শিক্ষা
তিন দফা দাবিতে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
অতিরিক্ত ভর্তি ফি, সেমিস্টার ও ক্রেডিট ফি বাতিলসহ সব ধরনের কোটা বাতিলের দাবিতে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা। মানববন্ধন শেষে তারা তিন দফা দাবি তুলে ধরেন।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- যৌক্তিকভাবে ভর্তি, সেমিস্টার ও ক্রেডিট ফি কমিয়ে তা শিক্ষার্থীদের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে, পোষ্য কোটাসহ সব ধরনের অযৌক্তিক কোটা বাতিল এবং আগামী ২ সেমিস্টার ৪ মাস করে শেষ করতে হবে।
৭২ ঘণ্টার মধ্যে এসব দাবি কার্যকর না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী আজাদ শিকদারের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন রসায়ন বিভাগের আসাদুল্লাহ আল গালিব, সমাজকর্ম বিভাগের মুজাহিদ ইমন, মুহাম্মদ আলী, মুরাদ মিয়া, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের মাহবুবুল হাসান পবন ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ফয়সাল হোসেন।
এ সময় আজাদ শিকদার জানান, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি ফি ছিল ৮ হাজার ১০০ টাকা। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে তা বাড়িয়ে ১৮ হাজার টাকা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ভর্তি ফির পাশাপাশি কয়েকগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে সেমিস্টার ফি ও ক্রেডিট ফি। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত তত্ত্বীয় প্রতি ক্রেডিটের মূল্য ছিল ১০৫ টাকা, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে তা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪০ টাকা। এছাড়া, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক প্রতি ক্রেডিটের মূল্য ছিল ১৬০ টাকা যা ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদে শাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ
তিনি বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে শিক্ষার্থীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
আসাদুল্লাহ আল গালিব বলেন, ‘আমরা অনেক রক্তের বিনিময়ে নতুন স্বাধীনতা পেয়েছি। স্বাধীনতা-পরবর্তী প্রশাসনের কাছে প্রত্যাশা করেছিলাম তারা শিক্ষার্থীবান্ধব হয়ে উঠবে। কিন্তু আমরা বারবার দাবি নিয়ে গেলেও প্রশাসন তাতে ভ্রুক্ষেপ করছে না। তারা শিক্ষার্থীদের ওপর আগের প্রশাসনের চাপিয়ে দেওয়া পদ্ধতিগুলো এখনও বাতিল করেনি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ের উৎস শিক্ষার্থীরা হতে পারে না উল্লেখ করে এই শিক্ষাথী বলেন, ‘আমরা প্রশাসনকে বারবার বলেছি, পূর্ববর্তী প্রশাসন শিক্ষার্থীদের ওপর অযৌক্তিকভাবে ভর্তি, ক্রেডিট ও সেমিস্টার ফি চাপিয়ে দিয়েছিল, যা শিক্ষার্থীদের ওপর জুলুম করে অর্থ নেওয়ার মতো।’
‘বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ের উৎস বিশ্ববিদ্যালয় বের করবে, কিন্তু আমরা দেখতে পাই, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এদিকে নজর না দিয়ে আয়ের উৎস হিসেবে শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করছে। আমরা প্রশাসনকে বলতে চাই, অযৌক্তিক ফি বাতিল করে শিক্ষার্থীবান্ধব ফি নিশ্চিত করুন।’
পবন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে পোষ্য কোটায় অতিরিক্ত সুযোগ দেওয়ার কোনো অর্থ দেখি না। এতে মেধাবী শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হন।’
শাবিপ্রবিতে পোষ্য কোটা বাতিলসহ বিভাগীয় পর্যায় ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, প্রশাসনের সঠিক সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাবে।’
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে অবাঞ্ছিত ও আজীবন নিষিদ্ধ সেই উর্মি!
