শিক্ষা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট হ্যাকড
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ফলাফলের ওয়েবসাইটি হ্যাক করা হয়েছে।
ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে একটি জুয়া বা অনলাইন গ্যাম্বলিং সাইট ( ডিভি টোটো) এর বিজ্ঞাপন বা পেজ প্রদর্শিত হচ্ছে, যেখানে ‘টোটো স্লট’, ‘টোটো টোগল’, এবং ‘স্লট গ্যাচর’ জাতীয় লিখা ভেসে উঠছে। এগুলো মূলত ইন্দোনেশিয়ায় প্রচলিত অনলাইন জুয়ার ভাষা।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোসাদ্দেক হোসেন কামাল তুষার বলেন, ‘বিষয়টি কন্ট্রোল রুমে জানানোর পর তারা এটি নিয়ে কাজ করছে।’
১৯১ দিন আগে
ঢাবি ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশাসনের একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছয়টি প্রধান প্রবেশপথে সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত প্রক্টরিয়াল টিমের সঙ্গে আনসার ও সশস্ত্র পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে তল্লাশি অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
ক্যাম্পাসে সাম্প্রতিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও আসন্ন ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এই নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৮ জুন) ঢাবির জনসংযোগ দপ্তরের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এ বিষয়ে গতকাল (মঙ্গলবার) উপাচার্যের কার্যালয়ে এক বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নিরাপত্তা জোরদারে স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন থাকবে। ছয়টি প্রধান প্রবেশদ্বারে সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি অভিযান চালানো হবে, যাতে অংশ নেবেন প্রক্টরিয়াল টিম, আনসার এবং সশস্ত্র পুলিশ সদস্যরা।
বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর থেকে ভবঘুরে ব্যক্তিদের উচ্ছেদে নিয়মিত অভিযান চালাবে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল টিম। তাদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহায়তা চেয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পাশাপাশি ক্যাম্পাসের আশপাশে সেনা টহল বৃদ্ধির জন্য সেনাবাহিনীকে চিঠি দেওয়া হবে।
ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে সভা করার মাধ্যমে নিরাপত্তা বিষয়ক সচেতনতা ও সহযোগিতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ক্যাম্পাসজুড়ে সিসিটিভি ক্যামেরার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে, নষ্ট ক্যামেরাগুলো সংস্কার করা হয়েছে এবং রাতের আলোকসজ্জা আরও জোরদার করা হয়েছে। একই সঙ্গে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘিরে পুলিশের তৎপরতাও বাড়ানো হয়েছে।
এ ছাড়া সাম্য হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করতে আইন মন্ত্রণালয়কে এবং তোফাজ্জল হত্যাকাণ্ডের বিচার ত্বরান্বিত করতে পিবিআইকে পৃথকভাবে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সম্প্রতি ক্যাম্পাসে ককটেল উদ্ধারের ঘটনায় দায়িত্বরত নিরাপত্তারক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং এনএসআই ও ডিজিএফআইয়ের মাঠপর্যায়ের কার্যক্রমও আরও জোরদার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাম্য হত্যায় বড় ষড়যন্ত্র থাকলেও খতিয়ে দেখা হচ্ছে না: ঢাবি ছাত্রদল
