বিএনপি
দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ একক নিয়ন্ত্রণাধীন নয়: তারেক রহমান
গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালের সিসিইউয়ে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দেশের সর্বস্তরের নাগরিকের আন্তরিকতা ও প্রার্থনার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তার জ্যেষ্ঠ পুত্র ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। একই সঙ্গে, বর্তমান সংকটকালে মায়ের স্নেহস্পর্শ লাভের তীব্র আকাঙ্ক্ষার কথা জানিয়ে তিনি বলেছেন, এ ক্ষেত্রে তার একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ সীমিত।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) সকাল পৌনে ৯টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তারেক রহমান এ কথা বলেন।
পোস্টে তিনি লেখেন, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ ও সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যায় রয়েছেন। তার রোগমুক্তির জন্য দল-মত নির্বিশেষে দেশের সকল স্তরের নাগরিক আন্তরিকভাবে দোয়া অব্যহত রেখেছেন। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা তার রোগমুক্তির জন্য দোয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসার সর্বত সহায়তার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।
দেশ বিদেশের চিকিৎসক দল বরাবরের মত তাদের উচ্চমানের পেশাদারত্ব ছাড়াও সর্বোচ্চ আন্তরিক সেবা প্রদান অব্যহত রেখেছেন। বন্ধুপ্রতীম একাধিক রাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও উন্নত চিকিৎসাসহ সম্ভাব্য সকল প্রকার সহযোগিতার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করা হয়েছে।
পোস্টে তিনি আরও লিখেছেন, খালেদা জিয়ার প্রতি সকলের আন্তরিক দোয়া ও ভালোবাসা প্রদর্শন করায় জিয়া পরিবারের পক্ষ থেকে সকলের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও গভীর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। একই সঙ্গে তার আশু রোগমুক্তির জন্য সকলের প্রতি দোয়া অব্যহত রাখার জন্য ঐকান্তিক অনুরোধ জানাচ্ছি।
তারেক লিখেছেন, এমন সঙ্কটকালে মায়ের স্নেহ স্পর্শ পাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা যেকোনো সন্তানের মতো আমারও রয়েছে। কিন্তু অন্য আর সবার মতো এটা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমার একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ অবারিত ও একক নিয়ন্ত্রণাধীন নয়। স্পর্শকাতর এই বিষয়টি বিস্তারিত বর্ণনার অবকাশও সীমিত। রাজনৈতিক বাস্তবতার এই পরিস্থিতি প্রত্যাশিত পর্যায়ে উপনীত হওয়ামাত্রই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে আমার সুদীর্ঘ উদ্বিগ্ন প্রতীক্ষার অবসান ঘটবে বলেই আমাদের পরিবার আশাবাদী।
৩০ দিন আগে
ফরিদপুরে বিএনপির দুপক্ষের সমাবেশকে কেন্দ্র করে ১৪৪ ধারা জারি
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় বিএনপির দুই পক্ষের সমাবেশকে কেন্দ্র করে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রাসেল ইকবাল ১৪৪ ধারার আদেশ জারি করেন। তার সই করা লিখিত আদেশের একটি কপি ‘ইউএনও আলফাডাঙ্গা’ নামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ইউএনও রাসেল ইকবাল জানান, জারি করা পত্র অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ও জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তায় প্রশাসন থেকে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়ন ও আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে আলফাডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর বিএনপির আয়োজনে আজ (শনিবার) বিকেলে পৌর সদরের আসাদুজ্জামান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সভাপতি ও ফরিদপুর-১ আসনের দলটির মনোনয়নপ্রত্যাশী খন্দকার নাসিরুল ইসলামের।
অপরদিকে, বিকেল ৩টায় আলফাডাঙ্গা পৌর সদরের আরিফুজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি বাতিলের দাবিতে, গত ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির দুই পক্ষের সমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় এবং উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মিনহাজুর রহমান লিপনের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে আরেকটি বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। এ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-১ আসনে বিএনপির আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী ও বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনুর।
