ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনর মেয়র মো. আতিকুল ইসলামকে সাথে নিয়ে রাষ্ট্রদূত মিলার বিতরণের জন্য খাদ্যঝুড়ি প্রস্তুত কাজ পরিদর্শন করেন এবং সহায়তার নগদ অর্থ দিয়ে দোকান থেকে শাক-সবজি ক্রয়রত মানুষের সাথে কথা বলেন।
কল্যাণপুর ও সাততলা বস্তি (মহাখালী) এলাকায় কার্যক্রম বাস্তবায়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির কান্ট্রি প্রতিনিধি রিচার্ড রেইগ্যান ও ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ তাদের সাথে ছিলেন।
এ কার্যক্রমের আওতায় নগদ অর্থ প্রদানের মাধ্যমে এসব এলাকার ৫০ হাজার মানুষকে খাদ্য ও মৌলিক চাহিদা পূরণে সহায়তা দেয়াসহ কোভিড-১৯ এ অসুস্থ সদস্যের কারণে পরিবার নিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা পরিবারগুলোর মধ্যে খাদ্যঝুড়ি বিতরণ করা হবে। এছাড়া ন্যায্য দামে তাজা খাবার ক্রয়েও সহায়তা দেয়া হবে।
রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, ‘কল্যাণপুর এলাকায় হাঁটতে হাঁটতে এবং সেখানকার বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে আমি দেখেছি এই খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম কতটা গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি বলেন, ‘এই কার্যক্রমটি বাংলাদেশের জনগণ, ঢাকার ক্ষুদ্র ব্যবসা উদ্যোগগুলো, বাংলাদেশ সরকার এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ও ব্র্যাকের মতো সংস্থাগুলোর সাথে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অসাধারণ অংশীদারিত্বের একটি দৃষ্টান্ত হলো। এক সাথে কাজের মাধ্যমে আমরা আরও শক্তিশালী হয়েছি এবং এভাবেই এই মহামারি কাটিয়ে উঠতে আমরা একে অপরকে সহায়তা করতে পারি।’
ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস জানায়, বিভিন্ন দেশে কোভিড-১৯ এর প্রভাব মোকাবিলায় সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে নতুন এই উদ্যোগটি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সামগ্রিক প্রচেষ্টার অংশ।
এই প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ১.৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এই তহবিলের বিশেষ লক্ষ্য হলো জরুরি স্বাস্থ্য এবং মানবিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের সরকার, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে (এনজিও) এই মহামারি মোকাবিলায় সহায়তা দেয়া।
যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশে কোভিড-১৯ মোকাবিলা প্রচেষ্টায় এখন পর্যন্ত ৫৬.৫ মিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র সরকার ইউএসএআইডির মাধ্যমে ১৯৭১ সাল থেকে বালাদেশে উন্নয়ন সহায়তা হিসাবে ৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ সহায়তা করেছে।
খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সুযোগ সম্প্রসারণ, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা উন্নয়ন, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও চর্চা উৎসাহিতকরণ, পরিবেশ সুরক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলার সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনসাধারণের জীবনমান উন্নয়নে ২০১৯ সালে ইউএসএআইডি ২০০ মিলিয়ন ডলারের অধিক অর্থ সহায়তা দিয়েছে।