শিক্ষা
ঈদ উপলক্ষে ১৬ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে জাবি
আসন্ন ঈদুল ফিতর ও স্বাধীনতা দিবস মিলিয়ে মোট ১৬ দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. এ বি এম আজিজুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুসারে, পবিত্র রমজান, স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, জুমাতুল বিদা, শবে কদর এবং ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী ২৩ মার্চ থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ১৬ দিন ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় অফিস কার্যক্রম বন্ধ থাকবে ২৬ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ১২ দিন।
অধ্যাপক ড. আজিজুর রহমান জানান, আগামী ২৫ মার্চ হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ কর্মদিবস। এরপর বুধবার (২৬ মার্চ) স্বাধীনতা দিবসের ছুটির মাধ্যমে অফিস বন্ধ হয়ে আগামী ৭ এপ্রিল সোমবার থেকে পুনরায় অফিস কার্যক্রম শুরু হবে।
আরও পড়ুন: জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে জাবিতে হামলা: ২৮৯ শিক্ষার্থী বহিষ্কার, ৯ শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত
তিনি বলেন, ‘তবে শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা আগামী বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) পর্যন্ত চলবে। এরপর ছুটি শুরু হবে। এ কারণে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত ক্লাস পরীক্ষা-বন্ধ থাকবে।’
গত ২ মার্চ রমজান মাস শুরু হয়। সেই হিসেবে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে আগামী ৩১ মার্চ বা ১ এপ্রিল দেশে ঈদ উদযাপিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
২৮৫ দিন আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে জাবিতে হামলা: ২৮৯ শিক্ষার্থী বহিষ্কার, ৯ শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত
বিগত জুলাই আন্দোলনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীসহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর নিন্দনীয় হামলার অভিযোগে ২৮৯ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার এবং পুলিশি হামলায় সরাসরি মদদ দেওয়ার অভিযোগে ৯ জন শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্ষদ (সিন্ডিকেট)। বহিষ্কৃত সকল শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলো।
সোমবার (১৭ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবন (রেজিস্ট্রার বিল্ডিং)-এ সকাল ১১ টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত চলা সিন্ডিকেট সভার এক রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে দিবাগত রাত সোয়া ৩টায় সাংবাদিকদের সাথে ব্রিফিং কালে এসব তথ্য জানান উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান।
আরও পড়ুন: জাবির প্রাণিবিদ্যা বিভাগ: শিক্ষকদের গ্রুপিংয়ে কম নম্বর পেলেন শিক্ষার্থী
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকরা হলেন, সাবেক উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ,সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক আলমগীর কবির, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক বশির আহমেদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সাবেক প্রাক্টর অধ্যাপক ইস্রাফিল আহমেদ, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী ইকবাল, ইতিহাস বিভাগের অধ্যপক হোসনে আরা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের সাবেক প্রক্টর নাজমুল হাসান তালুকদার এবং পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ তাজউদ্দীন সিকদার
জানা গেছে, প্রাথমিক তদন্তে আরও ১০ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে জুলাই বিপ্লবে শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশি হামলায় মদদ দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁদের সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করতে অনুষদভিত্তিক ছয়টি স্ট্রাকচারাল কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্ট্রাকচারাল কমিটির আওতায় অভিযুক্ত শিক্ষকরা হলেন, অধ্যাপক কানন কুমার সেন, পলাশ বাহা, শফি মোহাম্মদ তারেক, জহিরুল ইসলাম খন্দকার, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মনির উদ্দিন শিকদার, সাইদুর রহমান, আনোয়ার খসরু পারভেজ, মুহিবুর রউফ শৈবাল, এ এ মামুন।
