শিক্ষা
ঢাবির রাজনীতিবিষয়ক বিশেষ কমিটির কার্যক্রম শুরু
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ধরণ ও অনুশীলনের বিষয়গুলো যাচাইয়ে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ কমিটি কাজ শুরু করেছে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট হলে কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান, উপ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. শ্যামা হক বিদিশা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুল মতিনকে নিয়ে এ কমিটি গঠন করা হয়।
আরও পড়ুন: আ. লীগ-জাপা নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাবিতে কফিন মিছিল
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- তাহমিদা বেগম, বাংলা একাডেমির চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. আবুল কাসেম ফজলুল হক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এম শামীম রেজা।
বৈঠকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন, আবাসিক হলগুলোতে ছাত্র রাজনীতি এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্কোন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে মূল অংশীজনদের আলোচনা, পরামর্শ ও প্রতিক্রিয়া সহজ করতে একটি পরামর্শ বাক্স স্থাপন ও বিশেষ ই-মেইল তৈরির সিদ্ধান্ত হয়।
কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী, প্রাক্তন শিক্ষার্থী, বিশিষ্ট নাগরিক, সাংবাদিক, ডাকসুর সাবেক নেতা ও অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা ও মতবিনিময় করা হবে।
কমিটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রকৃতি ও অনুশীলন সম্পর্কে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সুপারিশ প্রদান করবে।
আরও পড়ুন: ঢাবি ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পর্যালোচনায় বিশেষ কমিটি গঠন
৪০০ দিন আগে
গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্রভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেবে জবি
সমন্বিত গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে গিয়ে স্বতন্ত্রভাবে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা নেবে বলে জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। আগামী ৩১ জানুয়ারি জবির নতুন শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে।
১০০ নম্বরের পরীক্ষায় এবার ৪৮ নম্বরের লিখিত, ২৪ নম্বরের বহুনির্বাচনি প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়া হবে। আর বাকি ২৮ নম্বর নির্ধারণ করা হবে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বুধবার (২০ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. শেখ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বলেন, “আগামী ৩১ জানুয়ারি ‘ই’ ইউনিটে চারুকলা অনুষদের পরীক্ষার মাধ্যমে এবারের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে।”
আরও পড়ুন: একনেক সভায় জবি ক্যাম্পাসের মেগা প্রকল্পটি পাস হয়েছে: শিক্ষা উপদেষ্টা
এছাড়া ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘ডি’ ইউনিটে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, ১৫ ফেব্রুয়ারি ‘বি’ ইউনিটে কলা অনুষদ, ২১ ফেব্রুয়ারি ‘এ’ ইউনিটে বিজ্ঞান অনুষদ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি ‘সি’ ইউনিটে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের পরীক্ষার মাধ্যমে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষা শেষ হবে বলে জানান তিনি।
ড. শেখ গিয়াস উদ্দিন জানান, বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের পরীক্ষার জন্য এইচএসসিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সিলেবাস ও কলা অনুষদের জন্য বাংলা, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞান থেকে লিখিত ও বহুনির্বাচনি আকারে প্রশ্ন হবে।
