আইনশৃঙ্খলা
আউলিয়াপুরে মন্দিরে আবারও ১৪৪ ধারা জারি
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আউলিয়াপুর এলাকায় শ্রীশ্রী রশিক রায় জিউ মন্দিরে আবারও ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এ আদেশ দেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. খাইরুল ইসলাম।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে মন্দিরের জমির দখল নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। ২০০৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর এই মন্দিরে দুর্গাপূজা নিয়ে ইসকনপন্থী একটি পক্ষ ও অপর একটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় ইসকনভক্তদের হামলায় ফুলবাবু নামের একজন সনাতন ধর্মানুসারী নিহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উপজেলা প্রশাসন মন্দির সিলগালা করে কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব নেয়।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, ১৪৪ ধারা জারি
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, ‘এ বছর মন্দিরের সনাতন ও ইসকনপন্থীরা শিবরাত্রি ব্রত পূজা উৎসবের প্রস্তুতি নেয়। আগের মতো এবারও উত্তেজনা ও সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিলে বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৬টা থেকে শুরু করে শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টা পর্যন্ত মন্দির ও আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারির আদেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া মন্দিরের জমি নিয়ে স্থানীয় সনাতন ও ইসকন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। ২০০৯ এ হতাহতের ঘটনাও ঘটে।’
তাই শ্রী শ্রী শিবরাত্রি ব্রত পূজা উদযাপনে আবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি এবং আইনশৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
৩০৫ দিন আগে
এসআইকে মেরে হাতকড়াসহ পালাল ধর্ষণ মামলার আসামি
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে হাতকড়াসহ পুলিশের হাত থেকে পালিয়েছে ধর্ষণ মামলার আসামি। এ ঘটনায় পরে হাতকড়া উদ্ধার করলেও আসামিকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে যাদুরচর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ধনারচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পলাতক আসামি শাহনেওয়াজ আবির রাজু যাদুরচর ইউনিয়নের কাশিয়াবাড়ি গ্রামের আলী আজগরের ছেলে।
পুলিশের দাবি, আসামিকে আটক করে হাতকড়া পরানোর পর তার পরিবারের লোকজন রৌমারী থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আউয়াল হোসেনের ওপর হামলা করলে আসামি হাতকড়াসহ পালিয়ে যায়। আহত এসআইকে রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, আসামির বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও মাদক কারবারের অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়াও ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর পরিবারসহ স্থানীয়দের দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করে ভীতি প্রদর্শন করার অভিযোগও রয়েছে।
পুলিশ আরও জানায়, রাজুকে আটক করতে সোমবার রাতে এসআই আউয়াল হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল অভিযানে যায়। তাকে আটকের পর হাতকড়াও পরায় পুলিশ। এ সময় রাজু, তার মা ও খালাতো বোন পুলিশের ওপর হামলা করে। ঘটনার একপর্যায়ে এসআই আউয়ালের হাতে সে কামড় দিয়ে হাতকড়াসহ পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এসআই আউয়ালকে উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় স্বর্ণ ব্যবসায়ীক মারধর করে ‘স্বর্ণালংকার ও টাকা’ ছিনতাই
পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে রাজুর মা আবেদা আক্তার রাজিয়া এবং খালাতো বোন রুনা আক্তারকে আটক করে থানায় নিয়েছে পুলিশ। এছাড়া ওই বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে মাদক ও দেশীয় রামদা উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. নবিউল ইসলাম বলেন, ‘একজন পুলিশ সদস্য চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে তার অবস্থা গুরুতর নয়।’
রৌমারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান বলেন, ‘পুলিশের ওপর হামলা করে হাতকড়াসহ পালানো ধর্ষণ মামলার আসামি। পুলিশের অভিযানে হাতকড়া উদ্ধার হলেও, আসামিকে আটক করা যায়নি, তবে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
৩০৬ দিন আগে
ঘুষ গ্রহণের দায়ে খুলনা জজ আদালতের হিসাব সহকারীকে ১০ বছরের কারাদণ্ড
খুলনা বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের হিসাব সহকারী কাম ক্যাশিয়ার অলোক কুমার নন্দীকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) খুলনা বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আশরাফুল ইসলাম ঘুষ গ্রহণের দায়ে তার বিরুদ্ধে এ রায় ঘোষণা করেন।
এ সময় অলোক কুমার নন্দী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. ইয়াসিন আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত জানায়, খুলনা বিভাগীয় জজ আদালতে মো. জহুর ই আলমের বিরুদ্ধে বিশেষ মামলা বিচারাধীন ছিল। মামলার আসামির স্ত্রী হাসিনা আলম খোঁজখবর নিতে আদালতে আসেন। তখন অলোক কুমার নন্দী আসামি জহুর ই আলমকে দেড় লাখ টাকার বিনিময়ে খালাস করিয়ে দেওয়ার মিথ্যা আশ্বাস দেন। ১৯৯৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি অলোক কুমার নন্দীকে দেড় লাখ টাকা সিঅ্যান্ডবি কলোনির সামনে দেওয়া হবে বলে হাসিনা আলম আশ্বাস দেন, কিন্তু ওই দিন তিনি কোনো টাকা তাকে দেননি বা দেখাও করেননি। পরে একই বছরের ১৪ মে অলোক কুমার নন্দী মাগুরায় হাসিনা আলমের বাড়িতে যান এবং প্রতারণার আশ্রায় নেন। এরপর জানানো হয়, দেড় লাখ টাকা না দেওয়ায় আদালতের বিচারক আসামি জহুর ই আলমকে বিচারে সাজা দিয়েছেন। হাসিনা আলম তখন নন্দীর কাছে করণীয় জানতে চাইলে তিনি জানান, দেড় লাখ টাকা দিলে মামলার নথি পুড়িয়ে ফেলকেন তিনি।
এরপর ১৯৯৪ সালের ২৫ মে হাসিনা আলম ৬ শতক জমি ও গরু বিক্রি করে দেড় লাখ টাকা যোগাড় করে দুজনের উপস্থিতে নন্দীকে ওই টাকা দেন।
আরও পড়ুন: চেক জালিয়াতি: সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রীর ভাইয়ের কারাদণ্ড
পরবর্তীতে খাদ্য অধিদপ্তর থেকে জহুর ই আলমের বিরুদ্ধে আদালতের রায়ের সাজা সংক্রান্ত চিঠি পেয়ে আদালতে আত্মসর্ম্পণ করলে তাকে কারগারে প্রেরণ করা হয়।
পরবর্তীতে জহুর ই আলমের স্ত্রী হাসিনা আলম অলোক কুমার নন্দীর কাছে টাকা ফেরত চান। অলোক কুমার নন্দী বিভিন্ন সময়ে হাসিনা আলমকে ২৩ হাজার টাকা দিলেও আর কোনো টাকা দিতে পারবেন না বলে জানান।
এ ঘটনায় হাসিনা আলম খুলনা বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে ১৯৯৯ সালের ১৭ জুন একটি নালিশি দরখাস্ত করেন, যার পর বিভাগীয় জজ আদালত থেকে একই বছরের ২২ জুন এ বিষয়ে একটি স্মারক খুলনা দুর্নীতি দমন ব্যুরোতে প্রেরণ করেন।
২০০০ সালের ৩০ মে যাবতীয় প্রমাণাদি গ্রহণ শেষে জেলা দুর্নীতি দমন ব্যুরো পরিদর্শক মিছবাহ উদ্দিন বাদী হয়ে খুলনা থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন জেলা দুর্নীতি দমন ব্যুরোর পরিদর্শক সুভাষ চন্দ্র দত্ত। সেই মামলায় সাজা পেলেন অলোক কুমার নন্দী।
৩০৬ দিন আগে
অতিরিক্ত মহাপরিদর্শকসহ পুলিশের ৮২ কর্মকর্তাকে ওএসডি
এক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শকসহ (আইজিপি) পুলিশের ৮২ কর্মকর্তাকে (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) ওএসডি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পৃথক তিনটি প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
