প্রধানমন্ত্রীর-কার্যালয়
বিদেশি বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ আদর্শ স্থান: ব্রিটিশ এমপিদের প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ অগ্রাধিকার পায় উল্লেখ করে ব্রিটিশ ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ লক্ষ্যে আমরা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, হাইটেক পার্ক ও ইনকিউবেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছি।’
বীরেন্দ্র শর্মার নেতৃত্বে সফররত ব্রিটিশ ক্রস পার্টির সংসদীয় প্রতিনিধিদল রবিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বিএনপি ক্ষমতায় যেতে 'অন্য শক্তির' উপর নির্ভর করে: ব্রিটিশ প্রতিনিধিদলকে প্রধানমন্ত্রী
প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- পল স্কুলি, নিল কোয়েল ও অ্যান্ড্রু ওয়েস্টার্ন।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ব্রিটিশ বিনিয়োগকারীরা চাইলে বাংলাদেশ তাদের জন্য আলাদা অর্থনৈতিক অঞ্চল বরাদ্দ করতে পারে। কারণ অন্যান্য দেশ এরই মধ্যে তাদের ডেডিকেটেড অর্থনৈতিক অঞ্চল পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য আদর্শ। কারণ এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গে ভালোভাবে সংযুক্ত; যেখানে ৩০০ কোটিরও বেশি মানুষ বাস করে।
তিনি বলেন, ‘এটি ৩০০ কোটির বাজার, ফলে কেউ যদি এখানে বিনিয়োগ করে তবে উৎপাদিত পণ্যের বাজার পেতে সমস্যা হবে না।’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিনিয়োগের প্রক্রিয়াগত সময় হ্রাস করার লক্ষ্যে সরকার এরই মধ্যে ১৭০টি আইটেমের মধ্যে ১১০টি আইটেম অনলাইনে যুক্ত করেছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে সংকট অবসানের পথ খুঁজতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘বাকি ৬০টি আইটেম খুব শিগগিরই অনলাইনে প্রকাশ করা হবে।’
ব্রিটিশ এমপিরা আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সরকারের উন্নয়ন উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে নিবিড়ভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, রাষ্ট্রদূত এম জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আশাবাদী পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৭০০ দিন আগে
বিএনপি ক্ষমতায় যেতে 'অন্য শক্তির' উপর নির্ভর করে: ব্রিটিশ প্রতিনিধিদলকে প্রধানমন্ত্রী
বিএনপি ক্ষমতায় যেতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশ না নিয়ে সবসময় অন্য শক্তির উপর নির্ভর করে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘যখনই নির্বাচনের সময় আসে তারা (বিএনপি) অন্য কোনো শক্তি খোঁজে যারা তাদের ক্ষমতায় বসাতে পারে।’
বীরেন্দ্র শর্মার নেতৃত্বে সফররত ব্রিটিশ ক্রস পার্টির সংসদীয় প্রতিনিধিদল রবিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন। প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- পল স্কুলি, নিল কোয়েল ও অ্যান্ড্রু ওয়েস্টার্ন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন পরবর্তী প্রথম সরকারি সফর হিসেবে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে নজরুল ইসলাম বলেন, যখনই বিএনপি তাদের ক্ষমতায় বসানোর কাউকে পায় না, তখনই তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে সরে আসে।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল। তারা সব সময় সুষ্ঠু নির্বাচন ছাড়াই ক্ষমতায় এসেছে। তারা সবসময় মনে করে, কেউ তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে।’
তিনি বলেন, নির্বাচনে অংশ না নেওয়াই তাদের সিদ্ধান্ত।
তিনি বলেন, বিএনপি ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে একজন সামরিক লোককে বসিয়েছিল এবং এই ব্যক্তি নির্বাচন প্রক্রিয়া ও দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে কলুষিত করেছে।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ২৯ বছর ধরে বাংলাদেশ শাসন করেছে অগণতান্ত্রিক শক্তি।
প্রতিনিধি দলকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ওই সময় দেশে গণতন্ত্র ছিল না। ফলে দেশে কোনো উন্নয়ন হয়নি।’