আরও পড়ুন: জবির শিক্ষার্থীদের দাবি ৩ দিনের মধ্যে পূরণের আশ্বাস উপদেষ্টার
৪০৩ দিন আগে
জাবিতে আফসানার মৃত্যুতে শিক্ষার্থীদের অবরোধ
ক্যাম্পাসে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আফসানা করিম রাচির মৃত্যুর প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভ করছেন কিছু শিক্ষার্থী।
বুধবার (২০ )নভেম্বর শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে সেখানে বসে এই অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেছেন।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের কাছে ব্যাটারিচালিত রিকশার ধাক্কায় মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী আফসানার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ২০ আসন ফাঁকা থাকলেও জাবিতে ভর্তি হতে পারছে না শিক্ষার্থীরা
৫৩ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা এ আন্দোলন শুরু করেন। দোষীদের শাস্তি ও ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ কর্তৃপক্ষ তাদের ৮ দফা দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তরা।
আন্দোলন চলাকালে ক্যাম্পাসে কোনো যানবাহন ঢুকতে ও বের হতে দেওয়া হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: জাবি ক্যাম্পাসে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা
৪০৪ দিন আগে
ইবিতে র্যাগিংয়ের অভিযোগে ৬ শিক্ষার্থী আটক
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আবাসিক হলে র্যাগিংয়ের ঘটনায় ছয় শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। সোমবার (১৮ নভেম্বর) মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হলের ৩৩০ নম্বর কক্ষে র্যাগিংয়ের এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে ১৬ নভেম্বর রাতে ক্যাম্পাসের পাশের একটি ছাত্রাবাসে প্রথম দফায় র্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটে। এরপর দ্বিতীয় দফায় র্যাগিংয়ের সময় হলটির আবাসিক শিক্ষার্থীরা খবর পেয়ে অভিযুক্ত ছয় শিক্ষার্থীকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
আটক শিক্ষার্থীরা হলেন- সাব্বির হোসেন, শেহান শরীফ শেখ, লিমন হোসেন, কান্ত বড়ুয়া, সাকিব খান এবং ল অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের সঞ্চয় বড়ুয়া।
এর আগে ১৬ নভেম্বর প্রথম দফায় র্যাগিংয়ে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা হলেন-ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সাব্বির হোসেন, লিমন হোসেন, শেহান শরীফ, কান্ত বড়ুয়া, সাকিব খান ও জিহাদ। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা-গবেষণা নিশ্চিত করা হবে: ভিসি নসরুল্লাহ
শফিউল্লাহর নেতৃত্বে আটজন শিক্ষার্থী মিলে নবীন ১৬ শিক্ষার্থীকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করে আসছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাসানুল বান্না অলিসহ হলের শিক্ষার্থীরা তাদের হাতেনাতে ধরে থানায় হস্তান্তর করেন।
জানা যায়,গত রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভুক্তভোগীদের ডাকে অভিযুক্ত শেহান। পরে তাদের লালন শাহ হলের ৩৩০ নম্বর রুমে ডাকেন অভিযুক্তরা। অতঃপর ভুক্তভোগী সাইম, রাকিবুল, শামীম, রাকিব, হামজা, তারেক, রিশান, তানভীর এবং মামুনসহ ঐ রুমে যান। একপর্যায়ে চারজনকে রেখে (শামীম, সাইম, রাকিবুল, হামজা) বাকিদের অ্যাসাইনমেন্ট লেখা লাগবে বললে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর চারজনের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে অভিযুক্ত সাব্বির ও সঞ্চয়।
