������������������
নোয়াখালী-৫ আসনে বিএনপি প্রার্থীর জামায়াত সংশ্লিষ্ঠতার অভিযোগ, প্রশ্নবানে জর্জরিত নেতারা
নোয়াখালী-৫ আসনে বিএনপি প্রার্থীর জামায়াত সংশ্লিষ্ঠতার অভিযোগ নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রূনি মিলনায়তনে মোহাম্মদ ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেন নোয়াখালী জেলা বিএনপির নেতারা। তবে মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম এতে নিজে উপস্থিত ছিলেন না।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নবানে জর্জরিত হয়ে অনেক বিষয় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন জেলা বিএনপির নেতারা।
নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলো বলেন, মোহাম্মদ ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যায় একটি ষড়যন্ত্রমূলক মামলা হয়েছে। তিনি একজন সজ্জন ব্যাবসায়ী ও জাতীয়তাবাদী আদর্শের নেতা হওয়ায় বিগত দিনে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে এবং কারাবরণ করেছেন। তার ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ সময়ে সাংবাদিকরা মোহাম্মদ ফখরুল ইসলামের বিগত দিনে জামায়াতের ইসলামী রাজনীতির সম্পৃক্ততা এবং তার পদ পদবী নিয়ে প্রশ্ন তুলেন। জবাবে জেলার নেতারা বলেন, মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম একসময়ে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি করতেন। পরে তিনি বিগত ২০ বছর ধরে বিএনপি করছেন। তবে এ সংক্রান্ত কোন সুনির্দিষ্ট ডকুমেন্টস তুলে ধরতে পারেননি তারা।
সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, এই আসনে একসময়ে ডাকসাইটে নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমদ নির্বাচন করতেন। সেই মুক্তিযোদ্ধার আসনে কিভাবে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তিকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নে জেলার নেতারা বলেন, কেন্দ্র থেকে সবকিছু যাচাই-বাছাই করে মনোনয়ন দিয়েছে।
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলামের ছোট মেয়ে এবি পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ব্যারিষ্টার নাসরীন সুলতানা মিলি ঢাকা-১০ আসনে নির্বাচন করছেন। আবার ফখরুলের তিন ভাই জামায়াতের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত, আরেক মেয়ে জামায়াত নেতার সঙ্গে বিবাহ দেওয়ার ঘটনার বিষয়ে প্রশ্ন করলে জেলার নেতারা বলেন, তারা এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানেন না। তবে একই পরিবারে বিভিন্ন রাজনৈতিক দর্শন থাকতেই পারে।
আওয়ামী লীগ আমলে সুবিধাভোগি ও বিতর্কিত ব্যবসায়ী এস আলম গ্রুপের সাথে সখ্যতা ও ব্যবসায়ী অংশীদার বিষয়ে প্রশ্ন করলে জেলার নেতারা তা অস্বীকার করেন।
২০০৯ সালে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচন করার বিষয়ে প্রশ্ন করলে জেলার নেতারা তা অস্বীকার করেন। তবে সেখানে উপস্থিত একজন নেতা বলেন, মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম জামায়াতের প্রার্থী হিসেবেই ওই নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন।
তুরস্কে আবাসন খাতে বিনিয়োগের বিষয়ে প্রশ্ন করলে সে অভিযোগও অস্বীকার করেন বিএনপি নেতারা।
আওয়ামী লীগ আমলে নির্যাতিত হলে ২০২২ সালে পদ্মা লাইফ ইন্সুরেন্সের চেয়ারম্যান কিভাবে নিযুক্ত হলেন এবং অর্থ লোপাটের অভিযোগ কিভাবে আসলো এমন অভিযোগেরও কোন সদুত্তর দিতে পারেনি নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
১ ঘণ্টা আগে
চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে বিএনপি প্রার্থী মাহমুদ হাসান খান বাবুর সঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীদের মতবিনিময়
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী, জেলা বিএনপির সভাপতি ও বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবুর সঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্সের মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর আন্দোলন-সংগ্রামের পর আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুন্দর, সুষ্ঠু ও সফল হবে। এখনও কিছু মানুষের মধ্যে নির্বাচন হবে কিনা—এ নিয়ে আতঙ্ক থাকলেও বিএনপির পক্ষ থেকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হচ্ছে যে এবারের নির্বাচন অবশ্যই অনুষ্ঠিত হবে এবং তা সফল হবে।
