অন্যান্য
নতুন রূপে চাঁদাবাজ-স্বৈরাচারীদের ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হবে না: মুফতি রেজাউল করিম
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মো. রেজাউল করিম বলেছেন, জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে জাতি এক নতুন ধাপ অতিক্রম করেছে। একদল চোর-ফ্যাসিস্ট বিদায় নিয়েছে, আর নতুন রূপে চাঁদাবাজ ও স্বৈরাচারীদের ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, ‘মানুষ এখন জানে কারা লুটেরা, কারা জাতির সঙ্গে প্রতারণা করে।’
সোমবার (২৮ জুলাই) চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের টাউন ফুটবল মাঠে দুপুর ২টায় এক দলের গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পড়ুন: নাটোরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ইসলামী আন্দোলনের নেতা নিহত
মুফতি রেজাউল করিম আরও বলেন, ‘১৯৮৭ সাল থেকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ইসলামী শাসন ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় রাজপথে আছে, এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। ইসলামী মূল্যবোধ, শান্তি ও সুবিচার প্রতিষ্ঠাই আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে পিআর (প্রোপরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হবে। জুলাই আন্দোলনে হত্যার যথাযথ বিচার, রাজনীতি সংস্কার, ও নারীদের সুশিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। জনগণ আর কোনোভাবে দুর্নীতিবাজ ও দখলবাজদের ক্ষমতায় দেখতে চায় না।’
খুলনা বিভাগীয় সংগঠনিক সম্পাদক মুফতি মোস্তফা কামাল বলেন, ‘বাংলাদেশকে একটি ন্যায়ভিত্তিক, ইনসাফপূর্ণ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে সমস্ত ইসলামী দলগুলোকে এক প্ল্যাটফর্মে আনতে হবে। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে আলোকিত ভবিষ্যতের জন্য কাজ করছি।’
চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান সজিবের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন খুলনা বিভাগীয় সংগঠনিক সম্পাদক মুফতি মোস্তফা কামাল, জামায়াতে ইসলামীর চুয়াডাঙ্গা জেলা আমির অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন প্রমুখ।
গণসমাবেশ শেষে চুয়াডাঙ্গা-১ ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
প্রার্থীরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে মুফতি জহুরুল ইসলাম আজিজী ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান সজিব।
১৫৩ দিন আগে
চট্টগ্রামে শিবির-ছাত্রদল সংঘর্ষে আহত অন্তত ২০
চট্টগ্রাম মহানগরীর চকবাজারে ছাত্রদলের সঙ্গে ছাত্রশিবিরের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এক ব্যক্তিকে থানায় দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘটিত ওই সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ২ শিবিরকর্মীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (২১ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ফাহিম নামের এক শিবিরকর্মীকে মারধরের ঘটনায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষ্যদর্শীরা জানান, রাতে নগরীর চকবাজার থানার গুলজার মোড় ঘিরে অবস্থান করেন ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা। আর চকবাজারের কাঁচাবাজার মোড়ে বহিষ্কৃত যুবদল নেতা এমদাদুল হক বাদশাহর নেতৃত্বে বিএনপির কর্মীরা অবস্থান নেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে আসামি ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় ১৭ ছাত্রদল-যুবদল নেতাকর্মী কারাগারে
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল দাবি করেছে, মহসিন কলেজের ছাত্রলীগের এক নেতাকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিতে ছাত্রশিবির ও জামায়াতে ইসলামীর নেতারা ছাত্রদলের নেতাদের ওপর হামলা করেছেন।
