বিএনপি
জামায়াত ‘ঘোলা পানিতে’ মাছ শিকারের চেষ্টা করছে: অভিযোগ রিজভীর
জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে ‘ঘোলা পানিতে মাছ শিকার’ করার চেষ্টা করার অভিযোগ তুলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘যে দল স্বৈরাচারী সরকারের অধীনে ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল, তারা এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।’
শনিবার (৫ জুলাই) ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব মাঠে এক ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। দলের ঘোষিত মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপির ঢাকা উত্তর সিটি ইউনিট এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছে। জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
রিজভী বলেন, বিশ্ব ইতিহাসের নানা পর্বে জনগণ আন্দোলন ও সংগ্রামের মাধ্যমেই নিজেদের অধিকার আদায় করেছে। একটি নির্বাচিত সংসদ ও জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক প্রতিনিধি থাকা রাজনৈতিক অগ্রগতির জন্য অপরিহার্য।
‘কিন্তু আপনি এমন নির্বাচনকে সমর্থন না দিয়ে রাজনৈতিক বুলি আউড়ে নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা করছেন। আপনি নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, কিন্তু আমরা আপনার অতীত জানি। এক সময় আপনি স্বৈরাচারের অধীনে কোনো দ্বিধা ছাড়াই নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন, শেখ হাসিনার পথ অনুসরণ করে,’ বলেন বিএনপির এই নেতা।
এর আগে শুক্রবার জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান রংপুরে এক সমাবেশে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান বাস্তবতায় একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন অসম্ভব। বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য আগে একটি সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করতে হবে, আর সে জন্য প্রয়োজন মৌলিক সংস্কার।’
রিজভী বলেন, জামায়াত আমির এমনভাবে কথা বলেছেন যেন তিনি পরিবেশকর্মী, যিনি নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। ‘হঠাৎ করে আপনি পরিবেশবাদী হয়ে গেলেন! যদি আপনি পরিবেশ নিয়ে এতই উদ্বিগ্ন হন, তবে বৈশ্বিক পরিবেশ সংকটের বিপর্যয়ের দিকেই মনোযোগ দিন।’
তিনি বলেন, দেশের মানুষের রাজনৈতিক, গণতান্ত্রিক ও মানবাধিকার ফিরিয়ে আনতে এখন একটি নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন।
‘এই কারণেই অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি—উপযুক্ত সংস্কার সম্পন্ন করে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করুন এবং সেটা যেন একটি যথাযথ সময়ের মধ্যেই সম্পন্ন হয়,’ বলেন রিজভী।
১৭৬ দিন আগে
আইন প্রয়োগকারীদের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা রাখতে হবে: নজরুল
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, প্রতিটি আইনে এমন কঠোর বিধান থাকতে হবে, যাতে আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে কেউ ক্ষমতার অপব্যবহার করলে বা আইন লঙ্ঘন করলে, তাকে জবাবদিহির আওতায় আনা যায়।
তিনি বলেন, ‘আমার মতে, প্রতিটি আইনে একটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকা উচিত—যারা আইন প্রয়োগের দায়িত্বে রয়েছেন, তারা যদি ইচ্ছাকৃতভাবে আইন প্রয়োগে ভুল করেন বা অন্যায়ভাবে আইন লঙ্ঘন করে জনগণকে নিপীড়ন করেন, তাহলে তাদের জন্য শাস্তির বিধান থাকতে হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য শনিবার (৫ জুলাই) ঢাকায় নাগরিক ঐক্য আয়োজিত ‘সাইবার নিরাপত্তা অধ্যাদেশ ২০২৫’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি হয় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে।
তিনি বলেন, ‘যখন প্রভাবশালী অবস্থানে থাকা ব্যক্তিরা আইন ভঙ্গ করেন বা জনগণের স্বার্থ রক্ষা করতে ব্যর্থ হন, তখন তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে ও শাস্তি নিশ্চিত করতে আইনি প্রক্রিয়া থাকা আবশ্যক।’
নজরুল বলেন, ‘শুধু কাগজে আইন লেখা বা ভাষাকে সুন্দর করলেই হয় না। যারা আইন প্রয়োগ করবেন, তারা যদি সেই আইনকে ব্যবহার করে জনগণকে দমন করেন, আর তাদের বিচার করার কোনো উপায় না থাকে, তাহলে সেই আইনের কোনো বাস্তব মূল্য থাকে না।’
বিএনপি এই নেতা সাইবার নিরাপত্তা অধ্যাদেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, কিছু পরিবর্তন আনা হলেও এই আইন এখনো জনগণের প্রয়োজন পূরণে ব্যর্থ।
