আইনশৃঙ্খলা
হাতিয়ায় আগ্নেয়াস্ত্র ও হাতবোমাসহ আটক ১
নোয়াখালীর হাতিয়ার চরঈশ্বর ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে আবু বক্কর সিদ্দিক নিজাম নামের একজনকে আটক করেছে কোস্টগার্ড। এসময় তার কাছ থেকে ৯টি পাইপগান, ৩ রাউন্ড কার্তুজ, ২৯টি হাত বোমা ও ৩টি বগিদা জব্দ করা হয়।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) বিকালে এক প্রেসবিফিংয়ে কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের স্টাফ অফিসার (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রিফাত আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে চরঈশ্বর ইউনিয়নের বাংলাবাজার মাছঘাটের বিসমিল্লাহ মৎস্য আড়ত থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক আবু বক্কর সিদ্দিক নিজাম (৪৫) লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার বাসিন্দা।
কোস্টগার্ড জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাংলা বাজার মাছ ঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিসমিল্লাহ আড়ৎ থেকে নিজামকে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আড়তে তল্লাশি চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ, বগিদা ও হাতবোমাগুলো জব্দ করা হয়। নিজাম দীর্ঘদিন থেকে এ ঘাটে অবস্থান করে মাছের ব্যবসার আড়ালে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে আসছিলেন।লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রিফাত আহমেদ জানান, ডাকাত আবু বকর সিদ্দিক নিজামের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করে তাকে হাতিয়া থানায় হস্তান্তর করা হবে।
১৪২ দিন আগে
গাজীপুরে সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা, আটক ৫
গাজীপুরের চৌরাস্তা এলাকায় সাংবাদিক মো. আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচজনকে আটক করেছে।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দিবাগত রাতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বাসন থানায় এ মামলা হয়। নিহত তুহিনের বড় ভাই মো. সেলিম মামলাটি করেছেন। মামলায় অজ্ঞাত ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন খান জানান, আজ (শুক্রবার) দুপুর পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্দেহজনক পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে, তুহিনের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নিহত তুহিন (৩৮) দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার গাজীপুরের স্টাফ রিপোর্টার ছিলেন। তিনি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের হাসান জামালের ছেলে। স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে তুহিন চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
পড়ুন: গাজীপুরে সাংবাদিককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে চান্দনা চৌরাস্তা মসজিদ মার্কেট এলাকায় এক নারী ও পুরুষের বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়। এ সময় অস্ত্রধারী একদল দুর্বৃত্ত ওই লোককে হামলা করে। ওই ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে হামলার শিকার হন তুহিন। অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা তাকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার।
এ বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, একজন নারীকে কেন্দ্র করে বাদশা মিয়াকে আক্রমণ করা হয়। ওই নারীর পূর্বপরিচিত ৪-৫ জন চাপাতিসহ এসে যুবকটিকে কোপাতে থাকে। তখন তিনি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এরপর কী ঘটেছে তা আর সিসি ক্যামেরায় পাওয়া যায়নি।’
তিনি আরও বলেন, পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারি, হামলার ঘটনাটি সাংবাদিক তুহিন তার মোবাইল ফোনে ধারণ করেন। এর ফলে ঘাতকরা তুহিনকে আক্রমণ করে। তিনি এই ভিডিও কেন করেছে তা জানতে চান এবং সেটি ডিলিট করার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। এরপর তুহিন যখন ডিলিট করতে রাজি হননি কিংবা ভিডিওর বিষয়টি অস্বীকার করেন, তখন ওই অবস্থাতেই তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে এবং তাকে মেরে ফেলে হামলাকারীরা।’
১৪৩ দিন আগে
রংধনু গ্রুপ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ৮৭৮ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলা
রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, তাঁর ছেলে ও ভাইসহ পরিবারের আট সদস্যের বিরুদ্ধে প্রায় ৮৭৮ কোটি টাকা পাচার ও প্রতারণার অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। পাশাপাশি অভিযুক্তদের ১৩টি ব্যাংক হিসাব আদালতের আদেশে জব্দ করা হয়েছে।
