আইনশৃঙ্খলা
কামরাঙ্গীরচরে রকি হত্যা: প্রধান দুই আসামি গ্রেফতার
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে রকি হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৩০ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মাদারীপুরের কালকিনি এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশ। গ্রেফতার হওয়া আসামিরা হলেন—আবু তালেব মেম্বার (৩৭) ও মো. পলাশ খাঁ (৩৩)।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এমন তথ্য জানিয়েছেন লালবাগের ডিসি মোহাম্মদ জসিমউদ্দিন।
থানা সূত্রে জানা গেছে, ২৩ জুন রাত ১২টা ৫ মিনিট থেকে সাড়ে ১২টার মধ্যে কামরাঙ্গীরচরের ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের বেড়িবাঁধ এলাকায় একটি রিকশা গ্যারেজের সামনে সড়কে রকিকে কুপিয়ে জখম করে একদল দুর্বৃত্ত।আরও পড়ুন: প্রাইম এশিয়ার ছাত্র পারভেজ হত্যার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
পরিকল্পিত এই হামলায় অংশ নেয় গ্রেফতার হওয়া দুই আসামিসহ পলাতক আবু বক্কর, দুলাল মিয়া ও আরও দু-তিনজন অজ্ঞাত ব্যক্তি। স্থানীয়দের সহায়তায় রকিকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় রকির মা রাজিয়া বেগম থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তদন্তে নেমে আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করে পুলিশ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার হওয়া আসামিরা জানিয়েছে, ২২ জুন বিকেলে এক রিকশাচালকের কাছ থেকে টাকা নেয় তালেব মেম্বার ও শাওন। এ ঘটনায় রকি প্রতিবাদ করলে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি ও গালাগাল হয়। এর জের ধরেই রকিকে হত্যা করা হয় বলে তারা স্বীকার করেছে।
১৮১ দিন আগে
পুলিশ পরিচয়ে ফেসবুক ব্যবহার করা যাবে না: আরপিএমপি কমিশনার
পুলিশ পরিচয়ে ফেসবুকসহ সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরপিএমপি)। এ বিষয়ে সব পুলিশ সদস্যকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন আরপিএমপি কমিশনার মো. মজিদ আলী।
সোমবার (৩০ জুন) বিকালে রংপুর পুলিশ লাইন্সে অনুষ্ঠিত মাসিক কল্যাণ সভায় সদস্যদের ‘বাংলাদেশ পুলিশের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা-২০২৫’ যথাযথভাবে অনুসরণে এসব নির্দেশ দেন তিনি।
আরপিএমপি কমিশনার বলেন, কোনো পুলিশ সদস্য পুলিশ পরিচয়ে ফেসবুক বা অন্য কোনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করতে পারবেন না। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। পাশাপাশি প্রত্যেক সদস্যকে অনলাইন জিডি বিষয়ে পর্যাপ্ত ধারণা রাখতে হবে, যাতে সাধারণ জনগণকে আরও উন্নত ও সেবাপ্রবণ সহায়তা দেওয়া যায়।
আরও পড়ুন: ঢাকা ও ময়মনসিংহে চালু হচ্ছে সব ধরনের অনলাইন জিডি
এ সময় সব সদস্যকে সতর্কতা ও পেশাদারত্ব বজায় রেখে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেন তিনি। একই সঙ্গে পেশাগত উৎকর্ষ সাধনে সচেষ্ট থাকারও আহ্বান জানান।
এদিন সভার শুরুতে উপস্থিত সবার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন পুলিশ কমিশনার। এ সময় গত মাসের কল্যাণ সভায় উত্থাপিত সমস্যাগুলোর অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত হন তিনি। পাশাপাশি উপস্থিত অফিসার ও সদস্যদের কাছ থেকে সরাসরি বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনে তিনি তাৎক্ষণিক সমাধানের নির্দেশনা দেন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) নরেশ চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) সফিজুল ইসলাম, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর দপ্তর ও প্রশাসন) হাবিবুর রহমান, উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ) তোফায়েল আহম্মেদ, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) আব্দুর রশিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
১৮১ দিন আগে
সাত দিনের রিমান্ডে সাবেক এমপি ফয়সাল বিপ্লব
মুন্সীগঞ্জে সজল হত্যা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ফয়সাল বিপ্লবের জামিন নামঞ্জুর করে তার ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকালে পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে শুনানি শেষে মুন্সীগঞ্জের ১ নম্বর আমলী আদালতের বিচারক আশিকুর রহমান এই আদেশ দেন।