ওএসডি হওয়া পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে অতিরিক্ত আইজিপি আবদুল আলীম মাহমুদ এবং ১৩ উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি), ৪৯ জন অতিরিক্ত ডিআইজি এবং ১৯ জন পুলিশ সুপার পদের কর্মকর্তা রয়েছেন। তবে ওএসডির কারণ সম্পর্কে প্রজ্ঞাপনে কিছু বলা হয়নি।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের নিম্নবর্ণিত কর্মকর্তাদের জননিরাপত্তা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসেবে বদলি/পদায়ন করা হলো। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যক্রর করা হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লোখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সূত্র জানিয়েছে, এই ৮২ জন কর্মকর্তা ২০১৮ সালের বিতর্কিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেন।
৩০৬ দিন আগে
নিজেদের মধ্যে মারামারি করলে দেশের স্বাধীনতা বিপন্ন হবে: সেনাপ্রধান
নিজেদের মধ্যে মারামারি-কাটাকাটি না করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। যদি কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি বন্ধ করা না হয়; তাহলে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে বলেও হুঁশিয়ারি করে দেন তিনি।
২০০৯ সালে তৎকালীন বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) সদর দপ্তর পিলখানায় সংঘটিত নির্মম হত্যাকাণ্ডে শাহাদাতবরণকারী সেনা কর্মকর্তাদের স্মরণে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে এক অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান এ আহ্বান জানান। রাজধানীর মহাখালীর রাওয়া ক্লাবের হেলমেট হলে এ অনুষ্ঠান হয়।
তিনি বলেন, ‘দেশ-জাতি যাতে একসাথে থাকতে পারি, সেদিকে আমাদের কাজ করতে হবে। আমাদের মতের বিরোধ থাকতে পারে, চিন্তা-চেতনার বিরোধ থাকতে পারে, কিন্তু দিনশেষে যাতে আমরা সবাই দেশ-জাতির দিকে খেয়াল করে এক থাকতে পারি; তাহলে এ দেশ উন্নত হবে—সঠিক পথে পরিচালিত হবে। না-হলে আমরা আরও সমস্যার মধ্যে পড়ে যাবে। আমরা সেদিকে যেতে চাই না।’
‘আমি আপনাদের সতর্ক করে দিচ্ছি, বলবেন যে আমি সতর্ক করিনি—আপনারা যদি নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ ভুলে একসাথে কাজ করতে না পারেন, নিজেরা যদি কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি করেন, মারামারি-কাটাকাটি করেন; এ দেশ ও জাতির স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে,’ বলেন সেনাপ্রধান।
আরও পড়ুন: শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনীকে ধৈর্যের সঙ্গে কাজ করতে হবে: সেনাপ্রধান
তিনি বলেন, ‘আমার অন্য কোনো আকাঙ্ক্ষা নেই, একটিই আকাঙ্ক্ষা দেশ ও জাতিকে একটি সুন্দর জায়গায় রাখা। আই হ্যাড ইনাফ। লাস্ট সেভেন-এইট মান্থ, আই হ্যাড এনাফ। আমি চাই, দেশ ও জাতিকে একটি সুন্দর জায়গায় রেখে আমরা সেনানিবাসে ফেরত আসবো।’
‘আরেকটি জরুরি বিষয়, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার নেপথ্যে কিছু কারণ আছে। তার মধ্যে একটি হচ্ছে—আমরা নিজেরা হানাহানির মধ্যে ব্যস্ত। একজন-আরেকজনের বিরুদ্ধে বিষোদগারে ব্যস্ত। এটা একটা চমৎকার সুযোগ অপরাধীদের জন্য। যেহেতু আমরা একটি অরাজক পরিস্থিতির মধ্যে বিরাজ করছি, সেহেতু তারা ভালোভাবেই জানেন যে এই সময় এসব অপরাধ করা গেলে এখান থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। সে কারণে এই অপরাধগুলো হচ্ছে।’
ওয়াকার-উজ-জামান আরও বলেন, ‘আমরা যদি সংগঠিত থাকি, একত্রিত থাকি, তাহলে অবশ্যই এটা সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব হবে। পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, ডিজিএফআই, এনএসআই—এগুলো দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ অতীতে করেছে। খারাপ কাজের সঙ্গে অসংখ্য ভালো কাজ করেছে। আজ দেশের যে স্থিতিশীলতা, দেশকে যে এতগুলো বছর স্থিতিশীল রাখা হয়েছে, এটার কারণ হচ্ছে এই সশস্ত্র বাহিনীর বহু সেনা সদস্য, সিভিলিয়ান—সবাই বিলে এই সংস্থাগুলোকে কার্যকর রেখেছে।’
আরও পড়ুন: সেনাসদস্যদের দেশপ্রেমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে: সেনাপ্রধান