এছাড়াও শিক্ষকদের পাশাপাশি আরও ২ জন অফিসারকে (রাজিব, নাহিদুর) এবং ১ জন কর্মচারীকে (মুজিব হল) সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সিন্ডিকেট সভায় আরও যেসব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হলোঃ
শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশি হামলায় মদদ দেওয়ার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নুরুল আলম এবং তৎকালীন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আবু হাসান অবসরে চলে যাওয়ায় তাদের অবসরকালীন ভাতা (পেনশন) সুবিধা বাতিলের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের গত কয়েক মাস ধরে দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শেখ পরিবারের নামে জাবিতে থাকা বিভিন্ন স্থাপনার নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শেখ মুজিব হল, শেখ হাসিন হল ও শেখ রাসেল হলের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং পরবর্তীতে নতুন নামকরণের বিষয়ে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিজে, গত বছর ১৮ সেপ্টেম্বর সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা শূট্যার শামীম মোল্লা হত্যাকান্ডের ঘটনায় ৬ শিক্ষার্থীকে ছয় মাসের বহিষ্কারাদেশ প্রদান করা হয়েছে। তাদের শাস্তি পূর্বের সিন্ডিকেট সভার দিন থেকে শুরু হবে। সেই হিসাবে অভিযুক্তদের শাস্তির মেয়াদ আগামীকাল বুধবার (১৯ মার্চ) থেকে শেষ হবে। সেইসাথে সাবেক আরও ২ শিক্ষার্থীর সনদ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
এছাড়া, চারুকলা অনুষদের নতুন ভবন নির্মাণের জন্য জায়গা পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটি হবে ক্যাম্পাসের প্রান্তিক গেইট এলাকায়। সেইসাথে এই অনুষদে ক্যালিগ্রাফি এ্যান্ড টাইপোগ্রাফি, ইসলামিক আর্ট অ্যান্ড আর্কিটেকচার নামের নতুন দুইটি বিভাগ চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি ধর্মতত্ত্ব অনুষদ চালুর ব্যাপারে পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান বলেন, বিগত জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় ২৮৯ জন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এরা তিনটি ক্যাটাগরিতে শাস্তি ভোগ করবে। যাদের ছাত্রত্ব শেষ তাদের সনদ বাতিল করা হবে। যারা পরীক্ষা বা ভাইবা দিয়েছে তাদের ফলাফল স্থগিত করা হবে এবং নিয়মিত শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশি হামলায় সরাসরি মদদ দেওয়ার অভিযোগে ৯ জন শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং আরও ১০জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের জন্য অনুষদভিত্তিক ছয়টি স্ট্রাকচারাল কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাবিতে শিশু আছিয়ার গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত
উল্লেখ্য, ১৫ই জুলাই সন্ধ্যায় জাবি শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের ঘৃণ্য হামলা এবং মধ্যরাতে ছাত্রলীগ-টোকাই-পুলিশের ত্রিমুখী সশস্ত্র হামলায় সাংবাদিকসহ অসংখ্য শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়।
সেই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতেই ১৫ জুলাইকে জাবির কালোরাত হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
২৮৬ দিন আগে
জুলাই আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার অভিযোগে ঢাবির ১২৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
জুলাইয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ১২৮ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের সময় হামলার বিষয়ে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সোমবার(১৭ মার্চ) ঢাবি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুন্সী শামসুদ্দিন আহমেদ।
বহিষ্কৃতদের বিষয়ে আরও বিস্তারিত তদন্তের জন্য সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস এ ইসলামকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে যত দ্রুত সম্ভব প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ১২৮ জনকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আরও পড়ুন: চুয়েট ছাত্রলীগের ১৯ নেতা বহিষ্কার
