তিনি বলেন, ‘আমরা পরাজয় মেনে নেব না। মৃত্যু অনিবার্য, মৃত্যু যেকোনো সময় ঘটতে পারে। তবে, এ জন্য (আমাদের) এ ধরনের অদৃশ্য শক্তির কাছে পরাজয় মেনে নিতে হবে, এটি হতে পারে না।’
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসএসএফের ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, তিনি জনগণের কাছে পৌঁছানোর জন্য দেশের ডিজিটালাইজেশনের সুযোগ নিচ্ছেন এবং সাধারণ মানুষের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে তাদের সাথে কথা বলছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি চাই মানুষের আত্মবিশ্বাস এবং আস্থা বজায় থাকুক।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবার জন্য খাদ্য, চিকিৎসা এবং শিক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি তাদের জীবন বাঁচাতে বিশেষ নজর দিয়েছে সরকার।
এ প্রসঙ্গে তিনি সবার পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রচেষ্টার ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: করোনায় সিলেটের সাবেক মেয়র কামরানের মৃত্যু
‘এ জন্য আমি দেশের জনগণকে স্বাস্থ্য নির্দেশিকা কঠোরভাবে মেনে চলার অনুরোধ জানাচ্ছি। সবার নিজেকে সুরক্ষিত রেখে অন্যকে সুরক্ষিত করতে হবে,’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
অদৃশ্য ভাইরাসের কারণে পুরো বিশ্ব স্থবির হয়ে পড়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা জানান, করোনাভাইরাসের কারণে দেশের সব অগ্রগতি বন্ধ হয়ে গেছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার দারিদ্র্যের হার ৪০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে নামিয়ে এনেছে, জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৮.১ শতাংশে উন্নীত করেছে, মুদ্রাস্ফীতি ৫ থেকে ৫.৬ শতাংশে বজায় রেখেছে এবং মাথাপিচু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ও গ্রামীণ অর্থনীতি বিকাশ লাভ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা সামাজিক এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে জোর দিয়েছিলাম এবং এসব বাস্তবায়নে আমরা পুরোদমে কাজ করেছি, যার ফলস্বরূপ আমাদের দ্রুত উন্নয়ন হচ্ছিল।’
২০২০ সালকে বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বছর উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে সরকার অনেক কর্মসূচি পালন করেছে।
‘কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারির কারণে আমরা পরিকল্পিতভাবে এটি উদযাপন করতে পারিনি,’ বলেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, অর্থনীতি ও অস্ত্রের সক্ষমতা বিবেচনায় বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশগুলোও এ ভাইরাসের সামনে অকেজো হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: জনগণকে সুরক্ষিত রেখে অর্থনীতি সচল রাখা ‘যুদ্ধ’ সমতুল্য: প্রধানমন্ত্রী
ধারাবাহিকভাবে পরিবর্তিত প্রযুক্তি এবং বৈশ্বিক অগ্রগতির সাথে অপরাধের নতুন নতুন কৌশল আসা প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, প্রযুক্তিকে ভালো এবং খারাপ উভয় কাজে ব্যবহার করা হয়।
‘এদিকে নজর রেখে অন্যদের সুরক্ষা দেয়ার সাথে জড়িত মানুষদের আধুনিক প্রযুক্তি অর্জন করতে হবে, কী ধরনের অপরাধমূলক কার্যক্রম চলছে তা বুঝে তাদের জ্ঞান আহরণ করতে হবে এবং মানুষকে সুরক্ষা দিতে হবে,’ বলেন তিনি।
এ ক্ষেত্রে আধুনিক প্রশিক্ষণ অর্জনের ওপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে এসএসএফের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মজিবুর রহমান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
এসএসএফ কর্মীদের পক্ষে সংস্থাটির মহাপরিচালক তাদের এক দিনের বেতন সম্বলিত এক কোটি টাকার একটি চেক প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে হস্তান্তর করেন।