে, এটা ‘এক্সট্রা কনস্টিটিউশনাল অর্ডার’ করে জাতীয় সনদ জারি করতে পারে এবং সেটা প্রধান উপদেষ্টাকে বলা হচ্ছে যে, প্রধান উপদেষ্টা এটা জারি করতে পারেন।”
তবে প্রধান উপদেষ্টার ‘আইন জারির কোনো অধিকার বাংলাদেশের সংবিধানে নেই’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘অযৌক্তিকভাবে কেউ যদি বলে যে, এক্সট্রা কনস্টিটিউশনাল অর্ডার করে এই সনদকে জারি করতে হবে।...প্রধান উপদেষ্টা তো সরকারপ্রধান। সরকারপ্রধানের আইন জারি করার কোনো রাইট আমাদের কনস্টিটিউশনে নেই।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘যার জারি করার কথা, তিনি জারি করলেন না, যথাযথ কর্তৃপক্ষ জারি করল না, সেই বিতর্ক যাতে ভবিষ্যতে না ওঠে, সে জন্য আমরা যেন পলিটিক্যাল ইমোশন থেকে সরে আসি। এ আহ্বান আমি সব পক্ষকে জানাব।’
তিনি বলেন, গতকাল একটি রাজনৈতিক দল বলেছে, জনমতের চাপে অবশেষে বিএনপি জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে গণভোট আয়োজনের প্রস্তাবে একমত হয়েছে। অথচ জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে গণভোট আয়োজনের প্রস্তাব বিএনপির ছিল।
জুলাই সনদ স্বাক্ষরিত হয়েছে ১৭ অক্টোবর। তবে ওই অনুষ্ঠানে যায়নি জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
তিনি আরও বলেন, ‘দুটি রাজনৈতিক দল ছাড়া বাকি সবাই এ (গণভোট) প্রস্তাবে একমত হয়। আমি দুটি রাজনৈতিক দলের নাম উল্লেখ করছি না। তবে দুটি দলের একটি জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে গিয়েছে। অপর একটি রাজনৈতিক দল এখন জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করার সুযোগ খুঁজছে। তাদের কিছু দাবিদাওয়া আছে। সে বিষয়ে আলাপ–আলোচনা এখন যে পর্যায়ে হচ্ছে, আমি আশা করি, হয়তো তাদের দাবিদাওয়ার বিষয়ে একটা যৌক্তিক সমাধানও আসবে।’
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি দরকার হলো আমাদের মানসিক সংস্কার। আমরা ঐকমত্য কমিশনে আইনি সংস্কার, সাংবিধানিক সংস্কার নিয়ে কথা বলছি। যত সংস্কারই আমরা করি না কেন, জাতীয় ভিত্তিতে যদি আমাদের মানিসক সংস্কার না হয়, সেই আইনি ভিত্তিকে আমরা বাস্তবে রূপ দিতে পারব না। এটা মোদ্দাকথা।’
৬৬ দিন আগে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে নির্দলীয়, অপকর্মে জড়িত কর্মকর্তাদের প্রশাসনে রাখা যাবে না: রিজভী
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মূল ধারণাই হলো নির্দলীয়তা উল্লেখ করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, তাই প্রশাসনে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তি বা উপদেষ্টা থাকতে পারে না।
বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, গত ১৫ বছরে নানা ধরনের অপকর্মে যারা জড়িত এবং যারা ফ্যাসিস্টদের রক্ষা করতে গিয়ে বেআইনি কাজ করেছেন, তাদের প্রশাসনে রেখে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। অনেকে প্রকাশ্যেই সহযোগিতা করেছিলেন। তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপ নেবে, তখন তা নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ হওয়া উচিত; তাহলে বিগত ১৬ বছর যারা ভোটে বিশ্বাস হারিয়েছেন, তাদের মধ্যে আস্থা ফিরবে।
এক সাংবাদিকের প্রশ্নে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দুটি মামলায় সাবেক ও বর্তমান ১৫ জন সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ‘এসব বিষয় আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। যারা অপরাধী তাদের বিচার হওয়া উচিত, তবে কোনো রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ যেন না থাকে। আদালতের কাছে প্রমাণিত হলে তাদের শাস্তি ভোগ করতে হবে—আইনের চোখে সবাই সমান।’
তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই সনদ বা জুলাই মাসে গৃহীত জাতীয় অঙ্গীকার বাস্তবায়নের দাবি এখন সর্বজনীন। দেশে চরম দলীয়করণের ফলে প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তাই বাধ্য হয়ে দেশ ছেড়ে গেছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনে করতেন ক্ষমতা চিরস্থায়ী, কিন্তু ৫ আগস্টের পর বাস্তবতা বদলেছে, যদিও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক নয়।’