এদিন মব এড়াতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে সকাল সাড়ে ৮টায় আদালতে আনা হয় তাকে। আদালতে তোলা হয় ৯টা ৫ মিনিটে।
আসামির পক্ষে জামিন ও রিমান্ড নামঞ্জুরের আবদেন নিয়ে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট শাহিন মো. আমানুল্লাহ ও অ্যাডভোকেট হাসান মৃধা। আর রাষ্ট্রপক্ষে আদালত পরিদর্শক ছাড়াও সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম ও সহকারী কৌঁসুলি (এপিপি) নূর হোসেন রিমান্ডের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। প্রায় ২০ মিনিট ধরে শুনানি হয়। এরপর তাকে ৭ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন আদালত।
আরও পড়ুন: সাবেক এমপি তুহিন ও শাহে আলম মুরাদ রিমান্ডে
আদাশের পর তাকে সরাসরি জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। তার কিছুক্ষণ পরেই আদালত এলাকায় তার ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভে অংশ নেয় অর্ধ সহ্রাধিক মানুষ। ছাত্র-জনতা ব্যানারে এই বিক্ষোভ থেকে মুন্সীগঞ্জে ৪ আগস্টের সহিংসতার জন্য তাকে দায়ী করা হয়। বিক্ষোভ থেকে ফয়সাল বিপ্লবের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেওয়া হয়।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, সাধারণত সকাল ১০টার আগে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয় না। কিন্তু আজ এত আগে তাকে আদালতে আনা হবে, তা তারা জানতেন না।
গত ২২ জুন রাতে রাজধানীর মনিপুরী পাড়া থেকে গ্রেপ্তার হন মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্য। পরে ২৩ জুন তাকে ঢাকার আদালতে তোলা হয়। এরপর ৩০ জুন (সোমবার) ফয়সাল বিপ্লবকে মুন্সীগঞ্জ কারাগারে নেওয়া হয়।
মুন্সীগঞ্জে গত বছরের ৪ আগস্টের সহিংসতায় তিনজন নিহত হন। এই তিনটি হত্যা মামলা ও আরও দুইটি হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল বিপ্লব।
১৮১ দিন আগে
মেহেরপুরে স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মেহেরপুরে স্ত্রীকে হত্যার মামলায় স্বামী সেন্টু মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছর কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নাছিম রেজা এই আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত সেন্টু মিয়া মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার আকুবপুর বাজারপাড়া এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ৫ জুন তার স্ত্রী সাগরিকাকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে প্রচারের চেষ্টা চালান সেন্টু। পরে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হলে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করা হয়। পরে ময়নাতদন্তে রিপোর্টে হত্যার প্রমাণ পাওয়া যায়।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০১৮ সালের ১৭ জানুয়ারি বাংলাদেশ দন্ডবিধির ৩০২/২০১ ধারায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নিয়ে সেন্টু মিয়া দোষী সাব্যস্ত হলে আদালত তাকে যাবজ্জীবন সাজা ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও দুই বছর কারাদণ্ডাদেশ দেন।
মামলায় সরকারি পক্ষের কৌসুলি ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সাইদুর রাজ্জাক ও আসামি পক্ষের কৌসুলি ছিলেন অ্যাডভেকোট নুরুল হাসান রন্টু।
১৮১ দিন আগে
গাজীপুরে চোর অপবাদ দিয়ে শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা, কারখানা বন্ধ ঘোষণা