তিনি দেশের শ্রম আইন বাস্তবায়নের দুর্বলতা নিয়েও সমালোচনা করেন। নজরুল বলেন, ২০০৬ সালে শ্রম আইন ও শ্রম আদালত আইন একীভূত করার আগে দেশে অনেক শ্রম আইন ছিল। ‘আপনি যদি আইনটি পড়েন, তাহলে মনে হবে এটি একটি চমৎকার আইন। কিন্তু আপনি যদি এর বাস্তবায়ন দেখেন, তা অত্যন্ত হতাশাজনক।’
তিনি বলেন, ‘আইনে স্পষ্টভাবে বলা আছে, প্রত্যেক শ্রমিককে নিয়োগপত্র দিতে হবে। কিন্তু বাংলাদেশে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ শ্রমিক এখনো নিয়োগপত্র পান না। তাদের চাকরির শর্তও স্পষ্ট নয়। তাদের বার্ধক্যভাতা নেই, ছুটি নেই, এবং আইনে যেসব সুবিধা লেখা আছে, তার কিছুই তারা পান না।’
নজরুল ইসলাম বলেন, কৃষিশ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা আছে, কিন্তু তা বাস্তবায়নের কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেই। যারা কম মজুরি দেয়, তাদের শাস্তির ব্যবস্থাও কার্যকর নয়।
তিনি বলেন, দেশে অনেক আইন অস্পষ্ট, আর এই অস্পষ্টতা অনেক সময় কর্তৃপক্ষ বা আইন প্রয়োগকারীরা জনসাধারণকে হয়রানির জন্য কাজে লাগান।
নজরুল বলেন, ‘বাংলাদেশে নারী, যুবক, শিশু ও শ্রমিকদের জন্য অনেক আইন আছে, কিন্তু তাদের অধিকাংশই এসব আইন সম্পর্কে জানেন না। যাদের জন্য এই আইনগুলো প্রণয়ন করা হয়েছে, তারাই তা বোঝেন না বা এর সুফল পান না।’
তিনি সব রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন ও পেশাজীবী প্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানান যেন তারা জনগণের মধ্যে আইনি সচেতনতা সৃষ্টি করেন, জনগণকে তাদের অধিকার বোঝান, বিদ্যমান আইনের ত্রুটিগুলো ব্যাখ্যা করেন এবং সেই ত্রুটিগুলো সংশোধনের কাজে জনগণকে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত করেন।
নজরুল জোর দিয়ে বলেন, জনগণ যেন আইনে থাকা অধিকারগুলো ভোগ করতে পারেন এবং যেসব অধিকার থেকে তারা এখনও বঞ্চিত, তা অর্জনের জন্য লড়াই করতে পারেন—এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত হয়নি: আইন মন্ত্রণালয়
১৭৭ দিন আগে
দলের যেকোনো পদধারীর অন্যায়ের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ বিএনপি: রিজভী
বিএনপি অনৈতিক ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি বজায় রেখেছে বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি সতর্ক করে বলেন, বিএনপির কোনো সদস্যও যদি অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত থাকে— তবে তাকেও ছাড় দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, ‘যে কেউ যেকোনো ধরণের অবৈধ, অনৈতিক বা সহিংস কার্যকলাপে জড়িত থাকে—তবে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। যেকোনো ঘটনা ঘটার পর আমরা তাৎক্ষণিকভাবে তদন্ত করতে এবং সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে দ্বিধা করি না। কাল ক্ষেপণ না করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
শুক্রবার (৪ জুলাই) বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও সতর্ক করে বলেন, দলের ভেতরে, প্রতিবেশীদের সঙ্গে বা অন্য কোনো ব্যক্তির সঙ্গে যাতে আর কেউ সহিংস আচরণ করার সাহস না করে। ‘২০২৪ সালের ৫ আগস্ট থেকে আমরা যখনই অভিযোগ পেয়েছি, তখনই আমরা এই ধরণের সমস্ত ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিয়েছি। তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।’
তিনি বলেন, দলের নামে কী ঘটছে এবং কী করা হচ্ছে, তা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিয়মিতই পর্যবেক্ষণ করছেন।
আরও পড়ুন: মৌলিক সংস্কার ছাড়া ভালো নির্বাচন সম্ভব নয়: জামায়াত আমির
রিজভী বলেন, ‘দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং অন্যায় কাজে লিপ্ত থাকার জন্য আমরা বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠনের চার থেকে পাঁচ হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি।’
তিনি বলেন, দল এবং এর সহযোগী সংগঠনের কোনো নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ উঠলেই তারা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছেন। ‘এক্ষেত্রে, বিএনপি এবং এর নেতৃত্ব আপসহীন। তারেক রহমান জিরো টলারেন্স নীতিতে এটি করছেন।’
রিজভী বলেন, যে কেউ অপরাধ করলে—সে দলের নেতা হোক বা সদস্য—তাকে শাস্তি ভোগ করতে হবে। ‘দলের মধ্যে কেউ যাতে কোনো সন্ত্রাসী বা বেআইনি কার্যকলাপে জড়িত না হয়—তা নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’