এ সময় ভুক্তভোগীদের মধ্যে একজনকে পাঁচ রকম হাসি দিতে বলা হয়, আরেকজনকে কল দিয়ে বাজে ভাষা বলতে বলা হয় এবং আরেকজনকে নাচতে বলা হয়। এ সময় হলের সিনিয়র শিক্ষার্থী হাসানুল বান্না উপস্থিত হয়ে তাদের হাতেনাতে ধরেন এবং পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা অভিযুক্তদের থানায় হস্তান্তর করেন।
এদিকে এর আগে গত ১৬ নভেম্বর রাত ১১টার দিকে নবীন ব্যাচের ১২জন শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী একটি ছাত্রাবাসে ডাকেন অভিযুক্তরা। পরে তাদেরকে রাত আড়াইটা পর্যন্ত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থীকে পর্ণ সিনেমার তারকাদের নাম জিজ্ঞেস করা হয়। কাউকে পর্ণ তারকা সেজে অভিনয়ও করতে বলা হয়। এছাড়া তিনজনকে দিয়ে অশ্লীল কবিতা পাঠ করানো হয়। আরেকজনকে বলে রিলেশনশীপের ওপর অ্যাসাইনমেন্ট লিখতে। এরকম নানা হয়রানির পর হুমকিও দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৭৪৫ আসন খালি
এ সময় উপস্থিত অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শফিউল্লাহ,তরিকুল, মুকুল, সাব্বির, সাকিব, শেহান, কান্ত বড়ুয়া এবং জিহাদ।
এদিকে র্যাগিং চলা অবস্থায় হাতেনাতে ধরা হলটির সিনিয়র শিক্ষার্থী হাসানুল বান্না বলেন, ‘আমার কাছে অভিযোগ আসে, হলের ৩৩০ নম্বর রুমে র্যাগিং চলতেছে। তারপরেই আমি সেখানে গিয়ে দেখি সাব্বির এবং সঞ্চয় দুজন মিলে ওদেরকে র্যাগ দিচ্ছে। পরে তারা ঘটনার কথা অস্বীকার করে। এর পরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের কয়েকজন বন্ধু ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তখন ভুক্তভোগীরা র্যাগিং চলছিল বলে নিশ্চিত করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় অভিযুক্তদের থানায় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।’
এদিকে এ ঘটনায় অভিযুক্ত শরীফ শেহান বলেন, ‘আমি হলের কক্ষে ছিলাম না। পরে আমাকে ডাকা হয়। এ সময় ভিতরে গিয়ে বান্না ভাইকে দেখতে পাই। এর আগে গতদিন মেসে জুনিয়রদের সঙ্গে আমরা বসেছিলাম। ওদিন ভিসি, প্রক্টর স্যারের নামসহ, বিভাগের সব শিক্ষকের নাম জিজ্ঞেস করা হয়। কেউ না পারলে তাকে একটু ধমকও দেওয়া হয়। তবে এ সময় কারো মারধর বা শারীরিক নির্যাতন করা হয়নি। তবে বাকি অভিযোগগুলোর বিষয়ে কিছুটা সত্যতা রয়েছে বলেও জানান তিনি।’
আরও পড়ুন: প্রতিষ্ঠার ৪৩ বছরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
এদিকে ইবি থানার কর্তব্যরত অফিসার এস আই মাসুদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন আমাদের কাছে ছয়জনকে নিয়ে এসেছেন। পরে তাদের থানায় পুলিশি হেফাজতে নিরাপদে রাখা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
৪০৪ দিন আগে
রাবিতে দুই বিভাগের ফুটবল খেলায় ‘স্লেজিং’: সংঘর্ষে আহত ১০
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে মার্কেটিং ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে কয়েক দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় উভয় পক্ষের ১০ শিক্ষক-শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এ সময় কয়েকটি কক্ষও ভাঙচুর করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় এ ঘটনা ঘটে। আইন বিভাগ ও মার্কেটিং বিভাগের মধ্যে আন্তঃবিভাগ ফুটবল খেলায় উত্ত্যক্ত করাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এতে আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মাহফুজুর রহমান এবং ওই দুই বিভাগের অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন।
এছাড়া দায়িত্ব পালনকালে এক সাংবাদিককে মারধর ও ফোন কেড়ে নিয়ে ভিডিও ডিলিট করতে বাধ্য করার ঘটনাও ঘটেছে। দুই বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমি ভবনের দুই পাশে অবস্থান নেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাবিতে ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকে পিটিয়ে হত্যা
