গুদাম
গুদামে পচে নষ্ট হচ্ছে আলু, আরও আসছে ভারতীয় ট্রাক
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আনা ভারতীয় আলু তীব্র গরমে পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে আমদানিকারকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। প্রতিদিনি এই বন্দরের মাধ্যমে দেশে আলু আমদানি করা হচ্ছে। পচা আলুগুলো সড়কের পাশে ফেলায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ফলে পথচারীদের চলাচলেও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
বন্দরের স্থানীয় আমদানিকারক ও কাস্টমস সিএন্ডএফ এজেন্টরা জানান, বন্দরে হিমাগার (কোল্ড ষ্টোরেজ) ব্যবস্থা না থাকায় আলুসহ যেকোন কাঁচামাল আমদানি করা হলে এই অবস্থা হচ্ছে। হিলিতে বেশ কয়েকদিন ধরে তীব্র তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে। প্রতিদিন প্রায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বয়ে যাচ্ছে। এর ফলে গুদামের ভেতরে বস্তায় থাকা আলু প্রচণ্ড গরমে পচে রস বের হচ্ছে। আবহাওয়ার বিরুপ প্রভাবের কারণে আমাদের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে ৪ চালানে ১০০০ মেট্রিক টন আলু আমদানি
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ বলেন, দেশে আলুর দাম বেড়ে যাওয়ায় সরকার আলু আমদানি করার অনুমতি দেয়। ফলে বন্দরের আমদানিকারকরা প্রতিবেশি দেশ ভারত থেকে আলু আমদানি করছেন। প্রতিদিন তারা আলু আমদানি করে দেশের বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করছেন। আমদানি করার পর ভারতীয় ট্রাক থেকে আলুর বস্তাগুলো খালাস করে গুদামে রাখার জন্য নেওয়া হয়। বিক্রির জন্য সেখানে ২ থেকে ৩দিন মজুদ থাকে।
বর্তমানে প্রচণ্ড গরমে বাইরে থেকে পাইকাররা কম আসছেন। আবার তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে পচে নষ্ট হচ্ছে। এই অবস্থায় আমদানিকারকরা আলু নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। তাদের লাভ তো দূরের কথা, এখন গুনতে হচ্ছে বড় অঙ্কের লোকসান।
তিনি আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত আমদানিকারকদের প্রণোদনার মাধ্যমে আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়া না হলে দেশে পণ্য সংকটকালীন সময়ে পণ্য আমদানিতে নিরুৎসাহিত হবেন। বিষয়টি সরকারের খতিয়ে দেখা দরকার বলে মনে করছি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বন্দরের মোকামে আমদানিকৃত ভারতীয় আলুর জাত ভেদে ৩৮-৪০ টাকা কেজিতে পাইকারী বিক্রি হচ্ছে। আর বন্দরের আশ-পাশের বাজারে খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকায়। তবে ভারতীয় আলু কিনতে ভোক্তাদের আগ্রহ কম। তারা দেশি আলু কিনতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
বন্দরের আমদানিকারকদের প্রতিনিধি সিরাজ হোসেন জানান, দেশে আলুর দাম বেশি। তাই আমরা ভারত থেকে আলু আমদানি করছি। কিন্তু সাম্প্রতিককালে হিলিসহ দেশে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বস্তায় থাকা আলু গরমে পচে নষ্ট হচ্ছে। প্রতি বস্তায় ২ থেকে ৩ কেজি করে নষ্ট আলু বের হচ্ছে। এখন আলু আমদানি মানেই আর্থিক ক্ষতি। আবার ভারতে গত কয়েকদিন ধরে কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা দাম বেড়েছে। বন্দরে কোল্ড ষ্টোরেজ ব্যবস্থা থাকলে এই ক্ষতি হতো না।
পৌর শহরের বাসিন্দা আসাদুর রহমান জানান, ডাঙ্গাপাড়া-ছাতনি সড়কের পাশে ভারতীয় পচা আলুগুলো ফেলে দেওয়া হচ্ছে। এতে আমাদের যাতায়াতে অসুবিধা হচ্ছে। এমনিতেই তীব্র তাপে হাঁসফাঁস অবস্থা। তার উপর পচাগন্ধ আরও বিরক্তিকর। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের নজর দেওয়া দরকার।
এদিকে হিলি স্থলবন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক জানান, ভারত থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানি হচ্ছে। প্রতিদিনই আলু আসছে। আলু পচণশীল পণ্য হওয়ায় কাস্টমসের রাজস্ব আদায় সাপেক্ষে দ্রত খালাস করাসহ দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে নিতে আমদানিকারকদের সহযোগিতা করা হচ্ছে। তবে পোর্ট এলাকায় আলু সহ কাঁচাপণ্য রাখার জন্য কোল্ড ষ্টোরেজ ব্যবস্থা থাকলে ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতেন না।