বুধবার (৬ আগস্ট) রাতে রাজধানীর গুলশান থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বিকেলে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান।
আসামিরা হলেন—রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, তাঁর ভাই আবদুল হাই এবং ছেলেরা—কাউসার আহমেদ অপু ও মেহেদী হাসান দিপু। এ ছাড়া তাঁদের স্ত্রী, ভাগনে ও আত্মীয়সহ মোট আটজনের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ (সংশোধিত ২০১৫)–এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলায় বলা হয়েছে, আসামিরা প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধ অর্থ উপার্জন করে বিদেশে পাচার করেছেন এবং ওই অর্থের মাধ্যমে অ্যান্টিগা ও বারবুডায় ২০ লাখ মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করে সে দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন।
জসীম উদ্দিন খান বলেন, ‘অভিযুক্তরা প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ঋণ হিসেবে নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। এসব অর্থ বিদেশে পাচার করে এক দেশের নাগরিকত্ব পর্যন্ত গ্রহণ করেছেন। এটি সুপরিকল্পিত মানি লন্ডারিংয়ের ঘটনা।’
সিআইডি জানায়, মামলার তদন্তে দেখা গেছে, ২০২২ সালে মেহেদী হাসান দিপু ও কাউসার আহমেদ অপু বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে জমি বিক্রির নামে প্রতারণার মাধ্যমে প্রায় ৫৭ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। কিন্তু জমি বুঝিয়ে না দিয়ে ওই অর্থ আত্মসাৎ করেন।
রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে রংধনু গ্রুপ পুলিশের একটি নির্মাণ প্রকল্প—পুলিশ অফিসার্স বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড—এর নামে ভুয়া কার্যাদেশ ও বিল দেখিয়ে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে ২৭০ কোটি টাকা এবং ইউনিয়ন ব্যাংক থেকে ২০০ কোটি টাকা ঋণ নেন। এ ছাড়া ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের বারিধারা শাখা থেকে ভুয়া মূল্যায়ন রিপোর্ট দেখিয়ে আরও ৪০০ কোটি টাকার ঋণ নেওয়া হয়। সব মিলিয়ে মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ৮৭৮ কোটি টাকা।
পড়ুন: পাঁচ দিনের রিমান্ডে মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিন
এ অর্থের একটি অংশ বিদেশে পাচার করে বিভিন্ন দেশে সম্পত্তি কেনা হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে। সিআইডি জানায়, আসামিরা একে অপরের সহযোগিতায় মানিলন্ডারিং করেছেন এবং এতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরাও সহায়তা করেছেন।
জসীম উদ্দিন খান বলেন, ‘বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের অনুরোধে সিআইডি ইতিমধ্যে অভিযুক্তদের ১৩টি ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে। এসব হিসাবে মোট প্রায় ১৭ কোটি টাকা রয়েছে।’
এ ছাড়া, যমুনা ফিউচার পার্কে রংধনু গ্রুপের মালিকানাধীন এক লাখ বর্গফুটের বেশি বাণিজ্যিক স্পেস (লেভেল–০২) আদালতের আদেশে ক্রোক করা হয়েছে। সিআইডি আরও জানায়, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে করা মামলাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মামলার অন্যান্য আসামিদের পরিচয় ও সম্পৃক্ততা অনুসন্ধান করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে আরও সম্পত্তি ক্রোকের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
১৪৩ দিন আগে
বেরোবির সাবেক উপাচার্য কলিমউল্লাহসহ পাঁচজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ ও এ কে এম নূর-উন-নবীসহ পাঁচ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
বিশ্ববিদ্যালয়টির একটি বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এই আদেশ দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার(৭ আগস্ট) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
দুদকের পক্ষে সহকারী পরিচালক মিনহাজ বিন ইসলাম নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন।
এছাড়া একই আদালত নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কমকর্তা কলিমউল্লাহকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন ।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া অন্যরা হলেন— বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্য সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, ঠিকাদার মো. আ. সালাম বাচ্চু এবং এম এম, হাবিবুর রহমান।
আবেদনে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশ, অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ, ক্ষমতার অপব্যবহার করে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদিত ডিপিপি উপেক্ষা করে নকশা পরিবর্তন করেন।
