বিএনপি
মির্জা ফখরুলের সঙ্গে মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের সাক্ষাৎ
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন। সাক্ষাৎকালে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয় এবং আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেছেন তারা।
রবিবার (২২ জুন) সকাল ১০টার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বলে জানিয়েছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদও উপস্থিত ছিলেন।
এমন এক সময় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো যখন ফখরুলসহ বিএনপির আরও আট নেতার চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) আমন্ত্রণে আজই বেইজিং সফরে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।
১৯০ দিন আগে
সাবেক সিইসি-কমিশনারদের বিরুদ্ধে মামলা করবে বিএনপি
বিএনপি দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন তদারকিকারী সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য কমিশনারদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে যাচ্ছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিএনপির প্রতিনিধিদল রবিবার (২২ জুন) সকালে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা দায়ের করবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
তিনি বলেন, বিএনপির প্রতিনিধিদল প্রথমে সকাল ১০টায় নির্বাচন কমিশন অফিসে অভিযোগের একটি কপি জমা দেবেন এবং তারপর থানায় গিয়ে মামলা দায়ের করবেন।
পড়ুন: দেশের অর্থ লুটপাট করে সুইস ব্যাংকে জমা: আ. লীগের সমালোচনা মির্জা ফখরুলের
শায়রুল বলেন, গত তিনটি জাতীয় নির্বাচন পরিচালনার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। যেসব নির্বাচন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কারচুপি, ত্রুটিপূর্ণ এবং অন্যায্য বলে দাবি করে আসছে বিএনপি।
এর আগে ১৬ জুন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে জড়িত সাবেক সিইসি, নির্বাচন কমিশনার এবং ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্তের জন্য অবিলম্বে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন।
বিএনপি অভিযোগ করেছে যে, নির্বাচন কমিশন ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালে একতরফা নির্বাচন পরিচালনায় আওয়ামী লীগকে সহায়তা করেছে। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং নির্বাচনের সময় ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিরোধী দলের দাবি উপেক্ষা করেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে তাদের।
২০১৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় নির্বাচন বিএনপিসহ বেশিরভাগ বিরোধী দল বর্জন করেছিল। ৩০০ আসনের অর্ধেকেরও বেশি আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছিল, যা নির্বাচনের সুষ্ঠুতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। তৎকালীন কমিশনের নেতৃত্বে ছিলেন সিইসি কাজী রকিবউদ্দিন আহমদ।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় নির্বাচনে, বিএনপি এবং অন্যান্য বিরোধী দল অভিযোগ করেছিল যে, ভোটগ্রহণের আগের রাতে ব্যালট ভর্তি করা হয়েছিল। সেই নির্বাচনের তত্ত্বাবধান করেছিলেন সিইসি কেএম নূরুল হুদা।
বিএনপি ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকেও প্রত্যাখ্যান করেছিল, দলটি অংশগ্রহণ না করায় এটিকে ‘ডামি নির্বাচন’ বলে অভিহিত করেছিল। সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল সেই কমিশনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
১৯০ দিন আগে
দেশের অর্থ লুটপাট করে সুইস ব্যাংকে জমা: আ. লীগের সমালোচনা মির্জা ফখরুলের
সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের আমানতের পরিমাণ এক বছরের ব্যবধানে ব্যাপক পরিমাণে বাড়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি প্রতিবেদনের বরাতে বলেন, এটি কেবল আওয়ামী লীগের দুর্নীতিবাজ ও দোসর এবং মাফিয়াদের লুটপাটের পরিমাণ দেখিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সংবাদপত্রের প্রতিবেদন দেখে আমি হতাশ হয়েছি যে, সুইস ব্যাংকে (বাংলাদেশিদের দ্বারা) জমা অর্থের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে...এটি ফ্যাসিবাদী শাসনামলে মাফিয়া এবং লুটেরা চক্রের ব্যাপক লুটপাটের স্পষ্ট প্রতিফলন।’