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্টে রাউন্ড-১৬ এ মার্কেটিং বিভাগ ও আইন বিভাগের খেলা হয়। এতে মার্কেটিং বিভাগ ১ গোলে বিজয়ী হয়। খেলা চলাকালে উভয় পক্ষের দর্শক স্টেডিয়ামে অবস্থান করছিলেন। গোল হওয়ার এক পর্যায়ে উভয়পক্ষ একে-অপরকে ‘ভুয়া’ বলে স্লোগান দিতে শুরু করলে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।
খেলা শেষে আইন বিভাগ আগে স্টেডিয়াম ত্যাগ করে। পরে মার্কেটিং বিভাগ বের হয়। কিন্তু স্টেডিয়াম গেটে ফের উভয় পক্ষের কিছু শিক্ষার্থী বাকবিতণ্ডায় জড়ান। একপর্যায়ে ইট-পাটকেল ছোড়াছুড়ি হয় এবং লাঠিসোঁটা নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
এ সময় ইটের আঘাতে আইন বিভাগের শিক্ষক মাহফুজুর রহমান এবং ওই বিভাগের তানজিল ও তোফায়েলসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আহত অন্যদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এছাড়া দায়িত্ব পালনকালে দৈনিক বণিকবার্তা পত্রিকার ক্যাম্পাস প্রতিবেদক আবু সালেহ শোয়েবের ওপর আক্রমণ করেন এবং তার ফোন কেড়ে নিয়ে ভিডিও ডিলিট করতে বাধ্য করেন মার্কেটিং বিভাগের কিছু শিক্ষার্থী।
আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. সাঈদা আঞ্জু বলেন, ‘আহত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমি এখন রাজশাহী মেডিকেল কলেজে আছি। আমাদের শিক্ষকসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন।’
আহত সাংবাদিক আবু সালেহ শোয়েব বলেন, ‘আমিসহ কয়েকজন সাংবাদিক প্রেস ক্লাবের কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। তখন মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা মিছিল শোডাউন নিয়ে ফার্স্ট সায়েন্স বিল্ডিং পার হয়ে প্রেস ক্লাবের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। তাদের হাতে লাঠিসোটা দেখে ভিডিও করার জন্য ফোন বের করে ভিডিও করি। এ সময় ওই বিভাগের আনুমানিক ৫০ থেকে ৬০ জন শিক্ষার্থী আমার দিকে ধেয়ে এসে মারধর শুরু করেন। আমি সাংবাদিক পরিচয়ে আইডি কার্ড দেখালে সেটি ছিঁড়ে ফেলেন। আমার কলার চেপে ধরে ফোন থেকে জোর করে ভিডিও ডিলিট করানো হয়। আমার সঙ্গে প্রেস ক্লাবের সভাপতিসহ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ড. মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইটি বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটা ঝামেলার সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে।’
আরও পড়ুন: ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারে রাবি শিক্ষকদের বাধা
৪০৫ দিন আগে
কম খরচে শীতকালীন ফসলের জাতভেদে ফলন বাড়ানো সম্ভব: বাকৃবি অধ্যাপক হারুন
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. হারুন অর রশিদ বলেছেন, আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি ব্যবহার করে ও কম খরচেই শীতকালীন বিভিন্ন ফসলের জাতভেদে ফলন অনেকাংশেই বাড়ানো সম্ভব।
তিনি বলেন, ‘মালচিং, মাচা দেওয়া, ভার্টিকেল ফার্মিং বা উলম্ব কৃষি, পলিটানেল বা নেট হাউস, ভার্মি বা কেঁচো কম্পোস্ট পদ্ধতি ব্যবহার করে কম খরচে ও ফলন বেশি হওয়ায় কৃষকেরা লাভবান হতে পারবেন।
মালচিং সম্পর্কে অধ্যাপক হারুন বলেন, শীতকালে ফসল চাষে পানি একটি বড় সমস্যা। আলু, গাজর, মূলা ছাড়াও ফুলকপি, বাঁধাকপি স্কোয়াশ ও ব্রোকলিতে মালচিং করা হয়। এ পদ্ধতিতে শীতকালেও মাটির আর্দ্রতা ধরে রাখা যায়। গাছ পর্যাপ্ত পানি পাওয়ায় এ পদ্ধতিতে ফলনও বেড়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, পলিথিন মালচিং ভালো ফলন দিলেও পলিথিন পরিবেশবান্ধব না হওয়ায় এর বিকল্প হিসেবে প্রাকৃতিক ও জৈব মালচিং উপকরণ ব্যবহার করতে পারেন। যেমন বিভিন্ন গাছের শুকনা পাতা (কাঁঠাল পাতা, কলা গাছের পাতা ইত্যাদি), কচুরিপানা, কাঠের গুঁড়ো, গাছের বাকল, খড় ইত্যাদি। এসব উপকরণে তেমন কোনো খরচ হবে না বরং এগুলো পচে মাটির উর্বরতা বাড়াবে। এছাড়া আর্দ্রতা রক্ষার মাধ্যমে ফলন অনেকাংশে বৃদ্ধি করবে।
