শিক্ষা
নওগাঁয় ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বিক্ষোভ মিছিল
স্বাস্থ্যখাতকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার দাবিতে নওগাঁয় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে নওগাঁ মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে নওগাঁ মেডিকেল কলেজ চত্বর থেকে মিছিলটি বের করে ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা। শহরের মুক্তি মোড় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ মিছিল শেষ করে সেখানেই সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন আন্দোলনকারীরা।
এ সময় আন্দোলনকারীরা বলেন, এমবিবিএস অথবা বিডিএস ছাড়া কেউ চিকিৎসক পরিচয় দিতে পারবেন না। সম্প্রতি এ নিয়ে উচ্চ আদালতে করা রিট দ্রুত খারিজ করতে হবে। মানহীন বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো বন্ধ করতে হবে।
আরও পড়ুন: পাঁচ দফা দাবিতে খুমেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি
রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ফার্মেসিগুলো ওটিসি লিস্টের বাহিরে কোনো প্রকার ওষুধ বিক্রি করতে পারবেন না। পাশাপাশি বহির্বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চিকিৎসা ক্ষেত্রে উন্নত যন্ত্রপাতি ক্রয় করারও দাবি জানান তারা। সব মিলিয়ে মোট ৫টি দাবি তুলে ধরেন আন্দোলনকারীরা।
দাবি আদায়ে আজ (সোমবার) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সকল প্রকার ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনসহ কমপ্লিট শাটডাউনের ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।
৩০৭ দিন আগে
পাঁচ দাবিতে মমেক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, অন্যথায় ‘কমপ্লিট শাটডাউন’
পাঁচ দফা দাবি নিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছে। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মেডিকেল কলেজ চত্ত্বরে মমেক ও কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা এ বিক্ষোভে অংশ নেন।
এ সময় শিক্ষার্থীদের একটি মিছিল হাসপাতাল ক্যাম্পাসসহ চরপাড়া এলাকায় সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে মেডিকেল কলেজ গেইটে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষার্থীরা জানান, এমবিবিএস ও বিডিএস ছাড়া কেউ ‘ডাক্তার’ লিখতে পারবে না—বিএমডিসির এই আইনের বিরুদ্ধে করা রিট ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে ও বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন শুধু এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রিধারীদের দিতে হবে। ২০১০ সালে হাসিনা সরকার ম্যাটসদের বিএমডিসি থেকে রেজিস্ট্রেশন দেওয়া শুরু করেছে, তাদের বিএমডিসি থেকে রেজিস্ট্রেশন দেওয়া অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
তারা জানান, ম্যাটসদের বিএমডিসি থেকে রেজিস্ট্রেশন দেওয়া বন্ধ করতে হবে। অবিলম্বে চিকিৎসক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নসহ ৫ দফা দাবি না মানলে আগামীকাল (সোমবার) ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রেখে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করা হবে।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, এই দাবিগুলো বাস্তবায়িত হলে একদিকে যেমন স্বাস্থ্যখাতের অব্যবস্থাপনা ও অনিশ্চয়তা দূর হবে, তেমনই রোগী ও সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে।
আরও পড়ুন: পাঁচ দফা দাবিতে খুমেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি
শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি হলো—
১. এমবিবিএস ও বিডিএস ছাড়া কেউ ‘ডাক্তার’ লিখতে পারবে না—বিএমডিসির এই আইনের বিরুদ্ধে করা রিট ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে ও বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন শুধু এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রিধারীদের দিতে হবে। এছাড়া, ম্যাটসদের বিএমডিসি থেকে রেজিস্ট্রেশন দেওয়া অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