শনিবার (২১ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি দলের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমি ঠিক জানি না কে, কখন, বা কীভাবে এত বিপুল পরিমাণ অর্থ সুইস ব্যাংকে জমা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু এই খবর দেখার পর, প্রতিটি দেশপ্রেমিক ব্যক্তি ভাবতে পারেন যে, গণঅভ্যুত্থানের পর কি আসলেই কোনো পরিবর্তন এসেছে... যদি প্রতিবেদনটি ২০২৪ সালের হয়—তাহলে এটি সত্য।’
পড়ুন: বাংলাদেশকে চাপে রাখতেই পুশইন করছে ভারত: মির্জা ফখরুল
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের জমা করা অর্থের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে—মাত্র এক বছরে ৩৩ গুণ বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক (এসএনবি) এর সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে মোট আমানত প্রায় ৫৯ কোটি সুইস ফ্রাঁয় পৌঁছেছে, যা ২০২৩ সালে মাত্র ১ কোটি ৭০ লাখ ফ্রাঁ ছিল।
ফখরুল অভিযোগ করেছেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ তার প্রায় ১৬ বছরের দুঃশাসনে বাংলাদেশের সমস্ত প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তারা নির্বাচন ব্যবস্থা, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, বিচার বিভাগ, আমলাতন্ত্র, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্র ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন, বর্তমান সরকার এই সমস্ত ক্ষেত্র পুনরুদ্ধার এবং মেরামত করার চেষ্টা করছে।’
বিএনপি নেতা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার এই লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে এবং নিঃসন্দেহে অনেক ভালো কাজ করেছে। ‘তারা আমাদের (সঠিক) পথ দেখাচ্ছে। আমরা আশা করি ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে জড়িত সকল রাজনৈতিক দল এখন ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে এবং তাদের সমর্থন করবে।’
তিনি আশা প্রকাশ করেন, সরকার জাতিকে সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে।
ফখরুল বলেন, ‘আসুন আমরা সকলেই গণঅভ্যুত্থানের ফলে সৃষ্ট সুযোগকে রাষ্ট্র ও জাতি পুনর্গঠন এবং দেশকে একটি প্রকৃত গণতন্ত্রে রূপান্তরের জন্য কাজে লাগাই।’
১৯০ দিন আগে
লন্ডন বৈঠকের পর ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের আশা বাড়ছে: ডা. জাহিদ
লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠকের পর দেশে শান্তি ফিরে আসছে উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের নতুন আশা তৈরি হয়েছে।’
লন্ডন বৈঠকের পর আয়োজিত যৌথ সংবাদ সম্মেলন ও বিবৃতির বিরোধিতা করায় জামায়াতে ইসলামীরও সমালোচনা করেন তিনি।
শনিবার (২১ জুন) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বৈঠকের আগে এবং পরে বাংলাদেশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, বিভিন্ন ধরনের অস্থিরতা কমে গেছে। শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরে আসছে, কারণ মানুষ এখন এমন একটি নির্বাচনের আশা করছে—যা অনেকেই বিলম্বিত করার চেষ্টা করছিলেন।’
পড়ুন: আ.লীগের পুনর্বাসনে ভারতীয় নীতিনির্ধারকরা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে: রিজভী
অন্তর্বর্তী সরকারকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করে জনগণের ক্ষমতা এবং দেশের মালিকানা তাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জাহিদ। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার ক্ষমতা জগণের অধিকারের মধ্যে নিহিত—যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিন।’
গত ১৩ জুন প্রধান উপদেষ্টা এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে ড. জাহিদ বলেন, ‘অনেকেই এ বিষয়ে অনেক কথা বলছেন। জামায়াত ও অন্যান্য দল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন যমুনায় বেশ কয়েকটি বৈঠক করেছে এবং পরবর্তীতে বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করেছে।’
জাহিদ বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবও পৃথকভাবে বৈঠক সম্পর্কে গণমাধ্যমকে ব্রিফ করেছেন।’
‘এতে কোনো দোষ নেই, কিন্তু আপনি তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনের সমালোচনা করেছেন... সম্ভবত এখন নিজের চেহারা আয়নায় দেখার সময় এসেছে।’
