হাসপাতালগুলো হলো- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ), ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল এবং কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এর মধ্যে কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে ৩৮ জন চিকিৎসক, তিনজন নার্স ও অন্যান্য ১৭ জনসহ টিকা নিয়েছেন মোট ৫৮ জন।
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ৫০ জন চিকিৎসক, ১৩ জন নার্স ও অন্যান্য ৩৭ জনসহ টিকা নিয়েছেন মোট ১০০ জন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে টিকা নিয়েছেন ৫৪ জন চিকিৎসক, সাতজন নার্স, অন্যান্য ৫৮ এবং একজন ভিআইপিসহ মোট ১২০ জন।
মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১২ জন চিকিৎসক, ৫ জন নার্স ও অন্যান্য ৪৮ জনসহ টিকা নিয়েছেন মোট ৬৫ জন।
বিএসএমএমইউতে টিকা নিয়েছেন ১৪২ জন চিকিৎসক, চারজন নার্স, অন্যান্য ৪৮ এবং চারজন ভিআইপিসহ মোট ১৯৮ জন।
এদিন সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বুথে প্রথম টিকা নেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।
পরে মন্ত্রিসভার প্রথম সদস্য হিসেবে টিকা নেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
মন্ত্রিসভার প্রথম সদস্য হিসেবে পলকের টিকা গ্রহণ
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদও এদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনাভাইরাসের টিকা নেন।
এদিকে রাজধানীর পাঁচ হাসপাতালে আনন্দঘন পরিবেশে টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘টিকা নিয়ে আমরা দেশবাসী সকলেই আনন্দিত। আজ টিকা কার্যক্রম অনুষ্ঠানে সকলের মধ্যে ঈদের মতো আনন্দ-উৎসব বিরাজ করছে। ঈদ আনন্দে টিকা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজকে প্রতিটা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এই আনন্দঘন পরিবেশে টিকা কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। আপনারা আসুন, টিকা নিন।’
কোভিড ভ্যাকসিন: সমালোচকদের কড়া জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী
সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কনভেনশন সেন্টারে টিকাদান কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে বুধবার উদ্বোধনী দিনে ২৬ জনকে করোনার টিকা দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮ হাজার ৮৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৫০৯ জনের শরীরে নতুন করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৯৫৩ জনে পৌঁছেছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩.৪৩ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বৃহস্পতিবার পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫১ শতাংশ।