তিনি বলেন, ‘চক্ষু চিকিৎসা খুব ব্যয়বহুল। সাধারণ মানুষ এটা বহন করতে পারে না। আমি শুধু প্রধানমন্ত্রীই নই, জাতির পিতার কন্যাও। সুতরাং, দেশের প্রত্যেক জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা আমার দায়িত্ব, আমি সেই দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করছি।’
ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে পাঁচ বিভাগের আওতাধীন ২০ জেলার ৭০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ‘কমিউনিটি ভিশন সেন্টার’র কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে রাজধানীর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার ইতোমধ্যে উপজেলা পর্যায়ে আরও ১১০টি কমিউনিটি ভিশন সেন্টার স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
নারীদেরকে আয় রোজগারের কাজে নিযুক্ত হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশকে সঠিকভাবে এগিয়ে নিতে সুস্থ মানুষ দরকার। স্বাস্থ্যকর বাংলাদেশ গড়ায় প্রয়োজন স্বাস্থ্যকর মানুষ।’
সরকার জনগণকে বিনামূল্যে ভিটামিন-এ, বিভিন্ন ভ্যাকসিন এবং ওষুধ সরবরাহ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা সুযোগ তৈরি করে যাচ্ছি যাতে জনগণ সবদিক থেকে সুস্থ থাকতে পারে।’
পরে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রংপুরের পীরগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল এবং ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার স্থানীয় জনগণ ও অংশীজনদের সাথে মতবিনিময় করেন।
সরকার দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, টেলিমেডিসিন ব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি হওয়ায় এখন স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করা সহজ হয়ে গেছে।
‘এখন ঘরে বসে টেলিমেডিসিন সিস্টেমের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞরা চিকিৎসকদের কাছ থেকে সেবা নিতে পারেন। এখন আমাদের বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ। সুতরাং, আমরা ডিজিটাল পরিষেবাগুলো মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছি,’ বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার গর্ভবতী মায়েদের চিকিৎসা দেয়ায় জন্মান্ধতা (জন্ম) দেশ থেকে অনেক কমে গেছে।
তিনি বলেন, ‘জন্মান্ধতা দূর করার জন্য প্রসূতি মাকে চিকিৎসা দেয়া শুরু করেছি। প্রসবের আগে ইনজেকশন দিয়ে দেয়া হয়। যার কারণে এখন সেটার ভালো রেজাল্ট পাচ্ছি। জন্মান্ধতা কমে গেছে।
আরও পড়ুন: প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা উচিত: প্রধানমন্ত্রী
রপ্তানি বাড়াতে গবেষণায় গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণ এখন সারা দেশে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো থেকে স্বাস্থ্যসেবা এবং ৩০টি বিনামূল্যে ওষুধ পাচ্ছে, স্থানীয় জনগণ বিশেষ করে নারীরা ক্লিনিকগুলো থেকে সহজেই সেবা এবং ওষুধের সুবিধা নিতে পারেন।
কোভিড -১৯ সম্পর্কে হাসিনা সবাইকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রটোকলগুলো মেনে চলার জন্য মাস্ক পরা, পরিষ্কার থাকার জন্য ঘন ঘন হাত ধোয়া এবং করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার আহ্বান জানান।
নিবন্ধনের পর শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে টিকা নেয়ার জন্যও প্রধানমন্ত্রী জনগণকে আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, ন্যাশনাল আই কেয়ারের পরিচালক অধ্যাপক ডা. গোলাম মোস্তাফা, স্বাস্থ্য বিভাগের সচিব আবদুল মান্নান বক্তব্য দেন।