শিক্ষা
তালা ভেঙে কুয়েট শিক্ষার্থীদের হলে প্রবেশ, ভিসির পদত্যাগ দাবি
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) আবাসিক হলের তালা ভেঙে হলে প্রবেশ করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি উপাচার্য মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের এক দফা দাবিও ঘোষণা করেছেন তারা।
ছুটি শেষে মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) কুয়েটের দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর বেলা পৌনে ২টার দিকে কুয়েট স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা দেন। পরে বিকাল ৩টার দিকে তালা ভেঙে হলে প্রবেশ করেন তারা।
ব্রিফিংয়ের সময় দেওয়া ঘোষণায় বলা হয়, ভিসি কুয়েট শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন, ব্যর্থতার দায় নিতে অস্বীকার করেছেন, ইন্টারনেট ও পানি বন্ধ করে হল থেকে (শিক্ষার্থীদের) বের করে দিয়েছেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা দিতে ইন্ধন জুগিয়েছেন এবং তাদের (আন্দোলনরত শিক্ষার্থী) বহিষ্কার করেছেন। তাই আমরা ছয় দফা থেকে এক দফা ঘোষণা করছি—এই ভিসিকে অপসারণই আমাদের একমাত্র দাবি।
একই সঙ্গে নতুন ভিসির অধীন নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটির মাধ্যমে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানান তারা।
আরও পড়ুন: কুয়েটে সংঘর্ষের দুই মাস পর ২২ শিক্ষার্থীর নামে মামলা
ঘোষণাপত্রটি পাঠ করার পর শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন হলের তালা খুলে ভেতরে প্রবেশ করার ঘোষণা দেন। এর পরপরই তারা মিছিল নিয়ে খান জাহান আলী হলের দিকে যান। এরপর হলের ফটকের তালা ভেঙে ফেলেন। একইভাবে তারা ড. এম এ রশিদ হল, অমর একুশে হল, লালন শাহ হলেরও তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন।
এর আগে, অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরু ও হল খুলে দেওয়ার দাবিতে রবিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুর থেকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাতে কুয়েট সিন্ডিকেটের জরুরি সভা শেষে ঘোষণা দেওয়া হয়, অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ শিক্ষা কার্যক্রম আগামী ৪ মে থেকে শুরু হবে এবং আবাসিক হলগুলো খুলবে ২ মে।
তার আগে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারির সংঘর্ষের ঘটনায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এই বহিষ্কারাদেশের প্রতিবাদে আজ (মঙ্গলবার) বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। তারা শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার এবং প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। একই সঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু ও হল খুলে দেওয়ার দাবিও জানান তারা।
আরও পড়ুন: কুয়েটের ৩৭ শিক্ষাথী বহিষ্কার
২৫৭ দিন আগে
কুয়েটের ৩৭ শিক্ষাথী বহিষ্কার
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সংঘর্ষের ঘটনায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাতে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আগামী ৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু এবং ২ মে আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় সভায়।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহেদুজজামান শেখ এই তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভা সোমবার (১৪ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আলোচ্যসূচির আলোকে গত ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি ঘটে যাওয়া দুঃখজনক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ৯৮ তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সিলগালা অবস্থায় সভায় উপস্থাপন করা হয় এবং তদন্ত প্রতিবেদনটি সিন্ডিকেট গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: কুয়েটের আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা
এতে আরও বলা হয়, ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ (সাইত্রিশ) জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি, তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির কাছে পাঠানো হবে।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষা কার্যক্রম আগামী ৪ মে থেকে শুরু হবে এবং সকল আবাসিক হলগুলো আগামী ২ মে থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