গাজীপুরের কাশিমপুর রোডে একটি পোশাক কারখানায় ইলেকট্রিক মেকানিককে চোর অপবাদ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই লিটন বাদী হয়ে কোনাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। সোমবার (৩০ জুন) কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার (২৭ জুন) রাত আনুমানিক ৮টা থেকে শনিবার (২৮ জুন) বিকাল সাড়ে ৪টার মধ্যে এই ঘটনা ঘটলেও কারখানা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা করায় ঘটনাটি দেরিতে প্রকাশ পেয়েছে। এরপর থেকে কারখানাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, নিহত ইলেকট্রিক মেকানিক হৃদয় হোসেন (১৯) টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল থানার শুকতারবাইদ এলাকার বাসিন্দা আবুল কালামের ছেলে। তিনি মা ও বোনের সাথে কোনাবাড়ীর হারিনাবাড়ী এসরারনগর হাউজিং এলাকায় মিরাজের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। পাশাপাশি স্থানীয় গ্রিনল্যান্ড লিমিটেড গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে ডাইং সেকশনের ইলেকট্রিক মেকানিক হিসেবে অস্থায়ীভাবে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ জানায়, ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার হাসান মাহমুদ মিঠুন টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ী থানার হাদিরা বাজার এলাকার মফিজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী থানাধীন কুদ্দুসনগর এলাকায় আয়নালের বাড়ির ভাড়াটিয়া।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (২৮ জুন) সকালে চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে হৃদয়ের হাত-পা বেঁধে একটি কক্ষে নিয়ে যায়। পরে সেখানে তাকে নির্মমভাবে নির্যাতন ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। দুপুরের দিকে হৃদয় মারা যায়। ঘটনার খবর আশপাশের অন্যান্য পোশাক কারখানার কর্মীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকা ও ময়মনসিংহে চালু হচ্ছে সব ধরনের অনলাইন জিডি
পরে, প্রায় ৪০০-৫০০ শ্রমিক রাস্তায় নেমে এসে গ্রীনল্যান্ড গার্মেন্টসের সামনে গিয়ে কারখানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে হৃদয় হত্যার বিচার দাবি করেন। এ সময়ে তারা কয়েক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয় সূত্র আরও জানায়, হত্যাকাণ্ডের পর কর্তৃপক্ষ গার্মেন্টসের মূল ফটকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নোটিশ সাঁটিয়ে পালিয়ে যায়।
সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, গত শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে (২৮ জুন শনিবার) কতিপয় লোক হৃদয়কে দড়ি দিয়ে হাত-পিঠ বেঁধে কারখানার ভিতরে একটি কক্ষে নিয়ে যাচ্ছে। পরে ওই কক্ষে তার ওপর অমানুষিক ও নির্মম নির্যাতন করা হয়। শনিবার সকাল ১০টা ১৪ মিনিটে কারখানা ভেতরে একটি এম্বুলেন্স প্রবেশ করতে দেখা যায়। মৃত অবস্থায় হৃদয়কে নিয়ে ১০টা ২১ মিনিটে এম্বুলেন্সটি কারখানা ত্যাগ করে।
হৃদয় মারা যাওয়ার পর তার শরীরের একাধিক ছবি ও ভিডিও পাওয়া গেছে। তাতে তার হাঁটুতে, কোমরে, পিঠে, হাতের কব্জিতে, কনুইতে, হাতের নখে, গলায়, মুখমন্ডলে রক্তাক্ত ও কালচে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। এসব থেকে তার ওপর নির্যাতনের মাত্রা অনুমান করা যায়।
ধারণা করা হচ্ছে, কারখানার ভিতরে নির্যাতনের তার মৃত্যু হওয়ার পর বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য কারখানা কর্তৃপক্ষ তাকে আহত দেখিয়ে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তাকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে বলে হাসপাতালের রেজিস্ট্রারে উল্লেখ করা হয়। পরে পুলিশ মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে স্থানান্তর করে।
নিহতের ভাই ও মামলার বাদি লিটনের মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ২৮ জুন বিকাল সাড়ে ৪টার সময় বাদীর মা মোবাইলে ফোন করে বাদীকে জানায় যে, গত ২৭ জুন রাত্র আনুমানিক ৮টার দিকে হৃদয় খাওয়া-দাওয়া শেষে বাসা থেকে বের হয়ে ডিউটির উদ্দেশ্যে যায়। এরপর থেকে সে এখন পর্যন্ত বাসায় ফিরে আসেনি।
এই সংবাদ পেয়ে বাদী তাৎক্ষণিক মায়ের বাসায় এসে মাকে নিয়ে হৃদয়ের অফিসে যায়। সেখানে গিয়ে লোকজনের কাছ থেকে জানতে পারেন যে হৃদয়ের হত্যার ঘটনায় গ্রিণল্যান্ড লিমিটেড ফ্যাক্টরীর শ্রমিকরা টাঙ্গাইল-গাজীপুরগামী মহাসড়কের রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করছেন।
তখন পরিবারের লোকজন হৃদয়ের লাশের সন্ধান করলে কারখানার লোকজন জানায় যে, হৃদয়ের লাশ শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছে। পরে পরিবারের লোকজন হাসপতালে উপস্থিত হয়ে হৃদয়ের লাশ শনাক্ত করে।