৩৮২ দিন আগে
দেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রথম বর্ষের ভর্তি কার্যক্রম শুরু
কৃষিগুচ্ছভুক্ত দেশের নয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক পর্যায়ের প্রথম বর্ষের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ইউএনবিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের সিনিয়র উপপরিচালক খলিলুর রহমান।
কার্যক্রমটি সোমবার (৯ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হয়ে আগামী ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়েছেন খলিলুর রহমান।
এবার কৃষি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মোট আসন রয়েছে ৩ হাজার ৭১৮টি। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন রয়েছে ১ হাজার ১১৬টি, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৭০টি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৩৫টি, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ৬৯৮টি, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৪৮টি, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৩১টি, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫০টি, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯০টি ও কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসনসংখ্যা ৮০টি।
উল্লেখ্য, ৭৫ হাজার ১৭ জন ভর্তি-ইচ্ছু এবারের ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করলেও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ৫১ হাজার ৮৩৬ জন।
৩৮৫ দিন আগে
জার্মানিতে স্কলারশিপ পেল বাংলাদেশি ১১ কৃতি শিক্ষার্থী
জার্মানিতে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি ১১ কৃতি শিক্ষার্থী স্কলারশিপ পেয়েছেন। ট্যাপট্যাপ সেন্ড এবং ডিগ্রিওলা ডটকম তাদের এই স্কলারশিপ দিয়েছে।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) জার্মানিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সংগঠন বাহসিগ-এর উদ্যোগে এক অনুষ্ঠানে এই স্কলারশিপ দেওয়া হয়।
জার্মানির রাজধানী বার্লিনে আয়োজিত স্কলারশিপ প্রদান ও গেট-টুগেদার অনুষ্ঠানে প্রায় ১৫০ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: লিথুয়ানিয়ায় উচ্চশিক্ষা: ভর্তি, ভিসা, অধ্যয়ন খরচ ও স্কলারশিপসহ নানাবিধ সুবিধা
এ বছর স্কলারশিপপ্রাপ্তরা হলেন- রাইনভাল অ্যাপ্লাইড সায়েন্সেস ইউনিভার্সিটির বায়োইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাজিদুল ইসলাম, বার্লিনের ফ্রি ইউনিভার্সিটির রসায়ন বিভাগের মো. লুৎফুল বারী, প্যাডারবর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল সিস্টেমস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের রাকিবুল ইসলাম, ডুইসবুর্গ-এসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের লজিস্টিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সানজিদা আক্তার মৌলি, বার্লিন ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপ্লাইড সায়েন্সেসের ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের খান মোহাম্মদ শৈশব আজাদ, টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি ডর্টমুন্ডের ড্যাটা সায়েন্স বিভাগের নন্দিতা চক্রবর্ত্তী, নিদাররাইন ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপ্লাইড সায়েন্সেসের ম্যানেজমেন্ট অব টেক্সটাইল ট্রেড অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের মো. জোবায়ের হোসেন, টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি ডার্মস্টাডের এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মোল্লা মো. তমাল হোসেন, ইউনিভার্সিটি অব পটসডামের কগনিটিভ সিস্টেম বিভাগের মো. দেলোয়ার হোসেন, ইউনিভার্সিটি অব ব্রেমেনের অ্যাস্ট্রোফিজিক্স অ্যান্ড স্পেস সায়েন্স বিভাগের জুবাইদা করিম যুঁথি এবং ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপ্লাইড সায়েন্সেস ফর ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ইকোনোমিক্সের আন্তর্জাতিক ও উন্নয়ন অর্থনীতি বিভাগের খাদিজা আক্তার।
জার্মানির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যয়নরত ১১ শিক্ষার্থীকে এককালীন ৩০০ ইউরো করে স্কলারশিপ দেওয়া হয়।
এছাড়া যাদের মধ্যে লিডারশিপ দক্ষতা এবং বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজ করার আগ্রহ রয়েছে তেমন শিক্ষার্থীদের এই স্কলারশিপ প্রদান করা হয়।