আরও পড়ুন: তীব্র গরমে বন্দরে পচতে শুরু করেছে ৩৭০ টন আলু
৬ মাস আগে
টঙ্গীতে এসকে+এফ ফার্মাসিউটিক্যালসের গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণে
গাজীপুরের টঙ্গীতে এসকে+এফ ফার্মাসিউটিক্যালসের একটি গোডাউনে লাগা আগুন রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স মিডিয়া সেলের গুদাম পরিদর্শক মো. আনোয়ারুল ইসলাম জানান, রাত ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে কাঁঠালবাড়ি রোড এলাকায় এসকে+এফ ফার্মাসিউটিক্যালসে অগ্নিকাণ্ডের খবর পান তারা।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে দুপুর আড়াইটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের আগুন ২৮ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে আসে
পুরান ঢাকার জুতার গুদামে আগুন নিয়ন্ত্রণে
মোহাম্মদপুরে ফার্নিচার কারখানায় আগুন
১ বছর আগে
গাজীপুরে ঝুট গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণে
গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে একটি ঝুট গুদামে রবিবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কন্ট্রোল রুমের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন জানান, শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে নতুন বাজার এলাকার গুদামটিতে আগুনের সূত্রপাত হয় এবং তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
তিনি আরও বলেন যে খবর পেয়ে গাজীপুর, কালিয়াকৈর ও কাশিমপুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
তবে কোনো আহত বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
আগুনের সূত্রপাত এখনও জানা যায়নি বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: মালদ্বীপে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ২ বাংলাদেশি শনাক্ত
মালদ্বীপে অগ্নিকাণ্ডে ১১ জনের মৃত্যু, ২ বাংলাদেশি থাকার আশঙ্কা
চট্টগ্রামে অগ্নিকাণ্ডে ব্যাংক ও ১০টি দোকান পুড়ে ছাই
২ বছর আগে
পল্টনে ইলেকট্রনিক্স গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণে
রাজধানীর পল্টনে একটি ইলেকট্রনিক্স গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাগা এই আগুন প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্ঠায় সাড়ে ৮টার দিকে নিয়ন্ত্রণে আনা হয় বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ।
এ প্রতিবেদন লেখার আগ পর্যন্ত অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বিজয়নগরের ৭১ নম্বর হোটেলের পাশে একটি দোতলা ভবনে স্থাপিত হামিম ইলেক্ট্রনিক্সের টিনশেড গুদামে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানান ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক (মিডিয়া সেল) মো. শাহজাহান শিকদার।
আরও পড়ুন:গ্রেট ওয়াল শপিং সেন্টারের আগুন নিয়ন্ত্রণে
তিনি বলেন, সিদ্দিক বাজার ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ১৩টি ইউনিটের দমকলকর্মী আগুন নেভানোর কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। তারা রাত ৮টা ২৭ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তবে পুরোপুরি আগুন নিভতে আরও সময় লাগবে।
অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানান শাহজাহান।
ঢাকা বিভাগের ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ পরিচালক দিল মনি শর্মা জানান, গোডাউনটি ঢেউ টিনের তৈরি। অত্যন্ত শক্ত, কোন জানালা ছিল না। তাই আগুন নিভাতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। যতটুকু জানতে পেরেছি গোডাউনে কেউ ছিল না। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন:বনশ্রীর জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে
গাজীপুরে সুতার গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণে
২ বছর আগে
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও খাদ্য সঙ্কট মোকাবিলায় চট্টগ্রামে গমের অত্যাধুনিক স্টিলের গুদাম
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও খাদ্য সঙ্কট মোকাবিলায় দীর্ঘমেয়াদে খাদ্যশস্যের সঠিক সংরক্ষণে অত্যাধুনিক সাইলো বা গুদাম নির্মাণ একটি কার্যকরী পদক্ষেপ। আর এ উদ্দেশ্যেই, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তীরে অবস্থিত কংক্রিট গমের সাইলো ক্যাম্পাসে নির্মাণ করা হচ্ছে স্টিলের তৈরি গমের সাইলো।
রবিবার আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ গমের স্টিল সাইলো নির্মাণ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন।
সাইলো নির্মাণের প্রকল্পটি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশের কনফিডেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড ও যুক্তরাস্ট্রের জিএসআই গ্রুপ এলএলসি। বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় ‘আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার’ প্রকল্পের অংশ হিসেবে নির্মিতব্য এই সাইলোটির নির্মাণকাজের সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকবে খাদ্য অধিদপ্তর।
সাইলোটিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আর্দ্রতা ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে দুই থেকে তিন বছর পর্যন্ত গম সংরক্ষণ করা যাবে। সংরক্ষিত গমের গুণগত মান নিশ্চিতে রাসায় না, যা প্রচলিত নিক দ্রব্য ও কীটনাশক ব্যবহারের প্রয়োজন হবে খাদ্য গুদাম বা সাইলোতে সম্ভব নয়। দেশের স্থানীয় সরবরাহ কেন্দ্রগুলোতে শস্যের আর্দ্রতা ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের সুযোগ না থাকায় গুদামগুলোতে সব মৌসুমে ও দীর্ঘ সময়ব্যাপী শস্য মজুদ করা সম্ভব নয়। এমন পরিস্থিতিতে, দীর্ঘদিন গম সংরক্ষণে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে এ সাইলো।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব নয় – তাই, আমাদের সরকার বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিক-নির্দেশনায় আমরা আমাদের কৃষি ব্যবস্থার আধুনিকায়নে কাজ করে যাচ্ছি। এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবেই দেশব্যাপী আধুনিক খাদ্যশস্য সংরক্ষণাগার নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে; যাতে যেকোন সময় ও যেকোন অবস্থায় আমাদের দেশের মানুষের জন্য খাবারের যথেষ্ট মজুদ থাকে। সামনের দিনগুলোতেও আমরা আমাদের খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আরও বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।’
বিশেষ অতিথি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন এ সময়োপযোগী পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং এমন সব উদ্যোগের ফলে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশে; বিশেষ করে, দুর্যোগের মুহূর্তে খাদ্য নিরাপত্তা আরও জোরদার করা সম্ভব হবে, সে দৃঢ় আশা ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি, দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে খাদ্য মন্ত্রণালয়সহ সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ৩৫ লাখ মেট্টিক টন খাদ্য মজুদের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার: খাদ্যমন্ত্রী
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন প্রসঙ্গে কনফিডেন্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালমান করিম বলেন, ‘উন্নয়নের পথে বাংলাদেশের অদম্য যাত্রা যেন কোনভাবেই কোনো বাধার সম্মুখীন না হয়, তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব আমাদের সকলের। দেশের মানুষের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করা এ দায়িত্বেরই একটি অংশ। গুরুত্বপূর্ণ এই সাইলোর নির্মাণে আমাদের ওপর আস্থা রাখার জন্য আমি সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। সাইলো নির্মাণ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করবার লক্ষ্যে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাবো।’