প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস এ ইসলামকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে আরও রয়েছেন প্রক্টর স্যার এ এফ রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ কাজী মাহফুজুল হক স্বপন, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইকরামুল হকসহ বেশ কয়েকজন। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে জড়িতদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রক্টর আরও উল্লেখ করেন, ৫০০ পৃষ্ঠার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশের বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত হয়নি। এছাড়া জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে শিক্ষকদের সম্পৃক্ততা নিয়ে আলাদা একটি কমিটিও কাজ করছে।
২৮৬ দিন আগে
চুয়েট ছাত্রলীগের ১৯ নেতা বহিষ্কার
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ১৯ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সোমবার (১৭ মার্চ) শৃঙ্খলা কমিটির সদস্যসচিব ও ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মাহবুবুল আলমের সই করা পৃথক ২১টি বিজ্ঞপ্তিতে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
এর আগে শৃঙ্খলা কমিটির ২৮১তম সভায় (জরুরি) এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরমধ্যে ৭ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শিক্ষা কার্যক্রম ও স্থায়ীভাবে আবাসিক হল থেকে বহিষ্কার ও আবাসিক হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে ১২ শিক্ষার্থীকে। বহিষ্কৃতরা সবাই নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের চুয়েট শাখার সাবেক নেতা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক হয়েছে। শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পাঠানো কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবের পরিপ্রেক্ষিতে সভায় শাস্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৪ জনকে ২ বছর ও বাকি ৩ জনকে ১ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। একইসঙ্গে তাদের আবাসিক হল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়।
আরও পড়ুন: চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় বাসচালক গ্রেপ্তার
দুই বছরের জন্য বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন— চুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিজয় হোসেন, সাবেক সহসভাপতি মো. ইমাম হোসেন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আজহারুল ইসলাম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ তৌফিকুর রহমান।
এক বছরের জন্য বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন— সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৌমিক জয়, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুল ইসলাম ও তাহসিন ইশতিয়াক।
আবাসিক হল থেকে সাময়িক বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন— চুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি তোফাইয়া রাব্বি, মো. সাদিকুজ্জামান, ইউসুফ আবদুল্লাহ, মো. তানভীর জনি, ইফতেখার সাজিদ ও শাকিল ফরাজী; সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তালহা জুবায়ের, মাহমুদুল হাসান, মো. রিফাত হোসাইন, মইনুল হক ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইরফানুল করিম ও আবদুর রহমান।
২৮৬ দিন আগে
কৃষিগুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় আসন প্রতি লড়বেন ২৫ ভর্তিচ্ছু
কৃষিবিজ্ঞান বিষয়ের ডিগ্রি প্রদানকারী নয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় তিন হাজার ৮৬৩টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ৯৪ হাজার ৩৬ জন শিক্ষার্থী। এই হিসাবে প্রতিটি আসনে গড়ে লড়বেন ২৫ জন ভর্তিচ্ছু।
সোমবার (১৭ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ম্যাথমেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রাকিব হাসান।
আগামী ১২ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা।
আরও পড়ুন: এবার গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে গেল দিনাজপুরের হাবিপ্রবি
