আইনশৃঙ্খলা
ডিসিদের মতো এসপিদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছ: ধর্ম উপদেষ্টা
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ডিসিদের মতো ২০১৮ সালের নির্বাচনে যেসব পুলিশ সুপার (এসপি) দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যাবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া হিসেবে ওএসডি করা বা বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর কাজ চলমান রয়েছে।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার মডেল মসজিদের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
ড. খালিদ হোসেন বলেন, ‘সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সরকার আন্তরিকভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এই সরকার দায়িত্ব নেওয়ার সময় পুলিশ প্রশাসনে অস্থিরতা ছিল। সরকারের প্রচেষ্টায় পুলিশকে আস্থার জায়গায় এনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রমজান মাসে ওমরা যাত্রীদের কাছ থেকে টিকিটের দাম বেশি নেওয়া টিকিট সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
নাটোরের জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন, প্রকল্প পরিচালক ফেরদৌস-উর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রায় সাড়ে ১৩ কোটি টাকা ব্যায়ে মসজিদটি নির্মাণ করে গণপূর্ত অধিদপ্তর। পরে উপদেষ্টা জেলার লালপুর মডেল মসজিদের উদ্বোধন করেন।
৩০৯ দিন আগে
সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদের স্ত্রী মোনালিসাকে কারগারে পাঠানোর নির্দেশ
সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের স্ত্রী ও যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভানেত্রী সৈয়দা মোনালিসা ইসলামের তিন দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে মেহেরপুর আমলি আদালতের বিচারক শারমিন নাহারের আদালতে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মোনালিসাকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে বেলা ১২টার দিকে আদালতে নেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার উপপরিদর্শক জহিরুল ইসলাম।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দায়ের করা একটি মামলায় গত রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঢাকার ইস্কাটন এলাকা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। পরদিন ১৭ ফেব্রুয়ারি মেহেরপুর আমলি আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদের স্ত্রী মোনালিসা তিন দিনের রিমান্ডে
সেসময় বিচারক শারমিন নাহার মোনালিসা তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। কোর্ট ইন্সপেক্টর মানষ রঞ্জন দাস বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের দায়ের করা মামলাটিতে মোনালিসার সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে আদালত তাকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন। অপরদিকে পলি খাতুন নামের আরেক নারীর দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এ সময় মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর সাইদুর রাজ্জাক, কোর্ট ইন্সপেক্টর মানষ রঞ্জন দাস এবং আসামি পক্ষে ইব্রাহিম শাহীন আইনজীবীর দায়িত্ব পালন করেন।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা মামলার ১২ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি তিনি। এ ছাড়াও পলি খাতুনের গত ৫ আগস্ট দায়ের করা একটি জিআর মামলার প্রধান আসামি মোনালিসা।
৩১২ দিন আগে
২৭তম বিসিএসে বঞ্চিত ১১৩৭ জনের চাকরি ফেরত দিতে নির্দেশ
১৭ বছর আগে ২৭তম বিসিএসে নিয়োগবঞ্চিত ১ হাজার ১৩৭ জনের চাকরি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) আপিল শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।
এর আগে গতকার বুধবার এ-সংক্রান্ত রায়ের বিরুদ্ধে করা তিনটি আপিলের ওপর শুনানি শেষে বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ রায়ের এদিন ধার্য করেন।
আদালতে আপিলকারীদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক। পিএসসির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া।
আরও পড়ুন: এক বছরেই বিসিএস পরীক্ষা সম্পন্নের সুপারিশ সংস্কার কমিশনের
জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন জানান, এর আগে এক-এগারোর সরকারের সময় ২৭তম বিসিএসে দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১ হাজার ১৩৭ জন চূড়ান্ত সুপারিশের পর চাকরিতে প্রবেশ করবেন—এ পর্যায়ে ওই সিদ্ধান্ত হয়।
আইনজীবীদের তথ্যমতে, পরে দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা হয়। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ ২৭তম বিসিএসের প্রথম মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল বাতিলের সিদ্ধান্ত বৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। হাইকোর্টের অপর একটি বেঞ্চ ২০০৯ সালের ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা অবৈধ ঘোষণা করেন। প্রথম রায়ের বিরুদ্ধে নিয়োগবঞ্চিত ২৫ জন আপিল বিভাগে দুটি লিভ টু আপিল করেন। দ্বিতীয় রায়ের বিরুদ্ধে সরকার তিনটি লিভ টু আপিল করে। এ ক্ষেত্রে ২০৫ জন হাইকোর্টে রিট করেছিলেন। কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়ে আপিল বিভাগ সরকারের লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে ২০১০ সালের ১১ জুলাই রায় দেন। এ রায়ে দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া সঠিক বলা হয়।