গণতান্ত্রিক নীতির প্রতি দলের স্থায়ী অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে রিজভী বলেন, বিএনপি গত ১৬ বছর ধরে গণতন্ত্রের জন্য ক্রমাগত সংগ্রাম করে আসছে। ‘গণতন্ত্রকে কবর দেওয়া শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে বিএনপি তার আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। তীব্র দমন-পীড়ন সত্ত্বেও আমাদের দল কখনও তা থেকে পিছু হটেনি।’
অবিলম্বে, অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচনের জন্য দলের দাবি পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘কেবলমাত্র একটি সত্যিকারের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনই বিএনপির জনপ্রিয়তা প্রকাশ করবে।’
১৭৭ দিন আগে
টেলিকম খাতের নতুন নীতিমালা নিয়ে উদ্বেগ বিএনপির
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) প্রস্তাবিত ‘টেলিকম নেটওয়ার্ক ও লাইসেন্সিং রিফর্ম পলিসি ২০২৫’ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে বিএনপি। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে একতরফাভাবে এমন একটি জাতীয় নীতি প্রণয়ন করা ঠিক হবে না বলে মনে করছে দলটি।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুর ১টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ বিষয়ে দলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানান।
তিনি বলেন, এই সময়ে এসে—বিশেষ করে সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে—জাতীয়ভাবে এমন গুরুত্বপূর্ণ নীতি একতরফাভাবে প্রণয়ন করা ঠিক হবে না বলে মনে করে বিএনপি। এই নীতিমালার কিছু ইতিবাচক দিক থাকলেও এতে বড় মোবাইল অপারেটরদের একচেটিয়া সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। যা দেশের ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।
আশঙ্কা প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে এত গুরুত্বপূর্ণ একটি খাতে তড়িঘড়ি করে নীতিমালা প্রণয়ন গ্রহণযোগ্য নয়। একটি নীতিমালা তখনই সঠিক হয়, যখন তা আর্থিক ও সামাজিক প্রভাব বিশ্লেষণের পর সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে প্রণয়ন করা হয়।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, এই নীতিমালা কার্যকর করার আগে আর্থিক ও সামাজিক বিশ্লেষণ এবং অংশগ্রহণমূলক আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত করতে হবে। নয়তো, এটি দেশের টেলিকম খাতকে অসম প্রতিযোগিতা ও আর্থিক বৈষম্যের পথে ঠেলে দেবে।
তিনি বলেন, ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির নামে যদি বড় করপোরেট স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়, তাহলে সাধারণ জনগণ ও দেশের স্থানীয় প্রযুক্তি খাত দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান উপস্থিত ছিলেন।
১৭৮ দিন আগে
নির্বাচনী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বিএনপিকে সতর্ক থাকার আহ্বান তারেকের
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ভোটারদের ব্যালটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকার প্রয়োগ থেকে বিরত রাখার যেকোনো ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, ‘আমরা সবাইকে এই বার্তা দিতে চাই যে, বাংলাদেশে প্রায় ১২ কোটি ৫০ লাখ ভোটার যাতে ব্যালটের মাধ্যমে তাদের মত প্রকাশের সুযোগ পান—তা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে—যাতে কেউ এটি নিয়ে ষড়যন্ত্র করতে না পারে।’
বুধবার (২ জুলাই) লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি পটুয়াখালী জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, আমরা প্রায়শই নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার প্রচেষ্টা সম্পর্কে গুজব এবং কানাঘুষা শুনতে পাই। ‘জিয়াউর রহমান এবং খালেদা জিয়ার অনুসারী হিসেবে, বাংলাদেশ জুড়ে আমাদের সকল নেতাকর্মীকে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।’
বিএনপি নেতা বলেন, গত ১৭ বছর ধরে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তাদের অনেক নেতা-কর্মী নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন, পঙ্গু হয়েছেন, নিহত হয়েছেন, নির্যাতিত হয়েছেন এবং জুলুমের শিকার হয়েছেন। ‘সুতরাং, আমাদের নিশ্চিত করতে হবে—যাতে কেউ এই অধিকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে না পারে। আমাদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।’
তিনি শিগগিরই বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেশের মাটিতে দেখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়—এমন কোনো কাজ না করার আহ্বান জানান।
