সোমবার সকাল ৯টার দিকে জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২১ লাখ ২৮ হাজার ৭২১ জনে।
এছাড়া, ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ কোটি ৯১ লাখ ৫২ হাজার ১৪ জনে। করোনা থেকে মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ কোটি ৪৭ লাখ ১১ হাজার ৮২৯ জন।
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ পর্যন্ত দেশটিতে ২ কোটি ৫১ লাখ ২৩ হাজার ৮৫৭ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৪ লাখ ১৯ হাজার ২০৪ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত রয়েছে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে। ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকলেও সর্বাধিক মৃতের সংখ্যায় রয়েছে দ্বিতীয়তে।
আরও পড়ুন: করোনা টিকা: ডিআরইউ সদস্যদের জাতীয় পরিচয়পত্র জমা দেয়ার আহ্বান
করোনার সনদ পেতে বৃহত্তর কুমিল্লার ৬ জেলার মানুষের ভোগান্তি
ইবিতে করোনায় মিলছে না চিকিৎসা সেবা, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা
দেশে কোভিড-১৯ টিকাদান শুরু ২৭ জানুয়ারি
দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে মোট আক্রান্ত ১ কোটি ৬ লাখ ৫৪ হাজার ৫৩৩ জন এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৩৯ জন। ব্রাজিলে মোট শনাক্ত রোগী ৮৮ লাখ ৪৪ হাজারের বেশি এবং মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৩৭ জনের।
রোগী শনাক্তের দিক দিয়ে তালিকার পরবর্তী কয়েকটি দেশ হলো- রাশিয়া (৩৬ লাখ ৭৯ হাজারের বেশি), যুক্তরাজ্য (৩৬ লাখ ৫৭ হাজারের বেশি), ফ্রান্স (৩১ লাখ ১২ হাজারের বেশি) ও স্পেন (২৪ লাখ ৯৯ হাজারের বেশি)।
মৃতের দিক দিয়ে বিশ্বে চতুর্থ স্থানে আছে মেক্সিকো (১ লাখ ৪৯ হাজার ৬১৪ জন)। এরপর যুক্তরাজ্যে ৯৮ হাজার ১২৯ জন, ইতালিতে ৮৫ হাজার ৪৬১ জন, ফ্রান্সে ৭৩ হাজার ১৯০ জন ও রাশিয়ায় ৬৮ হাজার ৩৯৭ জন।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একদিনে শনাক্তের হার কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৭৩ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩.৩৪ শতাংশ।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮ হাজার ২৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে রবিবার পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের সরকারি ও বেসরকারি ২০০ ল্যাবে আরটি-পিসিআর, জিন এক্সপার্ট ও র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার জন্য ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৪ হাজার ৪৭৮টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে ১৪ হাজার ১৬৯টি। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪৭৩ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হওয়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ৩১ হাজার ৭৯৯ জনে পৌঁছেছে।
এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ৩৫ লাখ ৫৫ হাজার ৫৫৮টি। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে গণপরিবহনে কথা না বলার পরামর্শ
ভ্যাকসিন ক্রয়ে নতুন চুক্তি স্বাক্ষরের ঘোষণা কোভ্যাক্সের
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, নতুন যে ২০ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ১৬ এবং নারী চারজন। এখন পর্যন্ত মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৬ হাজার ৮০ জন বা ৭৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ এবং নারী এক হাজার ৯৪৩ জন বা ২৪ দশমিক ২২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫১ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৫১৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৪১৩ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমকি ৫৯ শতাংশ।
গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।