ওই রায় নিয়ে রিভিউ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লিভ টু আপিল মঞ্জুরের পর নিয়োগবঞ্চিত ১ হাজার ১৩৭ জনের পক্ষে করা পৃথক আপিলের ওপর আজ রায় হলো। রায়ে নিয়োগ বঞ্চতদের নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার সূচি প্রকাশ
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৭ সালের ২১ জানুয়ারি ২৭তম বিসিএসের প্রথম মৌখিক পরীক্ষায় ৩ হাজার ৫৬৭ জন উত্তীর্ণ হন। তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ ওই বছরের ৩০ মে প্রথম মৌখিক পরীক্ষার ফল বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে পিএসসি ওই বছরের ১ জুলাই প্রথম মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল বাতিল করে। ওই বছরের ২৯ জুলাই দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২০০৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষায় ৩ হাজার ২২৯ জন উত্তীর্ণ হন। পরে তাদের চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া হয়।
৩১২ দিন আগে
সিরাজগঞ্জে অস্ত্র মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
গোপাল চন্দ্র বেলকুচি উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের হরিপদ চন্দ্র সূত্রধরের ছেলে।
মামলার বরাত দিয়ে ওই আদালতের এপিপি হাদীউজ্জামান সেখ বলেন, ‘সদর উপজেলার কাদাই সিলভার ডেলপার্কের সামনে ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর অস্ত্র ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে গোপাল চন্দ্র সুত্রধরকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছে থাকা স্কুল ব্যাগ তল্লাশি করে ৮টি দেশীয় ওয়ান শুটার গান ও ১৫ রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে ২ জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিচারক গোপাল চন্দ্রকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর আসামি রেজাউল করিমকে খালাস প্রদান করেন।
৩১২ দিন আগে
সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল ৫ দিনের রিমান্ডে
ঢাকার উত্তরায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মাহিন (১৬) হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালত রিমান্ডের এই আদেশ দেন।
এদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তার পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। শুনানিকালে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। তারপক্ষে আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত তার পাঁচদিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলায় মামলা: রিমান্ডে ফারুক খান, ইনু ও মেনন
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ৪ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি কলেজে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের ডিপ্লোমা প্রথম বর্ষের ছাত্র আব্দুল্লাহ আল মাহিন উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরে আন্দোলনে অংশ নেন। সেখানে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মাহিন।
এ ঘটনায় মাহিনের বাবা জামিল হোসেন সোহেল ২১ আগস্ট উত্তরা পশ্চিম থানায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
৩১২ দিন আগে
খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলায় মামলা: রিমান্ডে ফারুক খান, ইনু ও মেনন
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় মতিঝিল থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক মন্ত্রী ফারুক খান, হাসানুল হক ইনু ও রাশেদ খান মেননের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রত্যেকের পাঁচ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের ৫ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
রিমান্ড শেষে সাবেক মন্ত্রী ফারুক খান ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজতখানায় নিয়ে যাওয়ার পথে কারাগার থেকে তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়া সম্পর্কে জানতে চান সাংবাদিকরা।
এসময় ফারুক খান বলেন, ‘কারাগার থেকে কীভাবে স্ট্যাটাস দিবো? কারাগার থেকে কি স্ট্যাটাস দেওয়া যায়? এটা মিথ্যা কথা।’
মামলার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২০ এপ্রিল নির্বাচনী প্রচারণার সময় বিএনপি কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত পথসভায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে আসামিরা অস্ত্রসহ তার গাড়িবহরে হামলা চালান।
এসময় তারা খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের ১২ থেকে ১৪টি গাড়ি ভাঙচুর করে, ৪টি মোটরসাইকেলে আগুন দেয় এবং নেতাকর্মীদের মারধর করেন।
আরও পড়ুন: সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদের স্ত্রী মোনালিসা তিন দিনের রিমান্ডে
হামলায় খালেদা জিয়ার নিরাপত্তারক্ষীরা আহত হন।
অভিযোগে আরো বলা হয়, খালেদা জিয়াকে লক্ষ্য করে আসামিরা ইট-পাথর নিক্ষেপ করলে সাধারণ পথচারীরা আহত হয়।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট এবং এর অঙ্গ সংগঠনগুলোর ২০০ থেকে ৩০০ নেতাকর্মী দেশি অস্ত্র হাতে নিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
হামলার সময় আসামিরা মূল্যবান জিনিস ছিনিয়ে নেয় ও জোরপূর্বক আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি করে।
৩১২ দিন আগে
গণহত্যা: ২০ এপ্রিলের মধ্যে হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ
জুলাই-আগস্টে গণহত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। গত ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনা ও আরেক মামলায় তার পরিবারের সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের দুই সদস্য হলেন, বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