পরিবেশ রক্ষায় বিএনপির উদ্যোগের প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ‘দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষণা দিয়েছেন— বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ২৫ কোটি বৃক্ষরোপণ করা হবে। দেশের পরিবেশ ও জলবায়ুর ভারসাম্য রক্ষায় আমরা কাজ করব।’
৬৭ দিন আগে
কিছু দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর না করলেও নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে না: সালাহউদ্দিন
কিছু দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর না করলেও তা নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমার জানা মতে, এনসিপি এবং চারটি বাম রাজনৈতিক দল স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যেতে পারেনি। বলব না, স্বাক্ষর করেনি; স্বাক্ষর করার সুযোগ উন্মুক্ত আছে। আশা করি, তারা ভবিষ্যতে সনদে স্বাক্ষর করবেন। আগামী নির্বাচনের জন্য এটা বড় কোনো প্রভাব ফেলবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, সহনশীলতা সবার মধ্যে আসবে। হয়তো তাদের কিছু দাবি দাওয়া আছে। সেটা সরকারের সঙ্গে আলাপ করবে। এক পর্যায়ে তারাও জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি। আর গণতন্ত্রের মধ্যে তো সবাই একমত হবে এমন তো নয়। সেটা উন্মুক্ত আছে। ভিন্ন মত থাকতেই পারে।’
এ সময় ‘আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শক্তি’ এখনো নানা উপায়ে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, যা শুক্রবার জুলাই সনদ স্বাক্ষরের আগেও স্পষ্টভাবে দেখা গেছে বলে অভিযোগ করেন সালাহউদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘জুলাই যোদ্ধা নামে একটি সংগঠন আমাদের ও ঐক্যমত কমিশনের সঙ্গে কথা বলেছে। তাদের একটা যৌক্তিক দাবি ছিল। সেই যৌক্তিক দাবিটা পূরণের জন্য আমি নিজেও স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম, কথা বলেছিলাম। এবং সেটা ঐক্যমত কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজ সঠিকভাবে এড্রেস করেছেন, সেটা প্রেসে বলেছেন এবং সংশোধন করেছেন। এরপরও তাদের অসন্তোষ থাকার কথা নয়।
‘যে সমস্ত বিশৃঙ্খলা হয়েছে আমরা খোঁজ নিয়েছি। এটা তদন্তনাধীন আছে। দেখা গেছে, এখানে জুলাই যোদ্ধাদের নামে কিছু সংখ্যক ছাত্র নামধারী, কিছু সংখ্যক উশৃঙ্খল লোক ঢুকেছে। সেটা ফ্যাসিস্ট সরকারের ফ্যাসিস্ট বাহিনী বলে আমি মনে করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিস্ট বাহিনী যে এখনো সমস্ত জায়গায় এই বিভিন্ন ফাঁক-ফোকরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে, তা দৃশ্যমান হয়েছে। আমার মনে হয়, এখানে এটির সঙ্গে কোনো সঠিক কোনো জুলাই যোদ্ধা বা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত কোনো সংগঠন অথবা কোনো ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারে না।’
এর আগে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেডআরএফ) ২৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
৭২ দিন আগে
শিক্ষকদের আন্দোলনে বিএনপির সমর্থন, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা প্রতিহতের হুঁশিয়ারি
শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনে তাদের ন্যায্য দাবির সঙ্গে নীতিগতভাবে সহমত পোষণ করেছে বিএনপি।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. তাইফুর ইসলাম টিপুর সই করা এক সংবাদ বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।
এতে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বরাতে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, দেশের একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান শিক্ষকদের ন্যায্য দাবির সাথে নীতিগতভাবে একমত।
তিনি বলেন, সর্বস্তরের শিক্ষকদের জন্য আমাদের অগ্রাধিকার হলো— যুক্তিসঙ্গত আর্থিক সুবিধার নিশ্চয়তাসহ চাকরির নিরাপত্তা, শিক্ষকদের সর্বোচ্চ সামাজিক মর্যাদা এবং তাদের অবদানের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, রাষ্ট্র ও রাজনীতির সংস্কার কিংবা নাগরিক উন্নয়নে আমরা যত উদ্যোগই গ্রহণ করি না কেন, শিক্ষা ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন এবং শিক্ষকদের আর্থ সামাজিক নিরাপত্তা ও সম্মান নিশ্চিত করা না গেলে কখনোই কাঙ্ক্ষিত সুফল পাওয়া যাবে না।
