������������������
সরকারের পদত্যাগের মাধ্যমে একদফা আন্দোলন শেষ হবে: আমীর খসরু
শেখ হাসিনার পদত্যাগের মাধ্যমে বিএনপির একদফা আন্দোলনের শেষ হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, আমাদের রোডমার্চের উদ্দেশ্য হচ্ছে একটাই (শেখ হাসিনার পদত্যাগ)। এটা নিয়ে রাস্তায় নেমেছি। দাবি না মানা পর্যন্ত বাড়ি ফিরে যাব না কেউ। এ ছাড়া ভোট চোরদের দিন শেষ, জনগণের বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: বিএনপি দেশের ক্ষমতায় গেলে দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ হবে: আমীর খসরু
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকালে নগরীর কাজির দেউড়ি নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে সরকারের পদত্যাগ ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির একদফা দাবিতে আগামী ৫ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে ফেনী, মিরসরাই হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত রোড় মার্চ কর্মসূচি সফল করার লক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ভোট চোরদের বিদায় করতে ৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সুনামি তৈরি করতে হবে। শেখ হাসিনা বিদায় হও, ভোটাধিকার ফিরিয়ে দাও।
তিনি বলেন, এই বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ভোট চোরদের উপর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখতে হবে। এদের এবার ছাড় দেওয়া যাবে না।
আমীর খসরু বলেন, রোডমার্চে কুমিল্লায় একটি বড় জনসভা হবে ও চট্টগ্রামে একটি হবে। আর মাঝখানে যেগুলো হবে সেগুলো পথসভা। আমাদের পথসভাগুলো জনসভার মতোই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জেলখানায় বর্তমানে কী হচ্ছে সে ব্যাপারে জনগণের সন্দেহ জেগেছে। বেগম খালেদা জিয়ার শরীর কী পর্যায়ে এভাবে এসেছে এটা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে জনমনে। অনেকেই জেলখানায় মারা যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, অনেকে জেলখানা থেকে বের হয়ে মারা যাচ্ছে। তাহলে বাংলাদেশের জেলের ভেতরে কী হচ্ছে? এই প্রশ্নগুলো জনমনে এসেছে আজ।
আরও পড়ুন: জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বিদেশিদের কাছে সুবিধা চান প্রধানমন্ত্রী: আমীর খসরু
‘অবৈধ’ সরকার যদি আরও কিছুদিন থাকে আমরা কেউ বাঁচবো না: আমীর খসরু
সরকারকে আর কোনো পাতানো নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না: মির্জা আব্বাস
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস আওয়ামী লীগ সরকারকে আর কোনো পাতানো নির্বাচন করতে না দিতে দলের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘জনগণ আওয়ামী লীগকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। এবার জনগণ তাদের প্রতিহত করবে।’
ঢাকার কেরাণীগঞ্জের জিনজিরা বিএনপির কার্যালয় সামনে মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ‘এখনও সময় আছে, সংসদ ভেঙে দিন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করে পদত্যাগ করুন। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই।’
আরও পড়ুন: আর নিপীড়ন সহ্য নয়, উপযুক্ত জবাব দিন: মির্জা আব্বাস
সরকারের পদত্যাগের দাবিতে চলমান এক দফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে সোমবার বিএনপির ঘোষিত ১৫ দিনের কর্মসূচির মধ্যে এই সমাবেশ অন্যতম।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ছাড়তে ভয় পায়, আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে পারি, আমরা আপনাদের কোনো ক্ষতি করব না। আমরা কিছু করব না (যদি আপনারা ক্ষমতা ছেড়ে দেন)।’
ঢাকা জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে আব্বাস বলেন, ‘এখন ঘরে অলস বসে থাকার সময় নয়। জনগণ আগামী নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে উপযুক্ত জবাব দেবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি ও নিপীড়নের মধ্যে দেশের মানুষ সংগ্রাম করছে, কিন্তু আগামী নির্বাচনে জনগণ ভোটের মাধ্যমে অবৈধ সরকারকে উপযুক্ত জবাব দেবে।
আরও পড়ুন: জেলে থাকা অবস্থায় খালেদা জিয়াকে স্লো পয়জনিং করা হয়েছে: মির্জা আব্বাস
চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন মির্জা আব্বাস
খালেদা জিয়া নিবিড় পর্যবেক্ষণে: ব্যক্তিগত চিকিৎসক
