প্রধানমন্ত্রীর-কার্যালয়
শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন।
আজ রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিয়ে পাঠ্যবই বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান।
মন্ত্রণালয়গুলো সারা দেশে ৩ কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার ৩২৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩০ কোটি ৭০ লাখ ৮৩ হাজার ৫১৭ নতুন পাঠ্যবই বিতরণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: নতুন পাঠ্যপুস্তক নিয়ে গুজবে কান দিবেন না: দীপু মনি
পাঠ্যবইগুলো ইতোমধ্যেই দেশের বিভিন্ন উপজেলা পর্যন্ত পাঠানো হয়েছে।
সরকার ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত সারা দেশে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ৪৬৪ কোটি ৭৮ লাখ ২৯ হাজার ৮৮৩টি বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ করেছে।
২০১৭ সাল থেকে সরকার দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্রেইল বই বিতরণের পাশাপাশি চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো ও সাদ্রি সংস্করণের বই বিতরণ করে আসছে।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান।
আরও পড়ুন: পাঠ্যপুস্তকে ইতিহাস বিকৃতি ও ভুল: এনসিটিবি চেয়ারম্যানকে ফের তলব
নতুন পাঠ্যপুস্তকে চুরির অভিযোগ স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ জাফর ইকবালের
৭২৯ দিন আগে
শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করুন: টুঙ্গিপাড়ার জনসভায় শেখ হাসিনা
আগামী ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিয়ে ষড়যন্ত্রের উপযুক্ত জবাব দিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, 'আমি চাই এই নির্বাচন অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হোক।৭ জানুয়ারির নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমরা নির্বাচনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের সুষ্ঠু জবাব দেব, যাতে কেউ বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর ছিনিমিনি খেলতে না পারে।’
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার সরকারি শেখ মুজিবুর রহমান কলেজ মাঠে নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অনেক ষড়যন্ত্র চলছে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের অনেকেই এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে যাতে দেশে নির্বাচন না হয় কারণ তারা তৃতীয় দলকে ক্ষমতায় আনতে চায়।
আরও পড়ুন: বিএনপি মানুষ পোড়ায়, বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই তাদের: বরিশালে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তৃতীয় পক্ষ কী করতে পারে? তারা দেশের কোনো উন্নয়ন করতে পারে না। আপনারা দেখেছেন ২০০৭ সালে তারা কী করেছিল।’
ফিলিস্তিনের হাসপাতালগুলোতেও ইসরায়েল বোমা হামলা চালাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারেক জিয়া লন্ডন থেকে বাংলাদেশে অ্যাম্বুলেন্স, সাংবাদিক ও পুলিশের ওপর হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়ে ঠিক একই কাজ করছেন।
তিনি বলেন, এ ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বাংলাদেশে গ্রহণযোগ্য হবে না।
তিনি বলেন, 'যদি আল্লাহ চান এবং আমরা আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসতে পারি, তাহলে লন্ডনে অবস্থান করে আমাদের দেশের জনগণের ক্ষতি ও মানুষ হত্যার আদেশ দেন তা মেনে নেওয়া হবে না। প্রয়োজনে তাকে সেখান থেকে (দেশে) এনে শাস্তি দেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দিতে বরিশালে প্রধানমন্ত্রী, নগরীতে উৎসবমুখর পরিবেশ
৭৩০ দিন আগে
নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দিতে বরিশালে প্রধানমন্ত্রী, নগরীতে উৎসবমুখর পরিবেশ
৫ বছরে প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বরিশাল সফরকে কেন্দ্র করে উৎসবমুখর পরিবেশে মুখরিত হয়ে উঠেছে দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা বরিশাল।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে বরিশালে সফর করছেন।
সকালে দলীয় প্রধান বরিশালে পৌঁছালে হাজার হাজার দলীয় প্রার্থী ও নেতা-কর্মীরা নির্বাচনী প্রতীক নৌকার পক্ষে স্লোগান দেন।
শেখ হাসিনা সেখানে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেবেন।
আরও পড়ুন: জানুয়ারির নির্বাচনকে উৎসবমুখর ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করে তুলুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানানোর জন্য নগর ব্যানার, পোস্টার ও পতাকায় সাজানো হয়েছে।
