বুধবার দুপুর ১টায় করোনাকালীন শিক্ষার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অনলাইনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে এ কথা জানান তিনি।
ছুটি বাড়বে কিনা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে ছুটি বাড়ছে, ছুটি বাড়তে তো হবেই। শিগগিরই তারিখটা জানিয়ে দেবো।’
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে নীতিমালা তৈরি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের ঠিক করাই আছে যখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবো, তখন কিভাবে খুলব স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দিক নির্দেশনা রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পর কেউ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এসে আক্রান্ত না হয়ে বাইরে হলেও কিন্তু বলা হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার কারণেই হচ্ছে।’
‘তাই শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে তাদের শিক্ষার বিষয়ে নিশ্চিত করার ক্ষেত্রেই আমরা নজর দিচ্ছি। সকল অভিভাবক শিক্ষার্থী সবাই এটি নিয়ে ভাবছে,’ বলেন তিনি।
বার্ষিক পরীক্ষাসহ অন্যান্য পরীক্ষার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বার্ষিক পরীক্ষা, আগামি এসএসসিসহ অনেক পরীক্ষা নিয়েই সবার প্রশ্ন আছে। কিন্তু এই পরীক্ষা নিয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। শিগগিরই এটি নিয়ে আমাদের একটি সভা আছে, সেখানে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা এখন নানান অপশন নিয়ে ভাবছি, কোনো পরীক্ষা না নিয়ে অটোপ্রমোশন দেয়া; আবার পরীক্ষা নিয়ে প্রমোশন দেয়া। আমরা সব বিষয় নিয়েই কাজ করছি। শিগগিরই এ বিষয়ে জানাতে পারবো। আমরা সব দেশের পরিস্থিতিই দেখছি।’
কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে দীপু মনি বলেন, ‘কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ক্ষেত্রে আমরা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সবার স্বাস্থ্যবিধির দিকে নজর রেখে সব করছি। একইসাথে শিক্ষা কার্যক্রম যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকেও নজর রাখছি। সব দিক বিবেচনায় নিয়েই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘করোনার সময়ে ধাপে ধাপে আমরা ছুটি বাড়িয়েছি। এটি ছাড়া তো সম্ভব ছিলো না। ধাপে ধাপে বাড়ানো ছাড়া একসাথে অনেক ছুটি বাড়ানোর যুক্তি নেই। শিক্ষার্থীরাতো অনলাইনে পড়াশুনা করছেন, তাদের শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ আছে। আমরা চাই দ্রুত সব ঠিক হোক, দ্রুত আমরা স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরতে চাই।’
‘ও’লেভেলের পরীক্ষার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘‘ও’ লেভেলের প্রতিদিন মাত্র ১৮০০ পরীক্ষার্থী। সেখানে মোট ৬ হাজার শিক্ষার্থী। তাদের ৩৫টির বেশি পরীক্ষা কেন্দ্রে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের কাজ করা অনেক সহজ হবে। তাদের সব শর্তই দেয়া হয়েছে। এবং যারা অক্টোবরের মধ্যে দিতে না পারবে, তারা মে মাসের আগে আর দিতে পারবেন না।’
কওমির ক্ষেত্রে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘কওমি মাদরাসা খোলার বিষয়ে একটি অন্যতম বিষয় তারা অনেকটাই আবাসিক। তারা স্বাস্ত্যবিধি মেনেই শিক্ষা কার্যক্রম চালানোর কথা জানিয়েছে। সেজন্যই তারা আমাদের কাছ থেকে অনুমতি পেয়েছেন। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে তাদের অনুমতি দেয়া হয়েছে।’