সরকারের এক যুগ পুর্তিতে সফলতা এবং বড় ব্যর্থতা কী এমন এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ব্যর্থতা হচ্ছে, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও একটি বড় রাজনৈতিক দল যারা স্বাধীনতা চায়নি তাদেরকে দিয়ে রাজনীতি করে। তাদের নিয়ে রাজনীতি করে এবং এই স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি বাংলাদেশ থেকে নির্মূল হয়নি। এটি আমাদের ব্যর্থতা। করতে পারিনি।’
আরও পড়ুন: করোনা নিয়ন্ত্রণে থাকায় অর্থনীতি সচল আছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বুধবার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘সচিত্র বঙ্গবন্ধু’ অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন ও বর্তমান সরকারের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দেশের অর্থনীতি, জিডিপি নিয়ে সরকার মিথ্যাচার করছে: ফখরুল
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, একযুগ পূর্তিতে সরকারের সবচেয়ে বড় সফলতা হচ্ছে, দেশের যেমন উন্নয়ন অগ্রগতি হয়েছে তেমনি প্রতিটি মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়েছে। দারিদ্র্য কমেছে। বাংলাদেশ এখন ছেঁড়া কাপড় পরা মানুষ দেখা যায় না। বাংলাদেশ এখন খালি পায়ে মানুষ দেখা যায় না। বাংলাদেশ এখন কবিতায় কুঁড়েঘর আছে, আকাশ থেকে সহজে কুঁড়েঘর দেখা যায় না।
শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের কারণে গত ১২ বছরে এই পরিবর্তন সম্ভব হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আরও বড় অর্জন হলো স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে।
আরও পড়ুন: সময়মতো প্রণোদনা প্যাকেজ অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করেছে: প্রধানমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্রায় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এবছর মুনাফালোভীরা যাতে দাম বাড়াতে না পারে সেজন্য চাল আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে। চাল উৎপাদনে ঘাটতির জন্য নয়, মুনাফালোভীরা যাতে জনগণকে জিম্মি করতে না পারে সেজন্য এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ক্ষুধাকে ইতোমধ্যেই জয় করতে সক্ষম হয়েছি। এখন আমাকে একটু বাসী ভাত দেন, সন্ধার পরে শহরের অলিতে গলিতে কিংবা ভরদুপুরে গ্রাম-গ্রামান্তরে সেই ডাক শোনা যায় না। বাসি ভাতের সমস্যা বা অন্যের সমস্যা সমাধানে বঙ্গবন্ধু কন্যা গত ১২ বছরের করতে সক্ষম হয়েছেন।
আরও পড়ুন: করোনাকালে এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্যি আমাদের এই উন্নয়ন অগগ্রযাত্রা বিএনপিসহ তার মিত্ররা দেখতে পায় না। একই সাথে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিবর্গ যারা অর্থনীতি নিয়ে গবেষণা করে, মাঝেমধ্যে প্রতিবেদন পেশ করেন তারাও এ উন্নয়ন অগ্রগতি দেখেন না।
সরকার যেহেতু দায়িত্বে আছে সমালোচনা হবে, সমালোচনা থাকবে, সমালোচনা থাকতে হবে। কিন্তু সমালোচনা যেন অন্ধের মতো না হয়, সমালোচনাটা যেন অন্ধ এবং বধিরের মতো না হয়। যে অগ্রগতি হয়েছে সেটির প্রসংশা থাকতে হবে এবং একই সাথে গঠনমূলক সমামালোচনা থাকতে হবে, তাহলেই দেশ এগিয়ে যাবে, বলেন তথ্যমন্ত্রী।