এই আয়োজনের মূল স্পন্সর ছিল অ্যাপ ট্যাপট্যাপ সেন্ড এবং বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও অভিবাসন বিষয়ক তথ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান Degreeola.com।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জার্মানিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) কাজী মুহম্মদ জাবেদ ইকবাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন জার্মানির রাষ্ট্রায়ত্ত রেলসংস্থা ডয়চেবানের ডিজিটালাইজেশন, অটোমেশন বিভাগের চিফ ইঞ্জিনিয়ার ড. মাসুদ কবীর, কেমনিট্জ টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষক জুলকার নাইন ও একই বিভাগের গবেষক উম্মে উবায়দা শেগুপ্তা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জাবেদ ইকবাল বলেন, জার্মানিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অপার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ সরকারও এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য যে ভিসার জন্য দীর্ঘসময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। আমরা এ বিষয়টি নিয়েও ওয়াকিবহাল।
তিনি বলেন, জার্মান সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে আমাদের আলোচনা অব্যাহত রয়েছে এবং আশা করি শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
বিশেষ অতিথি ড. মাসুদ কবীর বলেন, স্কলারশিপের টাকার চেয়েও সম্মানটা আসল। যারা স্কলারশিপ পেলেন তাদের জন্য এ অর্জনটি ভবিষ্যতে আরও ভালো ফলাফলসহ দেশের উন্নয়নে কাজ করার উৎসাহ যোগাবে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়ায় উচ্চশিক্ষা: ভর্তি পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
শিক্ষক জুলকার নাইন বলেন, জার্মানি এসে অনেকেই পড়াশোনা শেষ করেন না। এতে করে তাদের ক্যারিয়ার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে। পড়াশোনার দিকে নজর দিলে জার্মানিতে সুন্দর একটি ক্যারিয়ার হতে পারে।
গবেষক উম্মে উবায়দা শেগুপ্তা বলেন, অধ্যবসায়ী হলে, সত্যিকারের মোটিভেটেড হলে, পরিশ্রম করলে জার্মানিতে সুযোগসুবিধার কোনো শেষ নেই। দরকার দক্ষতার সঙ্গে পরিশ্রম। তাহলে ভালো ক্যারিয়ার করা সম্ভব।
৩৮৬ দিন আগে
ঢাবিতে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড: জনসাধারণের মতামত নিতে পরামর্শ বাক্স ও ই-মেইল উদ্বোধন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রকৃতি ও পরিধি নির্ধারণের প্রয়াসে মতামত আহ্বান করে একটি সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে একটি পরামর্শ বাক্স রাখা হয়েছে এবং মতামত সংগ্রহের জন্য একটি ডেডিকেটেড ইমেইল অ্যাড্রেস [email protected] তৈরি করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক চর্চা পর্যালোচনার জন্য গঠিত বিশেষ কমিটির সুপারিশ অনুসরণ করে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ক্যাম্পাসের রাজনীতি যাতে গঠনমূলক ও একাডেমিক উৎকর্ষের অনুকূল থাকে তা নিশ্চিত করাই এই কমিটির লক্ষ্য।
শিক্ষার্থী, অনুষদ এবং অন্যান্য অংশীজনদের কীভাবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডলো কাঠামোগত ও পরিচালিত হওয়া উচিত। সে সম্পর্কে তাদের চিন্তাশীল পরামর্শগুলো দিতে উৎসাহিত করা হয়। এই মতামত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: ঢাবির রাজনীতিবিষয়ক বিশেষ কমিটির কার্যক্রম শুরু
৩৮৭ দিন আগে
বিসিএসে মৌখিক পরীক্ষার নম্বর কমল
সরকারি চাকরিতে নিয়োগে বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ২০০ থেকে কমিয়ে ১০০ করা হয়েছে।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) প্রশাসনিক উন্নয়ন-সংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘বিসিএসে ভাইবার (মৌখিক পরীক্ষা) নম্বর ২০০ থেকে কমিয়ে ১০০ করা হয়েছে। এটি আমাদের নতুন আইন, ২০২৪-এর আইন।’
জ্যেষ্ঠ সচিব বলেন, আগে মোট পরীক্ষা দিতে হতো ১১০০ নম্বরের। এখন থেকে তা হবে এক হাজার নম্বরের।’
আরও পড়ুন: ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
এর আগে, মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ২০০ থেকে কমিয়ে ১০০ করার জন্য বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, পিএসসি মনে করছে, ২০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষার কারণে অনেকে অনিয়মের ফাঁক-ফোকর খোঁজে। লিখিত পরীক্ষায় কম নম্বর পেয়েও অনেকে মৌখিকে বেশি পেয়ে যায়। এখানে বিশেষ সুবিধা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। সেই অনৈতিক সুবিধা পাওয়ার সুযোগটি বন্ধ করার দাবি রয়েছে। সেজন্য মৌখিক নম্বর কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে পিএসসি।
আরও পড়ুন: ২৮তম বিসিএস-প্রশাসন ফোরামের সভাপতি শবনম, সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ ভূঁইয়া
৩৮৯ দিন আগে
