জাতীয়-পার্টি
মূল চ্যালেঞ্জ হলো ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনা: জাপা মহাসচিব চুন্নু
জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু আগামী নির্বাচনে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আনাকেই প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই ভোটাররা যাতে অবাধে ভোটকেন্দ্রে এসে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে। আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছিল, ভোটাররা নির্বাচনে স্বাধীনভাবে তাদের ভোট দিতে পারবে।’
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) দলের চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি-২ খন্দকার দেলোয়ার জালালীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকার বনানীতে দলের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে চুন্নু এসব কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জাপাতে কোনো বিভক্তি নেই এবং দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের অধীনে ঐক্যবদ্ধ তারা।
দল প্রতিষ্ঠায় রওশন এরশাদের ভূমিকার কথা স্মরণ করে মহাসচিব চুন্নু বলেন, তিনি নির্বাচনে অংশ নিলে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করব। রওশন এরশাদ ও সাদ এরশাদ এখনও মনোনয়নপত্র নেননি।
তিনি বলেন, রওশন এরশাদের মনোনয়ন ফরম নেওয়ার কোনো সময়সীমা নেই এবং তিনি যখনই চাইবেন তাকে তা পাঠানো হবে।
হরতাল-অবরোধের কারণে অনেক মনোনয়নপ্রত্যাশী ঢাকায় মনোনয়নপত্র নিতে আসতে পারেননি বলে অভিযোগ করেন চুন্নু। তাই সময় একদিন বাড়ানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার চলছে, আশা করছি ২৭ নভেম্বর আমাদের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে।’
মহাসচিব বলেন, মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি এবং দলের চেয়ারম্যানও মনোনয়ন বোর্ডের আদেশের ভিত্তিতে মনোনয়ন চূড়ান্ত করবেন এবং তিনি ইচ্ছা করলেই মনোনয়ন পরিবর্তন করতে পারবেন।
দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে বিদ্রোহী প্রার্থীদের বহিষ্কার করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
আগামীকাল খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে এবং পরশু ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা সাক্ষাৎকারে মুখোমুখি হবেন।
সব আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে এ পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৭৫২টি মনোনয়ন ফরম বিতরণ করা হয়েছে।
পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের সভাপতিত্বে সাক্ষাৎকারে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ও প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইসলাম প্রমুখ।
জাতীয় পার্টিতে কোনো বিভেদ নেই: মুজিবুল হক চুন্নু
জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, জাপায় কোনো বিভেদ নেই। জাপা জিএম কাদেরের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছে।
তিনি বলেন, বেগম রওশন এরশাদ আমাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সম্মানের পাত্র। তিনি নির্বাচন করলে তার জন্য আমরা সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত রাখব। তিনি ২০ নভেম্বর ফোন করে মনোনয়ন ফরম নেওয়ার কথা বলেছেন, লোক পাঠালেই আমরা তার মনোনয়ন ফরম দিয়ে দেব।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে জাপা চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, জাপা নিজস্ব রাজনীতি নিয়ে এগিয়ে চলছে। দলীয় সিদ্ধান্তেই জাপা নির্বাচনে যাচ্ছে। আমরা নিরপেক্ষ ভোটের একটি পরিবেশ চেয়েছি। নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও সরকারের বিভিন্ন মহল আমাদের আশ্বস্ত করেছে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। তারা বলেছে, যেকোনো মূল্যেই নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখবে। তারা জানিয়েছেন, ভোটাররা কেন্দ্রে এসে অবাধে ভোট দিতে পারবে। এই আশ্বাসের জন্যই আমাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণায় দেরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে যোগ দেওয়ার বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি জাতীয় পার্টি: চুন্নু
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে জাপা মহাসচিব বলেন, জাপা ৩০০ আসনেই নিজস্ব প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবে। কারণ, কোনো জোটে যেতে আমরা ইসিকে চিঠি দেইনি। রাজনীতিতে বিভিন্ন কৌশল থাকে। আমরা আমাদের নিজস্ব কৌশল নিয়ে এগিয়ে যাব।
তিনি বলেন, নির্বাচনে জয়ী হতে পারলে জাপা দেশে বেকারত্ব দূর করবে, দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখবে, সুশাসন বজায় রাখবে, কর্মমূখী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করবে, দুর্নীতি দূর করবে, সবার জন্য সুচিকিৎসা নিশ্চিত করবে। আমরা নির্বাচিত হলে নির্বাচনী ব্যবস্থা পরিবর্তন করে আনুপাতিক হারে নির্বাচনের পদ্ধতি বাস্তবায়ন করব। আমরা চাই নির্বাচনকালীন কেউ অনিয়ম করলে ইসি যেন তার বিরুদ্ধে সরাসরি ব্যবস্থা নিতে পারে। ইসি যেভাবে সিডিউল ঘোষণা করেছে, তাতে সংলাপের সুযোগ আছে। সবাই এক টেবিলে বসে আলোচনার মাধ্যমে একটি সিদ্ধান্তে আসতে পারবে।