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘ম্যাডাম খালেদা জিয়া অসুস্থতার কারণে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। লিভার, কিডনি, হার্ট ও ফুসফুসের কার্যকারিতাসহ সার্বিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। তবে এখন তিনি মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।’
এদিকে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আরও পড়ুন:খালেদাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে না দিয়ে ‘হত্যার ষড়যন্ত্র’ করছে সরকার: বিএনপি
সোমবার বিকালে বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়া শঙ্কামুক্ত নন এবং তার উন্নত চিকিৎসা দরকার, যা দেশে সম্ভব নয়। সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ, খালেদাকে অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে বিদেশে পাঠাতে হবে। অন্যথায় সরকারকে সব দায় নিতে হবে।’
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার প্রয়াত ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি হাসপাতালে তার সঙ্গে অবস্থান করছেন। খালেদার বোন সেলিমা ইসলাম, ভাই শামীম ইস্কান্দার, কানিজ ফাতেমা তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নিচ্ছেন।
গত ৯ আগস্ট অসুস্থ হয়ে পড়ায় হাসপাতালে ভর্তি হন বিএনপি চেয়ারপার্সন। মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী রবিবার রাতে তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। পরে সোমবার সকালে তাকে আবারও সিসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়।
ডা. জাহিদ বলেন, মেডিকেল বোর্ড তার সুপারিশে বলেছে তার জরুরিভাবে বিদেশে একটি আধুনিক মাল্টিডিসিপ্লিনারি মেডিকেল সেন্টারে লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করা দরকার।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি, সিসিইউতে স্থানান্তর
৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
বিএনপি চেয়ারপার্সন ২০২০ সালে শর্তসাপেক্ষে তার মুক্তির পর থেকে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এর আগে ওই বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালতের পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের পর খালেদাকে পুরান ঢাকা কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর আরেকটি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন তিনি।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়। তবে শর্ত থাকে যে তার গুলশানের বাড়িতে থাকতে হবে এবং দেশ ত্যাগ করতে পারবেন না।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে সিসিইউ থেকে কেবিনে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে
খালেদা জিয়াকে সিসিইউ থেকে কেবিনে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে
ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে আবারও কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মেডিকেল বোর্ডের সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, সকাল ১১টার দিকে খালেদা জিয়াকে সিসিইউ থেকে কেবিনে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।
এর আগে মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে বেলা দেড়টায় সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
৭৮ বছর বয়সী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি, সিসিইউতে স্থানান্তর
২০২০ সালে তার শর্তসাপেক্ষে মুক্তির পর থেকে বিএনপি চেয়ার হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালতের পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের পর খালেদাকে পুরান ঢাকা কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর আরেকটি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন।
করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়াকে তার গুলশানের বাড়িতে থাকার এবং দেশ ত্যাগ না করার শর্তে তার সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়।
আরও পড়ুন: নাইকো দুর্নীতি মামলা: খালেদার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে ৩ বিদেশিকে অনুমতি
খালেদা জিয়ার শর্তসাপেক্ষে মুক্তির মেয়াদ ৬ মাস বাড়ানো হবে: আইনমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি, সিসিইউতে স্থানান্তর
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে তাকে কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়েছে।
রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১টা ৩০ মিনিটে খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের ৬ ঘণ্টার অনশন
