তিনি বলেন, ‘আমাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডগুলো যেন সচল থাকে সেজন্য ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা একটা বাজেটও দিতে সক্ষম হয়েছি। এ কাজগুলো যখন করছি সেটা এক ধরনের যুদ্ধ।’
সাবেক মন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে সংসদে আনা শোক প্রস্তাবে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
সংসদে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মাদ আবদুল্লাহর মৃত্যুতেও গভীর শোক প্রকাশ করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দুই সহযোদ্ধা নাসিম ও আবদুল্লাহর মৃত্যু আমাদের জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক, সব আন্দোলন-সংগ্রামে দুজনেই আমার পাশে ছিলেন।’
‘কোভিড-১৯ সারা বিশ্বটাকে স্থবির করে দিল, সারাবিশ্বে যেন কেমন একটা অস্বাভাবিক পরিবেশ সৃষ্টি করলো,’ যোগ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটা আতঙ্ক. ভয়-ভীতি, মৃত্যু যেন সারা বিশ্বকে পেয়ে বসেছে। এটাই হচ্ছে অদ্ভুত ব্যাপার। এ ধরনের পরিবেশ আগে আমরা আর কখনো দেখিনি।’
‘আজকে আমি সংসদে আসার সময় অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী আমাকে অনেক জায়গা থেকে না আসার জন্য ভীষণভাবে বাধা দেয়া হয়েছে। তাদের আমি বললাম হুমকি, বোমা, গ্রেনেড কত কিছুই তো মোকাবিলা করে করে এ পর্যন্ত এসেছি। এখন কী একটা অদৃশ্য ভাইরাসের ভয়ে ভীত হয়ে থাকবো?’ যোগ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পার্লামেন্টের মেম্বার, আমাদের আওয়ামী লীগ পরিবারের একজন সংসদকে হারিয়েছি। আর আমাদের ক্যাবিনেট সদস্য একজন তাকেও হারালাম আর সেখানে আমি যাবো না, এটা তো হয় না।’
‘করোনা সংক্রমণ আতঙ্কটা এমন পর্যায়ে চলে যাচ্ছে যেটা সত্যি খুব দুঃখজনক। করোনাভাইরাসের ভীতিতে উন্নত দেশ, অনুন্নত দেশ বা উন্নয়নশীল দেশ, অস্ত্রের দিক থেকে শক্তিশালী, অর্থের দিক থেকে শক্তিশালী অথবা হয়তো দরিদ্র রাষ্ট্র- কোনো ভেদাভেদ নেই। করোনাভাইরাসের ভয় ও আতঙ্কে সব যেন এক হয়ে গেছে, সব জায়গায় একই অবস্থা,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, আমেরিকা থেকে শুরু করে উন্নত পশ্চিমা দেশ থেকে এসে আমাদের দক্ষিণ এশিয়ায় এই ওয়েবটা চলছে।