অন্যদিকে, ছাত্রশিবির এক বার্তায় জানিয়েছে, এক জুলাই যোদ্ধাকে থানায় দিয়েছিল ছাত্রদল। এর প্রতিবাদ করলে ছাত্রদল ও যুবদলের নেতা-কর্মীরা মিলে শিবির, শিক্ষার্থী ও পুলিশের ওপর হামলা করেছেন।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জাহিদুল কবির বলেন, ‘ছাত্রদল এক শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগ বলে মারধর করে থানায় সোপর্দ করে। শিবির ওই ছাত্রকে তাদের কর্মী দাবি করে থানায় যায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল ও শিবিরের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আমরা উভয়পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করছি এবং এখন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’
১৬০ দিন আগে
অন্তর্বর্তী সরকারকে দশের মধ্যে সর্বোচ্চ পাঁচ দেবেন নূর
গেলে এগারো মাসে বিএনপি-জামায়াতকে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে পুনর্বহাল ছাড়া অন্তর্বর্তী সরকার কোনো পরিবর্তন আনতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। সরকার প্রত্যাশিত কোনো পরিবর্তন আনতে পারেনি বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, তাদের মূল্যায়ন করতে গেলে দশের মধ্যে সর্বোচ্চ চার কিংবা পাঁচ দেব।
শনিবার (১৯ জুলাই) জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে জাতীয় প্রেসক্লাব অডিটোরিয়ামে এক আলোচনায় সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন। ‘গণঅভ্যুত্থানের প্রত্যাশা ও দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথ’ শীর্ষক এই আলোচনার আয়োজন করে গণতন্ত্র মঞ্চ।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মিলে এই মঞ্চ গঠন করেছে। মূলত গেল বছরের ১৯ জানুয়ারি গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশি হামলার ঘটনার স্মরণেই এই আলোচনার আয়োজন করা হয়েছে।
সরকারি চাকরিতে কোটাবিরোধী আন্দোলন থেকে উঠে আসা এই রাজনীতিবিদ বলেন, ‘এগারো মাসে সরকারের কার্যক্রম মূল্যায়ন করে দশের মধ্যে যদি তাদের নম্বর দিতে বলেন, তাহলে সর্বোচ্চ চার বা পাঁচ দেব। এই নম্বর দিতেও কষ্ট হয়। কারণ তারা দেশের এতটুকু পরিবর্তনও করতে পারেননি।’
তিনি বলেন, ‘বিদ্যমান ব্যবস্থার পরিবর্তনের জন্য আমরা লড়াই করেছি। কিন্তু দুঃখ লাগে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও উপদেষ্টা পরিষদের কাছে আমাদের যে প্রত্যাশা ছিল, সেটা এগারো মাসেও শুধু বিএনপি-জামায়াতকে প্রশাসনে পুনর্বহাল ছাড়া আর কোনো কার্যকর পরিবর্তন হয়নি। এটা আমাদের প্রত্যাশা ছিল না।’
পড়ুন: দিন যত যাচ্ছে, পরিস্থিতি তত জটিল হচ্ছে: ফখরুল
‘দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা, ভূমি কার্যালয়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনওি) কার্যালয়, জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ে মানুষে সেবা পেতে কোনো পরিবর্তন হয়নি। যেসব রাজনৈতিক নেতার ক্ষমতা আছে, এসব অফিস তাদের কথাই চলছে। আমরা এই ব্যবস্থারই পরিবর্তন চেয়েছিলাম,’ যোগ করেন তিনি।
নুর বলেন, ‘আমরা অনেকদিন ধরে একটি ভারসাম্যপূর্ণ সংসদের কথা বলছি। প্রধানমন্ত্রীর এককেন্দ্রিক ও স্বৈরাচারী ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণে সংবিধানের ৭০ নম্বর অনুচ্ছেদের সংশোধনসহ যেসব পরিবর্তনের কথা বলেছি, সেগুলো বাস্তবায়নের সময়ে এসেছে আজ।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনেও গাছাড়া-লাগামছাড়া ভাব এসেছে বলে মন্তব্য করেন ডাকসুর সাবেক এই ভিপি। তিনি বলেন, কিন্তু কিছু কিছু মৌলিক সংস্কারে আমাদের একটি ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে।
দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদে উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতিতে সব দলের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে বলেও জানান এই তরুণ রাজনীতিবিদ। তিনি বলেন, এটা যদি করা যায়, তাহলে কিছু ভিন্নমত পার্লামেন্টে থাকবে। নাহলে এই পার্লামেন্ট আগের মতোই থাকবে।
এ সময়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