জনগণের ভোটে বিএনপি আবারও রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে রাষ্ট্রের সামর্থ্য অনুযায়ী শিক্ষকদের আর্থিক নিরাপত্তাবেষ্টনী বৃদ্ধি, চাকরি স্থায়ীকরণ এবং সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণের বিষয়টি ইতিবাচকভাবে বিবেচনার বিষয়ে বিএনপির কোনো দ্বিমত নেই বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেছেন, তবে শিক্ষকদের যুক্তিসঙ্গত আন্দোলনকে পুঁজি করে পতিত স্বৈরাচারের সহযোগীরা পরিকল্পিত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করে আসন্ন নির্বাচনের মাধ্যমে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক উত্তরণে কোনো প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালালে সেটি প্রতিহত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি কোনো নমনীয়তা প্রদর্শন করবে না।
৭২ দিন আগে
আলমডাঙ্গায় ৪ শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মীর জামায়াতে যোগদান
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠন থেকে একযোগে চার শতাধিক নেতা-কর্মী জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দিয়েছেন।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার বেলগাছি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক নির্বাচনী সভা ও যোগদান অনুষ্ঠানে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াতে যোগ দেন।
ফুলের মালা পরিয়ে নবাগতদের দলে বরণ করে নেন জামায়াত নেতারা। এ সময় বেলগাছি ইউনিয়ন বিএনপির সদ্য বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি জাহিদুল ইসলাম সলকসহ চার শতাধিক নেতাকর্মী জেলা জামায়াতের আমীর রুহুল আমিনের হাতে হাত রেখে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর রুহুল আমিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আসাদুজ্জামান আসাদ, সহকারী সেক্রেটারি ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে জামায়াতের এমপি প্রার্থী মাসুদ অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ রাসেল এবং আলমডাঙ্গা উপজেলা জামায়াতের আমীর প্রভাষক শফিউল আলম বকুল। সভায় সভাপতিত্ব করেন বেলগাছি ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি আমান উদ্দিন।
৭৪ দিন আগে
বিভাজন সৃষ্টি করবেন না, দেশটাকে বাঁচান: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘পিআর আমি নিজেই বুঝি না। জনগণ বুঝবে কী! গণভোট হতে হবে বা পিআর হতে হবে, না হলে ভোট হবে না— এইগুলো বাদ দেন। দেশের মানুষ একটি নির্বাচন চায়। পিআর দেশের মানুষ বোঝে না। পিআরটা আবার কি? আগে ভোট হোক, তারপর কার কী দাবি আছে সেটা সংসদে গিয়ে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। আপনারা দেশটাকে বাঁচান, বিভাজন সৃষ্টি করবেন না।’
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকালে সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের গোপালপুর স্কুল মাঠে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘পিআর নিয়ে তর্ক-বিতর্ক পার্লামেন্টে গিয়ে হবে। যে সব মতে দলগুলো একমত সেগুলো জুলাই সনদে স্বাক্ষর হবে, বাকি মতের জন্য গণভোট হবে। দয়া করে নির্বাচনটা দিয়ে এসব অস্থিরতা কাটান। আর হিংসার রাজনীতি চাই না, হিন্দু-মুসলিমের বিভেদ চাই না; সবাই মিলে শান্তিতে থাকতে চাই।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অতীতে সরকারে ছিলাম, কীভাবে পরিচালনা করতে হয় জানি। বিএনপি নির্বাচিত হলে ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। প্রত্যকটি পরিবারকে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হবে। স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। কৃষকদের দিকে সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দেওয়া হবে।