‘সে জন্য এতদিন ধরে আমরা একটি সুন্দর পরিবেশ পেয়েছি। এরমধ্যে যারা কাজ করেছেন, যারা অপরাধ করেছেন, তাদের অবশ্যই শাস্তি হতে হবে। না-হলে এই জিনিস আবার ঘটবে। আমরা সেটাকে বন্ধ করতে চাই চিরতরে। কিন্তু তার আগে মনে রাখতে হবে, আমরা এমনভাবে কাজটা করবো, যাতে এসব সংস্থা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। আজকে পুলিশ সদস্য কাজ করছে না। তার একটি বড় কারণ হচ্ছে, তাদের অনেকের বিরুদ্ধে মামলা, অনেকে জেলে।’
সেনাপ্রধান বলেন, ‘দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে, তবে কাজটি এমনভাবে করতে হবে, যাতে এসব সংস্থা ক্ষতিগ্রস্ত না-হয়। এসব সংস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে যদি মনে করেন দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা বিরাজ করবে, সবাই শান্তিতে থাকবেন, সেটা হবে না। সেটা সম্ভব না। আমি পরিষ্কার করে বলে দিচ্ছি।’
‘এই দেশের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব কেবল সেনাবাহিনীর না, দুই লাখ পুলিশ আছে, বিজিবি আছে, র্যাব আছে, আনসার-ভিডিপি আছে। আমার আছে ত্রিশ হাজার সেনা। কিন্তু এই একটা ভয়েড (শূন্যতা), সেটা এই ত্রিশ হাজার সেনা দিয়ে কীভাবে পূরণ করবো? ত্রিশ হাজার আসে, আবার ত্রিশ হাজার ক্যান্টনমেন্টে চলে যায়, এটা দিয়ে দিন-রাত আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি, এখানে যেসব উচ্ছৃঙ্খল কাজ হয়েছে, সেটা আমাদের নিজস্ব তৈরি। বিপরীতমুখী কাজ করলে দেশে কখনো শান্তি-শৃঙ্খলা আসবে না, এটা মনে রাখতে হবে।’
ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ‘আমরা দেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে যাচ্ছি। তার আগে যেসব সংস্কার করা প্রয়োজন, অবশ্যই সরকার সেদিকে খেয়াল করবেন। যতবার ড. ইউনূসের সাথে কথা বলেছি, ততবার তিনি আমার সাথে একমত হয়েছেন যে একটি অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া দরকার এবং সেই নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে হতে হবে। যেটা আমি প্রথমেই বলেছিলাম আঠারো মাসের মধ্যে একটি নির্বাচন। আমার মনে হচ্ছেওয়াকার-উজ-জামানসরকার সেদিকে ধাবিত হচ্ছে। ড. ইউনূস যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন দেশটিকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে। তাকে আমাদের সাহায্য করতে হবে।’
৩০৬ দিন আগে
এটিএম আজহারের রিভিউ শুনানি কাল পর্যন্ত মুলতবি
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের রিভিউ শুনানি মুলতবি করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতির সৈয়দ রেফাত হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ আংশিক শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে আগামীকাল বুধবার সকালে আবার রিভিউ শুনানি করার সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন আদালত।
শুনানি শেষে সাংবাদিকদের হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে ব্রিফিং করে এই তথ্য জানান আসামি পক্ষের আইনজীবী শিশির মোহাম্মদ মনির।
তিনি বলেন, আজকে রিভিও আবেদনের আংশিক শুনানি হয়েছে। আগামীকাল বুধবার সকালে আবার শীর্ষ গুরুত্বপূর্ণ মামলা হিসেবে এটির শুনানি হবে।
আদালতে শুনানির বিষয়ে শিশির মনির বলেন, আজকে কথোপকথনের এক পর্যায়ে আদালত সন্তুষ্ট হয়ে এডিশনাল গ্রাউন্ড চেয়েছে। কোন কোন গ্রাউন্ডে রিভিউ করা হবে। তার জন্য আমরা সাতটি গ্রাউন্ড আগে তৈরি করেছিলাম। সেই গ্রাউন্ডের কপি আজ আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। এই গ্রাউন্ডে জামিন হবে কি হবে না তার শুনানি হবে আগামীকাল। শুনানি শেষে আদালত পরবর্তী আদেশ দেবেন।
তিনি বলেন, মূলত তৎকালীন আদালত ওনাকে(আজহার) তিনটি ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছিল। ওই মামলায় আরেকজন বিচারপতি ভিন্নমত পোষণ করে ওনাকে খালাস দিয়েছেন। এই বিষয়গুলো এই রিভিউ আবেদনে উঠে এসেছে।