তারা মন্ত্রণালয় বা বিভাগের অনুমোদন ছাড়া ৩০ কোটি টাকা মূল্যের বেশি চুক্তি করেন। ঠিকাদারের রানিং বিল থেকে কেটে নেওয়া নিরাপত্তা জামানতকে এফডিআর হিসেবে ব্যাংকে জমা রাখা এবং সেইউ এফডিআর ঠিকাদারকে লোন দেওয়ার জন্য নো অবজেকশন সার্টিফিকেট অনুমোদন তথা গ্যারান্টার হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সরকারের চার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।
পড়ুন: সাবেক বেরোবি ভিসি ড. কলিমউল্লাহ গ্রেপ্তার
ঠিকাদারের সঙ্গে চুক্তিতে অগ্রিম অর্থ দেওয়ার কোনো আইন না থাকা সত্ত্বেও অগ্রিম বিল দেন এবং অগ্রিম দেওয়া বিল সমন্বয়ের আগেই বিলের বিপরীতে প্রদত্ত ব্যাংক গ্যারান্টিগুলো অবমুক্ত করা হয়।
প্রথম পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের দেওয়া ড্রইং বা ডিজাইন না মেনে সরকারি খাতে ক্রয় পদ্ধতির বিধি বহির্ভূতভাবে দ্বিতীয় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়া হয়।
অস্বাভাবিক হারে মূল্য দাখিল বা ফ্রন্ট লোডিং থাকা সত্ত্বেও পিপিআর ২০০৮ -এর বিধান অনুযায়ী দরপত্র মূল্যায়ন না করার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। সেজন্য তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন।
১৪৩ দিন আগে
শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনের মামলা হাইকোর্টে বাতিল
আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে করা মামলার কার্যক্রম বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। মামলা বাতিল চেয়ে করা তার আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি করে বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে শহিদুল আলমের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার প্রিয়া আহসান চৌধুরী।
এর আগে এক আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ৪ নভেম্বর আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে করা এ মামলার তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। ওই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানির পর আজ হাইকোর্ট রুল মঞ্জুর করে মামলাটির কার্যক্রম বাতিল ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের মামলায় শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১২ আগস্ট তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। ওই বছরের ৬ আগস্ট রমনা থানায় শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি শহিদুল আলম তার ফেসবুক টাইমলাইনের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে কল্পনাপ্রসূত অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এর মাধ্যমে জনসাধারণের বিভিন্ন শ্রেণিকে শ্রুতিনির্ভর (যাচাই-বাছাই ছাড়া কেবল শোনা কথা) মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে উসকানি দিয়েছেন, যা রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর। সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ ও অকার্যকর রূপে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে উপস্থাপন করেছেন। আসামি শহিদুল ইসলাম আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিসহ জনমনে ভীতি ছড়িয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র এবং তা বাস্তবায়নের জন্য ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রচার করেছেন।
১৪৩ দিন আগে
পাঁচ দিনের রিমান্ডে মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিন
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গেরিলা প্রশিক্ষণের ঘটনায় রাজধানীর ভাটারা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার(৭ আগস্ট) দুপুরে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ এ আদেশ দেন।
এর আগে, মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পুলিশ পরিদর্শক মো. জেহাদ হোসেন আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মোরশেদ হোসেন শাহীনসহ অনেকেই রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আজিজুল হক দিদার ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল কাইয়ুম নয়ন রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগ নেতাকর্মীদের প্রশিক্ষণ: মেজর সাদেকের স্ত্রী গ্রেপ্তার
এর আগে বুধবার (৬ আগস্ট) মিরপুর ডিওএইচএস এলাকা থেকে সুমাইয়া জাফরিনকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)
অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গেরিলা প্রশিক্ষণে অংশ দেওয়ার সময় মেজর সাদিকের সঙ্গে অংশ নিতেন তার স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিন।
এ ঘটনায় সাদিককে হেফাজতে নেয় সেনাবাহিনী। পরে তার স্ত্রীকে আটক করে পুলিশ। পরে ভাটারা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
১৪৩ দিন আগে
আ.লীগ নেতাকর্মীদের প্রশিক্ষণ: মেজর সাদেকের স্ত্রী গ্রেপ্তার
