জাতীয়-পার্টি
জাপার জাতীয় কাউন্সিলের দিন ঘোষণা করলেন রওশন এরশাদ
জাতীয় পার্টির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের মধ্যেই দলের জাতীয় কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণা করেছেন দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ। এর আগেই তিনি নিজেকে দলের চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন।
রবিবার গুলশানে নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আগামী ৯ মার্চ জাতীয় পার্টির জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, দল এখন যে চরম বিপর্যয়ের সম্মুখীন তা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন রওশন এরশাদ
রওশন বলেন, একটি রাজনৈতিক দলে গণতন্ত্র চর্চার প্রধান ক্ষেত্র হচ্ছে দলের নিয়মিত জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠান করা।
তিনি বলেন, ‘দলের কাউন্সিল আয়োজনের মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। দলের নেতা-কর্মীদের দাবি অনুযায়ী আগামী মার্চে জাতীয় পার্টির দশম কাউন্সিল করার ঘোষণা দিচ্ছি।’
কাউন্সিল সফলভাবে সম্পন্ন করতে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেন রওশন এরশাদ। এতে আহ্বায়ক হিসেবে কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলাকে সহআহ্বায়ক, গোলাম সারোয়ার মিলনকে যুগ্ম আহ্বায়ক এবং সফিকুল ইসলাম সেন্টুকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় পার্টিতে দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন নিয়ে নতুন ভাঙন দেখা দেয়। গত সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা ছিলেন রওশন। তবে এবার তার দেবর ও দলের প্রধান জিএম কাদেরের সঙ্গে মতবিরোধের কারণে নির্বাচনে অংশ নেননি তিনি। দলটি রওশনের অনুগত কোনো নেতাকে মনোনয়ন দেয়নি বলেও জানা গেছে।
এ অবস্থায় রওশন একটি সফল কাউন্সিলের মাধ্যমে জাতীয় পার্টির শক্তি ফিরিয়ে আনার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এদিকে রওশনকে সমর্থন দেওয়ায় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলাকে দল থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টির নেতাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান রওশন এরশাদের
রওশনের কাউন্সিল করার ঘোষণার পরপরই জিএম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বাবলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান।
এর আগে জাতীয় পার্টির নেতৃত্ব নিয়ে রওশন এরশাদের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে দলের কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ ও প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়সহ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতাকে দল থেকে সরিয়ে দেন জিএম কাদের।
এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি রওশন এরশাদ নিজেকে দলের চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা দেন এবং দলের প্রধান ও মহাসচিবকে দলের পদ থেকে অব্যাহতি দেন।
তিনি জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মামুনুর রশীদকে দলের মহাসচিব নিযুক্ত করেন।
সম্প্রতি গুলশানে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করা দলের নেতাদের একাংশের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় রওশন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'চলমান সংকট থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে দলের নেতা-কর্মীদের অনুরোধে আমি দলের গঠনতন্ত্রের ২০-১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জিএম কাদেরকে চেয়ারম্যান এবং সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে মুজিবুল হক চুন্নুকে অব্যাহতি দিচ্ছি।’
আরও পড়ুন: ইসির তফসিলকে স্বাগত জানিয়েছেন রওশন এরশাদ
৬৭৯ দিন আগে
নতুন সংসদের দায়িত্ব নিখুঁতভাবে পালন করা নিয়ে শঙ্কা জিএম কাদেরের
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ কীভাবে নিখুঁতভাবে তার দায়িত্ব পালন করতে পারবে তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা জিএম কাদের।
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এই সংসদে ৭৫ শতাংশ আসন ক্ষমতাসীন দলের, আর স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা, যাদের বেশিরভাগই আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট, তাদের সংখ্যা ২১ শতাংশ।
বিরোধীরা মাত্র ৩-৪ শতাংশ আসন পেয়েছে। তাই ‘এই সংসদে পুরো জাতির প্রতিফলন খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে। এই সংসদ নিখুঁতভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবে না।’
