জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকার) জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব বীর উত্তম বাতিল করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সকাল ১০টার দিকে শুরু হওয়া এই সমাবেশে বিএনপির কয়েক শতাধিক নেতা-কর্মী যোগ দেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বক্তৃতার মধ্য দিয়ে সমাবেশ শেষ হলে দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ আন্দোলনকারীদের যানবাহন চলাচল করার জন্য অবিলম্বে প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তা খালি করতে বলে।
আরও পড়ুন: আল জাজিরার প্রতিবেদনে সরকার বিচলিত: বিএনপি
মুক্ত করতে ব্যর্থ হওয়ায় খালেদার কাছে ক্ষমা চাইলেন বিএনপি নেতারা
একপর্যায়ে পুলিশের সাথে কয়েকজন নেতা-কর্মীর বাগবিতণ্ডা হয়। বিএনপি নেতা-কর্মীরা কিছুটা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। পুলিশের সদস্যরা তাদের ধাওয়া দেন। ধাওয়া খেয়ে বিএনপির একদল নেতা-কর্মী প্রেসক্লাবের ভেতরে ঢুকে পড়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। পুলিশের লাঠিপেটায় এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হন।
সংঘর্ষের সময় খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমানউল্লাহ আমান ও নাজিমউদ্দিন আলমসহ বিএনপির সিনিয়র নেতারা জাতীয় প্রেসক্লাবে আশ্রয় নেন।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর দুপুর ১২টা ৫০ এর দিকে তারা প্রেসক্লাব ত্যাগ করেন।
দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির পূর্বঘোষিত এই বিক্ষোভের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি।
এর আগে বৃহস্পতিবার দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তকে ‘দুষ্ট প্রচেষ্টা’ জানিয়ে প্রতিবাদে দুদিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি।
জামুকার পদক্ষেপের প্রতিবাদে বিএনপির রবিবার সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ করার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির কোনো অপকর্ম বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেয়া হবে না: কাদের
খালেদার কারাবন্দী জীবনের তিন বছর: প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
বিএনপি নেতৃত্ব সংকটে ভুগছে: প্রধানমন্ত্রী
জামুকা মঙ্গলবার এক বৈঠকে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বঘোষিত খুনিদের দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব বীর উত্তম বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়।
সভায় বঙ্গবন্ধুর চার দণ্ডপ্রাপ্ত খুনি নূর চৌধুরী, শরিফুল হক ডালিম, মোসলেহ উদ্দিন এবং রাশেদ চৌধুরীর রাষ্ট্রীয় খেতাবও বাতিলের সুপারিশ করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে স্বাধীনতার পর জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘বীর উত্তম’ খেতাব দেয়া হয়।