তিনি বলেন, বিএনপির কোনো নেতৃত্ব নেই এবং তারা সাধারণত লন্ডন থেকে নির্দেশনা পায়। ‘ফলে ২০০৮ সালের পর তারা আন্তরিকভাবে কোনো নির্বাচনে অংশ নেয়নি। ২০১৪ সালে তারা নির্বাচন বর্জন করে।’
আরও পড়ুন: বিশ্বকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে সংকট অবসানের পথ খুঁজতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
২০১৮ সালে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও একটি আসনে একাধিক প্রার্থী দিয়েছিল দলটি।
তিনি বলেন, 'শেষ পর্যন্ত যখনই তারা মনে করেছে যে তারা নির্বাচনে জিততে পারবে না, তখনই তারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ২০০৮ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। ওই নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট পায় ৩০টি আসন এবং আওয়ামী লীগ পায় ২৩৩টি আসন। এতে প্রমাণিত হয়, গণমানুষের মধ্যে বিএনপির কোনো ভিত্তি নেই।’
তিনি বলেন, বিএনপি ৭ জানুয়ারি নির্বাচন বর্জন করলেও জনগণ ভোট দিয়েছে ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ।
তিনি বলেন, 'জনগণ বিএনপির ভোট বাতিল করার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন প্রচেষ্টার প্রশংসা করল ব্রিটিশ প্রতিনিধি দল
৭০০ দিন আগে
বিশ্বকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে সংকট অবসানের পথ খুঁজতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকরা যাতে তাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে পারে এবং সুন্দরভাবে জীবনযাপন করতে পারে সেজন্য রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চিন্তা করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘পুরো বিশ্বের উচিৎ এই সংকটের সমাধান খুঁজে বের করা, যাতে মিয়ানমারের নাগরিকরা তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যেতে পারে এবং সুন্দরভাবে জীবনযাপন করতে পারে।’
আজ রবিবার (২৮ জানুয়ারি) বীরেন্দ্র শর্মার নেতৃত্বে ব্রিটিশ ক্রস পার্টির একটি সংসদীয় প্রতিনিধি দল গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের মতো একটি ছোট দেশের জন্য ভারী বোঝা হয়ে উঠছে বলেও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
২০১৭ সালে মিয়ানমারে নৃশংস দমন-পীড়ন থেকে বাঁচতে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে আসা ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: ন্যাম সম্মেলন: ফিলিস্তিনিদের সমর্থন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
রোহিঙ্গা ইস্যুকে জাতিসংঘের আলোচ্যসূচির শীর্ষে রাখতে মহাসচিবের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুরোধ
৭০১ দিন আগে
শেখ হাসিনা পুনঃনির্বাচিত হওয়ায় হাঙ্গেরি ও কিরগিজস্তানের অভিনন্দন
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনঃনির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে হাঙ্গেরি ও কিরগিজস্তান।
শেখ হাসিনাকে পাঠানো এক অভিনন্দন বার্তায় হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান বলেন, 'বিগত সময়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও দায়িত্বশীল নীতির মাধ্যমে আপনার অঞ্চলের স্থিতিশীলতায় যে অবদান রেখেছেন তার ভূয়সী প্রশংসা করি। আমি নিশ্চিত, আপনার প্রতি বাংলাদেশের জনগণের নতুন আস্থা আপনাকে আপনার সাফল্য অব্যাহত রাখতে সক্ষম করবে।’
অর্ধ শতাব্দীরও বেশি পুরোনো সহযোগিতা (হাঙ্গেরি ও বাংলাদেশের মধ্যে) আরও গভীর করতে তার সরকার ভবিষ্যতেতাদের প্রতিশ্রুতি বজায় রাখতে কাজ করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
শেখ হাসিনার সাফল্য ও সুস্বাস্থ্য কামনা করেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী।
কিরগিজস্তানের প্রেসিডেন্ট সাদির ঝাপারভ এক শুভেচ্ছা বার্তায় বলেন, 'আমি বিশ্বাস করি, সরকার প্রধান হিসেবে আপনার কার্যক্রম আমাদের দু'দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার করবে। পাশাপাশি বাণিজ্য-অর্থনৈতিক, বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তিগত, সাংস্কৃতিক ও জনগণের সঙ্গে জনগণের সম্পর্কসহ কিরগিজ-বাংলাদেশ বহুমুখী সহযোগিতা উন্নয়নে অবদান রাখবে।
