তিনি বলেন, ‘আল জাজিরার ঘটনা নিয়ে এতটা পেট খারাপ হওয়ার কথা তো না আপনাদের। কারণ আপনাদের হজম শক্তি কম না। অনেক কিছু হজম করেছেন। এটি তো হজম করতে পারবেন। এটি তো লাখো ঘটনার একটি ঘটনামাত্র।’
রাজধানীতে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে দেয়া বক্তব্যে বিএনপির এ নেতা সরকারকে গলাবাজি, চাপাবাজি ছেড়ে সঠিকভাবে প্রতিবেদনটি মোকাবিলা করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘প্রমাণ করে দেন যে আল জাজিরা যা বলছে এটি ঠিক না, সত্য না, মিথ্যা। এই কাজটুকু করতে এত কষ্ট কেন?’
আরও পড়ুন: মুক্ত করতে ব্যর্থ হওয়ায় খালেদার কাছে ক্ষমা চাইলেন বিএনপি নেতারা
বিএনপির কোনো অপকর্ম বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেয়া হবে না: কাদের
বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিলের পরামর্শের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এনডিপি) উদ্যোগে এই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
স্বাধীনতাযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভূমিকার কথা তুলে ধরে গয়েশ্বর বলেন, ‘তিনি বীর উত্তম, সেই বীর উত্তমে বলব সবচেয়ে উত্তম জিয়াউর রহমান। সবচেয়ে বেশি শহীদ হয়েছে তার জেড ফোর্স থেকে, সবচেয়ে বেশি পাকিস্তানি সেনা পরাস্ত হয়েছে তার ফোর্স থেকে, সবচেয়ে বেশি খেতাব পেয়েছেন জেড ফোর্সে যারা ছিলেন তারা।’
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমার ধারণা ছিল সুবর্ণজয়ন্তীতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জিয়াউর রহমানকে মরণোত্তর সংবর্ধনা দেবে, যে কাজ তাদের করার কথা ছিল তা তারা করেনি।’
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ‘দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা’ করেছেন এবং শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্ব গ্রহণ করে সকলকে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
গয়েশ্বর বলেন, ‘শেখ মুজিব কারাগারে থাকলেও জিয়াউর রহমান তার পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে জনগণের সামনে তাকে (মুজিব) উপস্থিত রেখেছেন। আমি ভেবেছিলাম যে আওয়ামী লীগ সুবর্ণজয়ন্তীতে এটি উপলব্ধি করবে এবং এর জন্য জিয়াউর রহমানকে ধন্যবাদ জানাবে। তবে তারা এর বিপরীত পদক্ষেপ নিয়েছে।’
আরও পড়ুন: খালেদার কারাবন্দী জীবনের তিন বছর: প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
আল জাজিরা বন্ধ চেয়ে রিটের শুনানিতে ৬ অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, জিয়া সংবিধান লঙ্ঘন করেননি। ‘জিয়াউর রহমান সংবিধানের মৌলিক অধিকারগুলো আপহোল্ড করেছেন। অর্থাৎ গণতন্ত্রে তিনি পরিপূর্ণতা এনেছেন, সর্বস্তরে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া তিনি চালু করেছেন এবং সংবাদপত্র প্রকাশ করার অবাধ সুযোগ করে দিয়েছেন।’
জামুকা মঙ্গলবার এক বৈঠকে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বঘোষিত খুনিদের দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব বীর উত্তম বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়।
সভায় বঙ্গবন্ধুর চার দণ্ডপ্রাপ্ত খুনি নূর চৌধুরী, শরিফুল হক ডালিম, মোসলেহ উদ্দিন এবং রাশেদ চৌধুরীর রাষ্ট্রীয় খেতাবও বাতিলের সুপারিশ করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে স্বাধীনতার পর জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘বীর উত্তম’ খেতাব দেয়া হয়।