তিনি বলেন, ‘তারেক কেবল একজন ব্যক্তি নন, বরং দেশের বৃহত্তম জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বড় ছেলে।’
‘তারেক রহমান তার যোগ্যতা দিয়ে গণতান্ত্রিক জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন এবং তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাই, যখন আপনারা নিজেদের তার সঙ্গে তুলনা করেন, তখন মানুষ হাসে।’
পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদারের দাবি তারেক রহমানের
জামায়াতের বক্তব্যের সমালোচনা করে জাহিদ বলেন, ‘এটা বলবেন না যে পুরো জাতি লজ্জিত হয়েছে। আপনারা পুরো জাতির পাইকারি বিক্রেতা নন। আপনি কিভাবে ১৮ কোটি মানুষের প্রতিনিধি হলেন? আপনি বলতে পারেন যে আপনাদের দল লজ্জিত হয়েছে।’
জাহিদ বলেন, ‘পুরো জাতি নিয়ে কথা বলবেন না। যদি আপনারা পুরো জাতিকে অন্তর্ভুক্ত করেন—তাহলে হিসাবটা ভিন্ন, কারণ বাংলাদেশের বৃহত্তম দলের নাম বিএনপি।’
তিনি আরও বলেন, দল সম্পর্কে যারা নেতিবাচক কথা বলছে, তাদের নিয়ে চিন্তা করতে চায় না বিএনপি। কারণ তারা (বিএনপি) পিছনে ফেরার চেয়ে সামনের দিকে এগোতে চায়।
বিএনপি ইতোমধ্যেই ৩১ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে উল্লেখ করে তিনি জনসমর্থন অর্জনের জন্য জামায়াতকে নিজস্ব ইশতেহার উপস্থাপন করার আহ্বান জানান। বলেন, ‘তাহলে জনগণ দেশ পরিচালনা ও গড়ার দায়িত্ব যাকে খুশি তাকেই দেবে।’
১৯০ দিন আগে
ক্রীড়াঙ্গন রাজনীতিমুক্ত থাকা উচিৎ: ফখরুল
ক্রীড়াঙ্গন ও রাজনীতিকে কখনোই এক করতে চান না বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘ক্রীড়াঙ্গন রাজনীতি মুক্ত থাকা উচিৎ।’
শুক্রবার (২০ জুন) বিকালে ঠাকুরগাঁওয়ের শহিদ মোহাম্মদ আলী স্টেডিয়ামে মির্জা রুহুল আমিন স্মৃতি টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও সমাপনী অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গত ১৫ বছরে দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নতুন যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তাতে দল-মত নির্বিশেষে সকল প্রতিষ্ঠানসহ দেশ ও দেশের ক্রীড়াকে গড়ে তোলার দায়িত্ব আমাদেরই নিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘এ দেশটা আমার, আমাদের। বক্তৃতার মঞ্চে চলে গেছি অনেক আগেই, আমার জগতটা এখন রাজনীতিতে। কখনোই আমি খেলার মধ্যে রাজনীতি আনার পক্ষে ছিলাম না। আমি কখনোই ক্রীড়াঙ্গন ও রাজনীতিকে এক করতে চাই না। ক্রীড়াঙ্গন রাজনীতিমুক্ত থাকা উচিৎ।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই স্টেডিয়ামে চমৎকার এক পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। দেশ ও দেশের বাইরের বড় বড় খেলোয়াড়রা এই মাঠে খেলেছেন। স্টেডিয়ামে আঞ্চলিক ও জাতীয় দলের খেলার আয়োজন করতে হবে। এতে ক্রিকেটসহ খেলার মান বাড়বে।’
এ সময় টুর্নামেন্টের আহ্বায়ক নুর-ই শাহাদাত স্বজন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোস্তফা সরদার শাহীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন এবং আয়োজক কমিটি, টিম ম্যানেজম্যান্টসহ সুধীজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
১৯১ দিন আগে
আ.লীগের পুনর্বাসনে ভারতীয় নীতিনির্ধারকরা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে: রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী দল পলাতক আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে ভারতীয় নীতিনির্ধারকরা নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার পতনকে তারা সহ্য করতে পারছে না। লন্ডনে ড. ইউনুস-তারেক রহমানের বৈঠকের পর টার্গেট করে পার্শ্ববর্তী দেশে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।’
শুক্রবার (২০ জুন) দুপুরে তারেক রহমানের নির্দেশনায় ‘আমরা বিএনপি পরিবারের’ উদ্যোগে পাবনার চাটমোহরের প্রবীণ বিএনপি নেতা আবু তাহের ওরফে তাহের ঠাকুরকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তার চিকিৎসার জন্য তাহের ঠাকুরের হাতে আর্থিক অনুদান ও তারেক রহমানের শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন তিনি।