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দীন দিদার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৭৮ বছর বয়সী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
২০২০ সাল থেকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তির পর খালেদা জিয়া- হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর দুর্নীতির আরেকটি মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে গুলশানের বাসায় অবস্থান এবং দেশ ত্যাগ না করার শর্তে সাময়িকভাবে মুক্তি দেয়।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ারে ভর্তি খালেদা জিয়া
বিকালে হাসপাতালে নেওয়া হবে খালেদা জিয়াকে
খালেদাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে না দিয়ে ‘হত্যার ষড়যন্ত্র’ করছে সরকার: বিএনপি
বিএনপি অভিযোগ করে জানান যে, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে না দিয়ে সরকার ‘হত্যার ষড়যন্ত্র’ করছে।
ফখরুল জানান, সারাজীবন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে আসা দেশের জনপ্রিয় এই নেতা মিথ্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে আজ হাসপাতালে মৃত্যুর মুখোমুখি।
তিনি আরও বলেন, তার চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। যদিও চিকিৎসকরা স্পষ্টভাবে বলেছেন যে তার জরুরি লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করা দরকার। এটি তাকে বিদেশে পাঠানো ছাড়া সম্ভব নয়।
দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বগুড়া হাটখোলা মাঠে বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠনের যুব রোড মার্চের আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির সহযোগী সংগঠনগুলো ১৬-১৭ সেপ্টেম্বর রোডমার্চ করবে
দলটির মহাসচিব বলেন, সরকারকে বারবার জানানো হয়েছে। তার পরিবার বলেছে কিন্তু তিনি (শেখ হাসিনা) শুনতে রাজি নন।
বিএনপি এই নেতা অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং তার চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর অনুমতি দাবি করেন। এতে ব্যর্থ হলে সম্পূর্ণ দায় সরকারকেই নিতে হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সেজন্য সরকার দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে আবারও মামলা করছে।
তিনি বলেন, আমাদের বার্তা স্পষ্ট যে, এক দফা দাবি, (আপনি) পদত্যাগ করুন, সংসদ ভেঙে দিন এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করুন।
আজ বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। আসুন আমরা জনগণের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হই এবং এই দানব সরকারকে সরিয়ে সত্যিকারের জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি।
ফখরুল বলেন, আজকের সমাবেশ থেকে আমি বাংলাদেশের মানুষকে এই বার্তা দিতে চাই, আসুন জেগে উঠি, তাদের পরাজিত করি এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করুন।
তিনি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, আপনারা চুরি করেন তারপর দাবি করেন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে, এটা মেনে নেওয়া যায় না। চাল, ডাল, তেল, লবণ ও আলুর মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশচুম্বী হয়েছে।
জাতীয়তাবাদী যুবদল, জাতীয়তাবাদী স্বচ্ছসেবক দল ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঘোষিত যুব রোডমার্চ সকাল সাড়ে ১১টায় বগুড়া থেকে রাজশাহী পর্যন্ত শুরু হয়। রোডমার্চটি রাজশাহী থেকে নওগাঁর শান্তাহারে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হবে।
মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, ট্রাকে করে হাজার হাজার নেতা-কর্মী এই রোডমার্চে অংশ নিচ্ছেন।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খানের সভাপতিত্বে এবং যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, রাজীব আহসান ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল যৌথভাবে সমাবেশ পরিচালনা করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বিএনপির সহযোগী সংগঠনের রংপুর-দিনাজপুর রোডমার্চ শুরু হবে শনিবার দুপুরে
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে বিএনপি একা নয়: ফখরুল
বিএনপির তারুণ্যের রোডমার্চ: নাটোরে মাইক্রোবাসে অগ্নিসংযোগ, ব্যক্তিগত গাড়ি ভাঙচুর