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আশা প্রকাশ করেছে, এসব পদক্ষেপ কার্যকর করতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের আন্তরিক সহযোগিতা পাওয়া যাবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সভায় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদ, সিটি এসবির ডিআইজি মীর আশরাফ আলী, ডিজিএফআইয়ের প্রতিনিধি কর্নেল আব্দুল্লাহ, রমনা জোনের ডিসি মো. মাসুদ আলম, শাহবাগ থানার ওসি মো. খালিদ মনসুর, এনএসআই ও ডিবির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
১৯৩ দিন আগে
ফাঁকা আসনে তৃতীয় ধাপে ভর্তি নিচ্ছে শাবিপ্রবি
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষে ফাঁকা আসনগুলোতে তৃতীয় ধাপে ভর্তি নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। আগামী রবিবার (২২ জুন) এ ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে।
বুধবার (১৮ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি-সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, আগামী ২২ জুন সকাল ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি কার্যক্রম চলবে। এর মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ‘এ’ ইউনিটের র্যাঙ্কিং তালিকার ২৫৫১ থেকে ২৮২০ পর্যন্ত শিক্ষার্থীকে ভর্তির জন্য ডাকা হয়েছে।
একই দিন দুপুর আড়াইটা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ‘বি’ ইউনিটের (বিজ্ঞান) ভর্তি কার্যক্রম চলবে। এতে র্যাঙ্কিং তালিকার ৪০১ থেকে ৪৯৫ পর্যন্ত শিক্ষার্থীকে ডাকা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির হলে ঢুকে শিক্ষার্থীকে ‘হামলার চেষ্টা’, ছাত্রদলকর্মী বহিষ্কার
এ ছাড়া, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ কিছু নির্দেশনার ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে— বিষয় নির্বাচন ও ভর্তি নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষার্থীকে সশরীর উপস্থিত থাকতে হবে; এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার মূল ট্রান্সক্রিপ্ট সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে; ভর্তির জন্য ফি বাবদ ১৪ হাজার ৯০০ টাকা সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে; রক্তের গ্রুপের যথোপযুক্ত প্রমাণপত্র সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে এবং বিষয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে উপস্থিত পরীক্ষার্থীদের মেধাক্রম অনুযায়ী ডাকা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, একাধিক ইউনিটে আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে কোনো ইউনিটে ভর্তি সম্পন্ন করার পর অন্য ইউনিটে সুযোগ পেলে শুধু বিষয় পরিবর্তন হবে, পুনরায় ভর্তি ফি জমা দিতে হবে না।
১৯৪ দিন আগে
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু ও করোনা প্রতিরোধে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে মাউশি
সারাদেশে করোনাভাইরাসের নতুন উপধরনের সংক্রমণ বৃদ্ধি এবং ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতিতে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য জরুরি নির্দেশনা জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
রবিবার (১৫ জুন) এক বিজ্ঞপ্তিতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক প্রচারণা এবং করোনাভাইরাস প্রতিরোধে পাঁচ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক প্রচারণা
‘ডেঙ্গু সচেতনতা: ভবিষ্যতে করণীয়’ শীর্ষক বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ডেঙ্গুসহ অন্যান্য মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের যুক্ত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: জুলাই থেকে কলেজ শিক্ষকদের বদলি অনলাইনে: শিক্ষা উপদেষ্টা
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে পাঁচ নির্দেশনা