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নেবে কি না কয়েকদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাবে: চুন্নু
কোনো ষড়যন্ত্রই জাতীয় পার্টির ঐক্য ভাঙতে পারবে না: চুন্নু
নির্বাচনে অংশ নেবে জাতীয় পার্টি: মুজিবুল হক চুন্নু
অবশেষে আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় পার্টি (জাপা)।
বুধবার বিকালে পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু জানান, ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেবে দলটি।
চুন্নু বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য হবে বলে নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সবার আশ্বাসের ভিত্তিতে আসন্ন সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, কোনো জোটে না গিয়ে দলটি প্রতিটি আসনে স্বতন্ত্রভাবে লড়বে।
তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় পার্টি কোনো জোটে যাবে না। আমরা ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেবো।’
চুন্নু বলেন, ‘দুপুর পর্যন্ত আমরা প্রায় ১৪০০টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছি। প্রায় প্রতিটি আসনে একাধিক আগ্রহী প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।’
চুন্নু বলেন, দল এবার কোনো আসনে আপস করবে না।
তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো দলের সঙ্গে আসন ভাগাভাগিতে জড়িত হব না।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় পার্টি স্বচ্ছ রাজনীতিকে সমর্থন করে, দুর্নীতির অভিযোগমুক্ত একটি পরিচ্ছন্ন রেকর্ড বজায় রাখে। আমরা ৩০০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার লক্ষ্য নিয়েছি।’
নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতা হস্তান্তর সম্ভব নয়: জাতীয় পার্টি
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, তার দল বিশ্বাস করে নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্রে ক্ষমতা হস্তান্তর সম্ভব নয়।
মঙ্গলবার(২১ নভেম্বর) সংসদের বর্তমান বিরোধী দলটির মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই। এখন পর্যন্ত শতভাগ বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ অধরাই রয়ে গেছে। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন।’আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টির মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু আজ
চুন্নুর আজকের বক্তব্যকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য কাদেরের ঘোষণার ভিত্তি প্রস্তুত করা বলে মনে করা যেতে পারে।
তিনি বলেন, বেশির ভাগ মানুষের মনে প্রশ্ন থাকে, ভোটকেন্দ্রে গেলে তারা নিজেরা ভোট দিতে পারবেন কি না।
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে জনগণের মধ্যে শঙ্কা ও সংশয় রয়েছে। তাই ভোটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আমরা সময় নিচ্ছি। আমরা কোনও জোট বা মহাজোট গঠন করব না, আমরা ৩০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব।’
মঙ্গলবার জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থীদের জন্য মোট ৬২২টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু, আবদুর রশীদ সরকার, লিয়াকত হোসেন খোকা ও উপদেষ্টা পনির উদ্দিন আহমেদ মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন।আরও পড়ুন: নির্বাচনে যোগ দেওয়ার বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি জাতীয় পার্টি: চুন্নু
নির্বাচনে যোগ দেওয়ার বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি জাতীয় পার্টি: চুন্নু
সোমবার থেকে মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু করলেও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে জানিয়েছে জাতীয় পার্টি (জাপা)।
দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘আমরা নির্বাচন সংক্রান্ত প্রক্রিয়া শুরু করেছি, তবে আমাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত এখনও চূড়ান্ত নয়।’
সোমবার (২০ নভেম্বর) জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, নির্বাচনে অংশ নিতে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছেন তারা।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে।
চুন্নু বলেন, নির্বাচনমুখী দল হিসেবে তারা আশা করছেন একটি আনন্দঘন পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে সব দল অংশ নেবে এবং ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের ভোট দেবেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করছি, ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তাদের ভোট দিতে পারবে ভোটাররা যাতে এই আস্থা পেতে পারে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনে অংশ নেবেন কি না এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