আসামিদের মধ্যে ১৬ জনকে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় হাজির করা হয় ট্রাইব্যুনালে। এরা হলেন— সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, ডা. দীপু মনি, আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, গোলাম দস্তগীর গাজী, আমির হোসেন আমু, কামরুল ইসলাম, সাবেক মন্ত্রী ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী ও সালমান এফ রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার ও জুনায়েদ আহমেদ পলক, আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম।
অন্য যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়না জারি করা হয় তারা হলেন— শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা, শেখ হাসিনার মন্ত্রিপরিষদের সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত, আসাদুজ্জামান খান কামাল, আনিসুল হক, ডা. দীপু মনি, মোজাম্মেল হক, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, জুনাইদ আহমেদ পলক, শেখ সেলিম, ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, শেখ ফজলে শামস পরশ, সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ মামুন, ডিবি হারুন, পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকার, প্রলয় কুমার জোয়ার্দার, সাবেক ডিএমপি হাবিবুর রহমান, সাবেক র্যাব ডিজি হারুন অর রশিদ, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা তারেক আনাম সিদ্দিকী, সাবেক বিচারপতি মানিক, ড. জাফর ইকবাল, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামসহ ৪৬ জন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর মিজানুর রহমান। তাদের সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর আবদুস সোবহান তরফদার ও গাজী এমএইচ তামিমসহ অন্যান্য প্রসিকিউটর। আদালতে আসামির পক্ষে ওকালতনামা জমা দেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না।
এ বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘গত বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের এক মামলায় শেখ হাসিনার বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় আরও দুই মাস বাড়ানো হয়েছে। আগামী ২০ এপ্রিল নির্ধারণ করেছেন অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া গণহত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার আরও ১৬ জনের বিষয়েও তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে বলা হয়েছে।’
শেখ হাসিনার তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বর্তমান স্ট্যাটাস যে কোনো পর্যায়ে তদন্তটা আছে, সেটা আদালতে বলেছি। আমরা আশা করি আগামী মাসের মধ্যে, বিশেষ করে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যেটা, সেটার তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করা সম্ভব হতে পারে। এটা কোনো ফাইনাল টাইমলাইন নয় বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার পৈতৃক সম্পত্তিতে ভাঙচুর ও লুটপাট
‘আমাদের তদন্ত রিপোর্টের মধ্যে জাতিসংঘের রিপোর্ট ন্যাচারালি অন্তর্ভুক্ত হবে বলে আশা করছি। জাতিসংঘের প্রতিবেদনের উপাদানগুলো চেয়েছি। সেগুলো সংগ্রহের একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি। যতটুকু পাওয়া যাবে, সেটাকে তদন্ত প্রতিবেদনে সংযুক্ত করব। এটা মামলা প্রমাণের জন্য বড় এভিডেন্স (প্রমাণ) হিসেবে কাজ করবে। এ জন্য দুই মাসের সময় চেয়েছিলাম। আদালত ২০ এপ্রিল পরবর্তী তারিখ রেখেছেন। আমরা আশা করছি এর আগে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করতে পারব। আমরা তদন্তের একটা চূড়ান্ত পর্যায়ে আছি।’
স্বাধীনতাযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের বিচারে করা হয়েছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৭৩। সে আইনে অপরাধীদের বিচারও চলে আসছিল। কিন্তু ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর সে আইন নতুন করে আলোচনায় উঠে আসে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত জুলাই ও আগস্টে গণহত্যার অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এরই অংশ হিসেবে নতুন প্রসিকিউশন টিম ও তদন্ত সংস্থা গঠিত হয়েছে।
বিচারের জন্য উল্লেখযোগ্য সংশোধনী আনা হয়েছে আইনে। শুধু আইনেই নয়, মেরামত করে দৃষ্টিনন্দন তথা ব্যবহার উপযোগী করা হয়েছে ট্রাইব্যুনালের মূল ভবন। সংশোধিত আইনে বিচার হবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যা চালানোর অপরাধে অভিযুক্তদের।
গণ-অভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ, ১৪ দলের নেতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত গুম, হত্যা, গণহত্যাসহ একশর বেশি অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে জমা পড়েছে। এসব মামলার মধ্যে গত ১৭ অক্টোবরে একটি মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। মামলায় আরও ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
৩১৩ দিন আগে
কয়রায় সাবেক এমপি, ইউএনও ও পুলিশসহ ৮০ জনের নামে মামলা
বছর চারেক আগে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির নেতাদের ত্রাণ বিতরণে বাধা দিয়ে মারপিটের অভিযোগে খুলনার কয়রায় সাবেক সংসদ সদস্য, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও তিন পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৮০ জনের নামে মামলা হয়েছে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) কয়রা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন জি এম রাজিবুল আলম নামের লবণচরা এলাকার এক বাসিন্দা। তিনি খুলনা মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক ছিলেন।
