তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে আসুন আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই। বাংলাদেশ জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত, উন্নত, সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে উঠুক এবং অসুখী মানুষের মুখে হাসি ফুটে উঠুক।’
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে সম্মানিত অতিথি হিসেবে শুক্রবারের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার দেশের প্রতিটি ঘর আলোকিত করবে। ‘বাংলাদেশের একটি মানুষও ক্ষুধার্ত থাকবে না, গৃহহীন থাকবে না, প্রতিটি মানুষের ঘরে আমরা আলো জ্বালব,’ তিনি বলেন।
‘আমরা চাই শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থানসহ সব দিকে বাংলাদেশের মানুষ যেন উন্নত, সমৃদ্ধ জীবন পায়,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নতি অব্যাহত রয়েছে: রাজাপাকসে
বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক শক্তিশালী করতে চান রাজাপাকসে
শ্রীলঙ্কাকে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুই দেশ বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে একই ধরনের মনোভাব পোষণ করে এবং দুই দেশ পরস্পরকে সমর্থন ও সহযোগিতা দিয়ে থাকে।
‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে বাংলাদেশের একজন অকৃত্রিম বন্ধু এবং তিনি সবসময়ই বাংলাদেশের পাশে অবস্থান করেন। আমিও চেষ্টা করি সেই বন্ধুত্বের প্রতিদান দিতে,’ বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের যোগদান তার নিজের এবং শ্রীলঙ্কার জনগণের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কেরই প্রতিফলন।
‘আমি আশাকরি দুই দেশের জনগণের এই বন্ধুত্বের সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও দৃঢ় হবে,’ শেখ হাসিনা বলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা-মালদ্বীপ ৪ সমঝোতা স্মারক সই