আরও পড়ুন: এডিবি-ইডিসিএফের অর্থায়নে একসঙ্গে কৃষি গবেষণা করবে ইউজিসি ও বাকৃবি
টমেটোর উৎপাদন বৃদ্ধি প্রসঙ্গে অধ্যাপক হারুন বলেন, বর্তমানে উচ্চ ফলনশীল টমেটো জাতগুলো অনেক বেশি শাখা-প্রশাখা বিশিষ্ট হয়ে থাকে। একক খুঁটি ব্যবহারে ওই সকল টমেটো গাছের শাখা প্রশাখা বৃদ্ধির তেমন সুযোগ পায় না ও গাছ মাটিতে হেলে পড়ে। তবে এক্ষেত্রে মাচা দিলে ফলন অনেকাংশে বৃদ্ধি পেতে পারে। এতে শাখা প্রশাখা বৃদ্ধির সুযোগ পাওয়ায় গাছে ফলন বেশি আসবে এবং টমেটো মাটির সংস্পর্শে আসতে পারবে না বিধায় পচে যাওয়া বা নষ্ট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবে।
এছাড়া অধ্যাপক হারুন তার একটি গবেষণার কথা উল্লেখ করে বলেন, চেরি টমেটোর ক্ষেত্রে মাচা পদ্ধতি ব্যবহার করে প্রায় ২০ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত ফলন বাড়ানো সম্ভব।
একই জায়গা থেকে কয়েকগুণ বেশি লাভ পেতে ভার্টিকেল ফার্মিং বা উলম্ব কৃষির পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, কৃষি জমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে ভার্টিকেল ফার্মিং বা উলম্ব কৃষি পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, মাটির ওপরে একাধিক স্তরে চাষাবাদ করা হয় বলে অল্প জায়গায় দুই থেকে তিন গুণ বেশি ফলন পাওয়া সম্ভব। একজন কৃষক খুবই কম খরচে উলম্ব কৃষির একটি কাঠামো তৈরি করে কয়েক মৌসুম উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করতে পারবে।
আমাদের দেশে ঋতুর ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে, অসময় বৃষ্টিপাত, খরা ইত্যাদি দেখা দিচ্ছে এবং কৃষিপ্রধান দেশ হিসেবে এটি আমাদের জন্য একটি মারাত্মক হুমকি জানিয়ে অধ্যাপক বলেন, কম খরচে পলিটানেল বা নেট হাউস তৈরি করে কৃষক অনেক বেশি লাভবান হতে পারে। এটি জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করে বছরব্যাপী নিরাপদ ফসল উৎপাদনের আধুনিক ও নির্ভরযোগ্য একটি প্রযুক্তি। এ প্রযুক্তি ব্যবহারে আর্দ্রতা এবং তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে বছরব্যাপী উচ্চমূল্যের ও আগাম ফসল ফলানো যায়। এছাড়া শুধুমাত্র আগাম চাড়া উৎপাদন করেও একজন কৃষক প্রচুর লাভবান হতে পারবে।
জমিতে শুধু গোবর ব্যবহার না করে ভার্মি বা কেঁচো কম্পোস্ট ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ভার্মি বা কেঁচো কম্পোস্ট মাটির উর্বরতা, নাইট্রোজেন, ফসফরাসের পরিমাণ তুলনামূলক বাড়ায়। যা ফলন বাড়াতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।
ফসলের পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে অধ্যাপক বলেন, পোকামাকড় নিয়ন্ত্রেনের জন্য কীটনাশক ব্যবহারের ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল না হয়ে ইয়েলোস্টিকি ট্র্যাপ বা হলুদ ফাঁদ, ফেরোমোন ট্র্যাপ ব্যবহার করা যায়।
তিনি বলেন, এক্ষেত্রে ইয়েলোস্টিকি ট্র্যাপ বা হলুদ ফাঁদ খুবই কার্যকর। এতে পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণে কৃষকের কীটনাশক ব্যবহার কমে যাবে।
গাছের রোগ প্রতিরোধ করতে আগাম প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে জানিয়ে অধ্যাপক হারুন বলেন, ফসল চাষের পূর্বে মাটি শোধন করলে গাছের বিভিন্ন রোগের প্রকোপ কমে যাবে। আবার বিভিন্ন ছত্রাকনাশক দিয়ে বীজ শোধন করে নিলেও অনেক রোগের প্রকোপ কমে যাবে।
এছাড়া কৃষকদের ফসল চাষের সময় উল্লেখযোগ্য কোনো রোগের ক্ষেত্রে কৃষি কর্মকর্তা ও উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিষয়ক বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়ার পরামর্শ দেন অধ্যাপক হারুন।
