প্রধানমন্ত্রীর-কার্যালয়
বাংলাদেশ ও কসোভো দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়াতে পারে: বিদায়ী রাষ্ট্রদূতকে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ ও কসোভো পারস্পরিক স্বার্থে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়াতে পারে।
তিনি বলেন, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়ানোর প্রচুর সুযোগ রয়েছে এবং বাংলাদেশ থেকে সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নতমানের তৈরি পোশাক ও ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য আমদানি করে ব্যাপকভাবে উপকৃত হতে পারে কসোভো।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশে নিযুক্ত কসোভোর বিদায়ী রাষ্ট্রদূত গুনার উরেয়া প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে বিদায়ী সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
কসোভোর প্রথম রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে কসোভোর রাষ্ট্রদূতের ভূমিকার প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রেস সচিব বলেন, কসোভোর রাষ্ট্রদূত গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় কসোভোর কনস্যুলার সেবা চালু
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ভবিষ্যতে বিশ্ব দরবারে বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হবে।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে তার মেয়াদ সফলভাবে সম্পন্ন করতে সহায়তা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) এবং পররাষ্ট্র দপ্তরকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, কসোভোতে ১৯ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করছেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রদূত এম জিয়াউদ্দিন এবং মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কসোভোকে নিজেদের উচ্চমানের আরএমজি ও ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য আমদানি করার পরামর্শ বাংলাদেশের
৭৪২ দিন আগে
অগ্নিসংযোগ করে বিএনপি মানুষের মন জয় করতে পারবে না: শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সন্ত্রাস ও মানুষ হত্যা করে বিএনপি ও তার সহযোগীরা মানুষের মন জয় করতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘আগুন সন্ত্রাস ও হত্যার মাধ্যমে মানুষের মন জয় করা সম্ভব নয়। তাদের এটি জানা উচিত এবং তাদের সেই অনুযায়ী কাজ করা উচিত।’
রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) দেশব্যাপী পালিত বিজয় দিবস উপলক্ষে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি জনগণের কল্যাণ চায় না। তারা বরং লুটপাট, অর্থপাচার ও জনসাধারণের টাকা লুটপাটের শাসন চায়।
তিনি বলেন, ‘তারা ভোটে আসতে চায় না কারণ তারা ভালো করেই জানে দেশের মানুষ অগ্নিসংযোগকারী সন্ত্রাসী ও খুনিদের ভোট দেবে না।’
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি ও তার সহযোগীরা এই তিক্ত সত্য সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জানে, তাই তারা আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বানচাল করতে এবং সরকারকে উৎখাত করতে চায়।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীর পকেটে জন্মায়নি। এই দল এদেশের মাটি ও মানুষের সংগঠন।
আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ‘সব প্রতিকূলতা ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে এই দল বিস্তৃতি লাভ করেছে। তাই এই দলের শিকড় অনেক গভীরে প্রোথিত। তারা (বিএনপি) এভাবে আওয়ামী লীগকে উৎখাত বা দমন করতে পারবে না।’
আরও পড়ুন: অগ্নিসংযোগ ও নাশকতাকারীদের রাজনীতি করার অধিকার নেই: প্রধানমন্ত্রী
অপরাধী, অগ্নিসংযোগকারী, খুনি ও রেললাইনে নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
যারা রেললাইন উপড়ে ফেলা এবং অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িত জনগণকে তাদের আটক করে ভাল শিক্ষা দেওয়ার অনুরোধ করেছেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, এই ধরনের ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম এদেশে চলতে দেওয়া উচিত নয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ যখন কোভিড-১৯ মহামারি এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট সমস্যা কাটিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন বিএনপি ও তার মিত্ররা জনগণের ভাগ্য নিয়ে খেলতে অগ্নিসংযোগ, হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচিতে লিপ্ত রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আন্দোলন-সংগ্রাম করে ভোট ও খাবারের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনী সংস্কৃতি এনেছে এবং জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ তাদের সিদ্ধান্ত নেবে তারা কাকে নির্বাচিত করবে এবং কে সরকার গঠন করবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আর কখনো ফিরে তাকাবে না এবং বাঙালিরা একাত্তরে নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধে যেভাবে বিজয় অর্জন করেছিল সেভাবে আরও এগিয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা।
আরও পড়ুন: মানুষ হত্যা করে সরকারকে উৎখাত করা যাবে না: প্রধানমন্ত্রী
জলবায়ু বাস্তুচ্যুতি মানবিক সংকটে পরিণত হওয়ার আগে বিশ্বকে পদক্ষেপ নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
৭৪২ দিন আগে
অনূর্ধ্ব ১৯ যুবাদের অভিনন্দন জানালেন প্রধানমন্ত্রী
অনূর্ধ্ব ১৯ এশিয়া কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় বাংলাদেশ ক্রিকেটের অনূর্ধ্ব ১৯ দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: অগ্নিসংযোগ ও নাশকতাকারীদের রাজনীতি করার অধিকার নেই: প্রধানমন্ত্রী
এক অভিনন্দন বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিজয়ের মাসে এ জয় আমাদের খেলোয়াড়দের আরও বেশি অনুপ্রাণিত করবে।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবসে বিশেষ ডাকটিকিট অবমুক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী
৭৪২ দিন আগে
২০ ডিসেম্বর সিলেটে শাহজালাল-শাহপরান মাজার জিয়ারতের মধ্যে দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবেন শেখ হাসিনা
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০ ডিসেম্বর সিলেটে শাহজালাল ও শাহপরান মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবেন।