১ ডিসেম্বর ‘বিজয় র্যালি’ করবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিজয়ের মাসের প্রথম দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ‘বিজয় র্যালি’ বের করবে।
শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
এতে বলা হয়, রবিবার (১ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের) অপরাজেয় বাংলা থেকে র্যালিটি শুরু হয়ে টিএসসি হয়ে স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে গিয়ে শেষ হবে।
আরও পড়ুন: ৭ নভেম্বর উপলক্ষে বিএনপির বিশাল র্যালি শুরু
শেষে ঢাবির সংগীত বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে দেশাত্মবোধক গান (মুক্তির ও বিজয়ের গান) পরিবেশন করবে।
এতে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে রবিবার সকাল সাড়ে ৭টায় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে জমায়েত হওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অনুরোধ করা হয়েছে।
এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমদ খান ‘বিজয় র্যালি’র নেতৃত্ব দেবেন।
আরও পড়ুন: শ্রীমঙ্গলে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সম্প্রীতির র্যালি ও মানববন্ধন
৩৯৩ দিন আগে
রাবিতে সার্টিফিকেট তুলতে এসে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্টিফিকেট তুলতে এসে ফিরোজ মাহমুদ নামে রাবি হল শাখার নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের এক নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের করা মামলায় শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) দিবাগত রাতে রাবির শহিদ জিয়াউর রহমান হলের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ফিরোজ সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং তার বাড়ি বগুড়া জেলায়। শহীদ জিয়াউর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তিনি।
আরও পড়ুন: সিলেটে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু, বোন আহত
শিক্ষার্থীরা জানান, শুক্রবার মধ্যরাতে হলের সামনে থেকে সাবেক এই নেতাকে আটকের পর মারধর করে শিক্ষার্থীরা। আহত অবস্থায় মতিহার থানা পুলিশ তাকে রামেকের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে মতিহার থানায় নেয় পুলিশ।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক বলেন, সার্টিফিকেট তুলতে আসলে জিয়া হলের সামনে ফিরোজকে ধরে মারধর করেন শিক্ষার্থীরা। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে থানায় আনা হয়েছে। ছাত্রদলের দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়া আদালতে মারামারি-হট্টগোল, দুই কর্মচারী আহত
৩৯৩ দিন আগে
কুয়েটের সাবেক ভিসির অবসর গ্রহণের আবেদন, ৯ কর্মকর্তা বরখাস্ত
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) থেকে স্বেচ্ছায় চাকরি থেকে পদত্যাগের আবেদন করেছেন সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিহির রঞ্জন হালদার।
এদিকে নিয়োগসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রো-ভিসি, দুইজন ডেপুটি রেজিস্ট্রারসহ ৯ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
জানা যায়, অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও ঊর্ধ্বতন পদে নিয়োগ, জাল সার্টিফিকেট দিয়ে নিয়োগসহ বিভিন্ন অনিয়মের কারণে তাদেরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকলকে চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছেন কুয়েট কর্তৃপক্ষ।
এই তালিকায় রয়েছেন কুয়েটের সাবেক প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. সোবহান মিয়া, সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. পিন্টু চন্দ্র শীল, ডেপুটি রেজিস্ট্রার নিমাই চন্দ্র মিস্ত্রী দোলন, ডেপুটি রেজিস্ট্রার দিবাশীষ মন্ডল, জনসংযোগ ও তথ্য শাখার সহকারী পরিচালক মনোজ কুমার মজুমদার, সহকারী কম্পোটলার জি এম আবু সাইদ, সহকারী প্রোগ্রামার ওমর ফারুক, সহকারী কারিগরি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান রাজন এবং পিয়ন সত্যজিৎ কুমার দত্ত। এই তালিকা আরও দীর্ঘ হতে পারে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: কুয়েটে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩
কুয়েটের বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ ৫ আগস্টের অভ্যুত্থান পরবর্তী দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি ২০০৭ সালের পর থেকে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কাজ শুরু করেন। গত ১৫ সেপ্টেম্বরের পর থেকে উপাচার্যের নির্দেশে অনেকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা পড়ে উপাচার্যের দপ্তরে।