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গেরিলা প্রশিক্ষণের ঘটনায় মেজর সাদেকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে ভাটারা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকালে ঢাকা সিএমএম আদালতে তাঁকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উত্তর বিভাগের যুগ্ম কমিশনার রবিউল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ভাটারা থানায় দায়ের করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সুমাইয়া জাফরিনকে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, গতকাল বুধবার রাতে ডিবির একটি দল তাঁকে হেফাজতে নেয়। পরে তাঁকে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: আ. লীগ কর্মীদের প্রশিক্ষণের অভিযোগে মেজর সাদিক সেনা হেফাজতে: সদর দপ্তর
এর আগে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার কাছে একটি কনভেনশন সেন্টারে গোপন বৈঠক ঘিরে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনের ২২ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এ ঘটনায় ভাটারা থানায় একটি মামলা করা হয়, যার তদন্ত করছে গোয়েন্দা পুলিশ। সেই মামলায় সুমাইয়াকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গত ১ আগস্ট আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, ১৭ জুলাই অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাকে রাজধানীর উত্তরার নিজ বাসা থেকে আটক করে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়। ঘটনাটির সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের লক্ষ্যে একটি তদন্ত আদালত গঠন করা হয়েছে এবং প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষে প্রাপ্ত তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ওই সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর প্রচলিত আইন ও বিধি অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করা হচ্ছে।
১৪৩ দিন আগে
অর্থ পাচারের মামলায় ১০ বছরের সাজা থেকে জি কে শামীম খালাস
অর্থ পাচারের মামলায় ১০ বছরের সাজা থেকে আলোচিত ঠিকাদার ও সাবেক যুবলীগ নেতা জি কে শামীমকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। তার আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি করে বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মবিন ও বিচারপতি জাবিদ হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) এ রায় দেন।
আদালতে জি কে শামীমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হেমায়েত উল্লাহ।
এর আগে ২০২৩ সালের ১৭ জুলাই অর্থ পাচার আইনের মামলায় আলোচিত ঠিকাদার এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন অধস্তন আদালত। এ ছাড়া তার সাত দেহরক্ষীকে চার বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজা ছাড়াও তাদের ৩ কোটি ৮৩ লাখ ৩৫ হাজার ৮১৪ টাকা জরিমানা করা হয়। ৬০ দিনের মধ্যে এ জরিমানা পরিশোধ না করলে অতিরিক্ত এক বছর করে কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।
ওই রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেছিলেন, ‘অস্ত্রবাজ, টেন্ডারবাজ ও অর্থ পাচারকারীদের কোনো আদর্শ নেই। তারা কোনো আদর্শ লালন করে না। তবে আদর্শকে ব্যবহার করে রাতারাতি অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলে দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত করে এবং দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেয়। তারা দেশ ও জাতির শত্রু। দেশের চলমান উন্নয়ন ও জাতীয় স্বার্থে তাদের সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করতে হবে।’
পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন জি কে শামীম। আজ সেই আপিলের ওপর রায় দেন হাইকোর্ট। এর আগে, ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর অস্ত্র আইনের মামলায় জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।
আরও পড়ুন: জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ: জি কে শামীম ও তার মায়ের বিচার শুরু
২০১৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর র্যাব-১–এর নায়েব সুবেদার মিজানুর রহমান গুলশান থানায় অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনে মামলাটি করেন। ২০২০ সালের ৪ আগস্ট সিআইডির ইকোনমিক ক্রাইম স্কোয়াডের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাঈদ আটজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। ওই বছরের ১০ নভেম্বর বিচার শুরু হয়।
গত ১৫ জুন আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ২৫ জুন রায়ের দিন ধার্য করা হয়। তবে ওই দিন রায় না দিয়ে ১৭ জুলাই (গতকাল) দিন ধার্য করেন আদালত।