দেশের ৯টি পরীক্ষা কেন্দ্রে কৃষিগুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্রগুলো হল: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ; গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর; শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা; পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী; চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম; সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট; খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা; হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ; এবং কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, কুড়িগ্রাম।
উল্লেখ্য, গত বছর কৃষি গুচ্ছভুক্ত ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় সর্বমোট আসন ছিলো ৩ হাজার ৭১৮টি, বিপরীতে আবেদন করেছিলেন ৭৫ হাজার ১৭ জন।
২৮৭ দিন আগে
জাবির প্রাণিবিদ্যা বিভাগ: শিক্ষকদের গ্রুপিংয়ে কম নম্বর পেলেন শিক্ষার্থী
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অনার্স চতুর্থ বর্ষের (৪৯তম ব্যাচ) এক শিক্ষার্থীর গবেষণার রিপোর্টে উদ্দেশ্যমূলকভাবে নম্বর কমিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে একই বিভাগের দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
তারা হলেন—প্রভাষক অশীষ কুমার দত্ত ও অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান।
এই ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বরাবর একটি অভিযোগপত্র দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে জাবি উপাচার্য বরাবর অভিযোগপত্রটি পাঠিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী রবিন হোসেন।
এতে বলা হয়, ‘গত ৫ মার্চ আমার অনার্স ৪র্থ বর্ষের রেজাল্ট প্রকাশিত হয়। আমি গত ১০ মার্চ ফলাফলের গ্রেডশিট উত্তোলন করি। সেই গ্রেডশিটে আমার ‘রিসার্চ রিপোর্ট’ কোর্সে ‘ডি’ গ্রেড দেখতে পাই, যা আমার প্রত্যাশার চেয়ে বহুলাংশে কম। বিগত বছরে অনার্সের কোনো পরীক্ষায় আমি ‘ডি’ গ্রেড পাইনি। আমার বিভাগের ‘ওয়াইল্ডলাইফ’ ব্রাঞ্চের কিছু শিক্ষক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এটা করেছেন। এমতাবস্থায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে আমার এই রিপোর্টটির রেজাল্ট পুনঃনিরীক্ষণ না করা হলে, আমি আমরণ অনশনে বসব।’
আরও পড়ুন: জাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় আটক রিকশাচালক নির্দোষ: দাবি পরিবারের
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ‘প্রাণিবিদ্যা বিভাগে চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রজেক্ট/রিসার্স রিপোর্ট কোর্স করতেই হবে। এটা বাধ্যতামূলক। এটি দুই ক্রেডিটের একটি মূল্যায়নভিত্তিক কোর্স। এখানে প্রথম পরীক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীর সুপারভাইজার, পাশাপাশি দ্বিতীয় ও তৃতীয় পরীক্ষক হিসেবে বিভাগের অন্য দুজন শিক্ষক নম্বর দিয়ে থাকেন।’
রবিন হোসেন বলেন, ‘আমি ওয়াইল্ডলাইফ ব্রাঞ্চের প্রফেসর ড. মনিরুল হাসান খানের অধীনে আমার গবেষণা রিপোর্ট সম্পন্ন করি। যিনি অরাজনৈতিক শিক্ষক হিসাবে পরিচিত। এতে অন্য গ্রুপের আওয়ামীপন্থি শিক্ষকরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে ইচ্ছাকৃতভাবে নম্বর কম দেন। আমার দ্বিতীয় ও তৃতীয় পরীক্ষক উভয়ই আওয়ামীপন্থি।’
‘আমি বিভাগের চেয়ারম্যান এবং উপাচার্য বরাবর অভিযোগপত্র দিয়েছি। আমার গবেষণা রিপোর্ট অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষকের মাধ্যমে মূল্যায়ন করুক, এতে আমার মার্কস না বাড়লে মেনে নেব, আর যদি বাড়ে তাহলে যেন তদন্ত সাপেক্ষে একটি ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। অন্যথায় আমি অনশনে বসব,’ বলেন ওই শিক্ষার্থী।
প্রাণিবিদ্যা বিভাগের মাস্টার্সের এক শিক্ষার্থী মারফত জানা যায়, বন্যপ্রাণিবিদ্যা গবেষক শিক্ষকদের মধ্যে দুটি গ্রুপ রয়েছে। একটি আওয়ামীপন্থি, অন্যটি অরাজনৈতিক। আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের নেতৃত্বে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য ও জুলাই হামলায় অভিযুক্ত অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, প্রফেসর ড. কামরুল হাসানসহ অন্যন্য আওয়ামীপন্থি শিক্ষকরা। অরাজনৈতিক গ্রুপটির নেতৃত্বে আছেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিরুল হাসান খানসহ অন্যন্য শিক্ষকরা। তাদের মধ্যকার দ্বন্দের কারণে ভুগতে হয় সাধারণ শিক্ষার্থীদের।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সাবেক এক শিক্ষার্থী জানান, ‘এখানে শিক্ষকদের মাঝে প্রচুর গ্রুপিং হয়ে থাকে। আমি একজন শিক্ষকের অধীনে থিসিস করেছিলাম, যার ফলে অন্যগ্রুপের শিক্ষকরা আমাকে ভাইভাতে অনেক কম মার্কস দিয়ে রেজাল্ট ধসিয়ে দিয়েছিলেন। অথচ বাকি কোর্সগুলোতে আমি ভালো করেছিলাম। শুধু আমি না, আমার মতো আরও অনেক শিক্ষার্থীর সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটছে, কিন্তু ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারেননি।’