রিজভী বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের ১৬ বছরে তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায়ে অনেকে এখনো গুম আছে। নেতা-কর্মীরা মামলা ও গ্রেপ্তার থেকে রক্ষা পায়নি। ফ্যাসিবাদের দিনগুলো ছিল ভয়ঙ্কর। তবে এখন আমরা গণতন্ত্রের পথে হাঁটছি। আজকে নির্ভয়ে কথা বলতে পারছি। যখন ড. ইউনুস ও তারেক রহমানের বৈঠক হয়েছে তখন থেকেই পার্শ্ববর্তী দেশ ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।’
তিনি বলেন, ‘১৬ বছর ধরে নিপীড়ন করেছে; লুট করে দুবাই, কানাডা ও মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে বেহেশতের মতো সুখে আছে। গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করে অপপ্রচার চালিয়ে গেছে শেখ হাসিনা।… নির্যাতনের শিকার হয়েছি, তবুও শেখ হাসিনার কাছে আত্মসমর্পণ করিনি।’
আগামী জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে; যৌক্তিক সময়েই হবে। আরও অনেক দল যে দাবি করেছে, সেই আলোকেই নির্বাচন হবে। আমরা যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছি। এবারের নির্বাচনে জনগণের দাবির প্রতিফলন হবে।’
আরও পড়ুন: সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচনে আপত্তি বিএনপির
তাহের ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘লোহা পুড়িয়ে সংসার চালিয়েও তিনি দলের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। জেলা বিএনপিকে সর্বক্ষণ তার খোঁজখবর রাখতে বলেছি।’
‘আপনার পাশে সবাই দাঁড়াবে। আজ আমরা তারেক রহমানের উপহার নিয়ে এসেছি।’
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন পাবনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকার, যুগ্ম আহ্বায়ক আনিছুল হক বাবু, তাহের ঠাকুরের ছেলে চাটমোহর ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি বরিউল করিম গোলাম, এডওয়ার্ড কলেজ ছাত্রদল নেতা আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।
তিন যুগেরও বেশি বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ার রয়েছে আবু তাহের প্রামাণিক ওরফে তাহের ঠাকুরের। তিনি চাটমোহর উপজেলা শ্রমিদলের সাবেক সভাপতি। ত্যাগী এই বিএনপি নেতার অসুস্থতা নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন সম্পর্কে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নজরে আসে বিষয়টি। এরপর তিনি আর্থিক সহযোগিতা ও খোঁজখবর নিতে দলের নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দেন।
১৯১ দিন আগে
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদারের দাবি তারেক রহমানের
নির্যাতনের মুখে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনে কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার ও মিয়ানমারের ওপর চাপ বৃদ্ধি করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শুক্রবার (২০ জুন) বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক ফেসবুক পোস্টে এসব বলেন তিনি।
বিষয়টিকে বিশ্বের অন্যতম ভয়াবহ মানবিক সংকট হিসেবে উল্লেখ করে এর দ্রুত সমাধানের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তারেক রহমান।
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও স্বেচ্ছাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার ও মিয়ানমারের ওপর স্থায়ী চাপ সৃষ্টি করার জন্য আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই সংকট-সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে জবাবদিহির আওতায় আনতে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই সংকট সমাধান থেকে এখনও অনেক দূরে।’
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে চীন সফরে যাচ্ছে বিএনপি প্রতিনিধি দল
বিশ্বজুড়ে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষের প্রতি সংহতি জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্য এই শরণার্থী সংকট শুধু একটি বৈশ্বিক উদ্বেগ নয়, বরং এটি বাস্তব জীবনের প্রতিদিনের অভিজ্ঞতা।’
বর্তমানে কক্সবাজারে ১৪ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ, যা দেশের মানবিক প্রতিশ্রুতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বলে মন্তব্য করেন তারেক রহমান।
তবে এটি বিশ্বের অন্যতম ভয়াবহ একটি সংকট হিসেবে রয়ে গেছে এবং এর বোঝা ক্রমশই এমন এক পর্যায়ে পৌঁছাচ্ছে যা বিপজ্জনকভাবে অস্থিতিশীল বলেও সতর্ক করেন তিনি।