দুই পক্ষের সমাবেশকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি যাতে না ঘটে, সেই বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়েই ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।
আলফাডাঙ্গা পৌরসভার স্কুল, মাঠ ও বাজার এলাকায় শনিবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। এই সময়ের মধ্যে সব ধরনের সভা-সমাবেশ, বিক্ষোভ-মিছিল, গণজমায়েত, বিস্ফোরক দ্রব্য, আগ্নেয়াস্ত্র ও সব ধরনের দেশীয় অস্ত্র বহনসহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির একত্রে অবস্থান কিংবা চলাফেরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে খন্দকার নাসিরুল ইসলামের অনুসারী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান খসরু বলেন, এক সপ্তাহ আগে আমাদের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়ন ও দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। হঠাৎ করে দেখলাম, ঝুনু সমর্থকরা প্রতিবাদ সমাবেশের জন্য মাইকিং করছে। দুই পক্ষের সমাবেশের জন্য প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে। এক্ষেত্রে সমাবেশ করব কি করব না, বিষয়টি জেলা কমিটির সঙ্গে কথা বলে পরে সিদ্ধান্ত নেব।
শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু-সমর্থিত আলফাডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খোসবুর রহমান খোকন বলেন, উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি বাতিলের দাবিতে এবং গত ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির দুই পক্ষের সমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মিনহাজুর রহমান লিপনের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। তবে যেহেতু প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে, সেহেতু আমরা কর্মসূচি সফল করার জন্য মাঠে থাকব।
জানা যায়, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে দলীয় সভা-সমাবেশ চালিয়ে যাচ্ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার নাসিরুল ইসলাম এবং অপর মনোনয়নপ্রত্যাশী বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির বর্তমান সহ-সভাপতি শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু (ভিপি ঝুনু)।
গত ২১ অক্টোবর ১০ বছর পর ফরিদপুর-১ আসন (মধুখালী, বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলা) এবং পৌর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে জেলা বিএনপি। তিনটি উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটিতে প্রাধান্য পান কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলামের সমর্থকরা। এ নিয়ে নাসির মিয়া ও ভিপি ঝুনু মিয়ার মধ্যে দলীয় কোন্দল তীব্র আকার ধারণ করে।
কমিটি ঘোষণার পর থেকে বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলায় কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল অব্যাহত রাখেন ভিপি ঝুনু মিয়া। গত ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বোয়ালমারীতে আলাদা আলাদা সমাবেশ ডাকে খন্দকার নাসিরুল ইসলাম গ্রুপ ও ঝুনু গ্রুপ। একপর্যায়ে সমাবেশ রক্তক্ষয়ী সহিংসতায় রূপ নেয়। সহিংসতায় উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মিনহাজুর রহমান লিপনসহ দুই পক্ষের ১৫–২০ জন আহত হন। এ ঘটনায় দুই পক্ষের প্রধান দুই নেতাকে আসামি করে স্থানীয় থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে।
৩০ দিন আগে
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা একদমই ভালো না: আইন উপদেষ্টা
বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা একদমই ভালো নয় জানিয়ে তার জন্য সবাইকে দোয়া করতে বলেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতে শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) রাতে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে পাঠান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস।
রাত পৌনে ১২টার দিকে তারা সেখানে গিয়ে কিছুক্ষণ অবস্থান করেন এবং খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চান।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির ইউএনবিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আইন উপদেষ্টা হাসপাতালে গেলে সেখানে উপস্থিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গেও তাদের কথা হয়।
পরে রাত ১টার দিকে এক ফেসবুক পোস্টে আইন উপদেষ্টা লেখেন, ‘এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়েছিলাম। এখনি ফিরলাম। বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা একদমই ভালো না। সবাই দোয়া করবেন উনার জন্য।’
এর আগে, গতকাল (শুক্রবার) বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ‘অত্যন্ত সংকটাপন্ন’ উল্লেখ করে দেশবাসীর কাছে তার সুস্থতার জন্য প্রার্থনার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘গত রাতে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন।