শিশির বলেন, আমরা আশাকরি আগামীকাল আমাদের এডিশনাল গ্রাউন্ডে লিভ মঞ্জুর করবে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে শিশির মনির বলেন, প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইন বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না মর্মে অতীতে আদালত বলেছেন। এটিই আজকে রিভিউ হচ্ছে। আন্তর্জাতিক আদালতের আইন এখানে প্রযোজ্য হবে না—এই কথা বলে রায় দেওয়া হয়েছে। এটিএম আজহারুল ইসলাম, মতিউর রহমান নিযামী, আলী আহসান মুজাহিদসহ সকলের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আইনের প্রথাগত বিধান প্রযোজ্য নয় মর্মে যে রায় দিয়েছে, একটি ফাইন্ডিং দিয়ে মানুষগুলোকে দণ্ড দিয়ে তা কার্যকর করা হলো—আজকে যদি সেই রায়গুলো এই পয়েন্টে রিভিউ হয়, তাহলে আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োগ না করার কারণে যে অবিচার হয়েছে— সেটি নতুন করে আবার প্রমাণিত হবে।
আন্তর্জাতিক আইনকে প্রয়োগ না করে অভ্যন্তরীণ আইন দিয়ে বিচার করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন শিশির মনির।
এর আগে এটিএম আজহারের রিভিউ শুনানির তারিখ দেওয়া হলেও তা পিছিয়ে ২৫ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়।
আরও পড়ুন: এটিএম আজহারের রিভিউ শুনানি ২৫ ফেব্রুয়ারি
৩০৭ দিন আগে
আবরার ফাহাদ হত্যা মামলা: হাইকোর্টের রায় যেকোনো দিন
বহুল আলোচিত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে যেকোনো দিন রায় ঘোষণা করবেন হাইকোর্ট।
শুনানি শেষ করে সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমান রাখেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে বি রুমি। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার সুমাইয়া আজিজ ও জামিউল হক ফয়সাল। এছাড়া এই মামলায় শুরুর দিন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান শুনানি করেছিলেন। আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও আইনজীবী শিশির মনির।
এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি বহুল আলোচিত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শুরু হয়।
গত অক্টোবর মাসে বহুল আলোচিত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্স দ্রুত শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হয়। অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এ উদ্যোগ নেন।
২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবনের আদেশ দেন আদালত।
ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: নদী বাঁচাতে আবরার ফাহাদের দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের পথ নির্দেশ করবে: নাহিদ ইসলাম
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন— বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল (সিই বিভাগ, ১৩তম ব্যাচ), সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন (কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৫তম ব্যাচ), তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার অপু (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), সাহিত্য সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির (ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), উপসমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল (বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য মুনতাসির আল জেমি (এমআই বিভাগ), সদস্য মোজাহিদুর রহমান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য হোসেন মোহাম্মদ তোহা (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), সদস্য এহতেশামুল রাব্বি তানিম (সিই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), শামীম বিল্লাহ (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মাজেদুর রহমান মাজেদ (এমএমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), খন্দকার তাবাক্কারুল ইসলাম তানভীর (মেকানিক্যাল, ১৭তম ব্যাচ), মুহাম্মদ মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল জিসান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), এস এম নাজমুস সাদাত (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মিজানুর রহমান (ওয়াটার রিসোসের্স, ১৬ ব্যাচ), শামছুল আরেফিন রাফাত (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং), উপ-দপ্তর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ (কেমিকৌশল) এবং এসএম মাহামুদ সেতু (কেমিকৌশল)।