এ সময় শরনার্থীদের ঘরে ফেরানোর জন্য সবাইকে শান্তিপূর্ণ ও ন্যায়সঙ্গত ব্যবস্থা বাস্তবায়ন ও অনুসরণের প্রতিশ্রুতি নিয়ে একসঙ্গে কাজ করারও আহ্বান জানান তিনি।
প্রতি বছর ২০ জুন বিশ্বব্যাপী বিশ্ব শরণার্থী দিবস পালন করা হয়। শরণার্থীদের সাহস, সহনশীলতা ও অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এবং তাদের দুর্দশা সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে নানা আয়োজনে দিনটি উদযাপন করা হয়।
১৯২ দিন আগে
মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে চীন সফরে যাচ্ছে বিএনপি প্রতিনিধি দল
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) আমন্ত্রণে আগামী রবিবার (২২ জুন) চীন সফরে যাচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বিএনপির মিডিয়া সেল সদস্য সৈয়দ সায়রুল কবীর খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এই সফরের জন্য বিএনপিকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানিয়েছে সিপিসি।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার ও দলীয় পর্যায়ে অভিজ্ঞতা বিনিময়ই এই সফরের মূল লক্ষ্য বলে মন্তব্য করেন তিনি। সায়রুল কবীর আরও জানান, মির্জা ফখরুলের সঙ্গে সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির চার সদস্য— মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বেগম সেলিমা রহমান ও ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। এ ছাড়া, চেয়ারপারসনের তিন উপদেষ্টা— জহির উদ্দিন স্বপন, ইসমাইল জাবিউল্লাহ ও অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া এবং দলের মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেলও প্রতিনিধিদলে রয়েছেন।
সফর শুরুর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রতিনিধিদলটি ঢাকায় চীনের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের আমন্ত্রণে চীনা দূতাবাসে সাক্ষাৎ করে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচনে আপত্তি বিএনপির
দলীয় সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বিবেচিত চীনের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক গভীর করার প্রত্যাশারই প্রতিফলনই এই সফর। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক রূপান্তরের প্রেক্ষাপটে বেইজিংয়ের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে এই সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন তারা।
এদিকে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিএনপিকে একটি ‘প্রতীক্ষমাণ সরকার’ হিসেবে বিবেচনা করছেন অনেক পর্যবেক্ষক, যার অপেক্ষা চলছে পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত।
এই সফরকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিভিন্ন দলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে চীনের উদ্যোগের অংশ হিসেবে দেখছেন বিএনপি নেতারা। গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর চীন বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পৃক্ততা বাড়িয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বিএনপি, সদ্য-গঠিত এনসিপি ও কিছু ইসলামপন্থী দল।
এর আগে, চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার এবং দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে আটটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের নিয়ে গঠিত একটি ২১ সদস্যের ‘অনন্য’ প্রতিনিধিদল ১১ দিনের সফরে চীন যায়।
ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। চীনা কর্তৃপক্ষ জানায়, গত আগস্টের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর বাংলাদেশের সঙ্গে বহুদলীয় সম্পর্ক জোরদারের কৌশলের অংশ হিসেবেই এই সফর আয়োজন করা হয়।
১১ দিনের সফরে প্রতিনিধিদলটি বেইজিং, শানশি এবং ইউনান প্রদেশে সিপিসির কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে।
১৯২ দিন আগে
সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচনে আপত্তি বিএনপির
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় অনেক দল সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে সংসদে আসন নির্ণয় চাইলেও আপত্তি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।
ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের বৃহস্পতিবারের (১৯ জুন) আলোচনা শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের সঙ্গে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন বেমানান। এ পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে সংসদে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে সরকারকে দুর্ভোগ পোহাতে হবে।’
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘অনেক ফেডারেল রাষ্ট্রে এ পদ্ধতির নির্বাচন আছে। কিন্তু বাংলাদেশ কোনো ফেডারেল রাষ্ট্র না, এটি রিপাবলিক রাষ্ট্র। বেশ কিছু রিপাবলিক রাষ্ট্রে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচন থাকলেও বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির সঙ্গে এ পদ্ধতি একেবারেই বেখাপ্পা।’
‘সংসদে আইন পাশ করতে গেলে কিংবা সংবিধান সংশোধন করতে গেলে দুই তৃতীয়াংশের ভোট দরকার হবে। এ পদ্ধতিতে ৫০ শতাংশ ভোট পাওয়াই কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।’ যোগ করেন সালাহউদ্দিন।
বৃহস্পতিবারের আলোচনায় বেশ কিছু রাজনৈতিক দলের দাবি ছিল—কোনো ব্যক্তিকে না বরং দলকে ভোট দেবে জনগণ। যে দল যত শতাংশ ভোট পাবে ৩০০ আসনের বিচারে তার তিনগুণ আসন নিয়ে সংসদে বসবে তারা। অর্থাৎ কোনো দল ১০ শতাংশ ভোট পেলে সংসদীয় আসন হবে ৩০টি।
এর বাইরে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে গোপন ব্যালটে ভোট পদ্ধতির সমর্থন জানিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘যেহেতু চারটি বিষয় বাদে (আস্থা ভোট, অর্থ বিল, সংবিধান সংশোধন, জাতীয় নিরাপত্তা) বাকি সব বিষয়ে সংসদ সদস্যদের স্বাধীন ভোটদানের সিদ্ধান্তে আমরা একমত হয়েছি, তাই গোপন ব্যালটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়ায় আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’
পড়ুন: এনসিসি গঠনের বিরোধিতা করে বিএনপি: সালাহউদ্দিন আহমেদ
প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ প্রসঙ্গে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আজকে কেবল এ ব্যাপারে আলোচনা শুরু হয়েছে, কোনো মীমাংসা হয়নি। একনায়কতন্ত্র রুখতে এবং স্বৈরাচারকে প্রশ্রয় না দিতে পরপর দুইবার কেউ প্রধানমন্ত্রী হলে পরের মেয়াদে আর প্রধানমন্ত্রী হবে না- এ সিদ্ধান্তে আমরা একমত। তবে পরের মেয়াদ বাদ দিয়ে আবারও প্রধানমন্ত্রী হওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে।’
রবিবার আবারও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসছে কমিশন। আলোচ্য বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ, সংবিধান ও রাষ্ট্রের মূলনীতি এবং নির্বাচনী এলাকা নির্ধারণ নিয়ে মতবিনিময় হবে বলে জানিয়েছে কমিশন।
১৯২ দিন আগে
এনসিসি গঠনের বিরোধিতা করে বিএনপি: সালাহউদ্দিন আহমেদ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বিএনপি কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক পদ ও সংস্থায় নিয়োগের জন্য জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনের প্রস্তাবকে সমর্থন করে না, কারণ প্রস্তাবিত কাউন্সিলের কোনো জবাবদিহিতা নেই।
তিনি বলেন, ‘একটি গণতান্ত্রিক দল হিসেবে আমরা এমন কোনো প্রতিষ্ঠানকে সমর্থন করতে পারি না—যার কর্তৃত্ব, ক্ষমতা ও কাজ আছে, কিন্তু জবাবদিহি নেই। এই ধরনের কাজসহ একটি পৃথক সংস্থা তৈরি করা ভারসাম্যহীন পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাবে।
বুধবার (১৮ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংস্কার আলোচনার দ্বিতীয় দফার অধিবেশনের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে সালাহউদ্দিন এই মন্তব্য করেন।
তিনি ব্যাখ্যা করেন, এনসিসি সংস্কার কমিশনের একটি প্রস্তাব, যাতে রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি কাউন্সিল গঠনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কাউন্সিলে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ উভয়ের স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, বিরোধীদলের মনোনীত দুইজন ডেপুটি স্পিকার এবং উভয় কক্ষের একজন করে সদস্য অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।
প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত এনসিসি কার্যকর থাকবে।
প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগের পর নির্বাচনকালীন সময়ে প্রধান উপদেষ্টা, দুইজন উপদেষ্টা, রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত পাঁচ সদস্যের একটি সংস্থা দায়িত্ব গ্রহণ করবে।