২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর নিকেতনে জি কে শামীমের বাড়ি ও অফিসে র্যাব অভিযান চালিয়ে আটটি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল পরিমাণ গুলি, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর, ১ কোটি ৮১ লাখ টাকা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা এবং মদ জব্দ করে।
১৪৪ দিন আগে
সাবেক বেরোবি ভিসি ড. কলিমউল্লাহ গ্রেপ্তার
দুদকের মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে, ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রতারণা, জালিয়াতি করে সরকারের চার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ১৮ জুন ড. কলিমউল্লাহসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
ওই মামলার অন্য আসামিরা ছিলেন—বেরোবির সাবেক উপাচার্য ও প্রকল্প পরিচালক ড. এ কে এম নূর-উন-নবী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্য সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, ঠিকাদার মো. আবদুস সালাম বাচ্চু ও এম এম হাবিবুর রহমান।
এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ওই বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদিত ডিপিপি উপেক্ষা করে নকশা পরিবর্তন, মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া ৩০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের চুক্তি সম্পাদন, ঠিকাদারের রানিং বিল থেকে কেটে রাখা নিরাপত্তা জামানতকে এফডিআর হিসেবে ব্যাংকে জমা এবং ওই এফডিআর লিয়েনে রেখে ঠিকাদারকে লোন দেওয়ার জন্য ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ অনুমোদন তথা গ্যারান্টর হয়ে সরকারের ৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়। গতকাল দুদক মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মো. আক্তার হোসেন এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
আরও বলা হয়, ঠিকাদারের সঙ্গে চুক্তিতে অগ্রিম অর্থ প্রদানের ব্যবস্থা না থাকার পরও ঠিকাদারকে আর্থিক সহযোগিতার কারণ দেখিয়ে ব্যাংক গ্যারান্টি গ্রহণ করে অগ্রিম বিল প্রদান করা হয়েছে। অগ্রিম হিসেবে দেওয়া বিল সমন্বয়ের আগেই বিলের বিপরীতে প্রদত্ত ব্যাংক গ্যারান্টিগুলো অবমুক্ত করা হয়। প্রথম পরামর্শক প্রতিষ্ঠান প্রদত্ত ড্রইং বা ডিজাইন না মেনে সরকারি খাতে ক্রয় পদ্ধতির বিধি বহির্ভূতভাবে দ্বিতীয় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়া, অস্বাভাবিক হারে মূল্য দাখিল বা ফ্রন্ট লোডিং থাকা সত্ত্বেও পিপিআর-২০০৮ এর বিধান অনুযায়ী দরপত্র মূল্যায়ন সম্পন্ন না করার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
১৪৪ দিন আগে
যশোরে থানায় অনধিকার প্রবেশ ও হুমকির অভিযোগে জামায়াত নেতা গ্রেপ্তার
যশোরের কেশবপুর থানায় অনধিকার প্রবেশ, কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তাকে হুমকি এবং সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে জামায়াতে ইসলামীর সহযোগী সংগঠন পেশাজীবী পরিষদের কেশবপুর উপজেলা সভাপতি ও আইনজীবী অজিয়ার রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার (৬ আগস্ট) সকালে যশোর শহর থেকে তাকে আটক করা হয়। কেশবপুর পৌর জামায়াতের আমির জাকির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, অজিয়ার রহমান জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে দীর্ঘদিন যুক্ত। তিনি ছাত্রশিবিরের যশোর জেলা পূর্ব শাখার সাবেক সভাপতি ছিলেন।
জানা যায়, কেশবপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মকলেসুর রহমান বাদী হয়ে গত রবিবার অজিয়ারের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। এরপর বুধবার সকালে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।
এসআই মকলেসুর জানান, অজিয়ারের চাচাতো ভাই শহিদুল ইসলামের নামে একটি মামলা দায়ের করা হয়, যা নিয়ে তিনি ক্ষুব্ধ হন। এ কারণে তিনি থানায় প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় হুমকি ও পুলিশি কাজে বাধা দেন বলে অভিযোগ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ঘটনাটির একটি ভিডিওতে দেখা যায়, অজিয়ার রহমান থানায় উপস্থিত এক পুলিশ কর্মকর্তাকে রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে অপমান করছেন। ভিডিওতে তিনি পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনি আওয়ামী লীগের লোকের মতো আচরণ করছেন। জবাবে কর্মকর্তা বলেন, আমি কেন রাজনীতি করব?
এ বিষয়ে জামায়াত নেতাদের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া না জানানো হলেও কেশবপুর পৌর জামায়াতের আমির জাকির হোসেন বলেছেন, থানায় গিয়ে হুমকি দেওয়া ঠিক হয়নি, এটি তার (অজিয়ার রহমানের) ভুল সিদ্ধান্ত ছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, মামলার প্রক্রিয়া অনুযায়ী তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৪৪ দিন আগে