তিনি বলেন, দ্বিপক্ষীয় ও আন্তর্জাতিক এজেন্ডার বর্তমান বিষয়গুলোতে গঠনমূলক সহযোগিতা জোরদার করতে প্রস্তুত তারা। এটি কিরগিজস্তান ও বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা করবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
কিরগিজস্তানের প্রেসিডেন্ট শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য, সমৃদ্ধি ও রাষ্ট্রীয় কাজে সাফল্য কামনা করেন।
৭০২ দিন আগে
চীন বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন ও কৌশলগত অংশীদার: প্রধানমন্ত্রী
নতুন সরকারের মেয়াদে উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে চীন আরও বড় পরিসরে এগিয়ে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) এই আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন ও কৌশলগত অংশীদার চীন। আমরা আশা করি, নতুন সরকারের মেয়াদে চীন আমাদের বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সহায়তা করতে অতীতের চেয়ে বেশি সহায়তা করবে।’
আরও পড়ুন: নতুন প্রকল্প গ্রহণের আগে খরচ ও উপকারিতা বিবেচনা করুন: পরিকল্পনা কমিশনে শেখ হাসিনা
চীনের আন্তর্জাতিক বিভাগের কেন্দ্রীয় উপমন্ত্রী সান হাইয়ান আজ গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছে ইউএনডিপি প্রশাসক
৭০৪ দিন আগে
প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছে ইউএনডিপি প্রশাসক
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) প্রশাসক আচিম স্টেইনার।
প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া এক অভিনন্দন তিনি বলেন, 'আমরা বাংলাদেশের চমৎকার উন্নয়ন অগ্রযাত্রা এবং দেশকে আরও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকারের প্রশংসা করি।’
আরও পড়ুন: মজুতদারদের জেলে পাঠানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
এতে তিনি বলেন, ইউএনডিপির নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশের নতুন নেতৃত্বকে স্বীকৃতি দিতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।
তিনি বলেন, 'গুরুত্বপূর্ণ এ দায়িত্ব শুধু আপনার দেশের উন্নয়ন অর্জনের স্বীকৃতিই নয়, বরং বৈশ্বিক টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডা তৈরিতে বাংলাদেশের জন্য একটি অমূল্য সুযোগও এনে দিয়েছে।’
বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক ও দক্ষতাকে কাজে লাগানোর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইউএনডিপি ২০২৬ সালের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প অর্জনসহ অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই ও স্থিতিশীল উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে আপনার সরকারকে সহযোগিতার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছে।
আরও পড়ুন: নতুন প্রকল্প গ্রহণের আগে খরচ ও উপকারিতা বিবেচনা করুন: পরিকল্পনা কমিশনে শেখ হাসিনা
৭০৪ দিন আগে
নতুন প্রকল্প গ্রহণের আগে খরচ ও উপকারিতা বিবেচনা করুন: পরিকল্পনা কমিশনে শেখ হাসিনা
চলমান কোন কোন প্রকল্প স্বল্প ব্যয়ে দ্রুত শেষ করা যাবে এবং তা থেকে সবচেয়ে বেশি অর্থনৈতিক সুবিধা পাওয়া যাবে সেটি চিহ্নিত করতে পরিকল্পনা কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, 'যেসব উন্নয়ন কর্মসূচি অল্প টাকায় শেষ হবে, সেগুলোকে আমাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। কারণ আমি মনে করি, এসব প্রকল্প যত দ্রুত শেষ করতে পারব তত দ্রুত দেশবাসী এর সুবিধা ভোগ করতে পারবে।’
শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি মিলনায়তনে নতুন সরকার গঠনের পর কমিশনের প্রথম সভার সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি এই কমিশনের চেয়ারপারসনও।
তিনি প্রকল্প বাস্তবায়নে দেরি করা ও মেয়াদ বৃদ্ধি এড়াতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আরও সৌদি বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
প্রকল্পগুলোর ব্যয় ও প্রত্যাশিত সুযোগ-সুবিধার বিষয়টি গভীরভাবে খতিয়ে দেখতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, 'নতুন প্রকল্প গ্রহণের সময় প্রকল্প ব্যয়ের, কী পরিমাণ ঋণ লাগবে, সুদসহ আমাদের কত পরিশোধ করতে হবে, ঋণ পরিশোধের জন্য আমরা কত সময় পাব এসব বিষয় গভীরভাবে বিবেচনা করুন।’