বুধবার (৩০ জানুয়ারি) সংসদের নবনির্বাচিত স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জিএম কাদের ১৯৯৬ সাল থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে, স্পিকার সংসদ কার্যাবলী পরিচালনায় নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টি দীর্ঘদিন ষড়যন্ত্রের শিকার: জিএম কাদের
স্পিকারের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, দলীয় সমর্থনে স্পিকার হলেও তিনি নিরপেক্ষভাবে ভূমিকা পালনের চেষ্টা করেছেন।
তিনি বলেন, 'আমি আশা করি আপনারা এই নিরপেক্ষতা বজায় রাখবেন।’
স্পিকারের ডান পাশে সরকারি দল এবং বাম পাশে বিরোধী দলের আসনের কথা উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, তারা উভয় পক্ষের সমান দৃষ্টিতে দেখতে চান।
তিনি বলেন, একটি সরকারি দল, অন্যটি বিরোধী দল।
৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল উল্লেখ করে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, জাতীয় সংসদ সব দলের মিলনস্থল।
জাতীয় পতাকার রং লাল ও সবুজ উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, এটা শুধু লাল নয়, সবুজও নয়। সরকারি দলকে যদি লাল বলা হয়, তাহলে এই সংসদ একেবারে লাল।
তিনি বলেন, ‘সবুজ মাত্রই একটা ছিটেফোঁটা। এই সংসদে পুরো জাতির চিত্র খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে। বর্তমান সংসদ কতটুকু জাতির প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে, তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।’
আরও পড়ুন: জাপা চেয়ারম্যানের পদ থেকে জিএম কাদেরকে বরখাস্ত করলেন রওশন
তিনি উল্লেখ করেন, দুই অংশের কর্মকাণ্ডের মধ্যে ব্যবধান কমাতে পারলে সংসদ কার্যকর বলে বিবেচিত হবে।
চলতি মাসের নির্বাচনে মাত্র ১১টি আসনে জয়ী জাতীয় পার্টির নেতা জিএম কাদের বলেন, 'এই আশঙ্কা অবাস্তব নয়।
সরকারের বিরোধীরা আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারে বা করবে।’
সংসদকে আরও কার্যকর করতে তিনি কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
স্পিকার সংসদে বিরোধী দলের সদস্যদের মতামত প্রকাশের সুযোগ দেবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তিনি আরও বলেন, সংসদে ভারসাম্যহীনতা কমাতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। তাই আমরা স্পিকারের সহযোগিতা কামনা করি।
আরও পড়ুন: সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা হলেন জিএম কাদের, উপনেতা আনিসুল ইসলাম
৬৯৮ দিন আগে
সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা হলেন জিএম কাদের, উপনেতা আনিসুল ইসলাম
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরকে সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা এবং আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে উপনেতা করা হয়েছে।
রবিবার সংসদ সচিবালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে জিএম কাদের এবং উপনেতা হিসেবে আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে স্বীকৃতি দেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
আরও পড়ুন: তৈরি পোশাকের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিত করতে এনবিআরকে অনুরোধ জানিয়েছে বিজিএমইএ
এর আগে রবিবার জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ নিজেকে দলের চেয়ারম্যান ঘোষণা দিয়ে দলের বর্তমান সভাপতি ও মহাসচিবকে তাদের পদ থেকে অব্যাহতি দেন।
তিনি জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মামুনুর রশীদকে দলের মহাসচিব নিযুক্ত করেন।
তবে এক সংবাদ সম্মেলনে চুন্নু বলেন, রওশনের এই ভিত্তিহীন পদক্ষেপ নিয়ে তারা অন্তত বিরক্ত, কারণ এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো এখতিয়ার তার নেই।
আরও পড়ুন: জাপা চেয়ারম্যানের পদ থেকে জিএম কাদেরকে বরখাস্ত করলেন রওশন
জাতীয় পার্টি দীর্ঘদিন ষড়যন্ত্রের শিকার: জিএম কাদের
৭০০ দিন আগে
জাপা চেয়ারম্যানের পদ থেকে জিএম কাদেরকে বরখাস্ত করলেন রওশন
চলতি মাসের সংসদীয় নির্বাচনে ভরাডুবি নিয়ে দলের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ক্ষোভের মধ্যেই দলের বর্তমান প্রধান ও মহাসচিবকে তাদের পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ। একই সঙ্গে তিনি নিজেকে দলের চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
তিনি জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মামুনুর রশীদকে দলের মহাসচিব নিযুক্ত করেন।
সম্প্রতি দল থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন বা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন দলের এমন নেতাদের সঙ্গে গুলশানে নিজ বাসভবনে মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেন রওশন।
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফিরেছেন রওশন এরশাদ
এতে বলা হয়, 'দলের গঠনতন্ত্রের ২০-১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী চলমান সংকট উত্তরণের লক্ষ্যে আমি দলের নেতা-কর্মীদের অনুরোধে জিএম কাদেরকে চেয়ারম্যান পদ থেকে এবং মুজিবুল হক চুন্নুকে যথাক্রমে সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দিচ্ছি।’