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সুপারভাইজার অধ্যাপক মোহাম্মদ মনিরুল হাসান খান বলেন, ‘আমার অধীনে দুজন শিক্ষার্থী কাজ করেছেন। তার মধ্যে একজনকে অকৃতকার্য করা হয়েছে এবং ভুক্তভোগী রবিনকে 'ডি' গ্রেড দেওয়া হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ একটি অস্বাভাবিক বিষয়। কেননা, আমি দেখেছি তার অন্যান্য বিষয়গুলোতে অনেক ভালো মার্কস আছে। আমি বিষয়টি বিভাগীয় প্রধানকে জানিয়েছি। অথোরিটি বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখবে আশা করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থী একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এটা ভালো কাজ হয়েছে। আশা করি, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে একটি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক কামরুজ্জামান মনির বলেন, ‘মার্কস দেওয়ার ক্ষেত্রে পরীক্ষা কমিটির কোনো ইখতিয়ার নেই। পরীক্ষা কমিটি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস ও বিভাগের শিক্ষকদের যোগ করা মার্কস ক্রোস চেক করেন। ওই শিক্ষার্থী প্রশাসনের কাছে নিজের আবেদন পেশ করতে পারেন। এক্ষেত্রে প্রশাসন এ বিষয়ে যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেবেন।’
আরও পড়ুন: জাবিতে বসন্তের আগমন, প্রকৃতিতে স্নিগ্ধতার ছোঁয়া
প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মানছুরুল হক বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে এখন কিছুই বলতে পারছি না। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী একটি অভিযোগপত্র দিয়েছেন। আশা করি, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তদন্তসাপেক্ষে একটি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, ‘এরকম একটা ঘটনা ঘটেছে জানতে পেরেছি। এ ব্যাপারে এখনই কিছু বলতে পারছি না। অভিযোগপত্র এখনো হাতে পাইনি। অভিযোগপত্র সম্ভবত অফিসে এসেছে। আমার হাতে এলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী তদন্তসাপেক্ষে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
অভিযুক্ত দুই শিক্ষক প্রভাষক অশীষ কুমার দত্ত ও অধ্যাপক ড. কামরুল হাসানের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাদের কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
২৮৭ দিন আগে
ইসলামী ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
ইসলামী ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১২ মার্চ) ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে এই ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মুহাম্মদ নাসরুল্লাহ। তিনি বলেছেন, পবিত্র রমজান একজন ভারসাম্যপূর্ণ ও মধ্যপন্থী মানুষ হতে শেখায়।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থী এবং সকল ধরণের মানুষ প্রকৃত মানুষ হয়ে জাতির সেবা করার জন্য রমজানের এই আদর্শকে তাদের জীবনে ধারণ করতে পারে।
ইফতার পূর্ব আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি নাজমুল হক সাঈদীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল হাইয়ের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন অধ্যাপক নাসির উদ্দিন, অধ্যাপক আব্দুল করিম, ইসলামী ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসাদুল্লাহ, ব্যাংকার জিল্লুর রহমানসহ আরও অনেক পেশাজীবী বক্তব্য দেন।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ও বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আব্দুল মান্নান অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। অনুষ্ঠানে শিক্ষাবিদ, অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, আলেম-ওলামা, গবেষণা, আইনজীবীসহ বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত অ্যালামনাইরা উপস্থিতি ছিলেন।