৩০ দিন আগে
প্রধান উপদেষ্টার প্রতি তারেক রহমানের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুরুতর শারীরিক অবস্থার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে দেশবাসীর কাছে দোয়া চাওয়ায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) রাতে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নেত্রীকে নিয়ে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বিবৃতিতে যে সৌজন্য ও মানবিক অনুভূতির প্রকাশ ঘটেছে, সে জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রধান উপদেষ্টাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে, এক বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে দেশবাসীর কাছে তার সুস্থতার জন্য দোয়া কামনা করেছেন। প্রধান উপদেষ্টা আরও জানান, তিনি নিয়মিত খালেদা জিয়ার চিকিৎসার অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজ নিচ্ছেন এবং তার সুচিকিৎসায় প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেছেন, ‘গণতান্ত্রিক উত্তরণের এই সময়ে বেগম খালেদা জিয়া জাতির জন্য অনুপ্রেরণা, তার সুস্বাস্থ্য দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, ‘বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় কোনো ধরনের ঘাটতি রাখা যাবে না। সরকার সকল প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত।’
২৩ নভেম্বর রাতে হৃৎপিণ্ড এবং ফুসফুসে সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি নিউমোনিয়ায়ও ভুগছেন ও বর্তমানে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
৩০ দিন আগে
খালেদার জিয়ার শারীরিক অবস্থা ‘অত্যন্ত সংকটাপন্ন’, দেশবাসীর কাছে দোয়ার আহ্বান ফখরুলের
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ‘অত্যন্ত সংকটাপন্ন’ উল্লেখ করে দেশবাসীর কাছে তার সুস্থতার জন্য প্রার্থনার আহ্বান জানিয়েছেন।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) নয়াপল্টন সেন্ট্রাল জামে মসজিদে বিশেষ জুমা প্রার্থনার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ফখরুল এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘গত রাতে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন।
ফখরুল দলের পক্ষ থেকে দেশের সকলের কাছে খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য প্রার্থনার আবেদন জানান।
৩১ দিন আগে
পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্বাচনী প্রচারে নেতাকর্মীদের ওপর জামায়াতের হামলায় বিএনপির তীব্র নিন্দা
পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্বাচনী প্রচারণাকালে বিএনপি নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণের ওপর জামায়াতে ইসলামী সমর্থকদের পরিকল্পিত হামলার নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে সশস্ত্র জামায়াত কর্মীরা বিএনপির নির্বাচনী মিছিলে হামলা চালায়। এতে বিএনপির ৫০ জনের বেশি নেতাকর্মী আহত হয়েছেন এবং হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী আবু তালেব মণ্ডল নিজেই হামলার নেতৃত্ব দেন। তারা ভোটারদের ধর্মীয় উসকানি ও বিতর্কিত কৌশল—যেমন ‘জান্নাতের টিকিট বিক্রি’—ব্যবহার করে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলে তাদেরও মারধর করা হয়। পরে শান্তিপূর্ণভাবে প্রচারণা চালানো বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপরও অতর্কিতে হামলা হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দৈনিক মানবজমিনে প্রকাশিত একটি ছবিতে জামায়াত কর্মী তুষারকে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে হামলা চালাতে দেখা গেছে। এ ঘটনার সত্যতা আড়াল করতে কিছু গণমাধ্যম বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার করছে বলে দাবি করেছে বিএনপি।
দলটি বলেছে, এ হামলা জামায়াতে ইসলামী’র উগ্র প্রবণতা ও চরমপন্থী চরিত্রকে উন্মোচিত করেছে। লাখো সমর্থক থাকা সত্ত্বেও বিএনপি সংঘাত এড়িয়ে শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক চর্চায় অটল রয়েছে।
‘সংযমকে দুর্বলতা মনে করা ঠিক হবে না,’ বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
বিএনপি দাবি করেছে, ঘটনা তদন্তে দ্রুত সরকারি উদ্যোগ ও দোষীদের শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনা হোক এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করা হোক।
এর আগে বৃহস্পতিবার ঈশ্বরদীর সাহাপুর ইউনিয়নের চর গোরগরি এলাকায় বিএনপি ও জামায়াত কর্মীদের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
৩১ দিন আগে