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনার আলোকে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে পাঁচটি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনাগুলো হলো:
১. অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়া।২. নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরা।৩. আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ থেকে অন্তত ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখা।৪. অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকা।৫. হাঁচি-কাশির সময় টিস্যু, রুমাল বা বাহু দিয়ে মুখ ও নাক ঢেকে রাখা।
১৯৬ দিন আগে
গুগলে চাকরির সুযোগ পেলেন জাবি শিক্ষার্থী রিচিতা
বিশ্বের সর্ববৃহৎ টেক জায়ান্ট কোম্পানি গুগলে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরির প্রস্তাব পেয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) রিচিতা খন্দকার রিফাত। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
শনিবার (১৪ জুন) রাতে তিনি নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রিচিতা এর আগে গত ১২ জুন টেক জায়ান্ট গুগলের তাইওয়ান অফিসে সফটওয়্যার ইন্জিনিয়ারিং হিসেবে যোগ দেওয়ার অফার পান।
বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ স্যামসাং আইআইটি ইনস্টিটিউটে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত আছেন।
জানা গেছে, রিচিতার বাসা দিনাজপুরের সদর উপজেলার কালিতলা গ্রামে। তিনি দিনাজপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৪ সালে মাধ্যমিক এবং ২০১৬ সালে দিনাজপুর সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন।
ছোট থেকে তার অভ্যাস ছিল বিভিন্ন কনটেস্টে অংশগ্রহণ করা এবং কোডিং বা প্রোগ্রামিং নিয়েও তার আগ্রহের জায়গা ছিল।
গুগলে চাকরির অফার পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় রিচিতা বলেন, ‘অনুভূতি আসলে ভালো। ডেফিনেটলি একটু ভাবতেছিলাম বিষয়টি নিয়ে। ফাইনালি এটা হয়ে গেলো। সত্যিই ভালো লাগতেছে। নিউজটা পাওয়ার পর এত্ত মানুষ অভিনন্দন জানাইছে কি বলবো। আমি আসলে অনেক খুশি।’
গুগলে চাকরির অফার পাওয়ার পূর্ব প্রস্তুতি সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি আসলে সেভাবে প্রস্তুতি নেয়নি। এর আগে আমি কয়েকটি প্রোগ্রামে কনটেস্ট করেছি—তাই সেই অভিজ্ঞতাগুলোই কাজে লেগেছে। আমি পরীক্ষার আগে জাস্ট দেখে গেছি কীভাবে পরীক্ষাটা হয় কি কি প্রশ্ন আসে, কীভাবে কথা বলতে হয় এগুলো। এর বাইরে আসলে সেরকম কিছু দেখা হয়নি।
পড়ুন: ফেসবুকে চাকরির সুযোগ পেলেন শাবিপ্রবির দুই শিক্ষার্থী
প্রস্তুতি নেওয়ার সময় কোনো প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয়েছিল কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন আসলে সারা বিশ্বেই জবের একটু খারাপ সময় যাচ্ছে। আর দেশের বাইরে জব পাওয়ার রেশিও টাও কমে গেছে। আর তাছাড়া প্রশ্নগুলো আগের থেকে একটু হার্ড হয়। আমি টেনশনে ছিলাম ভাইভায় ডাকবে কিনা, কি হয় না হয়। তবে কনফিডেন্স ছিলো। এটাকে মূলত প্রতিবন্ধকতা হিসাবে বলা যায় না। এছাড়া তেমন কোনো প্রতিবন্ধকতা আসেনি।
চাকরিতে যোগদানের তারিখ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত দুই তিন দিন হলো। আর জয়েন ১৮ আগষ্টের কথা বলেছে। তবে কাগজপত্রের ব্যাপার তো একটু লেনদি প্রসেস। সেজন্য একটু পেছাতেও পারে জয়েনিং ডেট।
পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ায় আইসিটি খাতে বাংলাদেশিদের চাকরির সুযোগ