বিকাল ৩টায় প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে উদ্যান ভরে যায়।
শেখ হাসিনা নৌকার আকৃতিতে সাজানো মঞ্চে ওঠার অনেক আগেই আশপাশের এলাকা, রাস্তা ঘাট ও ফাঁকা জায়গায় ভিড় ছড়িয়ে পড়ে।
সকাল থেকেই 'জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু' স্লোগান দিয়ে এবং রঙিন প্ল্যাকার্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন হাতে অনুষ্ঠানস্থলের দিকে মিছিল করতে দেখা যায় নারীসহ অসংখ্য মানুষকে। তাদের অনেকে রঙিন টি-শার্ট, মাথায় টুপি, ড্রামসহ হেড ব্যান্ড, নির্বাচনী প্রতীক নৌকার পাশাপাশি জাতীয় ও দলীয় পতাকা পরেছেন।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর সাংবাদিকদের উপর হামলাকারীরা রেহাই পাবে না: প্রধানমন্ত্রী
বড় ও ছোট দলে নারীদের হাসিমুখে অনুষ্ঠানস্থলের প্রবেশদ্বারের বাইরে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
সকাল ৯টায় প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন ঢাকা থেকে সড়কপথে বরিশালের উদ্দেশে যাত্রা করেন।
বরিশাল থেকে প্রধানমন্ত্রী তার জন্মস্থান টুঙ্গিপাড়ায় যাবেন।
শনিবার টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়ায় দু’টি জনসভায় ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে এবং ঢাকায় ফেরার পথে মাদারীপুরের কালকিনিতে আরেকটি জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি।
আরও পড়ুন: আ. লীগের সফল পররাষ্ট্রনীতির কারণে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শক্তিশালী অবস্থানে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
৭৩১ দিন আগে
২৮ অক্টোবর সাংবাদিকদের উপর হামলাকারীরা রেহাই পাবে না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২৮ অক্টোবর সাংবাদিকদের উপর নৃশংস হামলার সঙ্গে জড়িতদের রেহাই দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, ‘এই দেশ অনেক আন্দোলন-সংগ্রামের সাক্ষী। কিন্তু সাংবাদিকদের উপর এমন টার্গেট করে (কোনো আন্দোলনে) হামলার ঘটনা ঘটেনি। তারা হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেছিল, তাই তারা সাংবাদিকদের মাথা লক্ষ্য করে হামলা করে। আমার কাছে দুঃখ প্রকাশ করার ভাষা নেই।’
বৃহস্পতিবার গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিরোধীদল বিএনপির সমাবেশে ভয়াবহ হামলায় আহত বেশকিছু সাংবাদিক বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এ ধরনের জঘন্য কর্মকাণ্ডে জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না। ‘ঘটনার ছবি ও ভিডিও ফুটেজ যাচাই করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
প্রধান বিচারপতির বাড়ি, জজ কোয়ার্টার ও কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের ওপরও হামলা করা হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এর আগে প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলার কোনো নজির নেই।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারের প্রত্যাশায় উৎসবমুখর রংপুর
তিনি বলেন, ‘নির্দেশ দানকারীদের (এই ধরনের জঘন্য কাজের) অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।’
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচনকে বানচাল করতে দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে বলেছেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে তিনি আহত সাংবাদিকদের খোঁজ-খবর নেন।
অনুষ্ঠানে আহত সাংবাদিকদের বক্তব্য সম্বলিত একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়, যা ২৮ অক্টোবর গণমাধ্যমের কর্মীদের ওপর অমানবিক নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্তের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম স্বাগত বক্তব্য দেন এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের সিনিয়র সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন একাত্তর টিভির প্রধান সম্পাদক ও এডিটরস গিল্ড, বাংলাদেশের সভাপতি মোজাম্মেল বাবু এবং একাত্তর টিভির হেড অব নিউজ শাকিল আহমেদ।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার রংপুরে জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
মানুষ পুড়িয়ে হত্যা সহ্য করা হবে না: শেখ হাসিনা
৭৩১ দিন আগে
প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারের প্রত্যাশায় উৎসবমুখর রংপুর
