তিনি বলেন, ‘সারা দেশের ৫০০ উপজেলায় ৫০০ ত্রাণ গুদাম তৈরি করা হবে। এর ফলে যে কোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। তাৎক্ষণিকভাবে যে কোনো দুর্যোগে দ্রুত ত্রাণ পৌঁছানো সম্ভব হবে।’
বুধবার রাজধানীতে ‘ইমার্জেন্সি অপারেশনাল ড্যাশবোর্ড’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী জানান, এ অনলাইন ড্যাশবোর্ডের মাধ্যমে যে কোনো দুর্যোগ পূর্ববর্তী অবস্থার প্রস্তুতির যেমন সার্বিক চিত্র পাওয়া যাবে তেমনই দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতিতে জরুরি ত্রাণ ও অন্যান্য সেবা সম্পর্কিত কাজও সম্পাদন করা সম্ভব হবে। যে কোনো আসন্ন দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলা ও পরিকল্পনা করতে এবং ঠিক সময় মতো জরুরি ত্রাণ সেবা কার্যকর ও নিশ্চিত করতে এ অ্যাপটি সহায়ক হবে।
তিনি বলেন, এ অনলাইন ড্যাশবোর্ডের জন্য দেশের ইউনিয়ন ও উপজেলা থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। তথ্যগুলো উপস্থাপন করা হবে মূলত ম্যাপ, গ্রাফ এবং সারণি আকারে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, এ ডাটাবেজে ভৌগলিক অবস্থান অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের দুর্যোগ সংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। এসব তথ্যের মধ্যে আছে কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলের জনসংখ্যা, দুর্যোগকবলিত জনগোষ্ঠী, দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ, ত্রাণ চাহিদা ও বরাদ্দ, ত্রাণ বিতরণ ও মজুদ, এসব কাজের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, ক্ষতিগ্রস্তদের খুঁজে বের করা ও উদ্ধার, জরুরি পরিবহন এবং আশ্রয়কেন্দ্র সংক্রান্ত বিষয়।
এছাড়াও বিগত বছরগুলোতে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, সাইক্লোন, ভূমিধস ইত্যাদির পাশাপাশি মানবসৃষ্ট বিভিন্ন দুর্যোগ যেমন অগ্নিকাণ্ড ও অগ্নিসংযোগ, ভবনধস এবং শিল্প-কারখানার ঝুঁকিপূর্ণ কর্মকাণ্ড সংক্রান্ত সব তথ্য অ্যাপের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্যোগ মোকাবিলায় সহায়ক উপকরণগুলো সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা থাকলে দুর্যোগের মুহূর্তে দ্রুত সহায়তা পাঠানো সম্ভব হয়। এ পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়ার যে ঘাটতি তা মেটাতে ইমার্জেন্সি অপারেশনাল ড্যাশবোর্ড কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে মনে করি। জরুরি অবস্থায় ত্রাণ ও অন্যান্য সেবা বিতরণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে এ ড্যাশবোর্ড।’
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আতিকুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন এবং ডব্লিউএফপি’র প্রতিনিধি রিচার্ড রাগান।