১৬২ দিন আগে
পাঁচ আগস্টের আগে মব জাস্টিসের সংস্কৃতি ছিল না: জাহিদ হোসেন
গত বছরের পাঁচ আগস্টের আগে বাংলাদেশে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া কিংবা মব জাস্টিসের সংস্কৃতি ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ও বিএনপি-ঘনিষ্ঠ পেশাজীবী জোটের সমন্বয়ক এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ ধ্বংসের বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহিদ হোসেন বলেন, গত বছরের ৫ আগস্টের আগে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া বা মব জাস্টিসের সংস্কৃতির সঙ্গে আমাদের পরিচয় ছিল না। এখন শিশুদের কাছেও এই শব্দগুলো পরিচিত। অনেকেই ২৮ অক্টোবর পল্টনের সেই মর্মান্তিক ঘটনার কথা বলবেন, কিন্তু মানুষ অতীত থেকে শিক্ষা নেয়।
২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর রাজধানীর পল্টন-বায়তুল মোকাররম এলাকায় লগি-বৈঠার তাণ্ডব চালিয়ে আওয়ামী লীগের কর্মীরা জামায়াত-শিবিরের ৬ নেতাকর্মীকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। ২৮ অক্টোবর ছিল বিএনপির নেতৃত্বে চারদলীয় জোট সরকারের শেষ দিন। সেদিন ঢাকার রাস্তায় প্রকাশ্যে অস্ত্র তুলে গুলি এবং মানুষ পিটিয়ে মারার ঘটনা গভীর আলোড়ন তুলেছিল। ২৮ অক্টোবরের আগের দিন এবং পরের দিনও দেশের বিভিন্ন জায়গায় রক্তক্ষয়ী রাজনৈতিক সংঘাত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারিতে যেন নির্বাচন না হয় তার ষড়যন্ত্র চলছে: মির্জা ফখরুল
তিনি বলেন, গত ১৭ বছর ধরে চলা ভোট ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে চূড়ান্ত রূপ নেয়। যেটি ফ্যাসিস্টদের পালাতে বাধ্য করে। জনগণকে দাবি আদায়ে আর রাস্তায় নামতে হবে না বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক বলেন, আমরা লক্ষ করছি, ১১ মাস পার হয়ে গেলেও অনেকেই আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধা না দেখিয়ে কর্তৃত্ববাদী মানসিকতা লালন করছেন। সুপরিকল্পিতভাবে নানা ষড়যন্ত্র চলছে।
এ কারণে জনগণ ন্যায্য বিচার নিশ্চিতে বিগত সরকাররে আমলে ধ্বংসপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও বিচার বিভাগকে দ্রুত পুনর্গঠন করার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, বিএনপি কেবল একটি রাজনৈতিক দল নয়, এটি গণতন্ত্রও বটে। আমরা বারবার বলেছি ৫ আগস্টের ঐক্য নষ্ট কোরো না। পালিয়ে যাওয়া পতিত ফ্যাসিস্টরা তোমাদের ব্যর্থ করতে ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু তোমরা শুনলে না। তাই অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে।
তিনি বলেন, হঠাৎ করে একদল মানুষ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে কুৎসিত ভাষায় কথা বলছে। এমনকি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও গণতন্ত্রের জন্য জীবন উৎসর্গকারী আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে নিয়েও সামাজিকমাধ্যমে বিদ্রুপ করেছে। এটা কোনো রাজনৈতিক ভাষা নয়, এটা ফ্যাসিস্টদের ভাষা।
গোপালগঞ্জে এনসিপি নেতাদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, ফ্যাসিস্টদের হাতে প্রচুর লুটের টাকা আর অবৈধ অস্ত্র আছে। তাই তারা প্রকাশ্যে হামলা চালাচ্ছে।
আগামী নির্বাচনের তারিখ ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে জাহিদ হোসেন বলেন, গণতন্ত্র নিয়ে লুকোচুরি খেলা বন্ধ করুন। জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিন। জনগণ যাকে উপযুক্ত মনে করবে, তার হাতেই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দেবে।
১৬৪ দিন আগে
সাত জেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি স্থগিত
চুয়াডাঙ্গাসহ দেশের সাতটি জেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক কমিটির কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেছে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটি। মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় এসব কমিটির দায়িত্ব বাতিল করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