২. উন্নত বিশ্বের চিকিৎসাব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ওটিসি ড্রাগ লিস্ট আপডেট করতে হবে। এমবিবিএস ও বিডিএস ছাড়া অন্য কেউ ওটিসি ড্রাগ লিস্টের বাইরে ড্রাগ প্রেসকিবেল করতে পারবে না। রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ফার্মেসিগুলো ওটিসি লিস্টের বাইরে কোনো ওষুধ বিক্রি করতে পারবে না।
৩. স্বাস্থ্য খাতে চিকিৎসকের সংকট নিরসনে—
ক. দ্রুত ১০ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দিয়ে সকল শূন্যপদ পূরণ করতে হবে। আলাদা স্বাস্থ্য কমিশন গঠন করে আগের মতো সপ্তম গ্রেডে নিয়োগ দিতে হবে।
খ. প্রতি রবছর ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দিয়ে স্বাস্থ্যখাতের ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে।
গ. ডাক্তারদের বিসিএসের বয়সসীমা ৩৪ বছর করতে হবে।
৪. সকল মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) ও মানহীন সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ বন্ধ করে দিতে হবে। সেই সঙ্গে ইতোমধ্যে এসএসসি পাস করা (ম্যাটস) শিক্ষার্থীদের স্যাকমো পদবি রহিত করে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।
৫. চিকিৎসক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, পাঁচ দফা দাবিতে দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চললেও কর্তৃপক্ষ নির্বিকার। আমাদের দাবি পূরণের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। তাদের এই উদাসীনতায় আমরা ক্ষুব্ধ। আমরা মনে করি, তারা আমাদের দাবিগুলোতে গুরুত্ব দিচ্ছে না। আমাদের যৌক্তিক পাঁচ দাবি মানা না পর্যন্ত আমরা ক্লাসে ফিরব না এবং দাবি শিগগিরই না মানলে কাল থেকে হাসপাতাল ও ক্যাম্পাস কমপ্লিট শাটডাউন করতে বাধ্য হব।
৩০৮ দিন আগে
ধর্ষণ, ছিনতাই ও সন্ত্রাসের প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, ধর্ষণ, ছিনতাই, খুন ও সন্ত্রাসের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে ফের শহীদ মিনারে এসে প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
মিছিলে ‘সারাদেশে ধর্ষণ চলে, ইন্টেরিম কি করে’; ‘জ্বালোরে জ্বালো, আগুন জ্বালো’; ‘সন্ত্রাসীদের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’; ‘ধর্ষকদের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’; ‘ছিনতাইকারীদের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’; ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত’; ‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’ এসব স্লোগান দিতে শোনা যায়।
শিক্ষার্থীরা বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। দেশে আইনের শাসন শূন্যের কোটায় চলে এসেছে। গত ৪৮ ঘণ্টায় ১৭টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এতে আমরা শিক্ষার্থীরা চরম আতঙ্কে দিন পার করছি।
এ সময় আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের আইনের আওতায় না আনলে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে ক্ষমতা থেকে নামানোর হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা। ইতিহাস বিভাগের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নিবিড় ভূঁইয়া বলেন, ‘সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। রাস্তাঘাটে সবসময় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, খুন ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে, আমাদের দেশের নারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।’
আরও পড়ুন: কুয়েটে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ মিছিল
তিনি বলেন, ‘আমরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, দেশে যেভাবে আইন লঙ্ঘিত হচ্ছে, এভাবে চলতে থাকলে দেশ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপস্থিত হবে।’
নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘বিগত সরকারের আমলে আমরা দেখেছি ছাত্রলীগ কীভাবে দেশে হত্যা, খুন, ছিনতাই ও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। তারা আত্মগোপনে চলে গেলেও দেশে এসব অপকর্ম থেমে নেই।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারকে বলতে চাই দেশে আইনের শাসন ফিরিয়ে আনতে হবে। দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে হবে। নইলে, এই জাহাঙ্গীরনগর থেকেই আমরা কঠর আন্দোলনের ঘোষণা দিতে বাধ্য হব।’
প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সজীব তালুকদারের সঞ্চালনায় উক্ত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থীরা।
৩০৮ দিন আগে
পাঁচ দফা দাবিতে খুমেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি
পাঁচ দফা দাবি নিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতি শুরু করেছেন। এতে রোগীদের ভোগান্তি তৈরি হয়েছে। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া এই কর্মবিরতি চলছে।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) সভাপতি ডা. আরাফাত হোসেন বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকার ম্যাটসদের বিএমডিসি থেকে রেজিস্ট্রেশন দেওয়া শুরু করেছে, যা ছিল সম্পূর্ণ বেআইনি আত্মঘাতী। আমরা ইন্টার্ন চিকিৎসকরা স্বাস্থ্যখাতের বিপ্লব সাধনের জন্য পাঁচ দফা দাবি পেশ করেছি।’
এছাড়া আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের এই কর্মবিরতি চলবে বলেও জানান আইডিএ সভাপতি ডা. আরাফাত হোসেন।
আরও পড়ুন: ভেঙে পড়েছে খুমেকের চিকিৎসা সেবা, রোগীরা ভোগান্তিতে
পাঁচ দফা দাবিগুলো হলো—
১. ‘এমবিবিএস ও বিডিএস ছাড়া কেউ ডাক্তার লিখতে পারবে না’—বিএমডিসির এই আইনের বিরুদ্ধে করা রিট ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে ও বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন শুধু এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রিধারীদের দিতে হবে। ২০১০ সালে হাসিনা সরকার ম্যাটসদেরকে বিএমডিসি থেকে রেজিস্ট্রেশন দেয়া শুরু করেছে, তাদের বিএমডিসি থেকে রেজিস্ট্রেশন দেয়া অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
২. উন্নত বিশ্বের চিকিৎসা ব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ওটিসি ড্রাগ লিস্ট আপডেট করতে হবে। এমবিবিএস ও বিডিএস ছাড়া অন্য কেউ ওটিসি ড্রাগ লিস্টের বাইরে ড্রাগ প্রেসকিবেল করতে পারবে না। রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ফার্মেসিগুলো ওটিসি লিস্টের বাইরে কোনো ওষুধ বিক্রি করতে পারবে না।
৩. স্বাস্থ্য খাতে চিকিৎসকের সংকট নিরসনে—
ক. দ্রুত ১০ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দিয়ে সকল শূন্যপদ পূরণ করতে হবে। আলাদা স্বাস্থ্য কমিশন গঠন করে পূর্বের মতো সপ্তম গ্রেডে নিয়োগ দিতে হবে।
খ. প্রতিবছর ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দিয়ে স্বাস্থ্যখাতের ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে।
গ. বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য চিকিৎসকদের বয়সসীমা ৩৪ বছর করতে হবে।
৪. সকল মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) ও মানহীন সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ বন্ধ করে দিতে হবে। এরইমধ্যে এসএসসি পাশ করা (ম্যাটস) শিক্ষার্থীদের স্যাকমো পদবি রহিত করে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।
৫. চিকিৎসক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।
৩০৮ দিন আগে
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ঢাকায় কুয়েট শিক্ষার্থী প্রতিনিধি দল
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ঢাকার উদ্দেশে খুলনা ছেড়েছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ৮০ জন শিক্ষার্থীর একটি প্রতিনিধি দল।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় তার সঙ্গে দেখা করার কথা থাকায় শিক্ষার্থীদের বহনকারী দুটি বাস সকাল ৮টায় ক্যাম্পাস ত্যাগ করে।
ক্যাম্পাস ছাড়ার আগে মাথায় ও চোখে লাল কাপড় পরা শিক্ষার্থীরা জানান, উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদ চৌধুরী ও উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলামের পদত্যাগসহ ছয় দফা দাবি তুলে ধরতে তারা ঢাকায় যাচ্ছেন।