এর আগে তিনি আঞ্চলিক ও জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন পুরস্কার পান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কার পাওয়ার সুযোগ হয়েছে। স্কুল কলেজ লাইফে অলিম্পিয়াড করেছি। সেই জায়গায় জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কার আছে। ক্যাম্প করেছি। এছাড়া ভার্সিটিতে আসার পর কনটেস্ট করেছি। সেখানে পুরস্কার আছে। আমি যে টিমে ছিলাম সেই টিম চ্যাম্পিয়ান হয়েছিল। আইসিপিসিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। এছাড়াও বিভিন্ন কনটেস্টে বাংলাদেশ র্যাংকিং কিছু পুরস্কার ছিল।
অনুজদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তাদের উদ্দেশে একটা কথাই, সেটা হলো শেখার কোনো বিকল্প নেই। যে স্টেজে আছো স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় সেখান থেকে যতটুকু শেখা যায় শিখে নাও জেনে নাও। কোনো কিছু যেন বাদ না থাকে। পরবর্তীতে আশা করি কাজে লাগবে।
১৯৭ দিন আগে
জুলাই থেকে কলেজ শিক্ষকদের বদলি অনলাইনে: শিক্ষা উপদেষ্টা
আগামী জুলাই মাস থেকে কলেজ শিক্ষকদের বদলি সম্পূর্ণ অনলাইনে হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার।
বুধবার (৪ জুন) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে শিক্ষা উপদেষ্টা এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, 'বদলি, পদোন্নতি এবং প্রশাসনিক অনুমোদনের মতো কাজে যেন শিক্ষকরা হয়রানির শিকার না হন, এই প্রক্রিয়াগুলো আরও সহজ ও স্বচ্ছ করা হচ্ছে। আগামী জুলাই থেকে কলেজে অনলাইন বদলি ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। এরই মধ্যে যার ডামি প্রেজেন্টেশন এখানে হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের সেখানে রাখা হয়েছিল।'
উপদেষ্টা বলেন, 'আমরা মনে করি এতে শিক্ষকদের বদলির অনেক সমস্যা দূর করা যাবে। এখানে সাবজেক্টিভ এলিমেন্ট প্রশাসকরা যাতে তাদের ইচ্ছামত না করে নিয়ম-নীতির মধ্যে... একেবারেই শক্ত একটা ব্যবস্থা আমরা চালু করতে পারব ১ জুলাই থেকে। একইভাবে আমরা স্কুল পর্যায়ে শিক্ষকদের বদলির সেই ব্যবস্থা আমরা কয়েক মাসের মধ্যে চালু করব।'
'শিক্ষকদের বদলি ট্রান্সপারেন্ট এবং অ্যাকাউন্টেবল করা যথেষ্ট সম্ভব। সেই ব্যবস্থাটা নেওয়া হচ্ছে।'
আরও পড়ুন: উচ্চশিক্ষায় বাধা দূর করতে পদ্ধতিগত পরিবর্তনের উদ্যোগ নেব: শিক্ষা উপদেষ্টা
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, 'বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ভিত্তি শিক্ষকরা। তারা শুধু পাঠদানের জন্য নন, তারাই হলেন নেতৃত্ব, মূল্যবোধ ও নতুন প্রজন্ম গঠনের কারিগর। এই বিশ্বাস থেকে আমরা শিক্ষকদের রূপান্তরের কেন্দ্রে রাখতে চাই। আমরা চাই এমন একটি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে, যেখানে শিক্ষকরা স্বীকৃতি মর্যাদা ও পেশাগত স্বাধীনতা পাবেন।'
তিনি বলেন, 'শিক্ষকরা যাতে নীতি নির্ধারণী ও প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রেও নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পান—সেই ব্যবস্থা করতে আমরা চেষ্টা করব।'
অভিযোগ আছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এসে শিক্ষকরা অসম্মানিত হন—এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, 'কাউকে অসম্মান করার বিষয়ে আমরা জিরো টলারেন্স।'
২০৭ দিন আগে
তহবিল সংকটে শিক্ষার ঝুঁকিতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সোয়া ২ লাখ শিশু: ইউনিসেফ
তহবিল সংকটের কারণে ২ লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী শিশুর শিক্ষা হুমকির মুখে রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)।