শুক্রবার (১০ জুলাই) রাতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি রিফাত রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক হাসান ইমামের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
লিখিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠনটির যশোর, ঝিনাইদহ, গাইবান্ধা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও বরিশাল জেলা শাখা এবং সংশ্লিষ্ট উপজেলা আহ্বায়ক কমিটিগুলোর নির্ধারিত মেয়াদ অতিক্রান্ত হওয়ায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এসব কমিটির সকল কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।
এ ঘোষণার পর চুয়াডাঙ্গায় সংগঠনটির সাবেক নেতা-কর্মীদের মধ্যে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
আরও পড়ুন: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের পেটানো রংপুরের সেই ওসিকে ১১ মাস পর বদলি
এর প্রতিক্রিয়ায় চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সদ্য সাবেক সদস্যসচিব সাফফাতুল ইসলাম তার ব্যক্তিগত ফেসবুক ওয়ালে লেখেন, ‘চুয়াডাঙ্গার আর কোনো অফিসিয়াল পরিচয় থাকল না। সাবেক হয়ে গেলাম, আলহামদুলিল্লাহ। যে দায়িত্ব আমার ওপর অর্পিত হয়েছিল, সেটি থেকে অফিশিয়ালি মুক্তি পেলাম। আমি চেষ্টা করেছি আমার জায়গা থেকে সর্বোচ্চটা দেওয়ার। ইনশাআল্লাহ, ভবিষ্যতে নতুন পরিচয়ে রাজপথে ফিরব। রাজপথই আমার পরিচয়, সবার কাছে দোয়ার দরখাস্ত রইল।’
সাবেক আহ্বায়ক আসলাম হোসেন অর্ক বলেন, ‘সব সময় মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। আগামীতে সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকব। এ মুহূর্তে কোনো দলে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছা নেই।’
২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটি গঠিত হয়। ছয় মাসের মেয়াদ শেষে এ বছরের এপ্রিলে কমিটির কার্যকাল শেষ হয়।
সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, জেলা কমিটির পাশাপাশি উপজেলা কমিটিগুলোও স্থগিত করা হয়েছে।
১৭০ দিন আগে
সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণে একটি সাংবিধানিক কমিটি হবে: ডা. তাহের
প্রতি আদমশুমারির পরে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণে একটি সাংবিধানিক বিশেষায়িত কমিটি গঠনের বিষয়ে দেশে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
বুধবার (২ জুলাই) ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কমিশনের আলোচনার প্রথম ধাপ শেষ হওয়ার পর সাংবাদিকদের তিনি তথ্য দিয়েছেন।
ডা. তাহের বলেন, ‘আজ সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের সংবিধানের ১১৯ অনুচ্ছেদে এ বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। সীমানা নির্ধারণের ক্ষেত্রে আগে নির্বাচন কমিশনই একান্তভাবে কাজটি করতো। এখন স্বচ্ছতার জন্য একটু পরিবর্তন আনার কথা বলা হচ্ছে। সেটা হচ্ছে, একটি বিশেষায়িত কমিটি হবে।’
‘সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণের ক্ষেত্রে সেই কমিটি নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) সহযোগিতা ও সুপারিশ করবে। এটিকে দুভাবে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম হচ্ছে, সামনে যে জাতীয় নির্বাচনটি হবে, এতে আমাদের বা কমিশনের প্রস্তাব ছিল—একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি করা হবে ইসির অধীনে।’
‘যেহেতু এবার সময় কম, এরমধ্যে ভিন্ন কোনো চিন্তা করার সুযোগ নেই। সে জন্য ত্রয়োদশ নির্বাচনে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করবে ইসি, তাদের সুপারিশক্রমে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ করা হবে,’ যোগ করেন তিনি।
‘স্বচ্ছ, সুন্দর ও সঠিকভাবে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ করার জন্য এটি খুবই জরুরি বিষয়। কারণ এটার কারণে নির্বাচনের ফল ভিন্ন হয়ে যায় অনেক সময়।’