দলীয় ভাবমূর্তি রক্ষা এবং জনসমর্থন ধরে রাখতে নেতাকর্মীদের প্রতি সতর্ক বার্তা দিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘আপনার কোনো কাজ বা আচরণ যদি জনগণের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি করে, তার প্রভাব শুধু আপনার ওপর নয়—পুরো দলের ওপর পড়বে। তাই দেশের ৬৪ জেলার প্রতিটি নেতাকর্মীকে বলছি—এমন কিছু করবেন না, যা দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে।’
তিনি দলের সকল স্তরের নেতাকর্মীদের তাদের ভালো কাজ এবং ইতিবাচক আচরণের মাধ্যমে জনসাধারণের আস্থা অর্জনের নির্দেশ দেন।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমাদের কোনো সহকর্মী কেন এমন কিছু করবেন, যা দলের ক্ষতি করতে পারে? আপনি যদি দেখেন, কোনো সহকর্মীর আচরণ দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে বা জনসাধারণের আস্থা নষ্ট করতে পারে—তাহলে তা রোধ করা আপনার দায়িত্ব।’
তিনি বলেন, দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের সদস্য বা নেতা হিসেবে প্রত্যেকেরই দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করা উচিত এবং জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করা উচিত।
তারেক বলেন, বিএনপির প্রতিটি সদস্যের দায়িত্ব কেবল গণতন্ত্রের ভিত্তি মজবুত করাই নয়, বরং দলের সুনাম নষ্ট করে এমন কোনো কিছু যাতে তারা বা তাদের কোনো সহকর্মী না করেন—তা নিশ্চিত করা।
তিনি বলেন, ‘সকলকে এটা মনে রাখতে হবে। আজ, আমি দলের প্রতিটি নেতা-কর্মীকে এই পবিত্র দায়িত্ব দিচ্ছি। যেকোনো মূল্যে দলের সুনাম রক্ষা করা সকলের কর্তব্য। যারা দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করে, তাদের কোনো প্রকার প্রশ্রয় বা সুরক্ষা দেওয়া যাবে না।’
পড়ুন: পিআর পদ্ধতির নির্বাচন দেশকে বিভক্ত করবে, সতর্ক করে ঐক্যের আহ্বান তারেকের
১৭৯ দিন আগে
পিআর পদ্ধতির নির্বাচন দেশকে বিভক্ত করবে, সতর্ক করে ঐক্যের আহ্বান তারেকের
আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) নির্বাচন ব্যবস্থা বাংলাদেশের জন্য উপযুক্ত কিনা—তা সাবধানতার সঙ্গে বিবেচনা করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘জনগণের ঐক্য এখন আগের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এটি (পিআর) বিভক্তির দিকে নিয়ে যেতে পারে।’
মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাজধানীর চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিএনপি আয়োজিত ‘গণঅভ্যুত্থান ২০২৪: জাতীয় ঐক্য এবং গণতান্ত্রিক যাত্রা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি দেওয়া বক্তব্যে তারেক রহমান এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘কিছু রাজনৈতিক দল আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) নির্বাচন ব্যবস্থার দাবি তুলেছে। যদিও বিশ্বের কিছু দেশে এই নির্বাচন ব্যবস্থা রয়েছে। তবে দেশের বর্তমান বাস্তবতা এবং এর ভৌগোলিক-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে আমি সকলকে সাবধানতার সঙ্গে বিবেচনা করার আহ্বান জানাচ্ছি—এটি দেশের জন্য এই মুহূর্তে কতটা উপযুক্ত, অথবা আদৌ উপযুক্ত কিনা।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করতে দেশকে পরাধীনতা থেকে মুক্ত করতে হবে।
পড়ুন: ঐক্য ধরে রেখে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার আহ্বান খালেদা জিয়ার
বিএনপি নেতা বলেন, ‘এই মুহূর্তে জাতীয় ঐক্য আগের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তবে আমি সকল রাজনৈতিক দলের নেতাদের কাছে বিনীতভাবে আবেদন জানাতে চাই যে, আপনারা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করুন—আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা জাতীয় ঐক্যের পরিবর্তে একটি বিভক্ত সমাজ এবং একটি অস্থিতিশীল সরকার তৈরি করতে পারে কিনা।’
গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হওয়ায় এখন একটি গণতান্ত্রিক ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার সুযোগ এসেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বিএনপি নেতা বলেন, শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও একটি সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সরকার গঠন করা প্রয়োজন।
এসময় গণঅভ্যুত্থানে শহীদ এবং দীর্ঘ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদ বা আহতদের পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা ও সমবেদনা জানান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে দেশের স্বাধীনতার জন্য যারা জীবন দিয়েছেন—তাদের মানুষ যেমন ভুলে যায়নি, তেমনি ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের সময় যারা শহীদ হয়েছেন—তাদেরও জাতি ভুলবে না।