তারা অভিযোগ করেন, ক্যাম্পাসে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং বৈঠক শেষে নিরাপদ স্থানে যাবেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তারা ক্যাম্পাসে ফিরবেন না। তবে তাদের কার্যক্রম অনলাইনে চলবে।
ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
হামলায় অন্তত ৫০ জন শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় ছাত্রশিবির ও ছাত্রদল পরস্পরকে দায়ী করেছে।
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে কুয়েট কর্তৃপক্ষ পূর্বের ন্যায় ক্যাম্পাসে সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করে।
কিন্তু ৬ দফা দাবি আদায়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
৩০৯ দিন আগে
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘হার্থ সামিট বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠিত
দেশব্যাপী মানসিক স্বাস্থ্য সেবা ও ওয়েলবিংকে মূল ধারায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে ‘হার্থ সামিট বাংলাদেশের’ (ঢাকা পর্ব) আয়োজন করেছে ইনোভেশন ফর ওয়েলবিং ফাউন্ডেশন।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্রান্সভিত্তিক ওয়েলবিং-বিষয়ক প্রতিষ্ঠান দ্য ওয়েলবিং প্রজেক্টের গ্লোবাল কোলাবোরেশনে ‘ভালো থাকি, প্রস্ফুটিত হই, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে’ এই স্লোগানে সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রিটিশ কাউন্সিলের সহযোগিতায় ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব এডুকেশনাল ডেভেলপমেন্ট, হিরোজ ফর অল এবং টিচ ফর বাংলাদেশের যৌথ আয়োজনে এই সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।
বিভিন্ন বয়সের মানুষকে ওয়েলবিং (ভালো থাকা), সহনশীলতা ও ব্যক্তিগত সমৃদ্ধির মতো বিষয়গুলোতে উদ্বুদ্ধ করতে সম্মেলনে ৪০০-র বেশি তরুণ, শিক্ষক, অভিভাবক, মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও ওয়েলনেস পেশাজীবী এই সম্মেলনে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: বুলবুল হাসানের বায়োফিকশন অন্তহীন বিতর্কযাত্রার প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত
এ উদ্যোগের মাধ্যমে ইনোভেশন ফর ওয়েলবিং ফাউন্ডেশন পরোক্ষভাবে ৫ হাজারের বেশি তরুণ, শিক্ষক, অভিভাবক ও সোশ্যাল চেঞ্জমেকারদের কাছে পৌঁছানোর পরিকল্পনা নিয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে সংস্থাটি।
সম্মেলনে অনুপ্রেরণামূলক আলোচনা, অংশগ্রহণমূলক কর্মশালা ও ভিন্নধর্মী শিল্প অভিজ্ঞতার মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা মানসিক স্বাস্থ্য ও ভালো থাকা নিয়ে গভীর উপলব্ধির সুযোগ পেয়েছেন।
বিভিন্ন প্রজন্মকে নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যসেবার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং সামগ্রিকভাবে ভালো থাকার লক্ষ্যে এই আয়োজন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
সম্মেলনের প্রধান অতিথি ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর স্টিফেন ফোর্বস বলেন, ‘ঢাকায় অনুষ্ঠিত হার্থ সামিট বাংলাদেশে অংশ নিতে পেরে আমি আনন্দিত, যা ভালো থাকার উদ্যোগকে প্রাধান্য দেয়।’
তিনি বলেন, ‘আধুনিক জীবনের প্রভাব, বিশেষত তরুণ ও শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য ও ওয়েলবিং নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে। শিক্ষা থেকে পেশাগত জীবনে প্রবেশের মুহূর্তে তারা নানা মানসিক ও আবেগগত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়।’
মানসিক স্বাস্থ্য ও ওয়েলবিং চর্চাকে এগিয়ে নেওয়ার এই গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণের জন্য ইনোভেশন ফর ওয়েলবিং ফাউন্ডেশন ও ব্র্যাক আইইডির প্রসংসা করেন তিনি।
সম্মেলনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে কানাডা হাইকমিশনের পলিটিক্যাল কাউন্সেলর মার্কাস ডেভিস।