তিনি জানান, এবারের নির্বাচনে দুটি ব্যালট থাকবে—একটি দলীয় প্রতীকের জন্য এবং অন্যটি গণভোটের জন্য।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনী ম্যানিফেস্টোর পাশাপাশি স্থানীয় সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে উন্নয়ন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ জন্য তিনি সবার কাছে দোয়া কামনা করেন এবং একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
বক্তব্যে মাহমুদ হাসান খান বাবু তার আসনসহ চুয়াডাঙ্গা জেলার সার্বিক উন্নয়ন ভাবনার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে মানুষের পাশে থেকে এলাকাভিত্তিক অবকাঠামো, সড়ক যোগাযোগ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও ক্রীড়া খাতের উন্নয়নে কাজ করা হবে। পাশাপাশি কৃষিপণ্যের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে টেকসই কৃষিভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে বেকারত্ব হ্রাসের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, চুয়াডাঙ্গা একটি কৃষিভিত্তিক বৃহৎ জোন হওয়ায় জেলার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা। জেলাবাসীর এই প্রাণের দাবি বাস্তবায়নে তিনি আন্তরিকভাবে কাজ করতে চান। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে উপজেলাভিত্তিক আধুনিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথাও জানান।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই নির্বাচন সফল হওয়াই বর্তমানে মানুষের একমাত্র আশা। নির্বাচন সুষ্ঠু ও সফলভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে চুয়াডাঙ্গার চারটি উপজেলায় চারটি ফুটবল মাঠ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, একটি রাষ্ট্র পুনর্গঠনে অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি দুর্নীতি প্রতিরোধ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দুর্নীতি রোধে রাজনীতিবিদ, আমলা ও ব্যবসায়ীদের সম্মিলিতভাবে সৎ থাকা জরুরি। এই তিন পক্ষ ঠিক থাকলে সমাজে দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি কমে যাবে। একটি সুন্দর ও সুষ্ঠু রাষ্ট্র গঠনের জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিকে জয়ী করার আহ্বান জানান তিনি।
মতবিনিময় সভায় তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলার উন্নয়নে সবার আগে দুর্নীতি প্রতিরোধে সাংবাদিকদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ মিল্টন, জীবননগর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি রাজীব হাসান কচি, সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ, সাংবাদিক সমিতির সভাপতি সরদার আল আমিন, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আজাদ মালিতা, সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম, দৈনিক সময়ের সমীকরণ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক নাজমুল হক স্বপন, প্রেসক্লাবের সহসভাপতি রফিক রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক এম এ মামুন, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফাইজার চৌধুরী, সাংবাদিক হুসাইন মালিক, জিসান আহমেদসহ জেলায় কর্মরত ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা।
৪ ঘণ্টা আগে
গণতন্ত্রকামী সব মানুষকে ঐকবদ্ধ হওয়ার আহ্বান মির্জা ফখরুলের
দেশের শীর্ষ দুটি গণমাধ্যমের ওপর হামলা প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ডেইলি স্টার বা প্রথম আলো নয়—আজ আঘাত এসেছে গণতন্ত্রের ওপর। স্বাধীনভাবে চিন্তা করার অধিকার, কথা বলার অধিকার প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এখন শুধু সচেতন হলে চলবে না, অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব আয়োজিত ‘মব ভায়োলেন্স’ বা সংঘবদ্ধ সহিংসতাবিরোধী প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সংবাদপত্রের ওপর হামলা শুধু গণমাধ্যমের ওপর নয়, এটি সরাসরি গণতন্ত্র ও জুলাই বিপ্লবের ওপর আঘাত। এখন শুধু সচেতন হলে চলবে না, অপশক্তির বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে।