অভিযোগগুলোর তদন্ত করতে অধ্যাপক ড. আশরাফুল গণি ভূঁইয়াকে সভাপতি এবং রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আনিছুর রহমানকে সদস্য সচিব করে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্তের সাপেক্ষে গত ২১ নভেম্বরের সিন্ডিকেট সভায় বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার সুপারিশ করে কমিটি। এরপর সিন্ডিকেটের সভার অনুমতি সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের কাজ শুরু হয়।
এদিকে কুয়েটের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিহির রঞ্জন হালদার এবং শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. শিবেন্দ শেখর শিকদার গত ২৪ নভেম্বর স্বেচ্ছায় চাকরি থেকে পদত্যাগের জন্য লিখিতভাবে আবেদন করেছেন।
আরও পড়ুন: কুয়েটে শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের রাজনীতি নিষিদ্ধ
৩৯৬ দিন আগে
আইনজীবী হত্যা: ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে বাকৃবিতে বিক্ষোভ মিছিল
চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম হত্যার বিচার ও ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল জব্বার মোড়ে ওই বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা।
মিছিলটি বাকৃবির কে আর মার্কেট, উপাচার্যের বাসভবন এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে আব্দুল জব্বার মোড়ে এসে শেষ হয়।
আরও পড়ুন: কম খরচে শীতকালীন ফসলের জাতভেদে ফলন বাড়ানো সম্ভব: বাকৃবি অধ্যাপক হারুন
পরে সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে বিক্ষোভ মিছিলে বাকৃবির বিভিন্ন হল থেকে কয়েকশ’ শিক্ষার্থী অংশ নেন।
এসময় বাকৃবির শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেন, ‘সাইফুল ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’, ‘ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও ইসকনের কালো হাত’, ‘ইসকনের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’, ‘ইসকনের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন’।
শিক্ষার্থীরা জানান, ফ্যাসিবাদীরা ভারতে বসে ষড়যন্ত্রের পর ষড়যন্ত্র করছে। আইনজীবী সাইফুলকে হত্যা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। এছাড়া সাইফুলকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে, এতেই প্রমাণিত হয় আমাদের দেশে আমরা (মুসলিমরাই) সংখ্যালঘু।
এদিকে সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকনের এমন কর্মকাণ্ড আমরা বরদাশত করব না। ভারতের দালাল ইসকনের সন্ত্রাসীদের উপযুক্ত বিচার না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়ব না। আমাদের এই আন্দোলন অনির্দিষ্টকালের জন্য চলবে।
এছাড়া হিন্দুদের প্রতি আমাদের পূর্ণ সম্মান রয়েছে, কিন্তু উগ্রবাদীরা যে ধর্মের হোক না কেন তাদের কোনো ছাড় নেই বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য বাস সার্ভিস চালু বাকৃবি প্রশাসনের
৩৯৭ দিন আগে
শিক্ষকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে জবিতে বিক্ষোভ, আল্টিমেটাম
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর জাহিদুল হককে হত্যার হুমকিদাতা ও তার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার ও শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদী মানববন্ধন, চিত্রাঙ্কন কর্মসূচি ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ সময় হুমকিদাতাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বহিষ্কার ও সন্ত্রাসবিরোধী বিশ্বজিৎ ভাস্কর্য স্থাপনের জানান তারা।
রবিবার (নভেম্বর ২৪) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বরে মানববন্ধন করেন চারুকলা অনুষদের শিক্ষকরা। এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি মিছিল পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে মানববন্ধনে যোগ দেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘ফ্যাসিস্টদের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘ফ্যাসিস্টদের ঠিকানা, জগন্নাথে হবে না’, ‘এক জাহিদ মরে গেলে লক্ষ জাহিদ ঘরে ঘরে’-সহ নানা স্লোগান দেন। মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদী চিত্রাঙ্কন কর্মসূচির আয়োজন করেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, কীভাবে একজন কর্মচারী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককে গুলি করে মারার হুমকি দেন? এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার না হলে আমরা শিক্ষার্থীরা মাঠে থাকব। যারা হুমকি দিচ্ছে তাদের আমরা ছেড়ে কথা বলব না। ছাত্র আন্দোলনে তিনি শিক্ষার্থীদের পাশে ছিলেন, এটা কি তার অপরাধ?