নির্বাচনী প্রচারের জন্য রংপুর জেলায় প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) পীরগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পীরগঞ্জের বধূ এবং এটি প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পিতৃভূমি। প্রধানমন্ত্রীর এখানে আসার কথা রয়েছে এবং সেখানে প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।’
আগামীকাল সেখানে ঐতিহাসিক সমাবেশ ও বিশাল জনসমাবেশ হবে বলেও জানান তিনি।
তার নির্বাচনী প্রচারের অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগ সভাপতি রংপুর জেলার পীরগঞ্জ ও তারাগঞ্জ উপজেলায় দুটি জনসভায় ভাষণ দেবেন বলে রবিবার সকালে নিশ্চিত করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক মাজেদ আলী বাবুল।
রংপুর-২ (তারাগঞ্জ-বদরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল কালাম মো. আহসানুল হককে সমর্থন দিতে তারাগঞ্জ উপজেলার কলেজ মাঠে এক নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেবেন তিনি।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার রংপুরে জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
পরে রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর প্রচারে আয়োজিত আরেকটি নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
এর আগে ২০ ডিসেম্বর সিলেটে সাধক শাহজালাল ও শাহ পরানের মাজার জিয়ারত করে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন শেখ হাসিনা।
সমাবেশের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে অধ্যাপক মাজেদ বলেন, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে ও যেকোনো ধরনের সমাবেশের আয়োজন করতে সব সময় প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এরই মধ্যে আমরা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করব এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী জনসভায় জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করছি।
চলতি বছরের ২ আগস্ট রংপুর জিলা স্কুল মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগ দিলেও পীরগঞ্জে শ্বশুর বাড়িতে যাননি প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী প্রচারণার শুরুতে সিলেটে মাজার জিয়ারত করলেন প্রধানমন্ত্রী
২০ ডিসেম্বর সিলেটে শাহজালাল-শাহপরান মাজার জিয়ারতের মধ্যে দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবেন শেখ হাসিনা
৭৩৪ দিন আগে
মঙ্গলবার রংপুরে জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) রংপুর যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তার নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে রংপুর জেলার পীরগঞ্জ ও তারাগঞ্জ উপজেলায় দুটি জনসভায় ভাষণ দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক মাজেদ আলী বাবুল।
রংপুর-২ (তারাগঞ্জ-বদরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল কালাম মো. আহসানুল হককে সমর্থন দিতে তারাগঞ্জ উপজেলার কলেজ মাঠে এক নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেবেন তিনি।
পরে রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর প্রচারে আয়োজিত আরেকটি নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
এর আগে ২০ ডিসেম্বর সিলেটে সাধক শাহজালাল ও শাহ পরানের মাজার জিয়ারত করে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন শেখ হাসিনা।
সমাবেশের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে অধ্যাপক মাজেদ বলেন, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে ও যেকোনো ধরনের সমাবেশের আয়োজন করতে সব সময় প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এরই মধ্যে আমরা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করব এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী জনসভায় জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করছি।
চলতি বছরের ২ আগস্ট রংপুর জিলা স্কুল মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগ দিলেও পীরগঞ্জে শ্বশুর বাড়িতে যাননি প্রধানমন্ত্রী।
৭৩৫ দিন আগে
২০০৮ সাল থেকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় চলছে বাংলাদেশ: অস্ট্রেলিয়ান রাষ্ট্রদূতকে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে ২০০৮ সাল থেকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। তবে দেশটি দীর্ঘদিন ধরে সামরিক শাসনের অধীনে ছিল।
রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) অস্ট্রেলিয়ার বিদায়ী হাইকমিশনার জেরেমি বুয়ার তার সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। তার সরকার দক্ষতার সঙ্গে এর মোকাবিলা করেছে।
তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্যক্তিগত উদ্যোগ নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, তার সরকার দেশে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি জোরদার করেছে।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান রাষ্ট্রদূত।
তিনি কোভিড-১৯ মহামারি সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করেন।
অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত দুই দেশের মধ্যে জনগণের সহযোগিতার ওপর জোর দেন।
তিনি দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
জেরেমি বুয়ার জ্বালানি ও জলবায়ু পরিবর্তন খাতে আরও সহযোগিতার ওপর জোর দেন।
অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশি কমিউনিটি ভালো করছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, দুই দেশই প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে।
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কথা বলতে গিয়ে রাষ্ট্রদূত ১০ লাখেরও বেশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষকে তাদের স্বদেশে মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের জন্য বাংলাদেশের প্রতি তার দেশের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি জানান, তার দেশ রোহিঙ্গাদের জন্য প্রায় ২৩৫ মিলিয়ন ডলার দেবে।
বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
তিনি খেলার অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ সুবিধায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে তার দেশের সহযোগিতার প্রস্তাব দেন।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ এম জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
৭৩৫ দিন আগে
মানুষ পুড়িয়ে হত্যা সহ্য করা হবে না: শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে মানুষ পুড়িয়ে ও নির্বাচন বানচাল করে কাউকে ফায়দা লুটতে দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, ‘মানুষ জ্বালিয়ে, নির্বাচন বন্ধ করে তারা যে ফায়দা হাসিল করে, তা বাংলার মাটিতে হতে দেওয়া হবে না।’
রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন উদযাপন উপলক্ষে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানাও উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনা অগ্নিসংযোগকারীদের এবং তাদের নির্দেশ দাতাদের নিন্দা জানিয়ে বলেন, মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা মহাপাপ, কোনো ধর্মই এটা মেনে নেয় না।
তিনি বলেন, যদি কারো জনসমর্থন পেতে হয়, তাহলে তারা জনগণের কল্যাণ ও উন্নয়নে তাদের অঙ্গীকার তুলে ধরতে পারে।
যিশু খ্রিস্টের জন্মস্থান ফিলিস্তিন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে জায়গাটি এখন রক্তক্ষয়ী হামলার শিকার। এমনকি হাসপাতালগুলোতেও হামলা চালানো হচ্ছে। এমনকি অল্পবয়সী শিশু ও নারীরাও হামলা থেকে রেহাই পায়নি।
আরও পড়ুন: অগ্নিসংযোগ করে বিএনপি মানুষের মন জয় করতে পারবে না: শেখ হাসিনা
বাংলাদেশের প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, এটা আমাদের জন্যও দুর্ভাগ্যজনক যে আমরা আমাদের দেশেও কিছু লোককে দেখছি রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে মানুষকে হত্যা করছে তারা।
তিনি বলেন, মানুষ হত্যার জন্য এই লোকেরা রেললাইন উপড়ে ফেলে এবং ট্রেনের বগিতে আগুন দেয়। ‘আমি জানি না এটা কী ধরনের রাজনীতি যে মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। কেন এই আগুনের খেলা? কারো যদি আদর্শ ও রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকে, তারা জনগণের কাছে গিয়ে তাদের সামনে তুলে ধরতে পারেন।
সম্প্রতি ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডে মা ও তার কোলে থাকা একটি শিশু জীবন্ত দগ্ধ হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এমন করুণ দৃশ্য দেখতে চাই না। তাদের রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য মানুষের ক্ষতি করে পুড়িয়ে হত্যা করে তাদের কী লাভ হচ্ছে? এটা আমার প্রশ্ন। আমরা চাই এই ধরনের সহিংসতা বন্ধ হোক।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানবতা সব ধর্মের শিক্ষা। তাই তার সরকার এই শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দেশ চালাচ্ছে।
তিনি ববলেন, ‘এই মাটিতে শ্রেণি, বর্ণ, ধর্ম নির্বিশেষে সবাই স্বাধীনভাবে বসবাস করবে। আমরা সব মানুষের কল্যাণ ও উন্নয়ন কামনা করি।’
তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে বলেন, তিনি বাংলাদেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক দেশে পরিণত করেছিলেন। কারণ তিনি চেয়েছিলেন সব ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে তাদের নিজ নিজ ধর্ম পালন করবে।
আরও পড়ুন: অগ্নিসংযোগ ও নাশকতাকারীদের রাজনীতি করার অধিকার নেই: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ হিসেবে আখ্যায়িত করে শেখ হাসিনা বলেন, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।
তিনি বলেন, ‘যেখানে সব ধর্মের মানুষ নির্বিঘ্নে নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারে এবং আমরা সবাই মিলে (ধর্মীয়) উৎসবের আনন্দ ভাগাভাগি করি। আমি মনে করি বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে বিশ্বের কাছে একটি উদাহরণ।’
শেখ হাসিনা ২০২৩ সালের বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে তার পক্ষ থেকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সদস্যরা বড়দিনের ক্যারোল ও দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন।
ঢাকার আর্চবিশপ বিজয় নাইসেফরাস ডি'ক্রুজ এবং বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিও যৌথভাবে প্রধানমন্ত্রীর হাতে বড়দিনের শুভেচ্ছা কার্ড তুলে দেন।
নির্মল রোজারিওর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বড়দিনের কেক কাটেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি জুয়েল আড়ং, এমপি, অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, এমপি, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মো. এ হামিদ জমাদ্দার, বাংলাদেশ খ্রিস্টান লীগের সভাপতি ড্যানিয়েল নির্মল ডি'কস্তা এবং বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হেমন্ত আই কোরায়া প্রমুখ।
আরও পড়ুন: মানুষ হত্যা করে সরকারকে উৎখাত করা যাবে না: প্রধানমন্ত্রী
৭৩৫ দিন আগে
নির্বাচনী প্রচারণার শুরুতে সিলেটে মাজার জিয়ারত করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হজরত শাহজালাল (রহ.) ও হযরত শাহ পরানের (রহ.) মাজার জিয়ারত করে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় নির্বাচনের জন্য তার দলের প্রচারণা শুরু করেছেন।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা সিলেটে পৌঁছেছেন।
তিনি প্রথমে বিভাগীয় শহরে হযরত শাহজালালের (রহ.) মাজার জিয়ারত করেন। সেখানে তিনি কিছু সময় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করেন।
আরও পড়ুন: বুধবার সিলেট থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন প্রধানমন্ত্রী
পরে প্রধানমন্ত্রী হযরত শাহ পরানের (রা.) মাজার জিয়ারত করেন। সেখানে তিনি পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন এবং ফাতেহা ও মোনাজাত করেন।
প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা উভয় স্থানে তার সঙ্গে ছিলেন।
মাজারে যাওয়ার পথে সড়কের দুই পাশে দাঁড়িয়ে হাজার হাজার মানুষ স্লোগান ও হাততালি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান।
দুপুর আড়াইটায় সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে দলের নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
আরও পড়ুন: গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় ওআইসি দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
২০ ডিসেম্বর সিলেটে শাহজালাল-শাহপরান মাজার জিয়ারতের মধ্যে দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবেন শেখ হাসিনা
৭৪০ দিন আগে
চীনে ভূমিকম্পে হতাহতের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শোক
চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের কাছে পাঠানো এক শোকবার্তা পাঠান তিনি।
এতে শেখ হাসিনা বলেন, 'চীনের দীর্ঘদিনের বন্ধু হিসেবে বাংলাদেশের জনগণ এবং সরকারের পক্ষ থেকে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে বন্ধুপ্রতীম চীনা জনগণের প্রতি আন্তরিক সহানুভূতি প্রকাশ করছি।’
আরও পড়ুন: অগ্নিসংযোগ করে বিএনপি মানুষের মন জয় করতে পারবে না: শেখ হাসিনা
তিনি আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
প্রেসিডেন্ট শির নিবিড় তত্বাবধানে চীন সফলভাবে উদ্ধার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে এবং শিগগিরই গানসু প্রদেশের জনগণের জীবনে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আসবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও কসোভো দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়াতে পারে: বিদায়ী রাষ্ট্রদূতকে প্রধানমন্ত্রী
৭৪০ দিন আগে