রবিবার (২ জুন) দুপুরে কক্সবাজারে ইউনিসেফ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানানো হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে ইউনিসেফ জানায়, টেকসই অর্থনৈতিক সহযোগিতা ছাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সব ধরনের সহায়তার সুযোগ ঝুঁকিতে পড়বে। এরমধ্যে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে শিশুদের জন্য জরুরি মৌলিক শিক্ষা সুযোগ হারানোর আশঙ্কা করেছেন তারা।
ইউনিসেফ কক্সবাজার অফিসের প্রধান এঞ্জেলা কার্নে জানান, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট মোকাবিলায় ইউনিসেফ পরিচালিত কার্যক্রমের জন্য মানবিক সহায়তার তহবিল উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এর প্রভাবে শরণার্থী শিবিরগুলোতে ইউনিসেফের সহায়তায় শিক্ষাকেন্দ্রগুলোতে ভর্তি হওয়া স্কুলগামী শিশুদের ৮৩ শতাংশের শিক্ষার ওপর।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উল্লেখ করা হয়, নতুন তহবিল গঠন এবং নতুন করে কার্যক্রম সাজানোর নিরলস প্রচেষ্টা চালানোর পরেও তহবিল সংকটের কারণে ইউনিসেফকে কিছু কষ্টদায়ক সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। এর মধ্যে কিন্ডারগার্টেন থেকে দ্বিতীয় শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কাজ করা হোস্ট কমিউনিটির স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষকদের সহায়তা স্থগিত করার মতো বিষয় রয়েছে। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে মোট ১ হাজার ১৭৯জন স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষকের সঙ্গে ইউনিসেফের চুক্তি শেষ হবে। এই স্বেচ্ছাসেবকেরা মূলত স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সদস্য।
আরও পড়ুন: বাকৃবি: মুরগির আইবিএইচ রোগের ভাইরাসের দুটি সেরোটাইপ শনাক্ত
তহবিল সংকটের কারণে রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পের মতো সিরিয়া, সোমালিয়া, ইথিওপিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন শরনার্থী ক্যাম্পেও ইউনিসেফের মানবিক সহায়তা কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার উপক্রম।প্রেস ব্রিফিংয়ে রোহিঙ্গা শরনার্থীদের মানবিক সংকট মোকাবিলায় পাশে দাঁড়ানোর জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থা ও দাতাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।ইউনিসেফের এই কর্মকর্তা আরও জানান, নতুন করে তহবিল পাওয়া গেলে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিশুদের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ও মানসম্মত শিক্ষা সহায়তা অব্যাহত রাখা সম্ভব হবে।
২০৯ দিন আগে
জামিন পেলেন জবির সাবেক শিক্ষক আনোয়ারা বেগম
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. আনোয়ারা বেগমের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। গত বৃহস্পতিবার জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকালে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় তকে কারাগারে পাঠায় আদালত।
সোমবার (২ জুন) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে অধ্যাপক আনোয়ারা বেগমের জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী। শুনানি শেষে সিএমএম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান তার জামিন মঞ্জুর করেন।আরও পড়ুন: ফ্যাসিবাদকে তাড়িয়েছি, দাবি আদায় না হলে আন্দোলন চলবে: জবি শিক্ষকনেতা
জামিন আবেদনে উল্লেখ করা হয়, অধ্যাপক আনোয়ারা বেগমের বয়স ৭০ বছর। তিনি ৩৫ বছর যাবৎ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন। অবসরপ্রাপ্ত এই অধ্যাপক একজন নারী। তিনি অসুস্থ। ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী, তিনি জামিন পাওয়ার হকদার।
রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করে আদালতে বক্তব্য রাখা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত ৫০০ টাকা মুচলেকায় অধ্যাপক আনোয়ারার জামিন মঞ্জুর করেন। আদালতে আনোয়ারা বেগমের পক্ষে জামিন শুনানি করেন তাঁর আইনজীবী ওবায়দুল ইসলাম।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লার দায়ের করা হত্যাচেষ্টার মামলায় গত বুধবার আনোয়ারা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়। আনোয়ারা বেগমের বিরুদ্ধে ওই মামলা হয় রাজধানীর সূত্রাপুর থানায়।
সূত্রাপুর থানা পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতকে বলা হয়, গত বছরের ১৯ জুলাই রায়সাহেব বাজারের কাছে স্টার হোটেলের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আন্দোলনকারী ও ছাত্রদলের নেতা–কর্মীদের উদ্দেশ্য করে গুলি চালানো হয়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী লীগপন্থী শিক্ষকদের প্রত্যক্ষ প্ররোচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এ ঘটনা ঘটান। এতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লার চোখে গুলি লাগে। বাঁ চোখ দিয়ে রক্ত ঝরতে থাকে। এ ঘটনায় সুজন মোল্লা বাদী হয়ে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সূত্রাপুর থানায় এই মামলা করেন।
২০৯ দিন আগে
বাকৃবি: মুরগির আইবিএইচ রোগের ভাইরাসের দুটি সেরোটাইপ শনাক্ত
দেশে প্রথমবারের মতো ব্রয়লার মুরগির দেহে ইনক্লুশন বডি হেপাটাইটিস (আইবিএইচ) রোগ সৃষ্টির জন্য দায়ী ফাউল অ্যাডেনোভাইরাসের দুটি সেরোটাইপ (৮বি এবং ১১) শনাক্ত করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) উপাচার্য ড. মো. আলিমুল ইসলাম এবং তার গবেষক দল।
অধ্যাপক ড. মো. আলিমুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, ইনক্লুশন বডি হেপাটাইটিস (আইবিএইচ) নতুন একটি উদীয়মান রোগ, যা ফাউল অ্যাডেনোভাইরাসের আক্রমণের কারণে হয়। ভাইরাসটির ১১টি সেরোটাইপ রয়েছে এবং ৫টি জেনোটাইপ রয়েছে। সেরোটাইপ ৮বি এবং ১১ সবচেয়ে মারাত্মক।
‘আমরা এই দুটি সেরোটাইপ শনাক্ত করেছি। তবে রোগটি সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত করে বাণিজ্যিক ব্রয়লারকে এবং লেয়ারেও আক্রমণ করতে পারে। পরবর্তীতে আমরা আইবিএইচ-এর বিরুদ্ধে একটি পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিন তৈরি করি এবং মুরগিতে এর ফিল্ড ট্রায়াল করি,’ যোগ করেন তিনি।
পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিনটির বাণিজ্যিকীকরণের জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন দাবি করে ওই অধ্যাপক জানান, পরীক্ষামূলকভাবে আমরা ভ্যাকসিনটির দুটি ট্রায়াল করেছি এবং তিন নম্বর ট্রায়াল করার পর ভ্যাকসিনের পেপারটি আন্তর্জাতিক জার্নালে উপস্থাপন করবো। তবে ভ্যাকসিনটি নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন। জার্নালে প্রকাশিত হওয়ার পর আমরা ভ্যাকসিনটির বাণিজ্যিকীকরণের দিকে যেতে পারবো এবং বাণিজ্যিকভাবে ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারলে খামারিরা লাভবান হবে।
গবেষণা কার্যক্রমটি পরিচালনা করার উদ্দেশ্যে সম্পর্কে ড. আলিমুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, ২০১৮ সালের দিকে বাংলাদেশে হঠাৎ করে কমবয়সী (৩-৬ সপ্তাহ বয়সী) ব্রয়লার মুরগির ব্যাপক মৃত্যু হয়, খামারিরা এতে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