‘আমি জানি না আমরা এই মুহূর্তে কোন বাংলাদেশে দাঁড়িয়ে আছি। আমার বয়স ৭৮। সারা জীবন সংগ্রাম করেছি একটা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ দেখব বলে। আজ যে বাংলাদেশ দেখছি, এ বাংলাদেশের স্বপ্ন আমি কোনোদিন দেখিনি।’
তিনি বলেন, আমার স্বাধীনভাবে চিন্তা করার যে অধিকার, আমার কথা বলার যে অধিকার তার ওপর আবার আঘাত এসেছে, জুলাই যুদ্ধের ওপর আঘাত এসেছে। জুলাই যুদ্ধ ছিল এ দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার যুদ্ধ। আজ সেই জায়গায় আঘাত এসেছে। তাই আমার অনুরোধ, কোনো রাজনৈতিক চিন্তা নয়, দল নয়, সব গণতন্ত্রকামী মানুষের এক হওয়ার সময় এসেছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা যারা অন্ধকার থেকে আলোতে আসতে চাই, আমরা যারা আমাদের বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থেই একটা স্বাধীন সার্বভৌম গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ হিসেবে দেখতে চাই, তাদের শুধু সচেতন হলে চলবে না, রুখে দাঁড়াতে হবে। এখন রুখে দাঁড়ানোর সময় এসে গেছে।
তিনি আরও বলেন, আমি আপনাদের আহ্বান জানাবো, এখানে এসে শুধু একাত্মতা ঘোষণা নয়, মানববন্ধন করে সংহতি প্রকাশ করা নয়, আজ সর্বক্ষেত্রে সর্বশক্তি নিয়ে আপনারা যারা বাংলাদেশকে ভালবাসেন তারা সবাই ঐক্যবদ্ধ হন, এই অপশক্তিকে রুখে দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে নিউ এজের সম্পাদক নুরুল কবির বলেন, পৃথিবীর সব জায়গায় সংবাদ মাধ্যমের নিজস্ব সম্পাদকীয় নীতি থাকে, সে নীতি পছন্দ না হলে গণমাধ্যমে আগুন লাগিয়ে দেওয়া কোনও গণতন্ত্রিক প্রক্রিয়া নয়।
নোয়াব সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, যখন প্রথম আলোতে আগুন দেওয়া হয় তখন মাহফুজ আনাম বুঝতে পেরেছিলেন ডেইলি স্টার ভবনে হামলা হতে পারে। তখন তিনি সরকারের এমন কোনও পর্যায় নেই, যেখানে ডেইলি স্টারের প্রটেকশন দেওয়ার অনুরোধ করেননি। কিন্তু কেউই তার ডাকে সাড়া দেননি। সেদিন যদি আর ১৫ মিনিট আগুন জ্বলত তাহলে নিশ্বাস বন্ধ হয়ে সাংবাদিকরা মারা যেতেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কণ্ঠকে স্তব্ধ করা যাবে না। সেই লক্ষ্যে সবার মতামতের ভিত্তিতে আমরা সারা বাংলাদেশের সাংবাদিক নিয়ে জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে আমরা একটা মহা সম্মেলন করবো। সেই মহাসম্মেলন এর মাধ্যমে আমরা পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব। আমার বিশ্বাস, এর মধ্যে সরকার যারা দায়ী, যারা প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, ছায়ানটে আগুন দিয়েছে, উদীচিতে আগুন দিয়েছে, তাদের বিচারের আওতায় আনবে।
প্রতিবাদ সভায় নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত হয়ে মব ভায়োলেন্সের বিরুদ্ধে তাদের শক্ত অবস্থান ব্যক্ত করেন। একই সঙ্গে এর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন তারা।
১ দিন আগে
ডেইলি স্টার-প্রথম আলোয় অগ্নিসংযোগ জাতির জন্য লজ্জার: সালাহউদ্দিন
দেশের দুটি শীর্ষ গণমাধ্যমে সাম্প্রতিক হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাকে জাতির জন্য ‘লজ্জার’ বলে অভিহিত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। এসব ঘটনায় সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
রবিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বনানীতে গণমাধ্যম সম্পাদক ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের সমাজের দর্পণ উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা ছোটবেলা থেকে শুনে এসেছি, পত্রিকা হচ্ছে সমাজের দর্পণ। পত্রিকা একটি বিমূর্ত শব্দ, সেটাকে মূর্ত করেন আপনারা (সাংবাদিকরা)। জাতির বিবেক, জাতির মতামত—যা কিছু প্রতিফলিত হয়, তা সংবাদপত্র, গণমাধ্যমের মাধ্যমে হয়।