২৯১ দিন আগে
পুলিশকে মারধরের প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ
মব সন্ত্রাসের প্রতিবাদ, এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিংয়ের বিচার, পুলিশকে মারধর এবং লাকী আক্তারের গ্রেফতারের দাবিতে মধ্যরাতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দিবাগত রাত ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকায় জড়ো হয় একদল শিক্ষার্থী। এরপর তারা মিছিল নিয়ে ছেলেদের হলগুলোর সামনে দিয়ে ট্রান্সপোর্ট (পরিবহন চত্ত্বর) অতিক্রম করে ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয়। তারপর মেয়েদের হলগুলোর সামনে দিয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে ফের বটতলায় এসে একটি প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে মিছিলটি শেষ করেন।
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা দেখেছি কীভাবে শাহবাগ ফ্যাসিস্টের ভিত্তিপ্রস্তর হিসাবে কাজ করেছে। আমরা এও দেখেছি, ২০১৩ সালে কীভাবে তৎকালীন প্রজন্মের চোখে ধুলো দিয়ে এদেশের দেশপ্রেমিক নাগরিককে এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং এর মাধ্যমে খুন করেছে। আমরা তাদের হুঁশিয়ার করে বলতে চাই—এটা ২০১৩ নয়; এটা ২০২৫। আবার যদি কেউ কোনো শাহবাগ কায়েম করতে চায়, তাহলে তোমাদের বিষদাঁত ভেঙে দেওয়া হবে।
মিছিল শেষে সমাবেশে ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শোয়েব হাসান বলেন, ‘আমরা শাহবাগীদের হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, তোরা ছাত্রলীগ নিয়ে আয়, লাকিকে নিয়ে আয়, শাহরিয়ার কবিরকে নিয়ে আয়, কিন্তু ২০১৩ সালে এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং এর মাধ্যমে দেশপ্রেমিক নাগরিকদের তোরা যেভাবে খুন করেছিস, তার হিসাব আমরা পই পই করে নেব। আমরা দেখেছি সেই সব শাহবাগীরা কোন কোন পতাকাতলে লালিত পালিত হয়েছে। আমরা কাউকেই ভুলি নাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যতদিন বেঁচে আছি, আর কোনো মব, আর কোন এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং, আর কোনো শাহবাগ এই বাংলাদেশে কায়েম হতে দেব না। এই প্রজন্ম যতদিন জীবিত থাকবে, রক্তপিপাসু শাহবাগীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ চলমান থাকবে। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, আপনারা অনতিবিলম্বে শাহবাগী লাকি আক্তারকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসুন, অন্যথায় আমরা কঠর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।’
গনিত বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শাফায়াত মীর বলেন, ‘এই শাহবাগ ভারতীয় আধিপত্যবাদের পক্ষে, এই শাহবাগ বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে, এই শাহবাগ দেশপ্রেমিক নাগরিকদের হত্যায় নৃত্য করেছিল। আমরা দেখতে পাচ্ছি, ২০১৩ এর সেই পুরনো শকুন আবারো দেশকে ভারতীয় আধিপত্যবাদের কাছে বিক্রি করে দেওয়ার নীলনকশা বাস্তবায়নে তৎপর রয়েছে। যেকোন মূল্যে এদের মোকাবিলা করতে হবে।’
আরও পড়ুন: সৌহার্দ্য সম্প্রীতির মেলবন্ধনে জাবিতে গণ-ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম এই শাহবাগীরা ২৪ এর পরে নিজেদের শুধরে নেবে। কিন্তু না, এরা আবারো দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। আমরা বলতে চাই, আমরা ২৪ এর সৈনিকরা এখনো বেঁচে আছি। শাহবাগীদের যেকোন ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় আমরা জীবন দিতেও প্রস্তুত।’
সিএসই বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আলী জাকি শাহরিয়ার বলেন, ‘আমরা দেখেছি কীভাবে শাহবাগ ফ্যাসিস্টের দোসর হিসাবে কাজ করেছে। আমরা এও দেখেছি কীভাবে শাহবাগ বিচারিক হত্যাকান্ডে নেতৃত্ব দিয়েছে। আমরা এও দেখেছি শাপলার গণহত্যাকে এই শাহবাগ কীভাবে বৈধতা দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দেশপ্রেমিক নাগরিকদের হত্যায় মদত দেওয়ার পরেও এই সন্ত্রাসী লাকি প্রকাশ্য দিবালোকেও ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরা দেখেছি, দেশের সকল স্তরের মানুষরা এই শাহবাগীদের বিচার চায়। আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই অনতিবিলম্বে লাকি আক্তারের গ্রেফতার নিশ্চিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে, নইলে ২৪ এর চেতনাকে হরণ করা হবে। আপামর ছাত্রসমাজ তা কখনই মেনে নেবে না।
