গত তিনদিন ধরে পানির পাম্প নষ্ট হয়ে যাওয়ায় পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, গত শনিবার থেকে এই অবস্থা চললেও মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দুই-একদিনের মধ্যে সমাধান হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: হাসপাতালের করিডোর এখন বৃদ্ধা হাফেজার ঘর
নড়াইল সদর হাসপাতালের শহীদ মিনারটি দেখভালের কেউ নেই
সোমবার দুপুরে মহিলা ওয়ার্ডের রোগী মল্লিকা বেগম বলেন, ‘এতো কষ্ট করা যায় না। পানি আনা-নেয়া করতে অসুখ শরীরে সহ্য করতে পারি না। হাসপাতালে থাকব না, বাড়ি চলে যাব।’
আকলিমা বেগম বলেন, ‘গত শনিবার সকাল থেকে আমাদের ওয়ার্ডে পানি নেই। পানি সরবরাহ না থাকায় এ ক’দিন কষ্ট করছি। দোতলা থেকে নিচে গিয়ে টিউবওয়েল চেপে পানি আনতে হচ্ছে।’
অঅরেক কহিনুর বেগম বলেন, ‘আমি অসুস্থ। বাথরুম ও খাবার পানির জন্য আমাকে বারবার নিচে নামতে হচ্ছে। অন্য ওয়াার্ডের বাথরুমে গিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ সারতে হচ্ছে।’
রোগীর মেয়ে পরিবানু বলেন, হাসপাতালের লোকজনকে বারবার বলার পরও পানি সরবরাহের কোন ব্যবস্থা করছে না। আমার মা বয়স্ক ও অসুস্থ মানুষ। মাকে বাথরুমের জন্য অন্য ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া-আসা খুব কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। হাসপাতালের একজন বলেছেন এটা মেরামত করতে এখনো ১০-১৫ দিন সময় লাগবে।
মহিলা ওয়ার্ডের নার্স শিরিনা আখতার জানান, মোটর পুড়ে গেছে। এ কারণে মহিলা ওয়ার্ডে পানি নেই। কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি: শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
হাসপাতালের সিঁড়িতেই সন্তান জন্ম!
ছুটিতে থাকা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. তৌহিদ আল হাসান বলেন, ‘হাসপাতালের বড় পানির পাম্পটি পুড়ে গেছে। মেরামতের কাজ চলছে। আশা করছি দুই-একদিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে। তবে হাসপাতালের কারেন্টের ওয়ারিংগুলো খুব দুর্বল। নতুন করে এগুলো সংস্কার করা প্রয়োজন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’