‘পরবর্তীতে বড় বড় বাণিজ্যিক ব্রয়লারের খামারিরা মুরগি নিয়ে বিভিন্ন ল্যাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা (হিস্টোপ্যাথোলজি ও মলিকুলার ডিটেকশন) করে দেখেন এটি বার্ড ফ্লু নয়, আবার রানীক্ষেতও নয়- এটি নতুন একটি ভাইরাস। তারা এটির শুধু আইডেন্টিফিকেশন করতে পেরেছেন কিন্তু আইসোলেশন করতে পারেননি। ব্রয়লারের মাংস সাধারণ মানুষের আমিষের একটি প্রধান উৎস, এটি বিবেচনা করেই রোগটির সমস্যার সমাধানে এই গবেষণাটি করা হয়েছে।’
ভাইরাসটির সংক্রমণের ধরন নিয়ে অধ্যাপক বলেন, ভাইরাসটি ভার্টিক্যাল (ডিমের মাধ্যমে) ও হরিজন্টাল (খামারের এক মুরগি থেকে অন্য মুরগিতে) দুভাবেই ছড়াতে পারে।
তিনি আরও বলেন, অল্প বয়সী মুরগির ক্ষেত্রে বিশেষ করে ১৪ দিন বয়সী ব্রয়লার মুরগিতে রোগটি বেশি হয়ে থাকে। ১৫ দিন বয়স থেকে এদের খাবার খাওয়া, চলাচল ও বৃদ্ধি কমে যায় এবং ২১ দিনের মধ্যেই পুরোপুরি লক্ষণ দেখা যায়। অবসন্নতা, দুর্বলতা, ডায়রিয়া ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিয়ে ৩-৪ সপ্তাহ বয়সের মধ্যেই মুরগিগুলো মারা যেতে থাকে।
রোগাক্রান্ত মৃত মুরগিগুলোর পোস্টমর্টেম করা হয়েছে উল্লেখ করে অধ্যাপক আলিমুল ইসলাম বলেন, গিজার্ডের ভেতরের স্তরটা নরম হয়ে গেছে এবং টান দিলে সহজেই খসে পড়ছে, লিভার ও কিডনিতে ফোকাল নডুলার গ্রোথ এবং হার্টে হাইড্রোপেরিকার্ডিয়াম দেখা যায়। এ ভাইরাসের আক্রমণের ফলে মুরগি বড় হওয়ার আগে মারা যায় ফলে বাজারে বিক্রি করতে না পারায় খামারিরা ব্যাপক হারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: ১৪ বছর পর নিয়োগ পেলেন বাকৃবির ৫ শিক্ষক
গবেষণার পদ্ধতি সম্পর্কে ওই গবেষক জানান, কনভেনশনাল পিসিআর, আরটি-পিসিআরের মাধ্যমে আমরা ভাইরাসটি নির্ণয় ও এভিয়ান এমব্রায়োতে ভাইরাসটির আইসোলেশন করেছি এবং আংশিক জিনোম সিকোয়েন্স অ্যানালাইসিস করেছি। তবে হোল জিনোম সিকোয়েন্স অ্যানালাইসিসের কাজ চলমান আছে। পরবর্তীতে মুরগিতে পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিনের দুটি শট দিয়ে, এরপর ফিল্ড ভাইরাসের চ্যালেঞ্জ দিয়ে দেখি রোগটির বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনটি সর্বোচ্চ কার্যকর। যে মুরগিগুলোকে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করেছি, সেগুলো আমরা এক বছর যাবৎ আমাদের কাছে রেখেছি এবং নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করেছি। দেখা গেছে, নতুন করে মুরগিগুলো আইবিএইচে আক্রান্ত হয়নি।
মুরগির এই রোগটির বিরুদ্ধে খামারিরা কী কী সতর্কতা অবলম্বন করবেন এ বিষয়ে অধ্যাপক জানান, অনেক সময় দেখা যায় খামারিরা অ্যান্টিভাইরাল চিকিৎসা দিয়ে কিছু মুরগি রক্ষা করছে। কিন্তু সেই মুরগির মধ্যেও আইবিএইচের জীবাণু লুকায়িত অবস্থায় থাকতে পারে। পরবর্তীতে এটি ডিমের মাধ্যমে বাচ্চাতে ছড়ায় এবং বাচ্চা জন্মের ১৪ থেকে ২১ দিনের মধ্যে মারা যায়। খামারিদের উচিত হবে ওই সকল হ্যাচারি থেকে বাচ্চা নেওয়া, যাদের প্যারেন্ট এবং গ্র্যান্ড প্যারেন্ট স্টকে আইবিএইচের ভ্যাকসিন দেওয়া আছে তাতে মায়ের অ্যান্টিবডি দ্বারা সুরক্ষিত থাকায় অন্তত ২১ দিন অর্থাৎ মুরগি বিক্রির আগ পর্যন্ত এই রোগ হবে না।
রোগটি মানবদেহে ছড়িয়ে পড়তে পারে কিনা এ বিষয়ে ওই অধ্যাপক জানান, রোগটি জুনোটিক নয় অর্থাৎ মানুষে ছড়াবে না। তবে সতর্কতার জন্য মুরগির কলিজা এবং হৃদপিন্ড ফেলে দিতে হবে এবং মাংস খাওয়া যাবে। এ রোগে আক্রান্ত মুরগির ডিম ভেজে কিংবা সেদ্ধ করে খেলে কোনো সমস্যা হবে না। কারণ রান্নার তাপে ওই ভাইরাসটি বেঁচে থাকে না। অর্থাৎ ডিমও খাওয়া যাবে।
গবেষণাটির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে অধ্যাপক বলেন, ভ্যাকসিনটি পুরোপুরিভাবে তৈরি হওয়ার পর সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতার প্রয়োজন হবে, যাতে ভ্যাকসিনটি আমরা সহজে স্থানীয়ভাবে তৈরি করতে পারি। ভ্যাকসিনটি যদি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) মাধ্যমে তৈরি করা যায় তাহলে খামারিরা এতে বেশি লাভবান হবেন। পাশাপাশি চাকরির খাত বাড়বে এবং অনেক লোকের কর্মসংস্থান হবে।