মামলার এজাহারে আরো বলা হয়, ওই সংবাদ পেয়ে কোনাবাড়ী থানা পুলিশ ও হৃদয়ের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে হাসপাতালে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: নিম্ন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির আগের আদেশ স্থগিত
এ বিষয়ে কোনাবাড়ী থানার ওসি সালাহ উদ্দিন বলেন, আমাদের কাছে খবর আসে একজন চোর কারখানার দেয়াল টপকে ভিতরে আসার সময় ড্রেনে পরে আহত হলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরে হাসপাতাল কতৃপক্ষ জানায়, ওই ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।
ওসি বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে প্রকৃত ঘটনা শোনার পর কারখানায় অভিযান চালিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ ও হত্যায় ব্যবহৃত অন্যান্য আলামত সংগ্রহ করা হয়। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আমরা হত্যাকান্ডের বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছি।
তিনি জানান, গ্রেপ্তার আসামিকে গাজীপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি মামলার অজ্ঞাত আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
১৮২ দিন আগে
সাবেক এমপি তুহিন ও শাহে আলম মুরাদ রিমান্ডে
জুলাই অভ্যুত্থানে আব্দুল মোতালেব হত্যা মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান কার্যনির্বাহী সদস্য শাহে আলম মুরাদের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
অন্যদিকে, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলালীগের সাবেক সভাপতি ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিনের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। সোমবার (৩০ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্রের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এদিন শাহে আলম মুরাদের পাঁচদিন ও তুহিনের সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে পুলিশ। এ সময় তুহিনের পক্ষে অ্যাডভোকেট মোরশেদ আলম শাহীন এবং মুরাদের পক্ষে ওবায়দুল ইসলাম রিমান্ড বাতিলের আবেদন করেন।
এ ছাড়া, রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। শুনানি শেষে বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: হাবিবুল আউয়ালকে কারাগারে পাঠাল আদালত
এর আগে, গত ১৭ এপ্রিল সকালে উত্তরা এলাকা থেকে শাহে আলম মুরাদকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এ ছাড়াও, গত ২২ জুন গভীর রাতে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নের আওনা গ্রামে বাবার বাড়ি থেকে তুহিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মুরাদের নামে করা মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জিগাতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ছাত্র-জনতার মিছিলে থাকা আবদুল মোতালেব নামের এক কিশোর গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। পরে ২৬ আগস্ট তার বাবা আব্দুল মতিন বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৭৬ জনকে আসামি করা হয়।
অন্যদিকে তুহিনের নামে করা মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৪ এপ্রিল সকাল ৭টার দিকে যুব মহিলা লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ইশরাত জাহান নাসরিনসহ অজ্ঞাতনামা ১৪ থেকে ১৫ জন দুষ্কৃতকারী শেরেবাংলা নগর থানা এলাকায় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সামনে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও যুব মহিলালীগের নেতাকর্মীরা মিছিল করেন।
আরও পড়ুন: নিম্ন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির আগের আদেশ স্থগিত
পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যান। সে সময় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের কার্যক্রম গতিশীল ও সন্ত্রাসী সংগঠনকে উৎসাহিত করার উদ্দেশ্য প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের দাবি করে স্বাধীন দেশের সংহতি, জননিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার ষড়যন্ত্র করেন আসামিরা।