দলীয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) সূত্রে জানা গেছে, ২০ ডিসেম্বর সকালে তিনি সিলেট যাবেন। সেখানে হযরত শাহজালালের মাজার এবং এরপর হযরত শাহপরানের মাজার জিয়ারত করবেন।
বিকালে তিনি আলিয়া মাদরাসা মাঠে জনসভা করবেন। যেটি হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তার প্রথম জনসভা।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবসে বিশেষ ডাকটিকিট অবমুক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ১৫ নভেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি।
মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ৩০ নভেম্বর, যাচাই-বাছাই হয় ১-৪ ডিসেম্বর এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন আগামীকাল (১৭ ডিসেম্বর)।
৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল গ্রহণ ও নিষ্পত্তি করা হয় এবং ১৮ ডিসেম্বর প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ৫৩তম বিজয় দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
১৮ ডিসেম্বর সকাল ৮টা থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত (ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগ পর্যন্ত) নির্বাচনী প্রচারণা চালানো যাবে।
নির্বাচনে সারা দেশে ৪২ হাজার ১০৩টি ভোটকেন্দ্রে মোট ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে: কাদের
৭৪৩ দিন আগে
বিজয় দিবসে বিশেষ ডাকটিকিট অবমুক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫৩তম বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশেষ স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও ডাটা কার্ড অবমুক্ত করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী আজ (১৬ ডিসেম্বর) সকালে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে এক অনুষ্ঠানে স্মারক ডাকটিকিটের মোড়ক উন্মোচন করেন।
অনুষ্ঠানে একটি বিশেষ ক্যানসেলার ব্যবহার করা হয়।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও ডাটা কার্ড ঢাকা জিপিও'র ফিলাটেলিক ব্যুরো থেকে বিক্রি করা হবে এবং পরবর্তীতে দেশের অন্যান্য জিপিও ও প্রধান ডাকঘরেও পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: ৫৩তম বিজয় দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
৭৪৪ দিন আগে
৫২তম বিজয় দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫২তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দেশের সকল মুক্তিযোদ্ধাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
বিগত বছরের মতো এবারও প্রধানমন্ত্রী ঢাকার মোহাম্মদপুরের গজনবী রোডের যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন কেন্দ্রে (মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার-১) যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ফুল, ফল ও মিষ্টি পাঠিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার সহকারী একান্ত সচিব-২ গাজী হাফিজুর রহমান লিকু ও সহকারী প্রেস সচিব এবিএম সরওয়ার-ই-আলম সরকার আজ সকালে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে এসব সামগ্রী হস্তান্তর করেন।
স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, ২ ঈদ ও পহেলা বৈশাখসহ প্রতিটি জাতীয় দিবস ও উৎসবে তাদের স্মরণ করায় মুক্তিযোদ্ধারা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
মোহাম্মদপুরে ১৩ তলা আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার-১ নির্মাণসহ তাদের পুনর্বাসনে বড় ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ায় তারা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
যুদ্ধাপরাধী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
তারা আশা প্রকাশ করেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী জাতীয় নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগ বিজয়ী হবে।
তারা বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা ক্ষমতায় থাকলে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবার সুরক্ষিত থাকবে।
দীর্ঘ ৯ মাস ব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের পর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কবল থেকে দেশ স্বাধীন হওয়ার দিনটিকে স্মরণ করে জাতি আজ ৫২তম বিজয় দিবস উদযাপন করছে।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবসে জাতির পিতার প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
বিজয় দিবস: জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা
৭৪৪ দিন আগে
সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার ৫৩তম বিজয় দিবস উপলক্ষে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
শেখ হাসিনা সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে স্মৃতিসৌধের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তিনি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী থেকে আগত একটি চৌকস কন্টিনজেন্ট এ উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদান করে।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবস: জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সেখানে রাখা দর্শনার্থী বইয়ে সই করেন প্রধানমন্ত্রী।
মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, ৩ বাহিনীর প্রধানগণ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, কূটনীতিকবৃন্দ, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ এবং বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ সেসময় উপস্থিত ছিলেন।
মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশের জন্য জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে জাতি ব্যাপক কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করছে।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবসে জাতির পিতার প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
৭৪৪ দিন আগে
বিজয় দিবসে জাতির পিতার প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা রাজধানীর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে তিনি এ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী মহান নেতা ও স্বাধীনতার স্থপতির স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