আরও পড়ুন: বাকৃবিতে কৃষকদের বিনামূল্যে টমেটোর চারা ও গাজরের বীজ বিতরণ
ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য বাস সার্ভিস চালু বাকৃবি প্রশাসনের
৪০৮ দিন আগে
ঢাবি ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পর্যালোচনায় বিশেষ কমিটি গঠন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ধরন ও পরিসর সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সুপারিশ ও দিকনির্দেশনা প্রদানের জন্য একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খানের নির্দেশনায় এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।
কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আবদুল মতিন। কমিটির সদস্যরা হলেন-বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক তাহমিদা বেগম; বাংলা একাডেমির চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. আবুল কাসেম ফজলুল হক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এম শামীম রেজা।
প্রয়োজনে অতিরিক্ত তিনজন সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষমতাও রয়েছে কমিটির।
৪০৯ দিন আগে
জবির শিক্ষার্থীদের দাবি ৩ দিনের মধ্যে পূরণের আশ্বাস উপদেষ্টার
জবির শিক্ষার্থীদের ৫ দফা দাবি আগামী তিন দিনের মধ্যে পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের সকল দাবিই যৌক্তিক। এরসঙ্গে আমি একমত।
সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সচিবালয়ের সামনে শিক্ষার্থীদেরকে এই প্রতিশ্রুতি দেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
আরও পড়ুন: মোবাইলে কলরেট হ্রাস ও মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট চালুর আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অনেক কষ্টে থাকে। তাদের হল নেই। শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের দাবি সম্পূর্ণ যৌক্তিক। শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে আমি পুরোপুরি একমত। আমরা তিন দিনের মধ্যে হল করে দিতে পারব না কিন্তু সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করতে পারি। এরজন্য আমাদের বসতে হবে। আমরা তিনদিনের মধ্যে নতুন ক্যাম্পাস সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করার জন্য কাজ করব।
সচিবালয়ে সচিব শিক্ষার্থীদের অপমান করেছে এই প্রসঙ্গে বলেন, সচিব ও সংশ্লিরা যারা শিক্ষার্থীদের অপমান করে ফিরিয়ে দিয়েছে এর জন্য সে ও সংশ্লিষ্টরা ক্ষমা চাইবে।
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা তিনদিনের সময় দিচ্ছি। আর সেইসঙ্গে হিট প্রজেক্টের ব্যাপারে আজকেই সিদ্ধান্ত চাই। আমাদের সামনে শিক্ষা উপদেষ্টাকে এসে আজই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে হবে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত আসবে: উপদেষ্টা নাহিদ
'আপনাকে অজ্ঞ বলতে বাধ্য করবেন না’: উপদেষ্টা নাহিদকে অভিনেতা সোহেল রানা
৪১২ দিন আগে
৫ দফা দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের সচিবালয় ঘেরাও
জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর, ইউজিসির পাইলট প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তি, বিশ্ববিদ্যালয় বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবিসহ ৫ দফা দাবিতে সচিবলায় ঘেরাও করে অবস্থান নিয়েছেন কয়েক হাজার শিক্ষার্থী।
সোমবার (১১ নভেম্বর) শিক্ষা ভবনের সামনের মোড় অবরোধ করে আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা। এসময় ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল দাবির স্মারকলিপি নিয়ে শিক্ষা সচিবের সঙ্গে দেখা করতে সচিবালয়ে প্রবেশ করে।