একই সঙ্গে দেশের সেই পরিমাণ ঋণ নেওয়ার সক্ষমতা আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখতে বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'যেকোনো প্রকল্প গ্রহণের আগে এটা খুবই প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, এছাড়া একটি নির্দিষ্ট এলাকার জন্য নির্দিষ্ট প্রকল্পের আয় ও কার্যকারিতা সরকারকে বিবেচনায় নিতে হবে। ‘এতে সাধারণ মানুষ কতটুকু লাভবান হবে এবং অর্থনীতিতে কতটুকু ঢুকবে। আমাদের সেদিকে নজর দিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ২০২৬ সালের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত বাংলাদেশ, এ সময় এ উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ সম্পন্ন করবে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন,‘ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমরা কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাব, সে বিষয় সুনির্দিষ্ট হতে হবে। সেখান থেকে আমাদের জন্য সেরা সুযোগ-সুবিধা নিতে হবে। আর সে অনুযায়ী আমাদের কাজ শুরু করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বল্প উন্নত দেশ হিসেবে যেসব সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে, উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পর তার অনেক সুবিধা পাওয়া যাবে না। যদিও এটি ২০২৯ সাল পর্যন্ত পাওয়া যাবে এবং সরকার এরই মধ্যে ২০৩২ সাল পর্যন্ত তা বাড়ানোর অনুরোধ করেছে।
তিনি বলেন, 'আমাদের চ্যালেঞ্জিং সময়ে আমাদের এই সমস্ত বিষয় বিবেচনা করতে হবে এবং সেগুলো মোকাবিলার উপায় খুঁজে বের করতে হবে।’
তিনি স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ইতিবাচক সুফল যাতে দেশের প্রতিটি দরজায় পৌঁছে যায় এবং জনগণ উন্নত ও সমৃদ্ধ জীবনের আনন্দ উপভোগ করতে পারে সেজন্য সবাইকে কঠোর পরিশ্রম করার আহ্বান জানান।
তিনি ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে স্মার্ট দেশে পরিণত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মসূচিতে সহযোগিতা করতে ফ্রান্সের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
৭০৪ দিন আগে
মজুতদারদের জেলে পাঠানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
অবৈধ মজুতদার ও বাজার কারসাজিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তারা এর ফল ভোগ করবে।
তিনি বলেন, 'কেউ যদি অসৎ উদ্দেশ্যে কোনো পণ্য মজুদ করে থাকে, তাহলে আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে হবে এবং প্রয়োজনে তাদের কারাগারে পাঠাতে হবে।’
সোমবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় সভাপতির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনের পর হঠাৎ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি খুবই অস্বাভাবিক বিষয়।
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টির নেতাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান রওশন এরশাদের
তিনি বলেন, ‘এর পেছনে কারা কারসাজি করছে তা খুঁজে বের করা জরুরি। শুধু তাদের খুঁজে বের করাই নয়, তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থাও নেওয়া হয়। ভবিষ্যতেও আমরা তা করব।’
মজুতদারি ও কালোবাজারি করে কেউ যাতে খাদ্যদ্রব্যের দাম নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেজন্য দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'মানুষের খাবার নিয়ে ছিনিমিনি খেলার কোনো মানে হয় না।’
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলেছেন তাদের কঠোর সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ এই নির্বাচন মেনে নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘অহেতুক বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, নির্বাচনের পর হঠাৎ করেই চাল ও অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যায়।’ আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, ৭ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে, যদিও ভোটারদের ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির পাশাপাশি তৈরি পোশাক খাতে আন্দোলনের চেষ্টা চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচন বানচাল করতে ব্যর্থ হয়ে তারা এখন বিকল্প উপায়ে আবার শুরু করতে চায়।