ডা. তাহের বলেন, ‘সীমানা নির্ধারণের জন্য অনেকগুলো বিশেষজ্ঞের কাজ করতে হয়। জরিপের কাজ, ভৌগোলিক অঞ্চলকে সমন্বয়, ভোটের আনুপাতিক দিকগুলো আছে—এমন অনেক বিষয়ে। সবকিছু বিবেচনা করে এটি একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি হবে।’
‘আর স্থায়ীভাবে আরেকটি বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছি, সংবিধানে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটির বিষয়ে উল্লেখ থাকবে। আদমশুমারির পরপরই সীমানা নির্ধারণের জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি থাকবে। তারা একটি সাংবিধানিক কমিটি হিসেবে কাজ করবে, সংবিধানে তাদের কথা উল্লেখ থাকবে।’
জামায়াতের এই নায়েবে আমীর আরও বলেন, এই কমিটি স্বাধীন হবে। বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে এটি গঠিত হবে। কমিশন প্রস্তাব করেছিল—এটির নামের শেষে কমিশন হবে। এ নিয়ে অনেকে আবার আপত্তি করেন। যে কারণে, নামের শেষে কমিটি দিয়েই সবাই ঐকমত্য হয়েছি।’
‘জামায়াত এটির শেষে কমিশনেই একমত ছিল। কিন্তু বিএনপির পক্ষ থেকে এটিকে সংবিধানে সংযোজন করার বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেছে। এটিকে একটি আইনের মাধ্যমে করার কথা বলেছে। পরে দীর্ঘ আলোচনার পর ঐক্যের স্বার্থে বিএনপি তার অবস্থান কিছুটা পরিবর্তন করেছে।’আরও পড়ুন: জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে একটি ‘সনদের’ জায়গায় পৌঁছানোর আশা আলী রীয়াজের
তিনি বলেন, ‘স্বাধীন কমিটি হিসেবে সংবিধানে এটি সংযোজিত করার বিষয়েও বিএনপি রাজি হয়েছে। আমরাও এখানে কম্প্রোমাইজ (আপস) করেছি। আমরা কমিশনের জায়গায় কমিটি মেনে নিয়েছি। দুটো প্রধান দলই ছাড় দিয়ে একটি ঐকমত্যে আসার পর বাকিরা রাজি হয়েছেন।
ডা. তাহের বলেন, ‘গেল ১৫ বছরে বহু সংসদীয় আসনকে তছনছ করে দেওয়া হয়েছে, কিছু ব্যক্তিকে নির্বাচনে সুবিধা করে দেওয়ার জন্য। আওয়ামী লীগের সময় এমন বহু পরিবর্তন করা হয়েছে। আবার আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অনেকেই আপিল করেছিলেন।
১৭৯ দিন আগে
ঢাকায় ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশ: ১৬ দফা ঘোষণা
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান দলের ১৬ দফা ঘোষণা করেছেন। শনিবার (২৩ জুন) রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ থেকে এই ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়।
১৬ দফা ঘোষণাপত্রে রাষ্ট্রীয় সংস্কার, বিচার ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক(পিআর) নির্বাচন গ্রহণকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
সংবিধানের নির্দেশিকা নীতিগুলোর মধ্যে ‘আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনঃস্থাপন, সংসদের উভয় প্রস্তাবিত কক্ষে আনুপাতিক ভোটদান (পিআর) পদ্ধতি চালু এবং বৈষম্যহীন শোষণ নিপীড়ন ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে আগামী মাসে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ভবিষ্যতের স্বৈরতন্ত্রকে রোধ করতে দলটি দ্রুত, মৌলিক সংস্কার, জনপ্রশাসন পুনর্গঠন, নির্বাচনে সমান সুযোগ নিশ্চিত করার জন্য এবং ‘পতিত ফ্যাসিবাদের’ সহযোগী হিসেবে চিহ্নিত কর্মকর্তাদের অপসারণের আহ্বান জানিয়েছে।
দুর্নীতির বিচার, পলাতকদের ফিরিয়ে আনা, পাচার করা অর্থ পুনরুদ্ধার এবং চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসবাদ এবং হত্যার বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও জোর দেওয়া হয়েছে ঘোষণাপত্রে।
পড়ুন: সংস্কার প্রস্তাবনা জমা দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
ঘোষণাপত্রে ভারতের সঙ্গে সকল চুক্তি প্রকাশ এবং যেকোনো ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ চুক্তি বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে। এটি পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনের আগে সকল স্তরের স্থানীয় নির্বাচন সম্পন্ন করার এবং একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে এই ধরনের নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে।