বগুড়া থেকে রাজশাহী পর্যন্ত বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠনের তারুণ্যের রোডমার্চ চলাকালে রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) নাটোর সদর উপজেলার ডালসড়ক এলাকায় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে একটি মাইক্রোবাসে আগুন দেওয়া হয়।
এছাড়া জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে একটি প্রাইভেটকারসহ বেশ কিছু যানবাহন ভাঙচুর করা হয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ বলেন, কারা মাইক্রোবাসে আগুন দিয়েছে এবং গাড়ি ভাঙচুর করেছে তা এখনো পরিষ্কার নয়।
তিনি বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে।’
এদিকে, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু তাদের দলের তারুণ্যের রোডমার্চে সহিংসতার জন্য ক্ষমতাসীন দলের লোকদের দায়ী করেছেন।
আরও পড়ুন: সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত রোডমার্চ চলবে: ফখরুল
বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের রোডমার্চ ঠেকাতে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আগামী নির্বাচন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করার জন্য সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে ১৩ সেপ্টেম্বর রোডমার্চের ঘোষণা দেয় বিএনপি’র অঙ্গ সংগঠনগুলো।
যোগাযোগ করা হলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের খুঁজে বের করবে।
রংপুর থেকে জাতীয়তাবাদী যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল এবং ছাত্রদলের ঘোষিত ‘তারুণ্যের রোডমার্চ’ রবিবার থেকে শুরু হয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে।
আরও পড়ুন: বিএনপির সহযোগী সংগঠনের রংপুর-দিনাজপুর রোডমার্চ শুরু হবে শনিবার দুপুরে
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে বিএনপি একা নয়: ফখরুল
সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত রোডমার্চ চলবে: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে রংপুর থেকে শুরু হওয়া রোডমার্চ কর্মসূচি সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত চলবে।
তিনি বলেন, ‘রংপুরের কৃষক নেতা নূরলদীন বাংলাদেশের মানুষকে ব্রিটিশ শাসনামলে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন। আজ তরুণ সমাজ সেই রংপুর থেকে লুটেরা-ফ্যাসিবাদকে রুখে দেওয়ার ডাক দিচ্ছে।’
শনিবার রংপুরে তারণ্যের রোডমার্চ কর্মসূচির উদ্বোধন করতে গিয়ে এসব কথা বলেন ফখরুল।
আরও পড়ুন: বিএনপির সহযোগী সংগঠনের রংপুর-দিনাজপুর রোডমার্চ শুরু হবে শনিবার দুপুরে
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমাদের দাবি পরিষ্কার- পদত্যাগ করুন, আপনাকে (শেখ হাসিনা) দেশের মানুষ আর দেখতে চায় না। আপনি সংসদ বিলুপ্ত করুন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেন এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। সেই নির্বাচন কমিশন নির্বাচন করবে। জনগণ অংশগ্রহণ করবে, যাকে খুশি তাকে ভোট দিয়ে নতুন পার্লামেন্ট গঠন করবে।’
ফখরুল বলেন, বিএনপির কর্মসূচিতে আজ লাখ লাখ মানুষ অংশ নিচ্ছে। এই জনগণের উত্তাল তরঙ্গে এই সরকার ভেসে যাবে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশের মানুষ ভোট দিয়ে তাদের নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে না। দ্রব্যমূল্য নিয়ে মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। চাল, ডাল, লবণ, তেল, বিদ্যুতের দামসহ সব নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। বিদ্যুৎও পায় না। দুর্নীতি করে সব কিছু বিদেশে পাচার করে দিচ্ছে। দেখবেন, রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। রিজার্ভ তো তারা চুরি করছে।’
ফখরুল বলেন, এই তরুণরা বাংলাদেশের সবচেয়ে সূর্য সন্তান, তাদের চাকরি নেই। তিনি আরও অভিযোগ করেন, তরুণরা ব্যবসা-বাণিজ্য করতে গেলে বিএনপির নাম-গন্ধ থাকলেও সেটা করতে পারে না।
আরও পড়ুন: অধিকারের আদিলুর ও নাসিরউদ্দিনের মুক্তি দাবি ফখরুলের
বিএনপির সহযোগী সংগঠনের রংপুর-দিনাজপুর রোডমার্চ শুরু হবে শনিবার দুপুরে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সহযোগী সংসগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল আয়োজিত রংপুর থেকে দিনাজপুর পর্যন্ত রোডমার্চ আজ শনিবার দুপুরে শুরু হবে।
বর্তমান সরকারের অপসারণ ও নির্বাচনকালীন সরকার নিয়োগের এক দফা দাবি আদায়ের প্রতিবাদে এ রোডমার্চের আয়োজন করা হয়।
আজ সকালে রংপুরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: বিএনপির সহযোগী সংগঠনগুলো ১৬-১৭ সেপ্টেম্বর রোডমার্চ করবে
