তিনি বলেন, ‘বাজারে সরকারের নির্ধারিত মূল্যে আলু বিক্রি নিশ্চিত করা হবে। আর এ জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো কাজ শুরু করেছে।’
সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন, আলুর পাইকারি বিক্রেতা, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থা এবং বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত এক সভায় এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে প্রয়োজনীয় আলু মজুদ রয়েছে। আলু সংকটের কোনো সম্ভাবনা নেই। কোনো অবস্থাতেই অধিক লাভ করার সুযোগ দেয়া হবে না।’
আরও পড়ুন: সবজির মূল্য আকাশ ছোঁয়া, ‘দ্বিগুণ দামে’ বিক্রি হচ্ছে আলু
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে আলুর কোনো ঘাটতি নেই। প্রচুর আলু আবাদ হয়েছে। বন্যা ও বৃষ্টির কারণে সবজির আবাদ কিছুটা ক্ষতি হবার কারণে আলুর চাহিদা বেড়েছে। তবে আলুর দাম সরকার নির্ধারিত মূল্যের বেশি হবার কোনো কারণ নেই।’
উল্লেখ্য, সরকারের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ইতোমধ্যে প্রতি কেজি আলুর দাম কোল্ড স্টোরেজ পর্যায়ে ২৩ টাকা, পাইকারিতে ২৫ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ৩০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে।
বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীনের সঞ্চালনায় সভায় কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. ওবায়দুল আজম, অতিরিক্ত সচিব (আইআইটি) মো. হাফিজুর রহমান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা, টিসিবি চেয়ারম্যান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান, বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. মোস্তাক হোসেন, ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সদস্য শাহ মো. আবু রায়হান আল-বেরুনি, র্যাব, ডিজিএফআই, এনএসআই এবং পাইকারি আলু ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।