আরও পড়ুন: সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য পরিবেশের সুরক্ষা করতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
তিনি বলেন, ‘কানাডা ফান্ড ফর লোকাল ইনিশিয়েটিভসের সহায়তায় কানাডা হাইকমিশন, ব্র্যাক আইইডি ও হার্থ সামিট বাংলাদেশ একসঙ্গে এমন নিরাপদ জায়গা তৈরি করছে যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের মানসিক চাপ তুলে ধরে মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা পেতে পারে।’
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যাক আইইডির মেন্টাল হেলথ টিমের প্রধান, সহকারী অধ্যাপক ড. তাবাসসুম আমিনা বলেন, ‘ব্রাক আইইডি হার্থ সামিট বাংলাদেশ ঢাকা পর্বের সহ-আয়োজক হিসেবে এই মূল্যবান আয়োজনের অংশীদার হতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত।’
তিনি জানান, ‘আমাদের লক্ষ্য হল সচেতনতা বৃদ্ধি করা, মানসিক স্বাস্থ্য সেবায় প্রবেশাধিকার সম্প্রসারণ করা এবং বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে মানসিক সুস্থতার চর্চাকে অগ্রাধিকার দিতে উদ্বুদ্ধ করা।’
আয়োজক প্রতিষ্ঠান ইনোভেশন ফর ওয়েলবিং ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক মনিরা রহমান বলেন, ‘হার্থ সামিট বাংলাদেশ আমাদের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন, যেখানে আমরা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের বন্ধনকে শক্তিশালী করে মানসিক স্বাস্থ্য, সহনশীলতা ও ব্যক্তিগত সমৃদ্ধিকে উদ্বুদ্ধ করছি।’
‘ভালো থাকি, প্রস্ফুটিত হই, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে’ শীর্ষক উদ্বোধনী প্লেনারি আলোচনা পর্বে, মানসিক স্বাস্থ্য ও ওয়েলবিং একাডেমিক ও বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. হামিদা বেগম, অধ্যাপক কামাল চৌধুরী ও ড. তাবাসসুম আমিনা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে সংযোগের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
প্রশ্নোত্তর পর্বে তরুণ শিক্ষার্থীরা অতীত অভিজ্ঞতা থেকে কিছু মানসিক আঘাতজনিত অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন এবং এ ধরনের ট্রমাটিক পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে কীভাবে নিজেদের সহায়তা করতে পারেন, সে ব্যাপারে উপস্থিত প্যানেল আলোচকদের পরামর্শ নেন।
সম্মেলনে ওয়েলবিং-বিষয়ক কয়েকটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়, যার মধ্যে একটি পরিচালনা করেন হিরোজ ফর অল-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ড. রেহনুমা করিম।
৩০৯ দিন আগে
একুশে পদকপ্রাপ্ত রিফাত নবীকে সম্মাননা দিল ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
জনপ্রিয় বাংলা টাইপিং সফটওয়্যার অভ্রের জন্য মর্যাদাপূর্ণ একুশে পদক প্রাপ্তিতে অভ্রের সহ-প্রতিষ্ঠাতা রিফাত নবীকে সম্মাননা দিয়েছে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুর এলাহী মিলনায়তনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আশিক মোসাদ্দিক। অনুষ্ঠানে রিফাত নবীকে একটি ল্যাপটপ কম্পিউটার উপহার দিয়ে সম্মানিত করা হয়।
অনুষ্ঠানে রিফাত নবী বলেন, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার পর প্রোগ্রামিংয়ের প্রতি তার আগ্রহ বেড়েছে, যা তাকে অভ্র দলে যোগ দিতে অনুপ্রাণিত করেছে। তিনি নিজের আগ্রহের ক্ষেত্রে জ্ঞান এবং দক্ষতা অর্জনের গুরুত্বের উপর জোর দেন, যা ভবিষ্যতে মূল্যবান হতে পারে।
ড. ফরাসউদ্দিন রিফাতের অর্জনে গর্ব প্রকাশ করে বলেন, এটি ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সম্মান বয়ে এনেছে। তিনি দলকে নিয়ে সম্মিলিতভাবে একুশে পদক গ্রহণে অভ্রর দল নেতা মেহেদী হাসানের নৈতিক সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন এবং সততার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারপারসন ড. মাহিন ইসলাম ও প্রক্টর ড. আনিসুর রহমান। অনুষ্ঠানে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রিফাত নবীর অভিভাবক ও আত্মীয়-স্বজন, কোষাধ্যক্ষ, শিক্ষক, অ্যালামনাই সদস্য, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
