নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগের বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে বাংলাদেশে কর্মরত ডাচ এনজিওগুলোর ভার্চ্যুয়াল সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী ডাচ এনজিও ও ফাউন্ডেশনগুলো তাদের এই আশ্বাস পুনর্ব্যক্ত করে বলে বৃহস্পতিবার দূতাবাস থেকে জানানো হয়েছে।
নেদারল্যান্ডসে নিযুক্ত বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লাহ’র সঞ্চালনায় সম্মেলনে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে কর্মরত ৩০টি ডাচ এনজিও অংশগ্রহণ করে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে ডাচ সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস
চলমান কোভিড-১৯ অতিমারির পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে উন্নয়ন অংশীদারীরা কিভাবে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে এবং করোনা পরবর্তী সময়ে তারা কিভাবে তাদের কার্যক্রম পুনর্বিন্যাস করবে, সে সম্পর্কে মতবিনিময়ের লক্ষ্যে এক উন্মুক্ত আলোচনা আয়োজিত হয়। এতে ব্র্যাক চেয়ারপার্সন ড. হোসেন জিল্লুর রহমান মুখ্য বক্তব্য প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: দীর্ঘ সময় ধরে আ’লীগ ক্ষমতায় থাকায় উন্নয়ন গতি পেয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
রাষ্ট্রদূত হামিদুল্লাহ ডাচ এনজিওগুলোকে ‘বাংলাদেশের বন্ধু’ অভিহিত করে তার স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পানি ও স্যানিটেশন, কৃষি, মানসিক স্বাস্থ্য প্রভৃতি খাতে ডাচ এনজিওগুলোর উল্লেখযোগ্য অবদানের প্রশংসা করেন। সেই সাথে তিনি টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টগুলো (এসডিজি) অর্জনে বাংলাদেশে ডাচ এনজিওদের সহযোগিতার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন অব্যাহত রাখাই সরকারের মূল লক্ষ্য: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের মানুষের ও নেতৃত্বের মূল্যবোধ, উদ্ভাবন ও উদ্যমতা দুদেশের বেসরকারি খাত ও সুশীল সমাজকে একত্র করেছে।
হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি মুখ্যত প্রযুক্তি এবং অভিবাসন খাতে দৃশ্যমান প্রভাব ফেলেছে। করোনা মহামারির কারণে দেশের প্রযুক্তি খাতে বিশেষ করে সরবরাহ ব্যবস্থা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ইত্যাদি খাতে তথ্যপ্রযুক্তির সৃষ্টিশীল প্রসার ঘটেছে।
আরও পড়ুন: প্রত্যাবাসন না হওয়া পর্যন্ত রোহিঙ্গা সংকটে নজর রাখা চান সুইডিশ ও ডাচ রাষ্ট্রদূত
করোনা মহামারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর জন্য কাজের নতুন নতুন ক্ষেত্রও সৃষ্টি করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ অনেকাংশে একটি উদ্ভাবনী শক্তি দ্বারা চালিত সমাজ যেখানে ডাচ এনজিওরা তাদের উদ্ভাবনী কর্মকাণ্ডের প্রসার ঘটাতে পারে। দেশের স্বাস্থ্য, শিক্ষা ইত্যাদি খাতের উন্নয়নে বেসরকারি খাতের পাশাপাশি তিনি স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: উন্নত দেশ গড়তে ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজিনেস’ সূচক উন্নয়নের বিকল্প নেই: বিডা
ডাচ এনজিওগুলো সরকার এবং উন্নয়ন সহযোগীদের বিশেষত ডাচ উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে সেতুবন্ধন নির্মাণে দূতাবাসের উদ্যোগের প্রশংসা করেন। তারা বাংলাদেশকে বিদেশি এনজিওদের কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য সহায়ক দেশ হিসেবে অভিহিত করেন এবং তরুণ ও উদ্যমী জনগোষ্ঠীর উপস্থিতির কারণে বাংলাদেশকে ‘সুযোগের ভূমি’ বলে আখ্যায়িত করেন।