এদিকে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট হয়নি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তারা হল না খোলা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, তাদের দাবি ছিল আজ সোমবার(১৪ এপ্রিল) রাত থেকেই হল খুলে দিতে হবে। এছাড়া সিন্ডিকেট সভা শেষে তারা অপেক্ষা করছিলেন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্তের বিষয়গুলো তাদের জানাবে। কিন্তু কেউ তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্তগুলো জানায়নি। হল খোলা ও একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর অনেকদিন দেরি রয়েছে। একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তাদের লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে।
এছাড়া হলে থাকতে না পারায় তাদের টিউশনি বন্ধের উপক্রম।
প্রসঙ্গত, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদলের সঙ্গে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর সংঘর্ষে শতাধিক আহত হন। এ ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম ও হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: কুয়েটে সংঘর্ষের দুই মাস পর ২২ শিক্ষার্থীর নামে মামলা
২৫৮ দিন আগে
প্রতীকী হালখাতা ও আনন্দ শোভাযাত্রায় জাবিতে বর্ষবরণ
‘মুছে যাক গ্লানি ঘুচে যাক জরা, অগ্নি স্নানে সুচি হোক ধরা’ অর্থাৎ পুরাতনকে পিছনে ফেলে নতুনকে স্বাগত জানাতে ‘নববর্ষের ঐক্যতান, ফ্যাসিবাদের অবসান ও মানবতার জয়গান’—এই প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ (পহেলা বৈশাখ) উদযাপন করা হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন কলা ভবন চত্বর থেকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল আহসানের নেতৃত্বে চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীদের তত্বাবধানে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়।
এতে শিক্ষার্থীরা ঢাক-ঢোল, শানাই বাজিয়ে নানা প্রতিকৃতি সাজিয়ে এই শোভাযাত্রায় অংশ নেয়।
আনন্দ শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে অমর একুশের পাদদেশে গিয়ে শেষ হয়।
আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে উপাচার্য বলেন, ‘বাংলা নববর্ষ বাঙালি জাতিসত্তা ও সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাঙালির রয়েছে হাজার বছরের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ও সংস্কৃতি। আমাদের নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা যদি এসব ধারণ করেন—তাহলে বাংলা নববর্ষের প্রকৃত সার্থকতা পরিলক্ষিত হবে বলে মনে করি। এটি বাঙালির সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই উৎসবকে সাফল্যমণ্ডিত করতে যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছে। পাশাপাশি প্রায় সকল বিভাগ নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সকলের সমন্বিত অংশগ্রহণেই একটি বৈষম্যহীন দেশ গড়া সম্ভব।
আনন্দ শোভাযাত্রায় অন্যান্যদের মাঝে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সোহেল আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রব, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. এ বি এম আজিজুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম রাশেদুল আলম, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হল প্রভোস্ট, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, মহিলা ক্লাবের সদস্য এবং জাবি স্কুল ও কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
এর আগে উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান তার নিজ বাসভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এছাড়াও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ক্যাম্পাসের বটতলা সংলগ্ন এলাকায় বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) জাবি শাখার উদ্যোগে একটি প্রতীকী হালখাতা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
২৫৮ দিন আগে
কুয়েটে সংঘর্ষের দুই মাস পর ২২ শিক্ষার্থীর নামে মামলা
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবির জেরে সংষর্ষের ঘটনায় ২২ শিক্ষার্থীদের নামে মামলা হয়েছে।
সংঘর্ষের দুই মাস পরে গত বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) হোচেন আলী নামে এক ব্যক্তি খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আমলী আদালতে এই মামলা করেন। মামলার পর খানজাহান আলী থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: কুয়েটের আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা
তবে খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন জানান, এ মামলা সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র তারা এখনও পাননি।
এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন শিক্ষার্থীরা। তারা প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
এর আগে, শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে এই মামলার ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ করে কুয়েট-১৯ নামক ফেসবুক পেজে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে একটি পোস্ট করা হয়। যৌক্তিক আন্দোলন দমনের অপচেষ্টায় প্রশাসন ও তদন্ত কমিটির যোগসাজশেই এই মামলা করা হয়েছে কিনা— এমন প্রশ্ন রাখা হয় পোস্টে। মামলা দায়েরকারীরা কীভাবে শিক্ষার্থীদের পরিচয় জানলেন এ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন তারা।
এদিকে, রবিবার (১৩ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীদের নামে মামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কুয়েট শিক্ষক সমিতি।
প্রসঙ্গত, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট ক্যাম্পাসে সংঘর্ষ হয়। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এ ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম ও আবাসিক হলগুলো বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রবিবার দুপুর ২টায় বন্ধ থাকা কুয়েট ক্যাম্পাসে ঢুকে হলে উঠার ঘোষণা দিয়ে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: কুয়েটের ভিসির বাসভবনে তালা, আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা
হলে শিক্ষার্থীদের প্রবেশ ঠেকাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একাধিক সভা, প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি, বিজ্ঞপ্তি জারি ও অভিভাবকদের মোবাইলে এসএমএস দিয়ে শিক্ষার্থীদের কুয়েটে না পাঠানোর অনুরোধ জানায়। তবে কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই ক্যাম্পসে ঢোকার সিদ্ধান্তে অটল থাকেন শিক্ষার্থীরা। তাদের প্রবেশ ঠেকাতে ফটকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয় কুয়েট প্রশাসন। এতে সেখানে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
আজ (রবিবার) দুপুর ২টা থেকেই শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হতে থাকেন। একপর্যায়ে শিক্ষকরাও সেখানে যান। এরপর দুপক্ষের আলোচনা শেষে আইডি কার্ড যাচাই করে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়।
২৫৯ দিন আগে
সিকৃবিতে কৃষি বিষয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শনিবার
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের কৃষি বিষয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল (শনিবার)।
গত বছরের মতো এবারও কৃষি বিজ্ঞান বিষয়ে ডিগ্রি প্রদানকারী ৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একসঙ্গে শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকাল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, এ বছর সিকৃবিতে ৬টি অনুষদে ৫৮০টি আসনের বিপরীতে ৬ হাজার ৯ জন পরীক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন।
ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল আগামী ১৬ অক্টোবর প্রকাশিত হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা শাখার অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ গোলাম রসুল।
এ বছর সিকৃবিসহ কৃষি বিজ্ঞান বিষয়ে ডিগ্রি প্রদানকারী ৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ৩ হাজার ৮৬৩ আসনের বিপরীতে ৯৪ হাজার ৩৯ জন পরীক্ষার্থীর ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার কথা।
এদিকে, ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে সবার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন সিকৃবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলিমুল ইসলাম।
সিকৃবিতে অনুষ্ঠিতব্য ভর্তি পরীক্ষার আসন বিন্যাস
ভেটেরিনারি, অ্যানিমেল ও বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদে ৭৫০২০ থেকে ৭৫৯৮২, কৃষি অনুষদে ৭৫৯৮৩ থেকে ৭৬৪৮০, মৎস্য বিজ্ঞান অনুষদে ৭৬৪৮১ থেকে ৭৬৯১৮, কৃষি অর্থনীতি ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে ৭৬৯১৯ থেকে ৭৭৩৯৮, কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদে ৭৭৩৯৯ থেকে ৭৭৮৫৮, বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদে ৭৭৮৫৯ থেকে ৭৮০৫৮, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ভবনে ৭৮০৫৯ থেকে ৭৮১০৮, ভেটেরিনারি টিচিং হসপিটালে ৭৮১০৯ থেকে ৭৮২৩৩), যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে ৭৮২৩৪ থেকে ৭৮৩৩৩, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ৭৮৩৩৪ থেকে ৭৯৩৮৮, সিলেট সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৭৯৩৮৯ থেকে ৮০৪৮৮ এবং সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজে ৮০৪৮৯ থেকে ৮১০২৮ রোলধারী ভর্তিচ্ছু পরীক্ষায় বসবেন।
২৬১ দিন আগে
সিকৃবির গবেষণায় লিচু ও লাউয়ের নতুন পোকার জাত শনাক্ত
বাংলাদেশে লিচুর গান্ধি পোকা ও লাউ ফসলের স্যাপ বিটলের নতুন জাতের শনাক্তকরণ করেছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) গবেষকরা। সিকৃবির কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. মো. ফুয়াদ মন্ডলের নেতৃত্বে একদল গবেষক জাত দুটি শনাক্তকরণ করেন।
লিচুর গান্ধি পোকা সাধারণ গান্ধি পোকার চেয়ে আকারে বড়। এই পোকা লিচুর কচি পাতা, কাণ্ড এবং ফলের রস শোষণ করার ফলে কচি অবস্থায় লিচু শুকিয়ে যায় এবং মাটিতে ঝড়ে পড়ে।
গবেষণায় দেখা গেছে, মারাত্মক আক্রমণের ফলে লিচুর শতকরা ৮০ ভাগ ফলন কমে যায়। অপর দিকে লাউয়ের স্যাপ বিটল দলবদ্ধভাবে লাউয়ের প্রজনন পর্যায়ে পুরুষ ফুলে ব্যাপকভাবে আক্রমণ করে সমস্ত পরাগরেণু খেয়ে ফেলে। ফলে পরাগায়ণ না হওয়ায় লাউয়ের ফল ধারণ সম্ভব হয় না।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) ভাইস চ্যান্সেলর সচিবালয়ের কনফারেন্স রুমে এই দুটি পোকার পরিচিতি ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক লিফলেট উন্মোচন করা হয়।
আরও পড়ুন: সিকৃবির ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
সিকৃবির ভিসি প্রফেসর ড. মো. আলিমুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডি এ ই) মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো. সাইফুল আলম।
তিনি বলেন, ‘কৃষি প্রধান বাংলাদেশে খাদ্য ঘাটতি পূরণে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পাশাপাশি গবেষণা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ এ সময় তিনি প্রযুক্তি সম্প্রসারণে যেকোনো সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
২৬২ দিন আগে
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে জাবি ছাত্রদলের মানববন্ধন
গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি জনগণের উপর ইসরায়েলের বর্বর হামলার প্রতিবাদে মুখে কালো কাপড় বেঁধে মানববন্ধন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বেলা সোয়া ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের (ডেইরি গেইট) সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা। মানববন্ধনে শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ইসরায়েলের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে ফিলিস্তিনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানান। সেইসঙ্গে ফিলিস্তিনে হামলা বন্ধে বিশ্ব মোড়লদের এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানান তারা।
এ সময় জাবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য তানজিলা হোসেন বৈশাখী বলেন, ‘গত এক সপ্তাহে ফিলিস্তিনে যা হয়েছে, তা অতীতের যেকোনো ভয়াবহতাকে হার মানায়। গণতন্ত্রের দোহায় দেওয়া যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনে হামলাকে হালাল বানিয়েছে। এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সবসময় ফিলিস্তিনের পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে। আমরা বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান জানাই দ্রুত ফিলিস্তিনের সমস্যা সমাধান করুন।‘
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থীদের ‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ কর্মসূচি: জাবি প্রশাসনের সংহতি
শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ওয়াসিম আহমেদ অনিক বলেন, ‘ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যে বর্বর গণহত্যা সংগঠিত হয়েছে, পৃথিবীর কোথাও এমন গণহত্যার কোনো নজির নাই। এখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘঠিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক মহল যদি এখনই কার্যকর ভূমিকা পালন না করে তাহলে ফিলিস্তিন মুছে যাবে।’
জাবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন বাবর বলেন, ‘আমরা দেখেছি আমাদের ফিলিস্তিনি ভাইদের উপর ইসরায়েল নারকীয় তান্ডব চালিয়েছে। কিন্তু জাতিসংঘসহ বিশ্বশক্তিগুলো নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা এই মানববন্ধন থেকে বলতে চাই, অবিলম্বে এই হামলা বন্ধ করতে হবে। বিশ্বশক্তিগুলোকে হামলা বন্ধে এগিয়ে আসতে হবে। ফিলিস্তিনে মানবতার চরম বিপর্যয় বন্ধ করতে হবে।’
২৬৪ দিন আগে
গাজা বিক্ষোভ: শিক্ষার্থীদের ‘ডাবল অ্যাবসেন্টের’ হুমকি, ড্যাফোডিল শিক্ষিকা বরখাস্ত
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর গণহত্যার প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে ডাকা কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জনের সিদ্ধান্ত নিলে তাদের ‘ডাবল অ্যাবসেন্ট’ দেওয়ার ঘোষণা দেন বাংলাদেশের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক। পরে তাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে সোমবার (৭ এপ্রিল) শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দেন। এতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশোভন ভাষায় কথা বলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ডিআইইউ) জার্নালিজম, মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের প্রভাষক তাহমিনা রহমান। যারা বিক্ষোভে অংশ নেবেন, তাদের ‘ডাবল অ্যাবসেন্ট’ করে দেবেন বলেও তিনি হুমকি দেন তিনি।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলে রকেট হামলা চালালো হামাস, আহত ৩
ডিআইইউর মুখপাত্র এবং এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান রাজু এমন তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে তাহমিনা রহমানকে প্রাথমিকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম মেনে তাকে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করা হবে।’
রাজু জানান, ‘তাহমিনা হোয়াটস্যাপ গ্রুপে শিক্ষার্থীদের বলছেন যে গাজার গণহত্যার সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ক্লাসে না এলে ডাবল অ্যাবসেন্ট দেবেন। প্রথমত বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে শিক্ষার্থীদের সিদ্ধান্তে সায় দিয়েছে, সেখানে তিনি আলাদা করে এ ধরনের সিদ্ধান্ত জানাতে পারেন না। আবার ক্লাস উপস্থিতি যদি কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েই থাকেন, তাহলে সর্বোচ্চ একটি উপস্থিতি কাটতে পারবেন। ডাবল অ্যাবসেন্ট দেয়ার যে হুমকি তিনি শিক্ষার্থীদের দিয়েছেন, তা নিয়মবহির্ভূত।’
এর বাইরে সেই গ্রুপে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তিনি যে ভাষায় কথা বলেছেন এবং যেসব শব্দ ব্যবহার করেছেন, তা একজন বিশ্ববিদ্যালয় প্রভাষক হিসেবে শোভনীয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মবহির্ভূত এসব আচারণের কারণেই তার বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র।
এর আগে রোববার (৬ এপ্রিল) সারাবিশ্ব এবং দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থীরাও ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ পালনের সিদ্ধান্ত নেন। সে হিসাবে বিশ্ববিদ্যালয়টির সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা সোমবার ক্লাস বর্জনের সিদ্ধান্ত নিলে প্রভাষক তাহমিনা তাদের ডাবল অ্যাবসেন্ট দেয়ার হুমকি দেন এবং গাজার প্রতি সংহতি জানানো এসব কর্মসূচি নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: গাজার ৫০ শতাংশ ইসরায়েলের দখলে, নিজ ভূমিতে পরবাসী ফিলিস্তিনিরা
তার হোয়াটসঅ্যাপের স্ক্রিনশট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে এই শিক্ষিকাকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শিক্ষার্থীদের কর্মসূচির সঙ্গে তারা একাত্মতা ঘোষণা করেছেন আগেই। কেন এই শিক্ষিকা এমন আচারণ করলেন তা খতিয়ে দেখা হবে?
ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে তাহমিনা নিজ ফেসবুক অ্যাকাউন্টে কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চান। বলেন, ‘তিনি অনলাইন ক্লাস নিতে চেয়েছিলেন। কর্মসূচির পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা চাইলে ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারতো। পুরো ঘটনাকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে দাবি করেন এ প্রভাষক।’
২৬৫ দিন আগে
জুনের আগে ডাকসু নির্বাচনের দাবি ঢাবি শিক্ষার্থীদের
চলতি বছরের জুন মাসের আগেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির একদল শিক্ষার্থী।
রবিবার (৬ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য সায়মা হক বিদিশার কাছে স্মারকলিপি জমা দেন তারা। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ।