২৯১ দিন আগে
সৌহার্দ্য সম্প্রীতির মেলবন্ধনে জাবিতে গণ-ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভ্রাতৃত্ব ও সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির মেলবন্ধনে চতুর্থ বর্ষের (৫০তম ব্যাচ) শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে গণ-ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) জাবির কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এই ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইফতার শেষে আয়োজকরা জানান, রমাদানের শিক্ষাকে ধারণ করে গত বছরের ন্যায় এ বছরও বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে এই গণ-ইফতার কর্মসূচি পালিত হলো। প্রত্যেক বছর এই ইফতার কার্যক্রম চালু থাকবে।
আয়োজক কমিটির সদস্য তাহজিব হাসান বলেন, ‘গতবছর নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইফতারে বাঁধা দিয়েছিল তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তার প্রতিবাদে গতবছরই আমাদের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা জাবিতে গণ-ইফতার কর্মসূচি পালন করে। সেই ধারা অব্যাহত রাখার জন্যই আমরা এই আয়োজন করেছি। এই ধারা চলমান থাকবে।
আয়োজক কমিটির আরেক সদস্য জিয়াউদ্দিন আয়ান বলেন, ‘আমাদের আজকের এই আয়োজনে অনেকেই অনেকভাবে সহযোগিতা করেছে। এত সুন্দর একটা আয়োজন করতে পেরে ভালো লাগছে। আশা করি আগামী বছরও এমন আয়োজন হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, ‘আজকের যে ইফতার কর্মসূচি আয়োজন করেছে শিক্ষার্থীরা, তাদের এই আয়োজনকে স্বাগত জানাই। এখানে এসে ইফতার করেই যে আমরা চলে যাবো, গিয়ে সব কিছু ভুলে যাবো এমনটা যেন না হয়। এখান থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। এই রমজানে আমরা যে সংযমের শিক্ষাটা নেব এটা যেন সারাটা জীবন নিজের মাঝে ধরে রাখতে পারি। আমরা যেভাবে গুনাহমুক্ত ভাবে দুনিয়াতে এসেছি সেভাবেই যেন আল্লাহর কাছে ফিরে যেতে পারি এই শিক্ষাটা রমজান থেকেই অর্জন করতে হবে।’
আরও পড়ুন: ধর্ষকদের শাস্তি ও নারীদের নিরাপত্তার দাবিতে জাবিতে মানববন্ধন
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশেদুল আলম বলেন, ‘আমার চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে আজকে গণ-ইফতারের মতো এত সুন্দর একটা আয়োজন সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। এমন আয়োজন রমজানের সৌন্দর্যকে যেন আরও বাড়িয়ে তুলেছে। মাহে রমাদানের শিক্ষা আমাদের সবাইকে ধারণ করা উচিত।’
২৯২ দিন আগে
ধর্ষকদের শাস্তির দাবিতে বাকৃবিতে নারী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
দেশজুড়ে চলমান ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মশাল মিছিল করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শতাধিক নারী শিক্ষার্থী।
সোমবার (১০ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মশাল মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কে আর মার্কেট চত্বরে শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে মশাল হাতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি জব্বারের মোড় ঘুরে আবার কে আর মার্কেট এলাকায় এসে শেষ হয়। এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দেন এবং ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তারা।
চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী পুষ্পিতা ভট্টাচার্য ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, "সরকার ধর্ষণের ঘটনায় কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছ থেকেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখতে পাচ্ছি না। অবিলম্বে তার পদত্যাগ করা উচিত। নারীদের জন্য একটি নিরাপদ রাষ্ট্র নিশ্চিত করাই এখন সবচেয়ে জরুরি।"
বাকৃবির কৃষি অর্থনীতি অনুষদের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সিদরাতুল মুনতাহা বলেন, ‘দেশে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনা বেড়েই চলছে, কিন্তু অপরাধীদের যথাযথ শাস্তি দেওয়া হচ্ছে না। প্রতি ৯ ঘণ্টায় দুইজন নারী বা শিশু ধর্ষণের শিকার হচ্ছে, যা আমাদের রুমে বসে থাকার সুযোগ দেয় না। যতদিন না ধর্ষকদের বিচার হবে, আমাদের আন্দোলন চলবে।’
২৯৩ দিন আগে