তারেক বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে, তার দল শহীদদের সম্মানে তাদের নামে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এবং স্থাপনার নামকরণ করবে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে দেশকে মুক্ত করতে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে।
তিনি দাবি করেন, গণঅভ্যুত্থানের সময় প্রায় ৭০০ বিএনপি নেতা-কর্মী নিহত হয়েছেন।
বিএনপি নেতা বলেন, গত ১৭ বছরে আরও অনেককে হত্যা করা হয়েছে, জোরপূর্বক গুম করা হয়েছে, অথবা বিভিন্ন ধরণের দমন-পীড়নের শিকার হতে হয়েছে।
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমনের জন্য ফ্যাসিবাদী শাসনামলে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ৬০ লাখ মামলা দায়ের করা হয়েছে। অন্যদিকে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় জেলে পাঠানো হয়েছে।
বিএনপি নেতা বলেন, গণঅভ্যুত্থান একটি নতুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার সুযোগ তৈরি করেছে।
বিএনপি রাষ্ট্রীয় কাঠামো পরিবর্তন এবং একটি গণতান্ত্রিক দেশ গড়ে তোলায় বিশ্বাস করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের অনেক আগে তার দল রাষ্ট্র ব্যবস্থা সংস্কারের জন্য ২৭ দফা রূপরেখা পেশ করেছিল—পরে ৩১ দফা করা হয়।
পড়ুন: অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে নির্বাচিত সরকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: মির্জা ফখরুল
তিনি বলেন, বিএনপিকে সংস্কারবিরোধী হিসেবে চিত্রিত করার জন্য একটি মিথ্যা প্রচারণা চালানো হয়েছে—যা সত্য নয়।
রাজনৈতিক দলগুলোকে বিএনপিকে শত্রু হিসেবে না দেখার বা সমালোচনা না করার আহ্বান জানান ফখরুল। বলেন,এটি জাতীয় ঐক্যের জন্য সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল এবং গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, ‘ঐক্য ও গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে আমরা কোনো আপস করব না। একটি উদার গণতান্ত্রিক দল হিসেবে আমরা গণতান্ত্রিক উপায়ে এবং সংসদে পরিবর্তন চাই। আমি সকলকে এটি ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করতে অনুরোধ করছি।’
জুলাই সনদ সম্পর্কে তিনি বলেন, বিএনপি ইতোমধ্যেই এটি চূড়ান্ত করার জন্য সমর্থন জানিয়েছে। ‘এখন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করার দায়িত্ব সরকারের।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, কিছু মহল সূক্ষ্মভাবে বিএনপিকে ক্ষমতায় আসতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে, কারণ দলের পরবর্তী নির্বাচনে জয়লাভের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, জাতিকে বিভক্ত করার জন্য বিএনপিকে প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে চিহ্নিত করার পরিকল্পিত প্রচেষ্টা চলছে। ‘অনেকগুলো দল নির্বাচন ব্যাহত করার জন্যও বিভিন্ন দাবি তুলছে—যা জাতীয় অনৈক্যের কারণ হচ্ছে। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য বজায় রাখতে হবে। ‘নতুন বাংলাদেশ গঠনে এটি একটি আমাদের শক্তি হবে।’
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য থাকতে পারে, তবে জাতির স্বার্থে এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
এতে আরও বক্তব্য দেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়কারী ও জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (মঞ্জু) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, এনপিপি চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, নেজাম ই ইসলাম পার্টির চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জু, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেএসডির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, গণ-অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান প্রমুখ।
পড়ুন: নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে আগ্রহী চীন: ফখরুল
১৮০ দিন আগে
ঐক্য ধরে রেখে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার আহ্বান খালেদা জিয়ার