তিনি বলেন, সমাজের সেই দর্পণ চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে গেছে, কিন্তু সাংবাদিকদের দর্প যেন চূর্ণ না হয়। আপনারা যদি যদি রাষ্ট্রকাঠামোয় সংস্কার চান, সংস্কারকৃত সামজ ও রাষ্ট্র চান, গণতান্ত্রিক সংস্কার চান, সর্ব পর্যায়ে বৈষম্যহীন সমাজ নির্মাণ করতে চান, আপনারাই পারবেন। আপনারাই সমাজের দিকনির্দেশক। রাজনীতিবিদরা সরকার পরিচালনার সময় ড্রাইভিং সিটে থাকেন, কিন্তু তাদের আপনারা পথনির্দেশ না করলে সমাজ বিচ্যুত হবে।
সালাহউদ্দিন বলেন, কয়েক দিন আগে বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমেও ওপর যে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটে গেছে। দেশের খ্যাতনামা পত্রিকা—প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার যেভাবে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে, পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, সারা বিশ্ব সেটা দেখেছে। জাতি হিসেবে সেটা আমাদের জন্য লজ্জার। এটা শুধু দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা চেয়ে সমাপ্ত করতে পারব না।
২ দিন আগে
হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান সালাহউদ্দিনের
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকে কেন্দ্র করে ষড়যন্ত্রকারীরা যেন নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করতে না পারে—সে বিষয়ে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘একটি স্বার্থান্বেষী মহল দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন পেছানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। হাদি হত্যাকাণ্ড সেই গভীর ষড়যন্ত্রেরই একটি অংশ হতে পারে। এর সঙ্গে স্বৈরাচারের দোসর এবং গণতন্ত্রবিরোধী শক্তির সংশ্লিষ্টতা থাকার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
তিনি বলেন, ‘দেশে গণতান্ত্রিক যাত্রা যখন নতুন করে এগিয়ে যাচ্ছে, ঠিক তখনই পরিকল্পিতভাবে নৈরাজ্য, হত্যাকাণ্ড ও ভয়ভীতি ছড়ানোর ঘটনা ঘটছে। এর উদ্দেশ্য একটাই—নির্বাচনি পরিবেশ নষ্ট করা এবং জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘নৈরাজ্য সৃষ্টি করে কিংবা হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে নির্বাচন পেছানোর কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না। জনগণ এসব ষড়যন্ত্র প্রত্যাখ্যান করবে। গণতন্ত্রবিরোধী সব অপচেষ্টা অতীতেও ব্যর্থ হয়েছে, এবারও ব্যর্থ হবে।’
তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার দিন রাজধানীতে লক্ষাধিক মানুষের ঐতিহাসিক সমাবেশ হবে। সেই সমাবেশ থেকেই দেশের বিরুদ্ধে চলমান সব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে কঠোর ও স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘বিএনপি শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পক্ষে। জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠাই দলের প্রধান লক্ষ্য। যারা হত্যাকাণ্ড ও অস্থিতিশীলতার মাধ্যমে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায়, তারা জনগণের কাছে চিহ্নিত হয়ে পড়বে।’
হাদি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। কোনো ধরনের ধামাচাপা বা রাজনৈতিক প্রভাব মেনে নেওয়া হবে না।’
এর আগে, দুপুর আড়াইটার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তার জানাজা শেষে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে হাদির দাফন সম্পন্ন হয়।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ১২ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ওসমান হাদিকে মাথায় গুলি করে দুর্বৃত্তরা। প্রথমে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৫ ডিসেম্বর ওসমান হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার তিনি মারা যান। তাঁর মরদেহ গতকাল সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আনা হয়।
শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে আজ শনিবার সারা দেশে রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হচ্ছে। তার রুহের মাগফেরাত কামনায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে গতকাল (শুক্রবার) দেশের মসজিদে মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানেও তার আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।
৩ দিন আগে
রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক
দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর পূর্বনির্ধারিত দুটি কর্মসূচি স্থগিত করেছে।
একই সঙ্গে দলটি আজ রাত ৮টা ৩০ মিনিটে জরুরি স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডেকেছে।
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন দলের মিডিয়া সেল সদস্য শায়রুল কবির খান।
তিনি বলেন, ‘পূর্বঘোষিত দুটি কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে এবং আজ রাত ৮টা ৩০ মিনিটে জরুরি স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে।’
শায়রুল কবির জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি বৈঠকে যোগ দেবেন এবং তিনিই এতে সভাপতিত্ব করবেন।
তিনি আরও বলেন, বিকেল ৩টায় সংসদ ভবন এলাকার সেচ ভবনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের যে কর্মসূচি ছিল, তা স্থগিত করা হয়েছে। পাশাপাশি বিকেল ৪টায় কারওয়ান বাজারে ওয়াসা ভবনের সামনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর কর্মসূচিটিও সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
বিএনপির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তার মৃত্যুর ঘটনা এবং পরবর্তী সহিংস পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটেই এই দুটি কর্মসূচি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দলীয় সূত্র আরও জানায়, জরুরি স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি, দলের সাংগঠনিক বিষয়াদি এবং ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
৪ দিন আগে
খালেদা জিয়ার অবস্থা স্থিতিশীল: ডা. জাহিদ
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেছেন, ‘উনার (খালেদা জিয়া) অবস্থা স্থিতিশীল আছে। উনি এখন পর্যন্ত চিকিৎসকদের পরামর্শ মোতাবেক যে চিকিৎসা উনাকে দেওয়া হচ্ছে, সেই চিকিৎসা উনি ঠিকমতো গ্রহণ করতে পারছেন। উনার শারীরিক অবস্থা গত কয়েকদিন আগেও যে অবস্থায় ছিল; আলহামদুলিল্লাহ, উনি সেটি মেইনটেইন করতে পারছেন।’
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. জাহিদ বলেন, খালেদা জিয়ার অসুস্থতা, বয়স এবং পরিকল্পিতভাবে উনাকে যেভাবে অসুস্থ অবস্থার মধ্যে বিগত সময়ে ঠেলে দেওয়া হয়েছে, যথাযথ চিকিৎসা নিতে দেওয়া হয়নি, সেসব কারণেই উনার শারীরিক জটিলতা মারাত্মক রকম বেড়ে গিয়েছিল। সে জন্যই এবার তিনি কঠিন সময় পার করছেন।
তিনি আরও বলেন, চিকিৎসকরাসহ উনার চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত আমরা সবাই অত্যন্ত আশাবাদী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে যাবেন।
গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তখন থেকেই তার শারীরিক অবস্থা উদ্বেগজনক অবস্থায় রয়েছে। তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে।
৫ দিন আগে
‘সামনে কঠিন পথ’, সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান তারেক রহমানের
দেশে ‘ষড়যন্ত্র থেমে নেই’ উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সতর্ক করে বলেছেন, ‘সামনের পথ অসম্ভব কঠিন। কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে।’ এ অবস্থায় দলীয় নেতা-কর্মীদের সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বিজয় দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার লন্ডনের সিটি প্যাভিলিয়নে লন্ডন বিএনপির আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রসঙ্গ টেনে তারেক রহমান বলেন, ‘আমি এক বছর আগে আপনাদের বলেছিলাম যে, সামনে কিন্তু আমাদের কঠিন সময়। ষড়যন্ত্র থেমে নেই এবং এই নির্বাচনও কিন্তু খুব সহজ নয়। আপনারা অনেকেই কিন্তু ব্যাপারটা এখন বুঝতে পারছেন। এক বছর আগে যা বলেছি, সেটা কিন্তু হচ্ছে। এখন আমি আবারও বলছি, সামনের সময় কিন্তু খুব সুবিধের নয়। কাজেই সকলকে সজাগ থাকতে হবে, সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