পরে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলের সভাপতি হিসেবে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: শহীদ বুদ্ধিজীবী ও বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ৫৩তম বিজয় দিবস উদযাপন করছে জাতি।
১৯৭১ সালের এই গৌরবময় দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ৯ মাসের নৃশংস যুদ্ধশেষে আত্মসমর্পণের মধ্যে দিয়ে স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিজয় অর্জন করে।
দিবসটি উপলক্ষে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: ‘বিজয়’: বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী-মুক্তিযোদ্ধা বীরেন সোম ও শিশু শিল্পীদের নিয়ে গ্যালারি কসমসের দিনব্যাপী আর্ট ইভেন্ট
৭৪৪ দিন আগে
অগ্নিসংযোগ ও নাশকতাকারীদের রাজনীতি করার অধিকার নেই: প্রধানমন্ত্রী
যারা অগ্নিসংযোগ, ধ্বংসযজ্ঞ ও রেললাইন থেকে ফিশপ্লেট অপসারণের আশ্রয় নেয়, তাদের বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, তারা একাত্তরের পরাজিত শক্তির দোসর।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এ কর্মসূচির আয়োজন করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
এসময় শেখ হাসিনা বলেন, একাত্তরে পরাজিত দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর প্রেতাত্মারা এখন এদেশের মানুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা মানুষ হত্যা করছে এবং আরও হত্যার পরিকল্পনা করছে।
তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের সবাইকে তাদের প্রতিহত করার আহ্বান জানাচ্ছি। যেসব জায়গায় ফিশপ্লেট অপসারণ করা হয় সেখানে জনগণ এগিয়ে এলে এই ষড়যন্ত্রকারীরা পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবে না।’
তিনি এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: মানুষ হত্যা করে সরকারকে উৎখাত করা যাবে না: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘এসব মানুষ কেবল ধ্বংস করতে জানে, তারা তৈরি বা গড়তে জানে না। তারা মানুষকে হত্যা করতে পারে, কিন্তু মানুষের জীবনে শান্তি ও নিরাপত্তা দিতে পারে না। তাদের থেকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা যেকোনো ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড ও অগ্নিসংযোগের সময় অপরাধীদের হাতে নাতে ধরার জন্য সবাইকে বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে।’
দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য বিএনপির দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ট্রেন লাইনচ্যুত ও মানুষ হত্যায় রেললাইনের ফিশপ্লেট তুলে নিয়ে তারা গণতন্ত্রের কথা বলছে।
তিনি বলেন, তারা কীভাবে গণতন্ত্রের কথা বলতে পারে, খুনিরা গণতন্ত্র দিতে পারে না, দেশের মানুষকে তা বুঝতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শহীদদের রক্ত বৃথা যায়নি বলেই আজকের বাংলাদেশ পরিবর্তিত বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, ‘আজ আমরা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে এগিয়ে যাবে। জাতির পিতার ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ এখন সত্যিকারের স্বাধীন দেশ।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ তাদের ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্র ফিরে পেয়েছে। তারা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। তারা শান্তিতে থাকবে এবং উন্নত জীবন পাবে। এটা আমাদের লক্ষ্য।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কেন্দ্রীয় কমিটির নেত্রী তারানা হালিম প্রমুখ।
শহীদ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও নুজহাত চৌধুরীর সন্তানেরাও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: আ. লীগ ক্ষমতায় থাকতে বাইরের কারো চোখ রাঙানি সহ্য করবে না: শেখ হাসিনা
অগ্নিসংযোগকারীদের ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই: প্রধানমন্ত্রী
৭৪৫ দিন আগে
পোল্যান্ডের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ককে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পোল্যান্ডের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড ফ্রান্সিসজেক টাস্ককে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
ডোনাল্ড টাস্ককে পাঠানো শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি উল্লেখ করেন, ‘পোল্যান্ড প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের জন্য আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।’
তিনি বলেন, ‘এটি আপনার গতিশীল নেতৃত্বের প্রতি পোল্যান্ডের জনগণ এবং সরকারের আস্থার প্রতিফলন। আপনি ২০০৭ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী এবং ২০১৪ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।’
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, পোল্যান্ডের জনগণ আবারও আপনার দূরদর্শী নেতৃত্ব থেকে উপকৃত হবে।’
আরও পড়ুন: কমন ফান্ড ফর কমোডিটিজের এমডি নির্বাচিত হওয়ায় রাষ্ট্রদূত বেলালকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সমর্থনের জন্য পোল্যান্ডের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে পোল্যান্ডই প্রথম স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের দ্বার খুলে দিতে ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় সদস্যপদ লাভের পাশাপাশি জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থাগুলোতে সমর্থন দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বছরের পর বছর আমাদের সম্পর্ক দ্বিপক্ষীয় এবং বহুপক্ষীয় উভয় ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোকে কভার করে গভীরতা ও মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী যে দু'দেশের মধ্যে বিদ্যমান ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ও বন্ধুত্ব আমাদের অভিন্ন সমৃদ্ধির জন্য শক্তিশালী সম্পর্কের লক্ষ্যে আরও উন্নতি প্রত্যক্ষ করবে।’
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পোল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু ও সুখ কামনা করেন এবং পোল্যান্ডের জনগণের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপ- ২০২৩: প্রথম জয়ে টাইগারদের অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক নির্বাচিত হওয়ায় সায়মা ওয়াজেদকে রাষ্ট্রপতির অভিনন্দন
৭৪৬ দিন আগে