প্রধান এবং বিশেষ অতিথিরা ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাখাওয়াত হোসেন, কনফিডেন্স গ্রুপের বোর্ড সদস্য রুপম কিশোর বড়ুয়া, ‘আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার’ প্রকল্পের পরিচালক মো. রেজাউল করিম শেখসহ আরও অনেকে।
অনুষ্ঠানে কনফিডেন্স গ্রুপের বোর্ড সদস্য রুপম কিশোর বড়ুয়া বলেন, ‘প্রকৌশল ও নির্মাণখাতে আমাদের বিশেষ দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার ওপর আস্থা রাখার জন্য আমরা সরকারকে বিশেষ ধন্যবাদ জানাই। খাদ্যশস্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে আধুনিক সাইলো নির্মাণের এ উদ্যোগ আমাদের জন্য বিশেষ কিছু। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে সম্মিলিতভাবে আমরা আরেক ধাপ এগিয়ে যাবো। সবসময়ের মতো এবারও আমরা আমাদের মেধা এবং অভিজ্ঞতার সর্বোচ্চ প্রয়োগ ঘটিয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবো।’
চট্টগ্রামের এ সাইলোটি সহ ‘আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার’ প্রকল্পের আওতায় দেশে ভৌগোলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ আটটি স্থানে একটি করে মোট আটটি অত্যাধুনিক সাইলো নির্মাণ করা হবে, যার মধ্যে দু’টিতে গম এবং ছয়টিতে চাল সংরক্ষণ করা হবে। মোট আটটি স্থানের মধ্যে কনফিডেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড (বাংলাদেশ) ও জিএসআই গ্রুপ এলএলসি (ইউএসএ) যৌথভাবে তিনটি স্থান যথা-বরিশাল এ ৪৮ হাজার মেট্রিক টন এর চালের সাইলো, নারায়ণগঞ্জ এ ৪৮হাজার মেট্রিক টন এর চালের সাইলো ও চট্টগ্রাম এ এক লাখ ১৪হাজার ৩০০ মেট্রিক টন এর গমের সাইলো নির্মাণ করছে। প্রকল্পটির মূল লক্ষ্য দুর্যোগোত্তর জরুরি প্রয়োজনে সরকারি এবং পারিবারিক পর্যায়ে কার্যকর খাদ্য মজুদ ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের এ সাইলো ক্যাম্পাসে ৫ একর অব্যবহৃত নিচু জায়গা উন্নয়ন করে সাইলো নির্মাণ উপযোগী করা হয়েছে। সমগ্র সাইলো নির্মাণাধীন এলাকায় সীমানা প্রাচীর এবং একটি তিনতলা সাইলো সাইট অফিস ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে, প্যাকেজ ডব্লিউ-২৪ এর আওতায় এক লাখ ১৪ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন ধারণক্ষমতার এ গমের স্টিল সাইলো নির্মাণ কাজ শুরু হচ্ছে।
চট্টগ্রামে নির্মিতব্য এ গম সংরক্ষণের সাইলোটি নির্মাণের উদ্দেশ্যে কনফিডেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড এবং জিএসআই গ্রুপ এলএলসির সাথে খাদ্য অধিদপ্তরের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় এ বছরের এপ্রিল মাসে। চুক্তি মোতাবেক নির্মাণ কাজ শেষ হবে ২০২৪ সালের জুন নাগাদ।
আরও পড়ুন: খাদ্যের অপচয় রোধে সতর্ক হওয়ার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
চট্টগ্রামে পোল্ট্রি গুদামে আগুন
চট্টগ্রাম মহানগরীর আকবরশাহ থানার সিটি গেট এলাকার একটি পোল্ট্রি খাদ্যের গুদামে আগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এতে কেউ হতাহত না হলেও গুদামে রাখা বিপুল পরিমাণ মুরগীর খাবার পুড়ে গেছে।রবিবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে সিটি গেট সংলগ্ন জাবেদ স্টিল মিলের পাশের দোকানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মহানগরীর আগ্রাবাদ ফায়ার স্টেশনের উপ-সহকারী পরিচালক নিউটন দাশ বলেন, সিটি গেট এলাকায় আগুন লাগার খবর পেয়ে আমাদের দুই স্টেশনের ৬টি ইউনিট এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। মজুদকরা মুরগীর খাদ্য গুদামে এ আগুনের ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