পড়ুন: অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে, আশা রিজভীর
এনসিসির কার্যাবলী ও কর্তৃত্ব প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার, অ্যাটর্নি জেনারেল, পাবলিক সার্ভিস কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, প্রস্তাবিত স্থানীয় সরকার কমিশন, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান এবং সাংবিধানিক আইনে নির্ধারিত অন্যান্য পদসহ গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক ব্যক্তিত্বদের নিয়োগকে অন্তর্ভুক্ত করবে।
প্রস্তাবিত কাউন্সিল রাষ্ট্রপতির কাছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগের জন্য নামও সুপারিশ করতে পারবে।
সালাহউদ্দিন বলেন, তারা (বিএনপি) আগে ব্যাখ্যা করেছেন কেন তারা এই এনসিসি ধারণার সঙ্গে একমত হতে পারে না এবং পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে এই এনসিসির জন্য প্রস্তাবিত কার্যাবলী এবং দায়িত্বগুলো ইতোমধ্যেই বিভিন্ন আইন এবং সাংবিধানিক বিধানের মাধ্যমে নির্বাহী বিভাগের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা জিজ্ঞাসা করতে পারি, অথবা আপনারা (সাংবাদিকরা) জিজ্ঞাসা করতে পারেন -- এত দায়িত্ব ও ক্ষমতার মধ্যে এবং এত নিয়োগ (সম্পাদনা) করার পরেও জবাবদিহি কোথায়? জবাবদিহি আছে কি? কেউ নেই। জবাবদিহি ছাড়া আমরা কোনো প্রতিষ্ঠানকে সমর্থন করতে পারি না।’
এনসিসির পক্ষে এই যুক্তি খণ্ডন করে যে, এই নিয়োগগুলো প্রধান নির্বাহী (সরকারের) করে, তাই দেশে অরাজকতা তৈরি হয়।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমাদের যা দরকার তা হলো একটি সুষম রাষ্ট্রীয় কাঠামো, সামাজিক ব্যবস্থা এবং শাসন ব্যবস্থা। ‘যদি একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকত—তাহলে এইভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হত না।’
তিনি বলেন, পুরো সংসদ বিলুপ্ত করা যাবে না বা পুরো নির্বাহী বিভাগকে এই সমস্যার জন্য দায়ী করা যাবে না।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, যদি নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন ও সাংবিধানিকভাবে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়—তাহলে নির্বাহী বিভাগ ও সংসদ স্থায়ীভাবে তাদের কর্তৃত্ববাদী নিয়ন্ত্রণ হারাবে। যদি (এই ব্যবস্থাগুলোতে) কোনো ত্রুটি থাকে—তবে তা একটি স্বাধীন বিচার বিভাগের মাধ্যমে সমাধান করা হবে। এই কারণে, বিএনপি বিচার বিভাগের পূর্ণ স্বাধীনতার প্রস্তাব করে।
পড়ুন: মঙ্গলবারের ঐকমত্য বৈঠকে না আসায় জামায়াতের তীব্র সমালোচনা ফখরুলের
তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করি কিছু আদালতের রায়, সাংবিধানিক সংস্কার ও অনুমোদনের মাধ্যমে সত্যিকারের স্বাধীন বিচার বিভাগের দিকে ধীরে ধীরে অগ্রগতি হবে। ‘তাহলে এই ব্যবস্থাগুলো সুসংরক্ষিত থাকবে।’
বুধবার ঐক্যমত্য কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে সংস্কার আলোচনায় বিএনপি, এনসিপি এবং জামায়াতসহ প্রায় ৩০টি রাজনৈতিক দল যোগ দেয়। বুধবার এনসিসি গঠন এবং রাষ্ট্রপতির কর্তৃত্ব নিয়ে আলোচনা হয়।
তবে, অধ্যাপক আলী রীয়াজ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো সাংবিধানিক পদে নিয়োগ পরিচালনার জন্য একটি সাংবিধানিক সংস্থার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। ‘যদিও কয়েকটি দল কিছু নীতিতে ভিন্নমত পোষণ করে, তবুও সকলেই একটি সাংবিধানিক প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠার পক্ষে মত দিয়েছে।’
তিনি বলেন, কমিশন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন সম্পর্কিত দুটি প্রস্তাব বিবেচনা করছে—একটি সাংবিধানিক সংস্কার কমিশন থেকে এবং অন্যটি নির্বাচনী সংস্কার কমিশন থেকে। রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং কর্তৃত্বের ভারসাম্য নিয়ে আলোচনা অব্যাহত থাকবে, বলেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
বৃহস্পতিবার, সংস্কার আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ এবং রাষ্ট্রের মৌলিক নীতিমালা, রাষ্ট্রপতির নিয়োগসহ আলোচনা হয়নি এমন বিষয়গুলো নিয়ে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
১৯৩ দিন আগে