স্মারকলিপি জমা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় ডাকসু নির্বাচন পেছাতে একটি বিশেষ গোষ্ঠী উঠে পড়ে লেগেছে বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জুনের আগে ডাকসু নির্বাচন আয়োজন না করলে কঠোর আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দেন তারা।
জুলাই অভ্যুত্থানের ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও ডাকসু নির্বাচনের কোনো রূপরেখা দেয়া হয়নি বলে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে। বারবার তাগাদা দেয়ার পরেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ডাকসু নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি করছে বলে মন্তব্য করেন শিক্ষার্থীরা।
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তারা জানান, উপ-উপাচার্য শিক্ষার্থীদের দ্রুত নির্বাচন দেয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটকে ফ্যাসিবাদমুক্ত করে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের আয়োজন করার আহ্বান জানান তারা।
এর আগে জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে বারবার স্মারকলিপি দেয়ার পরেও নির্বাচনের কোনো সন্তোষজনক অগ্রগতি লক্ষ্য করা যায়নি বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঢাবি প্রশাসনের কাছে নির্বাচনের রোডম্যাপ দাবি করেছেন তারা। কালক্ষেপণ করা হলে বড় আন্দোলনের ডাক দেবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা।
আরও পড়ুন: ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্ছ্বাস
এ বিষয়ে উপ-উপাচার্য বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে বিবেচনা করছে। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক দায়িত্ব।’
তবে দ্রুত নির্বাচন দিতে গিয়ে কোনো ভুল হোক সেটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চায় না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
উপ-উপাচার্য বলেন, সব কাজ গুছিয়ে একটি পরিচ্ছন্ন নির্বাচন দিতে কাজ করে যাচ্ছেন তারা। বিভিন্ন কমিটির মতামত ও পরামর্শের ভিত্তিতে নির্বাচনের প্রস্তুতি দ্রুত আগাচ্ছে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।
২৬৬ দিন আগে
ছুটিতে প্রাণহীন জাবি, ক্যাম্পাসেই ঈদ নিরাপত্তারক্ষীদের
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ছুটি হয়েছে ক্যাম্পাস। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরেছে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী, ঈদের আগের দিন চলছে শেষ মুহূর্তের ঘরে ফেরার তোড়জোড়। ফলে সবুজ-শ্যামল ক্যাম্পাসে নেই প্রাণচাঞ্চল্য; নেই রিকশার টুংটাং বেলের শব্দ, গাড়ির হর্ণের বিরক্তিকর আওয়াজ, চিরচেনা কোলাহল। স্থবিরতা নেমে এসেছে চারদিকে।
শহিদ মিনার চত্বরে শিক্ষার্থীদের জটলাও চোখে পড়ছে না। ক্যাফেটেরিয়া, লাইব্রেরিতেও কাউকে দেখা যাচ্ছে না। চিরযৌবনা ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) যেন মলিন হয়ে আছে। আবাসিক হলগুলোর ক্যান্টিন-ডাইনিংয়ে ঝুলছে তালা। বটতলার দোকানিরা তাদের দোকানের শাটার নামিয়ে কবেই বাড়ি ফিরেছে! রেইনট্রি গাছে শুধু কাকেদের ডাক শোনা যায়। খাবার না পেয়ে ক্যাম্পাসের কুকুর-বিড়ালগুলোও পাশের এলাকায় আস্তানা গেড়েছে।
সাংবাদিক সমিতির অফিসটার সামনে ধুলার আস্তরণ জমে গেছে। কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সামনে পায়চারি করছেন দুই-তিনজন নিরাপত্তারক্ষী। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে কয়েকটি রিকশা অপেক্ষা করছে, যদি কেউ বের হয়—এই আশায়।
বলছিলাম জাঁকজমকের রাজধানী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) কথা। ইতিহাস, ঐতিহ্য আর সংস্কৃতিতে ভরপুর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস সবসময় প্রাণচাঞ্চল্যে মুখর থাকলেও ঈদের ছুটিতে জনমানবহীন হয়ে পড়েছে।
ক্যাম্পাস ছুটি হয়েছে গত ২০ মার্চ। তারপর থেকেই ধীরে ধীরে ফাঁকা হতে শুরু করে ক্যাম্পাস। যারা টিউশনি করান, কোচিংয়ে ক্লাস নেন কিংবা অন্য কোনো পার্ট টাইম কাজের সঙ্গে যুক্ত, তাদের কারও কারও এখনও বাড়ি ফেরা বাকি। এদের মধ্যে যারা বাড়ি ফিরবেন, ঈদের আগমুহূর্তে তারা ব্যাগ গোছানোর তোড়জোড় শুরু করেছেন সকাল থেকেই।
আরও পড়ুন: জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে জাবিতে হামলা: ২৮৯ শিক্ষার্থী বহিষ্কার, ৯ শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত
২৭৩ দিন আগে