হলভর্তি প্রবাসী বিএনপি কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কী ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারবেন?’ কর্মী-সমর্থকরা সমবেত কণ্ঠে ‘হ্যাঁ’ বলেন।
তখন তারেক বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারলেই আমরা আমাদের এই যে পরিকল্পনার (দেশ গড়ার পরিকল্পনা) কথা বললাম, তা সফল করতে পারব, ঐক্যবদ্ধ থাকলেই আমরা আমাদের প্রত্যাশিত বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে পারব, ঐক্যবদ্ধ থাকলেই আমরা বাংলাদেশে জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারব।’
যুক্তরাজ্যের উদাহরণ টেনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘এই ব্রিটেনে যে আপনারা আছেন, এই দেশে জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থা আছে বলেই এই দেশের মানুষ তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয় না। বাংলাদেশের মানুষ বহু বহু যুগ ধরে তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। কাজেই আসুন, বাংলাদেশের মানুষের ন্যায্য অধিকার যদি ফিরিয়ে দিতে হয়, যেকোনো মূল্যে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ঐক্যবদ্ধ না থাকার কোনো বিকল্প নেই আমাদের।’
৬ দিন আগে
‘নিরাপত্তা শঙ্কায়’ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন নারায়ণগঞ্জের বিএনপির প্রার্থী
নিরাপত্তার শঙ্কার কথা জানিয়ে ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদ।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সদর ও বন্দর উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনের প্রার্থী এ ঘোষণা দেন।
মাসুদুজ্জামান মাসুদ বলেন, ‘নির্বাচনে প্রার্থিতা ঘোষণার পর থেকেই পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত ছিলেন। ঢাকায় ওসমান হাদির উপর গুলির ঘটনার পর তারা আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।’ তাই পরিবারের অনুরোধেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, তিনি তার প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়টি জানাতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন।
‘সংবাদ সম্মেলনেই এ কথা প্রথম জানালাম। বিষয়টি দলকেও বুঝিয়ে বলব,’ বলেন মাসুদুজ্জামান।
গত শুক্রবার রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদি। চলন্ত রিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করেন চলন্ত মোটরসাইকেলের পেছনে বসে থাকা আততায়ী। গুলিটি লাগে হাদির মাথায়। গুরুতর আহত হাদিকে শুরুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল ও পরে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে সোমবার তাকে নেওয়া হয় সিঙ্গাপুরে।
এ ঘটনার পর নির্বাচনের প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে অনেক দলের পক্ষ থেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করে তাদের নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানানো হয়। এ অবস্থায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে রাজনৈতিকভাবে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ব্যক্তি এবং নির্বাচনের প্রার্থীদের নিরাপত্তা দিতে কিছু উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যেই প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন মাসুদুজ্জামান মাসুদ।
হঠাৎ করে তার দেওয়া এ ঘোষণায় আশ্চর্য হয়েছেন তার অনুসারী নেতা-কর্মীরাও। তাদের কেউ কেউ সংবাদ সম্মেলনে মাসুদের প্রতি ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন।
মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক চৌধুরী দলের প্রার্থী মাসুদুজ্জামানকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘বিএনপির নেতা-কর্মীদের এভাবে ফেলে চলে যেতে পারেন না আপনি। আমরা অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আপনার পাশে নেমেছি। আপনার এ সিদ্ধান্ত আমরা মানি না।