বেলা ১২টায় রংপুর থেকে সৈয়দপুর দশমাইল হয়ে দিনাজপুর পর্যন্ত রোডমার্চ কর্মসূচি শুরু করবেন তারা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান অতিথি হিসেবে রোডমার্চের উদ্বোধন করবেন এবং বিএনপির সিনিয়র নেতারাও এতে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিচারব্যবস্থা সম্পূর্ণ সরকারের নিয়ন্ত্রণে: ফখরুল
এর আগে জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু ১৩ সেপ্টেম্বর রোডমার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
রোডমার্চ চলবে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
১৭ সেপ্টেম্বর রোডমার্চ বগুড়া থেকে শুরু হয়ে সান্তাহার হয়ে নওগাঁ থেকে রাজশাহীতে গিয়ে শেষ হবে এবং ২১ সেপ্টেম্বর ভৈরব থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সিলেট হয়ে রোডমার্চ শুরু হবে।
এছাড়া ২৬ সেপ্টেম্বর ঝিনাইদহ থেকে যশোর, নোয়াপাড়া ও খুলনা হয়ে রোডমার্চ শুরু হবে এবং ৩০ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা থেকে ফেনী, মিরসরাই ও চট্টগ্রাম হয়ে রোডমার্চ শুরু হবে।
আরও পড়ুন: অধিকারের আদিলুর ও নাসিরউদ্দিনের মুক্তি দাবি ফখরুলের
অধিকারের আদিলুর ও নাসিরউদ্দিনের মুক্তি দাবি ফখরুলের
অবিলম্বে অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক নাসিরউদ্দিন এলানের মুক্তি দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, আদিলুর রহমান খান বাংলাদেশে গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে সোচ্চার ছিলেন।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল এ দাবি জানান।
ফখরুল বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে মানবাধিকার কমিশন ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থায় এসব বিষয় তুলে ধরেন আদিলুর। আর এ কারণেই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া সাইবার ট্রাইব্যুনালের রায় ও তাদের বিরুদ্ধে সাজার নিন্দাও জানান বিএনপি নেতা।
তিনি আরও বলেন, আদিলুর একজন সাধারণ মানবাধিকার কর্মী নন। তিনি সারা বিশ্বে একজন মানবাধিকার কর্মী হিসেবে অত্যন্ত সুপরিচিত ও সম্মানিত।
আরও পড়ুন: সরকার কমিশন পাওয়ার জন্য ১০টি এয়ারবাস উড়োজাহাজ কিনছে: ফখরুলের অভিযোগ
ফকরুল বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্টে প্রস্তাবে বলা হয়েছে- বাংলাদেশে মানবাধিকার নেই বললেই চলে। তারা বলেন- বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার খুবই খারাপ এবং পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে।
তিনি বলেন, এতে প্রমাণিত হয় বাংলাদেশের বিচার বিভাগ এখন পুরোপুরি সরকারের নিয়ন্ত্রণে। আজ কেউ ন্যায়বিচার পাচ্ছে না, মানুষ তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
অধুনালুপ্ত আইসিটি আইনের ৫৭ ধারার একটি মামলায় বৃহস্পতিবার সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদিদুল রহমান ও নাসিরুদ্দিনকে দুই বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
সাইবার নিরাপত্তা আইনকে খারাপ আইন উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকারের সবকিছুই প্রতারণা। তারা মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু তারা বোঝে না যে মানুষ বোকা নয় তাদের প্রতারণা সবাই বোঝে।
ফখরুল বলেন, এই আইন (সাইবার নিরাপত্তা আইন) ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের চেয়েও খারাপ। এ আইনে পুলিশ ওয়ারেন্ট ছাড়াই কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারে, কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে এবং মামলা করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আপনারা (সাংবাদিকরা) আমাদের চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এর একটা কারণ আছে। এই আইনে আপনি আটকা পড়েছেন, বাঁধা পড়েছেন, কেউ কথা বলতে পারবেন না।
তিনি বলেন, আমরা বলছি না যে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে হবে। শুধু দেশ মুক্ত করুন, জাতিকে মুক্ত করুন।
তিনি বলেন, সরকার একটি শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশ তৈরি করেছে। তাই গণতান্ত্রিক ও মুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আমাদের সবাইকে দাঁড়াতে হবে।
মির্জা ফহকরুল ইসলাম আরও বলেন, জামালপুরের ডিসিকে প্রত্যাহার করাটা ধোকা দেওয়া ছাড়া আর কিছুই নয়।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে বিএনপি একা নয়: ফখরুল
বিচারব্যবস্থা সম্পূর্ণ সরকারের নিয়ন্ত্রণে: ফখরুল