দলের প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্ত্রী ও জিএম কাদেরের ভাবি রওশন জানান, দলের নেতা-কর্মী ও অনুসারীদের অনুরোধে তিনি চেয়ারম্যানের দায়িত্বও নিয়েছেন।
তিনি বলেন, কাজী মামুনুর রশীদ দলের পরবর্তী কাউন্সিল অধিবেশন পর্যন্ত জাতীয় পার্টির মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন এবং দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
রওশন এরশাদ বলেন, জিএম কাদের ও মুজিবুল হক দলের মারাত্মক ক্ষতি করেছেন। তবে দলের আর যেন কোনো ক্ষতি না হয়, সে কারণেই তিনি এই পদক্ষেপ নিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, যেসব নেতাকে বহিষ্কার ও পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে তাদের পুনর্বহাল করা হবে এবং সঠিক সময়ে দলের জাতীয় কাউন্সিলের আয়োজন করা হবে।
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টির নেতাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান রওশন এরশাদের
তবে এক সংবাদ সম্মেলনে চুন্নু বলেন, রওশনের এই ভিত্তিহীন পদক্ষেপ নিয়ে তারা অন্তত বিরক্ত, কারণ এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো এখতিয়ার তার নেই।
তিনি বলেন, 'আমাদের দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এই পার্টির চেয়ারম্যান হওয়া বা কাউকে কোনো পদ থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা তার নেই।’
চুন্নু বলেন, রওশন এর আগে তিনবার জিএম কাদেরকে বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং পরে তার ঘোষণা প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ‘তাই আমরা বিষয়টি বিবেচনায় নিচ্ছি না। এর কোনো ভিত্তি নেই। সংবিধানে তার (রওশন) সেই ক্ষমতা নেই।’
আরও পড়ুন: ইসির তফসিলকে স্বাগত জানিয়েছেন রওশন এরশাদ
৭০০ দিন আগে
জাতীয় পার্টির নেতাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান রওশন এরশাদের
জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ দলের সব নেতা-কর্মীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে বেগম এরশাদ এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা নানাভাবে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত জাতীয় পার্টি: রওশন
তিনি বলেন, দলের প্রতিষ্ঠাতা এইচ এম এরশাদের অনেক অনুসারীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে, যা দলকে দুর্বল করেছিল।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ তুলে যেভাবে মানুষকে দল থেকে বহিষ্কার করা হলো তা খুবই দুঃখজনক।
তিনি অবিলম্বে বহিষ্কৃত নেতাদের পুনর্বহালের জন্য পার্টির চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: জিএম কাদেরের সঙ্গে নির্বাচনী জোট না করতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ রওশনের
গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রওশনের সাক্ষাৎ
৭০৬ দিন আগে
জাতীয় পার্টি দীর্ঘদিন ষড়যন্ত্রের শিকার: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, জাতীয় পার্টি দীর্ঘদিন ধরে নানা ষড়যন্ত্রের শিকার।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে রংপুরে নিজ বাসভবন সেনপাড়ায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, '১৯৯১ সালে ক্ষমতা ছাড়ার পর থেকে বিভিন্ন সময় নানা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে জাতীয় পার্টি।’
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। কিন্তু তার প্রতিদ্বন্দ্বীরা নানাভাবে তার জনপ্রিয়তা খর্ব করার চেষ্টা করেছে।
এখন যে বিভাজনের কথা বলা হচ্ছে, সেই বিভাজনের সম্ভাবনাও নাকচ করে দিয়েছেন জিএম কাদের।
আরও পড়ুন: জনগণের প্রত্যাশা পূরণে শপথ নিয়ে সংসদে যোগ দেব: জিএম কাদের
বিরোধী দল প্রসঙ্গে জিএম কাদের বলেন, সংসদে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি বড় দুটি দল। তিনি বলেন, যেহেতু আমরা (জাতীয় পার্টি) একমাত্র দল যার ১১ জন সদস্য রয়েছে, আমরা আশা করি জাতীয় পার্টি সংসদে বিরোধী দল হবে।
তিনি বলেন, সরকার যদি সেরকম অবস্থান না দেয়, তবু আমরা দেশ ও জাতির কল্যাণে সরকারের বিরুদ্ধে একমাত্র দল হিসেবে সমালোচনা করা, সরকারের খারাপ জিনিস তুলে ধরা এবং সুপারিশ দিয়ে সরকারকে সহায়তা করে সঠিক পথে পরিচালনা করব।
তিনি বলেন, ‘গত সংসদে আমরা বিরোধী দল ছিলাম। আমরা সব সময় দেশের কল্যাণে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করেছি, সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করেছি, সুপারিশসহ অনিয়ম-দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরেছি। আমরা আগের মতোই কাজ করব।’
এ সময় দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সংসদে বিরোধী দলে থাকতে চায় জাতীয় পার্টি: জিএম কাদের