গণতন্ত্রকে নতুন করে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে জাতীয় ঐক্য বজায় রেখে বর্তমান সুযোগকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্য বজায় রেখে একটি নতুন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য যে সুযোগ তৈরি হয়েছে—তা দ্রুত কাজে লাগাতে হবে।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিকালে রাজধানীর চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিএনপি আয়োজিত ‘গণঅভ্যুত্থান ২০২৪: জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক যাত্রা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় তিনি ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন।
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে ৩৬ দিনব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচির উদ্বোধনের জন্য এই সভার আলোচনার আয়োজন করা হয়।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমাদের সামনে সৃষ্ট সুযোগকে কাজে লাগিয়ে গণতন্ত্রকে নতুন করে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।’
বিএনপি চেয়ারপারসন কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। বলেন, ‘সর্বোপরি, আমাদের যেকোনো মূল্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে।’
অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে নির্বাচিত সরকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: মির্জা ফখরুল
২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানসহ অতীতের রাজনৈতিক আন্দোলনে ত্যাগের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে, আমাদের বীরদের রক্ত এবং শোকার্ত মায়েদের চোখের পানি যেন বৃথা না যায়। ঐক্য বজায় রাখতে হবে।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যুক্তরাজ্য থেকে ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গত বছরের গণঅভ্যুত্থানসহ অতীতের রাজনৈতিক আন্দোলনে প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
১৮০ দিন আগে
আজ বিএনপির আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি ভাষণ দেবেন খালেদা জিয়া
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে আয়োজিত দলীয় এক অনুষ্ঠানে আজ প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
‘গণঅভ্যুত্থান ২০২৪: জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ নেবেন তিনি।
বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আজ মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিকেল ৩টায় এই অনুষ্ঠান শুরু হবে। এতে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানেরও।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য সৈয়দ সায়রুল কবীর খান এমন তথ্য দিয়েছেন। তিনি জানান, ভার্চুয়ালি যুক্তরাজ্য থেকে যোগ দিয়ে অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করবেন তারেক রহমান।
আলোচনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং সভাপতিত্ব করবেন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
সায়রুল বলেন, গত কয়েক দশকের রাজনৈতিক আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের সদস্যরা, বিশেষ করে গত বছরের গণঅভ্যুত্থানে যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের স্বজনরা এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেবেন।
এর আগে, গত ২৬ জুন গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে ১ জুলাই থেকে ৬ আগস্ট পর্যন্ত ধারাবাহিক কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে—আলোচনা সভা, সমাবেশ, রক্তদান কর্মসূচি, গ্রাফিতি শিল্প, পথনাটক, ফুটবল টুর্নামেন্ট, শিশু অধিকার বিষয়ক অনুষ্ঠান এবং ডেঙ্গু ও কোভিড-১৯ প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক প্রচারণা।
১৮১ দিন আগে
অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে নির্বাচিত সরকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: মির্জা ফখরুল
দেশের ধীরগতির অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধারের জন্য একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার গঠনের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য নির্বাচিত সরকারের বিকল্প নেই।’
সোমবার (৩০ জুন) বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) সভাপতি শওকত আজিজ রাসেলের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, বিএনপি একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করতে কাজ করছে।
কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বেসরকারি খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বেকারত্ব মোকাবিলায় বেসরকারি খাতের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেবে বিএনপি।
আরও পড়ুন: নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে আগ্রহী চীন: ফখরুল
বিটিএমএ সভাপতি রাসেল বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতি অঙ্গীকার এবং বিভিন্ন মত ও দৃষ্টিভঙ্গিকে সম্মান করার জন্য বিএনপির প্রশংসা করেন।
তিনি স্মরণ করেন যে, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জাতীয় অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে বেসরকারি খাতকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন।
সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে রাসেল অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে দুর্নীতি দেশের ব্যবসা, বাণিজ্য এবং ব্যাংকিং খাতকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
তিনি আশ্বস্ত করেন, বিএনপি ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় এলে বর্তমান অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে ব্যবসায়ীদের পূর্ণ সমর্থন দেবে।
এসময় তারা দেশের অর্থনীতির বিভিন্ন দিক নিয়েও আলোচনা করেন।
১৮১ দিন আগে
নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে আগ্রহী চীন: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর ও আন্তরিকভাবে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে চীন।
সোমবার (৩০ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘চীন আশা প্রকাশ করেছে যে, তারা বাংলাদেশের পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে আরও বেশি আন্তরিকতা, নিষ্ঠা, ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে কাজ করবে।’
ফখরুলের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের বিএনপির প্রতিনিধিদলের সাম্প্রতিক চীন সফরের পর বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সফর নিয়ে ফখরুল বলেন, বিএনপি দল চীনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তিস্তা প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করেছে। বলেন, ‘আমরা এই প্রকল্প সম্পর্কে আমাদের চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করেছি এবং তারা ইতিবাচকভাবে সাড়া দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে স্থলপথে পাটসহ কয়েকটি পণ্য আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা
তিনি বলেন, চীনা পক্ষ এখনও তিস্তা নদীর পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে। ‘ভবিষ্যতে যদি আমাদের সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পাই এবং তারা(চীন) যদি এই প্রকল্পের প্রস্তাব দেয়—তাহলে আমরা মনে করি আমরা এটি ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করব।’
ফখরুল বলেন, বিএনপি প্রতিনিধিদল মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপদ, স্বেচ্ছায় এবং মর্যাদাপূর্ণভাবে তাদের মাতৃভূমিতে প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে চীনকে আরও কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছে।
তিনি বলেন, চীনা কর্তৃপক্ষ রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে মিয়ানমার সরকারকে রাজি করানোর জন্য তাদের আন্তরিক প্রচেষ্টার আশ্বাস দিয়েছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, তাদের সফর দুই ‘ভ্রাতৃপ্রতিম’ দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উন্নত ও জোরদার করার জন্য একটি পথ খুলে দিয়েছে—ভবিষ্যতে এই বন্ধন আরও দৃঢ় হবে বলেও তিনি আশা করেন।
এর আগে ২২ জুন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) আমন্ত্রণে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের বিএনপির প্রতিনিধিদল পাঁচ দিনের জন্য চীন সফর করে।
বিএনপির প্রতিনিধিদলের অন্য আট সদস্য ছিলেন—বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বেগম সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপন, ইসমাইল জবিউল্লাহ, অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, দলের মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ড. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার।
সফরকালে ফখরুল বলেন, বিএনপির প্রতিনিধিদল সিপিসির জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং দ্বিপক্ষীয় বিষয় এবং সিপিসি ও বিএনপির মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছেন।
১৮১ দিন আগে