জামায়াত নেতা ডা. তাহেরকে দেখতে হাসপাতালে মির্জা ফখরুল
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহেরকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর ১টায় হাসপাতালে আসেন তিনি।
জামায়াতের প্রচার বিভাগের সিনিয়র সেক্রেটারি মুজিবুল আলমের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
এ সময় ফখরুল ডা. তাহেরের খোঁজ-খবর নেন, তার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং চিকিৎসার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চান। মির্জা ফখরুল ডা. তাহেরের দ্রুত রোগমুক্তি ও সুস্থতার জন্য মহান আল্লাহর নিকট দোয়া করেন।
৩১ দিন আগে
খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ারের সিসিইউতে স্থানান্তর
হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসের সংক্রমণে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালের কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে। এ অবস্থায় তার দ্রুত আরোগ্যের জন্য দেশবাসীর দোয়া চেয়েছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলটির এক শীর্ষ নেতা বলেন, ‘ম্যাডামকে সিসিইউতে রেখে নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দেশ-বিদেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডে যুক্ত আছেন।’
বিএনপির মিডিয়া সেল সদস্য সায়রুল কবির খান ইউএনবিকে জানান, দলের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চাওয়া হয়েছে।
রবিবার (২৩ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে। এরপর থেকে তিনি হাসপাতালের একটি কেবিনে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এদিকে, খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিএনপি সারা দেশে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করেছে বলে জানিয়েছেন শায়রুল কবির খান। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় বাদ জুমা দোয়া ও মোনাজাতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত থাকবেন বলেও জানান তিনি।
৩২ দিন আগে
সারা দেশে বাউলদের ওপর হামলায় মির্জা ফখরুলের নিন্দা
বাউল শিল্পীদের ওপর হামলার ঘটনাকে ‘ন্যাক্কারজনক’ আখ্যায়িত করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি এই হামলাকে ‘উগ্র ধর্মান্ধদের হামলা’ বলে মনে করেন এবং এর সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে ঠাকুরগাঁওয়ে গত বছরের ৪ আগস্ট আওয়ামী লীগ কর্মীদের জ্বালিয়ে দেওয়া বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সংস্কার করে নির্মিত নতুন ভবন উদ্বোধনকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমি মনে করি বাউলদের ওপর হামলা এটি একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। এটা নিশ্চিত যে বাংলাদেশের যে আবহমান সংস্কৃতি, গ্রামীণ বাংলার সংস্কৃতি, আমাদের বাউল যারা, তারা বাংলাদেশের মাঠে-ঘাটে প্রান্তরে এই বাউল গান গেয়ে বেড়ান। তাদের ওপর হামলা, এটা একটা উগ্র ধর্মান্ধদের হামলা বলে আমি মনে করি।
তিনি বলেন, এই ধরনের হিংসা-প্রতিহিংসার পথ বেছে নেওয়া কারো জন্যই শোভনীয় নয়। আমরা অবশ্যই এটার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করি।
রাজধানীর কড়াইল বস্তির অগ্নিকাণ্ডে সহস্রাধিক মানুষের ঘরবাড়ি পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ঢাকা শহরে অনেক বস্তি আছে, তার মধ্যে কড়াইল বস্তিটা সব থেকে বড়। এখানে কয়েক হাজার মানুষ বসবাস করে এবং সবাই দরিদ্র, নিঃস্ব মানুষ।
নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমার বাসায় যে মহিলা রান্না করে, তারও বাসা সেখানে। তার বাড়িটিও পুড়ে একদম নিঃশেষ হয়ে গেছে। এটা এই দরিদ্র মানুষগুলোর জন্য একটা চরম আঘাত। আমি সরকারের কাছে দাবি করব, সরকার যেন এদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করে।
অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও প্রতিরোধ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্তৃপক্ষের অবহেলা এবং আইনের যথাযথ প্রয়োগের অভাবকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, আমাদের যারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকেন, বিশেষ করে গার্মেন্টস অথবা কারখানাগুলোতে, তাদের কিছুটা নেগ্লিজেন্সি (অবহেলা), অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থার অপ্রতুলতা এবং আইন না মেনে চলা—সবকিছু মিলে এই অগ্নিকাণ্ডগুলো ঘটে। সেক্ষেত্রে আমার মনে হয়, সত্যিকারে অর্থে যদি আইনের প্রয়োগ হয় এবং যথাযথ অগ্নিনিরোধক ব্যবস্থা থাকে, তাহলে এগুলোকে এড়ানো অনেক সহজ।