আসামিরা হলেন, খুলনা-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম, সাবেক ইউএনও মমিনুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম, কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক নীশিত রঞ্জন মিস্ত্রী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিজয় কুমার সরদার, তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) সাচ্চু শেখ ও মিহির মজুমদার, কয়রা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, বাগালী ইউপির চেয়ারম্যান আ. সামাদ গাজী, আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক ও আরাফাত হোসেন, আমিনুল হক বাদল, মনি শংকর রায়, সুমাইয়া নীলা ও কাজল প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বন্ধুকে হত্যা মামলার প্রায় ১০ বছর পর যুবককে আটকাদেশ
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ১২ জুন সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জুর নেতৃত্বে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা কয়রায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ ও ক্ষতিগ্রস্ত ভেড়িবাঁধ পরিদর্শনে আসেন। কয়রায় ত্রাণ বিতরণ শেষে পাইকগাছাতে বিতরণের উদ্দেশ্যে রওনা দিলে চাঁদআলী সেতু এলাকায় তাদের বহনকারী গাড়ির পথরোধ করে আসামিরা। এরপর বন্দুক, দেশীয় অস্ত্রসহ লাঠিসোঁটা দিয়ে মারপিট করে তাদেরকে রক্তাক্ত জখম করে।
ওই সময় পুলিশ-প্রশাসনের কাছে সহায়তা চাইলে উল্টো তাদেরকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। তাদের পাঁচটি প্রাইভেটকার ও ১৭টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করা হয়েছে বলে মামলায় বলা হয়েছে।
মামলার বাদী বাপ্পী বলেন, ‘তৎকালীন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট প্রতিকূল না থাকায় মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে। ন্যায়বিচার পাবো বলে আশা করছি।’
বাদীর আইনজীবী আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘মামলাটি আদালত আমলে নিয়েছে। আশা করছি ন্যায় বিচার পাবো।’
৩১৩ দিন আগে
ধারালো রাম দার সামনে স্বামীর ঢাল হয়ে দাঁড়ালেন স্ত্রী
রাজধানীর উত্তরাতে এক দম্পতির ওপর ধারালো রামদা নিয়ে হামলা করে দুই ব্যক্তি। সে সময় স্বামীকে বাঁচাতে ধারালো অস্ত্রের সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে যান স্ত্রী। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরে এমন ঘটে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে সেই হামলার ভিডিও।
এতে দেখা যায়, স্বামীকে বাঁচাতে ঢাল হয়ে ছিলেন স্ত্রী। যদিও এই হামলায় স্বামী-স্ত্রী উভয়ই আহত হয়েছেন। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।তবে এখানে স্ত্রী দেখিয়েছেন ভালোবাসার অন্যান্য দৃষ্টান্ত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার এই ঢাল হয়ে থাকার ঘটনা প্রশংসিত হচ্ছে। ধারালো অস্ত্রের সামনেও স্বামীকে বাঁচাতে পিছপা হননি তিনি।
আরও পড়ুন: উত্তরায় চাপাতি দিয়ে দম্পতির ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
ঘটনার বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এ বি সিদ্দিক জানান, বেপরোয়া গতির একটি মোটরসাইকেল একটি রিকশাকে ধাক্কা দেয়। এ ঘটনায় প্রথমে রিকশাচালক প্রতিবাদ করেন। পাশের আরেকটি মোটরসাইকেলে ছিলেন হামলার শিকার দম্পতি। তারাও এ ঘটনার প্রতিবাদ জানান।
তিনি বলেন, পরবর্তীতে ধাক্কা দেওয়া মোটরসাইকেলের দুই আরোহী আরও কয়েকজনকে ডেকে আনেন। পরে ওই দম্পতির ওপর দুজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করেন। হামলাকারীরা স্থানীয় অপরাধী চক্রের সদস্য।
এ ছাড়াও উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি হাফিজুর রহমান জানান, এই ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন মোবারক হোসেন (২৫) ও রবি রায় (২২)। হামলাকারীরা কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য বলে উল্লেখ করেন তিনি।
হামলাকারীরাদের সন্ত্রাসী বলে অভিহিত করে তিনি বলেন, তদন্তের পর ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৩১৩ দিন আগে
সাবেক স্বাস্থ্য সচিব জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি
সাবেক স্বাস্থ্য সচিব জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বুধবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ডিবির যুগ্ম কমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ রবিউল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় তাকে আদালতে হাজির করা হবে।
জাহাঙ্গীর জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের সময় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ছিলেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে জাতীয় সংগীত অবমাননা করে টিকটক, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ২০ আগস্ট জাহাঙ্গীরকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে পরিকল্পনা কমিশনে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তাকে কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগে নিযুক্ত করা হয়।
পরে নানা অভিযোগের মুখে সরকার তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায়।
জাহাঙ্গীর আলম ২০২৩ সালের ৯ অক্টোবর স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
এর আগে তিনি ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর পর্যন্ত সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
৩১৪ দিন আগে