কিন্তু শিক্ষা সচিব শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা না করায় সচিবালয় ঘেরাও করে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী।
১২ সদস্যের প্রতিনিধি দলের মধ্যে রয়েছেন- আন্দোলনের মুখপাত্র তৌসিব মাহমুদ সোহান, সংগঠক একেএম রাকিব, রাইসুল ইসলাম নয়ন, আসাদুল ইসলাম, আবু বকর খান, নওশীন নাওয়ার জয়া, সোহান প্রামাণিক, মাসুদ রানা, নূর নবী, ওমর ফারুক, ফেরদৌস শেখ, অপু মুন্সী।
আরও পড়ুন: তিন দফা দাবিতে তাঁতীবাজার অবরোধ জবি শিক্ষার্থীদের
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো-
১) স্বৈরাচার আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রজেক্ট ডিরেক্টরকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং সাতদিনের মধ্যে সেনাবাহিনীর দক্ষ অফিসারদের হাতে এই দায়িত্ব অর্পণ করতে হবে।
২) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সুনির্দিষ্ট রূপরেখাসহ ঘোষণা করতে হবে যে, জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
৩) অবিলম্বে বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং পুরাতন ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার সরকারের আমলের সকল চুক্তি বাতিল করতে হবে।
৪) সম্প্রতি ইউজিসির ঘোষণাকৃত পাইলট প্রকল্পে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
৫) বিশ্ববিদ্যালয়ের বাৎসরিক বাজেটে সর্বনিম্ন ৫০০ (পাঁচশত) কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে হবে।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে শিক্ষা উপদেষ্টাকে উপস্থিত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এ সম্পর্কে জবি শিক্ষার্থী নওশীন জয়া বলেন, আমরা শিক্ষা সচিবের কাছে এসেছিলাম। কিন্তু আমাদের কেচি গেটের ভেতরে দাঁড় করিয়ে ভেতর থেকে প্রতিনিধি পাঠিয়ে আমাদের দাবি-দাওয়া তাদের কাছে দিতে বলা হয়েছে।
৪১২ দিন আগে
ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের পোস্টার লাগানোর প্রতিবাদ ঢাবি শিক্ষার্থীদের
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের পোস্টারে লাগানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা।
বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থীরা প্রথমে একটি প্রতিবাদ সমাবেশ বের করেন এবং পরে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, কবি জসীমউদ্দীন হল, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল এবং অন্যান্য হল থেকে শিক্ষার্থীরা যোগ দেন।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা অমান্য করে ছাত্রদলের রাজনৈতিক প্রচারের প্রতিবাদে ক্যাম্পাসজুড়ে মিছিল করেন তারা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা 'দেয়ালে পোস্টার, সামনে দুর্ভাগ্য', 'এখানে ছাত্র রাজনীতির কোনো স্থান নেই', '২০২৪, আর ছাত্ররাজনীতি নয়' ইত্যাদি স্লোগান দেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যতক্ষণ না ছাত্রদলের পোস্টার হলের দেয়াল থেকে সরিয়ে না নেয়, ততক্ষণ পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
আন্দোলনকারী মীর মুহাম্মদ আসিফ বলেন, 'ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও ছাত্রদল এখানে পোস্টার লাগিয়েছে। তারা হলগুলোতে ছাত্র রাজনীতি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। এটা রোধে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভূমিকার সমালোচনা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মোসাদ্দিক আলী বলেন, 'সিন্ডিকেট সাময়িকভাবে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছে। অধিকাংশ শিক্ষার্থী হলগুলোতে রাজনীতি সমর্থন করে না। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কোনো রাজনৈতিক দল কীভাবে হলগুলোতে পোস্টার লাগাতে পারে?’
৪১৭ দিন আগে