এ ঘটনায় ৪ এপ্রিল রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ।
১৮২ দিন আগে
আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ২৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি-প্রক্টরসহ ২৬ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ (আইসিটি-২)।
সোমবার (৩০ জুন) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নাজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এর আগে, ৩০ আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র দাখিল করে প্রসিকিউশন।
প্রধান প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম আদালতে অভিযোগগুলো পাঠ করে শোনান। অভিযোগগুলোর গ্রহণযোগ্যতা বিবেচনায় নিয়ে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তারি পরোয়ানার তালিকায় বেরোবির সাবেক উপাচার্য (ভিসি) হাসিবুর রশীদ ও রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) সাবেক কমিশনার মনিরুজ্জামানের নামও রয়েছে।
এ ছাড়াও আসামির তালিকায় রয়েছেন— বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, পুলিশের সাবেক এএসআই আমির হোসেন, পুলিশ কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী। তারা ইতোমধ্যে কারাগারে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: আবু সাঈদ হত্যা মামলার অভিযোগপত্র প্রত্যাখ্যান করে বেরোবি শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন
এর আগে, ২৪ জুন হত্যা মামলার আলামতসহ তদন্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশনের কাছে জমা দেয় তদন্ত সংস্থা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাবেক আরএমপি কমিশনারসহ মোট ৩০ জন ব্যক্তি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আবু সায়েদের হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন।
গত বছর ১৬ জুলাই রংপুরের পার্কমোড় এলাকায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
১৮২ দিন আগে
ঢাকা ও ময়মনসিংহে চালু হচ্ছে সব ধরনের অনলাইন জিডি
ঢাকা ও ময়মনসিংহ রেঞ্জের সব জেলার সব থানায় চালু হচ্ছে অনলাইন জিডি সেবা। সোমবার (৩০ জুন) পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে এ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, আগামীকাল মঙ্গলবার (১ জুলাই) থেকে এসব অঞ্চলে সব ধরনের অনলাইন জিডি সেবা চালু হচ্ছে।
পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর বলেন, প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনার আলোকে পুলিশি সেবা সহজীকরণের অংশ হিসেবে ঘরে বসেই সব ধরনের জিডি অনলাইনে করার সুবিধা চালু করেছে বাংলাদেশ পুলিশ।
বর্তমানে সিলেট রেঞ্জ ও সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং চট্টগ্রাম রেঞ্জ ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সব থানায় অনলাইন জিডি সেবা চালু রয়েছে।
এরআগে অনলাইনে শুধু হারানো এবং প্রাপ্তি সংক্রান্ত জিডি করা যেত। আগামীকাল থেকে ঢাকা ও ময়মনসিংহ রেঞ্জের সব জেলার সব থানায় (মোট ১৩৪টি থানা) অনলাইনে সব ধরনের জিডি করা যাবে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য রেঞ্জ ও মেট্রোতেও এ অনলাইন জিডি সেবা চালু হবে।
অনলাইন জিডি সেবা পেতে গুগল প্লে স্টোর থেকে ‘অনলাইন জিডি’ অ্যাপ ডাউনলোডের পর নিবন্ধন করে এ সেবা পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে একাধিকবার নিবন্ধের প্রয়োজন নেই।
রেজিস্ট্রেশন অথবা অনলাইন জিডি করতে কোনো ধরনের অসুবিধা হলে ০১৩২০০০১৪২৮ হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে। এ হটলাইন নম্বরটি ২৪ ঘণ্টা চালু রয়েছে।
১৮২ দিন আগে
হাবিবুল আউয়ালকে কারাগারে পাঠাল আদালত
রাষ্ট্রদ্রোহসহ বিভিন্ন অভিযোগে করা মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রবিবার (২৯ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি.এম. ফারহান ইশতিয়াকের আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিন তিন দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক সৈয়দ সাজেদুর রহমান।
হাবিবুল আউয়ালের পক্ষে তার আইনজীবী শফিউল আলম জামিন চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী জামিনের বিরোধিতা করেন।
শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালের নির্বাচনকে ‘ডামি নির্বাচন’ বলে স্বীকার সাবেক সিইসি আউয়ালের
গত ২৫ জুন মগবাজার এলাকা থেকে কাজী হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর আগে গত ২২ জুন সাবেক সিইসি কে এম নূরুল হুদাকে উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব ‘পালন না করে’ উল্টো ‘ভয়-ভীতি দেখিয়ে’ জনগণের ভোট ছাড়াই নির্বাচন সম্পন্ন করার অভিযোগে মামলা করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং মামলা, গুম, খুন ও তথ্য সংরক্ষণ সমন্বয়ক সালাহ উদ্দিন খান। এরপর মামলায় দণ্ডবিধির ১২৪ (ক)/৪২০/৪০৬ ধারায় অভিযোগ সংযুক্ত করার আবেদন করা হয়।
মামলায় ২০১৪ সালের নির্বাচনের সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, ২০১৮ সালের নির্বাচনে সিইসি এ কে এম নূরুল হুদা ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এ মামলার আসামি।
পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার, এ কে এম শহীদুল হক, জাবেদ পাটোয়ারী, বেনজির আহমেদ ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকেও আসামি করা হয়েছে মামলায়।
১৮২ দিন আগে
কুমিল্লায় ধর্ষণ শিকার নারীর ভিডিও সামাজিকমাধ্যম থেকে সরাতে নির্দেশ
কুমিল্লার মুরাদনগরের একটি গ্রামে বসতঘরের দরজা ভেঙে ধর্ষণের শিকার ভুক্তভোগী নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ধর্ষণের শিকার নারীর নির্যাতনের যে ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে, তা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সামাজিকমাধ্যম থেকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (২৯ জুন) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের হাইকোর্ট বেঞ্চ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) এ আদেশ দেন। আগামী ১৪ জুলাই কমিশনকে এই আদেশ বাস্তবায়নের ব্যাপারে অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
আইনজীবী মীর এ কে এম নুরুন্নবীর করা রিটের প্রাথমিক শুনানিতে এ আদেশ দেওয়া হয়। আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি জানান, আগামী ১৪ জুলাই রিটটি আদেশের জন্য তালিকায় থাকবে। ওইদিন মামলার তদন্তের বিষয়ে অগ্রগতি আদালতকে জানাতে হবে।
এদিকে, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির। মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী ওই নারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ওই নারী প্রায় ১৫ দিন আগে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন।
গত বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাতে পরিবারের সদস্যরা বাড়ির পাশের পূজায় অংশ নিতে যান। ওই সময় ওই নারী বাড়িতে একা ছিলেন। আনুমানিক ১০টার দিকে ফজর আলী (৩৮) নামের এক ব্যক্তি তার বাবার বাড়ি গিয়ে ঘরের দরজা খুলতে বলেন। এ সময় তিনি দরজা খুলতে অস্বীকৃতি জানান। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় বসতঘরের দরজা ভেঙে নারীকে ধর্ষণ, প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার ৫
এ বিষয়ে ওই নারীর এক প্রতিবেশি বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে ওই বাড়িতে অনেক শব্দ হচ্ছিল। আমি ভয়ে দৌড়ে গিয়ে লোকজন ডেকে নিয়ে আসি। লোকজন গিয়ে দেখেন দরজা ভাঙা। পরে আমরা ওই নারীকে উদ্ধার করি। এ সময় কিছু লোক তাকে মারধর ও ভিডিও করেন।
তিনি বলেন, ‘পরে তারা বুঝতে পারেন ওই নারীর ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে। তখন লোকজন ফজর আলীকে মারধর করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়।’
তবে গতকাল ভোরে তাকে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় একটি ভিডিও গত শনিবার রাতে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর এ নিয়ে দেশজুড়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। পরে ওই নারীকে নির্যাতনের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন, সুমন, রমজান আলী, আরিফ ও অনিক। তাদের সবার বাড়ি মুরাদনগর উপজেলায় বলে জানা গেছে।
১৮২ দিন আগে