সোমবার জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত ৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকার বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বাজেট বাস্তবায়নে অতীতে ব্যর্থ হইনি, ইনশাল্লাহ ভবিষ্যতেও ব্যর্থ হবো না। আমরা কখনও হতাশায় ভুগি না। আমরা সবসময়ই নির্দিষ্ট লক্ষ্য বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাই।’
জনগণকে আশ্বস্ত করে সরকার প্রধান বলেন, ‘আগামীতে দেশের সামনে যে সংকটই আসুক না কেন আওয়ামী লীগ সরকার তা শক্তভাবে মোকাবিলা করবে। কাউকে অনাহারে থাকতে হবে না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আশাবাদী যে এ পরিস্থিতি থেকে আমাদের উত্তরণ ঘটবে। এ পরিস্থিতির মধ্যেই আমাদের বাজেট দিতে হয়েছে। যদি করোনা পরিস্থিতি থেকে বেড়িয়ে আসতে না পারি তবে হয়ত আমরা এ বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারবো না। কিন্তু আমি মনে করি, আমাদের প্রস্তুতি আছে। এ কারণেই উচ্চাভিলাষী বাজেট দিয়েছি।’
‘এ বাজেট দিয়েছি কারণ আমরা মানুষের জীবনধারণের মানন্নোয়ন ঘটাতে চাই,’ যোগ করেন শেখ হাসিনা।
এসময় প্রধানমন্ত্রী জানান, কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতিতে চারটি অনুমানের ওপর ৮.২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আশা করি সারা বিশ্বের মতো দেশের অর্থনীতিও ২০২১ সালে ধীরে ধীরে কোভিড-১৯ এর প্রভাব থেকে বেরিয়ে আসবে। বাংলাদেশের অর্থনীতি তার পূর্বের অবস্থানে ফিরে আসবে। তাই, আমরা ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ৮.২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ধরেছি।’
বাজেটে ৮.২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন হিসাবে বিবেচিত চারটি অনুমানের বিশদ বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা যুদ্ধের সময় অর্থনৈতিক অবকাঠামোর যে ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হয়, তা হয়নি।
‘পাশাপাশি দেশীয় বাজারে সরবরাহের চাহিদা বৃদ্ধির ফলে জনগনের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে এবং মানুষের আয় বাড়াতে সরকারের ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। যদি সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজগুলো বাস্তবায়িত হয়, তবে উৎপাদন এবং সরবরাহের ব্যবস্থা আবার স্বাভাবিক হয়ে উঠবে,’ যোগ করেন তিনি।
আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে করোনার প্রতিষেধক বাজারে আসতে পারে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যদি তা হয় তবে খুব শিগগিরই ইউরোপ এবং আমেরিকাতে মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং বাংলাদেশের রপ্তানি আগের পর্যায়ে ফিরে যাবে।’