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণ যাকে ভোট দেবে তিনি নির্বাচিত হবেন। আর ভাগাভাগি করবেন না, দেশটার ক্ষতি করবেন না। একটা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ দেখতে চাই। সৌহার্দ্য আর ভ্রাতৃত্বের মধ্যে থাকতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিছু প্রতিষ্ঠান দাবি আদায়ে রাস্তায় নেমেছে, তাদের উদ্দেশ্য ভালো মনে হয় না। আপনাদের দাবিদাওয়াগুলো আপাতত বন্ধ রাখুন। আর বিভাজন সৃষ্টি করবেন না। পিআর নিয়ে মিছিল-মিটিং বন্ধ করুন। দয়া করে নির্বাচনটা হতে দিন। বাংলাদেশের মানুষ বাঁচুক। দেশের অস্থিরতা কাটুক। আপনাদের কাছে অনুরোধ, সঠিক সিন্ধান্ত নিন।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আগামী ১৭ অক্টোবর সংস্কার সনদে সই হবে। কিসের সংস্কার? সংস্কার কাকে বলে? কী কঠিন কঠিন শব্দ! তারপরও আমরা করছি। কারণ সংস্কার হলো ঘরের টিন বদলানোর মতো। ঘরের দরজা বা টিন যেমন কয়েক বছর পরপর বদলাতে হয়, তেমনি রাজনীতিতেও কিছু সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। তাই আমাদের দেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিরা ও ছাত্ররা মনে করেছে দেশটাকে ঠিক করতে হলে সংস্কার করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিহিংসা ও বিভেদের রাজনীতি চাই না। আমরা চাই একটি শান্তির রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হোক। আর ভাগাভাগি করবেন না, দেশের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এবার সবাই মিলে সত্যিকার অর্থে একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে চাই। আমি ১১ বার কারাগারে গেছি। শেখ হাসিনা আমাকে ভয় করত, যে কারণে কারাগারে পাঠাত। একটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য আমাদের অনেক ছেলে প্রাণ দিয়েছে। তাই আসুন সবাই একত্রিত হয়ে কাজ করি।’
এ সময় গড়েয়া ইসকন মন্দিরের অধ্যক্ষ শ্রীমতভক্তিবিনয় স্বামী মহারাজ, লসকরা গৌড়ীয় মঠ এর ধর্মীয় গুরু স্বামী ভক্তিকেতন মহারাজ, বিএনপির জেলা সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, সদর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিনসহ দলটির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন গড়েয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রেজওয়ানুল ইসলাম রেদো।
৭৪ দিন আগে
দেশে ফিরে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেবেন তারেক রহমান: আমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এক আলোচনা সভায় আমান উল্লাহ আমান এ কথা বলেন। ডেমোক্রেটিক লীগের প্রয়াত নেতা সাইফুদ্দিন আহমেদ মনির দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দলটির উদ্যোগে এ অনুষ্ঠান হয়।
আমানউল্লাহ আমান বলেন, ‘অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ঘোষণা করেছেন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন হবে। এই নির্বাচন ইনশাল্লাহ হবেই। আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে এসে এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন এবং নির্বাচনের প্রচারণায় তিনি থাকবেন, তিনিই নেতৃত্ব দেবেন।’
ফ্যাসিস্ট সরকার পতন আন্দোলন নিয়ে তারেক রহমানের ভবিষ্যৎবাণী সত্য হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখবেন, তারেক রহমান যে কথাগুলো বলেছিলেন সেই কথাগুলো সত্য হয়েছে। তিনি বলেছিলেন, দেশ যাবে কোন পথে ফয়সালা হবে রাজপথে। ফয়সালা কিন্তু রাজপথেই হয়েছে।’
জামায়াতে ইসলামীকে ইঙ্গিত করে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে একটি দল ষড়যন্ত্র করছে, চক্রান্ত করছে। স্বাধীনতার সময় যাদের বিতর্কিত ভূমিকা ছিল, তারা আজকে পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতির নামে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, নির্বাচন বানচাল করা যাবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা দীর্ঘ ১৬ বছরের আন্দোলন দেখেছেন, স্বৈরাচারবিরোধী, এরশাদবিরোধী আন্দোলন দেখেছেন, এতে সবচেয়ে বেশি দুর্যোগে, দুর্বিপাকে, দুঃসময়ে জনগণের পাশে ছিল জিয়া পরিবার, পাশে ছিল বিএনপি।’
সভায় গণতান্ত্রিক আন্দোলন, বিশেষ করে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে ডেমোক্রেটিক লীগের প্রয়াত নেতা সাইফুদ্দিন আহমেদ মনির ভূমিকার কথা স্মরণ করেন আমানউল্লাহ আমান।
৭৬ দিন আগে
পিআর পদ্ধতি প্রত্যাখ্যান করলেন মঈন খান