কড়াইল বস্তির অগ্নিকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করে তিনি বলেন, সুষ্ঠু তদন্তের মধ্য দিয়ে প্রকৃত ঘটনাকে বের করে যদি প্রকৃতপক্ষে কোনো ব্যক্তি দায়ী হয়ে থাকে, তাহলে তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য আমি দাবি জানাচ্ছি।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশে ঘন ঘন অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের মির্জা ফখরুল বলেন, আমি এগুলোকে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে মনে করি না, বরং আমি মনে করি, আমাদের যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেমন: কলকারখানা, গার্মেন্টস—এসবের দায়িত্বে যারা রয়েছেন তাদের অবশ্যই অবহেলা রয়েছে। যদি সত্যিকারের আইনের প্রয়োগ হয় এবং যথাযথ অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা থাকে তাহলে খুব সহজেই এসব এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।
কিছু আসনে এখনো প্রার্থী না দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা খুব শিগগিরই বাকি আসনগুলোতেও মনোনয়ন দেব এবং দেশবাসী তা দেখতে পাবে। আমরা যোগ্য প্রার্থীদেরই মনোনয়ন দেব।
এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মির্জা ফয়সল আমিন, সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদসহ দলটির অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
৩২ দিন আগে
নির্বাচনে জিতলে খালেদা জিয়া রাষ্ট্রপতি, তারেক হবেন প্রধানমন্ত্রী: বুলু
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি জয়লাভ করলে খালেদা জিয়া রাষ্ট্রপতি এবং তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন বলে মন্তব্য করেছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু।
তিনি বলেছেন, ‘আমাদের ৫০ শতাংশ ভোটার হচ্ছেন নারী। এই মায়েদের ভোটে খালেদা জিয়া ৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ভোটে এই মা-বোনরাই ভোট দিয়ে ধানের শীষকে বিজয়ী করবেন। ইনশাআল্লাহ খালেদা জিয়া বেঁচে থাকবেন এবং এই ভোটের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হবেন, তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন। এটাই হলো আগামী দিনের বাংলাদেশ। এর বাইরে যদি কিছু হয় এই বাংলাদেশ থাকবে না।’
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর পল্টনে ভাসানী ভবনে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে জিয়া মঞ্চ আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও কোরআন খতম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বুলু বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের বিকল্প নেই। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া আজ অসুস্থ। কিন্তু দেশ ও দেশের মানুষের জন্য তার বেঁচে থাকা প্রয়োজন।
তিনি অভিযোগ করেন, দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র চলছে এবং দেশের অস্তিত্বকেও ঝুঁকির মুখে ফেলা হচ্ছে।
বুলু বলেন, দেশকে এই ষড়যন্ত্র থেকে মুক্ত করতে জাতীয়তাবাদী শক্তির এখন ঐক্য প্রয়োজন। বেগম খালেদা জিয়া সেই ঐক্যের প্রতীক। আসুন, সবাই তার জন্য দোয়া করি। তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে যেন আগের মতোই আমাদের মাঝে ফিরে কাজ করতে পারেন। তিনি আমাদের জাতীয়তাবাদী রাজনীতির অনুপ্রেরণার উৎস।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি প্রতিষ্ঠায় শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে বিভিন্ন দল ও শ্রেণিপেশার মানুষ একত্র হলেও এটিকে পূর্ণাঙ্গ রাজনৈতিক দলে রূপ দিয়েছেন খালেদা জিয়া। ৯ বছর ধরে সারা দেশে ঘুরে তৃণমূলের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে বিএনপিকে একটি বৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠন এবং দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দলে পরিণত করেছেন খালেদা জিয়া।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ৩১ দফা বাংলাদেশের আগামী ১০০ বছরের মুক্তির সনদ। এর বাইরে গিয়ে কেউ কোনো নতুন সংস্কারের রূপরেখা দিতে পারবে না। আর সংস্কার একটি চলমান রূপরেখা। পৃথিবীর সৃষ্টি থেকে কেয়ামত পর্যন্ত সংস্কার চলতেই থাকবে। এটার কোনো শেষ নেই।
এ সময় ধর্মকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহারকারীদেরও সমালোচনা করেন বুলু। তিনি বলেন, জাতি এখন কঠিন প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে আছে। অনেকে ধর্ম ব্যবহার করে ব্যবসা করছে, ইসলামের নাম ভাঙিয়ে করছে রাজনীতি।
দেশবাসীকে সতর্ক করে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হবে তাদের হাত থেকে, যারা এটিকে আফগানিস্তান, সিরিয়া বা ইরাকের মতো বানাতে চায়।
এ সময় বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক সুস্থতা কামনা করে দোয়া এবং কোরআন খতম দেওয়া হয়।
৩৩ দিন আগে