তাদের দাবি, অভিযুক্ত কাজী মনির ও হুমকিদাতা সালাউদ্দিন মোল্লা স্পষ্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিরোধী ছিলেন। এখন বাইরে বসে হত্যার হুমক দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্রভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেবে জবি
ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষার্থী অতুল বলেন, ‘ফ্যাসিস্টের দোসররা বিদেশে পালিয়েও আমাদের হুমকি দেয়। শিক্ষকদের হুমকি দেওয়া মানে আমাদের ছাত্র আন্দোলনকে হুমকি দেওয়া। জবিতে ফ্যাসিস্ট আমলের যারা রয়ে গেছে, তাদের আমরা খুঁজে বের করব এবং সব অভিযুক্তদের যেকোনো মূল্যে আইনের আওতায় আনতে চাই। জবি প্রশাসন আমাদের পূর্ণ সহায়তা করবে আশা করি। প্রশাসন আমাদের দাবি না মানলে আমরা সকল ক্লাস বর্জন করব।’
ভাস্কর্য বিভাগের চেয়ারম্যান ইমাম হোসেন সুমন বলেন, ‘আমাদের যে সহকর্মীর কাছে হত্যার হুমকি এসেছে, তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন জাতীয় অংশীজন। বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে তার চিন্তা সবসময় ছিল। আন্দোলনে জবি শিক্ষার্থীদের পক্ষেও তার শক্ত ভূমিকা ছিল। এখন যখন ওই আন্দোলনের স্পিরিটের বিরোধীরা বহাল তবিয়তে আছে, এ বিষয়ে তার আপত্তি আছে। তিনি এগুলো নিয়ে বলছেন। এজন্য জাহিদ এখন পলিটিকাল টার্গেটে পরিণত হয়েছে। জাহিদের মতো শিক্ষার্থীবান্ধব শিক্ষককে আমরা হারাতে চাই না।’
চারুকলা অনুষদের চেয়ারম্যান ও ডিন আলপ্তগীন তুষার বলেন, ‘শিক্ষক মোহাম্মদ জাহিদুল হককে হত্যার হুমকির সঙ্গে জড়িত সকল দুর্বৃত্তদের বহিষ্কারের দাবিতে আজ আমরা ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষকরা সম্মিলিত হয়েছি।’
‘উনিও শিক্ষক, আমিও শিক্ষক। আজ জাহিদকে হুমকি দিয়েছে, কাল আমাকে দেবে। আমি বলে দিতে চাই- বাঘে ছুঁলে ১৮ ঘা, পুলিশে ছুঁলে ৩৬ ঘা আর শিল্পী সমাজ ছুঁলে পুরো জয় বাংলা হয়ে যাবেন। জাহিদকে একা ভেবে ভুল করবেন না, আমরা পুরো শিল্পী সমাজ আছি তার সঙ্গে।’
আরও পড়ুন: একনেক সভায় জবি ক্যাম্পাসের মেগা প্রকল্পটি পাস হয়েছে: শিক্ষা উপদেষ্টা
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সহকারী প্রক্টর ও ভাস্কর্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাহিদুল হককে গুলি করে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দপ্তরের কর্মকর্তা সালাউদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার হত্যার হুমকির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উপাচার্য বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন এই শিক্ষক। পাশাপাশি কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেন তিনি।
৩৯৯ দিন আগে