দলটি চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি, ঋণ খেলাপি এবং অপরাধীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে অযোগ্য ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছে। একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনী পরিবেশ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা প্রত্যাহার এবং ধর্ম ও রাষ্ট্রের প্রতি বিরূপ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্যেরও আহ্বান জানিয়েছেন দলটি।
ইসলামী আন্দোলন সার্বভৌমত্ব রক্ষা, নাগরিকদের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা এবং টেকসই শান্তি ও অগ্রগতি নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচনসহ শাসনব্যবস্থার প্রতিটি স্তরে ইসলামী মূল্যবোধ অনুশীলনের আহ্বান জানানো হয়েছে ঘোষণায়।
১৮৩ দিন আগে
ফ্যাসিস্ট লুটেরাদের এদেশে ঠাঁই হবে না: ফয়জুল করীম
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সাড়ে ১৫ বছরে এদেশ লুট করেছে, খুন ও গুম করেছে,জুলুম করছে, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়েছে, গরীবের টাকা মেরে বিদেশে পাচার করেছে। তিনি বলেন, তাদের আর এ দেশে ঠাঁই হবে না। দেশের মাটিতে এই ফ্যাসিস্ট লুটেরাদের বিচার হবে ইনশাল্লাহ।
ফয়জুল করীম বলেন, ‘আজকে দেশের হাজারো গরীবের ত্রাণের চাল যাদের গুদামে পাওয়া যায়, গরীব চাল যারা খাদ্য গুদামে বোঝাই করে রাখে। গরীবের হক যারা মেরে খায়, বাংলাদেশের মানুষ আর তাদের দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় দেখতে চায় না।’
সোমবার (২৩ জুন ) বিকালে নীলফামারী বড় মাঠে ইসলামী আন্দোলন, নীলফামারী জেলা শাখার জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেন, ইসলামী দলগুলো যদি ঐক্যবদ্ধ হয়—তাহলে বাংলাদেশে আর কোনো ফ্যাসিস্ট ও চাঁদাবাজ ক্ষমতায় আসতে পারবে না। ইসলামী দলগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন করলে এদেশে ইসলামী ও কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্টা করা সম্ভব। এজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে সংগ্রাম করতে হবে, লড়াই করতে হবে।
পড়ুন: দখলদার ও খুনিদের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলবে: মুফতি ফয়জুল করীম
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নীলফামারী জেলা শাখার সভাপতি মুহাম্মদ ইয়াছিন আলীর সভাপতিত্বে জনসভায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীলফামারী জেলা শাখার আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সাত্তার। বিশেষ অতিথি বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম হাছিবুল ইসলাম, ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মাহমুদ প্রমুখ।
জনসভায় নীলফামারীর ৪টি আসনের মধ্যে ৩টি আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। প্রার্থীরা হলেন নীলফামারী-২ আসনে অ্যাডভোকেট এম হাছিবুল ইসলাম, নীলফামারী-৩ আসনে আলহাজ্ব আমজাদ হোসেন ও নীলফামারী-৪ আসনে আলহাজ্ব শহিদুল ইসলাম।
১৮৮ দিন আগে
প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নিয়ে নতুন প্রস্তাবে তিনটি বাদে সব দল একমত: জোনায়েদ সাকি
একজন ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন—এমন একটি প্রস্তাবে তিনটি বাদে সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে বলে দাবি করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
রবিবার (২২জুন) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কয়টি মেয়াদ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করতে পারবেন, সেটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রস্তাব ছিল, প্রধানমন্ত্রী সর্বোচ্চ দুবার শপথ নিতে পারবেন। নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব ছিল, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ হবে দুটি। তিনি দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।’