৩১১ দিন আগে
শাটডাউনের তৃতীয় দিনে অচল শেবাচিম ক্যাম্পাস
বরিশালে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে (শেবাচিম) তৃতীয় দিনের মতো চলছে শিক্ষার্থীদের ডাকা কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি। এতে ক্যাম্পাসে অচলাবস্থা বিরাজ করছে।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কর্মসূচির অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা কলেজের সামনে বান্দ রোডে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে।
এর আগে, শিক্ষক সংকট দূরের দাবিতে গত সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির ঘোষণা দেন শেবাচিম কলেজের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের চলমান এই কর্মসূচিতে বন্ধ রয়েছে কলেজের প্রশাসনিক ও ছাত্র শাখার কার্যক্রম। এছাড়াও কলেজের প্রধান দুটি গেট তালাবদ্ধ রয়েছে এবং গেট দুটিতে ‘শাটডাউন’ লেখা ব্যানার টানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত
কলেজের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মস্থলে এলেও নিয়মিত কোনো কার্যক্রমই পরিচালনা করতে পারেননি। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রমে অংশ নিতেও দেখা যায়নি। এতে ব্যাহত হচ্ছে কলেজটির স্বাভাবিক কার্যক্রম।
এদিকে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, কলেজে চলমান শিক্ষক সংকট নিরসনে তাদের দাবি মেনে না নেওয়া অবধি আন্দোলন চলমান থাকবে।
তবে কলেজ প্রশাসন বলছে, তারা বিষয়টি মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ না নিলে মেডিকেল কলেজের শূন্যপদে শিক্ষক পদায়ন সম্ভব নয়।
শেবাচিম কলেজের প্রশাসনিক শাখা জানায়, কলেজে শিক্ষকদের ৩৩৪টি পদের মধ্যে ১৪৬টি পদে শিক্ষক রয়েছেন। বাকি ১৮৮টি পদ শূন্য রয়েছে।
বর্তমানে কলেজে প্রয়োজনের তুলনায় শিক্ষক কম থাকায় প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রমে ব্যহত হচ্ছে। কয়েকটি বিভাগে শিক্ষক সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। এতে শিক্ষার্থীরা মানসম্মত ক্লাস ও প্রশিক্ষণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ প্রভাব চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের এই দাবি যৌক্তিক এবং তাদের দাবিগুলো নিয়ে মন্ত্রণালয়ে কথা বলা হয়েছে। দ্রুতই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে বলে নিশ্চিত করেন কলেজের অধ্যক্ষ ফয়জুল বাশার।
৩১২ দিন আগে
ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো ‘জার্মানিতে উচ্চশিক্ষা ও অভিবাসন’ বিষয়ক সেমিনার
জার্মানিতে বিনামূল্যে উচ্চশিক্ষা, ক্যারিয়ার গঠন এবং সহজে স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার সুযোগ— এই তিনটি বিষয়কে কেন্দ্র করে বাংলাদেশিদের জন্য জার্মানিতে রয়েছে বিশাল সম্ভাবনা। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশটির সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০৩৬ সালের মধ্যে প্রায় ৭.৫ মিলিয়ন বা ৭৫ লাখ কর্মজীবী অবসরে যাবেন, যা দক্ষ বিদেশি কর্মীদের জন্য একটি বড় সুযোগ তৈরি করবে। জার্মানিতে দক্ষ কর্মী হিসেবে কাজ করতে চাইলে আউসবিল্ডুং হতে পারে বিশাল এক সুযোগ।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিত ‘জার্মানিতে উচ্চশিক্ষা ও অভিবাসন’ বিষয়ক সেমিনারে এসব তথ্য তুলে ধরেন জার্মানিভিত্তিক মিডিয়া পার্সোনালিটি মাহমুদুল হাসান। জার্মানির ইগালটিউব ও ডিগ্রিওলা ডটকম-এর যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত সেমিনারে সহযোগিতা করে আন্তর্জাতিক অর্থ স্থানান্তর সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ‘ট্যাপট্যাপ সেন্ড’।
আরও পড়ুন: হুয়াওয়ে সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২৫ বাংলাদেশ: ক্যাম্পাস রোডশো শুরু