‘পিআর পদ্ধতি দলীয় কিছু আসন বৃদ্ধি ছাড়া, জনগণের জন্য কোনো সুবিধা নেই’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান।
শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মৌচাকে কসমস সেন্টারে আয়োজিত ‘ইলেকশন ২০২৬: অ্যা ক্রিটিক্যাল লুক অ্যাট প্রোপোশনাল রিপ্রেজেন্টেশন’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এই প্রশ্ন তুলেন। অনুষ্ঠানটির মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ (ইউএনবি)।
তিনি বলেন, ‘আমি কেন পিআর চাচ্ছি? একটু যদি আমরা খোলাখুলি যদি বলি, পিআরটা চাচ্ছি এই কারণে যে, আমি পার্লামেন্টে কিছু বেশি সিট (আসন) পাবো, এর বাইরে কিছু নাই। এখন আমি পার্লামেন্টে অধিকতর ক্ষমতাবান হবো, অধিক সিট পাবো সেই কারণে মানুষের মৌলিক যে দাবি সেটাকে আমি অগ্রাহ্য করব, এটা তো গণতন্ত্রের ভাষা নয়। কাজেই সেই দিক থেকে এটা সেলফ কনট্রাডিক্টরি।’
মঈন খান আহ্বান করেন, ‘আসুন, আমরা মানুষের কল্যাণ আমরা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করি, এখানে খোলা নিয়ে কাজ করতে হবে।’
আবদুল মঈন খান বলেন, ‘দেখুন, পিআর করার অর্থটা কি? পিআর হচ্ছে আপনি ব্যক্তির যে অবস্থান সেটাকে দুর্বল করে দলের অবস্থানকে আরো শক্তিশালী করে দিচ্ছে অর্থাৎ মানুষ ভোট দিবে দলকে এবং দল নির্ধারণ করে দেবে কে প্রার্থী হবেন।’
তিনি বলেন, ‘তাহলে কি হচ্ছে? আমাদের যে মৌলিক চিন্তাধারা যে, জনগণ তাদের প্রতিনিধি থাকবে এবং জনগণের প্রতিনিধিরা সরাসরি জনগণের কাছে জবাবদিহি করবে সেইটা তো তাহলে আর থাকছে না।
মঈন খান বলেন, বাংলাদেশের যে রাজনৈতিক ইতিহাস আমরা বিগত ৫৪ বছরে দেখেছি, যখনই দল বেশি শক্তিশালী হয়ে গেছে তখনই কিন্তু জনগণের জন্য দুর্যোগ নেমে এসেছে।’
কসমস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ইউএনবির সম্পাদক-ইন-চিফ এনায়েতউল্লাহ খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অংশ নেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, এবি পার্টির মজিবুর রহমান মঞ্জু, গণসংহতি আন্দোলনের আবুল হাসান রুবেল, গণঅধিকারের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান এবং নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব ড. মোহাম্মদ জকরিয়া প্রমুখ।
৭৮ দিন আগে
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের বিষয়ে গণভোটের দায়িত্ব রাজনৈতিক দলগুলোকে কে দিয়েছে, প্রশ্ন খসরুর
সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচনের বিষয়ে গণভোট করার দায়িত্ব রাজনৈতিক দলগুলোকে কে দিয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মৌচাকে কসমস সেন্টারে আয়োজিত ‘ইলেকশন ২০২৬: অ্যা ক্রিটিক্যাল লুক অ্যাট প্রোপোশনাল রিপ্রেজেন্টেশন’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এই প্রশ্ন তোলেন। অনুষ্ঠানটির মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ (ইউএনবি)।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘পিআরের জন্য আমাকে গণভোটে যেতে হবে কেন? আমাদের তো প্রত্যেকটি দলের অনেকগুলো ইস্যু আছে যেগুলোতে ঐক্যমত হয়নি।’
আমির খসরু বলেন, ‘প্রথমত, এই দায়িত্ব আমাদেরকে কে দিয়েছে? আমাদেরকে জনগণ গণভোট করার দায়িত্ব দেয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশ প্রায় ১৪ মাস ধরে নির্বাচনহীন একটি সরকারের হাতে আছে। বর্তমান সংবিধানের আওতায় নির্বাচন করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে এবং জনগণের ওপর ছেড়ে দিতে হবে—তারা পিআর চায় নাকি প্রচলিত ব্যবস্থায় নির্বাচন চায়। তাই আগে আমাদের একটি নির্বাচিত সরকার, নির্বাচিত সংসদ গঠন করতে হবে, তারপর প্রত্যেকটি দল তাদের বিষয়গুলো নিয়ে জনমত তৈরি করতে পারবে এবং জনগণের কাছে যেতে পারবে।’
পিআর পদ্ধতির পক্ষে থাকা দলগুলোর উদ্দেশে খসরু বলেন, ‘যারা পিআর চান, তাদের উচিত জনগণের ম্যান্ডেট আনা। ৩০টি রাজনৈতিক দল নিয়ে আলোচনা করে আগামীর বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার জনগণ কাউকে দেয়নি। জনগণ কী চায়, সেটি নির্বাচনের মাধ্যমেই নির্ধারণ করবে।’
তিনি বলেন, ‘জনগণ পিআর চায়, এমন কোনো জনসমর্থন তারা দেখাতে পারবে না। কমিশনের আলোচনায়ও এ নিয়ে স্পষ্ট কিছু নেই। তাহলে এই গণভোটের দাবি কেন?’
৭৮ দিন আগে