‘এখন বার ও মেয়াদ নিয়ে একটি সমস্যার জায়গা তৈরি হয়েছে। মেয়াদ বলতে পূর্ণ পাঁচ বছর কিংবা সংসদ যতদিন আছে, সেটি বোঝায়। আর দুবার বলতে বোঝায়, একই মেয়াদের মধ্যে দুবার হতে পারে। এমন একটি সমস্যার জায়গা থেকে আলোচনাটি হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এখন প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল বছর দিয়ে ঠিক করার একটি প্রস্তাব এসেছে। অর্থাৎ একজন ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় সর্বোচ্চ দশ বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। এই প্রস্তাব আসার পর পারস্পরিক আলোচনার জন্য সময় নেওয়ার কথা বলেছি। সেই সময় দেওয়া হয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সেটি অনুমোদন করেছে। রাজনৈতিক দলগুলোও সেটি নিয়ে আলোচনা করেছে।’
‘বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে সর্বোচ্চ দশ বছর একজন ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। তবে তিনটি দল থেকে ভিন্ন ভিন্ন প্রস্তাব আছে। সেইসব প্রস্তাবসহ আরও অন্যান্য অমীমাংসিত বিষয়াদি নিয়ে, যেমন: সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্ব ও সরাসরি নির্বাচনের প্রশ্ন, সাংবিধানিক পদগুলোতে সাংবিধানিক কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগ, সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ গঠন ও ক্ষমতার পরিধি, দুই কক্ষের মধ্যে ভারসাম্য, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ও রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য—এসব প্রশ্ন নিয়ে যত আলোচনা হয়েছে, এর মধ্যে কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, কিছু বিষয়ে দ্বিমত হয়েছে।’
গণসংহতি আন্দোলনের এই নেতা আরও বলেন, ‘এসব বিষয় নিয়ে আরও আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে যথাসম্ভব একটি ঐক্যমত্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করা হবে। আগামী বুধবার এ বিষয়ে আবার বসা হবে।’
‘তবে এই আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে আমরা একটি অধিকতর ঐক্যের দিকে যাচ্ছি। আমরা যদি আরও ঐক্যের দিকে আসতে পারি, তাহলে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পুনর্গঠন যথার্থভাবে এগিয়ে যাবে।’
১৮৯ দিন আগে
দখলদার ও খুনিদের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলবে: মুফতি ফয়জুল করীম
মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য দখলদার ও খুনিদের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই।
শনিবার (২১ জুন) বিকালে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে গণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কার গণহত্যার বিচার এবং সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে এই গণসমাবেশের আয়োজন করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কুড়িগ্রাম জেলা শাখা।
পড়ুন: ফয়জুল করীমকে মেয়র ঘোষণার মামলা খারিজ
ফয়জুল করীম বলেন, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে ফ্যাসিস্টকে এদেশ থেকে তাড়াতে, ভাগাতে বাধ্য করেছিলাম। আমরা ইনশাআল্লাহ ঐক্যবদ্ধভাবে যদি আবারও রাস্তায় নামি—তাহলে চাঁদাবাজদের উৎখাত করতে সক্ষম হবো ইনশাআল্লাহ, কোনো সন্দেহ নাই।
দলটির কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি মুহাম্মদ শাহজাহান মিয়ার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব গাজী মাওলানা আতাউর রহমান, জামায়াতে ইসলামীর কুড়িগ্রাম জেলা শাখার আমির মাওলানা আব্দুল মতিন ফারুকী, জামায়াতের কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নিজাম উদ্দিন, ইসলামী আন্দোলন কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান, কুড়িগ্রাম ২ আসনের ইসলামি আন্দোলনের মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক নুর বকত প্রমুখ।
১৯০ দিন আগে