জিয়া সমাজকল্যাণ পরিষদের মহানগর শাখার সদস্যসচিব নাঈম খন্দকার বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগেও শহীদনগরে তিনি পূর্ব-নির্ধারিত একটি কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। সেখান থেকে এসেই এমন ঘোষণা দিলেন। আমরা এ সিদ্ধান্তে আশ্চর্য হয়েছি। আমরা কিছুই জানতাম না।’
৭ দিন আগে
স্বাধীনতার শত্রুরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চায়: মির্জা ফখরুল
মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চায় জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তবে গণতন্ত্রকামী মানুষ তাদের সেই ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেবে।
তিনি বলেছেন, ‘স্বাধীনতার শত্রুরা, যারা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে একাত্তর সালে অবস্থান নিয়েছিল; আজকে তারা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চায়।
‘বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষ, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষ, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ—তাদের সমস্ত ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে দিয়ে অবশ্যই বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে অটুট রাখবে এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে ইনশাল্লাহ।’
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্য দিয়ে যে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল, সেই যুদ্ধ আমরা ডিসেম্বর মাসের ১৬ তারিখে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করেছিলাম। এজন্য এদিনটি আমাদের কাছে বিএনপির কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
‘আমরা স্বাধীনতার ঘোষকের মাজার জিয়ারত করেছি, শ্রদ্ধা জানিয়েছি। আমরা আজকে শপথ নিয়েছি, আমরা স্বাধীনতাকে অক্ষুণ্ন রাখবার জন্য আমাদের যে সংগ্রাম, সেই সংগ্রাম সবসময় অব্যাহত থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা শপথ নিয়েছি, বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা যে সংগ্রাম করছি, সেটা অবশ্যই আমরা অব্যাহত রাখব; একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র অবশ্যই প্রতিষ্ঠা করব।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘মহান বিজয় দিবসের দিনে আমি আমার দলের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও দলের পক্ষ থেকে আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধের যারা শহীদ হয়েছেন—তাদের প্রতি আমরা জানাচ্ছি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা। শ্রদ্ধা জানাচ্ছি, আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতি।
‘একই সঙ্গে আমরা আল্লাহ তালার কাছে প্রার্থনা করছি এদেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা এবং বাংলাদেশের গণতন্ত্রের অতন্দ্র প্রহরী, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য যিনি নিরন্তর সংগ্রাম করেছেন, লড়াই করেছেন সেই মহান নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন। আমরা তার রোগমুক্তির জন্য পরম করুণাময় আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া চাইছি।’
ফখরুল বলেন, আমরা আশা করছি, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে আসবেন। তিনি এসে গণতন্ত্রের লড়াইকে আরও বেগবান করবেন।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহ উদ্দিন আহমদ,চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক ও দক্ষিণের সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদনের পর দলটির সহযোগী সংগঠন মুক্তিযোদ্ধা দল, যুব দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল, কৃষক দল, মৎস্যজীবী দল, তাঁতী দল, ড্যাব ও ছাত্র দলের পক্ষ থেকেও জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নেতা-কর্মীরা। এ সময় তারা নানা স্লোগান দেন।
এর আগে সকালে মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে বিএনপি নেতা-কর্মীরা সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
৭ দিন আগে