সরকার যেখানে যাকে জেতাতে চেয়েছে সে জিতেছে: জিএম কাদের
৭০৮ দিন আগে
জাপায় অস্থিরতা: ঢাকা উত্তরের কমিটি 'বিলুপ্ত', দুই নেতা বহিষ্কার
জাতীয় পার্টির ঢাকা উত্তরের মেয়াদোত্তীর্ণ আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) জাতীয় পার্টির যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলমের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
একই সঙ্গে দলের দুই নেতাকে দলের সব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বহিস্কৃতরা হলেন- শফিকুল ইসলাম সেন্টু ও ইয়া ইয়া চৌধুরী। তারা প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টির এমপিরা পরে শপথ নেবেন: জাপা মহাসচিব
ভোটারদের টাকা বিতরণকালে জাপার ২ নেতা-কর্মী আটক
৭১৪ দিন আগে
ফিরোজ রশিদ ও সুনীল শুভরায়কে জাতীয় পার্টি থেকে অব্যাহতি
জাতীয় পার্টির (জাপা) কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ ও প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভরায়কে সব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) দলের যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের দলীয় গঠনতন্ত্রে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে দুই জ্যেষ্ঠ নেতাকে দলীয় সকল পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করেছেন।
তবে দলের এই দুই হেভিওয়েট নেতাকে কেন অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে তা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সিদ্ধান্তটি ইতোমধ্যে কার্যকর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সংসদে বিরোধী দলে থাকতে চায় জাতীয় পার্টি: জিএম কাদের
সরকার যেখানে যাকে জেতাতে চেয়েছে সে জিতেছে: জিএম কাদের
৭১৬ দিন আগে
সংসদে বিরোধী দলে থাকতে চায় জাতীয় পার্টি: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও রংপুর-৩ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, তিনি বিরোধী দলে আছেন এবং থাকতে চান।
তিনি বলেন, ‘সংসদে আসার অনুভূতি সবসময়ই ভালো। সেই অর্থে আবার সংসদে আসতে পারাটা আনন্দের বিষয়।’
আরও পড়ুন: সরকার যেখানে যাকে জেতাতে চেয়েছে সে জিতেছে: জিএম কাদের
বুধবার (১০ জানুয়ারি) এমপি হিসেবে শপথ নেয়ার পরপরই জিএম কাদের নবনির্বাচিত সংসদে বিরোধী দল নিয়ে এ কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি জানি না নিয়মটা । কিন্তু আমরা বিরোধী দলে ছিলাম এবং বিরোধী দলে থাকতে চাই। আমরা জনকল্যাণমুখী এবং আমরা জনগণের জন্য যা ভালো তাই করতে চাই।’
নেতৃত্বের ব্যর্থতার অভিযোগে দলীয় কার্যালয়ে বিক্ষোভের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এগুলো পূর্বপরিকল্পিত বিষয়।
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টিকে ভোট দিন: জিএম কাদের
তিনি বলেন, ‘কিছু লোক আমাদের দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। যা করা হয়েছে তা সবার সঙ্গে আলোচনা করেই করা হয়েছে।’
এবার দল কম আসন পাবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সব সময় পরিস্থিতি একই থাকে না।
তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচন সঠিক নির্বাচন ছিল না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটা ভালো ছিল। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আমাদের কর্মীদের নানাভাবে হয়রানি করা হয়েছে এবং ভোটকেন্দ্র দখল করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে ‘বলির পাঁঠা’ করা হচ্ছে: জিএম কাদের
জিএম কাদের আরও বলেন, এই নির্বাচন আসলে তার দলের জনপ্রিয়তা বা জনগণের কাছে তার ভিত্তির প্রতিফলন ঘটায়নি।
জাতীয় পার্টি পেয়েছে মাত্র ১১টি আসন, যেখানে ২০১৮ সালের নির্বাচনে তারা পেয়েছিল ২৩টি আসন।
৭১৮ দিন আগে
জাতীয় পার্টির এমপিরা পরে শপথ নেবেন: জাপা মহাসচিব
জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, তার দল থেকে নির্বাচিতর বেশিরভাগই ঢাকার বাইরে থাকায় আগামীকালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন না।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, 'নির্বাচিত সদস্যদের নিজ নিজ এলাকা থেকে ফিরে আসার পর দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের সঙ্গে বৈঠকের পর আমরা পরে শপথ নেব।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে ‘বলির পাঁঠা’ করা হচ্ছে: জিএম কাদের
রবিবারের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীরা ২২২টি আসনে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২টি আসনে জয়লাভ করেন।
জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা মাত্র ১১টি আসনে জয়লাভ করেন। এছাড়া বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির তিনজন প্রার্থী নিজ নিজ আসনে জয়লাভ করেন।
আরও পড়ুন: সরকার যেখানে যাকে জেতাতে চেয়েছে সে জিতেছে: জিএম কাদের
৭১৯ দিন আগে