তিনি আরও বলেন, আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আগুনে পুড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু
গাজীপুরে সুতার গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণে
২ বছর আগে
চট্টগ্রামে গুদাম থেকে টিসিবির পণ্য জব্দ, ৩ ব্যবসায়ী আটক
চট্টগ্রামের ইপিজেড থানাধীন সিমেন্ট ক্রসিং বাজার থেকে বিপুল পরিমাণ টিসিবির পণ্য উদ্ধার এবং অবৈধভাবে টিসিবির পণ্য মজুদ করার দায়ে তিন ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র্যাব-৭। মঙ্গলবার বিকেলে গোপন খবরের ভিত্তিতে র্যাব-৭ এর একটি টিম ৩৯নং ওয়ার্ড এ ব্যবসায়ীদের গুদামে অভিযান চালায়।র্যাব-৭ এর অভিযানে সিমেন্ট ক্রসিং গাউছিয়ার গোডাউন থেকে টিসিবি জমাকৃত বিপুল পরিমাণ বোতলজাত সয়াবিন তেল, চিনি ও ডাল উদ্ধারসহ পাঁচজনকে আটক করে নিয়ে যায়। পরে দুজনকে ছেড়ে দেয়া হয়।আটক তিনজন হলেন- বন্দর ইপিজেড এলাকা টিসিবির প্রধান ডিলার কামরুল ইসলাম রাশেদ (প্রকাশ ভান্ডারী), গাউছিয়া স্টোর এর মালিক মো. জসিম উদ্দিন ও মো. নুরুউল্লাহ।গুদাম থেকে জব্দ করা টিসিবি পণ্যের মধ্যে রয়েছে দুই হাজার লিটার সয়াবিন তেল, ৫০০ কেজি চিনি ও ৫০০ কেজি মসুর ডাল।জানা গেছে, গুদামটিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বস্তায় বস্তায় মজুত রয়েছে। চিনি ও ডাল টিসিবির মোড়ক খুলে সাধারণ প্যাকেটে প্যাকেটজাত করা হচ্ছে। যাতে বাজারে বিক্রি করলে টিসিবির পণ্য বোঝার সুযোগ না থাকে। বোতলজাত তেল বড় ড্রামে ঢেলে রাখা হয়। র্যাব সদস্যরা অভিযান চালিয়ে পণ্যগুলো জব্দ করেন। পরে ট্রাকে তুলে নিয়ে যান।
আরও পড়ুন: ১ কোটি পরিবারের কাছে পণ্য বিক্রির প্রস্তুতি নিয়েছে টিসিবি
সিমেন্ট ক্রসিং কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, সোমবার রাতে ট্রাকভর্তি পণ্যগুলো বাজারে আসে। শ্রমিকেরা রাতে পণ্যগুলো জসিম সওদাগরের গুদামে ঢুকিয়ে দেন। রাত ১টার দিকে বাজারে পুলিশ যায়। এই সময় শ্রমিকেরা সটকে পড়েন। সকালে র্যাব সদস্যরা গিয়ে গুদামে অভিযান চালিয়ে পণ্যগুলো জব্দ করে। পরে অভিযান চালিয়ে ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিনসহ অন্যদের গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-৭ এর উপ-অধিনায়ক মেজর মো. মোস্তফা জামান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পণ্যগুলো জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছেন পণ্যগুলো টিসিবির।
র্যাব আরও জানায়, টিসিবির ডিলার মো. রাশেদ ব্যবসায়ী নুরু উল্লাহ’র কাছে পণ্যগুলো বিক্রি করে। নুরুউল্লাহ ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিনের কাছে বিক্রি করেন। পণ্যগুলো গুদামে নিয়ে প্যাকেট খুলে গুদামজাত করা হচ্ছিল। ওই অবস্থায় হাতেনাতে ধরা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হবে।
জব্দ করা মালামাল আটকদেরসহ ইপিজেড থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান।
এ অভিযানের সময় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রবিবার থেকে এক কোটি পরিবারের কাছে টিসিবির পণ্য বিক্রয় শুরু: বাণিজ্যমন্ত্রী
টিসিবির ট্রাকের সামনে লম্বা সারি বাস্তবতা প্রকাশ করে: বিএনপি
২ বছর আগে
শরীয়তপুরে ব্যবসায়ীর বাড়িতে মিলল ৭২ বস্তা সরকারি চাল
শরীয়তপুর সদর উপজেলায় সরকারি খাদ্য গুদামের ৭২ বস্তা চাল পাওয়া গেছে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে। সোমবার দুপুরে আংগারিয়া ইউনিয়নের চরপাতাং গ্রামের ব্যবসায়ী রব হাওলাদারের বাড়ি থেকে এই চাল উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, রব হাওলাদারের বাড়িতে সরকারি চাল নিতে দেখে স্থানীয়রা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাতেমা খাতুন পুলিশ নিয়ে চরপাতাং গ্রামের ব্যবসায়ী রব হাওলাদারের বাড়িতে গিয়ে ৭২ বস্তা সরকারি চাল দেখতে পান।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ওএমএস’র ২৭ বস্তা চাল উদ্ধার: আটক ১