তিনি বলেন, 'আমরা তাদের বাংলাদেশের জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেব না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করায় জনগণ সন্তুষ্ট ও খুশি।
তিনি বলেন, 'ইনশাআল্লাহ, বাংলাদেশে আর কোনো অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে না।' তারা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং এটি অব্যাহত থাকবে। গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতার মাধ্যমে এদেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা হবে।
তার সরকার দেশের আরও উন্নয়ন করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে আসবে তাদের সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও কাজী জাফরউল্লাহ, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ মঞ্চে ছিলেন।
আরও পড়ুন: আ. লীগ সরকার ‘তাসের ঘরের মতো’ ভেঙে পড়বে: মঈন খান
বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে নয়, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করেছে ভারত: রিজভী
৭০৬ দিন আগে
শেখ হাসিনাকে নিকারাগুয়ার নেতাদের অভিনন্দন
নিকারাগুয়ার প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগা সাভেদ্রা এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট রোজারিও মুরিলো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনঃনির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীকে লেখা এক চিঠিতে নিকারাগুয়ার নেতারা বলেন, ‘গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনঃনির্বাচিত হওয়ায় আমরা আপনাকে আন্তরিক ও উষ্ণ অভিনন্দন জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব, সরকারের সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার
তারা নতুন মেয়াদে তার ও সরকারের সফলতা কামনা করেন।
তারা বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত যে, আপনারা বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণে নতুন কিছু অর্জন করবেন।’
বিবৃতিতে দুই নেতা বলেন, ‘প্রশংসা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে আমরা আমাদের ঐতিহাসিক ভ্রাতৃত্ব ও সংহতির সম্পর্ককে আরও জোরদার করার জন্য আমাদের আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করছি।’
আরও পড়ুন: পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে চেক প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
পুনঃনির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাট্রিসিয়ার অভিনন্দন
৭০৬ দিন আগে
পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে চেক প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনা অভিনন্দন জানিয়েছেন চেক প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী পেত্র ফিয়ালা।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
অভিনন্দন বার্তায় তিনি বলেন, ‘চেক প্রজাতন্ত্র ও বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আমি গভীরভাবে মূল্য দেই এবং আমি বিশ্বাস করি যে আমাদের দুই দেশের পারস্পরিক কল্যাণে আমরা এই সম্পর্ককে গভীর ও জোরদার করা অব্যাহত রাখব।’
আরও পড়ুন: পুনঃনির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাট্রিসিয়ার অভিনন্দন
তিনি দ্বিপক্ষীয় পর্যায়ে এবং অভিন্ন স্বার্থের সকল ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সংস্থায় সহযোগিতা আরও উন্নয়নে তার দেশের আগ্রহের বিষয়ে শেখ হাসিনাকে আশ্বস্ত করেন।
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের জনগণের মঙ্গল কামনা করে আপনার দাবি করা কাজের সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।’
চলতি মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে টানা চতুর্থবারের মতো দায়িত্ব নেন শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: দপ্তর পেলেন প্রধানমন্ত্রীর ৬ উপদেষ্টা
৭০৭ দিন আগে