২০৯ দিন আগে
জবি শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একাধিক শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত তথ্য প্রতারকদের হাতে চলে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই তথ্য ব্যবহার করে ‘মেধা বৃত্তি’ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের বিকাশ, নগদসহ বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
সম্প্রতি এমন প্রতারণার শিকার হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী। প্রতারকরা নির্দিষ্ট শিক্ষার্থীর নাম, বিভাগ ও বর্ষ জেনে প্রথমে মেধা বৃত্তি অনুমোদনের কথা জানায়। পরে একটি ওটিপি কোড মোবাইলে পাঠানোর কথা বলে সেটি জানানোর অনুরোধ করে। শিক্ষার্থীরা ওটিপি সরবরাহ করার সঙ্গে সঙ্গেই তাদের মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করে টাকা তুলে নেয় প্রতারক চক্রটি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিবছর দুই ধরনের বৃত্তি দেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের। এরমধ্যে মেধা বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীদের নগদ টাকা দেওয়া হয়। অন্যদিকে, সাধারণ বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীদের বেতন মওকুফ করা হয়।
সাম্প্রতিক প্রতারণার ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আইয়ুব আলী বলেন, ‘এক অপরিচিত নাম্বার থেকে কল দিয়ে আমার নাম, বিভাগ ও বর্ষ জানায়। তারা বলে আমি মেধা বৃত্তি পেয়েছি এবং টাকা পাঠানের জন্য ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর চায়। অসচেতনতাবশত আমি নম্বর দিয়ে দেই। পরে দেখি আমার কার্ড থেকে ছয় হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।’
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী আজিজুল হাকিম আকাশ বলেন, একইভাবে এক অপরিচিত নম্বর থেকে কল দিয়ে তার পরিচয় নিশ্চিত করে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর চাওয়া হয়।
তিনি বলেন, ‘তারা জানায় আমার ইসলামি ব্যাংকে করা বৃত্তির আবেদন অনুমোদিত হয়েছে। সন্দেহ হওয়ায় আমি কোনো তথ্য দিইনি। পরে একজন শিক্ষার্থীর ফেসবুক পোস্টে দেখি, একই কৌশলে তার চার হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছে চক্রটি।’
এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো অনলাইন ফর্ম, বৃত্তির আবেদন অথবা অভ্যন্তরীণ ডেটাবেইস থেকে এসব তথ্য চুরি হয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও তথ্য ফাঁসের উৎস সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।
আরও পড়ুন: জবি ওয়েবসাইটে শিক্ষকদের প্রোফাইল হালনাগাদের দাবিতে স্মারকলিপি
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. নাসির উদ্দীন বলেন ইউএনবির বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিকে বলেন, ‘আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই, তাই এই মুহূর্তে কিছু বলতে পারছি না। খোঁজ নিয়ে আপনাকে জানাবো।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। কিছু কুচক্রী মহল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাৎ করছে। শিক্ষার্থীদের এ ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট বা কোনো অনলাইন মাধ্যম থেকে তথ্য চুরি হয়েছে কি না, সেটি প্রশাসন তদন্ত করে দেখবেন বলেও শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন তিনি।
২১০ দিন আগে