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ৫ আসামি হলেন— বুয়েট ছাত্রলীগের সহসভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ (১৪তম ব্যাচ, সিই বিভাগ), গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না (মেকানিক্যাল, তৃতীয় বর্ষ), আইনবিষয়ক উপসম্পাদক অমিত সাহা (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং), সদস্য আকাশ হোসেন (সিই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ) ও মোয়াজ আবু হোরায়রা (সিএসই, ১৭ ব্যাচ)।
আরও পড়ুন: আবরার ফাহাদ হত্যার ৫ বছর, এক মায়ের অন্তহীন দুঃখ
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে পরের দিন ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা বরকত উল্লাহ।
মাত্র ৩৭ দিনে তদন্ত শেষ করে একই বছরের ১৩ নভেম্বর অভিযোগ পত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জামান। এরপর বিচার শেষে রায় দেন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল।
রায়ের পর ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স ও মামলার নথি হাইকোর্টে আসে।
ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ থেকে ৬ হাজার ৬২৭ পৃষ্ঠার ডেথ রেফারেন্স ও মামলার যাবতীয় নথি হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় পাঠানো হয়।
এরপরই আসামিরা দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে ফৌজদারি আপিল ও জেল আপিল করেন। ফৌজদারি কার্যবিধি অনুসারে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলে তা অনুমোদনের জন্য মামলার যাবতীয় কার্যক্রম উচ্চ আদালতে পাঠাতে হয়। দণ্ডিত আসামিরা উচ্চ আদালতে ফৌজদারি আপিল এবং জেল আপিল করতে পারেন।
এরপর ডেথরেফারেন্স, আপিল ও জেল আপিলের ওপর একসঙ্গে শুনানি হয়।
আরও পড়ুন: বুয়েটছাত্র আবরারের পরিবারকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন নয়: হাইকোর্ট
৩০৭ দিন আগে
হবিগঞ্জের সাবেক এমপি মজিদ ২ দিনের রিমান্ডে
হবিগঞ্জ-২ আসনের (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট মজিদ খানকে দুই দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) হবিগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. দেলোয়ার হোসাইন শুনানির পর এই আদেশ দেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হবিগঞ্জ জেলা সদরে রিপনশীল হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি হিসেবে তাকে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
এর আগে ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা থেকে মজিদ খানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল ৫ দিনের রিমান্ডে
৫ আগস্ট বানিয়াচংয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলন চলাকালে বানিয়াচং উপজেলা সদরে গুলিতে ৯ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় তিনি দুই নম্বর আসামি। এছাড়া হবিগঞ্জ জেলা সদরে রিপনশীল হত্যা মামলায় ৩ নম্বরে রয়েছে তার নাম।
মজিদ খান ২০০৯, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে ওই আসনে এমপি নির্বাচিত হন। ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে আওয়ামী প্রার্থীর কাছে হেরে যান। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
৩০৭ দিন আগে
হবিগঞ্জে নারীকে হত্যা: প্রবাসীসহ ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় এক নারীকে হত্যার দায়ে ৪ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ একেএম কামাল উদ্দিন এ আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নবীগঞ্জ উপজেলার মদনপুর গ্রামের আল আমিন, মায়ানগরের ছদর আলী, উত্তমপুরের তাজ উদ্দিন ও ইংল্যান্ড প্রবাসী মহিউদ্দিন আহমেদ ওরফে সুফি মিয়া।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১০ ডিসেম্বর নবীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কমিশনার ও যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমানের বাড়ির সীমানা প্রাচীরের কাছে জ্যোৎস্না বেগম নামে এক নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই নারীর বাড়ি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার উচাইল চারিনাও গ্রামে।