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাতেমা খাতুন বলেন, ‘খবর পেয়ে ব্যবসায়ী রব হাওলাদারের বাড়ি গিয়ে ৭২ বস্তা সরকারি গুদামের চাল পেয়েছি। ওসি এলএসডি এসে বিষয়টি তদন্ত করবেন। সেক্ষেত্রে যদি অনিয়ম পাওয়া যায় এবং আইনি ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেন তাহলে অবশ্যই আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব। তদন্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত চালগুলো পুলিশের পাহারায় রাখার ব্যবস্থা নিয়েছি।’
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ৮৬ বস্তা সরকারি চাল উদ্ধার
জেলা খাদ্য কর্মকর্তা মো. নুরুল হক বলেন, ‘এই চাল আমরা রেশন হিসেবে জেলা পুলিশকে দিয়েছি। পুলিশ চাল কি করেছে তা বলতে পারব না। তবে বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।’
পুলিশ সুপার এসএম আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে গিয়েছে। তারা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।’
আরও পড়ুন: নওগাঁয় ১০০ বস্তা ভিজিডির চাল উদ্ধার
৩ বছর আগে
কুষ্টিয়ায় ব্যবসায়ীর গুদামে ১৩ টন সরকারি চাল
কুষ্টিয়ায় এক ব্যবসায়ীর গুদামে প্রায় সাড়ে ১৩ টন সরকারি চালের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। চাল পাওয়ার পর পুলিশ গুদামটি বন্ধ করে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের কবুরহাট মাদরাসা পাড়ার ওই গুদামে ওই চালের বস্তা পাওয়া যায়।
গুদামটির মালিক আবু তালেব। তবে স্থানীয় ব্যবসায়ী সাইফুল খন্দকার তার কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে এটি ব্যবহার করে আসছেন।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জ পাচারের সময় ভিজিডির ৩ হাজার কেজি চাল উদ্ধার, আটক ১
স্থানীয়রা প্রথমে সাইফুলের গুদামে রাখা ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’ স্লোগান লেখা ও খাদ্য অধিদপ্তরের সিল মারা বস্তায় চালের বিষয়টি টের পেয়ে সাংবাদিকদের জানান।
সাংবাদিকরা বিষয়টি প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে জানালেও কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় ৯৯৯ এ ফোন দিলে জগতী পুলিশ ক্যাম্পের উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী ঘটনাস্থলে যান। পরে রাত ১০ টার দিকে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত কবীর গুদাম পরিদর্শন করে তা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: নাচোলে সরকারি চালসহ আটক ব্যক্তির কারাদণ্ড
তিনি জানান, খাদ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে তদন্ত টিম এসে প্রতিবেদন দেয়ার পর তারা পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।
তবে সাইফুলের দাবি, তিনি কুষ্টিয়া পুলিশ লাইন থেকে ৩৮ টাকা দরে চাল কিনে ৪০ টাকায় বিক্রি করছেন। কিন্তু এ সময় বক্তব্যের স্বপক্ষে চাল কেনার কোনো বৈধ কাগজ তিনি দেখাতে পারেননি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীর গুদাম থেকে ১৩০০ বস্তা সরকারি চাল উদ্ধার
এ বিষয়ে বটতৈল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এম এ মোমিন মন্ডল বলেন, ‘এই চাল কীভাবে ওখানে গেল এটা আমার জানা নাই। এটা রেশন বা দুঃস্থদের চাল হলেও হতে পারে। যদি ক্রয়ের চালান না থাকে তাহলে এটা অবশ্যই অবৈধ।’
জেলার খাদ্য পরিদর্শক জহুরুল আলম বলেন, গুদামটি পুলিশের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। কোনো পরিবর্তন না করে এটি যেমন আছে তেমনই রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রবিবার তদন্ত করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে জেলা ফুড অফিসকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তারা তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।’
৩ বছর আগে
দেশে ৫০০ ত্রাণ গুদাম হবে: প্রতিমন্ত্রী
সারা দেশে ৫০০ ত্রাণ গুদাম তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।
৩ বছর আগে