তিনি বলেন, তাদের দল ৩০০টি সংসদীয় আসনে প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্তে অনমনীয়।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দুই প্রধান দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচন নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোর সময় এখনও আছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টির মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু আজ
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনও (ইসি) প্রয়োজনে নির্বাচনের পুনঃতফসিল ঘোষণা করতে পারে।
এর আগে সকাল ১০টা থেকে দলীয় চেয়ারম্যানদের বনানী কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হয়।
প্রতি আসনের জন্য ৩০ হাজার টাকা করে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করছেন দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।
সোমবার জাতীয় পার্টির যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলমের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ২৩ নভেম্বর বিকাল ৪টা পর্যন্ত জাপা চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র বিক্রি করা হবে।
জাতীয় পার্টির টিকিট নিয়ে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য যারা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেবেন তাদের ২৪ নভেম্বর থেকে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত সাক্ষাৎকারে মুখোমুখি হতে হবে।
২৭ নভেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে।
গত ১৫ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ঘোষণা করেন, আগামী ৭ জানুয়ারি দেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা ৩০ নভেম্বর, যেখানে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ১-৪ ডিসেম্বর এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর।
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নেবে কি না কয়েকদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাবে: চুন্নু
ইসির তফসিলকে স্বাগত জানিয়েছেন রওশন এরশাদ
আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন রওশন এরশাদ
জাতীয় পার্টির মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু আজ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য জাতীয় পার্টির মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হবে আজ সোমবার থেকে। যদিও তাদের অংশগ্রহণের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে বিবেচনাধীন রয়েছে।
জাতীয় পার্টির যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলমের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মনোনয়ন ফরম বিক্রি আগামী ২১ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে।
সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম বিক্রি করা হবে।
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নেবে কি না কয়েকদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাবে: চুন্নু
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আগামী ৭ জানুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১-৪ ডিসেম্বর এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর।
টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন সিইসি।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত জাতীয় পার্টি: রওশন
জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত জাতীয় পার্টি: রওশন
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে করতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে পূর্ণ সহযোগিতা চেয়েছেন সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ।
বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি তার সহযোগিতা কামনা করেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, রওশন এরশাদ বলেছেন, তাদের দল জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত।
রওশন বলেন, ‘জাতীয় পার্টি একটি নির্বাচনমুখী দল... আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য ইতোমধ্যে প্রস্তুতি নিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সংবিধানকে সম্মান করি। তাই নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত তফসিলকে আমরা স্বাগত জানাই।’
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নেবে কি না কয়েকদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাবে: চুন্নু
তিনি আরও বলেন, তবে নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর আরও সময় প্রয়োজন হওয়ায় কাগজ জমা দেওয়ার শেষ তারিখ বাড়ানো হতে পারে।
মনোনয়নপত্র ও আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে নির্বাচনের বিকল্প নেই।
তিনি আরও বলেন, ‘সংবিধান অক্ষুণ্ণ রাখতে হলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে সরকার নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) সব ধরনের সহযোগিতা নিশ্চিত করবে।’
আরও পড়ুন: ইসির তফসিলকে স্বাগত জানিয়েছেন রওশন এরশাদ
আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন রওশন এরশাদ
জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নেবে কি না কয়েকদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাবে: চুন্নু
রাজনৈতিক আলোচনার দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ না থাকায় আগামী জাতীয় নির্বাচনে দলটি যোগ দেবে কি না, তা দু-একদিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নেবে জাতীয় পার্টি।
রবিবার (১৮ নভেম্বর) জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু দলের সভাপতির বনানী কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু আলোচনার জন্য তিনটি প্রধান দলকে চিঠি দিলেও এখন পর্যন্ত সংলাপের কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি।
চুন্নু বলেন, বিএনপি সংলাপের বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেনি, তবে ক্ষমতাসীন দল তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
এ অবস্থায় জাতীয় পার্টি নির্বাচনে যাবে কি যাবে না তা নিয়ে এখন প্রশ্ন রয়েছে বলে জানান তিনি।
চুন্নু বলেন, ‘আমাদের সিনিয়র নেতারা প্রয়োজনে আমাদের প্রেসিডিয়াম সদস্যদের একটি সভা আহ্বান করবেন এবং আমরা দু-এক দিনের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেব যে আমরা নির্বাচনে যাব কি না।’
তিনি বলেন, তাদের দল এখনও একটি বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক আলোচনা চায়।
আরও পড়ুন: ইসির তফসিলকে স্বাগত জানিয়েছেন রওশন এরশাদ
গত ১৫ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ঘোষণা করেন, আগামী ৭ জানুয়ারি দেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে সিইসি আগামী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপরই জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ এক বিবৃতিতে একে স্বাগত জানিয়েছেন।
রওশনের অনুগত কয়েকজন নেতা নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন।
তবে সাম্প্রতিক বৈঠকে দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের অনুগত বেশিরভাগ তৃণমূল নেতা বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: জনগণ আগামী নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে উদ্বিগ্ন: জিএম কাদের
আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন রওশন এরশাদ
ইসির তফসিলকে স্বাগত জানিয়েছেন রওশন এরশাদ
জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিলকে স্বাগত জানিয়েছেন।
বুধবার তফসিল ঘোষণার পর এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সুসম্পন্ন করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের (ইসি)।
বিবৃতিতে তিনি ইসিসহ সংশ্লিষ্ট সকল কতৃপক্ষ তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি: সিইসি
এর আগে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ঘোষণা করেন- আগামী ৭ জানুয়ারি দেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেধ্যে দেওয়া ভাষণে সিইসি আগামী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।
সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি।
আরও পড়ুন: ইসি ঘোষিত নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখ্যান বিএনপির
একতরফা তফসিল ঘোষণা জাতির সঙ্গে ইসির চরম উপহাস ও প্রহসন: এবি পার্টি
জনগণ আগামী নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে উদ্বিগ্ন: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণ আগামী সাধারণ নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে উদ্বিগ্ন।
তিনি বলেন, সঠিক সময়ে ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হবে কি না, তা নিয়ে জনগণের মধ্যে শঙ্কা রয়েছে। তারা নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে উদ্বিগ্ন।
আরও পড়ুন: কা বা ক্ষমতার জন্য নিজেকে বিক্রি করতে পারব না: জিএম কাদের
সোমবার রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয় মিলনায়তনে ‘উপজেলা ব্যবস্থা প্রবর্তন দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় জিএম কাদের বলেন, আসন্ন নির্বাচন জনগণের অগ্রাধিকার এবং আগামী দিনগুলোতে কী হবে তা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন।
এর আগে অনুষ্ঠিত দুটি ডেমোক্রেসি সামিটে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানায়নি উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, ‘জার্মানি পরিচালিত ১২৯টি দেশের মধ্যে সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, ৪৮টি দেশে স্বৈরাচারী সরকার ক্ষমতায় রয়েছে।’
তিনি বলেন, জরিপে বাংলাদেশ, লেবানন, মোজাম্বিক, নিকারাগুয়া ও উগান্ডার সরকারকে ‘নতুন স্বৈরাচারী’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
জিএম কাদের বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের নামে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করেছে।’
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, সৈয়দ আবু হোসেন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: দুইটি দল শুধু পূজা-নির্বাচনের সময় সংখ্যালঘুদের নিয়ে চিন্তা করে: জিএম কাদের
নানা অজুহাত দিয়ে দাম বাড়ানো হচ্ছে: জিএম কাদের