এ ঘটনার পর মিজানুরসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন মৃত নারীর ভাই রজব আলী। কিন্তু পরবর্তীতে পুলিশের তিন দফা তদন্তে বের হয়ে আসে যুবলীগ নেতা মিজানুরকে ফাঁসানোর জন্য ইংল্যান্ড প্রবাসী সুফি মিয়া ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে আসামিদেরকে দিয়ে জ্যোৎস্নাকে হত্যা করান।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড
পরে সিআইডি এ চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত আল আমিন, ছদর আলী, তাজ উদ্দিন ও সুফি মিয়াসহ ৭ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এর আগে ছদর আলী ও তাজ উদ্দিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ঘটনার ১১ বছর পর আদালত ২৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযুক্তদের মধ্যে ওই চারজনকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ডের আদেশ দিয়েছেন। বাকী ৩ জনকে বেখসুর খালাস দেওয়া হয়।
অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারি তপন সিংহ জানান, রায় ঘোষণার সময় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত চার আসামির সবাই পলাতক ছিলেন।
৩০৭ দিন আগে
চ্যানেল ওয়ান সম্প্রচারে আসতে বাধা নেই: আপিল বিভাগ
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ওয়ানের সম্প্রচার বন্ধে ১৬ বছর আগে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) দেওয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে চ্যানেল ওয়ানের সম্প্রচার শুরু করতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
চ্যানেল ওয়ানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের করা লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে (আপিলের অনুমতি দিয়ে) সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এদিন আদালতে চ্যানেল ওয়ানের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল, পলাশ চন্দ্র রায়, কাজী আখতার হোসেন, মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ, ব্যারিস্টার মারুফ ইব্রাহিম আকাশ এবং মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ।
চ্যানেল ওয়ানের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপিল বিভাগ চ্যানেল ওয়ান বন্ধে বিটিআরসির নোটিশের কার্যকারিতা স্থগিত করে আদেশে দিয়েছেন। এই আদেশের ফলে বেসরকারি টেলিভিশন ‘চ্যানেল ওয়ান’ সম্প্রচারে আসতে বাধা নেই।
আরও পড়ুন: দেশ পরিচালনায় কিছু ক্ষেত্রে ব্যর্থতার কথা স্বীকার আইন উপদেষ্টার
২০১০ সালের ২৭ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টার কিছু পর চ্যানেল ওয়ান এর ফ্রিকোয়েন্সি বরাদ্দ বন্ধ করে দেয় বিটিআরসি। অভিযোগ রয়েছে, রাজনৈতিক এবং প্রতিহিংসাবশত শেখ হাসিনা বিটিআরসিকে বাধ্য করে জনপ্রিয় এই গণমাধ্যমটির সম্প্রচারে হস্তক্ষেপ করেন। পরে হাইকোর্ট বিভাগে মামলা করেন চ্যানেল ওয়ান কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সরাসরি তৎকালীন সরকারের অন্যায় নির্দেশে মামলার আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়।
চ্যানেল ওয়ানের আইন কর্মকর্তা মিজান-উল হক বলেছেন, ছাত্র-জনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর আবারও মামলা নিয়ে আদালতে গেলে চেম্বার জজ আপিল করার অনুমতি দেন।
তিনি বলেন, চ্যানেল ওয়ান কর্তৃপক্ষের অভিযোগ রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় আওয়ামী লীগ সরকার চ্যানেলটির সম্প্রচার বন্ধ করে। পরবর্তী সম্প্রচার বন্ধের বিষয়টি হাইকোর্ট হয়ে আপিল বিভাগে শুনানির জন্য আসে।
৩০৭ দিন আগে