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জার্মান নাগরিক মাহমুদুল হাসান বলেন, জার্মানিতে বিনামূল্যে পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে দক্ষ কর্মীর সংকট। তাই যে কেউ যদি নিজেকে যোগ্য করে তোলে, তাহলে দেশটিতে কাজের সুযোগের অভাব হবে না। তিনি আরও বলেন, উচ্চশিক্ষা, আউসবিল্ডুং এবং অপরচুনিটি কার্ড-এর মাধ্যমে সহজেই জার্মানিতে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
৩১২ দিন আগে
এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ২৬ জুন, রুটিন প্রকাশ
উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশিত হয়েছে। সূচি অনুযায়ী, আগামী ২৬ জুন থেকে তত্ত্বীয় পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হবে ১০ আগস্ট। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ১১ আগস্ট শুরু হয়ে শেষ হবে ২১ আগস্ট।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এসএম কামাল উদ্দিন হায়দার সই করা সময়সূচি প্রকাশ করা হয়।
আরও পড়ুন: এইচএসসির ফল পুনর্মূল্যায়নের দাবিতে সচিবালয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ নির্দেশাবলি
পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে। প্রথমে বহুনির্বাচনী ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৩০ নম্বরের বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ৩০ মিনিট এবং ৭০ নম্বরের সৃজনশীল (সিকিউ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট।
ব্যবহারিক বিষয়-সংবলিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে ২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনী পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২৫ মিনিট এবং ৫০ নম্বরের সৃজনশীল পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট।
পরীক্ষা বিরতিহীনভাবে প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় পর্যন্ত চলবে। এমসিকিউ ও সিকিউ উভয় অংশের পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না।
সকাল ১০টা থেকে অনুষ্ঠেয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে সকাল সাড়ে ৯টায় অলিখিত উত্তরপত্র ও বহুনির্বাচনী ওএমআর শিট বিতরণ সকাল ১০টায় বহুনির্বাচনী প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে।
সকাল সাড়ে ১০টায় বহুনির্বাচনী উত্তরপত্র সংগ্রহ ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে। (২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনী পরীক্ষার ক্ষেত্রে এ সময় ১০.২৫ মিনিট)।
আর দুপুর ২টা থেকে অনুষ্ঠেয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে দুপুর দেড়টায় অলিখিত উত্তরপত্র ও বহুনির্বাচনী ওএমআর শিট বিতরণ। দুপুর ২টা বহুনির্বাচনী প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে। দুপুর আড়াইটায় বহুনির্বাচনী উত্তরপত্র সংগ্রহ ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে।
(২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনী পরীক্ষার ক্ষেত্রে এ সময় ২.২৫ মিনিট) প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষার্থীরা তাদের প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছ থেকে সংগ্রহ করবে।
প্রত্যেক পরীক্ষার্থী সরবরাহকৃত উত্তরপত্রে তার পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি ওএমআর ফরমে যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করবে। কোনো অবস্থাতেই মার্জিনের মধ্যে লেখা কিংবা অন্য কোনো প্রয়োজনে উত্তরপত্র ভাজ করা যাবে না।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে এইচএসসির ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ
পরীক্ষার্থীকে তত্ত্বীয়, বহুনির্বাচনী ও ব্যবহারিক অংশে (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) পৃথকভাবে পাস করতে হবে। প্রত্যেক পরীক্ষার্থী কেবল রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশ পত্রে উল্লিখিত বিষয়/বিষয়সমূহের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। কোনো অবস্থাতেই অন্য বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে। প্রোগ্রামিং ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না।
৩১২ দিন আগে